পত্র-পত্রিকায় কুরআন মজীদের আয়াত, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম, হাদীস শরীফ / ৭৮৬ / ইত্যাদি লেখার প্রচলন
হযরত মাওলানা মুফতী রশীদ আহমদ লুধিয়ানুবী রাহ.-এর খেদমতে নিম্নোক্ত ইসতিফতা পেশ করা হয়েছিল :
প্রশ্ন : পত্র-পত্রিকায় কুরআন মজীদের আয়...াত, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম, হাদীস শরীফ ইত্যাদি লেখার প্রচলন আছে। অথচ ঐসব পত্রিকায় ছবি থাকে, সিনেমার বিজ্ঞাপন থাকে। এরপর পুরানো কাগজে বিক্রি হয়ে যায়। এর দ্বারা দোকানদাররা গ্রাহকদেরকে জিনিসপত্র মুড়িয়ে দেয়। তদ্রূপ পুরানো পত্রিকা এখানে সেখানে পড়ে থাকে। পায়ের নীচে পড়ে। এ অবস্থায় পত্রিকায় আয়াত-হাদীস লেখা জায়েয হবে কি?
তাছাড়া কিছুদিন যাবৎ সরকারী দফতরে সরকারী চিঠিপত্রে পুরা বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম লেখা হচ্ছে। এই কাগজগুলোরও উপরের অবস্থা হয়ে থাকে। তো এই সকল চিঠিপত্রে কি বিসমিল্লা লেখা
জায়েয হবে? পুরা বিসমিল্লাহর স্থলে যদি বিসমিহী সুবহানাহু
ওয়া তাআলা বা বিসমিহী তাআলা কিংবা ৭৮৬ লেখা হয়
তাহলে সুন্নতের ছওয়াব পাওয়া যাবে কি না?
হযরত মুফতী ছাহেব উপরের প্রশ্নের এই জবাব দিয়েছেন:
‘বর্তমানের পত্রপত্রিকা ও বিজ্ঞাপনে (যার অবস্থা প্রশ্নে বলা হয়েছে) কুরআন মজীদের আয়াত ও বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম লেখা জায়েয় নয়। সরকারী দাফতরিক কাগজপত্রে লেখা জায়েয; বরং মুস্তাহসান (ভালো)। কেউ অমর্যাদা করলে সে গুনাহগার হবে। বিসমিল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো শব্দ বা ৭৮৬ লেখা কুরআনে কারীম, আল্লাহর রাসূলের আমল ও উম্মতের মুতাওয়ারাছ আমলের খেলাফ। হোদায়বিয়ার সন্ধির সময় আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিসমিল্লাহ লেখার আদেশ করেছিলেন। মুশরিকরা আপত্তি করে বলেছিল,
اكتب ما كنت تكتب باسمك اللهم
এ থেকে প্রমাণ হয়, ইসলামে ‘বিসমিল্লাহ’ লেখাই নির্ধারিত। এর পরিবর্তে অন্য কোনো শব্দ লিখলে বিসমিল্লাহর ছওয়াব পাওয়া যাবে না এবং সুন্নত আদায় হবে না।
৫ রবিউল আওয়াল ১৪০১ হি.
(আহসানুল ফাতাওয়া খন্ড ৮, পৃ. ২৪)
আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে আমলের
তাওফীক দান করুন। আমীন।
তাছাডা বিছমিল্লাহ এর পরিবর্তে ৭৮৬ লেখা একে বারেই না জায়েয কেননা মাওঃ তারেক মানাওয়ার সহ অন্যান্য ওয়াজের ভিডিওতে শুনেছি ে যে হরে কৃষ্ণ কে অক্ষরে পরিনত করলে ও ৭৮৬ হয় , হযরত মাওলানা মুফতী রশীদ আহমদ লুধিয়ানুবী রাহ.-এর খেদমতে নিম্নোক্ত ইসতিফতা পেশ করা হয়েছিল :
প্রশ্ন : পত্র-পত্রিকায় কুরআন মজীদের আয়...াত, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম, হাদীস শরীফ ইত্যাদি লেখার প্রচলন আছে। অথচ ঐসব পত্রিকায় ছবি থাকে, সিনেমার বিজ্ঞাপন থাকে। এরপর পুরানো কাগজে বিক্রি হয়ে যায়। এর দ্বারা দোকানদাররা গ্রাহকদেরকে জিনিসপত্র মুড়িয়ে দেয়। তদ্রূপ পুরানো পত্রিকা এখানে সেখানে পড়ে থাকে। পায়ের নীচে পড়ে। এ অবস্থায় পত্রিকায় আয়াত-হাদীস লেখা জায়েয হবে কি?
তাছাড়া কিছুদিন যাবৎ সরকারী দফতরে সরকারী চিঠিপত্রে পুরা বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম লেখা হচ্ছে। এই কাগজগুলোরও উপরের অবস্থা হয়ে থাকে। তো এই সকল চিঠিপত্রে কি বিসমিল্লা লেখা
জায়েয হবে? পুরা বিসমিল্লাহর স্থলে যদি বিসমিহী সুবহানাহু
ওয়া তাআলা বা বিসমিহী তাআলা কিংবা ৭৮৬ লেখা হয়
তাহলে সুন্নতের ছওয়াব পাওয়া যাবে কি না?
হযরত মুফতী ছাহেব উপরের প্রশ্নের এই জবাব দিয়েছেন:
‘বর্তমানের পত্রপত্রিকা ও বিজ্ঞাপনে (যার অবস্থা প্রশ্নে বলা হয়েছে) কুরআন মজীদের আয়াত ও বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম লেখা জায়েয় নয়। সরকারী দাফতরিক কাগজপত্রে লেখা জায়েয; বরং মুস্তাহসান (ভালো)। কেউ অমর্যাদা করলে সে গুনাহগার হবে। বিসমিল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো শব্দ বা ৭৮৬ লেখা কুরআনে কারীম, আল্লাহর রাসূলের আমল ও উম্মতের মুতাওয়ারাছ আমলের খেলাফ। হোদায়বিয়ার সন্ধির সময় আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিসমিল্লাহ লেখার আদেশ করেছিলেন। মুশরিকরা আপত্তি করে বলেছিল,
اكتب ما كنت تكتب باسمك اللهم
এ থেকে প্রমাণ হয়, ইসলামে ‘বিসমিল্লাহ’ লেখাই নির্ধারিত। এর পরিবর্তে অন্য কোনো শব্দ লিখলে বিসমিল্লাহর ছওয়াব পাওয়া যাবে না এবং সুন্নত আদায় হবে না।
৫ রবিউল আওয়াল ১৪০১ হি.
(আহসানুল ফাতাওয়া খন্ড ৮, পৃ. ২৪)
আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে আমলের
তাওফীক দান করুন। আমীন।
তাহলে এ ৭৮৬ কে বিছমিল্লাহর স্হানে লেখার প্রবনতা ইহুদী/খৃষ্টান/ মুশরিক/ বা হিন্দুদের চক্রান্ত ছাডা কিছুই না
সুতরং এ থেকে শতর্ক থাকা জরুরী ৷ তবে হরফে আবজাদের হিসাব অনুযায়ী যদি হতে হয় তহলে ৭৮৭ হওয়া চাই ৭৮৬ নয় ৷
কাজেই খানা-খাওয়া , তেলাওয়াত সহ দৈনন্দিন কাজে যেখানে বিছমিল্লাহ পডতে বা লেখতে হয়, বিছমিল্লাহই লেখতে-পডতে হবে ৷
র এর স্হলে ৭৮৬/৭৮৭ লেখা-পডা কোনটাই জায়েয নেই , বরং অনেকের মতে শীরক ৷
গত জীবনে যারা এমনটি করেছি তা থেকে তওবাহ করে সঠিক তরিকার উপর আসার তাওফীক দান করুন আমিন
মাশাল্লাহ খুবই গুরুত্বপূর্ণ মাশালাহ
উত্তরমুছুন