আগামি ২৫ অক্টোবর 2013 দেশে কী ঘটবে, সেটি একমাত্র গণকই
বলতে পারেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দীন খান আলমগীর,
*********************************
এমন কথার প্রতিবাদ জানানোর ভাষা আমার নেই ৷
*********************************************
এমন কথা শুনে শুধু অবাক হয়নি বরং আমাকে চিন্তিত করছে এই লোক গুলো কি মৃত্যু কে ভয় করেনা ? কেন এত মাতাল্ বকা বকছে ?/
এরা মুসলমানের ছেলে হয়ে আল্লাহর কথা না বলে গনক-ঠাকুর বলতে পারবে ভবিষ্যৎ কি হবে , কি ভাবে বলতে পারে , এটা অস্পষ্ট কুফরী ,৷
এতে আওয়ামী লিগারদের অবস্হান অরও ষ্পষ্ট হলো , তাদের কোন নেতা কর্মীরই আল্লাহর উপর বিশ্বাস নেই বলে মনে হচ্ছে ,
এটাই আওয়ামী আদর্শ ,
আরে অবিশ্বাসীর দল! আল্লাহর উপর থেকে আস্থা ও
বিশ্বাস
উঠিয়ে তোমাদের বিশ্বাস কোথায় গিয়ে ঠেকেছে, একটু
ভেবে দেখেছো?
মা কালি, দূর্গা থেকে এবার গণকই তাহলে তোমাদের ভরসা।
তবে জেনে রেখো ভাই কিছুতেই কিছু
হবে না যা কিছু হয় সবই আল্লাহর পক্ষ থেকেই হয় । আর আল্লাহই ভাল জানেন কখন কি হবে ৷ গায়েবের মালিক আল্লাহই কোন গনক্ নয় ৷যতদিন পর্যন্ত একমাত্র আল্লাহর উপর পূর্ণ
আস্থা ও বিশ্বাস রাখতে পারবে না, ততদিন পর্যন্ত গণধিকৃতই থাকতে হবে তোমাদের।
এটা এমন এক সময় আসবে বুঝলে ও কাজ হবেনা ৷
তাই সাধু সাবধান !
মুসলমান দাবীদার সাবধান !
আওয়ামীলিগের মধ্যে মুসলিমরা সাবধান !
এমন মাতাল্ নেতার সংশ্রব ত্যাগ না করলে ঈমান ও থাকবেনা ৷
এখন আসুন গণক কাকে বলে ? গণকের কাছে যাওয়ার বিধান কি ?
**********************************************************
গণক এমন লোককে বলা হয়, যে অনুমানের উপর নির্ভর করে ভিত্তিহীন বিষয়ের অনুসন্ধান করে থাকে। জাহেলী যামানার কিছু পেশাদার লোকের সাথে শয়তানের যোগাযোগ ছিল। শয়তানেরা চুরি করে আকাশের সংবাদ শ্রবণ করত এবং তাদের কাছে বলে দিত। আকাশ থেকে যা শ্রবণ করত, তার সাথে আরো অনেক মিথ্যা কথা সংযোগ করে মানুষের মধ্যে তা প্রকাশ করত। তারা যা বলত, তার একটি কথা সত্য হলে মানুষ ধোকায় পড়ে যেত এবং অন্যান্য সমস্যার সমাধানের জন্য ও ভবিষ্যতে কি হবে, তা জানতে গণকদের কাছে আসা শুরু করত। এই জন্যই আমরা বলি যে, গণক হচ্ছে সেই লোক, যে ভবিষ্যতের অদৃশ্য বিষয় সম্পর্কে সংবাদ দিয়ে থাকে।
যারা গণকের কাছে আসে, তারা তিনভাগে বিভক্তঃ
(১) গণকের কাছে এসে তাকে কোন কিছু জিজ্ঞাসা করা এবং তার কথায় বিশ্বাস না করা। এটা হারাম। এ ধরণের লোক সম্পর্কে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,
مَنْ أَتَى عَرَّافًا فَسَأَلَهُ عَنْ شَيْءٍ لَمْ تُقْبَلْ لَهُ صَلَاةٌ أَرْبَعِينَ لَيْلَةً
“যে ব্যক্তি গণকের কাছে গিয়ে কোন কিছু জিজ্ঞাসা করল, চল্লিশ দিন পর্যন্ত তার নামায কবূল হবে না।”
(২) গণকের কাছে এসে তাকে কোন কিছু জিজ্ঞাসা করা এবং তার কথায় বিশ্বাস করা। এটা আল্লাহর সাথে কুফরী করার অন্তর্ভূক্ত। কারণ সে ইলমে গায়েবের দাবীতে গণককে বিশ্বাস করেছে। মানুষ ইলমে গায়েব জানে বলে বিশ্বাস করলে আল্লাহর কথাকে অবিশ্বাস করা হবে।
আল্লাহ বলেনঃ
قُلْ لَا يَعْلَمُ مَنْ فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ الْغَيْبَ إِلَّا اللَّهُ
“বলুন, আকাশ এবং জমিনে আল্লাহ ছাড়া গায়েবের সংবাদ অন্য কেউ জানে না।” (সূরা নমলঃ ৬৫)
ছহীহ হাদীছে এসেছে, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,
مَنْ أَتَى كَاهِنًا فَقَدْ كَفَرَ بِمَا أُنْزِلَ عَلَى مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّه عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
“যে ব্যক্তি কোন গণকের নিকট গমণ করে তার কথায় বিশ্বাস করল, সে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর উপর অবতীর্ণ বিষয় (কুরআন ও সুন্নাহ)র সাথে কুফরী করল।” এ ধরণের মানুষ তাওবা না করে মৃত্যু বরণ করলে কুফরী অবস্থায় তার মৃত্যু হবে।
(৩) গণককে পরীক্ষার জন্য এবং মানুষের সামনে তার ধোঁকাবাজির কথা তুলে ধরার জন্য তার কাছে যেতে কোন অসুবিধা নেই।
ইবনু সায়্যাদ নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর কাছে আগমণ করলে তিনি মনের মধ্যে একটি কথা গোপন করে ইবনে সায়্যাদকে জিজ্ঞাসা করলেন, বল তো আমি কি গোপন করেছি? ইবনে সায়্যাদ বলল, আদ্-দুখ্ অর্থাৎ আদ্-দুখান (ধোঁয়া)। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, অকল্যাণ হোক তোমার! তুমি তোমার সীমা অতিক্রম করতে পারবে না।
সুতরাং কোন গনক-ঠাকুরের কথায় বিশ্বাস করা দূরে থাক , যাওয়া ও জায়েয নেই সেখানে একটা দেশের ভবিষ্যৎ সমপর্কে বলতে পারার বিশ্বাস করা কত বড কুফরী গুনাহ , তাছাডা এমন দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের মুখ থেকে কর্ম-কান্ডহীন কথা বার্তা , শুনে সাধারন মানুষরাই বিভ্রান্ত হবে ,৷
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন