দূর্গা কালি লক্ষী শিব গণেশ মহাদেব কার্তিক কৃষ্ণ বিষ্ণু এইরকম নাম না জানা বহু দেব-দেবীকে যে আমাদের হিন্দু ভাই বোনেরা পূজা করে এই সব দেব-দেবীদের সম্পর্কে ইসলাম কি বলে ?
আলেমদের এইসব দেব-দেবীদের সম্পর্কে অভিমত কি ?
আল-কোরআনের সূরা আনআমের ১৩০ নং আয়াতে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা বলেছেন আমি জ্বীন ও মানুষ উভয়ের মাঝেই নবী প্রেরন করেছি। মানুষের মাঝে তো কারা নবী হিসাবে আসছে এটা আমরা সবাই জানি।
কিন্তু জ্বীনদের মাঝে নবী কারা ?
মানব জাতির পৃথিবীতে বসবাস করার অনেক আগে থেকেই জ্বীনরা এই পৃথিবীতে বসবাস করত।বুখারী মুসলিম শরীফের অনেক হাদীসেই হযরত আদম আলাইহিস সাল্লামের পৃথিবীতে আগমণের পূর্বে জ্বীন জাতির অনেক ঘটনা পাওয়া যায়। তাই স্বাভাবিক ভাবেই তখন জ্বীনদের মাঝে অনেক নবী এসেছিল।
এখন জ্বীনদের মাঝে কারা নবী এই সম্পর্কে সূরা আনআমের ১৩০ নং আয়াতের ব্যাখ্যায় তাফসীরে মা আরেফুল কোরআনে মুফতী মোহাম্মদ শফী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি বলেছেন হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থ বেদের ইতিহাস অনেক প্রাচীন। বেদে অল্ল মুহাম্মদ শব্দ গুলি এসেছে।
বেদের ৪ টা ভাগ। 1ঋকবেদ 2অথর্ববেদ 3সাম বেদ ও4 যযুর্জবেদ।
বেদের অনেক শ্লোক আর আল-কোরআনের অনেক আয়াতের অর্থের সাথে অনেকাংশে মিলও পাওয়া যায় । পুরা বেদের কোথাও মূর্তি পূজার কথা উল্লেখ নাই। কিন্তু কালের বিবর্তনের কারণে সংস্কার করতে করতে আজকে হিন্দুধর্মটাই এখন মুর্তি পুজার ধর্মে পরিনত হয়েছে।
বেদ পৃথিবীতে এসেছিল প্রায় ২০-৩০ হাজার বছর আগে। তো স্বাভাবিক ভাবেই ধরা যায় বেদ আদম আলাইহিস সাল্লাম পৃথিবীতে আসার আগেই জ্বীনদের উপর নাযিল হয়েছিল।কারণ তখন পৃথিবীর অদিবাসী ছিল জ্বীন। তারপর জ্বীনদের মাধ্যমে বেদের বাণী ঋষিদের কাছে পৌছেছিল। এরপর মানব জাতির কাছে। দূর্গা কালি লক্ষী শিব গণেশ মহাদেব কার্তিক কৃষ্ণ বিষ্ণু এরা হয়ত জ্বীনদের মাঝে নবী ছিলেন। আর বেদ হয়ত দূর্গা কালি লক্ষী শিব গণেশ মহাদেব এদের উপর নাযিল হয়েছিল। কারন আপনি দেখবেন দূর্গা কালি লক্ষী শিব গণেশ মহাদেব উনাদের আকার আকৃতি হল অনেকটা হাতির মত শূড়, কারো অনেক গুলি হাত পা আবার কারো ৪ টা মুখ।
মানুষের কখনো এরকম আকৃতি হতে পারে না। তবে জ্বীনদের এরকম আকৃতি হওয়াটাই স্বাভাবিক। কারন জ্বীনদের আকৃতি সম্পর্কে সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রাযিয়াল্লাহু আনহুর বর্ণনায় যে দলীল টা পাওয়া যায় সেখানে উনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বলেছিলেন বিভিন্ন বিচিত্র আকৃতির প্রানীকে আপনার কাছে আসতে দেখলাম।
আবার দূর্গা কালি লক্ষী শিব গণেশ মহাদেব কার্তিক কৃষ্ণ বিষ্ণু উনাদের আকৃতি গুলিও কিন্তু বিচিত্র আকৃতির। হতে পারে উনারা জ্বীনদের মাঝে নবী ছিলেন পরবর্তীতে ঋষিদের মাধ্যমে যখন বেদের বাণী গুলি মানুষের কাছে এসেছিল তখন মানুষ আল্লাহ কে বাদ দিয়ে দূর্গা কালি লক্ষী শিব কেই উপাস্য বানিয়ে ফেলেছে।
আরবের কাফেররা যে লাত উজ্জার পূজা করত হাদীস শরীফেও কিন্তু বলা আছে যে তারা জ্বীন ছিল। { বা পূর্বেকার জমানার নেক-কার } মানুষ ছিল ,আবার অনেক জ্বীন পরবর্তী তে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর ঈমান আনলেও তাদের মানুষ অনুসারীরা আর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর ঈমান আনে নি। এই জাতীয় বর্ননাও বিভিন্ন রেওয়াতে পাওয়া যায়।
তো এখন কথা হল রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আসার পর কিন্তু পূর্ববর্তী সকল নবী রাসুলদের বিধান রহিত হয়ে গেছে। তাই বেদের সকল বিধান রহিত হয়ে গেছে। সবাই কে অবশ্যই আল-কোরআন ও রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর ঈমান আনতে হবে। খ্রিষ্টান রা যেমন ঈসা আলাইহিস সাল্লাম কে আল্লাহর ছেলে বানিয়ে ফেলছে, ইহুদীরা যেমন উযাইর আলাইহিস সাল্লাম কে আল্লাহর ছেলে বানিয়ে ফেলছে ঠিক তেমনি হিন্দু ভাই বোনেরাও দূর্গা কালি লক্ষী শিব গণেশ মহাদেব কার্তিক কৃষ্ণ বিষ্ণু কে তাদের আল্লাহ বানিয়ে ,আল্লাহ সুবহানাতায়ালর সাথে শিরক বা অংশীবাদ করছে। (ইসলাম আসার পর যে কেউ অন্য ধর্ম পালন করবে তা কখনো গ্রহনযোগ্য হবেনা আল কোরআন) কারণ বর্তমানে ইসলামই হল একমাত্র আল্লাহ তায়ালার মনোনীত ধর্ম ।
বেশ কিছু বছর আগে সৌদি আরব সরকার থেকে বিনামূল্যে তাফসীরে মা আরেফুল কোরআনের বাংলা ভাষায় একটা অখন্ড-খণ্ড বাংলাদেশে দেয়া হয়েছিল ব্যাপক ভাবে। ঐ এক খন্ডে প্রকাশিত তাফসীরে মা আরেফুল কো
রআনের প্রচ্ছদ টা কাল ছিল। দেশের সকল লাইব্রেরি মসজিদে ও অনেকের বাসায় এটা এখনো আছে। আপনি ঐ তাফসীর মা আরেফুল কোরআনের অখন্ড খন্ডের ৪১৩-৪১৪ পৃষ্ঠা উল্টালে সূরা আনআমের ১৩০ নং আয়াতের ব্যাখ্যা পাবেন। সেইখানে আমি আপনাদের কে দূর্গা কালি লক্ষী শিব সম্পর্কে যা বলেছি তা হুবহু পাবেন।
তাছাড়া কাযী ছানাউল্লাহ পানিপথী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি উনার লেখা তাফসীরে মাযহারীতেও দূর্গা কালি লক্ষী শিব সম্পর্কে একই কথা বলেছেন।
যাই হোক এটা মূলত আলেমদের একটা ধারনা। এটা ভুলও হতে পারে।
তবে আমরা মুসলমানদের উচিত হবে না দূর্গা
কালি লক্ষী শিব সম্পর্কে বা অন্য যে কোন ধর্ম গ্রন্হ বা ধর্মকে খারাপ বলা বা তাদের কে গালিগালাজ করা।
কারন ধর্ম যার যার স্বাধীন ব্যপার , প্রত্যেকের ধর্মকে তাদের কাছে সুন্দয্য, ও ছহীহ মনে হয় ৷ যদি ও সেটা ব্যখ্যার দাবী রাখে ৷
*********************************************************************
বেদ :-------------------------------------------------
আজ থেকে অনেক আগে লিখা একটি কিতাব, যাকিনা বহু পুরনো ফলে সেই কারনে তাকে সনাতন কিতাব বলা হয়ে থাকে।
অনেকেই বেদ নিয়ে বলে থাকে এটা একটি ঐশি কিতাব। আমিও বলি হতে পারে এটা ঐশি কিতাব, হতেও পারে নাও পারে কেননা কোরআন হাদীসে এর কোন ব্যখ্যা পাওয়া যায়না। তবে এ নিয়ে বাডাবাডির প্রয়োজন নেই ৷ প্রয়োজনে গবেষনা করুন ৷
তবে বেদ পড়লে বোঝা যায় তাতে কেবল এক ঈশ্বরবাদের কথা’ই বলা আছে, মুর্তি পূজার কথা নিষিদ্ধ আছে, গরুর গশত খাওয়া, কবর দেওয়ার প্রথার কথা পাওয়া যায়।
যেমন এক জায়গায় বলছেঃ “আজ্ঞা যজন্তি বিশ্বেশং পাষানাদিষু সর্বদা সর্ব-ভূতে” অর্থঃ ভগবান মূর্তিতে নন ভগবান সর্বভূতে। সুতরাং সর্বভুতের ভজনাই ঈশ্বরের উপসনা।“সর্বভুতস্তিং যোমাং ভজত্যেক ত্বমাস্তি”। প্রচলিত মূর্তি পূজা বেদ কখনও সমর্থন করে না।
অবশ্য কোরআন সূরা ইউনুস ৪৮ নং আয়াতে বলা আছে “ওয়ালি কুল্লি উম্মাতির রাসুলুন। অর্থঃ প্রত্যেক জাতীর জন্যই রয়েছে রাসুল। সূরা ফাতির ২৫ নং আয়াতে বলা আছে “ওয়া ইম্মিল উম্মাতি ইল্লা খালাফিহা নাজির।
অর্থঃ এমন কোন জাতি নেই যার কাছে সতর্ককারী আগমন করে নাই। নাজির এবং বশির বলতে নবী রাসুলকে বুঝায়। এই আয়াতের পূর্বাংশে মহানবী (সাঃ) কেও বাশিরাও ওয়া নাজিরা বলা হয়েছে। ওয়া লাকাদ বায়াছনা ফি কুল্লে উম্মাতির রাসুলান (সূরা নাহল ৩৭ আয়াত)
অর্থঃ নিশ্চয় আমি প্রত্যেক জাতি গোষ্ঠীর মধ্যে কোন না কোন রাসুল পাঠিয়েছিলাম।” সূরা রাদ ৮ নং আয়াতঃ ওয়া লিকুল্লে কাওমিন হাদ- অর্থাৎ প্রত্যেক জাতির জন্য হাদী বা পথ প্রদর্শক রয়েছে।” পবিত্র কোরআনে নবীদেরকে হাদী খেতাবেও ভুষিত করা হয়েছে। এই সব বর্ণানা থেকে জানা যায় যে, বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর মধ্যে বিভিন্ন যুগে সতর্ককারী, পথ প্রদর্শক রুপে নবী রাসুল আগমন করেছে। প্রতিটি মুসলমানদের উচিত ঐসব নবী রাসুলদের উপর বিশ্বাস স্থাপন করা।
*****ইসলামের চতুর্থ খলিফা হযরত আলী (রাঃ) বলেছেন, আল্লাহ্ তা’আলা কৃষ্ণবর্ণের এক নবী পাঠিয়েছিলেন যার নাম কোরআনে উল্লেখ করা হয় নাই-( কাশ্শাফ, মাদারেক) এই বর্ণনা থেকে একজন কৃষ্ণ বর্ণের নবীর আবির্ভাবের সংবাদ পাওয়া যায়।
**** মোজাদ্দেদ আলফে সানী (রঃ) সরহিন্দ এলাকায় কাশফে কতিপয় নবীর সামাধী দর্শন করেছিলেন ( হাদীকা মাহমুদিয়া)। খ্যাতনামা তাপস মির্যা মাজহার জান এক স্বপ্নের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কৃষ্ণ এবং রামচন্দ্রকে নবীরুপে স্বীকার করেছেন (মাকামাতে মাজহারী)
****দেওবন্দ মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মৌলানা মোহাম্মদ কাসেম নানুতবী (রঃ) কৃষ্ণ এবং রামচন্দ্রকে সত্য নবী বলেছেন মোবাহাসা শাহজাহানপুর, সৎ ধরম প্রচার)
****মৌলানা ওয়াহিদুজ্জামান কোরআনের তাফসিরে লিখেছেন,“স্মরণ রাখা উচিত যে, কৃষ্ণ আল্লাহর এক প্রিয় ও সৎপথ প্রাপ্ত ব্যক্তি ছিলেন এবং নিজ যুগ ও জাতীর জন্য খোদার পক্ষ থেকে সতর্ককারী হিসাবে আবির্ভূত হয়েছিলেন (তফসীরে ওয়াহিদী)।
****খাজা হাসান নিজামী বলেছেন, “কৃষ্ণ ভারতের পথ প্রদর্শক ছিলেন। কৃষ্ণ প্রকৃত পক্ষে দুষ্কৃতিকারীদের বিনাশ কল্পে প্রেরিত হয়েছিলেন” (কৃষণবিতি)।
**** মৌলানা সোলায়মান নদভী ভারতের রামচন্দ্র, কৃষ্ণ এবং বুদ্ধকে নবীরুপে স্বীকার করেছে (সীরাত মুবারক, ১৯৮২)।
****মুফতি মোহাম্মদ শফি তার তফসীর মা’রেফুল কোরআনে বেদের সকল ঋষিকেই পয়গম্বর রুপে স্বীকৃতি প্রদান করেছেন (৩য় খন্ড দ্রষ্টব্য)
****জামাতে ইসলাসীর পত্রিকা পৃথিবী ১৯৮৮ সালের ফেব্রুয়ারী সংখ্যায় রিখেছে, “গীতার শ্রীকৃষ্ণও ছিলেন একেশ্বরবাদী এই পরম পুরষের উল্লেখ করে মহানবী বলেছেনঃ ‘কানা ফিল হিন্দে নবীয়ান আসওয়াদুল লাওনা এসমুহু কাহেন’ (হাদীস দোলমী, তারিখ হামদান, বাবুল কাফ)। অর্থাৎ ভারতে এক নবীর আবির্ভাব ঘটে যিনি কৃষ্ণবর্ণ এবং কানাই নামে পরিচিত। সুতরাং মনে করার যথেষ্ট আবকাশ রয়েছে নবুয়তের ধারার সঙ্গে তিনি সংশ্লিষ্ট, যদিও এখন ভিন্ন পরিচয়ে তাঁর পরিচয় (৩৬ পৃঃ)
****মৌলানা মহিউদ্দিন খান সম্পাদিত মাসিক মদীনা পত্রিকায় বলা হয়েছে, ‘সহজেই প্রতীয়মান হয় যে, তৌরাত ওইঞ্জিলের মতই গীতা, বেদ ও পুরাণও আল্লাহপাকের নাজিলকৃত কিতাব বা সহীফা ছিল এবং ঐ গুলি ঐ যামানার নবী ও রাসুলগণের উপর আল্লাহ্ পাকের তরফ থেকেই নাজিল হয়েছিল ( ডিসেম্ব র১৯৮৯)।
****কেউ কেউ কৃষ্ণকে কৃষ্ণস্তভগবান স্বয়ং বা কৃষ্ণই ভগবানের পূর্ণ অবতার বলে উল্লেখ করেছেন। আবার মহাভারতের মতে কৃষ্ণকে বিষ্ণুর অষ্টমাংশ অবতার এবং কোন কোন পুরাণে তাঁকে ষষ্টাংশ অবতার বলা হয়েছে দেখুন মহাভারত ১৮/৫/২৪, ১২/২৮০/৬২, বায়ু পুরাণ, ১/২৩/২১৭, ২-২১৯১, লিঙ্গ পুরাণ, ১/২৪/১২৫-১২৬)।
বৈষ্ণবদেব প্রধান গ্রন্থ শ্রীমদ্ভাগবতেও কৃষ্ণকে অংশাবতার বলা হয়েছে (৪র্থ স্কন্দ, ১৪ অধ্যায়, ১০ম স্কন্দ, ২য় অধ্যায়) অতএব আমরা’ই মূল জায়গা থেকে তাকে দেবতা কিংবা বগবান বানিয়েছি, সে নিজে বগবান সাজে নাই। অতএব কৃষ্ণ ঈশ্বর বা ভগবান ছিলেন না, তিনি ছিলেন ঈশ্বরের প্রেরিত পুরুষ, আদর্শ মানব।
তবে সব কিছুই আল্লাহই ভাল জানেন ,তিনিই আলেমুল গাইব্ , আমরা শুধু বিশ্লেষন গবেষনা করতে পারি পূর্নাঙ্গ সমাধান দিতে পারিনা ,
সংকলীত :----------------
এম এম আব্দুল্লাহ ভুঁইয়া
আলেমদের এইসব দেব-দেবীদের সম্পর্কে অভিমত কি ?
আল-কোরআনের সূরা আনআমের ১৩০ নং আয়াতে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা বলেছেন আমি জ্বীন ও মানুষ উভয়ের মাঝেই নবী প্রেরন করেছি। মানুষের মাঝে তো কারা নবী হিসাবে আসছে এটা আমরা সবাই জানি।
কিন্তু জ্বীনদের মাঝে নবী কারা ?
মানব জাতির পৃথিবীতে বসবাস করার অনেক আগে থেকেই জ্বীনরা এই পৃথিবীতে বসবাস করত।বুখারী মুসলিম শরীফের অনেক হাদীসেই হযরত আদম আলাইহিস সাল্লামের পৃথিবীতে আগমণের পূর্বে জ্বীন জাতির অনেক ঘটনা পাওয়া যায়। তাই স্বাভাবিক ভাবেই তখন জ্বীনদের মাঝে অনেক নবী এসেছিল।
এখন জ্বীনদের মাঝে কারা নবী এই সম্পর্কে সূরা আনআমের ১৩০ নং আয়াতের ব্যাখ্যায় তাফসীরে মা আরেফুল কোরআনে মুফতী মোহাম্মদ শফী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি বলেছেন হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থ বেদের ইতিহাস অনেক প্রাচীন। বেদে অল্ল মুহাম্মদ শব্দ গুলি এসেছে।
বেদের ৪ টা ভাগ। 1ঋকবেদ 2অথর্ববেদ 3সাম বেদ ও4 যযুর্জবেদ।
বেদের অনেক শ্লোক আর আল-কোরআনের অনেক আয়াতের অর্থের সাথে অনেকাংশে মিলও পাওয়া যায় । পুরা বেদের কোথাও মূর্তি পূজার কথা উল্লেখ নাই। কিন্তু কালের বিবর্তনের কারণে সংস্কার করতে করতে আজকে হিন্দুধর্মটাই এখন মুর্তি পুজার ধর্মে পরিনত হয়েছে।
বেদ পৃথিবীতে এসেছিল প্রায় ২০-৩০ হাজার বছর আগে। তো স্বাভাবিক ভাবেই ধরা যায় বেদ আদম আলাইহিস সাল্লাম পৃথিবীতে আসার আগেই জ্বীনদের উপর নাযিল হয়েছিল।কারণ তখন পৃথিবীর অদিবাসী ছিল জ্বীন। তারপর জ্বীনদের মাধ্যমে বেদের বাণী ঋষিদের কাছে পৌছেছিল। এরপর মানব জাতির কাছে। দূর্গা কালি লক্ষী শিব গণেশ মহাদেব কার্তিক কৃষ্ণ বিষ্ণু এরা হয়ত জ্বীনদের মাঝে নবী ছিলেন। আর বেদ হয়ত দূর্গা কালি লক্ষী শিব গণেশ মহাদেব এদের উপর নাযিল হয়েছিল। কারন আপনি দেখবেন দূর্গা কালি লক্ষী শিব গণেশ মহাদেব উনাদের আকার আকৃতি হল অনেকটা হাতির মত শূড়, কারো অনেক গুলি হাত পা আবার কারো ৪ টা মুখ।
মানুষের কখনো এরকম আকৃতি হতে পারে না। তবে জ্বীনদের এরকম আকৃতি হওয়াটাই স্বাভাবিক। কারন জ্বীনদের আকৃতি সম্পর্কে সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রাযিয়াল্লাহু আনহুর বর্ণনায় যে দলীল টা পাওয়া যায় সেখানে উনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বলেছিলেন বিভিন্ন বিচিত্র আকৃতির প্রানীকে আপনার কাছে আসতে দেখলাম।
আবার দূর্গা কালি লক্ষী শিব গণেশ মহাদেব কার্তিক কৃষ্ণ বিষ্ণু উনাদের আকৃতি গুলিও কিন্তু বিচিত্র আকৃতির। হতে পারে উনারা জ্বীনদের মাঝে নবী ছিলেন পরবর্তীতে ঋষিদের মাধ্যমে যখন বেদের বাণী গুলি মানুষের কাছে এসেছিল তখন মানুষ আল্লাহ কে বাদ দিয়ে দূর্গা কালি লক্ষী শিব কেই উপাস্য বানিয়ে ফেলেছে।
আরবের কাফেররা যে লাত উজ্জার পূজা করত হাদীস শরীফেও কিন্তু বলা আছে যে তারা জ্বীন ছিল। { বা পূর্বেকার জমানার নেক-কার } মানুষ ছিল ,আবার অনেক জ্বীন পরবর্তী তে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর ঈমান আনলেও তাদের মানুষ অনুসারীরা আর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর ঈমান আনে নি। এই জাতীয় বর্ননাও বিভিন্ন রেওয়াতে পাওয়া যায়।
তো এখন কথা হল রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আসার পর কিন্তু পূর্ববর্তী সকল নবী রাসুলদের বিধান রহিত হয়ে গেছে। তাই বেদের সকল বিধান রহিত হয়ে গেছে। সবাই কে অবশ্যই আল-কোরআন ও রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর ঈমান আনতে হবে। খ্রিষ্টান রা যেমন ঈসা আলাইহিস সাল্লাম কে আল্লাহর ছেলে বানিয়ে ফেলছে, ইহুদীরা যেমন উযাইর আলাইহিস সাল্লাম কে আল্লাহর ছেলে বানিয়ে ফেলছে ঠিক তেমনি হিন্দু ভাই বোনেরাও দূর্গা কালি লক্ষী শিব গণেশ মহাদেব কার্তিক কৃষ্ণ বিষ্ণু কে তাদের আল্লাহ বানিয়ে ,আল্লাহ সুবহানাতায়ালর সাথে শিরক বা অংশীবাদ করছে। (ইসলাম আসার পর যে কেউ অন্য ধর্ম পালন করবে তা কখনো গ্রহনযোগ্য হবেনা আল কোরআন) কারণ বর্তমানে ইসলামই হল একমাত্র আল্লাহ তায়ালার মনোনীত ধর্ম ।
বেশ কিছু বছর আগে সৌদি আরব সরকার থেকে বিনামূল্যে তাফসীরে মা আরেফুল কোরআনের বাংলা ভাষায় একটা অখন্ড-খণ্ড বাংলাদেশে দেয়া হয়েছিল ব্যাপক ভাবে। ঐ এক খন্ডে প্রকাশিত তাফসীরে মা আরেফুল কো
রআনের প্রচ্ছদ টা কাল ছিল। দেশের সকল লাইব্রেরি মসজিদে ও অনেকের বাসায় এটা এখনো আছে। আপনি ঐ তাফসীর মা আরেফুল কোরআনের অখন্ড খন্ডের ৪১৩-৪১৪ পৃষ্ঠা উল্টালে সূরা আনআমের ১৩০ নং আয়াতের ব্যাখ্যা পাবেন। সেইখানে আমি আপনাদের কে দূর্গা কালি লক্ষী শিব সম্পর্কে যা বলেছি তা হুবহু পাবেন।
তাছাড়া কাযী ছানাউল্লাহ পানিপথী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি উনার লেখা তাফসীরে মাযহারীতেও দূর্গা কালি লক্ষী শিব সম্পর্কে একই কথা বলেছেন।
যাই হোক এটা মূলত আলেমদের একটা ধারনা। এটা ভুলও হতে পারে।
তবে আমরা মুসলমানদের উচিত হবে না দূর্গা
কালি লক্ষী শিব সম্পর্কে বা অন্য যে কোন ধর্ম গ্রন্হ বা ধর্মকে খারাপ বলা বা তাদের কে গালিগালাজ করা।
কারন ধর্ম যার যার স্বাধীন ব্যপার , প্রত্যেকের ধর্মকে তাদের কাছে সুন্দয্য, ও ছহীহ মনে হয় ৷ যদি ও সেটা ব্যখ্যার দাবী রাখে ৷
*********************************************************************
বেদ :-------------------------------------------------
আজ থেকে অনেক আগে লিখা একটি কিতাব, যাকিনা বহু পুরনো ফলে সেই কারনে তাকে সনাতন কিতাব বলা হয়ে থাকে।
অনেকেই বেদ নিয়ে বলে থাকে এটা একটি ঐশি কিতাব। আমিও বলি হতে পারে এটা ঐশি কিতাব, হতেও পারে নাও পারে কেননা কোরআন হাদীসে এর কোন ব্যখ্যা পাওয়া যায়না। তবে এ নিয়ে বাডাবাডির প্রয়োজন নেই ৷ প্রয়োজনে গবেষনা করুন ৷
তবে বেদ পড়লে বোঝা যায় তাতে কেবল এক ঈশ্বরবাদের কথা’ই বলা আছে, মুর্তি পূজার কথা নিষিদ্ধ আছে, গরুর গশত খাওয়া, কবর দেওয়ার প্রথার কথা পাওয়া যায়।
যেমন এক জায়গায় বলছেঃ “আজ্ঞা যজন্তি বিশ্বেশং পাষানাদিষু সর্বদা সর্ব-ভূতে” অর্থঃ ভগবান মূর্তিতে নন ভগবান সর্বভূতে। সুতরাং সর্বভুতের ভজনাই ঈশ্বরের উপসনা।“সর্বভুতস্তিং যোমাং ভজত্যেক ত্বমাস্তি”। প্রচলিত মূর্তি পূজা বেদ কখনও সমর্থন করে না।
অবশ্য কোরআন সূরা ইউনুস ৪৮ নং আয়াতে বলা আছে “ওয়ালি কুল্লি উম্মাতির রাসুলুন। অর্থঃ প্রত্যেক জাতীর জন্যই রয়েছে রাসুল। সূরা ফাতির ২৫ নং আয়াতে বলা আছে “ওয়া ইম্মিল উম্মাতি ইল্লা খালাফিহা নাজির।
অর্থঃ এমন কোন জাতি নেই যার কাছে সতর্ককারী আগমন করে নাই। নাজির এবং বশির বলতে নবী রাসুলকে বুঝায়। এই আয়াতের পূর্বাংশে মহানবী (সাঃ) কেও বাশিরাও ওয়া নাজিরা বলা হয়েছে। ওয়া লাকাদ বায়াছনা ফি কুল্লে উম্মাতির রাসুলান (সূরা নাহল ৩৭ আয়াত)
অর্থঃ নিশ্চয় আমি প্রত্যেক জাতি গোষ্ঠীর মধ্যে কোন না কোন রাসুল পাঠিয়েছিলাম।” সূরা রাদ ৮ নং আয়াতঃ ওয়া লিকুল্লে কাওমিন হাদ- অর্থাৎ প্রত্যেক জাতির জন্য হাদী বা পথ প্রদর্শক রয়েছে।” পবিত্র কোরআনে নবীদেরকে হাদী খেতাবেও ভুষিত করা হয়েছে। এই সব বর্ণানা থেকে জানা যায় যে, বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর মধ্যে বিভিন্ন যুগে সতর্ককারী, পথ প্রদর্শক রুপে নবী রাসুল আগমন করেছে। প্রতিটি মুসলমানদের উচিত ঐসব নবী রাসুলদের উপর বিশ্বাস স্থাপন করা।
*****ইসলামের চতুর্থ খলিফা হযরত আলী (রাঃ) বলেছেন, আল্লাহ্ তা’আলা কৃষ্ণবর্ণের এক নবী পাঠিয়েছিলেন যার নাম কোরআনে উল্লেখ করা হয় নাই-( কাশ্শাফ, মাদারেক) এই বর্ণনা থেকে একজন কৃষ্ণ বর্ণের নবীর আবির্ভাবের সংবাদ পাওয়া যায়।
**** মোজাদ্দেদ আলফে সানী (রঃ) সরহিন্দ এলাকায় কাশফে কতিপয় নবীর সামাধী দর্শন করেছিলেন ( হাদীকা মাহমুদিয়া)। খ্যাতনামা তাপস মির্যা মাজহার জান এক স্বপ্নের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কৃষ্ণ এবং রামচন্দ্রকে নবীরুপে স্বীকার করেছেন (মাকামাতে মাজহারী)
****দেওবন্দ মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মৌলানা মোহাম্মদ কাসেম নানুতবী (রঃ) কৃষ্ণ এবং রামচন্দ্রকে সত্য নবী বলেছেন মোবাহাসা শাহজাহানপুর, সৎ ধরম প্রচার)
****মৌলানা ওয়াহিদুজ্জামান কোরআনের তাফসিরে লিখেছেন,“স্মরণ রাখা উচিত যে, কৃষ্ণ আল্লাহর এক প্রিয় ও সৎপথ প্রাপ্ত ব্যক্তি ছিলেন এবং নিজ যুগ ও জাতীর জন্য খোদার পক্ষ থেকে সতর্ককারী হিসাবে আবির্ভূত হয়েছিলেন (তফসীরে ওয়াহিদী)।
****খাজা হাসান নিজামী বলেছেন, “কৃষ্ণ ভারতের পথ প্রদর্শক ছিলেন। কৃষ্ণ প্রকৃত পক্ষে দুষ্কৃতিকারীদের বিনাশ কল্পে প্রেরিত হয়েছিলেন” (কৃষণবিতি)।
**** মৌলানা সোলায়মান নদভী ভারতের রামচন্দ্র, কৃষ্ণ এবং বুদ্ধকে নবীরুপে স্বীকার করেছে (সীরাত মুবারক, ১৯৮২)।
****মুফতি মোহাম্মদ শফি তার তফসীর মা’রেফুল কোরআনে বেদের সকল ঋষিকেই পয়গম্বর রুপে স্বীকৃতি প্রদান করেছেন (৩য় খন্ড দ্রষ্টব্য)
****জামাতে ইসলাসীর পত্রিকা পৃথিবী ১৯৮৮ সালের ফেব্রুয়ারী সংখ্যায় রিখেছে, “গীতার শ্রীকৃষ্ণও ছিলেন একেশ্বরবাদী এই পরম পুরষের উল্লেখ করে মহানবী বলেছেনঃ ‘কানা ফিল হিন্দে নবীয়ান আসওয়াদুল লাওনা এসমুহু কাহেন’ (হাদীস দোলমী, তারিখ হামদান, বাবুল কাফ)। অর্থাৎ ভারতে এক নবীর আবির্ভাব ঘটে যিনি কৃষ্ণবর্ণ এবং কানাই নামে পরিচিত। সুতরাং মনে করার যথেষ্ট আবকাশ রয়েছে নবুয়তের ধারার সঙ্গে তিনি সংশ্লিষ্ট, যদিও এখন ভিন্ন পরিচয়ে তাঁর পরিচয় (৩৬ পৃঃ)
****মৌলানা মহিউদ্দিন খান সম্পাদিত মাসিক মদীনা পত্রিকায় বলা হয়েছে, ‘সহজেই প্রতীয়মান হয় যে, তৌরাত ওইঞ্জিলের মতই গীতা, বেদ ও পুরাণও আল্লাহপাকের নাজিলকৃত কিতাব বা সহীফা ছিল এবং ঐ গুলি ঐ যামানার নবী ও রাসুলগণের উপর আল্লাহ্ পাকের তরফ থেকেই নাজিল হয়েছিল ( ডিসেম্ব র১৯৮৯)।
****কেউ কেউ কৃষ্ণকে কৃষ্ণস্তভগবান স্বয়ং বা কৃষ্ণই ভগবানের পূর্ণ অবতার বলে উল্লেখ করেছেন। আবার মহাভারতের মতে কৃষ্ণকে বিষ্ণুর অষ্টমাংশ অবতার এবং কোন কোন পুরাণে তাঁকে ষষ্টাংশ অবতার বলা হয়েছে দেখুন মহাভারত ১৮/৫/২৪, ১২/২৮০/৬২, বায়ু পুরাণ, ১/২৩/২১৭, ২-২১৯১, লিঙ্গ পুরাণ, ১/২৪/১২৫-১২৬)।
বৈষ্ণবদেব প্রধান গ্রন্থ শ্রীমদ্ভাগবতেও কৃষ্ণকে অংশাবতার বলা হয়েছে (৪র্থ স্কন্দ, ১৪ অধ্যায়, ১০ম স্কন্দ, ২য় অধ্যায়) অতএব আমরা’ই মূল জায়গা থেকে তাকে দেবতা কিংবা বগবান বানিয়েছি, সে নিজে বগবান সাজে নাই। অতএব কৃষ্ণ ঈশ্বর বা ভগবান ছিলেন না, তিনি ছিলেন ঈশ্বরের প্রেরিত পুরুষ, আদর্শ মানব।
তবে সব কিছুই আল্লাহই ভাল জানেন ,তিনিই আলেমুল গাইব্ , আমরা শুধু বিশ্লেষন গবেষনা করতে পারি পূর্নাঙ্গ সমাধান দিতে পারিনা ,
সংকলীত :----------------
এম এম আব্দুল্লাহ ভুঁইয়া
01829138114
00966504967863
অসাধারন প্রবন্ধ। ধন্যবাদ।
উত্তরমুছুন