হদুর্বল দৃষ্টিশক্তির জন্য ৯টি কিছু টিপস্
লেখকঃ ডঃ টি ভট্টাচার্য
চোখে কম দেখাকেই বলে দুর্বল দৃষ্টিশক্তি। আর এই দুর্বল দৃষ্টিশক্তির জন্যই শেষে চশমা নেওয়ার প্রয়োজন হয়। কিন্তু দীর্ঘকাল থেকে বেশ কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে যাতে ক্ষীণ দৃষ্টির উন্নতি তো হয়ই এমনকি চশমার প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়।
দৃষ্টিশক্তি দুর্বলের প্রতিকার:-
১) এলাচ৪ গ্রাম মাত্রায় সকালে খেলে এক মাস থেকে ৪০ দিনের মধ্যে দুর্বল দৃষ্টিশক্তি দূর হয়। চোখ ঠাণ্ডা হয়, চোখের জ্যোতি বাড়ে।
২) রাতের বেলায় একটা পাত্রে দু’চামচ ত্রিফলা চূর্ণ ভিজিয়ে রাখুন। সকালে উঠে পরিষ্কার কাপড়ে ছেঁকে নিয়ে ঐ জল দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলুন অথবা ঐ জল নিয়ে চোখের ওপর ছিটে দিন। এতেও চোখের জ্যোতি বাড়ে। এমনকি বৃদ্ধাবস্থাতেও চোখ নির্মল ও সতেজ থাকবে।
৩) সহিজনের রস ১০ মি. লি. ও মধু ১০ গ্রাম নিয়ে মিশিয়ে কাজল তৈরি করুন। এই কাজল চোখের পক্ষে খুবই উপকারী। এতে চোখ সদা নির্মল ও নিরোগ থাকে।
৪) পাতা পিষে তুলোর পলতে তৈরি করে তাতে মাখিয়ে পখার হাওয়াতে শুকিয়ে নিন। তারপর সরষের তেল ও কর্পূরের সঙ্গে এ তুলোর ফুরফুরি (বাপলতে) আগুনে পুড়িয়ে কাজল তৈরি করে নিন। এই কাজল চোখে দৃষ্টি বাড়াতে সাহায্য করে এবং চোখকে নিরোগ রাখতে সাহায্য করে।
৫) যদি দেখা যায় চোখের দৃষ্টি ক্রমশঃ স্তিমিত হয়ে আসছে তাহলে কমলা লেবুর রসে বাটা গোলমরিচ ও সৌন্ধব লবণ মিশিয়ে সকাল-বিকাল সেবন করতে হবে। অন্ততঃ তিনমাস এভাবে নিয়মিত সেবন করতে হবে।
৬) এক কাপ গাজরের রসে পৌনে এক কাপ পালং বা চৌলাইয়ের শাকের রস মিশিয়ে সকালে সূর্যোদয়ের সময়ে এবং বিকালে সূর্যাস্তের সময়ে নিয়মিত সেবন করতে পারলে সেবনকারীর চশমার দরকার হবে না কোনো দিন।
৭) শোয়ার সময় সপ্তাহে তিন দিন তুলোর মোটা পলতে দুধে ভিজিয়ে চোখে রেখে তার ওপর পটি বেঁধে দিলে চোখ ভালো থাকে। আবার কখনো কখনো ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করা শীতল ও স্বচ্ছ দুধ দু’তিন ফোঁটা চোখে দিলে চোখ শীতল থাকে এবং চোখের দৃষ্টিশক্তি কখনো ক্ষীণ হয় না।
৮) বাদামের ৮-১০ টি দানা (অর্থাৎ শাঁস) রাতে জলে ভিজিয়ে রেখে সকালে ভালো করে চিবিয়ে খেয়ে খানিকটা দুধ খেয়ে নিতে হবে। এতে চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ার সঙ্গে বলবৃদ্ধিও হবে।
৯) ধনে পিষে নিয়ে তার রস বের করে দু’ফোঁটা করে প্রতিদিন দু’চোখে দিলে চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি হয়।
সূত্র: জিরো২ইনফিনিটি
কপি পোস্ট
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন