Translate

শনিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮

দাডি টুপি রাজাকারের ইউনিফর্ম নয় এটা রসুলের সুন্নাহ

দাড়ি টুপি রাজাকারের ইউনিফর্ম নয়! এটা রাসুল(সঃ) এর সুন্নাহ, এতে সন্দেহের অবকাশ নেই, অনেকে যারা মুক্তিযুদ্ধের  চেতনার ফেরীকরে চলেন তারা এ রসুলের এ সুন্নাত কে নিয়ে অনেক ফাইজলামি করে করে থাকেন চলপ বলে কৌশলে,
ফাইজলামি করবি! কর। তবে আমার রাসুলের সুন্নাহ নিয়ে নয়, কোন মুসলিম দাবিদার রাসুল (সঃ)এর সুন্নাহ নিয়ে মশকারা করতে পারেনা।কারন রাসুলের (সঃ) সুন্নাহ না মানা ফাসিকী,আর সুন্নাহ অস্বীকার করা বা সুন্নাহ নিয়ে ঠাট্রা বিদ্রুপ করা কুফুরী।

এভাবে দাড়ি-টুপিকে অপমান করা মানে আমার প্রাণের নবী সাঃ) কে অপমান করা। ইসলামী পোষাক কে অপমান করা মানে ধর্মকে হেয় পতিপন্ন করা, পাজামা -পাঞ্জাবি -টুপি-দাড়ি রাজাকারের পোষাক নয়। বরং আমার দেশের হাজার হাজার লাখো  বীর মুক্তিযোদ্ধারা ও  পাজামা-পাঞ্জাবি-টুপি পরিধান করেন এটা বাংলাদেশ সহ ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলিমদের  অবিচ্ছেদ্য সংস্কৃতির ও অংশ  এবং তাদের দাড়িও আছে, তারা পাচওয়াক্ত নামাজ ও পড়েন।
তাহলে ৯০%মুসলমানের দেশে কেন ইসলামি লেবাছ নিয়ে মশকারা করা হবে? মুক্তিযুদ্ধ কী ইসলামের বিরুদ্ধে হয়েছিল! অবশ্যয়ই না। এদেশের আপামর কৃষক, শ্রমিক,জেলে,তাতি ও অসংখ্য আলেম ওলামা তোলাবা সহ সকল দেশপ্রেমিক নাগরিকের সক্রিয় অংশগ্রহণের মধ্য দিয়েই মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। নামাজ কালাম দোয়া দরুদ পডেই সকালে ঘর থেকে বেরিয়ে পডতেন হানাদারবাহিনীর মোকাবেলা করার জন্য।

কিন্তু আজকে একটা গ্রুপ পরিকল্পিত ভাবে ইসলামী লেবাস দাডি টুপি  পান্জাবী কে মুক্তি যুদ্ধ বিরোধীদের লেবাস বা আলামত হিসাবে প্রচার করতে চাচ্ছে, নাটক, সিনেমা, ফিল্ম, ছবি,ও আর্ট   ইত্যাদি তে কল্পিত ইতিহাস রচনা করতে গিয়ে সমাজের সব চেয়ে খারাপ   ব্যক্তি হিসাবে দাডি টুপি পান্জাবী পরা লোকটিকে উপস্হাপন করা হচ্ছে। কিন্তুু কেন???
অথচ অনেক আলেম ওলামা তোলাবা দ্বীনদার দেশ প্রেমিক ও সাধারন জনগনের সন্মিলিত অংশ গ্রহণের মাধ্যমে মুক্তি যুদ্ধ হয়েছিল এটা অস্বীকার করার অবকাশ নেই। তবে হ্যাঁ  সে সময় অনেকে রাজনৈতিক কারণে মুক্তি যুদ্ধের বিরোধিতা করেছিলেন তাতেও সন্দেহ নেই।
তাই বলেকি ইসলাম মুসলমানদের শিয়য়ার দাডি টুপি পান্জাবী কে কটাখ্খ করা যাবে।
এ পোষাক কে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী হিসাবে প্রকাশ করা যাবে??
কখনো না।

তাই প্রশাসনের প্রতি বিনীত অনুরোধ এসব কুলাঙ্গারদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসুন। বিজয়ের মাসে স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক মুহাম্মদ আতাউল গনি উসমানী, সেক্টর কমান্ডারগন, বীরশ্রেষ্ঠ, বীরপ্রতীক, বীরবিক্রম,শহিদ জিয়াউর রহমান  সহ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী যেসব মহান ব্যক্তি ইতিমধ্যে ইন্তেকাল করেছেন তাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাচ্ছি এবং তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ৬৯সালের গণ অভ্যুত্থানএবং ৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ সহ আজ পর্যন্ত যারা দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য জীবন দিয়েছেন তাদের জন্য শাহাদাতের সর্বোচ্চ মাকাম কামনা করছি এবং যারা আহত হয়েছেন, পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন তাদের জন্য মাগফেরাত কামনা করছি, জীবিতদের জন্য সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু কামনা করছি। আল্লাহ আমাদের সবাইকে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে নিজ নিজ অবস্থান থেকে নিষ্ঠার সাথে কাজ করার তাওফিক দিন। আমিন।
পরিশেষে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের দু'লাইন কবিতা দিয়ে শেষ করছি..........."রাসুলের অপমানে যদি কাদেনা তোর মন------ মুসলিম নয়, মুনাফিক তুই,রাসুলের দুশমন।

সুতরাং  আজকে আমাদের কে সচেতন  সোচ্চার হতে হবে।আমরা  যে এ দেশ স্বাধীন করেছি সেই স্বাধীনতা আমাদের ফিরিয়ে দাও।

"মুক্তি যুদ্ধে  আলেম ওলামাদের অবদান "শীর্ষক  আমার কয়েকটি  লেখা আছে উক্ত  ব্লগে , সন্মানিত পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি  আপনারা সে লেখা গুলোও পডতে পারেন।মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ইসলামী ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে
আপনাদের অনেক ভূলের উত্তর পেয়ে যাবেন।

বৃহস্পতিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৮

অর্শ গেজ পাইলস এর কারণ ও ঘরোয়া চিকিৎসা

পাইলস এর ঘরোয়া চিকিৎসা, পাইলস রোগীর খাবার ও পাইলস প্রতিরোধের উপায়সমূহ

পাইলস বা হেমোরয়েড কি?

 

মানুষের যাবতীয় রোগসমূহের মধ্যে একটি যন্ত্রণাদায়ক রোগের নাম হেমোরয়েড বা পাইলস।  এই রোগটি মলদ্বারে হয়ে থাকে। সাধারণত মলদ্বারের অগ্রভাগের সামান্য ভেতরে বা বাইরের দিকে এক বা একাধিক গোলাকার অথবা সুচালো মাথাবিশিষ্ট গুটি গুটি বর্ধিতাংশ বের হয়; একে আমরা বলি/ গেজ বলে থাকি। মলত্যাগের সময় গেজ গুলির আকার ও অবস্থানের উপর ভিত্তি করে কারো অল্প বা বেশি বের হয়; এবং এই গেজ হতে কম বা বেশি রক্তপাত হয়ে থাকে। অনেক রোগীর আবার রক্তপাত হয়না। মূলত পাইলস রোগীর মলদ্বারের রক্তনালী ফুলে যায় এবং অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক ব্যাথার সৃষ্টি করে। যা একজন মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যহত করে। এই রোগের আরো অনেক শারীরিক সমস্যার ও সৃষ্টি করে। এলোপ্যাথিক ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার পাশাপাশি পাইলস এর ঘরোয়া চিকিৎসা ও রয়েছে প্রচুর। প্রাথমিক পর্যায়ে ঘরোয়া চিকিৎসার মাধ্যমেই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পাইলস বা অর্শ ভালো হয়ে যায়।

 

বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন, হেমোরয়েড বা পাইলস বিশ্বব্যাপী এক পরিচিত রোগ, পাশাপাশি এই রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যাও নিতান্ত কম নয়। সমাজের পয়ঁতাল্লিশ বছর থেকে পয়ঁষট্টি বছর বয়স্ক নারী ও পুরুষ সাধারণত পাইলস রোগে আক্রান্ত হন। পশ্চিমা বিশ্বে হেমোরয়েড বা পাইলস একটি অতি পরিচিত ব্যাধি।  যুক্তরাষ্ট্রে মোটামুটি ৪.৪০% নারী-পুরুষের এই রোগ হয়ে থাকে। পয়ঁতাল্লিশ বছর এর বেশি বয়স্কদের প্রায় অর্ধেক মানুষ কখনো না কখনো এই রোগ এর সম্মুখীন হন।

 

 

পাইলস বা হেমোরয়েড কেন হয়?

 

আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে বাতাস ও খাবার এর মাধ্যমে নানা রকম রোগ-জীবাণু ও বিষ আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। এর কিছু পরিমান শরীরের অভ্যন্তরেই ধ্বংস হয়ে যায়, আর কিছু মূল-মূত্রের সাথে ও ঘাম এর সাথে শরীরের বাইরে বের হয়ে যায়। আর কিচ্ছু অংশ রয়ে যায় শরীরের অভ্যন্তরে। যা শরীরে অবস্থিত ত্রিদোষ (সোরা, সিফিলিস, সাইকোসিস) এর যেকোনো একটি বা একাধিকে এর মাধ্যমে অনেক শক্তি অর্জন করে আমাদের জীবনীশক্তি কে ধীরে ধীরে নষ্ট করে দিতে চেষ্টা করে। আর ঠিক এই অবস্থায়, শরীরের জীবনীশক্তি বিকল্প হিসেবে ওই শক্তিশালী বিষকে নতুন কোনো পথে শরীর থেকে বের করে দিয়ে শরীরকে রক্ষা করতে চেষ্টা করে থাকে।

 

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ধনী বা বিত্তশালীদের এই রোগটি হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এছাড়া ব্যাধিটি আরো অনেক বিষয়ের উপর নির্ভর করে, যেমন: উত্তরাধিকারসূত্র, শারীরিক গঠন, শারীরিক স্বাস্থ্য, কর্ম-জীবন, আবহাওয়া, মানসিক স্বাস্থ্য, বয়স, হরমোনের পরিবর্তনজনিত কারণ, খাদ্যাভ্যাস, শরীরের অতিরিক্ত ওজন, বিভিন্ন ঔষধের ব্যবহার, সংক্রমণ, অন্তঃসত্ত্বা (মহিলাদের ক্ষেত্রে) , শরীরচর্চা, দীর্ঘদিনের কাশি, মলত্যাগের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ, মাঝে মধ্যেই বমি হওয়া, বদহজম বা কোষ্টকাঠিন্য, লিভার সিরোসিস, যকৃতে অতিরিক্ত রক্ত জমা থাকা, অতিরিক্ত মদ্যপান, অতিরিক্ত মাত্রায় মস্তিষ্কের কাজ করা, লম্বা সময় ধরে দাঁড়িয়ে বা বসে থাকা, প্রস্রাবে সমস্যা, প্রোস্টেট ক্যান্সার, মহিলাদের জরায়ুতে চাপ (গর্ভবস্থায়) ইত্যাদি।

 

 

পাইলস বা হেমোরয়েড এর প্রকারভেদ

 

আকৃতিগত দিক থেকে পাইলস নিম্নলিখিত প্রকারের হয়ে থাকে-

ছোলার আকার,

ছোট আঙুরের আকার,

ছোট খেজুরের আকার,

খেজুর গাছের শিকড়ের আকৃতি,

রেশন এর গোটার আকার, অথবা;

ডুমুরের আকৃতি।

 

শিরা-ষ্ফীতি এর উপর ভিত্তি করে পাইলস নিম্নলিখিত প্রকারের হয়ে থাকে-

ক. মলদ্বারের অভন্তরীণ পাইলস: মলদ্বারের এক থেকে দুই ইঞ্চি ভেতরের দিকে শিরা ফুলে বলি বা গেজ এর সৃষ্টি হয়

খ. মলদ্বারের বাইরের পাইলস: মলদ্বার এর শেষ প্রান্তে বা বাইরের দিক থেকে গেজ বের হয়

গ. মিশ্ৰ পাইলস: এই প্রকারে মলদ্বারের ভেতর ও বাহির উভয়দিকে গেজ তৈরী হয়

 

মলদ্বারের অভন্তরীণ পাইলস আবার তিন ভাগে বিভক্ত-

ক. এই প্রকার পাইলস এ মলদ্বার অভ্যন্তর হতে কোনো প্রকার ব্যাথা ছাড়াই রক্ত নির্গত হয়, কিন্তু গেজ বাইরে বের হয় না

খ. এই প্রকারের অর্শে গেজ মলদ্বারের বাইরে বের হয়ে আসে, আবার মলত্যাগ করার পরে গেজ আবার মলদ্বার এর ভেতরে চলে যায়

গ. এই প্রকারের অর্শে গেজ মলদ্বারের বাইরে বের হয়ে আসে, কিন্তু হাত দ্বারা ভেতরে ঢুকিয়ে না দিলে বাইরেই রয়ে যায়।

 

 

পাইলস বা হেমোরয়েড এর লক্ষণ বা উপসর্গসমূহ

 

১. মলত্যাগ এর সময় মলদ্বার হতে সামান্য বা বেশি পরিমান রক্ত নির্গত হতে পারে

২. মলদ্বার ফুলে গিয়ে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হতে পারে

৩. টাটানি ও সাথে ব্যাথা হতে পারে

৪. কাঁটাবিদ্ধ অনুভূতি থাকতে পারে

৫. মাথাধরা বা মাথা ভার হয়ে থাকতে পারে

৬. উরু, বুক ও নাভির চতুর্দিকে ব্যাথা বোধ হতে পারে

৭. মলদ্বার এ ওজন অনুভূত হতে পারে

৮. কোমর ধরা অনুভূত হতে পারে

৯. আলস্য বোধ হতে পারে

১০. মেজাজ খিটখিটে ও রুক্ষ হতে পারে

১১. মাথা-ঘোরা দেখা দিতে পারে

১২. কর্মে অমনোযোগিতা আসতে পারে

 

 

 

পাইলস বা হেমোরয়েড প্রতিরোধের উপায়সমূহ

 

১. কোষ্টকাঠিন্য থেকে শরীরকে যথাসম্ভব সুস্থ রাখা, যাদের কোষ্টকাঠিন্য আছে তারা অতিসত্তর অভিজ্ঞ ডাক্তার এর পরামর্শ নিয়ে কোষ্টকাঠিন্যকে শরীর থেকে চির বিদায় দেয়া

২. প্রতিদিন পরিমিত ঘুমানো

৩. দৈনিক প্রচুর পানি পান করা (অভ্যাস না থাকলে অভ্যাস করা)

৪. পরিশ্রম করার ক্ষেত্রে মধ্যপন্থা অবলম্বন করা

৫. বেশি বেশি তরল ও সহজে হজম করা সম্ভব এমন খাবার গ্রহণ করা ও অভ্যস্ত হওয়া

৬. তৈলাক্ত ও মসলা জাতীয় খাবার বর্জন করার চেষ্টা করা

 

 

পাইলস বা হেমোরয়েড এ আক্রান্ত রোগীদের করণীয়

 

১. প্রতিদিন কমপক্ষে দুই বার পায়খানা করার চেষ্টা করা

২. যে খাবার রোগী সহজে হজম করতে পারেনা সেসব খাবার পরিহার করা

৩. বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এর পরামর্শ অনুযায়ী বিশ্রাম গ্রহণ করা

৪. পাইলস এর লক্ষণ দেখা দেয়া মাত্র বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এর শরণাপন্ন হওয়া (কোনোক্রমেই হাতুড়ে ডাক্তার বার কবিরাজ দিয়ে চিকিৎসা না করানো)। যত দ্রুত চিকিৎসা করবেন, টোটো ভালো হবার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। যত দেরি করবেন, রোগ ততো জটিল হবে।

 

 

পাইলস বা হেমোরয়েড রোগে আক্রান্ত রোগীর খাবার

 

সহজে হজম হয় আঁশযুক্ত খাবার ও সব ধরণের শাকসব্জি বেশি বেশি খাওয়া, দৈনিক কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা, বিভিন্ন রকমের ফল-ফলাদি, সর্বপ্রকার ডাল, সবজি সালাদ, ফ্রুট সালাদ, ডিম, মাছ ও মুরগির মাংস, বিশেষভাবে ঢেঁকিছাটা চাল এবং আটা ইত্যাদি।

 

 

পাইলস বা হেমোরয়েড রোগে আক্রান্ত রোগী যেসব খাবার বর্জন করবেন

 

খোসাবিহীন শস্য, গরুর বা খাসির মাংস বা অন্যান্য চর্বিযুক্ত খাবার, মসৃন চাল, কোলে ছাঁটা আটা বা ময়দা, চা বা কফি, চীজ বা মাখন, চকলেট বা আইস্ক্রীম, কোল্ড-ড্রিঙ্কস, সর্বপ্রকার ভাজা খাবার (লুচি বা পরোটা অথবা চীপস) ।

 

 

পাইলস বা হেমোরয়েড রোগের চিকিৎসা

 

পাইলস বা অর্শ রোগের এলোপ্যাথিক ও হোমিওপ্যাথিক দুই ধরণের চিকিৎসাই রয়েছে। রোগের তীব্রতা অনুযায়ী চিকিৎসা ও আলাদা হয়ে থাকে। তাই বিশেষ পরামর্শ হলো, এই রোগের লক্ষণ দেখা মাত্রই অভিজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া। এতে করে আপনার রোগ নিরাময় সহজ হবে। কারণ যদি রোগ তীব্র আকার ধারণ করে তাহলে অপারেশন ছাড়া এই রোগ এর চিকিৎসা করা সম্ভব হয়না।

 

এলোপ্যাথিক চিকিৎসার পাশাপাশি অর্শ রোগ নিরাময়ে হোমিওপ্যাথির ভূমিকা অনস্বীকার্য। বরাবরে মতোই রোগীর প্রকৃতি, বৈশিষ্ট্য, সদৃশ এবং রোগের উপসর্গের উপর ভিত্তি করে পাইলস রোগের হোমিও চিকিৎসা করা হয়ে থাকে। গুরুত্বপূর্ণ হল কোনো যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন রেজিস্টার্ড হোমিও ডাক্তার এর পরামর্শ নিলে আশাকরি দ্রুত আরোগ্য লাভ করবেন। হোমিও চিকিৎসার মাধ্যমে পাইলস এর পরিপূর্ণ নিরাময় সম্ভব।

 

 

পাইলস এর ঘরোয়া চিকিৎসা

 

সাময়িক বা দ্রুত পাইলস এর যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পেতে রয়েছে নানা রকম পাইলস এর ঘরোয়া চিকিৎসা। অনেক রোগী এসব ঘরোয়া চিকিৎসা গ্রহণ করে উপকৃত হয়েছেন বলেও জানা যায়। চলুন দেখি কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা যা মাত্র ১০ থেকে ১৫ মিনিটে পাইলস এর যন্ত্রনা থেকে দিতে পারে আরাম।

 

অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার এর মাধ্যমে চিকিৎসা

কিছু পরিষ্কার তুলো নিন, তাতে সামান্য পরিমান অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার লাগান। এবার মলদ্বার এর ব্যাথার স্থানে তুলো দিয়ে আস্তে আস্তে চাপ দিন। একটু সহ্য করতে হবে, কারণ তুলো লাগানোর সাথে সাথেই ব্যাথার স্থানটি কিছুটা জ্বলবে কয়েক মিনিট, তারপর ধীরে ধীরে আমার পেতে শুরু করবেন। ৮-১০ মিনিট এর মধ্যেই সম্পূর্ণ আরাম বোধ করবেন। এভাবে দিনে কয়েকবার করতে পারেন।

মলদ্বারের ভেতরের পাইলসের জন্য এক গ্লাস পানির সাথে এক চা চামচ পরিমান অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার ও এক চা চামচ মধু মিশিয়ে দিনে দুই বার পান করতে পারেন।

 

এলোভেরা বা ঘৃতকুমারী এর মাধ্যমে চিকিৎসা

একটুকরো পরিষ্কার এলোভেরা নিন। এবার মলদ্বার এর ব্যাথার স্থানে আলতো করে ঘষে দিন।  এভাবে মিনিট খানেক লাগান। দ্রুত আপনার যন্ত্রনা কমে যাবে।মলদ্বারের ভেতরের পাইলসের জন্য একটি বিশেষ উপায়ে এলোভেরা ব্যবহার করতে হবে।  ১.৫ – ২ ইঞ্চি এলোভেরা কেটে নিন, তারপর ছাল ছাড়িয়ে শুধু জেল একটি পরিষ্কার মোটা  পলিথিনে মুড়িয়ে ফ্রিজে রেখে সহ্য করার মতো ঠান্ডা করুন। তারপর আলতোভাবে মলদ্বারের মুখে চেপে চেপে লাগান। এটি আপনার অর্শের ব্যাথা, জ্বালাপোড়া ও চুলকানি  ৮-১০ মিনিটের মধ্যে কমিয়ে আরাম দেবে।

 

অলিভ অয়েল এর মাধ্যমে পাইলস এর চিকিৎসা

দৈনিক তিন বেলা খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট পূর্বে এক চা চামচ অলিভ অয়েল খাবেন। অলিভ অয়েল শরীরের প্রদাহ কমায় এবং মনসেচুরেটেড ফ্যাট উন্নত করতে সাহায্য করে। মলত্যাগ করতে অতিরিক্ত চাপ দিতে হয়না এবং মলত্যাগ খুব আরামদায়ক করে।

মলদ্বারের বহিরাংশের পাইলস এর ক্ষতে কিছু শুকনো বড়ই পাতার গুঁড়োর সাথে সামান্য অলিভ অয়েল মিশিয়ে লাগালে ৫-১০ মিনিট এর মধ্যে যন্ত্রনা থেকে আরাম পাবেন।

 

 

আদা ও লেবুর রস এর মাধ্যমে পাইলস এর চিকিৎসা

পাইলস বা হেমোরয়েডের এর কারণগুলোর মধ্যে ডিহাইড্রেশন একটি উল্লেখযোগ্য কারণ। তাই পাইলস এর রোগের জন্য শরীরকে হাইড্রেড করা খুবই জরুরী। একটি মিশ্রণ দৈনিক দুই বার পান করে খুব সহজেই শরীরকে হাইড্রেড করতে পারেন। মিশ্রণটি খুবই সহজ। একটু আদার রস, একটু লেবুর রস ও একটু মধু সব মিলিয়ে এক চা চামচ পরিমান হলেই যথেষ্ট। ব্যাস এই মিশ্রণটি দিনে দুইবার করে খাবেন। আর পাশাপাশি প্রতিদিন ৮-১২ গ্লাস পানি পান করবেন। এতে শরীর হাইড্রেড হবে এবং ধীরে ধীরে আপনার পাইলস সম্পূর্ণরূপে ভালো হয়ে যাবে ইন্-শা-আল্লাহ।

 

 

বরফ ব্যবহার এর মাধ্যমে পাইলস এর চিকিৎসা

পাইলস এর ঘরোয়া চিকিৎসা সমূহের মধ্যে বরফের ব্যবহার খুবই কার্যকরী ও আরামদায়ক ও বটে। সাময়িক স্বস্তির জন্য বরফের উপকার অনস্বীকার্য। একটি পরিষ্কার সুতী কাপড়ে কয়েক টুকরা বরফ পেঁচিয়ে নিয়ে পাইলস এর ব্যাথার স্থানে ৮-১০ মিনিট চেপে ধরুন; এতে করে মলদ্বারের রক্তনালী সমূহের রক্ত চলাচল প্রক্রিয়া সচল রাখবে এবং পাইলস এর ব্যাথা উপশম করবে।

 

 

পাইলস এর ঘরোয়া চিকিৎসা: ২১ দিনে নিয়ন্ত্রণ করুন পাইলস বা অর্শ রোগ

প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর পূর্বে একটি কলা ও দুইটি রাস্পবেরি ভালো করে চামচ দিয়ে মিশিয়ে খেয়ে নেবেন। কিছুদিন খাওয়ার পরে আশাকরি ভালো পরিবর্তন পরিলক্ষিত হবে। অনেকের রোগের তীব্রতার উপর ভিত্তি করে সময় একটু বেশি ও লাগতে পারে। তাই যতদিন পুরোপুরি সুস্থ না  হন, ফল দুটি খেয়ে যাবেন। কলা’র পটাশিয়াম ও রাস্পবেরীর ফাইবার ও এন্টি-অক্সিডেন্ট রোগীর মূল নরম করবে ও ধীরে ধীরে পাইলস এর সমস্যা সম্পূর্ণ রূপে ভালো করবে।

যারা এই চিকিৎসাটি গ্রহণ করতে মনস্থ করেছেন, তারা অবস্যই বেশি বেশি আঁশ যুক্ত খাবার খাবেন, প্রতিদিন প্রচুর পানি খাবেন।  আর উপরে উল্লেখিত পাইলস প্রতিরোধের উপায় সমূহ মেনে চলবেন।

 

 

 

মুলার জুস পান করার মাধ্যমে পাইলস এর চিকিৎসা

প্রতিদিন আধা কাপ মুলার জুস পান করার মাধ্যমে আপনি আপনার পাইলস বা অর্শ সম্পূর্ণরূপে ভালো করতে পারেন।

 

ডুমুর ভেজানো পানি পান করার মাধ্যমে পাইলস এর চিকিৎসা

কয়েকটি শুকনো ডুমুর ফল এক গ্লাস পানিতে সারারাত ভিজিয়ে রেখে ভোর বেলা খালি পেটে  তার অর্ধেক পরিমান পানি খাবেন। বাকি অর্ধেক খাবেন বিকেলে বা সন্ধ্যায়। কিছুদিন খেলেই বুঝতে পারবেন পরিবর্তন।

 

 

বেদানার মাধ্যমে পাইলস এর চিকিৎসা

একটি ছোট সাইজ এর বেদানার দানাগুলো ছাড়িয়ে নিন। এরপর এক গ্লাস পরিমান পানির মধ্যে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। এই ফোটানো পানি ঠান্ডা হলে দৈনিক দুই বার পান করুন। পাশাপাশি পাইলস প্রতিরোধের উপায় গুলো মেনে চলুন। আশাকরি আপনার পাইলস এর ঘরোয়া চিকিৎসা এর মাধ্যম আপনার রোগ সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যাবে।

 

কাঁচা হলুদ এর মাধ্যমে পাইলস এর চিকিৎসা

একটি ছোট সাইজ এর ২ টুকরা হলুদ এক গ্লাস পানিতে ভালো করে ফুটিয়ে দিনে দুইবার পান করুন। অর্শ সমস্যা থেকে পরিত্রান পাবেন।

 

ইসুবগুলের ভুষির মাধ্যমে পাইলস এর চিকিৎসা

প্রতিদিন রাত এ শোবার পূর্বে ইসুবগুল ভেজানো এক গ্লাস পানি পান করবেন। আবার ঘুম থেকে উঠে ভোর বেলা আরেক গ্লাস পান করবেন। সাথে আঁশযুক্ত খাবার খাবেন ও প্রচুর পানি পান করবেন। আশাকরি চমৎকার ফল পাবেন।

 

 

পরিশেষে, পাইলস এর ঘরোয়া চিকিৎসা এর মাধ্যমে প্রাথমিক পর্যায়ের পাইলস সাধারণত ভালো হয়ে যায়। কিন্তু একটু অসুখের তীব্রতা বেড়ে গেলে ঘরোয়া চিকিৎসা আপনাকে সুস্থ না ও করতে পারে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে অভিজ্ঞ ডাক্তার এর শরণাপন্ন হতে হবে। যদি সময়মতো চিকিৎসা না নেন, তাহলে হয়তো অপারেশন পর্যন্ত ও যেতে হতে পারে।

যাদের এখনো পাইলস এর মতো খারাপ রোগ হয়নি, তারা পাইলস প্রতিরোধের উপায়গুলো খুব গুরুত্ব সহকারে মেনে চলুন, আর যাদের লক্ষণ দেখা দিয়েছে, তারা দ্রুত কোনো অভিজ্ঞ ডাক্তার এর পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা শুরু করে দিন। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে সমস্ত রোগ-ব্যাধি থেকে হেফাজত করুন। আমীন।

উপরোক্ত তথ্য গুলো   

 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © সুরক্ষা ডট কম |  ফেইজ থেকে সংকলিত 



চিকিৎসা৷৷   ৷  চিকিৎসা    চিকিৎসা  চিকিৎসা   

 

অর্শ- গেজ - ভগন্দর- পাইলস-পেস্টুলা নিরাময়= 


যাদের অর্শ,পায়ু পথ ফোলা,ব্যথা,জালাপোডা করে মলদ্বারে গেজ,ভগন্দর, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে,আন্ত্রিক প্রদাহ নিরাময়ে কার্যকর 


১, ঃ-  " ডি ফাইলস" ট্যাব এন্ড সিরাপ  কার্যকরী। 


আর তাছাডা 

অর্শ, পায়ু পথ ফোলা , পায়ু পথে অর্শের ক্ষত,ব্যথা,জালাপোডা, গেজ, ইত্যাদি নিরাময়ে কার্যকরী ঃ- 

২ ঃ- হাব্বে বা ওয়াসীর  বাদী 

৩ ঃ- মরহম জাদীদ 

মর্ডান হারবাল কোং ডাঃ আলমগীর মতী।

বিকাশ পেমেন্টের মাধ্যমে আপনার নিকটস্থ যে কোন কুরিয়া, পোস্ট অফিস মারফত আপনার ঠিকানায় পৌঁছে যাবে। 

সার্ভিস সার্জ ১৫০ টাকা। 

সৌজন্যে 

প্রাকৃতিক চিকিৎসা নিতে আমাদের ভূবনে স্বাগতম, 

সার্বিক যোগাযোগ ঃ- 

00966504967863 ওয়াতসাফ/ইমু 


,।




মঙ্গলবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮

ধাতুক্ষয় ও যৌন সমস্যার স্হায়ী সমাধান

 আমাদের যুব সমাজের অনেকই কমন একটি সমস্যায় ভূগে থাকেন ১৮-হতে৩৫-৪০ বছর বয়স পর্যন্ত এটি যেমন অবিবাহিতদের হয়ে থাকে তেমনি বিবাহিতদের ও হয়ে থাকে বিশেষত যারা প্রবাসে বা ফ্যামেলি থেকে দূরে থাকেন তাহল ধাতু ক্ষয়   । এ রোগটি সাধারণত কোন জটিল সমস্যা না হলেও কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদী ভুগতে থাককে শারীরিক মানসিক অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে।      এটি বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে।  

১,যে কোন ধাতুক্ষয় প্রমেহ, সমাধান ঃঃ- 

অল্প উত্তজনায় লিঙ্গের মাথায় আঠালো  পানি আসা,যৌন কল্পনা করা বা কোন ছবি দেখা বা জীবন সঙ্গীনির সাথে ফোনালাপের সময় ও লিঙ্গ দিয়ে তরল পানি বের হয়ে আসা,পেশাব করার সময় ঝাকুনি দিয়ে কিছু বের হওয়া, পেশাবে সাথে বা আগে পরে সাদা আঠালো জাতীয় ধাতু নির্গত হওয়া সহ যে কোন ক্ষয় জনিত সমস্যায়
বিশেষ উপকারী।
"হরমোঘট" Hormo Ghout " tb আয়ুর্বেদিক  ফর্মুলায় তৈরী। পাশ্ব পতিক্রিয়া মুক্ত। দাম মাত্র  ৯০০ টাকা। 

আল্লাহর রহমত হলে রোগ নতুন হলে১ /২ ফাইল আর পুরনো হলে ৪ ফাইল  যথেষ্ট ইনশাআল্লাহ।
বিকাশ পেমেন্টের মাধ্যমে আপনার নিকটস্থ যে কোন কুরিয়া, পোস্ট অফিস মারফত আপনার ঠিকানায় পৌঁছে যাবে। 

সার্ভিস সার্জ ১৫০ টাকা।
সৌজন্যে
প্রাকৃতিক চিকিৎসা নিতে আমাদের ভূবনে স্বাগতম,
সার্বিক যোগাযোগ ঃ-
ভূঁইয়া ন্যাচরাল  হার্বস
01829318114
00966504967863 ওয়াতসাফ/ইমু
 
তাছাডা 


স্হায়ী ভাবে যৌন চিকিৎসা 
(২)  " Jinsin" জিনসিং USA তৈরী-
এটা স্হায়ী ভাবেযৌন শক্তিবর্ধক হিসাবে কাজ করে, যারা অতিরিক্ত মাস্টারবেশন,স্বপ্ন দোষ বা অন্য কারণ যৌন শক্তি হারিয়ে ফেলছেন, মাস্টারবেশন বা হস্তমৈথুনের কারনে  পেনিসের টিসু ডেমেজ হয়ে পেনিস নরম হয়ে গেছে ঠিকমত শক্ত হয়না, টাইমিং কম পান তাদের জন্য বিশেষ কার্যকর। 
এটা সেবনে সাধারন দুর্বলতা, যৌন দুর্বলতা,উদ্দিপনা বাডাবে,স্হায়ীত্ব বা টাইমিং বাডাবে,বীর্য উতপাদন শুক্রানু বৃদ্ধি ও শক্তিশালী করবে, রক্ত সন্চালনের কারনে   পেনিস শক্তিশালী হবে ক্রমান্নয়ে।

jinsin এর আরও  উপকারিতা –
1-শক্তি বর্ধক হিসেবে জিনসেং দারুন কার্যকরী।
2-পুরুষের #যৌন সমস্যার একমাত্র সমাধান। 
3-শারিরিক শক্তি বাড়ায় এবং দুশ্চিন্তা ও হতাশা দূর করে।
4-মানসিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
5-মনযোগ, স্মৃতিশক্তি, কথা শোনার সাথে সাথে বুঝতে পারার ক্ষমতা,শেখার ক্ষমতা,কল্পনাশক্তি, বিচারবুদ্ধি, চিন্তা শক্তি ও সমস্যা সমাধান করে কোন একটা সিদ্ধান্তে পৌছানোর ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
6-কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমাতে সহায়তা করে।
7-অনিদ্রা জনিত কারনে শারীরিক ও মানসিক সৃষ্ট রোগের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
8-অস্থিরতা দূর করে মনকে সতেজ ও প্রফুল্ল রাখতে সাহায্য করে।

মূল্য ২৫০০৳, পুল কোর্স ৩ ফাইল।  







3  . sex pills এ যাবতকালের সর্ব শ্রেষ্ঠ ও নিরাপদ পার্শপ্রতিক্রিয়াহীন সেক্সুয়াল হারবাল usa মেডিসিন



" Sex pills," 
এ যাবত কালের সর্ব শ্রেষ্ঠ usa তৈরী সেক্সীয়াল সমস্যায় স্হায়ী সমাধানে কার্যকরী হারবাল প্রোাক্ট হিসাবে পরিচিতি লাভ করে।ইহা বীর্য স্তবক টাইমিং উত্তেজনা শক্ত মজবুত দীর্ঘ স্হায়ীত্ব সহ হস্তমৈথুন জনিত যাবতীয় সমস্যায় কার্যকরী। শুধু মাত্র প্রাপ্ত বয়স্ক ও বয়স্ক ও বিবাহিত রুগিদের জন্য কার্যকরী । এ ঔষধটি এক ফাইল সেবনে দীর্ঘ দিন সুস্হ থাকা যায় ।পার্শপ্রতী ক্রিয়া মূক্ত সম্পুর্ণ ন্যাচরাল /হারবাল /আয়ুর্বেদিক প্রোডাক্ট 


সার্বিক যোগাযোগ ঃ- 
ভূঁইয়া ন্যাচরাল  হার্বস
01829318114 


তাছাডা

 (৩ )  "MAX MAN " ( men Enlarging gel) 
 থাইল্যান্ড এর তৈরী  এটা জেলী শুধু মাত্র লিঙ্গে মালিশ হিসাবে ব্যবহার, 
এটা হস্তমৈথুনের কারনে পেনিসের টিসু ডেমেজ হয়ে ব্লাড সার্কুলেশন কমে গিয়ে লিঙ্গ ছোট হয়ে গেলে লিঙ্গকে পুনঃ শক্তিশালী মোটা তাজা করতে কার্যকর। 

মূল্য  ৩০০০৳। 

সতর্কতা ঃ- কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই, 
শুধু  মাত্র  প্রাপ্ত বয়স্কদের  জন্য। 

বিকাশ পেমেন্টের মাধ্যমে দেশের  যে কোন জায়গায় কুরিয়ার,  পোস্ট অফিস, এস এ পরিবহন মাধ্যমে পাঠানো হয়ে থাকে।

 সার্ভিস  সার্জ ১৫০ টাকা। 

সৌজন্যে  
প্রাকৃতিক চিকিৎসা নিতে আমাদের ভূবনে স্বাগতম 
যোগাযোগ  
যোগাযোগ ঃ- 
ভূঁইয়া ন্যাচরাল  হার্বস
01829318114 

০০৯৬৬৫০৪৯৬৭৮৬৩  ওয়াতসাফ/ ইমু  


VigRX Made in Canada 60,Capsule

ভিগরেক্স গোপনাঙ্গ বড় মোটা ও শক্ত দ্রতপতন রোধ করার ঔষধ। 
--------------------------------------------------------------------------(কানাডার তৈরী) সম্পুর্ণ হারবাল প্রোডাক্ট,১০০% ন্যাচরাল। 
অনেকেই অতিরিক্ত হস্তমৈথুন এর ফলে লিঙ্গ ছোট ও নিস্তেজ করে ফেলেছেন।
আগের মত শক্ত হয়না। আকারে ছোট।
উত্তেজিত অবস্থায় হঠাৎ লিঙ্গ নেতিয়ে পড়ে।
১ বার সহবাস করলে দ্বিতীয়বার সহজে শক্ত হতে চায়না।
এই সমস্যার সমাধান পেতে ( ভিগরেক্স ) ব্যাবহার করে আপনি আপনার গোপনাঙ্গকে স্থায়ীভাবে শক্ত মোটা ও লম্বা করতে পারবেন।
ভিগরেক্স যে যে কাজ করে 
১, গোপনাঙ্গ বড় করে
২, গোপনাঙ্গ মোটা করে
৩, গোপনাঙ্গ শক্ত করে 
৪, সেক্স টাইম বাড়ায়
৫, উত্তেজনা বাড়ায়
৬, বীর্য উৎপাদন করে
-----------------------------------------------------
ভিগরেক্স এর বর্তমান মূল্য: 5000  টাকা মাত্র ।



আমরা দেশের যে কোন জায়গায় কুরিয়ারের মাধ্যমে ঔষধ পাঠিয়ে থাকি,তবে কুরিয়ার ও বিকাশ সার্জ প্রযোজ্য 
আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।
এখন থেকে আমরা দেশী বিদেশী বেশ কয়েকটি ঔষধ যা অত্যধিক কার্যকরী ব্যবহারীত ও শংকামুক্ত, রুগিদের দেয়ার চিন্তা করেছি আরও ভাল ফলাফলের জন্য।


হাকিম জসিম উদ্দিন কর্তৃক আমদানীকৃত 
বিস্তারিত জানতে অথবা অর্ডার করতে ফোন করুন ।
মোবাইল- +966504967863 ওয়াতসাফ/ ইমু 



Jinsin 


maxmen gel  

 
  

সার্বিক যোগাযোগ ঃ- 
ভূঁইয়া ন্যাচরাল  হার্বস
01829318114 


সোমবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮

মুক্তিযুদ্ধে আলেমদের অবদান স্বরনীয়


মুক্তিযুদ্ধে আলেমদের অবদান স্বরনীয়,

মুহাম্মদ শফিকুর রহমান | জানুয়ারী , ২০১৮, 

মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে অনেক আলেম মূল্যবান ভূমিকা রেখেছেন। কেউ কেউ সরাসরি যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। অনেকে পালিয়ে থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য সহযোগিতা করেছেন। কেউ কেউ মুক্তিযুদ্ধে যেতে মানুষকে উৎসাহিত করেছেন। মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগীশ ২৪৩ দিন আত্মগোপনে থেকে নেতৃত্ব দেন। তার পরামর্শে অসংখ্য মানুষ যুদ্ধে অংশ নেয়। পাকিস্তানী হানাদাররা তার বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দেয়। হাতিয়ার মাওলানা মোস্তাফিজ, চট্টগ্রামের মাওলানা ছৈয়দ, ছাগল নাইয়ার মাওলানা মাকসুদ প্রমুখের নাম এ প্রসঙ্গে স্মরণ করা যায়। ২৬ মার্চ পাক হানাদারদের গুলিতে প্রাণ হারান ঢাকার হাতিরপুল মসজিদের ইমাম। বৃহত্তর ময়মনসিংহের ইমাম মাওলানা ইরতাজ আলি কাসিমপুরী পরাধীন দেশে জুমআর নামাজে ইমামতি করতে অস্বীকৃতি জানান। পাকিস্তানী হানাদাররা তাকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে। এই ইরতাজ আলি কাসিমপুরীর কথা হুমায়ূন আহমেদ তার বিখ্যাত উপন্যাস জোছনা ও জননীর গল্পে উল্লেখ করেছেন।
স্বাধীনতা যুদ্ধকে ইসলাম সমর্থন দেয়। দাসত্ব গোলামিকে নয়। সে কারণে আলেমদের অনেকেই পাকিস্তানী শাসকদের জুলুম, নির্যাতনের প্রতিবাদ করেছেন। তাদের এই অবস্থান সেটা কোরআন হাদীস সমর্থিত। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, যে মুক্ত করে তাদের, তাদের গুরুভার হতে ও শৃঙ্খলা হতে যা তাদের ওপর ছিল, সুতরাং যারা তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে, তাকে সম্মান করে এবং যে নূর তার সঙ্গে অবতীর্ণ হয়েছে তার অনুসরণ করে তারাই সফলকাম। (সুরা আল আরাফ, আয়াত-১৫৭)। তোমরা আল্লাহ ও রাসূলের আনুগত্য কর এবং তোমাদের ন্যায়পরায়ণ শাসকের আদেশ মেনে চল। (সূরা নিসা, আয়াত-৫৯)। দেশপ্রেম তথা দেশকে ভালোবাসা ঈমানের অংশ। ঈমানের বহিঃপ্রকাশ। আল্লাহর পথে একদিন ও এক রাত সীমান্ত পাহারা দেয়া এক মাস পর্র্যন্ত সিয়াম পালন ও এক মাসব্যাপী রাতে সালাত আদায়ের চেয়ে বেশি কল্যাণকর। যদি এই অবস্থায় সে মৃত্যুবরণ করে তাহলে যে কাজ সে করে যাচ্ছিল, তার মৃত্যুর পরও তা তার জন্য অব্যাহত থাকবে। কবর হাশরের ফিতনা থেকে সে নিরাপদ থাকবে (মুসলিম শরীফ- ১৯৪৩)।
নীরবে নিভৃতে বহু আলেম মুক্তিযুদ্ধে অবদান রেখেছেন। যশোর রেল স্টেশন মাদরাসার মুহতামীম দেওবন্দ ফারেগ মাওলানা আবুল হাসান যশোরীর কথা বলা যায়। তিনি এবং তার মাদরাসার ছাত্ররা মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন দিয়েছেন। তার মাদরাসার ছাত্ররা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। ১৯৭১ সালের ৮ এপ্রিল তার মাদরাসায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী হামলা করে। শহীদ হন ২১ জন। যাদের মধ্যে একজন সম্মানিত আলেম হাবীবুর রহমান, ৫ জন ছাত্র এবং বাকীরা ছিল ওখানে আশ্রয় নেয়া মুক্তিযোদ্ধা। মাদরাসা প্রাঙ্গনে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের কবর রয়েছে। ওই হামলায় যাশোরী গুলিবিদ্ধ হয়ে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান। পরে ১৯৯৩ সালে যশোরী ইন্তেকাল করেন। কথা সাহিত্যিক আনিসুল হকের মা উপন্যাসে আজাদের মা সাফিয়া বেগম তার ছেলে আজাদকে পুরান ঢাকার জুরাইনের পীরের নির্দেশে মুক্তিযুদ্ধে প্রেরণ করেন। জুরাইনের পীরের আসল নাম ছিল মাওলানা মুহাম্মদ কামরুজ্জামান চিশতী। এই জুরাইনের পীরের বহু মুরীদ মুক্তিযোদ্ধা ছিল। জুরাইনের পীর সাহেব নিজে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন দিয়েছিলেন। (তথ্য সূত্র: আলেম মুক্তিযোদ্ধার খোঁজে-লেখক সাংবাদিক শাকের হোসাইন শিবলী)। মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান পটিয়া মাদরাসায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। তখন তাকে আশ্রয় দিয়েছিলেন পটিয়া মাদরাসার মুহতামীম আল্লামা দানেশ রহমাতুল্লাহ আলাইহি। এ ঘটনা জানতে পেরে পাক বাহিনী নির্বিচারে বোমা হামলা করে। শহীদ হন আল্লামা দানেশ রহমাতুল্লাহ আলাইহিসহ আরো অনেকে। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বেলাল মোহাম্মদের লেখা ‘স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র’ বইটির ৫৪,৫৫,১০২ পৃষ্ঠায় এই ঘটনার বর্ণনা রয়েছে।
২নং সেক্টরের যোদ্ধা মেজর কামরুল হাসানের লেখা ‘জনযুদ্ধের গণযোদ্ধা’ বইটিতে কুমিল্লার মুরাদনগরের কাশিমপুরের পীর এবং বরিশালের মরহুম চরমোনাইয়ের পীর এসহাক রহমাতুল্লাহর নাম উল্লেখ করেছেন। যারা বিভিন্নভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য সহযোগিতা করেছেন। হাকীমুল উন্মত মাওলানা আশরাফ আলী থানভীর সর্বশেষ জীবিত খলিফা হাফেজি হুজুর (র.) মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন দিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ সর্ম্পকে তার মতামত জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এটা হচ্ছে জালেমের বিরুদ্ধে মজলুমের যুদ্ধ। পাকিস্তানিরা হচ্ছে জালেম আর আমরা বাঙ্গালীরা হচ্ছি মজলুম। এ রকম বহু আলেম ওলামা পীর মাশায়েখের কথা উল্লেখ করা যায়। যারা কেউ কেউ মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। কেউ কেউ মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করেছেন। এই সত্য অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। তবে মুক্তিযুদ্ধে আলেমদের অংশগ্রহণ নিয়ে তেমন সাহিত্যকর্ম হয়নি। প্রবন্ধ, নিবন্ধ, বই প্রকাশ হয়েছে কম। যেটা হচ্ছে তা হল আলেমদের নেগেটিভভাবে তুলে ধরা। বাংলাদেশের প্রকৃত আলেমরা ন্যায়ের পক্ষে, অন্যায়ের বিপক্ষে সব সময়। মুক্তিযুদ্ধে তাদের অবদান অনেটাই অন্তরালে আছে। তাই মুক্তি সংগ্রামে আলেমদের অবস্থান, তাদের বীরত্ব নিয়ে সহিত্যকর্ম হওয়া দরকার। 
লেখক: ইসলামী গবেষক ও সম্পাদক, মাহে রমজানের ডাক

 সূত্রঃঃঃ - ইনকিলাব জানুয়ারী২০১৮   

দেশ স্বাধীনতায় আলেম মুক্তিযোদ্ধা

দেশ স্বাধীনতায় আলেম মুক্তিযোদ্ধা :
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
স্ব-অধীনতা থেকে স্বাধীনতা শব্দের উৎস যার
অর্থ নিজের অধীনে হওয়া। অন্য কথায় নিজের
ইচ্ছা অভিপ্রায় অনুযায়ী চলা। কিন্তু প্রকৃতার্থে
কোন মানুষই স্বাধীন নয়। তাকে স্রষ্টার
অধীনে থাকতে হয়। আবার নিজের স্বাধীনতা
ভোগ করতে গিয়ে অন্যের স্বাধীনতায়
হস্তক্ষেপ করাও স্বধীনতা বিরোধী কাজ। তাই
মানুষ ইচ্ছে করলেই তার সকল কাংখিত জিনিস অর্জন
করতে পারে না। পারে না চিরদিন বেঁচে থাকতে।
অতএব নিজের সকল আশা আকাংখা পূরণের নাম
স্বাধীনতা নয়; বরং আল্লাহর প্রদত্ত বিধি-বিধানের
সীমার মাঝে অবস্থান করে প্রত্যেক ব্যক্তি
সমাজ কিংবা রাষ্ট্রের জন্য আল্লাহ প্রদত্ত সকল
নেয়ামতের যতটুকু তার অধিকার ততটুকু ভোগ-
ব্যবহার ও প্রয়োগ করতে পারাকে স্বাধীনতা
বলে। অথবা স্বাধীনতা মানে মানুষের মৌলিক অধিকার
নিশ্চিত করা। আর তা হল স্বাধীনভাবে ধর্ম পালন ও
বেঁচে থাকার অধিকার। খাদ্য-বস্ত্র বাসস্থান শিক্ষা ও
চিকিৎসার অধিকার, জান-মালের ইজ্জত রক্ষার অধিকার।
যে দেশে জাতির এসব অধিকার ভোগ করতে বাধা
বিপত্তির শিকার হয় না তারাই প্রকৃত স্বাধীন। শুধু এক
টুকরো স্বাধীন ভূমি আর পতাকা অর্জনের নাম
স্বাধীনতা নয়; তবে স্বাধীনতা ছাড়া কে চায়
বাচতে? জন্ম স্বাধীন মানুষ পরাধীনতার আত্মীয়
নয়। আর বাংলাদেশ চিরদিনই স্বাধীনতার জন্য সেই
ব্রাহ্মবাদের কবল থেকে নিস্তারের লড়াই করে
আসছে। আর কেনই বা করবে না, মাতৃভূমির প্রতি
ভালবাসা সে যে ঈমানেরই অংশ! তাই সেন রাজাদের
আধিপত্য থেকে মুক্তির আকুতি হাজার বছর আগের।
সেই আকুতিতে ছিল স্বাধীনতার তামান্না, মুক্তির
স্বপ্ন, অপরদিকে উলামায়ে কিরামের সমৃদ্ধ ইতিহাস-
ঐতিহ্য। ধর্ম দেশ জাতি এমনকি সকল ক্ষেত্রে
রয়েছে তাদের গৌরবময় অবদান। এ ধারাবাহিকতার
ব্যত্যয় ঘটেনি ১৯৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধেও;
এমনকি সকল স্বাধীনতা সংগ্রামে আলেম সমাজ
ছিলেন অগ্রগামী।
প্রিয় পাঠক !
স্বাধীনতার ইতিহাস আলোচনা করতে হলে
প্রথমে দৃষ্টি যায় স্বাধীনতার দুটি অধ্যায়ের দিকে
(১) বৃটিশের কবল থেকে ভারত পাকিস্তানের
স্বাধীনতা
(২) পাকিস্তানের কবল থেকে বাংলাদেশের
স্বাধীনতা।
কারণ ভারত পাকিস্তান স্বাধীন না হলে বাংলাদেশ
স্বাধীন হত না। এছাড়াও ইসলামের পূর্বে আরবরা
ভারতের বিভিন্ন স্থান দিয়ে চীনে ব্যবসার জন্য
আসা-যাওয়া করত। যখন আরবরা মুসলমান হলো তখন
তারা ব্যবসার উদ্দেশ্য বাদ দিয়ে ইসলাম প্রচারের
জন্য ভারত আসতে লাগল ও তাদের সততা আচরণে
অনেকে মুসলমান হয়ে গেলো, এমনকি
ততকালীন ভারতের বাদশাহ চেরোমোন
পোরোমলও মুসলমান হয়েছিল। সেসময় তিনি
অনেক মসজিদও তৈরি করছেন। আবার ভারতে
অনেক ওলী দরবেশের আগমনও ঘটেছে।
মুসলমানরা ৭৫০ বছর বিশাল ভারত শাসন করল। কিন্তু এক
পর্যায়ে ইংরেজরা ব্যবসার নামে ভারতে আসতে
শুরু করল। আস্তে আস্তে তাদের অর্থনৈতিক ও
সামরিক শক্তি মজবুত হলো আর মুসলিম শাসকদের
উদাসিনতার সুযোগে ভারতের শাসন ক্ষমতা হস্তগত
করতে থাকে। তারা পুরো ভারত দখলের চক্রান্তে
মেতে উঠে। এর প্রতিবাদে মুসলমানদের
উদ্যোগে ১৭৫৭ সালে পলাশীল প্রান্তর রক্তাক্ত
হয়। অতপর ১৭৯৯ সালে কুরআনের হাফেজ বিশিষ্ট
আলেম ফতেহ আলী উরুফে টিপু সুলতানের
নেতৃত্বে হায়দারাবাদে ইংরেজদের বিরুদ্ধে
রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হয়। ইংরেজদের কবল থেকে
১৯৪৭ সালে এ দেশ স্বাধীন হওয়ার আগ পর্যন্ত
র্দীঘ দুইশত বছর বিভিন্ন যুদ্ধ আভিযানে আলেম
সমাজই নেতৃত্ব দিয়ে ছিলেন। আরো আগ বাড়িয়ে
বলা যায় ১৭৬৩ সালে বৃটিশদের বিরুদ্ধে ফকীর
বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেন মাদানী তরীক্বার
পীর ফকীর নেতা মজনু শাহ। ১৮১৮ সালে
ফারায়েজী আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন মাওলানা
হাজী শরীয়তুল্লাহ। ৬ মে ১৮৩১ সালে
ইংরেজদের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক বালাকোটের
যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন এবং শেষ পর্যন্ত শহীদ হন
মাওলানা সায়্যিদ আহমাদ ও মাওলানা ইসমাঈল শহীদ রহ.।
১৮৩১ সালে বাশেরকেল্লার নেতৃত্ব দেন সায়্যিদ
আহমাদ শহীদের শিষ্য হাফেজ নেসার আলী
উরফে তীতুমীর। ইংরেজ ও তাদের দোসর
শিখদের বিরুদ্ধে শামেলীর যুদ্ধে সেনাপতি
ছিলেন দারুল উলূম দেওবন্দের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা
কাসেম নানুতবী রহ.। ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিপ্লব
বনাম জনতার বিপ্লবের নেতৃত্ব দেন শায়খ
ইমদাদুল্লাহ মুহাজেরে মক্কী, মাওলানা কাসেম
নানুতবী, মাওলানা রশীদ আহমাদ গাঙ্গুহী, মাওলানা
যামেন শহীদ, মাওলানা জাফর থানেশ্বরী প্রমূখ
রহ.। ১৮৬৬ সালে দেওবন্দ আন্দোলনের
নেতৃত্ব দেন সমস্ত উলামায়ে দেওবন্দ। ১৯১৬
সালে রেশমী রুমাল আন্দোলনের নেতৃত্ব
দেন শাঈখুল হিন্দ মাওলানা মাহমুদুল হাসান দেওবন্দী
ও মাওলানা হুসাইন আহমাদ মাদানী এবং মাওলানা উবাইদুল্লাহ
সিন্ধী রহ.। ১৯২০ সালে খেলাফত আন্দোলনের
নেতৃত্ব দেন মাওলানা শওকত আলী ও মুহাম্মাদ
আলী রহ. ভ্রাতৃদ্বয়। মোট কথা পরাধীনতার পর
থেকে ১৯৪৭ সালের স্বাধীনতার আগ পর্যন্ত
ছোট-বড় সকল আন্দোলনে আলেম সমাজই
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। এমনিভাবে পাকিস্তান
গঠনের দুই বছরের মাথায় রাষ্ট্র ভাষা বাংলার দাবীতে
সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। ৯ম মার্চ ১৯৪৯ ইং এই কমিটির
সভাপতি ছিলেন মাওলানা আকরাম খাঁ। তারপর ১৯৫২ সালে
যখন বাংলার দামাল ছেলেরা ভাষা আন্দোলন করে
তখন আলেম সমাজের প্রতিনিধি মাওলানা আতহার
আলী রহ. বলেছিলেন উর্দুর সাথে বাংলা ভাষাকেও
রাষ্ট্র ভাষা ঘোষণা করতে হবে। অন্যদিকে
মুজাহিদে আযম শামসুল হক্ব ফরিদপুরী রহ. সেদিন
সিংহের ন্যায় গর্জে উঠে বলেছিলেন, বাংলা ভাষা
কে রাষ্ট্র ভাষার মর্যাদা দেওয়া ন্যায্য অধিকার।
আমাদের এ দাবী মানতেই হবে। আরেক বীর
পুরষ মাওলান আব্দুর রশীদ তর্কবাগীশ যিনি
সর্বপ্রথম পাকিস্তানের গণ পরিষদে ইংরেজী ও
উর্দুর পরিবর্তে বাংলা ভাষায় বক্তব্য দেন। এটা
তখনকার কথা যখন এ দুঃসাহস আর কোন বাঙালী
নেতা দেখাতে পারেনি। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের
কিংবদন্তি মাওলানা ইসমাইল হুসাইন সিরাজী রহ. ও মাওলানা
আব্দুল হামীদ খান ভাষানী রহ. এর ইতিহাস তাঁরকার
ন্যায় উজ্জ্বল। এমনি ভাবে ৫২ এর ভাষা
আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন আরেক প্রবাদ
পুরুষ মাওলানা মহিউদ্দীন খান যিনি মাসিক মদিনার সম্পাদক।
ভাষা আন্দোলনের সময় ছাত্রদের বিশাল মিছিল
নিয়ে তিনি ভিক্টোরিয়া পার্কে যান।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমাদের এই দেশ
পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী থেকে মুক্ত হয়।
এদেশের আলেম সমাজ সহ অনেকেই
এদেশের মুক্তিকামী মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে
দেশের মানুষকে পাকিস্তানী জালিম শাসকদের
কবল থেকে মুক্ত করেছিলেন। অসংখ্য উলামায়ে
কেরামগণ তাদের জান মাল, শক্তি সামর্থ দিয়ে এ
দেশের মাজলুম জনগণের স্বার্থে মুক্তিযুদ্ধে
অংশ গ্রহণ করেছেন।
সবচেয়ে বেশী #রক্ত ঝরেছে এবং #লাশ
পড়েছে তাঁদেরই (আল্লাহ তাঁদের জান্নাতের উচ্চ
মাকাম ও উচ্চ শ্রেণীর শহীদ হিসেবে কবুল
করুন । আমীন) । অমানবিক নির্যাতনের শিকার
হয়েছেন তাঁরাই। প্রতিটি আন্দোলনের মূল চালিকা
শক্তি ও উদ্যোগ ও নেতৃত্বে ছিলেন আলেম
সমাজ। কিন্তু আজ তা চাঁপা পড়ে আছে; বরং বলা যায়
চেঁপে রাখা হচ্ছে। চেপে রাখা সেই বিপ্লবী ও
সোনালি ইতিহাস খানিকটা তুলে ধরার চেষ্টা করব
ইনশাআল্লাহ।
“মুক্তিযুদ্ধ কালিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানি
রাষ্ট্রদূত আগা শাহীর সাক্ষাৎকার, যা মার্কিন টেলিভিশন
এ.বি.সি. এর মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছিল। ওই
সাক্ষাৎকারে সাংবাদিক বব ক্লার্কের এক প্রশ্ন
থেকে স্পষ্ট প্রমাণিত হয়, আলেম সমাজ
মুক্তিযুদ্ধে জনগণের পাশে ছিলেন এবং সার্বিক
ভাবে সহযোগিতা করেছেন।
[এম আর আখতার মুকুল, আমি বিজয় দেখেছি,
বিস্তারিত পৃষ্ঠা নং – ১৬৭]
১৯৭১ সালে ইসলাম রক্ষার নামে পাকিস্তানি হানাদার
বাহিনী নিরাপরাধ বাঙালিদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।
ফলে মুলত ৭১ সালে ইসলাম ও মুসলমানই সবচেয়ে
বেশি আক্রান্ত হয়েছিল। তৎকালিন পাকিস্তানের
করাচির অনেক আলেমও শেখ মুজিব তথা
বাংলাদেশকে সমর্থন জানিয়ে ছিলেন। সিলেটের
জকিগঞ্জ এলাকার মাওলানা আব্দুস সালাম ১৯৭১ সালে
করাচির ইউসুফ বিন্নুরী মাদরাসার ছাত্র ছিলেন।
বাংলাদেশে যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে এক ছাত্র করাচি
মাদরাসার ইমাম মুফতি মাহমুদ সাহেবকে প্রশ্ন
করলেন, ‘হযরত মুজিব গাদ্দার কো গ্রেফতার কর
লে আয়া, লেকিন আবি তক কতল বী নেহি কিয়া?’
শেখ মুজিব গাদ্দারকে তো ধরে নিয়ে আসা
হয়েছে কিন্তু এখনও হত্যা করা হয় নাই? প্রশ্ন
শুনেই মুফতি সাহেব খুব ক্ষুব্ধ হয়ে বললেন,
‘শেখ মুজিব গাদ্দার নেহি, অহ সুন্নি মুসলমান হে,
ইয়াহিয়া আওর ভূট্টো শিয়া হে। হর সুন্নি মুসলমানে কি
জান আওর মাল কি হেফাজত করনা হর সুন্নি
মুসলমানকে লিয়ে ওয়াজীব হে’। শেখ মুজিব
গাদ্দার না; বরং তিনি একজন সুন্নি মুসলমান। ইয়াহয়া এবং
ভুট্রো শিয়া ! প্রত্যেক সুন্নি মুসলমানের উপর
অপর সুন্নি মুসলমানের জান মাল হেফাজত করা
ওয়াজিব। বাংলাদেশের বিখ্যাত আলেম ও বুযুর্গ
আল্লামা মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জি হুজুর রহ. এবং এমদাদুল
হক আড়ইহাজারী রহ. ১৯৭১ সালে বলেছিলেন, “এ
যুদ্ধ ইসলাম আর কুফরের যুদ্ধ নয়, এটা হল জালেম
আর মাজলুমের যুদ্ধ”। পাকিস্তানীরা জালেম আর এ
দেশের বাঙ্গালীরা মাজলুম।
কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক উনার মা উপন্যাসে সাফিয়া
বেগমের কথা উল্লেখ করেছেন। সাফিয়া বেগম
উনার ছেলে আজাদ কে পুরান ঢাকার জুরাইন
পীরের নির্দেশে মুক্তিযুদ্ধে প্রেরন করেন।
এই জুরাইন পীরের অনেক মুরীদ মুক্তিযোদ্ধা
ছিল। সক্রিয় ভাবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ
করেছেন অসংখ্য উলাময়ে কেরাম। তাদের মাঝে
উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন-আল্লামা
হাফেজ্জি হুজুর, আল্লামা লুৎফুর রহমান বরুণী,
আল্লামা কাজী মুতাসিম বিল্লাহ, আল্লামা মুফতি নুরুল্লাহ,
আল্লামা এমদাদুল হক আড়াই হাজারী, আল্লামা শামসুদ্দিন
কাসেমী রহ. প্রমুখ। বাংলাদেশের কওমী
মাদরাসাগুলির মধ্যে আয়তনের দিক থেকে
সবচেয়ে বড় মাদরাসা হল চট্রগ্রামের জামেয়া
ইসলামিয়া পটিয়া মাদরাসা। ১৯৭১ সালে এপ্রিল মাসে
মেজর জিয়াউর রহমান এই চট্রগ্রামের পটিয়া মাদরাসায়
আশ্রয় নিয়ে ছিলেন। জিয়াউর রহমান কে আশ্রয়
দেয়ার অপরাধে পটিয়া মাদরাসার শিক্ষক আল্লামা
দানেশ কে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা হত্যা করে।
“পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যখন নিশ্চিত হয় পটিয়া মাদরাসার
আলেমরা মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন করেছে, তখনি
১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল সেই পটিয়া মাদরাসার উপর
জঙ্গি বিমান দিয়ে বোমা বর্ষণ করা শুরু করে।
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর এই বোমা বর্ষণে পটিয়া
মাদরাসার শিক্ষক আল্লামা দানেশ ও ক্বারী জেবুল
হাসান সহ অনেকেই শহীদ হন।
[বেলাল মোহাম্মদ ; স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র;
পৃষ্ঠা – ৫৪, ৫৫ ও ১০২]
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর আল বদর রাজাকার
বাহিনীর হাতে মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন করার কারণে
দেশের একজন স্বনামধন্য মাওলানাও শহীদ
হয়েছিলেন। উনার নাম- মাওলানা অলিউর রহমান। ১৪
ডিসেম্বর উনার ক্ষতবিক্ষত লাশ পাওয়া যায় রায়ের
বাজার। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা বেয়নেট দ্বারা
খুচিয়ে খুচিয়ে উনাকে হত্যা করে। ১৯৭২ সালে তৈরি
শহীদ বুদ্ধিজীবী তালিকায় মাওলানা অলিউর
রহমানের নাম আছে।
১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর মাওলানা মুখলেছুর
রহমানের কাছে কুমিল্লার চান্দিনা থানা পাক হানাদার
বাহিনীর হাত থেকে মুক্ত হয় এবং ১৩৯৫ জন পাক
আর্মি আত্মসমর্পন করে। ১৯৭১ সালে মাওলানা
মুখলেছুর রহমান চাঁদপুরের কচুয়া মাদরাসায়
তাফসীরে জালালাইন পড়াতেন। মাওলানা মুখলেছুর
রহমান এর মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট এর সনদ ক্রমিক
নং ২০২০৬।
“মুক্তিবাহিনীকে সমর্থন করার জন্য রাজবাড়ী
জেল খানার মাওলানা কাজী ইয়াকুব আলীকে হত্যা
করে পাকিস্তানি বাহিনী। মাওলানা কাজী ইয়াকুব
আলীকে গলা কেটে হত্যা করে তারপর তার
পেটের মাঝখানে পাকিস্তানি পতাকা পুঁতে দিয়ে
বলে, ‘আভি শালা জয় বাংলা বোলো’ এখন শালা
জয়বাংলা বল। ( আল্লাহ সেই জালিমের উপযুক্ত
প্রতিদান দিন )
পাবনা সদরের একজন বিশিষ্ট মুক্তিযুদ্ধ ছিলেন,
মাওলানা কাশেম উদ্দিন। শুধু তাই নয় ১৯৭১ সালে এই
দেশে ভারতের দেওবন্দ মাদরাসা কেন্দ্রিক যে
আলেমদের সংগঠন “জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ” ছিল
উনারাও কিন্তু ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের
মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে অনেক ফতোয়া দিয়ে
ছিলেন। “১৯৭১ সালে বাংলাদেশের প্রধান মুহাদ্দিস
শায়খুল ইসলাম আমীমুল এহসান রহ. পাকিস্তানি হানাদার
বাহিনীর বিরুদ্ধে ফতোয়া দিয়েছিলেন।
পরবর্তীতে ইয়াহিয়া সরকার উনাকে জোর করে
সৌদি আরব পাঠিয়ে দেয়। দেশ স্বাধীন হবার পর উনি
বাংলাদেশে ফিরলে শেখ মুজিবুর রহমান তাঁকে
বায়তুল মোকাররম মসজিদের প্রধান খতীব হিসাবে
নিযুক্ত করেন। [শায়খুল ইসলাম আমীমুল এহসান রহ.
এর জীবন ও কর্ম, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ]
১৯৭১ সালে ব্রাক্ষণবাড়িয়া সদরের সবচেয়ে বড়
কওমী মাদরাসার প্রধান মুহতামিম ফখরে বাঙ্গাল
আল্লামা তাজুল ইসলাম রহ. পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর
বিরুদ্ধে ফতোয়া দিয়ে ছিলেন। ব্রাক্ষণবাড়িয়া
জেলায় অনেক বড় বড় আলেম উনার ফতোয়া
শুনে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পরেছিলেন। “অনেক
মুক্তিযুদ্ধাকে ফখরে বাঙ্গাল আল্লামা তাজুল ইসলাম
রহ. নিজের বাসায় আশ্রয় দিয়েছিলেন। দেশ
স্বাধীন হবার পর শেখ মুজিবুর রহমান তাঁকে ধন্যবাদ
জানিয়ে একটি চিঠিও দিয়েছিলেন।
১৯৭১ এ যদি অধিকাংশ মুসলিম মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী
থাকতো তাহলে এই দেশ কোনোদিন স্বাধীন
হতো না। সাংবাদিক শাকের হোসাইন শিবলি সাহেব
সহস্রাধিক পৃষ্ঠার একটি বই লিখেছেন। বহুল প্রশংসিত
সেই বইটির নাম ‘আলেম মুক্তিযোদ্ধার খোঁজে’।
এ বইয়ের পাতায় পাতায় ছড়িয়ে আছে জালেমের
বিরুদ্ধে মজলুমের লড়াইয়ের ইতিহাস। এ চেতনায়
শত শত আলেমের অস্ত্র তুলে নেবার
রোমাঞ্চকর ইতিবৃত্ত। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে
বাংলার বিভিন্ন মত ও পেশার লোকেরা অংশ গ্রহণ
করেছিলেন। বাংলার আলেম সমাজও এর থেকে
দূরে ছিলেন না। ঐ আলেমরা কিন্তু শুধু দেশ মাতৃকার
টানে ও নির্যাতিত নারীদের কে পাকিস্তানী হানদার
বাহিনীর লালসার হাত থেকে বাঁচানোর জন্যই
মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন। তাই বাংলাদেশ স্বাধীনতা
অর্জনের ক্ষেত্রে উলামায়ে কেরামের ভূমিকা
কম ছিল না। তারা প্রত্যেকেই ছিলেন একেকজন
সিপাহসালার। তাদের বক্তৃতা, সমাবেশ, চেতনা এবং
হুংকারে বহু লোক জালেমের বিরুদ্ধে মাতৃদেশ
বাংলাকে স্বাধীন করার আপ্রাণ চেষ্টায়
রণক্ষেত্রে ঝাপিয়ে পড়ছিল। আমরা তাদেরকে
ভুলে গেলে চলবে না। তাই আসুন স্বাধীনতার এই
মাসে প্রত্যেকেই যেন সূরা ফাতিহা একবার সূরা
এখলাস তিনবার পড়ে তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা
করি। আর কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা করি মুক্তি যুদ্ধে
যে সকল মুসলমান শহীদ হয়েছে তাদের জান্নাত
নসীব করুন। আমিন।