মাযহাব কি এবং কেন ? মাযহাব মানা কি জরুরী ?
মাযহাব কি এটা জানার আগে প্রথমে
জানতে হবে মুজতাহিদ কাকে বলে ?
ইজতিহাদের
শাব্দিক অর্থ ==, উদ্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য যথাসাধ্য পরিশ্রম
করা। ইসলামী ফেকাহ শাস্ত্রের পরিভাষায় ইজতিহাদ অর্থ, === কোরআন ও সুন্নায় যে সকল আহকাম ও বিধান প্রচ্ছন্ন রয়েছে সেগুলো চিন্তা-গবেষণার
মাধ্যেমে আহরণ করা।
মুজতাহিদ= হলেন
যারা কুরআন
সুন্নাহ, সাহাবাদের
ফাতওয়া, কুরআন সুন্নাহ
সম্পর্কে বিজ্ঞ ব্যক্তিদের ঐক্যমত্বে এবং যুক্তির নিরিখে কুরআন সুন্নাহ
থেকে মাসআলা বেরকারী গবেষক দলের নাম।তাছডা মুজতাহিদ গন বিভিন্ন গুনে গুনান্নীত
হতে হয় নিন্মে তার কিছু সংক্ষিপ্ত ধারনা পেশ করা হয়েছে ৷
[ 1] যারা নিষ্ঠার সাথে বিভিন্ন মূলনীতি নির্ধারণ করে কুরআন সুন্নাহর বাহ্যিক বিপরীতমুখী মাসআলার মাঝে সামাঞ্জস্যতা এনেছেন।
[ 1] যারা নিষ্ঠার সাথে বিভিন্ন মূলনীতি নির্ধারণ করে কুরআন সুন্নাহর বাহ্যিক বিপরীতমুখী মাসআলার মাঝে সামাঞ্জস্যতা এনেছেন।
[ 2 ] কুরআন সুন্নাহর একাধিক অর্থবোধক শব্দের নির্ধারিত পালনীয়
অর্থকে নির্ধারিত করে দিয়েছেন। নতুন
উদ্ভূত মাসআলার শরয়ী মূলনীতির আলোকে সমাধান বের করেছেন।
[ 3 ]সেই সাথে নতুন নতুন মাসআলার কোন মূলনীতির আলোকে হুকুম আরোপিত হবে যার বিধান সরাসরি কুরআন সুন্নাহে বর্ণিত নেই, সেই মূলনীতিও নির্ধারিত করেছেন।
[ 4 ] কুরআনে কারীমের কোন আয়াতের হুকুম রহিত হয়ে গেছে, কোন আয়াতের হুকুম বহাল আছে, কোন আয়াত কোন প্রেক্ষিতে নাজিল হয়েছে, কোন আয়াত কাদের উদ্দেশ্য করে নাজিল হয়েছে। কোন আয়াতাংশের প্রকৃত অর্থ কি? আরবী ব্যাকরণের কোন নীতিতে পড়েছে এই বাক্যটি? তা নিধারন করেন ,
[ 5 ]এই আয়াত বা হাদীসে কী কী অলংকারশাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে?
[ 3 ]সেই সাথে নতুন নতুন মাসআলার কোন মূলনীতির আলোকে হুকুম আরোপিত হবে যার বিধান সরাসরি কুরআন সুন্নাহে বর্ণিত নেই, সেই মূলনীতিও নির্ধারিত করেছেন।
[ 4 ] কুরআনে কারীমের কোন আয়াতের হুকুম রহিত হয়ে গেছে, কোন আয়াতের হুকুম বহাল আছে, কোন আয়াত কোন প্রেক্ষিতে নাজিল হয়েছে, কোন আয়াত কাদের উদ্দেশ্য করে নাজিল হয়েছে। কোন আয়াতাংশের প্রকৃত অর্থ কি? আরবী ব্যাকরণের কোন নীতিতে পড়েছে এই বাক্যটি? তা নিধারন করেন ,
[ 5 ]এই আয়াত বা হাদীসে কী কী অলংকারশাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে?
[ 6 ] সেই সাথে কোনটি সহীহ হাদীস কোনটি
দুর্বল হাদীস?
কোন হাদীস কি
কারণে দুর্বল?
কোন হাদীস
কী কারণে শক্তিশালী?
[ 7] হাদীসের
বর্ণনাকারীদের জীবনী জানা
থাকা ইত্যাদি
ইজতিহাদের
জন্য পাঁচটি শর্ত
হযরত শাহ ওয়ালী উল্লাহ মুহাদ্দিসে
দেহলবী রহ. ইমাম বাগাবী রহ. সূত্রে বর্ণনা করেন যে,
ইজতিহাদের জন্য পাঁচটি শর্ত রয়েছে। যার মধ্যে এ পাঁচটি হতে
একটিও কম পাওয়া যাবে, তার
জন্য তাক্বলীদ ছাড়া কোন পথ নেই।
- কাঞ্জুল উসূল ইলা মা’রিফাতিল উসূল- ২৭০, উসূলে ফিক্বাহ লি আবি হুরায়রা- ২৩৬, আল মালাল ওয়ান নাহাল- ১/২০০ মিশরী ছাপা।?
১. কোরআনের কোন আয়াত কখন নাজিল হয়, কোন আয়াত নাছেখ (রহিতকারী), কোন আয়াত মানছুখ (রহিত),কোন আয়াত মুজমাল (সংক্ষিপ্ত),কোন আয়াত মুতাশাবেহ ইত্যাদি বিষয়গুলো সবিস্তারে
জানার সাথে সাথে কোরআনের নিগুঢ় তথ্যগুলোর সঠিক মর্মগুলি বুঝার পূর্ণ জ্ঞান থাকতে হবে।
২. হুজুর স. কর্তৃক ত্রিশ পারা কোরআনের ব্যাখ্যায়
রেখে যাওয়া দশ লক্ষ হাদীস সনদের ভিন্নতাসহ জানা আবশ্যক। আর হাদীসের এ বিশাল ভান্ডার
থেকে কমপক্ষে যেসব হাদীস দ্বারা শরীয়তের বিধি-বিধান সাব্যস্ত হয়, সেসব হাদীস সনদ (বর্ণনাকরী), মতন (মূল বিষয়) এবং উক্ত হাদীস সমূহের বর্ণনাকারীদের
জীবন ইতিহাস (সাহাবা ও তাবেয়ীনদের জীবনাচার)সহ কন্ঠস্থ থাকতে হবে। তারই সাথে হাদীসের
নিগুড় তথ্যগুলি, সঠিক
মর্মগুলি বুঝার পূর্ণ জ্ঞান থাকতে হবে। যাতে করে মতবিরোধ বিশিষ্ট মাসআলাসমূহে কোরআন, হাদীস, সাহাবা ও তাবেয়ীনদের নির্দেশিত সীমা অতিক্রম না করা হয়।
৩. মুজতাদি আরবী ভাষা সম্পর্কে দক্ষ ও অভিজ্ঞ
হতে হবে। কেননা কোরআন ও হাদীস উভয়টি আরবী। তাই আরবী ভাষা সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা
ছাড়া ইজতিহাদ তো দূরের কথা শুধু কোরআন-হাদীসের অর্থ বুঝাও সম্ভবপর নয়। আরবী ভাষায়
দক্ষতা অর্জনের জন্য আরবী আভিধানিক অর্থ ও পারিভাষিক অর্থ,নাহু-ছরফ,উসূল,বালাগাতের পূর্ণ দক্ষতা অপরিহার্য।
৪. মুজতাহিদ আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে বুদ্ধিমত্তা
ও অন্তদৃর্ষ্টি দ্বারা বিশেষভাবে ভূষিত হয়ে অত্যাধিক স্মরণশক্তি ও জ্ঞান সম্পন্ন হতে
হবে। মুজতাহিদের জন্য কেবল সাধারণ বুদ্ধিমত্তাই যথেষ্ট নয়। সাধারণ বুদ্ধিমত্তাতো সকল
আলেমেরই থাকে। এতে মুজতাদিরে বিশেষ গুরুত্ব আর রইল কোথায়? মুজতাদি তাক্ব ওয়া ও খোদাভীতি সম্পন্ন হতে হবে।
তাকে কখনও মনপূজারী হওয়া চলবে না।
৫. ইজতিহাদ ও মাসআলা চয়নের প্রক্রিয়া সমূহের
উপর পরিপূর্ণ জ্ঞান রাখতে হবে।সূত্র :- তাফসীরে আহমদী, পৃষ্ঠা- ১০১
অথচ হাদীসের শক্তিশালী না হলে তার দ্বারা শরয়ী
হুকুম প্রমাণিত হয়না।
এই সকল বিষয়ে প্রাজ্ঞ ব্যক্তি পাওয়া যাওয়া দুস্কর ।সাধারনত অধিকাংশ মানুষই আলেম না। এমন লোক ও আমাদের দেশে সমাজে এমন কি সারা বিশ্বে লক্ষ লক্ষ লোক আছে যারা আরবী আলীফ বা-তা ছা- ও জানেন না , আরবি কোরআন শরীফ পড়তে ও জানেন না অন্য কথা দূরে থাক আর মুষ্টিমেয় যারা আলেম তারাও উল্লেখিত সকল বিষয় সম্পর্কে প্রাজ্ঞ নয়।তাই আমাদের মত সাধারন লোকদের পক্ষে কুরআন সুন্নাহ থেকে সঠিক মাসআলা বের করা অসম্ভব। মূলত সেই গবেষক দলের নাম হল মুজতাহিদ। আর তাদের উদ্ভাবিত মূলনীতির আলোকে বের হওয়া মাসআলার নাম মাযহাব।
একটি উদাহরণ এক আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন- أقيموا الصلاة তথা সালাত কায়েম কর। আরেক আয়াতে বলেছেন-إِنَّ اللَّهَ وَمَلائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى النبي
এই সকল বিষয়ে প্রাজ্ঞ ব্যক্তি পাওয়া যাওয়া দুস্কর ।সাধারনত অধিকাংশ মানুষই আলেম না। এমন লোক ও আমাদের দেশে সমাজে এমন কি সারা বিশ্বে লক্ষ লক্ষ লোক আছে যারা আরবী আলীফ বা-তা ছা- ও জানেন না , আরবি কোরআন শরীফ পড়তে ও জানেন না অন্য কথা দূরে থাক আর মুষ্টিমেয় যারা আলেম তারাও উল্লেখিত সকল বিষয় সম্পর্কে প্রাজ্ঞ নয়।তাই আমাদের মত সাধারন লোকদের পক্ষে কুরআন সুন্নাহ থেকে সঠিক মাসআলা বের করা অসম্ভব। মূলত সেই গবেষক দলের নাম হল মুজতাহিদ। আর তাদের উদ্ভাবিত মূলনীতির আলোকে বের হওয়া মাসআলার নাম মাযহাব।
একটি উদাহরণ এক আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন- أقيموا الصلاة তথা সালাত কায়েম কর। আরেক আয়াতে বলেছেন-إِنَّ اللَّهَ وَمَلائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى النبي
তথা নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা এবং ফেরেস্তারা নবীজীর উপর
সালাত পড়ে। এই আয়াতের শেষাংশে এসেছেيا
َيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا صَلُّوا عَلَيْه وَسَلِّمُوا تَسْلِيمًا তথা হে মুমিনরা তোমরাও তাঁর উপর
সালাত পড় এবং তাঁকে সালাম জানাও। {সূরা আহযাব-৫৬} এই সকল স্থানে
লক্ষ্য করুন-“সালাত” শব্দটির দিকে।
তিনটি স্থানে : সালাত: এসেছে। এই তিন স্থানের সালাত শব্দের ৪টি অর্থ। প্রথম অংশে সালাত দ্বারা উদ্দেশ্য হল “নামায” অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা আমাদের নির্দেশ দিলেন যে, তোমরা নামায কায়েম কর। {সূরা বাকারা-৪৩}
আর দ্বিতীয় আয়াতে আল্লাহ তায়ালা ও তার ফেরেস্তারা নবীজী সাঃ এর উপর সালাত পড়েন মানে হল-আল্লাহ তায়ালা নবীজী সাঃ এর উপর রহমত পাঠান, আর ফেরেস্তারা নবীজী সাঃ এর জন্য মাগফিরাতের দুআ করেন।
আর তৃতীয় আয়াতাংশে “সালাত” দ্বারা উদ্দেশ্য হল উম্মতরা যেন নবীজী সাঃ এর উপর দরূদ পাঠ করেন। (كتاب الكليات ـ لأبى البقاء الكفومى)
একজন সাধারণ পাঠক বা সাধারণ আলেম এই পার্থক্যের কথা কিভাবে জানবে? সেতো নামাযের স্থানে বলবে রহমাতের কথা, রহমতের স্থানে বলবে দরূদের কথা, দরূদের স্থানে বলবে নামাযের কথা। এরকম করলে দ্বীন আর দ্বীন থাকবে না, হবে জগাখিচুরী। এরকম অসখ্যা স্থান আছে, যার অর্থ উদ্ধার করা সাধারনের জন্য কঠিন। তাই একজন বিজ্ঞ, প্রাজ্ঞ ব্যক্তির শরাপন্ন হয়ে তার গবেষনা অনুযায়ী উক্ত বিষয়ের সমাধান নেয়াটাই হল যৌক্তিক। এই নির্দেশনাই আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে দিয়েছেন - {فَاسْأَلوا أَهْلَ الذِّكْر إِنْ كُنْتُمْ لا تَعْلَمُونْ } [النحل:43 তথা তোমরা না জানলে বিজ্ঞদের কাছে জিজ্ঞেস করে নাও। {সূরা নাহল-৪৩}
বিজ্ঞ ফুক্বাহায়ে কিরাম কুরআন সুন্নাহ, ইজমায়ে উম্মাত, এবং যুক্তির নিরিখে সকল সমস্যার সমাধান বের করেছেন। সেই সকল বিজ্ঞদের অনুসরণ করার নামই হল মাযহাব অনুসরন ৷
তিনটি স্থানে : সালাত: এসেছে। এই তিন স্থানের সালাত শব্দের ৪টি অর্থ। প্রথম অংশে সালাত দ্বারা উদ্দেশ্য হল “নামায” অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা আমাদের নির্দেশ দিলেন যে, তোমরা নামায কায়েম কর। {সূরা বাকারা-৪৩}
আর দ্বিতীয় আয়াতে আল্লাহ তায়ালা ও তার ফেরেস্তারা নবীজী সাঃ এর উপর সালাত পড়েন মানে হল-আল্লাহ তায়ালা নবীজী সাঃ এর উপর রহমত পাঠান, আর ফেরেস্তারা নবীজী সাঃ এর জন্য মাগফিরাতের দুআ করেন।
আর তৃতীয় আয়াতাংশে “সালাত” দ্বারা উদ্দেশ্য হল উম্মতরা যেন নবীজী সাঃ এর উপর দরূদ পাঠ করেন। (كتاب الكليات ـ لأبى البقاء الكفومى)
একজন সাধারণ পাঠক বা সাধারণ আলেম এই পার্থক্যের কথা কিভাবে জানবে? সেতো নামাযের স্থানে বলবে রহমাতের কথা, রহমতের স্থানে বলবে দরূদের কথা, দরূদের স্থানে বলবে নামাযের কথা। এরকম করলে দ্বীন আর দ্বীন থাকবে না, হবে জগাখিচুরী। এরকম অসখ্যা স্থান আছে, যার অর্থ উদ্ধার করা সাধারনের জন্য কঠিন। তাই একজন বিজ্ঞ, প্রাজ্ঞ ব্যক্তির শরাপন্ন হয়ে তার গবেষনা অনুযায়ী উক্ত বিষয়ের সমাধান নেয়াটাই হল যৌক্তিক। এই নির্দেশনাই আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে দিয়েছেন - {فَاسْأَلوا أَهْلَ الذِّكْر إِنْ كُنْتُمْ لا تَعْلَمُونْ } [النحل:43 তথা তোমরা না জানলে বিজ্ঞদের কাছে জিজ্ঞেস করে নাও। {সূরা নাহল-৪৩}
বিজ্ঞ ফুক্বাহায়ে কিরাম কুরআন সুন্নাহ, ইজমায়ে উম্মাত, এবং যুক্তির নিরিখে সকল সমস্যার সমাধান বের করেছেন। সেই সকল বিজ্ঞদের অনুসরণ করার নামই হল মাযহাব অনুসরন ৷
মাজহাব কি ও কেন?
মাজহাব শব্দের অর্থ – মতামত, বিশ্বাস, ধর্ম, আদর্শ, পন্থা, মতবাদ, উৎস। মিসবাহুল লুগাত (থানবী
লাইব্রেরী-২৬২ পৃষ্ঠা)
ইসলামি পরিভাষায় == কোরআন – সুন্নাহর প্রদর্শিত,রাসুল
সাঃ ,সিদ্দিকীন,শোহাদায়ে কেরাম ও সতকর্মশীল ব্যক্তিবর্গের মনোনীত
পথের নামই হল মাজহাব।
অন্য শব্দে এটাই সিরাতেমুস্তাকিম ও সরল পথ ।সুতরাং
মাজহাব কোন নতুনধর্ম,মতবাদ
বা কোরআন সুন্নাহ বহির্ভূত ব্যক্তি বিশেষের নিজস্ব মতের নাম নয়, বরং মাজহাব হল কোরআন, সুন্নাহ,ইজমা ও কেয়াসের ভিত্তিতে
এখানে একটা প্রশ্ন? কুরআন –সুন্নাহ থাকতে মাযহাব মানার দরকার কি? - হাদিস শরীফে মূলত পাওয়া যায়, কুরআন –সুন্নাহ মানার কথা তাহলে মাযহাব মানার দরকার কি?
হাদিসের কথা অবশ্যই ঠিক ।কিন্তু কুরআন –সুন্নাহর প্রত্যক্ষ –পরোক্ষ , সুস্পষ্ট –অস্পষ্ট ও পরস্পর বিরোধপূর্ণ জটিল বিষয়ের যথাযথ সমাধান বের করে তা অনুসরণ করে মূল লক্ষে যাওয়া সকলের পক্ষে মোটে ও সম্ভবপর নয়। বরং এ সকল বিষয়ে পূর্ণ পারদর্শী ব্যক্তি বর্গের দেওয়া সমাধান মেনে চলেই মূল লক্ষে যাওয়া সম্ভব।
এখানে অনেকে প্রশ্ন করেন, এক সময় বাংলায় কোরআন হাদিস ছিলনা তাই আমরা মৌলবীদের কথা মেনেছি। এখন আর দরকার নাই। কেননা বাংলায় কোরআন ও হাদিসের অনেক বই পাওয়া যায়, তাই আমরা এগুলু দেখে দেখে আমল করব ৷
এদের উত্তরে আমি প্রথমে - বলবো ভাই দেখুন, আপনি হয়ত বাংলা পড়তে পারেন। কিন্তু আমাদের দেশে লাখো মানুষ আছে যারা বাংলা পড়া থাক দূরের কথা তারা তো ক,খ ই চিনেনা এদের কি হবে? এমন আবস্হা পূর্বেও ছিল ,আছে এবং থাকবে ৷ তাছাডা আরবী কোরআন হাদীসতো বাদই দিলাম বিশ্বে এখনও লাখো-কোটি মুসলিম এমনও রয়েছেন যারা আরবী কোরআন হাদীস পড়তে পারেনা ,ব্যখা জানাতো দূরের কথা ৷
দ্বিতীয়ত -শুধু বই পড়েই সব জিনিসের সমাধান দেয়া যায়না । বিশেষ করে ঐ সকল জিনিস যে গুলুর জন্য রয়েছে কিছু নীতি মালা ও কোর্স , প্রশিক্ষণ । যেমন , ডাক্তারি বিষয়গুলু। বাংলায় এবিষয়ে বইয়ের কোন অভাব নেই। বরং ফুটপাথেও পাওয়া যায়। অনুরূপ উকিলি, সংবিধান থেকে নিয়ে সকল আইনের বই কিন্তু কিনতে পাওয়া যায়। এখন বলুন তো কেউ একজন যদি এ বই গুলু কিনে এনে আগা –গোঁড়া মুখস্ত করে ফেলে এবং অনায়াসে বলতে ও পারে , সরকার কি তাকে ডাক্তার / উকিল হিসেবে সার্টিফিকেট দিবে? আর আপনিও সমস্যা নিয়ে তার কাছে যাবেন ? অথবা আপনি নিজে বাংলা পরে নিজের চিকিৎসা ও আইনি বিষয় সমাধান করেন? সেক্ষেত্রে তো ঠিকই বলবেন যে এ গুলো আমার কাজ না। এ প্রশ্নের যে জবাব যারা মাজহাব মানবেনা বলে তাদের ও একি জবাব।
তাছাড়া আমরা সকলের জন্য সমহারে মাজাহাব মানা ওয়াজিব এ কথা ও তো বলিনা । বরং আমরা বলি মাজহাবের রয়েছে বিভিন্ন স্তর । যাদের এজতেহাদ করার ক্ষমতা আছে তাদের জন্য অন্য কারো মাযহাব মানার প্রয়োজন নেই ৷ আর যাদের কাছে এজতেহাদ করার ক্ষমতাতো দূরে থাক কোন কিছু পড়তে ও জানেনা তাদের জন্যই মাযহাব বা তাকলীদ ৷
; আমাদের অনেক ভাই বলেন, মাযহাব মানার কোন দলীল নাই। বরং এটা ভিত্তিহীন, বানানো ,বিদাআত। আসলে কি তাই? তাহলে একটু পযালোচনা করা যাক ,
কথাটি সঠিক নয়। মাযহাব মানার অবশ্যই দলীল প্রমান আছে। আমাদের কে প্রথমে একটা বিষয় পরিষ্কার করতে হবে। তা হল, মাজহাব মানার অর্থ কি? এর একটা অর্থ হতে পারে কোরআন –সুন্নাহ বাদ দিয়ে কোন ব্যক্তির কথা মানা ।
আরেকটা অর্থ হল, ধর্মীয় বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য কোন বিজ্ঞ ব্যক্তির ফায়সালা মেনে নেওয়া। যা তিনি কোরআন –সুন্নাহ কে সামনে রেখে প্রদান করেছেন। তার থেকে বর্ণিত প্রতিটি মাসালায় তিনি কোরআন – হাদিসকে ই প্রাধান্য দিয়েছেন। সুতরাং এদের কথা মানার অর্থই হল , কোরআন হাদিস মানা । মূলত এদেরকে মানা উদ্দেশ্য নয়, এবং মানাও হয়না । বরং তাদের দেখান মূলনীতি অনুযায়ী কোরআন- সুন্নার উপর আমল করা ই উদ্দেশ্য , এবং তাই করা হয়। এমন নয় যে, তারা একেকটা নতুন নিয়ম-কানুন দাড় করিয়েছেন।আর আমরা এ গুলোর অনুসরন করছি। এমনটি হলে আবশ্যই প্রত্যাখান যোগ্য ,যেমনটি করছে ভন্ড পীর গন ৶ সারকথা, দ্বীন মানার জন্য তাদের মাতামত গুলো কে সহায়ক হিসেবে নেয়া হয় মাত্র।
https://www.facebook.com/editnote.php
উত্তরমুছুন