সবোর্ত্তম দরূদ ও
ক্ষুদ্রতম দরূদ - সকল উলামায়ে কেরাম এতে
একমত যে সবোর্ত্তম দরূদ হল দরূদে ইব্রাহীমী
যা নামাযের মধ্যে পড়া হয় । কারণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম সরাসরি সাহাবায়ে কেরাম এ দরূদ শিক্ষা দিয়েছেন
যে, এভাবে আমার প্রতি দরূদ শরীফ পাঠ
কর।
আল্লাহর আরশে মোয়াল্লায় আমাদের প্রিয় নবী রাহমাতালি্লল আলামীন হযরত মুহাম্মদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মতের নাজাত চিন্তায় অত্যন্ত ব্যথাতুর হয়ে উঠেন। তা দর্শনে আল্লাহ্ পাক সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, ''প্রিয় হাবীব! আপনি এত ব্যথাতুর হচ্ছেন কেন? আপনার উম্মতের যে কোনো দোয়া আমি কবুল করে নেব যদি তারা তার সাথে দরুদ শরীফ বেঁধে দেয়।'' (ইবনে মাযাহা শরীফ)।
তাই আল্লাহ্ পাক পবিত্র কোরআনে আয়াত নাজিল করে হুকুম করলেন, 'ইন্নাল লাহা ওয়া মালাইকাতাহু ইউছাল্লুনা আলান নাবীই, ইয়া আইয়ুহাল লাজিনা আমানু ছাল্লু আলাইহি ওয়াসাল্লামু তাছলীমা।''
''নিশ্চয়ই আমি (আল্লাহ্) স্বয়ং এবং আমার ফেরেস্তাগণ নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর দরুদ পাঠ পূর্বক সালাম প্রেরণ করিয়া থাকি; হে মুমিনগণ তোমরাও তাঁহার উপর দরুদ পাঠ কর এবং সালাম প্রেরণ কর।'' (পবিত্র কোরআন-২২ পারা, সূরা আহ্যাব- রুকু-৭, আয়াত-৫৬)।
মেরাজ থেকে আসার পর হযরত মুহাম্মদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মুখে সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু কোরআনের এ আয়াত শুনে হুযুর ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরবারে আরয করলেন, 'হে আল্লাহর রাসূল, আপনার প্রতি সালাম পেশের বিধানতো আমরা ইতোপূর্বে শিখিয়াছি। কিন্তু আপনার উপর দরুদ পাঠের কি বিধান তাতো আমাদের জানা নেই।''
তখন হুযুর ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন,
এই রূপে পাঠ করিবে_
আল্লাহুম্মা ছলি্লআলা মুহাম্মাদিও
ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদিন
কামা সাল্লাইতা আলা ইব্রাহীমা
ওয়া আলা আলি ইব্রাহীম
ইন্নাকা হামিদুম মাজীদ।
আল্লাহুম্মা বারিক আলা মুহাম্মাদিও
ওয়া আলাআলি মুহাম্মাঁদিন
কামা বারকতা আলা ইব্রাহীমা
ওয়া আলা আলি ইব্রাহীম
ইন্নাকা হামিদুম মাজীদ।
এ দরুদ নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পাক জবান হতে তৈরি। অতএব, এ দরুদ সব দরুদের সেরা দরুদ, যা দরুদে ''ইব্রাহীম'' নামে খ্যাত।
আর যখনই নবীজির মুবারক নামের আলোচনা আসে, তখন পড়ার জন্য দরূদ শরীফের সহজ ও সংক্ষিপ্ত বাক্য নির্ধারন করা হয়েছে সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থৎ আল্লাহ তা’লা তার উপর সালাম পাঠান। এতে দরূদও হয়ে গেল, সালামও হয়ে গেল এবং আশা করা যায় পাঠকারী দরূদ শরীফের ফজীলত লাভ করবে। এ প্রসংগে উলেস্নখ্য নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নাম শোনার পরও যে দরূদ পড়েনা তার জন্য হযরত জিবরাইল আলাইহিস সালাম ধ্বংষ হবার বদ দুআ করেছেন (সহীহ বুখারী শরীফ)।
আল্লাহর আরশে মোয়াল্লায় আমাদের প্রিয় নবী রাহমাতালি্লল আলামীন হযরত মুহাম্মদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মতের নাজাত চিন্তায় অত্যন্ত ব্যথাতুর হয়ে উঠেন। তা দর্শনে আল্লাহ্ পাক সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, ''প্রিয় হাবীব! আপনি এত ব্যথাতুর হচ্ছেন কেন? আপনার উম্মতের যে কোনো দোয়া আমি কবুল করে নেব যদি তারা তার সাথে দরুদ শরীফ বেঁধে দেয়।'' (ইবনে মাযাহা শরীফ)।
তাই আল্লাহ্ পাক পবিত্র কোরআনে আয়াত নাজিল করে হুকুম করলেন, 'ইন্নাল লাহা ওয়া মালাইকাতাহু ইউছাল্লুনা আলান নাবীই, ইয়া আইয়ুহাল লাজিনা আমানু ছাল্লু আলাইহি ওয়াসাল্লামু তাছলীমা।''
''নিশ্চয়ই আমি (আল্লাহ্) স্বয়ং এবং আমার ফেরেস্তাগণ নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর দরুদ পাঠ পূর্বক সালাম প্রেরণ করিয়া থাকি; হে মুমিনগণ তোমরাও তাঁহার উপর দরুদ পাঠ কর এবং সালাম প্রেরণ কর।'' (পবিত্র কোরআন-২২ পারা, সূরা আহ্যাব- রুকু-৭, আয়াত-৫৬)।
মেরাজ থেকে আসার পর হযরত মুহাম্মদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মুখে সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু কোরআনের এ আয়াত শুনে হুযুর ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরবারে আরয করলেন, 'হে আল্লাহর রাসূল, আপনার প্রতি সালাম পেশের বিধানতো আমরা ইতোপূর্বে শিখিয়াছি। কিন্তু আপনার উপর দরুদ পাঠের কি বিধান তাতো আমাদের জানা নেই।''
তখন হুযুর ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন,
এই রূপে পাঠ করিবে_
আল্লাহুম্মা ছলি্লআলা মুহাম্মাদিও
ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদিন
কামা সাল্লাইতা আলা ইব্রাহীমা
ওয়া আলা আলি ইব্রাহীম
ইন্নাকা হামিদুম মাজীদ।
আল্লাহুম্মা বারিক আলা মুহাম্মাদিও
ওয়া আলাআলি মুহাম্মাঁদিন
কামা বারকতা আলা ইব্রাহীমা
ওয়া আলা আলি ইব্রাহীম
ইন্নাকা হামিদুম মাজীদ।
এ দরুদ নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পাক জবান হতে তৈরি। অতএব, এ দরুদ সব দরুদের সেরা দরুদ, যা দরুদে ''ইব্রাহীম'' নামে খ্যাত।
আর যখনই নবীজির মুবারক নামের আলোচনা আসে, তখন পড়ার জন্য দরূদ শরীফের সহজ ও সংক্ষিপ্ত বাক্য নির্ধারন করা হয়েছে সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থৎ আল্লাহ তা’লা তার উপর সালাম পাঠান। এতে দরূদও হয়ে গেল, সালামও হয়ে গেল এবং আশা করা যায় পাঠকারী দরূদ শরীফের ফজীলত লাভ করবে। এ প্রসংগে উলেস্নখ্য নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নাম শোনার পরও যে দরূদ পড়েনা তার জন্য হযরত জিবরাইল আলাইহিস সালাম ধ্বংষ হবার বদ দুআ করেছেন (সহীহ বুখারী শরীফ)।
প্রতিদিন কমপক্ষে কি পরিমান দরূদ পড়া
উচিৎ? বুযুর্গানে দ্বীনের মতে দৈনিক
কমপক্ষে তিনশত বার দরূদ শরীফ পড়লে ইনশাল্লাহ অধিক পরিমান দরূদ
শরীফ পাঠকারীদের অনর্ত্মভুর্ক্ত হবে। আর জুমআর দিনে অধিক পরিমানে দরূদ
শরীফ পড়ার অভ্যাস করা উচিৎ- হাদীস শরীফে আছে- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম ইরশাদ করেন:
জুমআর দিনে
আমার প্রতি বেশী পরিমানে দরূদ পাঠ কর। সেদিন দরূদে ফেরেশতারাগণ শরীক হন
এবং এ দরূদ আমার কাছে উপস্থিত করা হয় । (ইবনে মাজাহ- ওসওয়ায়ে রাসূলে
আকারাম-
পৃষ্ঠা-২৩৯)
অতএব আমাদের
উচিৎ পাচ ওয়াক্ত নামাজের আগে পরে সংক্ষিপ্ত হলেও ১০০
বার করে দরূদ শরীফ পাঠের অভ্যাস করা যাতে মাত্র ২/৩ মিনিট সময়
লাগে। আর মাঝে মাঝে মুহাব্বতের সাথে
দরূদে ইব্রাহীমি পাঠ করা। এছাড়া উঠতে বসতে, চলতে ফিরতে, বিনা অযুতেও দরূদ শরীফ পড়া
যায়।
আল্লাহ
আমাদের সকলকে অধিক পরিমান দরূদ শরীফ পড়ার তৌফিক দান করূন। আমিন ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন