পবিত্র মক্কা-মদীনার ইমামগণের মাযহাবঃ
****************************
প্রায় এক হাজার বছর পর্যন্ত চার মায্হাবের অনুসারীগণ চার ইমামের পিছনে ভিন্ন-ভিন্নভাবে জামাআতে নামায আদায় করেছেন। হানাফী মায্হাবের অনুসারীগণ হানাফী মায্হাবের ইমামের পেছনে, মালেকী মায্হাবের অনুসারীগণ মালেকী মায্হাবের ইমামের পেছনে, এভাবে অপর দুটি মায্হাবের অনুসারীগণও তাঁদের স্ব-স্ব মায্হাবের ইমামের পেছনে নামায আদায় করতেন। এ ধারা হারাম শরীফে চলে আসছে প্রায় এক হাজার বছর নাগাদ। কিন্তু ১২১৮ হিজরীর ৮ই মুহাররম বাদশা সাউদ ইবনে আব্দুল আযীয তাঁর সশস্ত্র বাহিনী নিয়ে উমরার উদ্দেশ্যে মক্কা শরীফ প্রবেশ করেন। তিনি তখন তথাকথিত সংস্কারের নামে যেসব কাজ করেন, তন্মধ্যে একটি হল, তিনি হারাম শরীফে সকল মুসল্লীকে একই ইমামের পিছনে একই সাথে জামাআতে নামায আদায়ের নির্দেশ জারী করেন।
( তারীখে মামলাকাঃ পৃ – ২৫ )
উল্লেখ্য যে, তদানীন্তনকালে সমগ্র বিশ্বের অধিকাংশ মুসলমানই হানাফী মায্হাবের অনুসারী ছিলেন। তৎকালে সমগ্র বিশ্বের শত কোটি মুসলমানের জামাআতে প্রায় অধিকাংশ মুসলমানই হানাফী মায্হাবের অনুসারী ছিলেন। তাই সমগ্র বিশ্ব থেকে হারাম শরীফে আগত এবং সেখানকার স্থানীয় মুসলমানগণের বিশাল জামাআত হানাফী ইমামের পেছনেই সমবেত হতেন। সে সুদীর্ঘকাল যাবৎ হানাফীদেরই রাজত্ব চলে আসছিল। এমতাবস্থায় এ বিশাল জামাআতের অনুসারীগণ মালেকী, শাফেয়ী ও হাম্বলী মায্হাবের সংখ্যালঘু অনুসারীদেরকে ভিন্ন-ভিন্ন জামাআতে নামায আদায় করার সুযোগ দিয়ে উদারতার পরিচয় দিয়েছেন। কিন্তু সংখ্যালঘুরা ক্ষমতায় এসে তাদের মায্হাবের ইমাম ব্যতীত অন্যদের প্রতি নিষেধাজ্ঞা জারী করে সংকীর্ণমনার পরিচয় দিয়েছেন।
তবে আমরা অত্যন্ত গর্বের সাথে বলতে পারি যে, যখন চার ইমাম ছিল তখনও হানাফী, শাফেয়ী, মালেকী ও হাম্বলী মায্হাবেরই ছিল। গাইরে মুক্বাল্লিদ বা লা-মায্হাবীদের কোন ইমাম ছিল না। আর যখন থেকে এক ইমামের ধারা চলছে তখনও কোন না কোন মায্হাবের অনুসারীই ইমাম হয়ে আসছেন। আজ পর্যন্ত গাইরে মুক্বাল্লিদ বা লা-মায্হাবীদের কোন ইমাম পবিত্র মক্কা-মদীনায় নিয়োগ হতে পারে নি।
উল্লেখ্য যে, আব্বাসী যুগের প্রায় পাঁচশ বছর পর্যন্ত পবিত্র মক্কা-মদীনার সকল ইমাম ও বিচারক হানাফী ছিলেন। অতঃপর প্রায় দু’শ বছর খাওয়ারিয্মী ও সালজুক্বীদের অধীনে চলে, তারাও রক্ষণশীল হানাফী ছিলেন। অতঃপর উসমানী ও তুর্কী খেলাফত প্রায় পাঁচশ বছর পর্যন্ত চলে। তারাও সবাই হানাফী ছিলেন।
( আল-খাইরাতুল হিসান-ইবনে হাজার, মক্কী শাফেয়ীঃ পৃ – ৭২ )
মোটকথা, ইসলামী ইতিহাসের সোনালী অধ্যায়ে বারশ বছর পর্যন্ত পবিত্র মক্কা-মদীনায় ইমাম ও খতীবের সুমহান দায়িত্ব হানাফী ইমামগণই আঞ্জাম দিয়ে এসেছেন এবং কাযী ও বিচারকের আসনেও তারাই ছিলেন।
( আল-খাইরাতুল হিসান-ইবনে হাজার মক্কী, শাফেয়ীঃ পৃ – ৭২; রদ্দুল মুহতারঃ পৃ – ১/৭৫ )
লা-মায্হাবীদের কোন ইমাম কখনো নিয়োগ হয়নি এবং বর্তমানেও সেখানের সকল ইমাম কোন না কোন মায্হাবের অনুসারী। আজও তারা পবিত্র রমজানে মাসে বিশ রাক্আত তারাবীহ আদায় করেন। গাইরে মুক্বাল্লিদদের নবাবিষ্কৃত ও মনগড়া মতবাদ আট রাক্আত তারাবীহ ও অন্যান্য ভ্রান্ত প্ররোচনা থেকে তাঁরা আজও সংরক্ষিত।
বিস্তারীত এখানে
http://sonarbangladesh.com/blog/post/112810
( তারীখে মামলাকাঃ পৃ – ২৫ )
উল্লেখ্য যে, তদানীন্তনকালে সমগ্র বিশ্বের অধিকাংশ মুসলমানই হানাফী মায্হাবের অনুসারী ছিলেন। তৎকালে সমগ্র বিশ্বের শত কোটি মুসলমানের জামাআতে প্রায় অধিকাংশ মুসলমানই হানাফী মায্হাবের অনুসারী ছিলেন। তাই সমগ্র বিশ্ব থেকে হারাম শরীফে আগত এবং সেখানকার স্থানীয় মুসলমানগণের বিশাল জামাআত হানাফী ইমামের পেছনেই সমবেত হতেন। সে সুদীর্ঘকাল যাবৎ হানাফীদেরই রাজত্ব চলে আসছিল। এমতাবস্থায় এ বিশাল জামাআতের অনুসারীগণ মালেকী, শাফেয়ী ও হাম্বলী মায্হাবের সংখ্যালঘু অনুসারীদেরকে ভিন্ন-ভিন্ন জামাআতে নামায আদায় করার সুযোগ দিয়ে উদারতার পরিচয় দিয়েছেন। কিন্তু সংখ্যালঘুরা ক্ষমতায় এসে তাদের মায্হাবের ইমাম ব্যতীত অন্যদের প্রতি নিষেধাজ্ঞা জারী করে সংকীর্ণমনার পরিচয় দিয়েছেন।
তবে আমরা অত্যন্ত গর্বের সাথে বলতে পারি যে, যখন চার ইমাম ছিল তখনও হানাফী, শাফেয়ী, মালেকী ও হাম্বলী মায্হাবেরই ছিল। গাইরে মুক্বাল্লিদ বা লা-মায্হাবীদের কোন ইমাম ছিল না। আর যখন থেকে এক ইমামের ধারা চলছে তখনও কোন না কোন মায্হাবের অনুসারীই ইমাম হয়ে আসছেন। আজ পর্যন্ত গাইরে মুক্বাল্লিদ বা লা-মায্হাবীদের কোন ইমাম পবিত্র মক্কা-মদীনায় নিয়োগ হতে পারে নি।
উল্লেখ্য যে, আব্বাসী যুগের প্রায় পাঁচশ বছর পর্যন্ত পবিত্র মক্কা-মদীনার সকল ইমাম ও বিচারক হানাফী ছিলেন। অতঃপর প্রায় দু’শ বছর খাওয়ারিয্মী ও সালজুক্বীদের অধীনে চলে, তারাও রক্ষণশীল হানাফী ছিলেন। অতঃপর উসমানী ও তুর্কী খেলাফত প্রায় পাঁচশ বছর পর্যন্ত চলে। তারাও সবাই হানাফী ছিলেন।
( আল-খাইরাতুল হিসান-ইবনে হাজার, মক্কী শাফেয়ীঃ পৃ – ৭২ )
মোটকথা, ইসলামী ইতিহাসের সোনালী অধ্যায়ে বারশ বছর পর্যন্ত পবিত্র মক্কা-মদীনায় ইমাম ও খতীবের সুমহান দায়িত্ব হানাফী ইমামগণই আঞ্জাম দিয়ে এসেছেন এবং কাযী ও বিচারকের আসনেও তারাই ছিলেন।
( আল-খাইরাতুল হিসান-ইবনে হাজার মক্কী, শাফেয়ীঃ পৃ – ৭২; রদ্দুল মুহতারঃ পৃ – ১/৭৫ )
লা-মায্হাবীদের কোন ইমাম কখনো নিয়োগ হয়নি এবং বর্তমানেও সেখানের সকল ইমাম কোন না কোন মায্হাবের অনুসারী। আজও তারা পবিত্র রমজানে মাসে বিশ রাক্আত তারাবীহ আদায় করেন। গাইরে মুক্বাল্লিদদের নবাবিষ্কৃত ও মনগড়া মতবাদ আট রাক্আত তারাবীহ ও অন্যান্য ভ্রান্ত প্ররোচনা থেকে তাঁরা আজও সংরক্ষিত।
বিস্তারীত এখানে
http://sonarbangladesh.com/blog/post/112810
ভাই আপনাকে ধন্যবাদ
উত্তরমুছুনআপনি ইসলামী কথা বলেছেন আল্লাহ আপনার মোঙ্গলকরুক