জুমার দিন ও রাতে দরুদ শরীফ পড়া খুবই কল্যাণকর।
দরুদ শরীফ পাঠ করার অনেক নিয়ম-পদ্ধতি রয়েছে। নামাজের মধ্যে প্রসিদ্ধ দরুদ (দরুদে ইবরাহিম) শরীফটি পাঠ করা সুন্নত, এটি সুন্নতে মোয়াক্কাদা। ba wajeb তবে সাধারণত কোনো স্থানে হজরত রাসুলে আকরাম (সা.)-এর নাম যখন উচ্চারণ করা হবে তখনই তাঁর প্রতি দরুদ শরীফ পড়া ওয়াজিব। এ প্রসঙ্গে ওলামায়ে কেরাম হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিস দলিল হিসেবে পেশ করেন। তিনি বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যার কাছে আমার নাম উল্লেখ করা হয় সে যেন তত্ক্ষণাত্ আমার ওপর দরুদ শরীফ পড়ে।’ (জামেউস সগির) তবে একই মজলিসে বারবার নাম উচ্চারিত হলে একবার দরুদ পাঠ করলেই ওয়াজিব আদায় হয়ে যায়, তবে প্রতিবার পাঠ করা মুস্তাহাব। এছাড়া সপ্তাহের যে কোনো দিন কিংবা যে কোনো সময় ওজু করে ঐকান্তিকভাবে দরুদ শরীফ পড়া অনেক পুণ্যের কাজ।
জুমার দিন ও রাতে দরুদ শরীফ পড়া খুবই কল্যাণকর।
(1) রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমরা জুমার দিনে ও রাতে আমার প্রতি বেশি করে দরুদ পড়। যে ব্যক্তি এরূপ করবে আমি কেয়ামতের দিন তার পক্ষ অবলম্বন করব, তার পক্ষে সাক্ষ্য দেব এবং তার জন্য সুপারিশ করব। (জামেউস সগির)
(2) রাসুলে করিম (সা.) আরও ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি আমার ওপর দৈনিক ১০০ বার দরুদ পাঠ করবে, সে জান্নাতের ঠিকানাটি না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করবে না। (তারগিব)
(3)হজরত রাসুলে আকরাম (সা.)-এর ওপর দরুদ না পড়ার ক্ষতি প্রসঙ্গে অনেক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। তাতে হজরত রাসুলে আকরাম (সা.)-এর নাম উল্লেখ হওয়া সত্ত্বেও কেউ যদি দরুদ শরীফ না পড়ে এবং যে মজলিসে বা আলোচনা সভায় মোটেও দরুদ শরীফ পড়া হয় না তাহলে ওই ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ওই মজলিস অকল্যাণকর ও আফসোসের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাঁর নাম উল্লেখ করা সত্ত্বেও দরুদ পড়ে না যারা তাদের কৃপণ, অপমানিত ও দুঃখিত জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
(4) পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি দরুদ শরীফ পড়ে না, হজরত রাসুলে আকরাম (সা.) তার প্রতি অভিশাপ দেন এবং সে আল্লাহর নৈকট্য লাভ থেকে বঞ্চিত হয়।
(5)বায়হাকি শরীফে এসেছে, ‘নামাজের মধ্যে দরুদ না পড়লে সে নামাজ কবুল হয় না।’ তদুপরি কোনো দোয়ায় দরুদ না পড়লে সে আমল আল্লাহর আরশ পর্যন্ত পৌঁছায় না। এমনকি ভুলে গেলেও ধমকি থেকে রেহাই পাওয়া যাবে না। রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি আমার প্রতি দরুদ পড়তে ভুলে গেল সে বেহেশতের পথই ভুলে গেল। (বায়হাকি)
(6) হজরত রাসুলে আকরাম (সা.) আমাদের হাদিয়া, তোহফা তথা দরুদ ও সালামের মুখাপেক্ষী নন। এর কারণ, তিনি নিজেই রাহমাতুল্লিল আলামিন, বিশ্বজাহানের জন্য দয়ার সাগর। আমাদের দরুদ ও সালাম পাঠানোর উদ্দেশ্য হচ্ছে তাঁকে সম্মান করা, তাজিম করা, তাকে ভালোবাসা এবং তার নাম বুলন্দ করা।
তার এ অনন্য সম্মান ও মর্যাদা আল্লাহ তায়ালাই নির্ধারণ করে দিয়েছেন।
দরুদ ও সালাম পাঠানোর বিনিময়ে বহুগুণে যে প্রাপ্তি, তা আমাদের নিজেদেরই। বস্তুত, হজরত রাসুলে আকরাম (সা.)-এর মহব্বত অর্জন এবং জীবনের সর্বক্ষেত্রে তার আদর্শ-সুন্নত অনুসরণের যে চেষ্টা-সাধনা ও অনুশীলন—প্রকৃতপক্ষে সেটিই ঈমানের মেহনত।
দরুদ শরীফ পাঠ করার অনেক নিয়ম-পদ্ধতি রয়েছে। নামাজের মধ্যে প্রসিদ্ধ দরুদ (দরুদে ইবরাহিম) শরীফটি পাঠ করা সুন্নত, এটি সুন্নতে মোয়াক্কাদা। ba wajeb তবে সাধারণত কোনো স্থানে হজরত রাসুলে আকরাম (সা.)-এর নাম যখন উচ্চারণ করা হবে তখনই তাঁর প্রতি দরুদ শরীফ পড়া ওয়াজিব। এ প্রসঙ্গে ওলামায়ে কেরাম হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিস দলিল হিসেবে পেশ করেন। তিনি বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যার কাছে আমার নাম উল্লেখ করা হয় সে যেন তত্ক্ষণাত্ আমার ওপর দরুদ শরীফ পড়ে।’ (জামেউস সগির) তবে একই মজলিসে বারবার নাম উচ্চারিত হলে একবার দরুদ পাঠ করলেই ওয়াজিব আদায় হয়ে যায়, তবে প্রতিবার পাঠ করা মুস্তাহাব। এছাড়া সপ্তাহের যে কোনো দিন কিংবা যে কোনো সময় ওজু করে ঐকান্তিকভাবে দরুদ শরীফ পড়া অনেক পুণ্যের কাজ।
জুমার দিন ও রাতে দরুদ শরীফ পড়া খুবই কল্যাণকর।
(1) রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমরা জুমার দিনে ও রাতে আমার প্রতি বেশি করে দরুদ পড়। যে ব্যক্তি এরূপ করবে আমি কেয়ামতের দিন তার পক্ষ অবলম্বন করব, তার পক্ষে সাক্ষ্য দেব এবং তার জন্য সুপারিশ করব। (জামেউস সগির)
(2) রাসুলে করিম (সা.) আরও ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি আমার ওপর দৈনিক ১০০ বার দরুদ পাঠ করবে, সে জান্নাতের ঠিকানাটি না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করবে না। (তারগিব)
(3)হজরত রাসুলে আকরাম (সা.)-এর ওপর দরুদ না পড়ার ক্ষতি প্রসঙ্গে অনেক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। তাতে হজরত রাসুলে আকরাম (সা.)-এর নাম উল্লেখ হওয়া সত্ত্বেও কেউ যদি দরুদ শরীফ না পড়ে এবং যে মজলিসে বা আলোচনা সভায় মোটেও দরুদ শরীফ পড়া হয় না তাহলে ওই ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ওই মজলিস অকল্যাণকর ও আফসোসের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাঁর নাম উল্লেখ করা সত্ত্বেও দরুদ পড়ে না যারা তাদের কৃপণ, অপমানিত ও দুঃখিত জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
(4) পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি দরুদ শরীফ পড়ে না, হজরত রাসুলে আকরাম (সা.) তার প্রতি অভিশাপ দেন এবং সে আল্লাহর নৈকট্য লাভ থেকে বঞ্চিত হয়।
(5)বায়হাকি শরীফে এসেছে, ‘নামাজের মধ্যে দরুদ না পড়লে সে নামাজ কবুল হয় না।’ তদুপরি কোনো দোয়ায় দরুদ না পড়লে সে আমল আল্লাহর আরশ পর্যন্ত পৌঁছায় না। এমনকি ভুলে গেলেও ধমকি থেকে রেহাই পাওয়া যাবে না। রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি আমার প্রতি দরুদ পড়তে ভুলে গেল সে বেহেশতের পথই ভুলে গেল। (বায়হাকি)
(6) হজরত রাসুলে আকরাম (সা.) আমাদের হাদিয়া, তোহফা তথা দরুদ ও সালামের মুখাপেক্ষী নন। এর কারণ, তিনি নিজেই রাহমাতুল্লিল আলামিন, বিশ্বজাহানের জন্য দয়ার সাগর। আমাদের দরুদ ও সালাম পাঠানোর উদ্দেশ্য হচ্ছে তাঁকে সম্মান করা, তাজিম করা, তাকে ভালোবাসা এবং তার নাম বুলন্দ করা।
তার এ অনন্য সম্মান ও মর্যাদা আল্লাহ তায়ালাই নির্ধারণ করে দিয়েছেন।
দরুদ ও সালাম পাঠানোর বিনিময়ে বহুগুণে যে প্রাপ্তি, তা আমাদের নিজেদেরই। বস্তুত, হজরত রাসুলে আকরাম (সা.)-এর মহব্বত অর্জন এবং জীবনের সর্বক্ষেত্রে তার আদর্শ-সুন্নত অনুসরণের যে চেষ্টা-সাধনা ও অনুশীলন—প্রকৃতপক্ষে সেটিই ঈমানের মেহনত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন