sonkoleto
ইয়াজিদি।
ইরাকের উত্তর অঞ্চলের নিনেভাহ প্রদেশের একটি সম্প্রদায়।
সাম্প্রতিক সময়ে ইরাকের অস্থিতিশলতার কারণে সংবাদমাধ্যমগুলোর নজরে এসেছে সম্প্রদায়টি। কিন্তু কী তাদের পরিচয়? স্বাভাবিক বিচারে নাম শুনলেই মনে হতে পারে ইসলামের ইতিহাসের সেই পাষণ্ড শাসক ইয়াজিদের কথা।
যার শাসনের সময় কারবালা যুদ্ধ হয়েছিলো। সে কারণে অনেকে ধরেই নিতে পারেন, ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের লোকেরা হয়তো সেই ইয়াজিদেরই উত্তরসুরি।
ধারণা ভুল গবেষণায় দেখা গেছে ইয়াজিদি শব্দটি এসেছে ফার্সি শব্দ ইজদ থেকে। ইজদ এর অর্থ হচ্ছে ইশ্বরের দূত। অর্থাৎ এরা ইশ্বরের উপাসনা করে। তাই এদেরকে বলা ঈশ্বরের উপাসক।
কী তাদের ধর্ম
এদের ধর্মের বিষয়টাও রহস্যে ঘেরা। এরা মূলত একেশ্বরবাদি। তবে ইসলাম, খ্রিস্টান, ইহুদি এবং জরথ্রুস্টবাদসহ মোটামোটি সব ধর্মের ওপর শ্রদ্ধাশীল।
কিন্তু ধর্মীয় আচারগুলোতে তাদের নিজস্ব কিছু পদ্ধতি রয়েছে। ইয়াজিদিদের বিশ্বাস অনুযায়ী সৃষ্টিকর্তা বিশ্বকে সৃষ্টি করার পর সাতটি দূতের হাতে এর দায়িত্ব ছেড়ে দেন। এদের মধ্যে প্রধান দূতের নাম মালিক তাউস। দিনে পাঁচবার এরা মালিক তাউসের উপাসনা করে। মালিক তাউস নিয়ে বিপত্তি আর এ মালিক তাউসই হলো যতো বিপত্তির কারণ। সাধারণত মনে করা হয় শয়তানের অন্য একটি নাম হলো মালিক তাউস। তাই অনেক মুসলমান ও খ্রিস্টানরা এদেরকে শয়তানের উপাসক মনে করে। এক্ষেত্রে কুর্দি ভাষাতাত্ত্বিক জামেল নেবেজ বলেছেন, গ্রিক শব্দ তাউসের অর্থ হলো সৃষ্টিকর্তা। var gandr_conf = { siteid : 4070, slot : 10861, };
কোথা থেকে এসেছে?
সাধারণত বলা হয় ইয়াজিদিরা ইরাকের কুর্দি সম্প্রদায়ের একটি অংশ। ধারণা করা হয় খ্রিস্টের জন্মের দুই হাজার বছর আগেও এদের অস্তিত্ব ছিলো। অনেকে মনে করেন ইয়াজিদিদের ধর্মটা এসেছে প্রাচীন পারস্যের ধর্ম জরোথোস্ট্রবাদ থেকে।
তবে আদতে এদের উৎস কি সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো সিদ্ধান্তে এখনো আসা যায়নি। ইয়াজিদিদের বড় একটা অংশ উত্তর ইরাকের নিনেভাহ প্রদেশে বসবাস করে। এলাকাটি প্রাচীন আসেরিয়া সভ্যতার অংশ। এদের অনেকেই সিরিয়া, তুরস্ক, আরমেনিয়া, জর্জিয়াতে আছে। তাদের নিজস্ব হিসাব অনুযায়ী সারা বিশ্বে এদের সংখ্যা আট লাখের মতো। বিভিন্ন দেশে সংখ্যালঘু এ সম্প্রদায়টিকে নানা প্রতিকুলতার মধ্য দিয়ে টিকে থাকতে হচ্ছে।
নারীদের বিষয়ে কঠোর ইয়াজিদিদের মধ্যে নারীদের বিষয়ে নেতিবাচক কিছু বিষয় রয়েছে।
এরা পরিবারের ঐতিহ্য রক্ষার জন্য নারীদেরকে হত্যা করে। আর বিশেষ করে কোনো ইয়াজিদি মেয়ে যদি অন্য কোনো সম্প্রদায়ের ছেলেকে বিয়ে করে,
তবে তাকে পাথর মেরে হত্যা করা হয়। আরো কিছু আচার এ সম্প্রদায়ে নতুন কোনো শিশুর জন্ম হলে তাকে পানিতে ডুবিয়ে পবিত্র করা হয়।
প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসে তিন দিন রোজা রাখে।
তবে আশ্চর্য্যের ব্যাপার হলো রোজা শেষে এরা ধর্মীয় গুরুর সাথে মদ পান করে।
প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসের ১৫ থেকে ২০ তারিখে এরা ইরাকের মসুল শহরের লালেশ এলাকার মন্দিরের সামনের নদীতে ওজু করে।
এদের পুরুষদের মুসলমান ও খ্রিস্টানদের মতো খতনা করানো হয়। এমনকি পশুও কোরবানি করে। -
See more at: http://insaf24.com/archives/5049#sthash.vLv16oHP.dpuf
ইয়াজিদি।
ইরাকের উত্তর অঞ্চলের নিনেভাহ প্রদেশের একটি সম্প্রদায়।
সাম্প্রতিক সময়ে ইরাকের অস্থিতিশলতার কারণে সংবাদমাধ্যমগুলোর নজরে এসেছে সম্প্রদায়টি। কিন্তু কী তাদের পরিচয়? স্বাভাবিক বিচারে নাম শুনলেই মনে হতে পারে ইসলামের ইতিহাসের সেই পাষণ্ড শাসক ইয়াজিদের কথা।
যার শাসনের সময় কারবালা যুদ্ধ হয়েছিলো। সে কারণে অনেকে ধরেই নিতে পারেন, ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের লোকেরা হয়তো সেই ইয়াজিদেরই উত্তরসুরি।
ধারণা ভুল গবেষণায় দেখা গেছে ইয়াজিদি শব্দটি এসেছে ফার্সি শব্দ ইজদ থেকে। ইজদ এর অর্থ হচ্ছে ইশ্বরের দূত। অর্থাৎ এরা ইশ্বরের উপাসনা করে। তাই এদেরকে বলা ঈশ্বরের উপাসক।
কী তাদের ধর্ম
এদের ধর্মের বিষয়টাও রহস্যে ঘেরা। এরা মূলত একেশ্বরবাদি। তবে ইসলাম, খ্রিস্টান, ইহুদি এবং জরথ্রুস্টবাদসহ মোটামোটি সব ধর্মের ওপর শ্রদ্ধাশীল।
কিন্তু ধর্মীয় আচারগুলোতে তাদের নিজস্ব কিছু পদ্ধতি রয়েছে। ইয়াজিদিদের বিশ্বাস অনুযায়ী সৃষ্টিকর্তা বিশ্বকে সৃষ্টি করার পর সাতটি দূতের হাতে এর দায়িত্ব ছেড়ে দেন। এদের মধ্যে প্রধান দূতের নাম মালিক তাউস। দিনে পাঁচবার এরা মালিক তাউসের উপাসনা করে। মালিক তাউস নিয়ে বিপত্তি আর এ মালিক তাউসই হলো যতো বিপত্তির কারণ। সাধারণত মনে করা হয় শয়তানের অন্য একটি নাম হলো মালিক তাউস। তাই অনেক মুসলমান ও খ্রিস্টানরা এদেরকে শয়তানের উপাসক মনে করে। এক্ষেত্রে কুর্দি ভাষাতাত্ত্বিক জামেল নেবেজ বলেছেন, গ্রিক শব্দ তাউসের অর্থ হলো সৃষ্টিকর্তা। var gandr_conf = { siteid : 4070, slot : 10861, };
কোথা থেকে এসেছে?
সাধারণত বলা হয় ইয়াজিদিরা ইরাকের কুর্দি সম্প্রদায়ের একটি অংশ। ধারণা করা হয় খ্রিস্টের জন্মের দুই হাজার বছর আগেও এদের অস্তিত্ব ছিলো। অনেকে মনে করেন ইয়াজিদিদের ধর্মটা এসেছে প্রাচীন পারস্যের ধর্ম জরোথোস্ট্রবাদ থেকে।
তবে আদতে এদের উৎস কি সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো সিদ্ধান্তে এখনো আসা যায়নি। ইয়াজিদিদের বড় একটা অংশ উত্তর ইরাকের নিনেভাহ প্রদেশে বসবাস করে। এলাকাটি প্রাচীন আসেরিয়া সভ্যতার অংশ। এদের অনেকেই সিরিয়া, তুরস্ক, আরমেনিয়া, জর্জিয়াতে আছে। তাদের নিজস্ব হিসাব অনুযায়ী সারা বিশ্বে এদের সংখ্যা আট লাখের মতো। বিভিন্ন দেশে সংখ্যালঘু এ সম্প্রদায়টিকে নানা প্রতিকুলতার মধ্য দিয়ে টিকে থাকতে হচ্ছে।
নারীদের বিষয়ে কঠোর ইয়াজিদিদের মধ্যে নারীদের বিষয়ে নেতিবাচক কিছু বিষয় রয়েছে।
এরা পরিবারের ঐতিহ্য রক্ষার জন্য নারীদেরকে হত্যা করে। আর বিশেষ করে কোনো ইয়াজিদি মেয়ে যদি অন্য কোনো সম্প্রদায়ের ছেলেকে বিয়ে করে,
তবে তাকে পাথর মেরে হত্যা করা হয়। আরো কিছু আচার এ সম্প্রদায়ে নতুন কোনো শিশুর জন্ম হলে তাকে পানিতে ডুবিয়ে পবিত্র করা হয়।
প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসে তিন দিন রোজা রাখে।
তবে আশ্চর্য্যের ব্যাপার হলো রোজা শেষে এরা ধর্মীয় গুরুর সাথে মদ পান করে।
প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসের ১৫ থেকে ২০ তারিখে এরা ইরাকের মসুল শহরের লালেশ এলাকার মন্দিরের সামনের নদীতে ওজু করে।
এদের পুরুষদের মুসলমান ও খ্রিস্টানদের মতো খতনা করানো হয়। এমনকি পশুও কোরবানি করে। -
See more at: http://insaf24.com/archives/5049#sthash.vLv16oHP.dpuf
আর যাই হোক যে রকম আক্বীদা ও আমল বর্ণিত হয়েছে তাতে কুর্দিদের মুসলমান বলা যায়না।
উত্তরমুছুন