Translate

মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট, ২০১৪

প্রিয় নবীজীর প্রতি সালাত ও সালাম এর তাৎপর্য (হাকিকত)

প্রিয় নবীজীর প্রতি সালাত ও সালাম এর তাৎপর্য (হাকিকত) সর্ম্পকে কিছু লিখতে চাই এবং সে জন্য পরম করুনাময় আলস্নাহ পাকের তৌফিক  চাই
 

আল্লাহর হাবিব, বর্শেষ ও সবর্শ্রেষ্ট নবী, রাহমাতুল্লিল  আলামিন, বর্শ্রেষ্ট সুপারিশ কারী, উম্মতের কান্ডারী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উসিলায় এই সৃষ্টি জগতের অস্তিত্ব। আল্লাহ জাল্লাহ শানুহু তাকে প্রেরনের মধ্যদিয়ে এই তার মিশনের সমাপ্তি করেছেতার মাধ্যমেই আল্লাহর ইবাদাত ও নবুওতের পূর্ণতা পেয়েছেআমরা যখন পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত বা অধ্যয়ন করতে বসি তখন চিন্তা করি  আল্লাহর পাকের এই মহান কালাম হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর দীর্ঘ ২৩ বৎসর ধরে অবর্তীন হয়েছেওহী নাযিলের সময় অনেক কষ্ট সহ্য করেছেনতারপর তা নিজের মাঝে ধারন করেছেনসাহাবা কেরামদের (রাদিআল্লহু আনহুম) শিখিয়েছেন তার বাস্তব  প্রয়োগ করেছেনতাই কোরআন পাক তেলাওয়াতের বা অধ্যয়নের শুরুতে বা শেষে রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর প্রতি সালাত ও সালাম পাঠ যে কোন কৃতজ্ঞ হৃদয়ের অবধারিত কর্তব্যএকই রকম ভাবে ওযু/ গোসল করার সময় যদি খেয়াল করি এই ওযু করা কে শিখালেন? সালাত আদায় করা, যাকাৎ আদায করা, এমন কি দৈনন্দিন জীবনের ছোট খাট বিষয় (যেমন- ঘুমুতে যাওয়া, ঘুম থেখে উঠা, চলা ফেরা, খাওয়া দাওয়া  ইত্যাদী) থেকে বড় বড় সমসত্ম বিষয় যেমন পরস্পরিক আচার আচরন, পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় বিষয়াদী শিখিয়েছেনএ সব কিছুই শিখিয়েছেন আমাদের ইহলৌকিক ও পরলৌকিক কল্যানের জন্যএবং মানব জীবনের পরম ও চরম লক্ষ্য  র্সষ্টিকর্তা পরম করুনাময়ের সন্তুষ্টি অর্জন ও জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেয়ে চিরশানিত্মর স্থান জান্নাতে যাওয়া এবং আলস্নাহ পাকের দীদার পাওয়ানবীজী শুধু পথ দেখিয়েই তার দায়ীত্ব সমাপ্ত করেন নাইগুনাহগার উম্মতের মুক্তি জন্য আলস্নাহর দরবারে তার সুপারিশ মজুদ রেখেছেনযে কঠিন হাশরের দিনে আম্বিয়ায়ে কেরাম সহ সবাই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে সেদিন প্রিয় নবীজী শুধু উম্মতের মুক্তির চিন্তায় পেরেশান থাকবেনএইরকম একজন শুভাকাংখীর জন্য কি পরিমান ভালবাসা হৃদয়ে পোষন করা উচিৎ এবং আল্লাহর দরবারে  তার মযার্দা উত্তরোত্তর বৃদ্ধির জন্য কি পরিমান ব্যকুল থাকা উচিত তা ভাষায় প্রকাশ সম্ভব নয়তার পরিপূর্ন অনুসরন এবং অত্যনত্ম গুরুত্বের সাথে সালাত ও সালাম প্রেরনের দ্বারা তার যৎসামান্য দায়ীত্ব পালন হতে পারেপরম করুনাময় আল্লাহ সুবহানাহু তালা সেজন্যই বোধহয় তাকেও সম্পৃকত করেছেন দরূদ পাঠের নির্দেশের সাথেসালাত ও সালাম পাঠ এমন এক মযার্দাপূর্ন আমল যা আলস্নাহ পাকের দরবারে সবসময় কবুল হয়ে থাকেসেজন্য আমাদের দুআ এবং অন্যান্য আমল কবুল হবার জন্যে দরূদ শরীফ পড়তে শিখিয়েছেন মহান রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সে জন্যেই  অযু, যে কোন নামাজ,  মসুজিদে প্রবেশ, বাহির, কোরআন তেলাওযাত, দুআর আগে পরে, যে কোন পেরেশানিতে  দরূদ শরীফ পড়ার নিয়ম শিখিয়েছেন প্রিয় নবীজী




[
دأب علماء السنة، وخصوصا الصوفية منهم على كتابة صيغ متنوعة للصلاة والسلام على النبي محمد اجتهادا منهم أو إلهاما من الله أو تلقيا من رسول الإسلام محمد في المنام، والتي اعترض عليها السلفية بدعوى أنها "بدع في دين الإسلام وأنها لم ترد لا في الكتاب ولا في السنة". ومن هذه الصيغ المشهورة [35]:
  • صلاة الفاتح، وهي عن الشيخ محمد شمس ابن أبي الحسن البكري: اللَّهُمَّ صَلِّ وَسَلِّمْ وَبَارِكْ عَلَى سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ الْفَاتِحِ لِمَا ُأَغْلِقَ وَالْخَاتِمِ لِمَا سَبَقَ نَّاصِرِ الْحَقَّ بِالْحَقِّ وَالْهَادِي إِلَى صِرَاطِكَ الْمُسْتَقِيمِ وَعَلَى آلِهِ وَأَصْحَابِهِ حَقَّ قَدْرِهِ وَمِقْدَارِهِ الْعَظِيمِ.
  • صلاة النور الذاتي، وهي عن الشيخ أبي الحسن الشاذلي: اللَّهُمَّ صَلِّ وَسَلِّمْ وَبَارِكْ عَلَى سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ النُّورِ الذَّاتِي وَالسِّرِّ السَّارِي فِي سَائِرِ الأَسْمَاءِ وَالصِّفَاتِ.
  • الصلاة المنجية: اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ صَلاَةً تُنْجِينَا بِهَا مِنْ جَمِيعِ الأَهْوَالِ وَالآفَاتِ وَتَقْضِي لَنَا بِهَا جَمِيعَ الْحَاجَاتِ وَتْطَهِّرُنَا بِهَا مِنْ جَمِيعِ السَّيِّئاتِ وَتَرْفَعُنَا بِهَا عِنْدَكَ أَعْلَى الدَّرَجَاتِ وَتُبَلِّغُنَا بِهَا أَقْصَى الْغَايَاتِ مِنْ جَمِيعِ الْخَيْرَاتِ فِي الْحَيَاةِ وَبَعْدَ الْمَمَاتِ.
  • صلاة نور القيامة: اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ بَحْرِ أَنْوَارِكَ وَمَعْدِنِ أَسْرَارِكَ وَلِسَانِ حُجَّتِكَ وَعَرُوسِ مَمْلَكَتِكَ وَإِمَامِ حَضْرَتِكَ وَطِرَازِ مُلْكِكَ وَخَزَائِنِ رَحْمَتِكَ وَطَرِيقِ شَرِيعَتِكَ الْمُتَلَذِّذِ بِتَوْحِيدِكَ إِنْسَانِ عَيْنِ الْوُجُودِ وَالسَّبَبِ فِي كُلِّ مَوْجُودٍ عَيْنِ أَعْيَانِ خَلْقِكَ الْمُتَقَدِّمِ مِنْ نُورِ ضِيَائِكَ صَلاَةً تَدُومُ بِدَوَامِكَ وَتَبْقَى بِبَقَائِكَ لاَ مُنْتَهَى لَهَا دُونَ عِلْمِكَ صَلاَةً تُرِضِيكَ وَتُرْضِيهِ وَتَرْضَى بِهَا عَنَّا يَا رَبَّ الْعَالَمِينَ.
  • الصلاة التفريجية أو الصلاة النارية: اللَّهُمَّ صَلِّ صَلاَةً كَامِلَةً وَسَلِّمْ سَلاَماً تَامًّا عَلَى سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍالذي تَنْحَلُّ بِهِ الْعُقَدُ وَتَنْفَرِجُ بِهِ الْكُرَبُ وَتُقْضَى بِهِ الْحَوَائِجُ وَتُنَالُ بِهِ الرَّغَائِبُ وَحُسْنُ الْخَوَاتِمِ وَيُسْتَسْقَى الْغَمَامُ بنور وَجْهِهِ الْكَرِيمِ وَعَلى آلِهِ وَصَحْبِهِ فِي كُلِّ لَمْحَةٍ وَنَفَسٍ بِعَدَدِ كُلِّ مَعْلُومٍ لَكَ يا الله يا حي ياقيوم.
  • الصلاة الكمالية: اللَّهُمَّ صَلِّ وَبَارِكَ عَلَى سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِهِ عَدَدَ كَمَالِ الله وَكَمَا يَلِيقُ بِكَمَالِهِ.
  • صلاة الرؤوف الرحيم: اللَّهُمَّ صَلِّ وَسَلِّمْ وَبَارِكْ عَلَى سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ الرَّؤُوفِ الرَّحِيمِ ذِي الْخُلُقِ الْعَظِيمِ وَعَلَى آلِهِ وَأَصْحَابِهِ وَأَزْوَاجِهِ فِي كُلِّ لَحْظَةٍ عَدَدَ كُلِّ حَادِثٍ وَقَدِيمٍ.
  • صلاة السعادة: اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ عَدَدَ مَا فِي عِلْمِ الله صَلاَةً دَائِمَةً بِدَوَامِ مُلْكِ الله.
  • صلاة أولي العزم: اللَّهُمَّ صَلِّ وَسَلِّمْ وَبَارِكْ عَلَى سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَآدَمَ وَنُوحٍ وَإِبْرَاهِيمَ وَمُوسَى وَعِيسَى وَمَا بَيْنَهُمْ مِنَ النَّبِيِّينَ وَالْمُرْسَلِينَ صَلَوَاتُ الله وَسَلاَمُهُ عَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ.
  • صلاة الإنعام: اللَّهُمَّ صَلِّ وَسَلِّمْ وَبَارِكَ عَلَى سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِهِ عَدَدَ إِنْعَامِ الله وَأِفْضَالِهِ.
  • صلاة العالي القدر: اللَّهُمَّ صَلِّ وَسَلِّمْ وَبَارِكَ عَلَى سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ النَّبِيِّ الأُمِّيِّ الْحَبِيبِ الْعَالِي الْقَدْرِ الْعَظِيمِ الْجَاهِ وَعَلَى آلِهِ وَصَحْبِهِ وَسَلِّمْ.
  • صلاة أحمد البدوي: اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى نُورِ الأَنْوَارِ. وَسِرِّ الأَسِرَارِ. وَتِرْيَاقِ الأَغْيَارِ. وَمِفْتَاحِ بَابِ الْنَسَارِ. سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ الْمُخْتَارِ. وَآلِهِ الأَطْهَارِ. وَأَصْحَابِهِ الأَخْيَارِ. عَدَد نِعَمِ الله وَأِفْضَالِهِ.
  • صلاة أحمد البدوي: اللَّهُمَّ صَلِّ وَسَلِّمْ وَبَارِكْ عَلَى سَيِّدُنَا وَمَوْلاَنَا مُحَمَّدٍ شَجَرَةِ الأَصْلِ النُّورَانِيَّةِ وَلَمْعَةِ الْقَبْضَةِ الرَّحْمَانِيَّةِ وَأَفْضَلِ الْخَلِيقَةِ الإِنْسَانِيَّةِ وَأَشْرِفِ الصُّورَةِ الْجِسْمَانِيَّةِ وَمَعْدِنِ الأَسْرَارِ الرَّبَّانِيَّةِ وَخَزَائِنِ الْعُلُومِ الإِصْطِفَائِيَّةِ صَاحِبِ الْقَبْضَةِ الأَصْلِيَّةِ وَالْبَهْجَةِ السَّنِيَّةِ وَالرُّتْبَةِ الْعَلِيَّةِ مَنِ انْدَرَجِتِ النَّبِيُّون تَحْتَ لِوَائِهِ فَهُمْ مِنْهُ وَإِلَيْهِ وَصَلِّ وَسَلِّمْ وَبَارِكْ عَلِيْهِ وَعَلَى آلِهِ وَصَحْبِهِ عَدَدَ مَا خَلَقْتَ وَرَزَقْتَ وَأَمَتَّ وَأَحْيَيْتَ إِلَى يَوْمِ تَبْعَثُ مَنْ أَفْنَيْتَ وَسَلِّمْ تَسْلِيماً كَثِيراً وَالْحَمْدُ لله رَبِّ الْعَالَمِينَ.
  • صلاة الإمام أحمد البدوي: اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى نُورِ الأَنْوَارِ. وَسِرِّ الأَسِرَارِ. وَتِرْيَاقِ الأَغْيَارِ. وَمِفْتَاحِ بَابِ الْنَسَارِ. سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ الْمُخْتَارِ. وَآلِهِ الأَطْهَارِ. وَأَصْحَابِهِ الأَخْيَارِ. عَدَد نِعَمِ الله وَأِفْضَالِهِ.
  • صلاة الشافعي: اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ بِعَدَدِ مَنْ صَلَّى عَلَيْهِ وَصَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ بِعَدَدٍ مَنْ لَمْ يُصَلِّ عَلَيْهِ وَصَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ كَمَا أَمَرْتَ بِالصَّلاَةِ عَلَيْهِ وَصَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ كَمَا تُحِبُّ أَنْ يُصَلَّى عَلَيْهِ وَصَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ كَمَا تَنْبَغِي الصَّلاَةُ عَلَيْهِ.
  • صلاة الكرخي: اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ مِلْءَ الدُّنْيَا وَمِلْءَ الآخِرَةِ وَارْحَمْ مُحَمَّداً وَآلَ مُحَمَّدٍ مِلْءَ الدُّنْيَا وَمِلْءَ الآخِرَةِ وَاجْزِ مُحَمَّداً وَآلَ مُحَمَّدٍ مِلْءَ الدُّنْيَا وَمِلْءَ الآخِرَةِ وَسَلِّمْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ مِلْءَ الدُّنْيَا وَمِلْءَ الآخِرَةِ.
  • صلاة عبد القادر الجيلاني: اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ السَّابِقِ لِلْخَلْقِ نُورُهُ وَرَحْمَةٌ لِلْعَالَمِينَ ظُهُورُهُ عَدَدَ مَنْ مَضَى مِنْ خَلْقِكَ وَمَنْ بَقِيَ وَمَنْ سَعِدَ مِنْهُمْ وَمَنْ شَقِيَ صَلاَةً تَسْتَغْرِقُ الْعَدَّ وَتُحِيطُ بِالْحَدِّ صَلاَةً لاَ غَايَةَ لَهَا وَلاَ مُنْتَهَى وَلاَ انْقِضَاءَ صَلاَةً دَائِمَةً بِدَوَامِكَ وَعَلَى آلِهِ وَصَحْبِهِ وَسَلِّمْ تَسْلِيماً مِثْلَ ذِلِكَ.
  • صلاة الشيخ إبراهيم المتبولي: اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِكَ أَنْ تُصَلِّيَ عَلَى سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَعَلَى سَائِرِ الأَنْبِيَاءِ وَالْمُرْسَلِينَ وَعَلَى آلِهِمْ وَصَحْبِهِمْ أَجْمَعِينَ وَأَنْ تَغْفِرَ لِي مَا مَضَى وَتَحْفَظَنِي فِيمَا بَقِيَ.
  • صلاة الشيخ أحمد بن إدريس: اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِنُورِ وَجْهِ الله الْعَظِيمِ الَّذِي مَلأَ أَرْكَانَ عَرْشِ الله الْعَظِيمِ وَقَامَتْ بِهِ عَوَالِمُ الله الْعَظِيمِ أَنْ تُصَلِّيَ عَلَى مَوْلاَنَا مُحَمَّدٍ ذِي الْقَدْرِ الْعَظِيمِ وَعَلَى آلِ نَبِيِّ الله الْعَظِيمِ بِقَدْرِ ذَاتِ الله الْعَظِيمِ فِي كُلِّ لَمْحَةٍ وَنَفَسٍ عَدَد مَا فِي عِلْمِ الله الْعَظِيمِ صَلاَةً دَائِمَةً بِدَوَامِ الله الْعَظِيمِ تَعْظِيماً لِحَقِّكَ يَا مَوْلاَنَا يَا مُحَمَّدُ يَا ذَا الْخُلُقِ الْعَظِيمِ وَسَلِّمْ عَلَيْهِ وَعَلَى آلِهِ مِثْلَ ذَلِكَ وَاجْمَعْ بَيْنِي وَبَيْنَهُ كَمَا جَمَعْتَ بَيْنَ الرُّوحِ وَالنَّفْسِ ظَاهِراً وَبَاطِناً يَقَظَةً وَمَنَاماً وَاجْعَلْهُ يَا رَبِّ رُوحاً لِذَاتِي مِنْ جَمِيعِ الْوُجُوهِ فِي الدُّنْيَا قَبْلَ الآخِرَةِ يَا عَظِيمُ.
الصلاة الالفية النورانية لسيدى العارف بالله محمد أبو خليل : اللهم صلى وسلم وبارك على سيدنا محمد عدد حروف القرآن حرفا حرف وعدد كل حرف الفا الفا وعدد صفوف الملائكة صفا صفا وعدد كل صف الفا الفا وعدد الرمال ذرة ذرة وعدد كل ذرة الف الف مرة عدد ما احاط به علمك وجرى به قلمك ونفذ به حكمك في برك وبحرك وسائر خلقك عدد ما احاط به علمك القديم من 

الواجب والجائز والمستحيل    

সবোর্ত্তম দরূদ ও ক্ষুদ্রতম দরূদ -
বোর্ত্তম দরূদ ক্ষুদ্রতম দরূদ - সকল উলামায়ে কেরাম এতে একমত যে সবোর্ত্তম দরূদ হল দরূদে ইব্রাহীমী যা নামাযের মধ্যে পড়া হয় কারণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সরাসরি সাহাবায়ে কেরাম এ দরূদ শিক্ষা দিয়েছেন যে, এভাবে আমার প্রতি দরূদ শরীফ পাঠ করআর যখনই নবীজির মুবারক নামের আলোচনা আসে, তখন পড়ার জন্য দরূদ শরীফের সহজ ও সংক্ষিপ্ত বাক্য নির্ধারন করা হয়েছে সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থৎ আল্লাহ তালা তার উপর সালাম পাঠানএতে দরূদও হয়ে গেল, সালামও হয়ে গেল এবং আশা করা যায় পাঠকারী দরূদ শরীফের ফজীলত লাভ করবেএ প্রসংগে উলেস্নখ্য নবীজি  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নাম শোনার পরও যে দরূদ পড়েনা তার জন্য হযরত জিবরাইল আলাইহিস সালাম ধ্বংষ হবার বদ দুআ করেছেন (সহীহ বুখারী শরীফ)

প্রতিদিন কমপক্ষে কি পরিমান দরূদ পড়া উচিৎ? বুযুর্গানে দ্বীনের মতে দৈনিক কমপক্ষে তিনশত বার দরূদ শরীফ পড়লে ইনশাল্লাহ অধিক পরিমান দরূদ শরীফ পাঠকারীদের অনর্ত্মভুর্ক্ত হবে।  আর জুমআর দিনে অধিক পরিমানে দরূদ শরীফ পড়ার অভ্যাস করা উচিৎ- হাদীস শরীফে আছে- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন: জুমআর দিনে আমার প্রতি বেশী পরিমানে দরূদ পাঠ করসেদিন দরূদে ফেরেশতারাগণ শরীক হন এবং এ দরূদ আমার কাছে উপস্থিত করা হয় । (ইবনে মাজাহ- ওসওয়ায়ে রাসূলে আকারাম- পৃষ্ঠা-২৩৯)

অতএব আমাদের উচিৎ পাচ ওয়াক্ত নামাজের আগে পরে  সংক্ষিপ্ত হলেও ১০০ বার করে  দরূদ শরীফ পাঠের অভ্যাস করা যাতে মাত্র ২/৩ মিনিট সময় লাগেআর মাঝে মাঝে মুহাব্বতের সাথে দরূদে ইব্রাহীমি পাঠ করাএছাড়া উঠতে বসতে,  চলতে ফিরতে, বিনা অযুতেও দরূদ শরীফ পড়া যায়আল্লাহ আমাদের সকলকে অধিক পরিমান দরূদ শরীফ পড়ার তৌফিক দান করূনআমিন

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন