নিজামুদ্দিন টু দেওবন্দ!
মাওলানা সাদ সাহেব (হাফিজাহুল্লাহ) কেন এ অবস্থানে?
আজ থেকে প্রায় দশ বছর পূর্বের ঘটনা। সাদ সাহেব সাহারানপুরে এক আলোচনায় উলামায়ে কিরামের বেতন নিয়ে পড়ানোর ব্যাপারে বললেন– এই টাকা বেশ্যাদের উপার্জনের সমতুল্য! তখন “মাজাহিরুল উলূম মজলিসে ইলমী” বসে মাওলানা সালমান সাহেবের সভাপতিত্বে রেজুলেশন হল যে, সাদকে কখনো বয়ান করতে দেয়া যাবে না।
এরপর ক্রমশ সাদ সাহেব তার মতাদর্শ প্রচার করা শুরু করলেন। আর তখন লাগামহীনভাবে প্রত্যেকটি বয়ানে অপব্যাখ্যা শুরু করলেন। টঙ্গি ইজতেমায়ও তিনি অসংখ্য ভ্রান্তি প্রচার করেছেন। উলামায়ে কেরাম কাকরাইলে এর রিপোর্টও পেশ করেছেন।
ধীরে ধীরে সাদ সাহেবের ভ্রান্তি আক্বায়িদের পর্যায়ে চলে গেছে। ইতিপূর্বে তিনি ব্যাখ্যায় ভুল করে আসছিলেন। কিন্তু এখন ব্যাপার এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে, তিনি আক্বায়িদের উপরও হস্তক্ষেপ করছেন। জমহুর মুফাসসিরীনে কিরামের বিপক্ষে গিয়ে নতুন মতবাদ কায়েম করতে চাচ্ছেন।
.
বহুকাল থেকে কওমী মাদরাসা আর দাওয়াত ও তাবলীগ নিয়ে পশ্চিমা বিশ্ব মাথা ঘামাচ্ছে যে, এই দুই সিস্টেম যতদিন পৃথিবীর বুকে প্রতিষ্ঠিত আছে, ততদিন পর্যন্ত মুসলমানদেরকে বিভ্রান্ত করা সম্ভব নয়। এ নিয়ে চব্বিশ ঘন্টা তারা ফিকিরে আছে যে, কিভাবে এদের মাঝে অনৈক্য সৃষ্টি করা যায়। কিভাবে এদেরকে সমাজে কলঙ্কিত করা যায়। আল্লাহ তা‘আলার শুকুর যে, সা’দ সাহেবের ব্যাপারটা ইতিপূর্বেই স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, তিনি কোন এজেন্সির জন্য কাজ করছেন। এজন্যই তো হাজার বুঝানোর পরও বুঝতে চান না। বিজ্ঞ আপন লোকদের পর্যন্ত দূরে সরিয়ে দিচ্ছেন। ইসলাম বিরোধিতায় এত সংকল্পবদ্ধ কেন?
.
দারুল উলূম দেওবন্দে কেবল সাদ সাহেব সম্পর্কে গোটা বিশ্ব থেকে প্রশ্নের ঢের তৈরি হয়েছে। এরপর দারুল উলূম দেওবন্দের পক্ষ থেকে সাদ সাহেবকে দেওবন্দে আসতে বলা হয়েছে। আশ্চর্যের বিষয় যে, ডাকার পরও তিনি সরাসরি কখনো দারুল উলূম দেওবন্দে যাননি। কত দুর্ভাগা হলে এমন হয়!! এরপর যখন বারবার তলবের পরও তিনি আসতে অপারগতা প্রকাশ করছিলেন, তখন দেওবন্দের পক্ষ থেকে বলা হল–ঠিক আছে। আমরা আমাদের জিম্মাদারী আদায় করে যাব।
একথা শুনে তিনি মাওলানা আহমদ লাট সাহেবকে দেওবন্দে পাঠান। দেওবন্দের মেহমানখানায় তাঁর সাথে মাওলানা আবুল কাসিম নু’মানী (মুহতামিমে দারুল উলূম দেওবন্দ), সাঈদ আহমদ পালনপুরী (শাইখুল হাদীস), আরশাদ মাদানী ও হাবীবুর রাহমান খায়রাবাদী (প্রধান মুফতি) সহ সিনিয়র সকল আসাতিযায়ে কিরামের সাথে বৈঠক হল। শুরুতেই দেওবন্দের পক্ষ থেকে সাদ সাহেবের কিছু ব্যাপার উল্লেখ করা হল। আহমদ লাট সাহেব তখন প্রায় আধাঘণ্টার মত ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদলেন। শেষে বললেন, এসব তো আপনাদের পর্যন্ত যা পৌঁছেছে তা। আমাদের চোখের সামনে তো আরো কত কী ঘটে যাচ্ছে! অথচ আমরা কিছুই করতে পারছি না। এখনো মারকাযে ইবরাহীম দেওলা সাহেব, ইয়াকূব সাহেব সহ প্রবীণ মুরব্বিয়ানে কিরাম অবস্থান করছেন। আপনারা যদি হুকুম দেন মারকায ছেড়ে চলে যেতে, তাহলে আমরা চলে যেতে প্রস্তুত। উনাকে কন্ট্রোল করা এখন আমাদের ক্ষমতার বাহিরে। এসকল কর্মকাণ্ড দেখে দেখে এখানে থাকার আর ইচ্ছা নেই। এটা শুধু আমার কথা নয়। বরং মুরব্বিয়ানে কিরামের বিরাট এক জামাত আছেন যাদের কথা হল : দেওবন্দ থেকে যদি থাকতে বলা হয় তাহলে থাকব। যদি বলা হয় চলে যেতে তাহলে চলে যাব।
.
মাওলানা আহমদ লাট সাহেবের এ কথার পর দেওবন্দ থেকে তাঁকে বলা হল, আপনারা মারকাযেই থাকেন। কী হয় দেখা যাক।
এদিকে মাওলানা সাদ সাহেব চতুর্দিকে ছড়িয়ে দিলেন যে, যদি আমার কথায় ভুল থেকে থাকে তাহলে আহমদ লাট সাহেব, ইবরাহীম দেওলা সাহেব সহ মারকাযের উলামায়ে কেরাম আমাকে সতর্ক করতেন। তাঁরা তো আমাকে কিছু বলছেন না। অথচ বাস্তবতা হল যে, উনাকে বারবার বলা হয়েছে। সতর্ক করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মুরব্বিয়ানে কিরাম যখন দেখলেন যে, উনার মতবাদসমূহ মুরব্বিয়ানে কিরামের নামে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে, তখন তারা নিজামুদ্দীন মারকায ত্যাগ করে চলে গেলেন।গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশের একটি জামায়াত যখন উনাদেরকে জিঙ্গাসা করল,আপনারা কেন নিজামুদ্দিন মার্কাজ ত্যাগ করলেন??উত্তরে তারা বললেন,আমরা সাদ সাহেবের পরিস্থিতি দেখে বুঝলাম যদি আমরা মার্কাজ ত্যাগ না করি তবে পুরো তাবলিগের উপরে ফতোয়া আসবে! এখন তো ব্যাক্তির বিরুদ্ধে ফতোয়া দেওয়া হয়েছে।
.
এ পর্যায়ে সাদ সাহেবের বিভ্রান্তিকর কিছু উক্তি সকলের অবগতির জন্য পেশ করা হচ্ছে–
মাওলানা সাদ সাহেব তার বিভিন্ন বয়ানে বলেছেন :
০১. আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের ডাকে হযরত মুসা আলাইহিস সালাম নিজ কওম ও জামাত ছেড়ে একাগ্রতায় চলে যান৷ ফলে বনী ইসরাঈলের ৫ লাখ ৮৮ হাজার মানুষ পথভ্রষ্ট হয়ে যায়।
০২. হযরত যাকারিয়া আ. আল্লাহকে বাদ দিয়ে গাছের কাছে আশ্রয় চাইলেন, ফলে শাস্তি ভোগ করতে হল।
০৩. হযরত ইউসূফ আ. ‘উযকুরনী ইনদা রাব্বিক’ বলে গাইরুল্লাহ’র দিকে নযর দেয়ার কারণে অতিরিক্ত সাত বছর জেলখানায় থাকতে হয়েছে।
০৪. রাসূল স. দাওয়াত ইলাল্লাহ’র কারণে ইশারের নামায দেরীতে পড়ছেন। অর্থাৎ নামাযের চেয়ে দাওয়াতের গুরুত্ব বেশী।
০৫. দাওয়াতের পথ নবীর পথ, তাছাউফের পথ নবীর পথ নয়।
০৬. মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইনতিকালের পর সাহাবায়ে কেরাম দাওয়াতের কাজ ছেড়ে দেন। এ কারণেই ওই সময় ইরতিদাদ বা ধর্মত্যাগের ফেতনা দেখা দেয়।
০৭. হযরত উসমান (রা.) মদীনার মারকাযী ভূমিকা নষ্ট করে ফেলেছিলেন। এ কারণেই মদীনা থেকে খিলাফত বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
০৮. রাসূল সা. -এর বাই’আতের পর কেবল তিনজনের বাই’আত পূর্ণতা পেয়েছে আর সবার বাই’আত অপূর্ণ। তিনজন হলেন : ক. শাহ ইসমাঈল শহীদ রহ. খ. মাও. মুহা. ইলিয়াছ রহ. গ. মাও. মুহা. ইউসূফ রহ.।
০৯. আযান হল-তাশকীল, নামায হল-তারগীব আর নামাযের পরে আল্লাহর রাস্তায় বের হওয়া হল-তারতীব।
১০. নকল ও হরকত তওবার পূর্ণতা ও আত্মশুদ্ধির জন্য৷ তওবার তিনটে শর্ত তো লোকে জানে৷ কিন্তু চতুর্থটি কারোর জানা নেই৷ ভুলে গেছে৷ আর সেটি হলো আল্লাহর পথে বের হওয়া৷ এটিকে মানুষ ভুলিয়ে দিয়েছে৷ নিরানব্বইভাগ খুনির সাক্ষাৎ কোনো পাদ্রীর সঙ্গে হয়েছে৷ পাদ্রী তাকে নিরাশ করেছে৷ এরপর তার দেখা এক আলেমের সঙ্গে হয়েছে৷ আলেম তাকে বলেছে, ‘তুমি অমুক বস্তিতে বেরিয়ে পড়ো৷’
অতঃপর সেই খুনি বেরোলো৷ আর আল্লাহ তায়ালা তার তওবা কবুল করেছেন৷ এর দ্বারা বোঝা যায়, তওবার জন্য আল্লাহর পথে বেরোনো শর্ত৷ অন্যথায় তওবা কবুল হয় না৷ এই শর্তটি মানুষ ভুলে গেছে৷ অন্য তিনটি শর্ত বয়ান করে কেবল৷ অথচ চতুর্থ শর্ত অর্থাৎ আল্লাহর পথে বেরোনোর শর্তটি ভুলে গেছে একেবারেই৷
১১ . হেদায়েতপ্রাপ্তির স্থল একমাত্র মসজিদ৷ যেখানে কেবল ধর্মীয় পড়াশোনা হয়, তাদের সম্পর্ক যদি মসজিদের সঙ্গে কায়েম না হয়, তাহলে আল্লাহর শপথ সেখানেও দীন রয়েছে বলে ধরা হবে না৷ সেখানে ধর্মীয় পড়াশোনা হতে পারে, কিন্তু দীন বা ধর্ম হবে না৷
(এই চয়নে মসজিদের সম্পর্কের সঙ্গে তার উদ্দেশ্য–মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়া নয়৷ এজন্য এ কথা তিনি মসজিদের গুরুত্ব এবং দীনের কথা মসজিদেই নিয়ে করার ব্যাপারে নিজের বিশেষ মতাদর্শ বয়ানকালে বলেন৷ যার বিস্তারিত অডিও বিদ্যমান৷ তার এই দৃষ্টিভঙ্গি হয়ে গেছে এমন, দীনের কথা মসজিদের বাইরে বলা সুন্নতের বিপরীত; আম্বিয়ায়ে কেরাম, সাহাবায়ে কেরামের মতাদর্শের খেলাফ)৷
১২ . পারিশ্রমিক নিয়ে দ্বীন শেখানো দ্বীন বিক্রির নামান্তর৷ ব্যভিচারকারী কুরআনে কারীম শিখিয়ে পারিশ্রমিক গ্রহণকারীর আগে জান্নাতে যাবে৷
১৩ . মাদরাসাগুলোতে যাকাত না দেয়া হোক। মাদরাসায় যাকাত দিলে যাকাত আদায় হবে না। সারা আলমের মাদরাসাগুলো যাকাত নিয়ে হারাম কাজ করতেছে।
১৪ . মাদরাসার শিক্ষকগণ মাদরাসায় খিদমাত করার কারণে দুনিয়াবী ধ্যান্দায় জড়িয়ে পড়ছেন। এই জন্য তাদের দ্বীনের মেহনতে সময় দেয়া দরকার।
১৫ . মোবাইলে কুরআন শরীফ পড়া এবং শোনা, প্রস্রাবের পাত্র থেকে দুধ পান করার মতো। পেসাবদানী ছে পানি পিনা হাঁয়’।
১৬ . আমার মতে ক্যামেরা সিস্টেম মোবাইল পকেটে রাখাবস্থায় নামাজ হয় না৷ উলামায়ে কেরাম থেকে যতো ইচ্ছে ফতোয়া নাও, ক্যামেরা সিস্টেম মোবাইলে কুরআনে কারীম শোনা, দেখে দেখে পড়া কুরআনে কারীমের অপমান করার মতো৷ এর দ্বারা গোনাহ বৈ সওয়াব মিলবে না৷ এর কারণে আল্লাহ তায়ালা কুরআনে কারিমের ওপর আমল করা থেকে বঞ্চিত করে দেবেন৷
যে সমস্ত উলামায়ে কেরাম এ ব্যাপারে বৈধতার ফতোয়া দিয়ে থাকেন, তারা নিঃসন্দেহে ‘উলামায়ে সু’৷ তাদের মন-মস্তিস্ক ইয়াহুদী-খৃস্টানদের চিন্তাচেতনায় প্রভাবিত৷ তারা একদম মূর্খ আলেম৷
১৭ . কুরআনে কারীম বুঝে বুঝে পাঠ করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর ওয়াজিব৷ যে এই ওয়াজিব ছেড়ে দেবে, তার ওয়াজিব ছেড়ে দেবার গোনাহ মিলবে৷
১৮ . আমার আফসোস হয় তখন, যখন কাউকে জিজ্ঞেস করা হয়– ‘তোমার ইসলাহী সম্পর্ক কার সঙ্গে?’ কেনো বলুন না তখন, আমার ইসলাহী সম্পর্ক এই দাওয়াত ও তাবলগের কাজের সঙ্গে! এ কথার ওপর বিশ্বাস করো, দাওয়াতের কাজ তরবিয়তের জন্য যথেষ্ট নয়; বরং জামিন তথা দায়িত্বশীল৷ আমি অনেক ভেবে দেখেছি, কর্মীদের পা তোলার মূল কারণ এটাই৷
১৯ . আমার বড় আফসোস হলো, যখন আমাদের একজন তাবলিগি ভাই আমায় বললো, ‘আমার এক মাসের ছুটি দরকার৷ অমুক শায়খের সঙ্গে এতেকাফের উদ্দেশ্যে যেতে হবে৷’ আমি বললাম, আজ অবধি তোমরা দাওয়াত ও ইবাদতকে এক করো নি৷ তোমাদের কমপক্ষে চল্লিশ বছর পেরিয়ে গেলো তাবলগের কাজে৷ এতোদিন পর একজন এসে এভাবে বলে—‘আমার ছুটি প্রয়োজন৷ এক মাস এতেকাফের জন্য যেতে চাই৷’ আমি বললাম, যে ইবাদতের জন্য দাওয়াত থেকে ছুটি চাচ্ছে, সে দাওয়াত বিনে ইবাদতে উন্নতি করতে পারে কী করে?
২০ . খানকায় বসে আত্মশুদ্ধির কাজ করা অনুচিত। এতে উম্মাহর কোনো কল্যাণ নেই।
২১ . আপনাদের কাছে সবচাইতে বড় গুনাহ চুরি-যিনা। এর চাইতে বড় গুনাহ হল, খুরুজ না হওয়া। তাই হযরত কা’ব ইবনে মালেকের সাথে পঞ্চাশ দিন পর্যন্ত কথা-বার্তা বন্ধ রাখা হয়।
২২ . নবুওয়াতী কাজ হচ্ছে এ-তাবলীগী কাজ, এছাড়া দীনের যত কাজ আছে-দীনি ইলম শিখানো, দীনি ইলম শিখা, আত্মশুদ্ধি, কিতাবাদি রচনা করা; কোনটাই নবুওয়াতী কাজ না।
২৩ . সকাল সকাল কুরআন শরীফ তেলাওয়াত করা এবং নফল নামায পড়ার একটা অর্থ বুঝে আসে, কিন্তু আল্লাহ আল্লাহ জিকিরে কী অর্জন হয়? কিছুই হয় না।
২৪ . বিভিন্ন আয়াতের ব্যাখ্যা করার সময় তিনি বলে থাকেন, মুফাসসিরীনগণ এই আয়াতের এক তাফসীর করে থাকেন। আমি এই আয়াতের তাফসীর এভাবে করি, এটা শুনো, এটা সঠিক তাফসীর। মনোযোগ দিয়ে শুনো। মনোযোগ দিয়ে শুনো। (জমহুর মুফাসসিরীনদের বিপক্ষে গিয়ে নিজস্ব আঙ্গিকে কুরআনের তাফসীর বির রায় করতেন। যেটা সম্পূর্ণরূপে ভুল)
তেমনি মাওলানা সাদ সাহেবের বক্তব্যের এ ধরনের কিছু আপত্তিকর বিষয় দারুল উলূম দেওবন্দ-এর ফাতওয়া বিষয়ক ওয়েবসাইটের এ লিঙ্কে দেখুন–
http://darulifta-deoband.com/home/ur/Dawah–Tableeg/68784
এমন আরো অনেক ভ্রান্তি রয়েছে।
যা তিনি জায়গায় জায়গায় লাখো মানুষের সামনে বর্ণনা করেছেন।
.
পরিশেষ,এমন একজন বিতর্কিত লোক তাবলীগের কেন্দ্রীয় মারকাযের স্বঘোষিতভাবে আমীর থাকতে পারেন না। তেমনি তাকে বিশ্ব ইজতেমায় কোনরকম সুযোগ দেয়া যায় না যতক্ষণ না দারুল উলুম দেওবন্দসহ বিশ্বের সকল উলামায়ে কেরাম উনার বয়ানের উপর আস্থাশীল না হবেন এবং উনি উনার উস্তাদদের নিজামুদ্দিন মার্কাজে ফিরিয়ে না আনবেন।
সারা বিশ্বে দাওয়াত ও তাবলিগের আলমী মেহনত আলমী শুরার অধীনে ১৯৯৫ সাল থেকে চলছে,চলবে ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দোয়া ,এস্তেগফার পড়ুন সবাই।
আল্লাহ যেন উনাকে সঠিক বুঝ দান করেন।
উম্মতের মাঝে যেন সবাই এক আর নেক হয়ে যায়।
আরও পডুন
http://darulifta-deoband.com/home/ur/Dawah%E2%80%93Tableeg/68784
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন