এক নজরে এ লেখায় যা পাবেন
=========================
{ 1 } তুমি আল্লাহর জিকির এত অধিক
পরিমাণে করো যেন লোকে তোমাকে পাগল বলে আখ্যায়িত করে।
‘{ 2 } সামান্য
ওষুধ সেবনে যদি পুরো শরীর ঘর্মাক্ত হয়ে যেতে পারে, তাহলে
আল্লাহর জিকিরের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ঘটবে না এমনটি হতেই পারে না।’
{3 } বুদ্ধিমান হলো সেসব লোক, যারা আল্লাহ
তায়ালাকে দাঁড়িয়ে, বসে, শুয়ে_সর্বাবস্থায়
সর্বক্ষণ তাঁর স্মরণে মশগুল থাকে।
{4 } বাংলাদেশে ইসলামী রাজনীতির অন্যতম পুরোধা হাফেজ্জী হুজুর (রহ.)-এর
দুই ঠোঁট রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা নড়াচড়া করত।
{ 5 } গগনচুম্বী অট্টালিকায় রাত যাপন করতে পারে; কিন্তু
আল্লাহর জিকির ব্যতীত কিছুতেই সে আধ্যাত্মিক প্রশান্তিতে থাকতে পারে না।
{ 6 } আল্লামা ইবনুল কাইয়ুম (রহ.) জিকিরের ১০০টি উপকারের কথা উল্লেখ করেন।
{ 7 } জুরজানী (রহ.) তো ৪০ বছর পর্যন্ত পানি দিয়ে ছাতু গুলিয়ে খেয়েছেন এ জন্য যে রুটি খাওয়া থেকে ছাতুতে ৭০ বার বেশি আল্লাহর জিকির করা যায়। সুবহানাল্লাহ
{ 8 } বৈঞ্জানীক গবেষনা আল্লাহু শব্দের উপর
{9 } জোরে জিকিরের জন্য শর্ত ৩ টি
{10 } জিকিরের সময়সূচি
বিস্তারীত-;
সুরা আহজাবের ৪১ ও ৪২ নম্বর আয়াতঃ
, ‘হে
মুমিনগণ! তোমরা অধিক পরিমাণে আল্লাহকে স্মরণ করো এবং সকাল-সন্ধ্যা আল্লাহ তায়ালার
পবিত্রতা বর্ণনা করো।’ এবং এ বিষয়ের প্রতি আলোকপাত করতে গিয়ে রাসুল (সা.)-এর হাদিস
শরিফে ইরশাদ হচ্ছে, ‘তুমি আল্লাহর জিকির এত অধিক পরিমাণে করো যেন
লোকে তোমাকে পাগল বলে আখ্যায়িত করে।’ (মুসনাদে আহমাদ ও ইবনে কাসির)।
জিকিরের বেহুদা নূর ও বরকত দ্বারা ব্যক্তি-হৃদয়
যেমন আল্লাহ-প্রেমে উদ্বেল হয়ে তাঁর হুকুম-আহকাম মেনে চলার প্রতি উৎসাহী হয়, ঠিক তেমনি
সে ব্যক্তি দ্বারা দেশ, জাতি, সমাজ পর্যন্ত উপকৃত হয়ে থাকে। এটি কোনো
সুনির্দিষ্ট ক্রিয়া বা কর্ম নয়, যা কোনো বিশেষ সময়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত। বরং
একজন মুমিন ব্যক্তি ইচ্ছা করলে তার লেনদেন, আচার-ব্যবহার, চলাফেরা, খাওয়াদাওয়াসহ
গোটা জিন্দেগির সব কর্মকাণ্ড আল্লাহর জিকিরে রূপান্তরিত করতে পারে শরিয়তসম্মত
পন্থায়,
রাসুলের
নির্দেশিত সুন্নাহর অনুসরণে। তখন তার আল্লাহ আল্লাহ জিকির নামাজ-রোজার মতো
প্রাকৃতিক প্রয়োজনে বাইরে যাওয়া এবং দৈনন্দিন প্রয়োজন পূরণ ও বাজারে গমনও জিকিরে
পরিগণিত হবে ইনশাআল্লাহ।
উপরিউক্ত ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালার ভাষ্য
হচ্ছে,
বুদ্ধিমান
হলো সেসব লোক, যারা আল্লাহ তায়ালাকে দাঁড়িয়ে, বসে, শুয়ে_সর্বাবস্থায়
সর্বক্ষণ তাঁর স্মরণে মশগুল থাকে। আসমান-জমিন সৃষ্টির ব্যাপারে চিন্তা ও গবেষণা
করে। এবং তারা বলে, পরওয়ারদিগার, এসব তুমি অনর্থক সৃষ্টি করনি। সব
পবিত্রতা তোমারই, আমাদিগকে তুমি জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচাও। (সুরা আলে
ইমরান,
আয়াত
১৯)।
যার
জিকিরের পরিমাণ যত বেশি হবে, আল্লাহর সঙ্গে তার সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা তত
নিবিড় হবে। এ বিষয়ে আল্লাহ বলেন, ‘আনা মা’আ আবদি মা জাকারানি।’ অর্থাৎ
বান্দা যতক্ষণ আমার স্মরণে নিমগ্ন থাকে, আমিও ততক্ষণ তার সঙ্গে থাকি।
প্রকৃত অর্থে আল্লাহর জিকির হলো যাবতীয় এবাদতের রুহ বা প্রাণ। আর তাই তো বুখারি ও
মুসলিম শরিফের হাদিসে উল্লেখ আছে, রাসুল (সা.) ইরশাদ ফরমান, ‘যে ব্যক্তি
আল্লাহর জিকির করে আর যে করে না, এদের উপমা হলো জীবত ও মৃত ব্যক্তির ন্যায়। এ
বিষয় উপলব্ধি করেই যুগে যুগে বুজুর্গ আলেম-ওলামা, সুফিয়ায়ে
কেরাম জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত থেকে নিয়ে শেষ সময় পর্যন্ত আল্লাহর জিকিরে নিমগ্ন
ছিলেন নিজের অন্তরকে জিন্দা রাখার জন্য। বাংলাদেশে ইসলামী রাজনীতির অন্যতম পুরোধা
হাফেজ্জী হুজুর (রহ.)-এর দুই ঠোঁট রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা নড়াচড়া করত। আর হজরত জুরজানী (রহ.)
তো ৪০ বছর পর্যন্ত পানি দিয়ে ছাতু গুলিয়ে খেয়েছেন এ জন্য যে রুটি খাওয়া থেকে
ছাতুতে ৭০ বার বেশি আল্লাহর জিকির করা যায়। সুবহানাল্লাহ! কেমন ছিল তাঁদের
চিন্তাচেতনা।
শুধু পারলৌকিক কল্যাণ এবং আধ্যাত্মিক
প্রশান্তি লাভের জন্যই যে জিকিরের প্রয়োজন রয়েছে এমনটি নয়; বরং পার্থিব
প্রয়োজনীয়তা এবং সুখশান্তিও নির্ভর করে আল্লাহর জিকিরের ওপর। একবার আল্লাহর
জিকিরের এত বেশি প্রভাব যে এর দ্বারা শুধু অন্তরের ময়লা আর বদ-খাসলতই দূর হয় না; ববং
জিকিরকারীর শরীর-মন থেকে শুরু করে সব সৃষ্টিজীবে এর প্রাণের সঞ্চার হয়। এ বিষয়ের
প্রতি ইঙ্গিত করতে গিয়ে উদাহরণস্বরূপ যুগশ্রেষ্ঠ ওলি মহিউস সুন্নাহ শাহ আবরারুল হক
(রহ.) বলতেন, ‘সামান্য ওষুধ সেবনে যদি পুরো শরীর ঘর্মাক্ত
হয়ে যেতে পারে, তাহলে আল্লাহর জিকিরের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ঘটবে না এমনটি
হতেই পারে না।’
এ কথা আমাদের সুস্পষ্টভাবে মনে রাখতে হবে যে
শান্তির উপকরণ আর আধ্যাত্মিক প্রশান্তি দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন জিনিস। আধ্যাত্মিক
প্রশান্তির বিষয়টি পুরোপুরি নির্ভর করে অধিক পরিমাণে জিকিরের আধিক্যের অনুপাতের
ওপর। কেননা আত্মার সঙ্গে শরীরের রয়েছে নিরবচ্ছিন্ন গভীর যোগাযোগব্যবস্থা। কেউ একজন
সুখের জন্য অঢেল টাকা-পয়সা, ধনদৌলত জমা করতে পারে, গগনচুম্বী
অট্টালিকায় রাত যাপন করতে পারে; কিন্তু আল্লাহর জিকির ব্যতীত কিছুতেই সে
আধ্যাত্মিক প্রশান্তিতে থাকতে পারে না। কোরআনের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা মুমিন
মুসলমানদের সতর্ক করে দিয়ে সুরা রা’দ-এর ২৮ নম্বর আয়াতে জোর তাগিদ
দিয়ে ইরশাদ করেছেন, ‘যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তাদের অন্তর
আল্লাহর জিকির দ্বারা শান্তি লাভ করে; সাবধান! জেনে রেখো, আল্লাহর
জিকির দ্বারাই অন্তর আধ্যাত্মিক প্রশান্তি পেয়ে থাকে।’
দুনিয়ার মানুষ তার বিবেক-বুদ্ধি, চেষ্টা-ক্লেশ, জ্ঞান-বিজ্ঞান
দ্বারা যতই উৎকর্ষ সাধন করুক না কেন; আধ্যাত্মিক প্রশান্তির একমাত্র
উপায় আল্লাহপাকের ধ্যান-জ্ঞান, জিকির-আজকারের মধ্যেই নিহিত রয়েছে। সন্তানের
সঙ্গে মায়ের যেমন নাড়ির সম্পর্ক, বান্দার সঙ্গে আল্লাহর তার চেয়ে শত কোটি গুণ
বেশি আত্মার সম্পর্ক। মায়ের সঙ্গে সন্তান যেমন সম্পর্ক ছিন্ন করে তাঁকে অবহেলা করে
শান্তিতে থাকতে পারে না, ঠিক তদ্রূপ আল্লাহর জিকির-আজকার ত্যাগ করে এর থেকে উদাসীনতা
প্রদর্শন করে বান্দাও সুখে-শান্তিতে থাকতে পারে না।
আল্লামা ইবনুল কাইয়ুম (রহ.) জিকিরের ১০০টি
উপকারের কথা উল্লেখ করেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো_’শয়তানকে দূর
করে তার শক্তি বিনষ্ট করে দিয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে সাহায্য করে, দেহমনে
প্রশান্তি আনয়ন করে এবং সবচেয়ে বড় চিন্তা রিজিকের অভাব দূর করে ইমানি মৃত্যু নসিব
করে।
বৈঞ্জানীক গবেষনা ===
নেদারল্যান্ডের মোনবিজ্ঞানী ভ্যান্ডার হ্যাভেন
পবিত্র কোরান অধ্যয়ন ও বারবার "আল্লাহ" শব্দটি উচ্চারণে রোগী ও
স্বাভাবকি মানুষের ওপর তার প্রভাব সম্পর্কিত একটি নয়া আবিস্কারের কথা ঘোষণা
করেছেন। ওলন্দাজ এই অধ্যাপক বহু রোগীর ওপর দীর্ঘ তিন বছর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে
ও অনেক গবেষণার পর এই আবিস্কারের কথা ঘোষণা করেন। যেসব রোগীর ওপর তিনি সমীক্ষা
চালান তাদের মধ্যে অনেক অমুসলিমও ছিলেন, যারা আরবি জানেন না্ তাদের পরিস্কারভাবে "আল্লাহ"শব্দটি উচ্চারণ
করার প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এই প্রশিক্ষনের ফল ছিল বিস্ময়কর, বিশেষ করে যারা বিষন্নতা ও মানসিক
উত্তেজনায় ভুগছিলেন তাদের ক্ষেত্রে। সৌদি আরব থেকে প্রকাশিত দৈনিক আল-ওয়াতান
পত্রিকা হ্যাভেনের উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, আরবি জানা মুসলমানরা যারা নিয়মিত কোরাআন তিলাওয়াত করেন তারা মানসিক রোগ থেকে
রক্ষা পেতে পারেন।
"আল্লাহ" কথাটি কিভাবে মানসিক রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে তার ব্যাখ্যাও তিনি
দিয়েছেন। তিনি তার গবেষণা কর্মে উল্লেখ করেন, "আল্লাহ" শব্দটির প্রথম বর্ণ অ তথা (আলিফ) আমাদের শ্বাসযন্ত্র থেকে আসে
বিধায় তা শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ করে। তিনি আরও বলেন ঠবষধৎ কানসোন্যান্ট 'খ' তথা 'লাম' বর্ণটি
উচ্চারণ করতে গেলে জিহবা উপরের মাঢ়ী সামান্য স্পর্শ করে একটি ছোট বিরতি সৃষ্টি করে
এবং তারপর একই বিরতি দিয়ে এটাকে বারবার উচ্চারণ করতে থাকলে আমাদের শ্বাসযন্ত্রে
একটা স্বস্তিবোধ হতে থাকে।
শেষ বর্ণে 'হা'- এর উচ্চারণ আমাদের ফুসফুস ও হৃৎযন্ত্রের মধ্যে
একটা যোগসূত্র সৃষ্টি করে তা আমাদের হৃৎযন্ত্রের স্পন্দনকে নিয়ন্ত্রণ করে।
প্রশ্ন: উচ্চস্বরে জিকির করা যাবে কি?“ইল্লাল্লাহ”
জিকির কি জায়েয?
উত্তর: উচ্চস্বরে জিকির করা যাবে। এবংতা অনেক আয়াত ও হাদীস
দ্বারা প্রমানিত। তবে কিছু শর্ত সাপেক্ষে:-
এক: স্বর এত উচ্চ করা যাবেনা যাতে নিজের ও অন্যের {[ যেমন ঘুম , লেখা-পডা ,ও ফরজ বা নফল এবাদত কোরআন তেলাওয়াত ইত্যাদি]] কষ্ট হয়।
দুই: লৌকিকতা মুক্ত হতে হবে। (এমদাদুলআহকাম খ:১,পৃ:৩২০)
তিন: জিকিরের স্বর উচ্চ করাকে ইবাদত মনে করা যাবেনা। (ফয়যুল
কালাম ১৩৯)
চার ; অন্যকে শিক্ষা দেয়ার জন্য
:দলীলে শরয়ী:
عن ابى هريرة رض قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول الله
انا عندظن عبدى بى و انا معه اذا ذكرنى. فان ذكرنى
فى نفسه ذكرته فى نفسى. وان ذكرنى فى ملاء ذكرته فى
ملاء خير منهم.وان تقرب الى شبرا تقربت اليه ذرعا. وان تقرب الى ذراعا
تقربت اليه باعا وان اتانى يمشى اتينه هرولة
অনুবাদ: হযরত
আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, নবী করীম (সাঃ) বলেন, আল্লাহ তায়ালা
নিজেই ইরশাদ করেছেন। আমার বান্দা আমার প্রতি যেরুপ ধারণা করে আমি তার
সাথে সেরুপ আচরণ করি। এবং বান্দা যখন আমাকে স্মরণকরে আমি তার সংগী হই। যদি সে
একাকি স্মরণ করে আমিও তাকে একাকি স্মরণ করি।যদি সে জামাতে সম্মিলিত ভাবে
স্মরণ করে,
আমিও তাকে
তার চেয়ে উত্তম জামাতে স্মরণ করি। যদি বান্দা আমার দিকে এক বিঘত অগ্রসর হয়, তাহলে আমি তার
দিকে একহাত অগ্রসর হই। আর যদি সে আমার দিকে এক হাত অগ্রসর হয়, আমি তার দিকে
দুই হাত অগ্রসর হই। যদি সে আমার দিকে হেটেআসে আমি তার দিকে দৌড়ে যাই। (বোখারী
শরীফ
খ:৮,পৃ:৫২৮), (মুসলিম শরীফ খ:৪, পৃ:২০৬)
ইমাম
সুয়ূতী রহ: বলেন, মজলিসে আল্লাহর জিকির বা আলোচনা উচ্চ আওয়াজ ব্যতিত হয়না। (সিবাহাতুল
ফিকির ৪৫)
দ্বিতীয়
দলীল:
عن ابى سعيد الخدرى رض قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: أكثروا
ذكر الله حتى يقولوا انه مجنون
অনুবাদ: হযরত
আবু সাইদ খুদুরী রা: হইতে বর্ণিত তিনি বলে নবী করীম (সা:) ইরশাদ করেন তোমরা
বেশি বেশি আল্লাহর জিকির কর, যাতে মানুষ পাগল বলতে শুরু করে। (আল- মুসতাদরাক
লিল হাকীম খ:১ পৃ:৬৭৭)
আল্লামা
সুয়ূতি রহ: বলেন: উচ্চস্বরে বেশি বেশি জিকির বললে পাগল বলা হয়, নিম্ন আওয়াজে
নয়। (সিবাহাতুল ফিকির ৫৫)
উল্লেখিত
হাদীস দ্বারাও প্রমানিত হয় শর্ত সাপেক্ষে উচ্চ স্বরে জিকির করা যাবে। বিশেষ করে
অন্যদের শিক্ষা দেয়ার উদ্দেশ্যে, তবে যে কোন দোয়া ও জিকির নিন্ম স্বরে করা
উত্তম।
“ইল্লাল্লাহ” জিকির
ইল্লাল্লাহ
জিকির বৈধ আছে। কেননা বিশুদ্ধ আরবী ভাষায় কখনো মুসতাসনা মিনহু তথা যা
থেকে কিছু বাদ দেওয়া হয়েছে, এমন শব্দকে ঊহ্য রাখা হয়, আবার কখনো
মুছতাছনা তথা যা বাদ দেওয়া হয়েছেএমন শব্দ ও ঊহ্য রাখা হয়। এখানেও মুসতাছনা মিনহু
অর্থাৎ লা ইলাহা কে ঊহ্য রাখা হয়েছে।
উপরোক্ত
আলোচনা সুস্পষ্ট ইঙ্গিত বহন করে যে “ইল্লাল্লাহ” এর পূর্বে লা
ইলাহা বলা হয়েছে। পক্ষান্তরে অবস্থাওবুঝায় এখানে “ইল্লাল্লাহ” এর পূর্বে লা
ইলাহা বলা হয়েছে। কেননা প্রত্যেক মুসলমানের বিশ্বাস হলো আল্লাহ ছাড়া দ্বিতীয় কোন
মাবুদ নাই। (এমদাদুল ফতোয়া খ:৫ পৃ: ২২৩)।
তবে রাসূল
(সাঃ) ও সাহাবায়ে কেরাম থেকে যে সমস্ত দোয়া ও জিকির বর্ণিত আছে, সে গুলির
মাধ্যমে জিকির করা ভাল।
- জিকিরের সময়সূচি
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন