Translate

মঙ্গলবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২০

লিকোরিয়া ‎সমস্যার ‎সমাধান ‎

লিকোরিয়া সমস্যার সমাধান 

আমরা প্রায় সময় দেখি শুধু মাত্র পুরুষের যৌন সংক্রান্ত আলোচনা, মনে হয় যেন মহিলাদের কোন যৌন সমস্যাই নেই। আসলে তাই নয়  পৃথিবীর অর্ধেক জনসংখ্যাই নারী তাদের ও যৌন সমস্যা আছে কিন্তু লাজ্ শরমের কারণে তারা প্রকাশ করতে পারেনা বা করেন না।

তাই আজকে তাদের কমন একটা  সমস্যা ও তার সমাধান নিয়ে আলোচনা করব। 
. লিকোরিয়া -ঃ  লিকোরিয়া চলমান সাধারণ একটা রোগ হলেও কিন্তু এটা অনেক জটিল রোগের কারণও বটে তাই অবহেলার সূযোগ নেই। যদি দুর্গন্ধ যুক্ত ঘন আঠালো ধরনের হয়ে থাকে, চুলকানী থাকে ,কোমর  ব্যথা,যৌনি পথে ব্যথা,জ্বর জ্বর ভাব,  তাহলে চিকিৎসার বিকল্প নেই।আর না হয় এটা লিকোরিয়া  স্বাভাবিক নিয়ম  হিসাবে বিবেচিত হবে  চিকিৎসার প্রয়োজন নেই। 
এখানে চিকিৎসা সংক্রান্ত কিছু  ঔষধের  আলোচনা  করা হল আবস্থা ভেদে চিকিৎসক এর পরামর্শে ব্যবহার করা যেতে পারে। 
(১,)
"নিম তেলের" সাথে "নারিকেল তেল মিশিয়ে ২ বার আক্রান্ত স্হানে ব্যবহার অথবা লজ্জাস্হানে অলিভওয়েল ব্যবহার উপকারী।  

(২)
"অশোকা 3x লিউকোরিয়া প্লাস " 
কার্যকরীতাঃ 
বাদক বেদনা,সাদা স্রাব,অনিয়মিত স্রাব, কষ্টকর স্রাব,জরায়ু প্রদাহ ও দূর্বলতায় কার্যকর। 

(৩)
"হাব্বে মারওয়ারীদি, লিউকোরিয়া কিউর ক্যাপ"
কার্যকরীতাঃ   
ইহা সাদা স্রাব অনিয়মিত মাসিক,জরায়ু দূর্বলতায় কার্যকরী।  

৪,)
"ম্যানোস্টোজ টেবলেট)" 
কার্যকরীতাঃ 
সাদা স্রাব ও অস্বাভাবিক রক্ত স্রাব সহ ব্যথায় কার্যকর 
" ৫")
"পালসেটিল)" 
কার্যকরীতাঃ 
মাসিকের বেদনা,সাদা স্রাব রক্ত স্বল্পতা,অনিয়মিত মাসিক,মাইগ্রেশনে,জরায়ু বেদনাও ডেলীভারী- কালীন সমস্যায় কার্যকর। 

সৌজন্যে 
 ভূঁইয়া  ন্যাচরাল হার্বস 
০১৮২৯৩১৮১১৪

শনিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২০

আকুপাংচার ‎কি ‎ও ‎কেন? ‏


আলমগীর আলম

আলমগীর আলম

ক্যাটেগরিঃ স্বাস্থ্য

কুপ্রেসার চিকিৎসা পদ্ধতি একটি সমন্বিত স্বাস্থ্যসেবা। প্রত্যেক মানুষ নিজেই অনুশীলনের মাধ্যমে নিজের রোগ নির্ণয়, নিরাময় এবং রোগ প্রতিরোধ করতে সক্ষম। এ পদ্ধতি অনুশীলন ও প্রয়োগের মাধ্যমে নিখুঁতভাবে নিজ বা নিজেদের রোগ নির্ণয় করে তা নিরাময় করতে পারেন খুব সহজেই। মার্কিন চিকিৎসা বিজ্ঞানী ডাঃ উইলিয়াম ফ্রিটজ জেরাল্ড একদল উদীয়মান চিকিৎসক নিয়ে আধুনিক গবেষণায় আজকের আকুপ্রেসারকে বিকাশিত করেছেন। তিনি প্রমাণ করেছেন অনেক জটিল ও কঠিন রোগও শুধু আকুপ্রেসার দিয়ে নিরাময় সম্ভব যা ঔষধে অনেক সময়ের প্রয়োজন পড়ে না। আকুপ্রেসার চিকিৎসা পদ্ধতি এমন একটি পদ্ধতি যা অনেক কঠিন রোগও খুব সহজেই নিরাময় হয়ে যায়। আমাদের দেশে এখন অনেক মানুষ আকুপ্রেসার করছেন, রয়েছে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে দিনে দিনে আকুপ্রেসার লোকপ্রিয়তা পাচ্ছে।

Hand

আকুপ্রেসার কী?

আকুপ্রেসার চিকিৎসা পদ্ধতি হচ্ছে হাতের এবং পায়ের বিশেষ কিছু পয়েন্ট রয়েছে যা চাপ দিলে নির্দিষ্ট পয়েন্টের নির্দিষ্ট রোগ নিরাময় হয়ে যায়। স্রষ্টা তার মহান সৃষ্টিকে নিজে লালিত করেন তাই প্রকৃতির অংশ হিসেবে মানুষ যেন তার স্বাস্থ্য ঠিক রাখার উপায় জানা থাকে সেজন্য মানুষের সকল রোগের চিকিৎসা হাত ও পায়ের নির্দিষ্ট পয়েন্টগুলো দিয়ে রাখছেন।

মানুষ প্রকৃতির সন্তান, এই প্রকৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রকৃতির মধ্যে থেকেই প্রতিকূল অবস্থার সঙ্গে লড়াই সংগ্রাম করে বাঁচার অদম্য আকাঙ্খা মানুষকে বর্তমান অবস্থায় দাঁড় করিয়েছে। মানুষ তার প্রয়োজনে গাছপালা, লতাপাতা, লতা-গুল্ম, ফলমুল নিজের করে নিয়েছে। সেই সাথে তার আহারের জন্য ফলমূল অসুখ-বিসুখের জন্য নানান লতাপাতার কাছে আশ্রয় নিয়েছে। প্রকৃতির নানান খোয়ালে নানান আঞ্চলিকতায় স্বাদ ভিন্নতার কারণে মানুষের চারিত্রিক বৈশিষ্ট ভিন্নতায় তার গঠন এবং কাঠামোগত কারণের ও একটি স্বতন্ত্রতা সৃষ্টি করেছে। কিন্তু আকুপ্রেসার পয়েন্ট পৃথিবীর সকল মানুষের জন্য এক ও অভিন্ন।

আকুপ্রেসারের ইতিহাস

সুশ্রুত সংহিতার মতে ভারতবর্ষে ছয় হাজার বছর আগে আজকের আধুনিক আকুপ্রেসার প্রচলন ছিল, মুণি ঋষিগণ তাদের রোগ নিরাময়ের জন্য এক গোপন বিদ্যা হিসেবে নিজের কাছে রাখতো, মুণিঋষির ভক্তকুল অসুস্থ হলে আকুপ্রেসারের মাধ্যেমে রোগ নিরাময় করতেন। সেই সাথে খাদ্যের প্রতুলতা এবং পথ্যের প্রাপ্তির জন্য ভক্তের থাকার স্থান বদলের নির্দেশ দিতেন, সেই আলোকে ভক্ত তার জন্য উপযোগী স্থান এবং উপযোগী পথ্য যেখানে আছে সেখানেই থাকতেন। পরবর্তীকালে এই আকুপ্রেসার শ্রীলংকায় যেয়ে আকুপাংচার নামধারণ করে চীনের ব্যাপক পরিচিতি পায়। আকুপ্রেসার বিভিন্ন জাতির কাছে বিভিন্ন নামে যা আকুপ্রেসার, রিফ্লেক্সোলজি, সুজোক, জোন থেরাপী ইত্যাদি নামে প্রসার পায়।

Basic CMYK

আকুপ্রেসার শরীরে কীভাবে কাজ করে?

এই চিকিৎসা পদ্ধতি শরীরে অবস্থিত বহুমাইল বিস্তৃত স্নায়ু দ্বারা যোগাযোগ ব্যবস্থায় জৈব বিদ্যুৎ তৈরী করার মাধ্যমে কাজ করে। মানুষের শরীরে রক্তের ধীর গতি এবং বিদ্যুৎ সঞ্চালনে বাধাই রোগ। মানবদেহ এক আশ্চর্য সুপার কম্পিউটার। এর প্রতিটি অঙ্গ একে অপরের সাথে মিলে মিশে শরীরটাকে ঠিক রাখার জন্য অবিরাম কাজ করে থাকে। এই যন্ত্রগুলো নিরলসভাবে কাজ করে তা শত বছরেরও বেশী টিকে থাকার জন্য যথেষ্ট উপযোগী। এই আশ্চর্য কম্পিউটারটি চালানোর জন্য যা প্রয়োজন তা হলো সুষম বিদ্যুৎ যা শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী বিদ্যুৎ প্রবাহ ঠিক থাকে। তা না থাকলেই শরীরে নানান জটিলতা সৃষ্টি হয় এবং রোগের উৎপত্তি শুরু হয় যা জীবনের প্রাণহানীর মূল কারণ।

আকুপ্রেসারের মাধ্যমে যে সমস্যাগুলো দূর কর যায়

ঘাড়ের ব্যথা, স্পন্ডলাইসিস, কোমরের ব্যথা (লাম্বার), আর্থারাইটিস, অস্ট্রোপ্রোসিস, হাঁটুব্যথা, মাথাব্যথা, সাইনাস, মাইগ্রেন, হার্টের সমস্যা, লিভারের সমস্যা, ফুসফুসের সমস্যা, এজমা, পুং ও স্ত্রীতন্ত্রের জটিল সমস্যাগুলো অত্যন্ত সফলতার সাথে কাজ করে। এছাড়া নার্ভের যে কোন সমস্যা, প্যারালাইসিস, স্ট্রোক পরবর্তী পুনর্বাসন, উচ্চ রক্তচাপ, থাইরয়েডের সমস্যা ইত্যাদি।

আকুপ্রেসার করার সুবিধা

১. এই চিকিৎসা নিজেই রোগ নির্ণয় করতে পারবে (হাতের তালুতে চাপ দিলে যেখানে ব্যথা অনুভব হবে বুঝতে হবে সেখানেই সমস্যা রয়েছে, সেই ব্যথা দূর করার জন্য আকুপ্রেসার করতে হবে)।
২. হাতের তালুতে ও হাতের উপরিভাগেই সব সমস্যার সমাধান
৩. বয়সের কোন ব্যাপার নেই, সব বয়সী মানুষই আকুপ্রেসার করতে পারবে
৪. কোন খরচ নেই, কোন রাসায়নিক ডায়াগনসিস লাগে না
৫. সময়ের কোন ব্যাপার নেই, যখন তখন যে কোন অবস্থাতেই আকুপ্রেসার করা যায়।

কীভাবে আকুপ্রেসার করবে?

পদ্ধতিগতভাবে আকুপ্রেসার হলো একটি স্বতন্ত্র চিকিৎসা পদ্ধতি। এই চিকিৎসা পদ্ধতি জানা থাকলে নিজেই নিজের শরীরের অবস্থা জানা এবং অসুস্থ হলে তা থেকে নিরাময়ের জন্য এর চাইতে সহজ এবং পরিপূর্ণ পদ্ধতি পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি নেই যা মানুষের জন্য স্রষ্টার দেয়া এক অন্যন্য স্বাস্থ্যরক্ষা পদ্ধতি। হাতের এবং পায়ের বিশেষ পয়েন্টে চাপ দিয়ে জানা যায় বর্তমান শরীরের কী অবস্থা এবং কোন জটিল বা জন্মগত রোগও আকুপ্রেসার দিয়ে নিরাময় সম্ভব।

শরীরে যে কোন সমস্যাই থাক না কেন ক্রোনিক কিংবা একিইউট তা আকুপ্রেসার দ্বারা আপনার শরীরের জৈব বিদ্যুৎ দ্বারা ধীরে ধীরে সুস্থতা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম। সেইজন্য নিজের হাতের তালুতে পয়েন্টগুলো লক্ষ করুন, তারপর প্রয়োজন অনুযায়ী প্রতিটি পয়েন্টে ৫০ টি করে চাপ দিন। চাপ হবে সহ্যক্ষমতার মধ্যে এবং একটি চাপের সাথে আরেকটি চাপের মধ্যে ১ সেকেন্ড সময় নিয়ে চাপ দিতে হবে। এতে কাজ হবে ভাল। প্রতিদিন দুবেলা কমপক্ষে একটি প্রেসার দেওয়ার অন্তত ৮ ঘণ্টা পর আরেকবার চাপ দিতে হবে। সপ্তাহে ৬ দিন আকুপ্রেসার করতে হবে, একদিন বিরতি দিয়ে আকুপ্রেসার করতে হবে। চাপের ক্ষেত্রে একটু এদিক ওদিক হলেও বুঝতে পারবেন যে, যেখানে ব্যথা অনুভব করবেন সেখানেই চাপ দিবেন। ছবিতে পয়েন্টগুলো দেওয়া আছে প্রয়োজন অনুযায়ী আকুপ্রেসার করুন।

সাবধানতা

১. গর্ভবতী মায়েরা এই আকুপ্রেসার করবেন না।
২. ভরা পেটে আকুপ্রেসার করা যায় না।
৩. দিনে দুবারের বেশি আকুপ্রেসার করা অনুচিত।
৪. একবারে ২০ মিনিটের বেশি আকুপ্রেসার করা যাবে না।
৫. একটি পয়েন্টে ২ মিনিটের বেশি আকুপ্রেসার করা যাবে না।

আমাদের দেশে আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে আকুপ্রেসার অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম। যা মানুষ নিজে নিজেই প্রয়োগ করে নিজের শরীর সুস্থ রাখতে পারবে। যারা একাধিক রোগে ভুগছেন এবং একাধিক ঔষধ সেবন করছেন তারা নিয়মিত আকুপ্রেসার করলে ঔষধ খাওয়া বাদ দিতে পারবেন। আর এমন কিছু সমস্যা রয়েছে তা ঔষধেও সারে না কিন্তু আকুপ্রেসারে সারবে যেমন ঘাড়, কোমর ও নার্ভের জটিল সমস্যাগুলো। তাই আকুপ্রেসার ব্যাপক প্রচার প্রয়োজন।

আলমগীর আলম
আকুপ্রেসার বিশেষজ্ঞ
ন্যাচারোপ্যাথি সেন্টার,
ফ্লাট – বি -৭, ৮৩ নয়া পল্টন (গাজী নীড়), ঢাকা।

সোমবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২০

হাতেমতায়ীর ‎জীবনি ‎

ছোটবেলা থেকে পাঠ্যবইয়ের সুবাদেই হোক আর দাস্তানে-হাতেম-তাঈ টিভি সিরিজের দর্শক হিসেবেই হোক, দানবীর হাতেম তাঈ এর নাম শোনে নি এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। আশ্চর্য হলেও সত্য, অনেকেই তাকে কেবল উপকথার চরিত্র হিসেবেই মনে করে, অথচ তিনি সত্যিকারের রক্ত মাংসের মানুষ ছিলেন! তার পরোপকার আর মহৎ হৃদয়ের গল্প এতটাই অবিশ্বাস্য যে তিনি ইতিহাসের তাম্রলিপি থেকে উপকথার পাতায় স্থান পেয়ে গেছেন।

হাতেম-আল-তাঈ এর পুরো নাম হাতেম ইবনে আব্দুল্লাহ ইবন সাদ আত-তাঈ। অর্থাৎ বাবার নাম আব্দুল্লাহ। দাদা সা’দ আবু সাফফানা, ছিলেন তাঈ বংশের, সময়কাল ষষ্ঠ শতাব্দী। তাঈ বংশ বাস করত সৌদি আরবের উত্তর পশ্চিম কোণে “হাইল” নগরীতে।


হা’ইল এলাকা সৌদি আরবের এখানে; Image Courtesy: pytheya.blogspot.com


তার জনদরদী ঘটনাগুলো মুখে 

মখে ছড়াতে ছড়াতে কিংবদন্তী পর্যায়ে চলে গেছে, তাই সত্য-মিথ্যা আলাদা করা দায়। আজকের লেখাতে কেবল বহুল প্রচলিত ঘটনাগুলোই লিখছি, রূপকথার দিকে না গিয়ে।

তাঈ বংশ কিন্তু রাজা বা শাসক ছিলেন। অর্থাৎ আরবের হাইল অঞ্চলের কর্ণধার। তারা ছিল আরব খ্রিস্টান। যদিও বাংলাতে প্রচলিত কাহিনী পড়লে অনেকের এই ধারণা থাকতে পারে, হাতেম তাঈ বুঝি মুসলিম ছিলেন। ইয়েমেন থেকে তাদের আগমন।

কথিত আছে, যখন হাতেমের মা গর্ভবতী হন তখন স্বপ্নে দেখেন তাকে বলা হচ্ছে, তুমি কি দশজন গড়পড়তার সন্তান চাও, নাকি একজন উদার সন্তান চাও? তিনি উদার সন্তান চাইলেন। এভাবেই নাকি হাতেমের জন্ম হয়। তার মা গুনাইয়া বিনতে আফিফ তাঈয়া-ও ছিলেন অসাধারণ দানশীলা এক নারী। তার থেকেই এই গুণটা পান হাতেম।

হাতেমের মা প্রায়ই বলতেন, ছোটবেলায় হাতেম আর তার ভাইকে যখন দুধ খাওয়াতেন তখন হাতেম এক স্তন কখনই মুখে পুরতেন না যতক্ষণ না তার ভাই অন্য স্তন মুখে পুরে। খুব ছোট বয়সেই বাবা আব্দুল্লাহকে হারান হাতেম। এরপর দাদা সা’দের কাছে বড় হন তিনি।

হাতেমের বাড়ি ছিল এখানেই; Image Courtesy: Pytheya.blogspot.com

শহরের আর বাকি ৬,০০০ শিশুর সাথেই বেড়ে উঠতে লাগলেন হাতেম। জীবনে কোনোদিন কোনো গালি মুখে আনেননি। সকলের প্রতি ছিলেন দয়ালু। রাজ্যের সকলেই তাকে বড্ড ভালোবাসত।

একবার এক কাফেলা হাইল অঞ্চল দিয়ে যাচ্ছিল, কিন্তু তাদের খাবার শেষ হয়ে যায়। তারা পথিমধ্যে বালক হাতেমের দেখা পান এবং তাকে অবস্থার কথা বলেন। হাতেম জিজ্ঞেস করলেন, আপনারা কত জন? তারা উত্তর করল, ১২ জন। সাথে সাথে হাতেম তাদের জন্য ১২টি উট জবাই করে ফেললেন, তার দাদার উট। অথচ কেবল একটি উটই যথেষ্ট ছিল অর্ধশতাধিক মানুষের জন্য! এ খবর দাদার কাছে পৌঁছালে তিনি এই ঘটনাকে অপচয় বলে মন্তব্য করেন এবং হাতেমকে ত্যাগ করেন! তবে দাদা মারা গেলে রাজা হন রাজপুত্র হাতেম তাঈ।

হাতেমের দানশীলতার গল্প দেশ বিদেশেও ছড়িয়ে পড়ে। বাইজান্টাইন সম্রাট এই ঘটনার সত্যতা পরীক্ষা করতে চাইলেন। তিনি শুনেছিলেন, হাতেম আর যাই বিলিয়ে দিক না কেন, কখনোই তার ঘোড়া দেন না, এটা নাকি তার খুব প্রিয়। সম্রাট দরবার থেকে এক লোককে পাঠালেন। লোকটি যখন হাতেমের বাসায় পৌঁছালো তখন রাত। আর সেটা এমন মৌসুম ছিল যে সব ঘোড়া অনেক দূরে এক অঞ্চলে চড়াতে নিয়ে যেতে হত। বাসায় হাতেমের নিজের ঘোড়া বাদে আর কোন ঘোড়া ছিল না। রাতে ভালো মতই আপ্যায়ন করলেন হাতেম। লোকটি মুগ্ধ হয়ে গেল।

পরদিন সকালে লোকটি হাতেমকে বলল, সম্রাট হাতেমের ঘোড়াটি চেয়েছেন। হাতেম সাথে সাথে বিচলিত হয়ে পড়লেন। বললেন, “কাল রাত্রে এসেই এই কথা বললেই পারতেন! আমি তো আপনার আতিথেয়তার জন্য এ বাসায় থাকা একমাত্র ঘোড়াটি জবাই করেছি কাল, ওটাই আমার ঘোড়া ছিল, আমি চাইনি একজন অতিথি আসবেন আর ভালোমন্দ খাওয়াতে পারব না!” [উল্লেখ্য, আরবে জনপ্রিয় খাবার ছিল ঘোড়ার মাংস।] হাতেম তার সেরা ঘোড়াগুলো লোকটিকে দিয়ে দিতে চাইলেন। পুরো ঘটনা শুনে সম্রাট একমত হলেন, হাতেমের চেয়ে দানশীল আর কেউ হতে পারে না। তার সম্পর্কে শোনা কথাগুলো সত্য।

ইয়েমেনের রাজা নুমান হাতেমের নামে এত সুখ্যাতি শুনে খুবই ঈর্ষান্বিত হন। তিনি তাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে চাইলেন, এজন্য এক অ্যাসাসিন বা গুপ্তঘাতক প্রেরণ করেন হা’ইল নগরীর উদ্দেশ্যে। তখন তারা মরুতে তাঁবু করে ছিল। সমস্যা হলো, গুপ্তঘাতক হাতেমকে কোনোদিন দেখেনি, তাই চিনতেও পারবে না। ওখানে পৌঁছে সে আশ্রয় নিল একজনের কাছে। প্রচুর খাওয়াদাওয়া করার পর গুপ্তঘাতক বেরিয়ে যেতে চাইলেন, কিন্তু দয়ালু লোকটি তাকে জিজ্ঞেস আরো থেকে যেতে বললেন। গুপ্তঘাতক বলল, “কিন্তু আমার যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে।” আরব লোকটি তখন বললেন, “অনুগ্রহ করে আমাকে সেই কাজে সাহায্য করতে দিন।

তখন গুপ্তঘাতক তার উদ্দেশ্য বলল এবং অবশেষে তাকে অনুরোধ করল যেন হাতেম তাঈকে চিনিয়ে দেয়। সাথে সাথে হাঁটু গেড়ে বসে পড়লেন আরব, এরপর বললেন, “কাটুন আমার মাথা, আমিই হাতেম, আশা করি আপনার রাজা সন্তুষ্ট হবেন আর আপনাকে পুরস্কৃত করবেন। এখনই রাতের আঁধার। কেউ জানবেও না।

খোদার কসম, আমি আপনার উপর একটা হাতও উঠাতে পারব না!” বলল গুপ্তঘাতক। সাথে সাথে সে চলে গেল এবং ইয়েমেনের রাজা নুমানকে ঘটনা জানালো। নুমান বিস্ময়ে চিৎকার করে উঠল, “হাতেম! তুমি আসলেই স্বর্গীয়!

ওদিকে আরো একজন আরব রাজা হাতেম তাঈর রাজ্য কেড়ে নিতে চাইতেন। তিনি হাতেমের কাছে আত্মসমর্পণের আহ্বান করে পত্র দিলেন। সকলেই বললেন, এ রাজ্যের অনেকেই আপনার জন্য রক্ত দেবে জীবন দেবে, আমরা যুদ্ধ করব। কিন্তু হাতেম বললেন, তিনি তার জন্য একজনকেও রক্ত ঝরাতে দেবেন না।

হাতেম রাজ্য ত্যাগ করে এক গুহায় চলে গেলেন, আর সেখানেই একাকী বাস করতে লাগলেন। ওদিকে রাজা এসে রাজাহীন রাজ্য দখল করে নিলেন বিনা রক্তপাতে, কিন্তু অনুভব করলেন যে, সবার আনুগত্য আসলে আগের রাজা হাতেমের প্রতিই। তিনি ঘোষণা করলেন, যে হাতেমকে ধরিয়ে দিতে পারবে তাকে ৫,০০০ স্বর্ণমুদ্রা দেয়া হবে।

ঘটনাক্রমে হাতেম যেখানে থাকতেন, তার কাছেই এক কাঠুরে পরিবার থাকত। একদিন ছদ্মবেশী হাতেম শুনলেন, কাঠুরে বলছে স্ত্রীকে, “আমি তো এখন বুড়ো, আমরা যদি হাতেমকে ধরে দিতে পারতাম তাহলে অন্তত বাচ্চাগুলোর জন্য কিছু করে যেতে পারতাম।” তখন স্ত্রী তাকে কড়া ভাষায় এ জঘন্য কথা বলবার জন্য শাসায়।

এ কথাগুলো চলবার সময়ই হাতেম নিজেকে প্রকাশ করে বললেন, “এই নাও, আমি ধরা দিচ্ছি, এতে যদি তোমার পরিবারের উপকার হয়, তবে এ মৃত্যুতেই সার্থকতা।” বুড়ো লোকটি লজ্জায় শেষ হয়ে গেল, “না না, আমি এ কাজ পারব না।” তার চোখ বেয়ে পানি পড়তে লাগল।

ওদিকে আশপাশের লোকজন হাতেমকে দেখে তাকে বেঁধে ফেলল এবং অর্থলোভে তাকে রাজার কাছে নিয়ে গেল। পেছন পেছন গেল সেই কাঠুরে। সকলে দাবি করতে লাগল যে সে নিজেই হাতেমকে ধরেছে, আর হাতেম ও কাঠুরে নীরবে দেখতে লাগলো। অবশেষে হাতেম নিজেই বললেন, “সকলের সামনে আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, এই কাঠুরে লোকটিই আমাকে ধরেছে, তাকে ৫,০০০ সোনার মুদ্রা দেয়া হোক।


রাজা এতটাই অবাক হলেন হাতেমের কথাতে যে তিনি হাতেমকে তার রাজ্য ফিরিয়ে দিলেন আর তার সৈন্য সামন্ত নিয়ে চলে গেলেন।

হাতেম তাঈ-র প্রথম স্ত্রীর গর্ভে জন্ম নেন তার দুই ছেলে আব্দুল্লাহ এবং আদি ইবনে হাতেম তাঈ এবং এক কন্যা সুফানা। যতদিন স্ত্রী বেঁচে ছিলেন তিনি বিয়ে করেননি আর। কিন্তু প্রথম স্ত্রী মারা যান।

হাতেম নিজে কবি মানুষ ছিলেন। ঘাসান এর রাজকন্যা ছিলেন মাই’আ বা মারিয়া। তিনি ছিলেন রূপবতী আর তাকে বিয়ে করতে অনেক রাজপুত্র বা রাজা উন্মুখ ছিলেন। মারিয়াকে কবিতা শুনিয়ে মুগ্ধ করতে চেষ্টা করে দুবিয়ানের বিখ্যাত কবি নাবিঘা, এবং নাবিত গোত্রের আরেকজন। কিন্তু হাতেমের কবিতাই পছন্দ হয় মারিয়ার। হাতেমের কবিতার শুরুটা ছিলঃ “হে মারিয়া! সম্পদ সকালে আসে তো বিকেলেই বিদায় নেয়…

মারিয়া তিনজনের বাড়িতেই এক গরিব দুঃখিনী সেজে যান। তারা তাকে খাওয়াতে প্রত্যেকেই উট জবাই দেয়, কিন্তু বাকি দুজন যেখানে তাকে লেজ খেতে দিয়েছিল, সেখানে হাতেম তাকে সেরা গোশতের টুকরোটা দিয়েছিলেন। যেদিন তারা মারিয়াকে কবিতা শোনাতে এলেন, সেদিন তিনি তাদের পাত্রে নিজের হাতে তুলে দিলেন; দুজনের পাত্রে দিলেন লেজ আর হাতেমের পাত্রে সেরা গোশতের টুকরো। সাথে সাথে তারা বুঝতে পারল সেই গরিব মেয়েটি ছদ্মবেশে মারিয়াই ছিল।

শেষ পর্যন্ত মারিয়া হয় হাতেম তাঈ এর দ্বিতীয় স্ত্রী।

হাতেম যখন মারা গিয়েছিলেন তখন তার কবর হয় এক পাহাড়ের চূড়োয়। তার কবরের উপর দুটো পাথরের পাত্রের আকারে ভাস্কর্য বানানো হয় (যা তার দানশীলতা প্রকাশ করে, যে পাত্র থেকে তিনি গরিবদের খাওয়াতেন।) সাথে ছিল চারজন বিলাপী মেয়ের মূর্তি। বাতাস যখন সেই মূর্তি গুলোকে আঘাত করত, এমন শব্দ হতো যেন শুনে মনে হতো, মূর্তিগুলো বিলাপ করছে।


কথিত আছে, একবার এক দল মুসাফির তার কবরের কাছে রাত কাটায়, আর কবরের কাছে এসে বলে, আজ রাত্রে আমরা তোমার অতিথি, হাতেম। সেদিন রাত্রে তাদের এক উট অসুস্থ হয়ে পড়ে, তাই সেটাকে মেরে তাদের খেতে হয়। ভালোই উদরপূর্তি করে সে রাতে তারা। পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে তারা দেখে রাজা আদি ইবনে হাতেম তাঈ (রাঃ) এক উট নিয়ে এসেছেন তাদের জন্য। তিনি নাকি রাত্রে স্বপ্নে দেখেছেন, তার বাবা এসে তাকে বলছেন, তিনি যে উটটাকে মেরেছেন অতিথিদের খাওয়াতে সেটার জায়গায় নতুন একটি উট দিয়ে আসো। এ ঘটনা শেষ পর্যন্ত আলিফ লায়লার ২৭০তম রজনীর কাহিনী হয়ে দাঁড়ায়।


হাতেম তাঈ মারা যাবার পর রাজা হয় তার ছেলে আদি ইবনে হাতিম তাঈ। তিনি অবশ্য হাতেমের মতো ছিলেন না, বরং তিনি ২৫% খাজনা আদায় করতেন সকলের কাছ থেকে। তাছাড়া খ্রিস্ট ধর্মের পাশাপাশি তারা মূর্তিপূজাও শুরু করে দেয়- অনেকটা হাইব্রিড এক ধর্ম। তার রাজত্বের শেষ দিকে এসে তিনি আবারো তাঈ বংশের হাইল রাজ্য হারাবার আশংকায় পড়েন আরেকজন আরব নেতার কাছে। সে আরব নেতা আর কেউ নন, ইসলাম ধর্মের শেষ নবী মুহাম্মাদ (সা.)। আদি’র নিজের ভাষ্যমতে তিনি প্রচণ্ড ঘৃণা করতেন মুহাম্মাদ (সা.)-কে।

হাতেম তাঈ যখন মারা গিয়েছিলেন, তখন মুহাম্মাদ (সা.) এর বয়স ছিল মাত্র আট বছর। সেটা ছিল ৫৭৮ সাল। বহু বছর পর ৬৩০ সালে তাঈ বংশ থেকে পৌত্তলিকতা অপসারণের জন্য আলি (রা.)-কে প্রেরণ করেন মুহাম্মাদ (সা.)। হাইল বিজয় করে মুসলিম বাহিনী। আর রাজপরিবার ও তাঈ সেনাবাহিনী যুদ্ধবন্দী হয়ে পড়ে। রাজা আদি ইবনে হাতিম তাঈ পালিয়ে সিরিয়া চলে যান।

যুদ্ধবন্দীদের মধ্যে ছিলেন সুফানা, হাতিমের কন্যা। সাথে আরো প্রায় নয়শ বন্দী ছিল। সুফফানা নবীর কাছে অনুরোধ করেন ভাইকে খুঁজতে যাবার অনুমতি দিতে। মুহাম্মাদ (সা.) হাতেম তাঈর বদান্যতা স্মরণ করে তাকে ভালো কাপড় চোপড় দিয়ে, টাকা পয়সা আর ভালো বাহন দিয়ে পাঠান। যেদিন তিনি তার ভাই আদি-কে খুঁজে পান, তখন আদি বিশ্বাস করতে পারেননি সুফফানার এত ভালো অবস্থা দেখে। তখন আদি নিজেই নবী(সা.)-এর কাছে আসেন। তিনি ভেবেছিলেন কোন প্রাসাদ দেখবেন, কিন্তু দেখলেন সামান্য এক মসজিদ।


নবীজী (সা.) তার শত্রু আদি ইবনে হাতিম (রা)-কে বসালেন কুশনে, সেই কুশন আবার সামান্য খেঁজুর পাতাতে তৈরি। আর নবীজী (সা.) নিজে বসলেন মাটিতে। বললেন, “তুমি প্রজাদের থেকে ২৫% খাজনা চাও, তাই না?” আদি বললেন, “হ্যাঁ।

নবীজী বললেন, “এটা কিন্তু তোমার ধর্মে অবৈধ।

আদি বললেন, “তা ঠিক

আদি তার পিতা হাতেম তাঈ এর কথা জানালেন, নবীজী তাকে আগেই চিনতেন, যদিও ইসলাম আসবার আগেই হাতেম দুনিয়া ছেড়ে চলে যান। নবীজী বললেন, “তোমার বাবা স্মরণীয় হয়ে থাকতে চেয়েছিলেন।

এরপর তিনি আদি-কে ইসলাম গ্রহণের আহ্বান করলেন। সাথে সাথে তিনি ইসলাম গ্রহণ করে ফেলেন। সাথে সাথে সকল যুদ্ধবন্দী এবং হাইল শহরের সকলেই ইসলাম গ্রহণ করে ফেলেন। অবশ্য কবি জুহাইর এর লেখনি থেকে জানা যায়, হাতেম তাঈ নাকি তার খ্রিস্ট ধর্মগ্রন্থ থেকে ধারণা লাভ করে আগে থেকেই তার সন্তানদের আসন্ন আরবীয় নবীর ব্যাপারে বলে গিয়েছিলেন, কিন্তু ৫০ বছর পেরিয়ে সে কথার মূল্য হারিয়ে ফেলে তার সন্তানেরা।

দু বছর পর মুহাম্মাদ (সা.) মারা যাবার পর আরবের অনেক গোত্র ইসলাম ত্যাগ করে। কিন্তু হাতেম তাঈ এর গোত্র এই কঠিন সময়েও মুসলিম থেকে যায়। বরং তারা আলী (রা.) এর সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে জামাল ও সিফফিনের যুদ্ধে ছিল।


হাতেম তাঈ এর কেচ্ছাকাহিনী নিয়ে অনেক বই লিখা হয়েছে, তবে বেশি জনপ্রিয় হয়েছে রূপবতী হুসনে বানু-র সাত ধাঁধার জন্য সাতটি দুর্ধর্ষ অভিযানের রূপকথা। কিন্তু কেবল রূপকথা হবার কারণে সে কাহিনী আর এখানে বর্ণনা করা হলো না।


যুগ যুগ ধরে মহত্ত্বের প্রতীক হাতেম তাঈ এর মতো দানশীল ব্যক্তির আগমন যদি বার বার হতো, তবে পৃথিবীটা অন্যরকম হতো। 

সংকলিত 

শনিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২০

পৃথিবীতে ‎ ‎মুর্তি ‎পুজার ‎সুচনা ‎ও ‎ভাষ্কর্ষ ‎

পৃথিবীতে  মূর্তিপূজা তথা কবর বা মাজার পূজার সূচনা ভাষ্কর্যের মাধ্যমেই শুরু  হয়েছিল। 
এ কথাটি বুঝতে আমাদের কে একটু পিছনে যেতে হবে

হযরত আদম আঃ থেকে নূহ্ আঃ পর্যন্ত তৎকালীন পৃথিবীর সকল মানুষই মুসলিম ছিল,  অর্থাৎ 
আত্বসমর্পন কারী তথা তাওহীদের উপর অটল ছিল , কোন ফেরক্বা বন্দী ছিলনা, এমন অবস্হা হযরত নূহ আঃ এর জামানা পর্যন্ত চলতে থাকে . ইমাম বগবী রঃ বলেন হযরত আদম আঃ ও নূহ আঃ এর মধ্যবর্তী সময়ে ৫ জন বিশিষ্ট মুত্তাকী ধর্মভীরু নেককার লোক ছিলেন, যার বর্ননা সূরা নূহ্ এ ভাবেই এসেছে , , وفالوا لا تذرن الهتكم ولا تذرن ودا ولاسواعا ولا يغوث ويعوق ونسرا الاية سورة نوح
এ ৫ জন যথাক্রমে ওয়াদ,সূয়া , ইয়াগুছ, ইয়াউক, ও নসর , এরা প্রকৃত পক্ষে সে জামানার মুত্তাকী পরহেজগার লোক বা সে জমানার অলী, সবাই এদের সন্মন করত , তাদের কৃত নছিহত শুনতো আমল করত,ভক্তরা সূদীর্ঘকাল পর্যন্ত তাদের পদান্ক অনূসরন করে সঠিক ও তাওহীদের উপর অটল ছিল কিন্তু তাদের সকলের এন্তেকালের পর শয়তান মানুষের রুপ ধারণ করে ভক্তদের কাছে এসে প্ররোচনার জাল আঁটল এভাবে যে,

ক, তোমরা যে সকল মহাপুরুষদের পদান্ক অনূসরন করছ তাদের ছবি এঁকে উপাসানলয়ে রেখে এবাদত করলে এবাদতে পূর্নতা লাভ করবে, মানুষবেশী শয়তানের পরামর্শে তাই করল, এভাবে অনেক দিন চলতে থাকে।
খ,পরবর্তীতে এদের মৃত্যুর পর অন্য প্রজন্মের কাছে অন্য আর একটি পন্দী আঁটল এভাবে যে, তোমাদের মুরুব্বীদের মূর্তী ভাষ্ককর্য  তৈরী করে তোমাদের সামনে রেখে দাও তাহলে আল্লাহর এবাদতে একাগ্রতা ও পূর্নতা লাভ করবে, তারা শয়তানের ধোকা বুঝতে না পেরে প্রতিকৃতি উপাসনালয়ে রেখে এদের সৃতি জাগরীত করে এবাদতে বিশেষ পুলক অনূভব করতে লাগল,এ ভাবে অনেক দিন চলতে লাগল ৷
গ,তৃতীয় ধাপে এসে পরবর্তী বংশধরদেরএমন ভাবে প্ররোচনা করল যে মালায়ূন শয়তান কামীয়াব হল আর ভক্তরা পথভ্রষ্ট হয়ে ইতিহাসের সর্বনিন্ম আস্তাকূডে নিক্ষিপ্ত হলো ৷
 শয়তান বল্ল যে তোমাদের পূর্ব পূরুষরাই শুধু মাত্র এসব মূর্তীর সন্মানই করেনী বরং এসকল মূর্তীরই এবাদত করেছে,  তাদের আপদে বিপদে তাদের উসিলায় দোয়া করছে, তাদের কাঋে হাজত রাওয়া করছে 
এগুলোই হচ্ছে ওদের উপাসক,
সুতরাং তোমরাও তোমাদের বাপ দাদার অনূসরন কল্পে এদেরই এবাদত কর,কাজেই শয়তানের পরামর্শে তাইই করল৷এ ভাবে পৃথিবীতে সর্ব প্রথম মূর্তি পূজার সূচনা হয়। মুলত 
  গুলো সর্বপ্রথম  উপাশনায়  ব্যবহারীত হয়নি বরং ভাষ্কার্য হিসাবে সন্মান প্রদর্শ ও পরে এবাদতে ধাবিত হয়। 


ইমাম বোখারী (রহঃ) হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস (রা.) হ’তে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন যে, এই লোকগুলি হযরত নূহ (আ.)-এর যুগের নেককার ব্যক্তি ছিলেন। তাদের মৃত্যুর পর শয়তান তাদের অনুসারীদের এই মর্মে ধোঁকা দিল যে, এঁদের বসার স্থানগুলিতে এক একটি মূর্তি বা ভাষ্কর্য 
বানাও ও তাদের নামে নামকরণ কর। লোকেরা তাই করল। ...
এই মূর্তিগুলি পরবর্তীকালে আরবদের মধ্যেও চালু ছিল।
ওয়াদ ছিল ‘কালব’ গোত্রের দেবতা, ‘সুওয়া’ ‘হুযাইল’ গোত্রের, ‘ইয়াগুছ’ ‘মায্যাহ’ গোত্রের, ‘ইয়া‘উক’ ইয়ামেনের ‘হামদান’ গোত্রের এবং ‘নাসর’ ইয়ামেন অঞ্চলের ‘হিমইয়ার’ গোত্রের দেবতা ছিল। (ড. জামীল আব্দুল্লাহ আল-মিসরী, তারিখুদ দা‘ওয়াহ আল-ইসলামিয়্যাহ ফি যামানির রাসূল ওয়াল খোলাফায়ির রাশেদীন, (মদীনা মুনওয়ারা : মাকতাবাতুদ দার, ১৯৮৭ খৃ.), পৃ. ৩১।


এ মর্মে কুরআন মাজীদে এসেছে
[﴿ أَفَرَءَيۡتُمُ ٱللَّٰتَ وَٱلۡعُزَّىٰ ١٩ وَمَنَوٰةَ ٱلثَّالِثَةَ ٱلۡأُخۡرَىٰٓ ٢٠ ﴾ [النجم: ١٩، ٢٠ “তোমরা কি ভেবে দেখছো ‘লাত’ ও ‘উয্যা’ সম্পর্কে এবং তৃতীয় আরেকটি ‘মানাত’ সম্পর্কে ? সূরা আন্ নাজম: ১৯-২০।
লাত: চারকোণ বিশিষ্ট একটি পাথরের মূর্তি, যার চতুষ্পার্শে আরবরা তাওয়াফ করতো। এটি তায়েফে স্থাপন করা হয়েছিল।

মানাত : কালো পাথরে নির্মিত মূর্তি, যা লোহিত সাগরের উপকূলে কোদাইদ এলাকার মুসাল্লাল নামক জায়গায় স্থাপন করা হয়েছিল। (প্রাগুক্ত)

উয্যা: উয্যা ছিল ‘আরাফাতের নিকটবর্তী ‘নাখলা’ নামক স্থানের মূর্তি। কুরাইশদের নিকট এ মূর্তিটি সর্বাধিক সম্মানিত ছিল।


ইসাফ’ ছিল কা‘বাঘর সংলগ্ন। 

আর ‘নায়েলা’ ছিল যমযমের কাছে। কুরায়শরা কা‘বা সংলগ্ন মূর্তিটাকেও অপর মূর্তির কাছে সরিয়ে দেয়। এটা ছিল সে জায়গা যেখানে আরবরা কুরবানী করত। 

(সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভী, নবীয়ে রহমত, অনু: আবু সাঈদ মুহাম্মদ ওমর আলী, (ঢাকা ও চট্টগ্রাম : মজলিস নাশরাত-ই-ইসলাম, ১৯৯৭ খৃ), পৃ. ১১১।তাহের সূরাটী, প্রাগুক্ত, পৃ. ৫১৫। 

তবে অন্য এক বর্নণায় ছাফা’ পর্বতে ‘এসাফ’ এবং ‘মারওয়ায়’ ‘নায়েলা’র কথা এসেছে।
পৌত্তলিকরা বিভিন্নভাবে উল্লেখিত মূর্তির উপাসনা করত।যেমন:-
ক. তারা মূর্তির সামনে নিবেদিত চিত্তে বসে থাকত এবং তাদের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করত। তাদেরকে জোরে জোরে ডাকত এবং প্রয়োজনপূরণ, মুশকিল আসান বা সমস্যার সমাধানের জন্য সাহায্য প্রার্থনা করত।
খ. মূর্তিগুলোর উদ্দেশ্যে হজ্ব ও তওয়াফ করতো। তাদের সামনে অনুনয় বিনয় এবং সিজদায় উপনীত হতো।

গ. মূর্তির নামে নযর-নেওয়ায ও কুরবানী করত। এমর্মে কুরআনে এসেছে, “তোমাদের জন্যে হারাম করা হয়েছে সেসব জন্তু যা আল্লাহ ছাড়া অন্যের নাম নিয়ে যবাই করা হয়েছে,যদিও আজকাল কিছু ইতিহাস বিকৃতিকারী মূর্খপন্ডিতরা আমাদের দেশের পাঠ্যবইয়ে পর্যন্ত লেখতে দ্ধীধাবোধ করেননি যে দেবতাদের নামে উৎসর্গকৃত পশুর গোশ্ত হালাল।নাউযুবিল্লাহ।


ঘ. মূর্তির সন্তুষ্টি লাভের জন্য পানাহারের জিনিস, উৎপাদিত ফসল এবং চতুষ্পদ জন্তুর একাংশ মূর্তির জন্য তারা পৃথক করে রাখতো। পাশাপাশি আল্লাহর জন্যেও একটা অংশ রাখতো। পরে বিভিন্ন অবস্থার প্রেক্ষিতে আল্লাহর জন্য রাখা অংশ মূর্তির কাছে পেশ করতো। কিন্তু মূর্তির জন্য রাখা অংশ কোন অবস্থায়ই আল্লাহর কাছে পেশ করতো না। আল-কুরআন, সূরা আল-মায়িদা 

:৩, যেমনটি আজকাল আমাদের দেশের মূর্খ শ্রেনীর কিছু লোকজন মাজারের নামে এমন সব কিছু উৎসর্গ করে থাকেন।
========= 
আরব জাতির অধিকাংশ গোত্র, বিশেষ করে খোজার বংশের অন্তর্গত গোত্রসমূহ এক অত্যন্ত নিম্নস্তরের জড়বাদের প্রতি আসক্ত ছিল। ইতর প্রাণী ও উদ্ভিদ দ্রুতগামী হরিণ, ঘোড়া, উট, খেজুরগাছ, পর্বত, পাথর ইত্যাদির মত অজৈব বস্তু প্রধান উপাস্য বিষয়ের অন্তর্ভূক্ত হয়েছিল।

(যেমন আজকাল আমাদের গুনেধরা সমাজের মুর্খরা মাজারের গজার মাছ,হরিণ,উট,কবুতর,ও নির্দিষ্ট গাছে সুতা,পুটলি বেঁধে বরকত ও মনোবাসনা পূরণের জন্য অনেকে  নযর নেয়ায ওমান্নত করে থাকেন) অবশ্য এক সার্বভৌম ঐশী সত্ত্বার ধারণা অপরিজ্ঞাত ছিল না। কিন্তু তার প্রভাব অত্যন্ত নগন্য সংখ্যক লোকের মধ্যে সীমিত ছিল। এই লোকগুলি পৌত্তলিকতার মোহপাশ থেকে মুক্ত হয়ে প্রতিবেশী সেবীয়, মূসা কিম্বা ঈসা আঃ এর শরীয়তের ও পার্থিব পৌরাণিক ধারণা দ্বারা রঞ্জিত দার্শনিক সংশয়বাদের আশ্রয় নিয়েছিল। তাদের মধ্যে কিছু সংখ্যক লোক সর্বশক্তিমান আল্লাহর ধারণা স্পষ্ট স্বীকার করত এবং যুগের অশ্লীলতা ও স্থূল জড়বাদের বিরুদ্ধে অন্তরে বিদ্রোহ অনুভব করত।
পৌত্তলিক আরবদের মধ্যে সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে ধারণা ব্যক্তি বা গোত্র ভেদে বিভিন্নরকম ছিল। 

কোন কোন গোত্র প্রাকৃতিক বস্তুতে দেবত্ব আরোপ করত, কেউ কেউ মৃত্তিকা, দন্ড কিংবা পাথর পূজা করত; কেউ কেউ পরকালে বিশ্বাস করত আবার কারও সে সম্পর্কে কোন ধারণাই ছিল না। তাদের দৈববাণীর জন্যে বৃক্ষ ছিল, পুরোহিতবৃন্দ ছিল যারা সাধারণতঃ মন্দির বা গীর্জার সাথে যুক্ত থাকত। লিঙ্গপূজা তাদের মধ্যে অজ্ঞাত ছিল না। প্রজনন শক্তিসমূহ পাথর ও কাঠের তৈরী স্মৃতিস্তম্ভের তলায় পূজা লাভ করত।
তৎকালীন জাহেলীযুগে আরবরা নিজেদের তৈরী বিভিন্ন রকম কূ-প্রথা ও কুসংস্কারের সাথে সম্পর্কযুক্ত ছিল। তাদের অভ্যাস ছিল যে, শস্যক্ষেত্র, বাগান এবং ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে যা কিছু আয় হত; তার একাংশ আল্লাহর জন্যে এবং একাংশ উপাস্য দেবদেবীদের নামে পৃথক করে রাখত।(যেমনটি মাজার পন্থিরা করে থাকে) আল্লাহর নামের অংশ থেকে ফকির-মিসকীনকে দান করা হত এবং দেবদেবীর অংশ মন্দিরের পূজারী, সেবায়ত ও রক্ষকদের জন্যে ব্যয় করত।

প্রথমতঃ এটাই কম অবিচার ছিল না যে, যাবতীয় বস্তু সৃষ্টি করেছেন আল্লাহ এবং সমুদয় উৎপন্ন ফসলও তিনিই দান করেছেন, কিন্তু আল্লাহ প্রদত্ত বস্তুসমূহের মধ্যে প্রতিমাদেরকে অংশীদার করা হত।যেমনটি আজকাল মাজারে করা হয় তদুপরি তারা আরও অবিচার করত এই যে, কখনও উৎপাদন কম হলে তারা কমের ভাগটি আল্লাহর অংশ থেকে কেটে নিত, অথচ মুখে বলতঃ আল্লাহ তো সম্পদশালী, অভাবমুক্ত-তিনি আমাদের সম্পদের মুখাপেক্ষী নন। এরপর প্রতিমাদের অংশ এবং নিজেদের ব্যাবহারের অংশ পুরোপুরি নিয়ে নিত। আবার কোনসময় এমন হত যে, প্রতিমাদের কিম্বা নিজেদের অংশ থেকে কোন বস্তু আল্লাহর অংশে পড়ে গেলে তা হিসাব ঠিক করার জন্যে সেখান থেকে তুলে নিত। পক্ষান্তরে যদি আল্লাহর অংশ থেকে কোন বস্তু নিজেদের কিম্বা প্রতিমাদের অংশে পড়ে যেত, তবে তা সেখানেই থাকতে দিত এবং বলতঃ আল্লাহ অভাবমুক্ত; তাঁর অংশ কম হলেও ক্ষতি নেই।
এ সংক্রান্ত কোরআনের আয়াতসমূহ-আল্লাহ যেসব শস্যক্ষেত্র ও জীবজন্তু সৃষ্টি করেছেন, সেগুলো থেকে তারা এক অংশ আল্লাহর জন্যে নির্ধারণ করে অতঃপর নিজ ধারণা অনুসারে বলে, এটা আল্লাহর এবং এটা আমাদের অংশীদারদের। অতঃপর যে অংশ তাদের অংশীদারদের, তা তো আল্লাহর দিকে পৌঁছে না এবং যা আল্লাহর তা তাদের উপাস্যদের দিকে পৌঁছে যায়। তাদের বিচার কতই না মন্দ।(৬:১৩৬)

(হিস্ট্রি অব আরবস -ফিলিপ কে হি্ট্টি। দি স্পিরিট অব ইসলাম -সৈয়দ আমীর আলী। এন্সিয়েন্ট মনার্কী –শিলথন)।
ঙ.যখন কোনো সফরের ইচ্ছা করত, তখন তারা বাহনে আরোহন করার সময় মূর্তি স্পর্শ করত। সফরে রওয়ানা হওয়ার পূর্বে এটা ছিল তাদের শেষ কাজ এবং ফিরে এসেও ঘরে প্রবেশের পূর্বে এটা ছিল তাদের সর্বপ্রথম কাজ।বর্তমান আমাদের সমাজে বিকৃতমস্তিক্কধারী জাহেলরা বিদেশ ভ্রমন,বিবাহ,ব্যবসা,ও যে কোন শুভকাজ শুরু করেন মাযার যেয়ারতের মাধ্যমে শুরু করে থাকে,এগুলো শরিয়ত বহির্ভূতকাজ।এছাড়াও তারা বিভিন্ন মূর্তির নামে পশু মানত করতো। 

সর্বপ্রথম মূর্তির নামে পশু ছেড়েছিল, ‘আমর ইবন লুহাই।
পৃথিবীর প্রথম ও কাবার প্রথম ও প্রধান মূর্তি :-
ইবনু আবী হাতেম-এর বর্ণনায় এসেছে যে, ‘ওয়াদ’ মূর্তিই ছিল এদের মধ্যে প্রথম এবং সর্বাধিক নেককার ব্যক্তি।যা একটু আগে বর্নণা করেছিলাম যে৫জন বিশষ্ট নেককারের কথা তন্মধ্যে প্রথমজন। তিনি মারা গেলে লোকেরা তার প্রতি ভক্তিতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। শয়তান এই সুযোগ গ্রহণ করে এবং লোকদেরকে তার মূর্তি বানাতে প্ররোচনা দেয়। ফলে ওয়াদ-এর মূর্তিই হ’ল পৃথিবীর সর্বপ্রথম মূর্তি, আল্লাহকে বাদ দিয়ে যার পূজা শুরু হয়’।আর মক্কা তথা কাবার প্রধান বা প্রথম মূর্তি হল "হুবাল" যা দিয়ে কাবা এবং তার আশে পাশে মূর্তি পূজা শুরু হয়।
মক্কা তথা কাবা শরীফে কি ভাবে মুর্তিপুজা শুরু হল তা ৬ষ্ট রত্ন অংশে বর্ননা করা হবে ইনশাআল্লাহ।
অতএব পৃথিবীর প্রাচীনতম শিরক হ’ল নেককার মানুষের কবর অথবা তাদের প্রতিকৃতি বা মূর্তিপূজা। যা আজও প্রায় সকল ধর্মীয় সমাজে চালু আছে এবং বর্তমানে যা মুসলিম সমাজে স্থানপূজা, কবর পূজা, ছবি-প্রতিকৃতি, মিনার ও ভাষ্কর্য পূজায় রূপ নিয়েছে।উক্ত পাঁচটি মূর্তির মাহাত্ম্য ও তাদের প্রতি ভক্তি, লোকদের হৃদয়ে এমনভাবে প্রোথিত হয়েছিল যে, তারা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এবং পারস্পরিক চুক্তি সম্পাদনকালে তাদের নাম উল্লেখ করত। এতদ্ব্যতীত তারা নানাবিধ সামাজিক অনাচারে ডুবে গিয়েছিল। সম্প্রদায়ের এইরূপ পতন দশায় আল্লাহ তাদের হেদায়াতের জন্য নূহ্ (আ.)-কে রাসূল হিসাবে প্রেরণ করেন {আ‘রাফ ৭/৬১}।
এর ফলে তখনকার সময় প্রায় সকল মানুষই মুর্তি পূজায় লিপ্ত হয়ে পথভ্রষ্টতার অতল গহবরে নিমজ্জিত হয়। এসকল মূর্তির কাছে মনোবসনা পূ্ন্যের কামনা করত,নজর-নেওয়াজ কোরবানী ইত্যাদী সব কিছুই করত ,যেমন আজকাল মাজার সমূহে হচ্ছে৷আল্লাহ আমাদের সমাজকে এসব শীর্ক থেকে হেফাজত করুক আমিন।
কেউ কেউ এ সকল মূর্তিকেই স্বয়ং খোদা মনে করতো, কেউ বা খোদাকে পাওয়ার মাধ্যম মনে করতো ৷
এ ভাবে যখন গোটা জাতিই শিরকে লিপ্ত হলো চতুর্রদিকে কূফরীর অন্ধকার চেয়ে গেছে ঠিক তেমনি সে মূহুর্তে মহান আল্লাহ তায়ালা তাদের হেদায়েতের জন্য হযরত নূহ আঃ কে রসুল হিসাবে প্রেরন করলেন ৷
কিন্তু তিনি ৯৫০ বৎসর পর্যন্ত দাওয়াতের কাজ করার পর মাএ ৪০জন বা ৪০ জোড়া মহিলা পুরুষ মিলে তাঁর ধর্ম গ্রহন করলেন।
অবশেষে তিনি ওহী মারফত জানতে পারলেন যে এজাতি আর হেদায়েত পাবেনা তখনি আল্লাহর হুকুমে তিনি তাদের ধবংসের জন্য দোয়া করলেন ,
এবং আল্লাহ তায়ালা মহাপ্লাবন দ্বারা সকল কাফেরদের ধবংস করে দিলেন ৷==এই ইতিহাস সকলেরই জানা আছে।
তেমনি ভাবেই আজকাল আমাদের দেশের স্বাথম্বেশী পেট পূজারী গূটি কয়েক ওলামায়েছুর ছএ ছায়ায় কবর কেন্দ্রিক লাল -সালু কাপড , মুমবাতি আগর বাতি জালিয়ে গডে তুলছে শীর্কের কারখনা , সেখানেই করা হচ্ছে ঈমান বিধংসী কর্মকান্ড ৷বর্তমানে আমাদের দেশে কবর কেন্দ্রীক যা করা হচ্ছে , পূর্বেকার যূগে ও প্রাথমীক ভাবেএমন কর্মকান্ড করা হতো যার ফলে গোটা জাতিকে কুফরের অন্ধকারে  ধবংস হয়েছিল , এখনও অদূর ভবিষ্যতের এ দেশের আবস্হা এমন হতে পারে বলে আশংকা করছেন বিশেষজ্ঞরা ৷ 
সাথে বাংলাদেশ  সহ বিশ্বের  অনেক দেশে সে দেশের বিশেষ  সন্মানী ব্যক্তিদের মুর্তি বা ভাষ্কর্য  তৈরীতে মত্ত এ গুলোর বিরুদ্ধে কেউ কোন কথাই  বলতে গেলে সমস্যা তৈরী হয়।  মুলত পৃথিবীতে মুর্তি পুজার সুচনা এ সকল সন্মানী ব্যক্তিদের ভাষ্কর্য থেকেই  শুরু হয়েছিল। 

এদেশের মূর্তি পূজকরা সাধারনত ৪ টি কাজ করে থাকে ,
[১] বাৎসরীক ২ টি বড় অনূষ্ঠান দূর্গাপূজা ও কালীপূজা এ ছাডা আরও ছোট ছোট অনূষ্ঠান ৷
[২] প্রতিমাদের সামনে প্রদীপ মূমবাতী আগরবাতী ইত্যাদী প্রজ্যলীত করন ৷
[৩] এদের নামে পশূ / পাঁঠা কোরবনী [বলী] দিয়ে থাকে ,
[৪] প্রতিমাদের সামনে মাথা নত ও সেজদা করে থাকে ৷
দুর্গার পুষ্পাঞ্জলি মন্ত্র বলে, ‘আয়ুরারোগ্যং বিজয়ং দেহি দেবি নমস্তুতে। রূপং দেহি যশো দেহি ভাগ্যং ভগবতি দেহি মে। পুত্রান দেহি ধনং দেহি সর্ব্বকামাংশ্চ দেহি মে।।’ (হে ভগবতী, আপনাকে প্রণাম করি, আপনি আমাকে রোগমুক্ত করুন, বিজয়ী করুন, যশ ও সৌভাগ্য প্রদান করুন, পুত্র ও ধন দিন এবং আমার সকল কামনা পূর্ণ করুন।)
বর্তমান মাজার পন্থীদের ও ৪ টি কাজ
[১] বাৎসরীক ওরস ও মিলাদ মাহফিলের নামে  কত কিছু,
[২] কবরের সামনে মুমবাতি আগরবাতি প্রজ্জলন  ,
[৩] পীরের / মাজারের নামে পশু কোরবানী /মান্নত করন ,
[৪] কবর ওয়ালার কাছে কিছু চাওয়া ,মনোবাসনা পূন্যের জন্য কবর কেন্দ্রিক দোয়া করা ,ক্ষেএ বিশেষ কবর কে সেজদা করা ইত্যাদি ৷
আর  অনেক মাজার পন্থীরা মাজার/কবর /বা পীরের কাছে ধন সম্পত্তী /সন্তান /রোগমূক্তি/ সহ মনোবাসনা পূন্যের দোয়া করে থাকে,
পাঠক বৃন্দই পার্থক্য করুন প্রতিমাপূজক ও বর্তমান মাজার পূজারীদের মধ্যে কোন প্রাথক্য আছে কি ?
ইসলাম মানবজাতির জন্য হেদায়েতের আলো। মানুষের চিন্তা ও কর্মকে সঠিক পথে পরিচালিত করার জন্য এবং সকল ভ্রান্তি ও প্রান্তিকতা থেকে রক্ষা করার জন্য এই দ্বীন আল্লাহ তাআলা দান করেছেন। তাই একজন প্রকৃত মু’মিন যেমন মূর্খতা ও অবিশ্বাসের শিকার হতে পারেন না তেমনি অজ্ঞতা ও অন্ধ-বিশ্বাসেরও শিকার হন না। সকল প্রকার কুফর ও শীরক্ থেকে আল্লাহ তার চিন্তা ও কর্মকে রক্ষা করেন। কুফর  শীর্ক হল মানব-সমাজের সবচেয়ে বড় কুসংস্কার। মানুষ এই কুসংস্কারের শিকার তখনই হয় যখন ইসলামের শিক্ষাকে ত্যাগ করে মনগড়া ও কল্পনাপ্রসূত মতবাদের অনুসরণ করে। পৃথিবীতে যত প্রকারের শীর্ক ও কুফর আছে সবগুলোর মূলে রয়েছে বিভিন্ন কাল্পনিক ও অবাস্তব ধারণা ও অতীভক্তি ।
এজন্য কুরআন মজীদে আল্লাহ তাআলা বলেছেন- فاجتنبوا الرجس من الأوثان واجتنبوا قول الزور ‘তোমরা অপবিত্রতা থেকে তথা মূর্তিসমূহ থেকে দূরে থাক। আর দূরে থাক মিথ্যাকথন থেকে।’-সূরা হজ্ব : ৩০-৩১
বস্তুত মিথ্যাই সকল পৌত্তলিকতার জনক। অতএব পৌত্তলিকতা থেকে মুক্ত থাকতে হলে মিথ্যার সকল ছিদ্রপথ বন্ধ করতে হবে। কোনো ব্যক্তি বা বস্তু কিংবা কোনো স্থান বা কাল সম্পর্কে ভিত্তিহীন বিশ্বাস পোষণ করার অবকাশ ইসলামে নেই। তদ্রূপ কল্পনাপ্রসূত ধারণার উপর ভিত্তি করে ভক্তি নিবেদনে সীমালঙ্ঘন করারও সুযোগ নেই। এ জাতীয় সকল ধারণা ও আচরণ ইসলামে নিষিদ্ধ। কুরআন মজীদে আল্লাহ তাআলা যেমন সত্যবিমুখ অবিশ্বাসীদের মর্মন্তদ পরিণাম ঘোষণা করেছেন তেমনি ধর্মের নামে ভিত্তিহীন কর্ম ও বিশ্বাস প্রচার কারীদেরকে ‘আল্লাহর উপর মিথ্যারোপকারী’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।অতএব দু’টোই গোমরাহী ও সর্বাবস্থায় পরিত্যাজ্য।
মাযারকেন্দ্রিক কার্যকলাপের তাত্ত্বিক প্রেক্ষাপট
 মাযারকে কেন্দ্র করে আমাদের সমাজে 4টি  অনাচার হয়ে থাকে তার অধিকাংশই রিপুতাড়িত কর্মকাণ্ড যাপরিহার করতে হবে।
প্রথমত:-  নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা, গান-বাদ্য এবং মদ ও গাঁজা হচ্ছে মাযার কেন্দ্রিক মেলা ও ওরসের অন্যতম অনুষঙ্গ। এগুলোর তাত্ত্বিক সূত্র একটিই। তা হচ্ছে, নোংরামী ও রিপুর চাহিদা-পূরণ। এজন্য দেখা যায়, এইসব মাযার-ওরসে অংশ গ্রহণকারীদের সিংহভাগ হল সমাজের অশিক্ষিত ও কুসংস্কারাচ্ছন্ন জনগোষ্ঠী।
যে কর্মগুলি সাধারণ আবস্হায় হারাম হলেও মাযারে তা হালাল হিসাবে গন্য করে থাকে জ্ঞানপাপিরা।
দ্বিতীয়:- অনাচার মাযারের সেবকদের বৈষয়িক ধান্দা। এরা মাযারে আগত নারী-পুরুষের দান-দক্ষিণা ও মান্নত-কোরবানী গ্রহণ করে এবং ঝাড়-ফুঁক, তাবিজ-কবজ ও আশীর্বাণী বিক্রি করে। বলাবাহুল্য, এখানে তত্ত্বের চেয়ে বৈষয়িক দিকটিই বড়।
তৃতীয়:- অনাচার হচ্ছে কুফর ও শিরক। মাযারপন্থী বা মাযারে আগত লোকেরা বিভিন্ন কুফরী ও শিরকী ধারণা পোষণ করে। যেমন মাযার বা মাযারে শায়িত ব্যক্তিকে অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী মনে করা; হাজত-পূরণকারী, বালা-মুসীবত থেকে উদ্ধারকারী এবং মানুষের উপকার-অপকারের মালিক মনে করা ইত্যাদি। এসকল শিরকী বিশ্বাস থেকে তারা বিভিন্ন শিরকী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়। যথা : মাযারের নামে মান্নত করা, মাযারে এসে সিজদা করা, পশু জবাই করা, মাযারওয়ালাকে উদ্দেশ্য করে রোনাযারী করা এবং মাল-দৌলত, সন্তান-সন্ততি, সুস্থতা ও স্বচ্ছলতা প্রার্থনা করা ইত্যাদি। এভাবে বিশ্বাসের শিরক, মানুষকে কর্মের শিরকের মাঝেও লিপ্ত করে দেয়।
চতুর্থ ও সর্বশেষ অনাচারটি হল:- কুরআন-সুন্নাহ এবং দ্বীন-শরীয়তের বিকৃতিসাধন। মাযার কেন্দ্রিক সকল গর্হিত কার্যকলাপের পক্ষে সামপ্রদায়িতাধর্মী জেদ ও হঠকারিতা সৃষ্টির লক্ষ্যে একশ্রেণীর আলখেল্লাধারী গুরু বিভিন্ন অবাস্তব ধারণা প্রচার করে এবং নির্দ্বিধায় কোরআন-সুন্নাহর তাহরীফ ও অপব্যাখ্যা করে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাশুধু ‘অপব্যাখ্যা’ থাকে না; বরং জরুরিয়্যাতে দ্বীন বা দ্বীনের সর্বজনবিদিত আকীদা ও আমলকে অস্বীকার করা হয়।
 মাজার বা কবরস্হানে যা করা যাবে:-
কবর-যিয়ারতের সাথে এসব অনাচারের কোনো সম্পর্ক নেই ইসলামে কবর যিয়ারতের বিধান আছে, কিন্তু' কবরকে উৎসবের স্থানে পরিণত করার অবকাশ নেই। কবর যিয়ারতের উদ্দেশ্য হল, আখিরাতের স্মরণ জাগ্রত করা এবং কবরবাসীর জন্য দোয়া করা। হাদীস শরীফে আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘‘আমি তোমাদেরকে কবর যিয়ারত করতে নিষেধ করেছিলাম। এখন তোমরা যিয়ারত করতে পার। কারণ তা আখিরাত কে স্বরন করিয়ে দেয়।’ (সুনানে আবু দাউদ হাদীস : ২১২৭) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেও তাঁর সাহাবীদের কবর যিয়ারত করেছেন এবং তাদের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করেছেন। কবর যিয়ারতেরও মাসাইল ও নিয়মকানুন আছে। সে মোতাবেক কবর যিয়ারত করলে তাহবে ছওয়াবের কাজ। পক্ষান্তরে কোনো কবরকে ‘মাযারে’ পরিণত করে বছর বছর নির্দিষ্ট স্থানে জমায়েত হওয়া এবং উৎসবে পরিণত করা সম্পূর্ণ হারাম। হাদীস শরীফে পরিষ্কার ভাষায় তা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এক হাদীসে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তোমরা নিজেদের ঘরকে কবর বানিও না। (অর্থাৎ কবরের মতো ইবাদত-বন্দেগী শূন্য করো না) এবং আমার কবরকে উৎসবের স্থান বানিও না। বরং আমার প্রতি দরূদ পড়। কেননা তোমরা যেখানেই থাক না কেন তোমাদের দরূদ আমার নিকট পৌঁছবে।’-সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ২০৪০
তো নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কবরকেই যখন উৎসবের স্থান বানানোর অবকাশ নেই তখন অন্যদের কথা তো বলাই বাহুল্য।
আমরা কিন্তু ওলী আল্লাহ বিরোধী না ,বরং আমাদের দেশ সহ সারা পৃথিবীর সত্যিকারের হক্কানী আলেম-ওলামা, পীর, মাশায়েখ, আউলিয়ায়ে কেরাম আমাদের মাথার মুকুট সমতূল্য সন্মানের পাত্র এতেকোন সন্দেহের অবকাশ নেই৷কারন হক্কানী ওলামায়ে কেরামরাই হলেন এ দ্বীনের ধারক বাহক, যাদের কে নবীর ওয়ারীস হিসাবে খেতাব্ দেয়া হয়েছে ৷তাদের কথা মানবো শুনবো ও আমল করবো তাদের লেখা বই পুস্তুক পডবো, ওয়াজ নছিহত শুনবো , এবং তাদের এন্তেকালের পর পৃথিবীর যে কোন প্রান্ত থেকে তাদের জন্য মাগফেরাতের দোয়া করবো ৷এবং সময় সূযোগ হলে তাদের কবর যেয়ারত করব ৷
আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে সব ধরনের গোমরাহী থেকে রক্ষা করুন এবং সঠিক পথে চলার তাওফীক দান করুন।

শুক্রবার, ২০ নভেম্বর, ২০২০

হাতেম ‎তায়ীকে ‎নিয়ে ‎ভূলধারণা ‎নিরশন ‎

দাতা হাতেম তাই এবং আমার ভুল ধারণা. 
আহমেদ কবির

ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত দয়ালু, উদার, দানশীল হাতেম তাইয়ের নাম শুনে আসছি। গল্প পড়েছি তাঁকে নিয়ে। নাটক হয়েছে, এমনকি ছবিও হয়েছে বড় পর্দায়! বাংলাদেশের সোহেল রানা অভিনীত দাতা হাতেম তাই শেষ করার ধৈর্য আমাদের বন্ধুদের ছিল না বলে হল থেকে বেরিয়ে এসেছিলাম। সব সময়ই আমার ধারণা ছিল, দাতা হাতেম তাই কাল্পনিক মানুষ, গল্পের নায়ক। বাস্তবে এমন কোনো ব্যক্তির অস্তিত্ব ছিল না। আমার সে ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে।

 কারণ, হিজরি ৮ সালে মক্কা বিজয়ের পর আরবের যেসব ছোট ছোট শহরে মূর্তিপূজা তখনো ছিল, নবী (সা.) সেই সব শহরে অভিযান চালিয়ে সমগ্র আরবকে মূর্তিপূজামুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তিনি প্রায় তিনশত সৈন্যসহ আলী ইবনে আবু-তালিবকে সৌদি আরবের উত্তর-পশ্চিমের শহর হাইলে আত-তায়ি গোত্র অভিমুখে পাঠালেন। হাইল শহরে একজন নামকরা ব্যক্তি হাতেম আত-তাইয়ের বাস ছিল, যার নাম প্রায় সব আরবই জানত। তাঁর দানশীলতা ও উদারতা ছিল শিখরছোঁয়া এবং এটাই ছিল তাঁর খ্যাতির কারণ। হাতেম তাই ছিলেন তাই গোত্রের প্রধান এবং তিনি ইসলাম-পূর্ব ৫৭৮ সালে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর ছেলে আদি ইবনে হাতেম গোত্রের প্রধান হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
আদি যখন জানতে পারলেন মুসলমানরা বিভিন্ন অমুসলিম গোত্রে অভিযান চালাচ্ছে, তখন তিনি পালানোর রাস্তা খুঁজতে থাকেন। কিছু সম্পদসহ উট প্রস্তুত করে রাখেন। যখন নিশ্চিত হলেন মুসলমানরা আসছে, তখন তিনি তাঁর গোত্রকে পরিত্যাগ করে তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে সৌদি আরবের উত্তরে রোমানদের কাছাকাছি এক শহরে পালিয়ে আসেন। আদি আগেই খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করেছিলেন বলে রোমানদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল।
এদিকে মুসলমানরা হজরত আলী ইবনে আবু-তালিব (রা.)-এর নেতৃত্বে আত-তাই গোত্রকে পরাজিত করে কিছু যুদ্ধবন্দীকে মদিনায় নিয়ে আসেন। বন্দীদের মধ্যে একজন নারী রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে সাক্ষাতের দাবি জানালেন এই বলে যে তিনি হাতেম তায়ের মেয়ে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন। তাঁকে একটি উট, কিছু টাকা দিলেন এবং বললেন, পছন্দের যেকোনো জায়গায় তিনি নিরাপদে যেতে পারবেন। তিনি তাঁকে মুক্তি দিয়ে দিলেন শুধু হাতেম তাইয়ের মেয়ে হওয়ার কারণে। ভাই কোথায় আছেন, সে খবর পেয়ে তাঁর কাছে গিয়ে প্রথমে ক্রোধ প্রকাশ করলেন তাঁকে রেখে পালিয়ে আসার কারণে, তারপর ভাইকে পরামর্শ দিলেন মোহাম্মদ (সা.)-এর কাছে ফিরে যাওয়ার জন্য। আদিকে বললেন, ‘তিনি যদি নবী হন, তাহলে তাঁর প্রতি বিশ্বাস রেখে তাঁর ধর্ম যত তাড়াতাড়ি গ্রহণ করবে, ততই তোমার মঙ্গল হবে। আর যদি তিনি রাজা হন, তাহলে কিছু অনুগ্রহ বা সাহায্য পাওয়ার চেষ্টা করতে পারো।’
আদি ইবনে হাতেম নিজেই বর্ণনা করেন, ‘মোহাম্মদ (সা.)-এর চেয়ে আর কেউ আমার কাছে এত বিদ্বেষের ছিলেন না, কিন্তু আমি নিজেকে বললাম, গিয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দেখি না, যদি তিনি সত্য বাণী বলেন, তাহলে সরাসরি তাঁর কাছ থেকে শুনব আর যদি তা না হয়, তাতে আমার তেমন ক্ষতির কিছু নেই।’ তাই তিনি ৮ম হিজরির শেষের দিকে অথবা ৯ম হিজরির প্রথম দিকে মদিনায় গেলেন। মদিনায় যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু লোক তাঁকে চিনে ফেলে চিৎকার করে বলতে লাগল, ‘উনি হাতেম তাইয়ের ছেলে আদি’ এবং লোকেরা তাঁকে ঘিরে ফেলল। তারপর তারা তাঁকে রাসুলুল্লাহর (সা.) কাছে নিয়ে গিয়ে বলল, ‘উনি হাতেম তাইয়ের ছেলে আদি।’
নবী (সা.) আদিকে বললেন, ‘ইয়া আদি, আসলিম তুসলিম’ (হে আদি, ইসলাম গ্রহণ করো এবং তুমি নিরাপদ হবে)। আদি উত্তর দিলেন, ‘আমি তো একটি ভালো ধর্মের অনুসারী।’ রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও দুইবার বললেন এবং আদি একই উত্তর দিলেন। তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘ইয়া আদি, আনা আলামু বি দিনিকা মিনকা’ (হে আদি, আমি তোমার ধর্ম সম্বন্ধে তোমার থেকে বেশি জানি)। রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘তুমি কি তোমার গোত্রের প্রধান নও?’ আদি বললেন, ‘হ্যাঁ।’ রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘তাদের আয়ের চার ভাগের এক ভাগ কর হিসাবে নাও?’ আদি বললেন, ‘হ্যাঁ।’ তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘তুমি কি জানো যে তোমার নিজের ধর্ম এটা নিষেধ করে?’ আদি কিছুটা লজ্জা পেলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) আদির হাত ধরে তাঁর ঘরের দিকে রওনা দিলেন। আদি বলেন, ‘পথিমধ্যে এক শিশুসহ একজন বৃদ্ধা ওনাকে থামালেন এবং তাঁর সমস্যার কথা বলতে লাগলেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) নারীটি আশ্বস্ত হওয়া পর্যন্ত কথা বললেন। আমি তখন চিন্তা করছিলাম এই লোক রাজা নন। আমরা তাঁর ঘরে এলে উনি এক পুরাতন ছেঁড়া মাদুর আমার নিচে দিয়ে বসতে বললেন। আমি একটু অপ্রস্তুত হয়ে তাকিয়ে আর কিছু না দেখে তাঁকে বসতে বললাম। তিনি জোর করে আমাকেই বসতে বললেন। আমি বসলে উনি মাটিতেই বসলেন। উনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, আমি আর কোনো গড জানি কি না আল্লাহ ছাড়া? আমি উত্তর দিলাম, না। তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেন, আমি আর কাউকে জানি কি না আল্লাহ থেকে বেশি ক্ষমতাবান ও শক্তিশালী? আমি আবার বললাম, না। তখন তিনি বললেন, ইয়াহুদরা মাকদুব ও নাসারারা মিসগাইডেড এবং ভুল যা তারা বিশ্বাস করে।
‘তারপর রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, তুমি বোধ হয় ইসলাম গ্রহণ করছ না আমার আশপাশের মানুষগুলোর অবস্থা দেখে (রাজনৈতিক দুর্বলতা ও দারিদ্র্য ইত্যাদি)। তুমি কি আল-হিরার নাম শুনেছ? আমি বললাম, হ্যাঁ, শুনেছি। তবে কখনো যাইনি ওই শহরে। নবী (সা.) বললেন, প্রকৃতপক্ষে এটা শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র, যখন কোনো মহিলা আল-হিরা শহর থেকে মক্কায় কাবা তাওয়াফ করার জন্য কোনো নিরাপত্তাসঙ্গী ছাড়াই আসবে। তার ভয়ের কোনো কারণ থাকবে না এবং সত্যি সত্যিই এটা শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র যখন কিসরার ধনভান্ডার আমাদের মধ্যে বণ্টন করা হবে। আমি তখন অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, কিসরা? হরমুজের ছেলে? তিনি বললেন, হ্যাঁ, কিসরা, হরমুজের ছেলে। আর প্রকৃতপক্ষে এটাও সময়ের ব্যাপারমাত্র যখন মানুষ মদিনার রাস্তায় ঘুরে ঘুরে ছাদকা দিতে চাইবে কিন্তু একজনকেও ছাদকা দেওয়ার যোগ্য পাবে না।
‘আমি রাসুলুল্লাহর (সা.) তিনটার দুইটাই স্বচক্ষে দেখেছি। মুসলমান রাজ্যের শান্তি ও নিরাপত্তা নিজে দেখেছি এবং আমি নিজে অংশগ্রহণ করেছি টেসিফান (Ctesiphan, the Capital of Sasaniad empire) সাসানিদ রাজ্যের রাজধানী বিজয়ের যুদ্ধে (Battle of Nihawand, 651). যা-ই হোক, আমি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করি। আমি প্রায়ই রাসুলুল্লাহর (সা.) সঙ্গে সাক্ষাৎ করতাম। একবার আমি তাঁকে আমার পিতা সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করলাম, ইয়া রাসুলুল্লাহ (সা.), আমার বাবা তাঁর আত্মীয়স্বজনদের প্রতি ছিলেন সদয়, দয়ালু এবং মানুষের প্রতি খুব দানশীল ছিলেন; তিনি কি তাঁর কাজের প্রতিদান-পুরস্কার পাবেন? রাসুলুল্লাহ (সা.) উত্তরে বললেন, তোমার বাবা যা কামনা-আকাঙ্ক্ষা করেছিলেন এবং তিনি তা পেয়েছেন যা চেয়েছিলেন।’ (ইবনে হিব্বান)
এই হাদিসের মানে, কেউ যদি নাম-যশের, দুনিয়ায় সুখ্যাতির জন্য করে, তবে তা সে দুনিয়াতেই পাবে, আর কেউ যদি আল্লাহর কাছে পাওয়ার জন্য করে, তাহলে তার পাওনা আদায় ওইখানেই হবে।
আদি ইবনে হাতেম (রা.) বেঁচেছিলেন অনেক দিন, অনেকের মতে, ১২০ বছরের কাছাকাছি। তিনি ইসলামের তৃতীয় খলিফা হজরত ওসমান (রা.)-এর হত্যা (Killing of Uthman) দেখেছেন, তিনি ইসলামের চতুর্থ খলিফা হজরত আলীর (রা.) সঙ্গে মুয়াবিয়ার (রা.) বিরুদ্ধে সাফিন যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন, যার ফলে শিয়া সম্প্রদায়ও তাঁকে সন্মান করে।

Dr.Qadi-র Seerah of Prophet (s) থেকে। 
সংকলিত প্রথম আলো ২৯ জুলাই ২০১৭ অনলাইন সংস্করণ থেকে। 

সংকলক 
এম  এম  আবদুল্লাহ  ভূঁইয়া  

রবিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২০

রং ‎চা ‎এর ‎অবাক ‎করা ‎উপকারীতা ‎


লাল চায়ের অবাক করা উপকারিতা কিন্তু কি ভাবে সেবন করবেন? জেনে নিন। 

দিনের শুরুতে এক কাপ চা না পেলে কেমন যেন হাঁপিয়ে ওঠে শরীরটটা। তাই না? কিন্তু কী চা খান সকালে? দুধ চা হলে ক্ষণিকের জন্য মনটা চনমনে হয়ে উঠলেও শরীরের কিন্তু কোনও উপকারই হয় না। তবে যদি এক পেয়ালা লাল চা খান, তাহলে কথাই নেই! মনের পাশপাশি শরীরও চাঙ্গা হয়ে ওঠবে। কারণ লাল চা-এর উপকারিতার কথা বলে শেষ করা যাবে না। এই পানীয়টি নানাভাবে শরীরের গঠনে কাজে লাগে, যে সম্পর্কে জানলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন। লাল চায়ে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা শরীরে ক্লান্তি দূর করার পাশপাশি হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, লাল চায়ে থিয়োফিলাইন নামে একটি উপাদান থাকে। এটি শরীরকে সার্বিকবাবে চাঙ্গা করতে দারুন কাজে দেয়। এখানেই শেষ নয়। এই পানীয়র আরও কিছু উপকারিতা আছে। যেমন... ১. ক্যান্সার প্রতিরোধ করে একদম ঠিক শুনেছেন। প্রতিদিন কয়েক কাপ লাল চা আপনাকে এই মারণ রোগের হাত থেকে বাঁচাতে পারে। আসলে এই পানীয়তে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রপার্টিজ সহ এমন কিছু উপাদান, যা লাং, প্রস্টেট, কলোরেকটাল, ব্লাডার, ওরাল এবং ওভারিয়ান ক্যান্সারকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, লাল চা শরীরের যে কোনও অংশে ম্যালিগনেন্ট টিউমারের বৃদ্ধি আটকাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে নানাবিধ অসুস্থতার প্রকোপ থেকে বাঁচতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটা একান্ত প্রয়োজন। আর এক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করতে পারে লাল চা। এখানেই শেষ নয়, এই পানীয়তে টেনিস নামে একটি উপাদান রয়েছে, যা নানা ধরনের ক্ষতিকর ভাইরাসের হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করে। ফলে সহজে কোনও রোগ ছুঁতে পারে না। ৩. মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে লাল চায়ে ক্যাফিনের পরিমাণ কম থাকায় এই পানীয়টি মস্তিষ্কে রক্তচলাচলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে ব্রেনের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে স্ট্রেস কমে। প্রসঙ্গত, একটি গবেষণায় দেখা গেছে এক মাস টানা যদি লাল চা খাওয়া যায়, তাহলে পারকিনস রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক কমে যায়। ৪. ওজন হ্রাস করে লাল চা হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়। ফলে শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমার সুযোগই পায় না। তাই আপনি যদি ওজন কমাতে বদ্ধপরিকর হন, তাহলে আজ থেকেই খাওয়া শুরু করুন এই পানীয়। ৫. হার্ট চাঙ্গা হয়ে ওঠে হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে লাল চায়ের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে এই পানীয়তে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রপাটিজ হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমিয়ে দেয়। প্রসঙ্গত, স্ট্রোকের সম্ভাবনা কমাতেও লাল চা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ৬. হাড়কে শক্তপোক্ত করে লাল চায়ে উপস্থিত ফাইটোকেমিকালস হাড়কে শক্ত করে। ফলে আর্থ্রাইটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে। ৭. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায় প্রতিদিন লাল চা খেলে হজম ক্ষমতা ভাল হতে শুরু করে। আসলে এতে রয়েছে টেনিস নামে একটি উপাদান, যা হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর পাশপাশি গ্য়াস্ট্রিক এবং নানা ধরনের ইন্টেস্টিনাল রোগ সরাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ৮. স্ট্রেস কমায় লাল চায়ে রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড, যা স্ট্রেস কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সেই সঙ্গে মনকে চনমনে করে তুলতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়।
সূত্র ঃ
২১ মার্চ ২০১৭ কালের কন্ঠ অনলাইন সংস্করণ এ প্রকাশিত প্রবন্ধ অবলম্বনে। 
এর সাথে আমি লায়ন ডাক্তার আলমগীর মতি  মর্ডান হারবাল কোং   মহোদয়ের একটি  কথা সংযোজন  করতে চাই  তাহল রং চা এর এ উপকারীতা  আমাদের পেতে হলে  শুধু মাত্র  রং চা ই পান করুন চিনি বা দুধ ছাডাই কারন চায়ের সাথে  দুধ চিনি মিশানোর ফলে চা এর সেই   কাঙ্ক্ষিত  উপকারীতা কখনো সম্ভব নয়। 
তাছাডা  তিনি বলেন এ রং চা কে আরও উপকারীতা  করে তুলতে হলে এর সাথে তুলশি পাতা, পুদিনা পাতা, আদা, ইত্যাদি  মিশিয়ে  সেবন করতে পারলে আরও চমৎকার  ফলাফল  পাওয়া  যাবে। 
কারন তিনি  বলেন মঙ্গলিয়ান রা কখনো চা এর সাথে দুধ  চিনি  কিছুই  মিশান না তারা শুধু  লিকার চা টাই পান করেন পানির পরিবর্তে। 
তাদের খাওয়ার টেবিলে  অফিসে সর্বদা প্লাক্স ভর্তি চা থাকবেই। তাছাডা তিনি বলেন যে পৃথিবীতে  প্রায়  শতাধিক  রকমের ভেষজ চা আছে। তা আমরা অনেকেই  জানিনা। 
সুতরাং   চা খেতে হলে রং চা দুধ চিনি  ছাডাই অভ্যাস করতে পারেন  শুরুতে  একটু সমস্যা  মনে হলেও ধীরে ধীরে অভ্যস্হ হয়ে গেলে খালি উপকারই উপকার।আর একান্ত চিনি খেলেও যেন পরিমানটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন। 

সংকলন সংযোজন  
এম  আবদুল্লাহ  ভূঁইয়া 
  

তাছাডা আরও  জানতে ভিজিট করুন  
রং চা নাকি দুধ চা?  
http://aponblog.com/morning-tea-whose-best

শনিবার, ৭ নভেম্বর, ২০২০

আই ‎বি ‎এস ‎কি ‎চিকিতসা ‎করনীয় ‎বর্জনীয় ‎পরামর্শ ‎

আই_বি_এস (IBS) চিকিৎসা / করনীয় বর্জনীয় ঃ 

আই বি এস কি? 

 আই.বি.এস (Irritable Bowel Syndrome)-এর রোগীরা দীর্ঘমেয়াদি পেটের সমস্যায় ভুগে থাকেন ,বাংলাদেশর মোট জনসংখ্যার প্রায়  ১১-১২%মানুষ এই রোগে আক্রান্ত।  অর্থাৎ বদহজম, গ্যাস  আমাশা চির জীবনের সঙ্গী হয়ে যায়। পেটে হঠাৎ করে কামড় দেবে এবং সাথে সাথে বাথরুমে যেতে হবে। এমনও ব্যক্তি আছে যার দিনে চার-পাঁচ বার বাথরুমে যাওয়া লাগে।হঠাৎ  পাতলা পায়খানা হঠাৎ  কোষ্ঠকাঠিন্য, আবার কখনো আমাশয় জনিত  সমস্যা, পেটে গ্যাস বদহজম লেগেই থাকে। এক কথায় বলতে গেলে হ্যাভি গ্যাস্টিক অর্থাৎ  গ্যাস্টিক যখন উচ্চ  পর্যায়ে  পোছে  যায়  তখন একে আই বি এস বলা হয়। কিন্তু পেটের এত সমস্যা থাকার পরও  অনেক সময় কোন পরীক্ষায় ও ধরা পডেনা। 

Types প্রকারভেদ : আই বি এস দুই প্রকার ঃ
১।ডায়রিয়া প্রধান (আইবিএস)
২।কোস্টকাঠিন্য প্রধান  (আইবিএস)

Aetiology কারণঃ
১।মানসিক ও সামাজিক সমস্যা 
২।পরিপাকতন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা 
৩। অতিরিক্ত তেলে ভুনা খাদ্য গ্রহণ 
৪।অতিরিক্ত রাএি জাগরণ 
৫।মদ্যপান
৬।অতিরিক্ত নেনশন
৭। অনিয়মিত খাদ্য গ্রহণ 
৮।অতিরিক্ত ব্যস্ত থাকা
৯।অতিরিক্ত ফাস্টফুড জাতিয় খাবার গ্রহণ 
১০।দীর্ঘদিন  Constipation এ ভোগার কারণে 
১১।Vagus nerve বেশি উওেজিত হওয়া। 

োClinical feature.লক্ষ্যন
১।মল কখনও শক্ত আবার কখনও নরম হয়। 
২।খাবার পরপর পায়খানার বেগ হয়। 
৩।মলের সাথে মিউকাস বা আঠালো বিজলা যেতে পারে। 
৪।পেট ফেঁপে থাকে 
৫।পেটের বাম দিকে চাপ দিলে ব্যাথা লাগে। 
৬।প্রস্রাবে জ্বালা যন্ত্রনা থাকতে পারে। 
৭।শরীরের ওজন কমে যায়। 
৮।কোনো কোনো সময় মলের সাথে রক্ত যেতে পারে। 
৯। রোগী অতিরিক্ত দুশ্চিন্তায় ভুগতে থাকে। 
১০।পেটে ভুটভাট শব্দ হয়ে থাকে। 
১১।Anorexia /অরুচি 
১২।দীর্ঘদিন এই রোগে ভুগতে থাকলে যৌন সমস্যার সৃষ্টি হয়। 

Investigation :রোগী যে সমস্যা বা রোগের বর্ণনা দেয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাতেই রোগ নির্ণয় হয়ে যায়। তাছাড়াও যে সকল পরীক্ষা সমূহ করা উচিৎ। 
 👉History,নিতে হবে।
👉রক্ত পরীক্ষা
👉কলোনস্কাপি
👉সিগময়ডোস্কপি, 
👉থাইরয়েড হরমোন পরীক্ষা
👉মল পরীক্ষা
👉দুধ সহ্যক্ষমতা পরীক্ষা ইত্যাদি। 
 
যে সব 
নিষেধ : 
আইবিএসের রোগীদের আমরা চর্বিযুক্ত খাবার, তৈলাক্ত খাবার, আঁশযুক্ত খাবার, যব, গম, গমের তৈরি খাবার না খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকি, শাকসবজি, সালাদ ইত্যাদি নিষেধ। হোটেলের খাবার, দুধ ও দুধের তৈরি খাবার বন্ধ তবে ছানা খাওয়া যাবে। অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার ও গুরুপাক বর্জন করতে হবে। 

পরামর্শ : নরম ভাত, হালকা ঝোলের তরকারি, কাচা -পাকা পেঁপে,-পাকা বেল খাবেন, কদু,শষা,ইসুবগুল, মাছ,  গরম-গরম-টাটকা খাবার খেতে হবে। বাসি পচা খাবার খাওয়া যাবে না । 

যে সকল খাবার রোগী খেতে পারবেন ঃ-
১। জিরা+ ধনিয়া+মিষ্টি জিরা-সবগুলো উপাদান ১০০ গ্রাম নিয়ে হালকা ভেজে পাউডার করে ১চামচ পাউডার ১টি খালি পানের ভিতর চাবাই খাবেন ভরাপেট এ ১বার। 
৩। খাবার আগে ও পরে ১ টুকরা আদা চাবাই খাওয়া যেতে পারে। 
৪। প্রতিদিন থানকুনি ও পুদিনাপাতা খাওয়া যেতে পারে। 

যে সকল খাবার রোগীর জন্য নিষেধ:-

দুধ জাতীয় খাবার, শাকজাতীয় খাবার, মাংস জাতীয় খাবার, ভাজাপোড়া, অতি তৈলাক্ত, মসলাও চর্বিযুক্ত খাবার। 
সব চেয়ে  গুরুত্বপূর্ণ  কথা  হল  এ সকল রুগিদের  খুব সিম্পল জীবন যাপন করতে হয় সতর্কতার সঙ্গে। 
এবং ধৈর্য্য ধারণ  করে

 নিয়মিত ভেষজ সেবনে সচেষ্ট  হলে অনেকাংশে  সুস্হ থাকা যায়। 

 ত্রিফলা,
 বেল শুঁঠ, 
পুদিনা,
সুফুপ কম্মুন 
থানকুনি, 
 ইসুবগুল,
আদা, 
আফেল সাইডার ভিনিগার 

  ইত্যাদি  চিকিৎসক এর পরামর্শে  সেবন করা যায়।

সৌজন্যে 
 ভূঁইয়া  ন্যাচরাল হার্বস
01829318114

কোরআনের ‎আয়াতের ‎সংখ্যা ‎নিয়ে ‎সংশয় ‎নিরসন ‎

 কুরআনে মোট আয়াত সংখ্যা প্রকৃতপক্ষে কত হত পারে? এ নিয়ে ঐতিহাসিকদের মাঝে ভিন্নতা রয়েছে। 
যেমন 

👏👏১ম অভিমত👏👏
১) আয়েশা(রাঃ) —– ৬,৬৬৬ টি।
২) উসমান(রাঃ) —– ৬,২৫০ টি।
৩) আলী(রাঃ) ——- ৬,২৩৬ টি।
৪) ইবনে মাসুদ(রাঃ)– ৬,২১৮ টি।
৫) মক্বার গনণা ——- ৬,২১২ টি।
৬) ইরাকের গনণা —- ৬,২১৪ টি।
৭) বসরার গনণা —– ৬,২২৬ টি।

✌এইগুলোর সাথে বিসমিল্লাহ ধরে হিসাব করলে এইরুপ হবেঃ-

আয়েশা(রাঃ)—— ৬,৬৬৬ টি।
উসমান(রাঃ) —– ৬,২৫০ + ১১৩ = ৬,৩৬৩ টি।
আলী(রাঃ) ——– ৬,২৩৬ + ১১৩ = ৬,৩৪৯ টি।
ইবনে মাসুদ(রাঃ)— ৬,২১৮ + ১১৩ = ৬,৩৪১ টি।
মক্বার গনণা ——- ৬,২১২ + ১১৩ = ৬,৩২৫ টি।
ইরাকের গনণা —– ৬,২১৪ + ১১৩ = ৬,৩২৭ টি।
বসরার গনণা —— ৬,২২৬ + ১১৩ = ৬,৩৩৯ টি।

✌উল্লেখ্য যে, সুরা আত-তাওবা’য় বিসমিল্লাহ নাই। এই কারনে আল্লাহ রাববুল আলামিন মোট ১১৪ টি সুরায় ১১৩ বার বিসমিল্লাহ সংযোজন করেছেন এবং সুরা আত-তাওবায় কেন বিসমিল্লাহ সংযোজন করেননি তা আল্লাহই ভাল জানেন।ঐতিহাসিকরা আয়েশা (রাঃ) এর গনণা বা মত (৬,৬৬৬টি) গ্রহন করেছেন।তবে এটা সত্য যে, বেশির ভাগ আলেম-উলামাগণ আবার আলী (রাঃ) এর মতকেও (৬,২৩৬টি বিসমিল্লাহ ছাড়া এবং ৬,৩৪৯টি বিসমিল্লাহ সহ) গ্রহন করেছেন।

🌹তবে সূরার শুরুতে  ‘বিসমিল্লাহ’ কুরআনের কোন আয়াত নয় এই ব্যাপারে ওলামগন একমত। তেমনি সূরা ফাতিহার শেষে ‘আমীন’ ও কোন আয়াত নয়। তবে এটা কোরআনের  আয়াত এতে কোন সন্দেহ  নেই।  ( আল্লাহ ভাল জানেন) 

কুরআনে বিভিন্ন দৈর্ঘ্যের মোট ১১৪টি সূরা রয়েছে। সকল সূরা মিলিয়ে মোট আয়াতের সংখ্যা।প্রায় ৬২৩৬ (মতান্তরে ৬৩৪৮টি অথবা ৬৬৬৬টি)।

[সূত্র: উইকিপিডিয়া।] 


👏👏👏২য় অভিমত👏👏👏
আল কোরআন একাডেমী লন্ডন থেকে প্রকাশিত পবিত্র কোরআনের পূর্ণাঙ্গ সহজ সরল বাংলা অনুবাদ জনাব হাফেজ মুনির উদ্দীন আহমদ সাহেবের কিতাব থেকে দেখা যায় যে, তিনি তার কিতাবের ১৭ নং পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেছেন:

জান্নাতের ওয়াদা ১০০০, জাহান্নামের ভয় ১০০০, নিষেধ ১০০০, আদেশ-১০০০, উদাহরন-১০০০, কাহিনী-১০০০, হারাম-২৫০, হালাল-২৫০, পবিত্রতা-১০০ এবং বিবিধ-৬৬ সর্বমোট ৬৬৬৬ আয়াত।

হযরত আয়েশা (রা.) এঁর মতে ৬৬৬৬, হযরত ওসমা (রা.) এঁর মতে ৬২৫০, হযরত আলী (রা.) এঁর মতে ৬২৩৬, হযরত ইবনে মাসউদ (রা.) এঁর মতে ৬২১৮, মক্কার গননা মতে ৬২১২, বসরার গণনা মতে ৬২২৬, ইরাকের গণনা মতে ৬২১৪টি আয়াত আমাদের মুসলমাদের ধর্মগ্রন্থে বিদ্যমান। ঐতিহাসিকদের মতে আয়েশা (রা.) গণনাই বেশী প্রসিদ্ধ লাভ করেছে।

✌এই অনুবাদক সাহেব খুব জোড় দিয়েই লিখেছেন ঐতিহাসিকদের মতে আয়েশা (রা.) গণনাই বেশী প্রসিদ্ধ লাভ করেছে।

👏👏👏৩য় অভিমত👏👏👏
*(ক.) পবিত্র কোরআনের আয়াত সংখ্যার ব্যাপারে মদীনা বাসিদের দুটি মত।

এক-৬২১৭ টি*
দুই-৬২১৪ টি *
[ফতোয়ায়ে হাক্কানিয়া খ: ২,পৃ: ১৩২]

*(খ.) মক্কা বাসিদের মতে কোরআনে কারীমের আয়াতের সংখ্যা ৬২২০ টি, যা হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা:) এর দিকে নিসবত করা হয়।
[ফতোয়ায়ে হাক্কানিয়া খ: ২,পৃ: ১৩২]

*(গ.) কূফা বাসিদের নিকট আয়াত সংখ্যা ৬২৩৬ টি।
[মছদারু চ্ছাবিক খ:২, পৃ: ১৩২]

*(ঘ.) এ ব্যাপারে বসরা বাসিদের দুটি মত।
এক-৬২০৫ টি*
দুই-৬২১৯ টি*
[মছদারু চ্ছাবিক খ:২, পৃ: ১৩২]

*(ঙ.) শাম বাসিদের মতে কোরআনে কারীমের আয়াত সংখ্যা ৬২২৬ টি [ফতোয়ায়ে হাক্কানিয়া খ: ২,পৃ: ১৩২]

*(চ.) আরবের বিভিন্ন অঞ্চলের ক্বারীগণ কোরানের আয়াতের সংখ্যা নির্ধারণ করেছেন: কুফীদের মতে: ৬,২৩৬টি আয়াত; বসরাবাসীদের মতে: ৬,২১৬টি আয়াত; সিরীয়াবাসীদের মতে: ৬,২৫০টি আয়াত; ইসমাইল ইবনে জাফর মদনীর মতে: ৬,২১৪টি আয়াত; মক্কীদের মতে: ৬,২১৮টি আয়াত; হযরত আয়শার মতে: ৬,৬৬৬টি আয়াত”।
[দ্র: সং. ই. বিশ্বকোষ,১ম খ.৩য় মুদ্রণ ‘আয়াত’ অধ্যায়; পৃ: ৭০; ই. ফা.]

✌আল-কোরআন পাঠের সময় বিশেষ কিছু স্থানে ওয়াকফ করতে হয় অর্থাৎ থামা জরুরী এবং না থামলে গোনাহ হয়। আবার কিছু কিছু স্থানে থামা ও না থামা উভয়ই অনুমোদিত অর্থাৎ না থামলেও চলে। আর এ কারনেই অনেকে একসাথে একের অধিক আয়াত/বাক্যকে একসাথে ধরে গুনেছেন। আবার অনেকে প্রতিটি ওয়াকফ/থামার স্থানকে এক একটি বাক্য হিসেবে ধরে গুনেছেন।

✌বাংলা ভাষাতেও কোন বিষয়কে একই সংখ্যক শব্দ প্রয়োগের মাধ্যমে যেমন বিভিন্ন সংখ্যক বাক্য রূপে প্রকাশ করা যায়। আরবী ভাষার ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য এবং আরও সহজ বটে। তবে এক্ষেত্রে শব্দ প্রয়োগের ক্ষেত্রে কোনরূপ অসামঞ্জস্যতা ও বিকৃত অর্থ পরিলক্ষিত হচ্ছে কিনা সেটাই মূল বিবেচ্য বিষয়।

যেমন: আমি হাসপাতালে গিয়ে একজন রোগী দেখলাম। তিনি খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তাকে তৎক্ষণাৎ আইসিইউ-তে স্থানান্তর করি, সেখানে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করি। এখন আল্লাহর রহমতে তিনি সুস্থ।
[এখানে পাঁচটি আয়াত/বাক্য রয়েছে]

✌একটু ভিন্নভাবে হিসেব করলে দেখুন কয়টি বাক্য হয় দেখুন: আমি হাসপাতালে গিয়ে একজন রোগী দেখলাম যিনি খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন, তাকে তৎক্ষণাৎ আইসিইউ-তে স্থানান্তর করি এবং সেখানে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করায় এখন আল্লাহর রহমতে তিনি সুস্থ।
[এখানে দুইটি আয়াত/বাক্য রয়েছে]

🌹কোরানের আয়াত সংখ্যা নির্ণয়ে এ মতবিরোধ খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। একটি উদাহরণের মধ্য দিয়ে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে ওঠবে। সুরা ফাতিহার আয়াত সংখ্যা সাধারণভাবে গণ্য করা হয় ৭টি। কিন্তু ইমাম হাসান (রা.)-এর মতে আয়াত সংখ্যা ৮টি। তিনি ‘বিসমিল্লাহ’-কেও একটি আয়াত গণ্য করেছেন। আবার কারও কারও মতে সুরা ফাতিহার আয়াত সংখ্যা ৬টি। এ মতানুযায়ী ৬ ও ৭ আয়াতদ্বয় মিলে এক আয়াত এবং বিসমিল্লাহ আয়াত নয়। আবার কার কারও মতে সুরা ফাতিহার আয়াত সংখ্যা ৯টি।

🌴তবে বর্তমান বিশ্বে প্রচলিত কোরানের প্রতিটি সুরার প্রারম্ভে প্রতিটি সুরার যে আয়াত সংখ্যা উল্লেখিত আছে তা এক সঙ্গে যোগ করা হলে মোট আয়াত সংখ্যা দাঁড়ায় ৬২৩৬টি আর ‘বিসমিল্লাহ’-কে প্রতিটি সুরার এক একটি আয়াত গণ্য করা হলে এ সংখ্যা দাঁড়ায় ৬২৩৬+১১৩ = ৬৩৪৯টি।”

✌প্রত্যেকে হুবহু একই কোরানকে আয়াত সংখ্যার দিক দিয়ে বিভিন্ন মত দিয়েছেন।কারন তারা একেকজন আয়াতকে একেক জায়গায় শেষ করেছেন।তাই মূল কোরআনে বিভিন্নতা না থাকলেও আয়াত সংখ্যার গননায় বিভিন্নতা।এজন্য আয়াত সংখ্যা নিয়ে মতভেদ দেখা গেলেও আজ পর্যন্ত আয়াত সংখ্যায় বিভিন্ন মত দানকারীদের মধ্যে কোরানে কম বেশি করা হয়েছে -এ জাতীয় বিতর্ক সৃষ্টি হয় নি।কেননা তারা মূল বিষয়টি জানেন।কিন্তু বর্তমানে এ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করতেছে।কেননা,৬৬৬৬ সংখ্যাটির সৌন্দর্য বিবেচনায় আলেমগন এ মতটিকে গ্রহন করেছেন।কিন্তু বিশ্বব্যাপী প্রচলিত কোরআনে সাজানোর ধরন অনুযায়ী আয়াত সংখ্যা হয় ৬২৩৬ টি।এখন এ পরিস্থিতিতে আহলে হাদীসরা বলছে কোরআনের আয়াত সংখ্যা ৬২৩৬ টি,৬৬৬৬ সংখ্যাটি ভুল।দেওয়ানবাগী বলছে,৬৬৬৬ সংখ্যাটি ভুল।আমি সংস্কার করে বললাম ৬২৩৬ টি,নতুবা গুনে দেখুন।আর শিয়ারা বলতেছে ৬৬৬৬ টি আয়াত ছিল,সুন্নীরা ৪৩০ টি আয়াত গায়েব করে ফেলেছে।অজ্ঞতার কারনে ধর্মে কি পরিমাণ ফেতনা ছড়াচ্ছে।

✌প্রশ্ন হতে পারে সেই ৪৩০ টি আয়াত কোথায় গেল?কোথায় সংরক্ষিত আছে?আপনারা কেন দেখাতে পারছেন না?সত্যের দলীল একেবারে গায়েব করা যায় না।কোরআন তো কখনোই না।কারন আল্লাহ নিঁজেই ঘোষনা করছেন তিঁনি এর হেফাজতকারী।কাফের মোশরেকরা যথেষ্ট চেষ্টা করেছে কোরআনকে উল্টাপাল্টা করে দিতে।কিন্তু পারে নি।যেই শিয়ারা বলেছে যে কোরআন থেকে ৪৩০ টি আয়াত মুছে ফেলা হয়েছে,তাদের কাছে অনুমান ও কাল্পনিকতা ব্যতীত স্পষ্ট দলীলের প্রমাণ চাই,দিতে পারবেন কি?একজন অলির কিতাব থেকে প্রমাণ দিতে পারবেন যে কোরান থেকে আয়াত মুছে ফেলা হয়েছে?সবচেয়ে বড় কথা হল,মাওলা আলী (আ:) বলেছেন,আয়াত সংখ্যা ৬২৩৬ টি আর মা আয়েশা(রা:) এর মত হল আয়াত সংখ্যা ৬৬৬৬ টি।তাই প্রশ্ন থেকে যায়,আপনারা যেখানে মাওলা আলী (আ:) ব্যতীত কাউকে মানছেন না এবং মা আয়েশা (রা:) কেও মানছেন না,তবে আপনারা কেন আয়াত সংখ্যা নির্ধারনে মাওলা আলী (আ) কে বর্জন করে মা আয়েশা (রা:) এঁর মত গ্রহন করে ৪৩০ টি আয়াত মুছে ফেলার অভিযোগ তুলছেন? আপনারা এক সকল ক্ষেত্রে মাওলা আলী (আ:) কে মানলে এখানে কেন মা আয়েশা (রা:) এর মত গ্রহন করে মুসলমানদের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন।অথচ: আয়াত সংখ্যা সুস্পষ্ট মতভেদের কারন পরিলক্ষিত হচ্ছে।যেটা নিয়ে এত মতভেদ দেখা যায়,সেটা নিয়ে কেন এত বাড়াবাড়ী??

👏👏👏৪র্থ অভিমত👏👏👏
এ. বি. এম. আব্দুল মান্নান মিয়া ও আহমদ আবুল কালাম কোরানের আয়াত সংখ্যার বিষয়ে যে অভিমত দিয়েছেন তা এরকম: “কোরানের আয়াত সংখ্যা ছয় হাজারের মত। শায়খ আদ-দানী (রা.) বলেছেন, মুসলিম উম্মাহ একমত যে কোরানের আয়াত সংখ্যা মোটামুটি ছয় হাজারের মত। তবে তাঁদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে এই ছয় হাজারের পরে কত সংখ্যা বেশি আছে তা নিয়ে। এ বিষয়ে ছয়টি মত পাওয়া যায় :

১. পূর্ণ ছয় হাজার; না বেশি, না কম।
২. ৬ হাজার ২শত ৪টি।
৩. ৬ হাজার ২শত ১৪টি।
৪. ৬ হাজার ২শত ১৯টি।
৫. ৬ হাজার ২শত ২৫টি।
৬. ৬ হাজার ২শত ৩৬টি।

👏👏👏৫ম অভিমত👏👏👏

*(ক.) মুসনাদ দায়লামীর এক বর্ণনায় আছে কোরানের আয়াত সংখ্যা ৬ হাজার ২শত ১৬টি।

*(খ.) ইবনুদ দুরীস (রা.)-এর এক বর্ণনায় জানা যায় কোরানের আয়াত সংখ্যা ৬ হাজার ৬শত।

*(গ.) আমাদের দেশে ও অন্যান্য মুসলিম বিশ্বে বহুল প্রচলিত কোরানের আয়াত সংখ্যা ৬ হাজার ৬শত ৬৬টি।তবে যেভাবে পূর্ণ আয়াত ধরা হয়েছে,সেভাবে হিসাব করলে আয়াত সংখ্যা ৬২৩৬ টি।

🌹অধিকাংশ মানুষ পবিত্র কোরআনের আয়াত সংখ্যা সম্পর্কে যা জানে তা হল পবিত্র কোরআনের আয়াত সংখ্যা ৬৬৬৬ টি।তবে কেউ গণনা করে দেখে না যে আসলে কয়টি আয়াত বিদ্যমান। মূলত ৬৬৬৬ সংখ্যাটি আমরা পেয়েছি আলেম উলামাদের কল্যানে।কিন্তু পবিত্র কোরআন শরীফের আয়াত গণনা করলে আমরা ৬২৩৬ টি আয়াত পাই।৬৬৬৬ টি আয়াত হতে আরো ৪৩০ টি আয়াত প্রয়োজন।তাহলে কি আলেম উলামাগণ ভুল গণনা করলেন?

👌আলেমগনের মধ্যে সর্বপ্রথম যিনি ৬৬৬৬ আয়াতের কথা বলেছেন, তিনি হলেন ইবনে হুজাইমাহ (রা:)।তিনি উনার আন নসিহ ওয়াল মানসুখ কিতাবে এটি প্রকাশ করেন।ইবনে হুজাইমাহ (রা:) পবিত্র কোরআনের আয়াতের ধরন অনুযায়ী উল্লেখ করেনঃ

🎷১০০০ আয়াত-ওয়া’আদ
🎷১০০০ আয়াত-ওয়া’ইদ
🎷১০০০ আয়াত-আমর
🎷১০০০ আয়াত-নাহি
🎷১০০০ আয়াত-তথ্য ও ইতিহাস
🎷১০০০ আয়াত-নিষেধ ও উদাহরন
🎷৫০০ আয়াত-কতৃত্ব
🎷১০০ আয়াত-ইবাদত ও মহত্ব 🎷 ৬৬আয়াত-নাসিহ ও মানসুহ
=মোট হল ৬৬৬৬ -টি আয়াত

✌ অবশ্য তিনি প্রতিটি শ্রেণী বিভাগের বিস্তারিত বর্ণনা দেন নি।অন্যদিকে বর্তমানে সাজানো কোরআন শরীফে আয়াত পাওয়া যাচ্ছে ৬২৩৬ টি।বলা বাহুল্য হযরত উসমান (রা) সর্বপ্রথম যে কোরআন সংকলন করেছিলেন তাতে তিনি আয়াত সংখ্যা বসান নি।ফলশ্রুতিতে গণনায় বিভিন্ন মত পাওয়া গিয়েছিল, যা অতি স্বাভাবিক ব্যাপার।তবে সর্বোচ্চ গৃহীত মত হল ৬২৩৬ টি আয়াত মতান্তরে ৬৬৬৬ টি আয়াত।তাহলে এই মতান্তরে বেড়াজালে আবদ্ধ হয়ে ৪৩০ টি আয়াতের হিসাব আমরা কিভাবে দিব?আসুন একটু গবেষনা করে দেখা যাক।

✌পবিত্র কোরআনুল মাজিদে দুই ধরনের আয়াত বিদ্যমান।

১)তারসুরাত/জাহের-লিখিত।
২)তারসিরাত/বাতেন-গোপন।

✌জাহেরে আয়াত ৬২৩৬ টি,বাতেনে আরো ৪৩০ টি আয়াত বিদ্যমান।

✌আম্মিজান হযরত আয়েশা(রা) কে জিঙ্গেস রাসূল (ﷺ) এঁর জীবন পদ্ধতি সম্পর্কে জিঙ্গেস করা হলে তিনি জবাব দেন,হুজুর পাক (ﷺ) উঁনার কর্মে কোরআন,উঁনার চলনে কোরআন,উঁনার কথাবার্তায় কোরআন,উঁনার জীবনে কোরআন।

🌹🌹অর্থাৎ হুজুর পাক (ﷺ) হলেন জীবন্ত কোরআন।এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে সুরা নজমে উল্লেখ হয়েছে,
وَمَا يَنطِقُ عَنِ الْهَوَى

এবং প্রবৃত্তির তাড়নায় কথা বলেন না।
[সুরা নাজম,আয়াত নং ৩ ]

إِنْ هُوَ إِلَّا وَحْيٌ يُوحَى

কোরআন ওহী,যা প্রত্যাদেশ হয়।
[ সুরা নাজম,আয়াত নং ৪ ]

عَلَّمَهُ شَدِيدُ الْقُوَى

তাঁকে শিক্ষা দান করে এক শক্তিশালী ফেরেশতা,
[সুরা নাজম,আয়াত নং ৫ ]

🌹🌹হুজুর পাক (ﷺ) হলেন রহমাতাল্লিল আলামিন এবং কোরআন ও হুজুর পাক (ﷺ) উভয়ই হলেন নূর।সুতরাং পবিত্র কোরআন থেকে কখনো হযরত মোহাম্মদ (ﷺ) কে পৃথক করা যাবে না।সুতরাং হুজুর পাক (ﷺ) নিঁজেই আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি ওহি।উঁনার নামে চারটি হরফ।যথাঃ মীম,হা,মীম,দাল।

*১. মীম-২৪ তম হরফ-২৪ তম সুরা আন নূর-আয়াত সংখ্যা-৬৪

*২. হা-৬ষ্ঠ হরফ-৬ষ্ঠ সুরা আল আনআম-আয়াত সংখ্যা-১৬৫

*৩. মীম-২৪ তম হরফ-২৪ তম সুরা আন নূর-আয়াত সংখ্যা-৬৪

*৪. দাল- ৮ম হরফ- ৮ম সুরা আনফাল-আয়াত সংখ্যা-৭৫
____________________________
(২৪+৬৪+৬+১৬৫+২৪+৬৪+৮+৭৫)
=৪৩০
[সুরা নম্বর ও সুরা গুলোর আয়াত সংখ্যার যোগফল]

🌹সুতরাং, ৬২৩৬ টি আয়াত হল জাহেরে।কিন্তু ৬৬৬৬ টি আয়াত হল জাহের ও বাতেনের সমন্বয়ে।

✌এবার ৬৬৬৬ সংখ্যার প্রতিটি সংখ্যা আলাদা যোগ করলে হয়,

৬+৬+৬+৬=২৪(কালেমায় ২৪ হরফ)

🌴১২ হরফ-“লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” এবং ১২ হরফ- “মোহাম্মাদুর রাসূল আল্লাহ”।
কালেমা পূর্ণ হতে যেমন “মোহাম্মাদুর রাসূলাল্লাহ” প্রয়োজন,তেমনি মোহাম্মদ (ﷺ) ব্যতীত কোরআন অপূর্ণ।যখন মোহাম্মদ (ﷺ) দ্বারা কোরআন পূর্ণ করা হয় তখন কোরআনের আয়াত সংখ্যা হয় ৬৬৬৬ টি।
[এখন মানা, না মানা যার যার ব্যাপার।



বিঃদ্রঃ  

পরিশেষে  একটা কথা না বললেই  নয়  এ আয়াত সংখ্যা নিয়ে ভিন্নতা থাকলেও কিন্তু পবিত্র কোরআনে  কোন প্রকারের সন্দেহ  সংশয় এর অবকাশ নেই। 

মূলত আয়াত সংখ্যা গননা করতে কেউ কোন অংশ কে বাদ দিয়ে করেছেন কেউ বা ছোট আয়াত বড আয়াতের মধ্যে পার্থক্য  করেছেন কেউ বা ওয়াকফ করার স্হান সম্পর্কে  ভিন্নমত পোষণ করে গননা  করেছেন সেই  হিসাবে  মূল গননায় পার্থক্য  হয়েছে। কিন্তু  মূল কোরআনে কোন সংশয় বা সন্দেহের অবকাশ নেই। আল্লাহ  সবাইকে  সঠিক ভাবে  বুঝার তাওফিক  দান করুক আমিন।  


সার কথা ঃঃ 

হযরত আয়েশা রাঃ  এর মত অনূসারে  কোরআনের আয়াত ৬৬৬৬। এটাই  প্রসিদ্ধ,

আর হযরত আলী রাঃ এর মতে ৬২৩৬ আয়াত। তবে বর্তমান  ছাপানো কোরআনে ৬২৩৬ আয়াতই দেখা যায়, যেটা আলী রাঃ এর মত অনূসারে এটাও প্রসিদ্ধ। 

আমি ব্যক্তিগত ভাবে সৌদি আরব এ  মদীনার সেই  কিং ফাহাদ ছাপাখানা থেকেন ছাপানো কোরআন শরীফ গননা করে দেখেছি সেখানেও ৬২৩৬ আয়াত পেয়েছি। তাছাডা ওমান - দুবাই  থেকে  ছাপানো  কোরআনে  ও ৬২৩৬ আয়াত দেখা গেছে।তাই এটাও প্রসিদ্ধ মত।

সংকলন সংযোজন 

 এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া 

প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক 

নূরুল গনি ইসলামি একাডেমী কাটাছরা  জোরারগঞ্জ,  মিরসরাই,  চট্টগ্রাম,  বাংলাদেশ  


তথ্য  সূত্র ঃ 

https://modinargolam.wordpress.com/2018/06/25/%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%8B%E0%A6%9F-%E0%A6%86%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%A4-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%96%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE/


বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০

আই ‎বি ‎এস ‎থেকে ‎মুক্তি ‎পেতে ‎করনীয় ‎বর্জনীয় ‎

আই বি এস থেকে মুক্তি  পেতে 
============== =====  
গ্যাস্টিক পেট ফাঁফা,  ঘন ঘন পাতলা পায়খামা পেট খারাপ, আমাশয় বুকজলা  ইত্যাদি  যখন চরম পর্যায়ে  পৌছে যায় তখন এটাকে আই বি এস বলে।  
আই বি এস হল মুলত উচ্চ  মাত্রার গ্যাস্টিক 
এটি সাধারণত  কোন পরীক্ষায়  ধরা পডেনা প্রায়,  আলামত দেখেই বুঝে নিতে হবে এটা আই বি এস,  পেটের যাবতীয়  সমস্যায় যার কোন অন্ত নেই  লাগাতার লেগেই  থাকে। 

এ জন্য  কিছু  করনীয় বর্জনীয়  পরামর্শ 
(১) খাওয়ার সময়  
পেট কে ৩ ভাগ করে খাওয়ার নীতি মেনে চলার চেষ্টা  করা   এক ভাগ খাদ্য  এক ভাগ পানি ও এক ভাগ খালি। 
(২) যে কোন তেলে ভাজা খাদ্য  পরিহার করা  ফাস্ট ফুড পরিহার করা  হোটেলের  খাদ্য  পরিহার  করা উচিত। 
(৩) শর্করা ও প্রোটিন জাতীয় পরিহার করা । 
(৪)  সাপ্তাহিক  ১/২ দিন রোজা রাখা  
(৫) টেনশন মুক্ত থাকার চেষ্টা  করা 
(৬) এ সকল রুগিদের  জন্য  অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ   হল খাওয়া খাওয়ার সময় চিবিয়ে  চিবিয়ে  ভাল করে সময় নিয়ে  খানা খেতে হবে তাডাহুডা করা যাবেনা,  এবং খানা খাওয়ার সময় মাঝখানে কোন পানি সেবন করা যাবেনা এমন কি খানা খাওয়ার আধা ঘন্টা  এক ঘন্টা  পর  পানি সেবন করুন এবং খানা শেষে কোমল পানীয় পেপসী সেভেনআপ ইত্যাদি  বর্জন করতে হবে। 
(৭) সময় মত ঘুমানো কমাজকম ৬/৮ ঘন্টা  ঘুমানো।

যা খেতে পারবেন 
+++++++++++++
ডিম, মাছ,শাকসবজি, আশ যুক্ত খাবার   সরিষার তেল , নারিকেল তৈল অলিভ ওয়েল ইত্যাদি  খেতে পারেন 
চিকিৎসা ঃ 
১, খাওয়ার মাঝখানে  আপেল সিডারভিনেগার ১ চা চামচ ও    আদার রস, ১ চামচ  লেবুর রস ১ চামচ এক সাথে মিশিয়ে  সেবন অত্যন্ত উপকারী। 

দীর্ঘ দিন  যাবত  গ্যাস্টিকের ঔষধ  সেবন  করার  দ্বারায়  পেটের ভাল ব্যাকটেরিয়া গুলো মরে যায়  কিন্তু এ গুলো সেবনে তা পুনরুদ্ধার  হবে।
যা হজমে সহায়তা করবে। 

(২)  খানা খাওয়ার ১০ মিনিট আগে এক  টুকরো আদা চিবিয়ে  খেয়ে ফেলুন। 
(৩) 
তাছাডা দৈনিক  রাতে শোয়ার  পূর্বে  ১ টুকরো আদা বা রস বা কাচা হলুদ বা এক গ্লাস পানির  সাথে  ১ চা চামচ মধু  মিশিয়ে  সেবন  করুন ।   

তাছাডা আমাদের  তৈরী 
 " পুদিনা নির্যাস " (৫০০ গ্রাম  ৬৫০৳)
 " সুফুপ কম্মুন " (৩০০ গ্রাম ৬০০ ৳ ) 
  "সুফুপ হাজম "  (৩০০ গ্রাম ৩০০ ৳) 
ও ব্যবহার করা যেতে পারে।  এ গুলো ঔষধ নয় তবে 
যা সম্পূর্ণ  ১০০% প্রাকৃতিক পথ্য হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন।

মনে রাখতে আই বি এস সমস্যা  একদি বা এক সাপ্তাহে হয়না বরং দীর্ঘ  দিনের বিভিন্ন  অনিয়মের করাণে তা হয়ে থাকে তাই নিয়ম নীতি অনুস্বরন করে  বিভিন্ন  ভেষজ পথ্য উপাথ্য ব্যবহারে  ইনশাআল্লাহ  মুক্তি পেতে পারেন। 
 
সৌজন্যে  
ভূঁইয়া ন্যাচরাল হার্বস 
০১৮২৯৩১৮১১৪ 
০০৯৬৬৫০৪৯৬৭৮৬৩ 
শুধু  মাত্র  ইমু  ওয়াতসাফ  এ 

মঙ্গলবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০

আল্লামা ‎আবদুল ‎হালীম ‎বোখারী‎ ‎মহান ‎সাধক ‎

জ্ঞান সাধকদের পৃষ্ঠপোষক আল্লামা আবদুল হালিম বোখারী::
যুগচাহিদার প্রেক্ষিতে তার ব্যতিক্রমী কর্মপন্থায় উপকৃত হচ্ছে উম্মাহ

---------------------------------------------
মুফতি এনায়েতুল্লাহ :: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০
---------------------------------------------

আমি একজন আশাবাদী মানুষ। খুব সহজে নিরাশ হই না। যদিও চারপাশে ঘটে যাওয়া খবরে মন খারাপ হয়, কষ্ট পাই। এমন সব ঘটনা-দুর্ঘটনা নিয়েই আমাদের বসবাস। এর মাঝে সাম্প্রতিক সময়ের দু’টি খবরে আমি বেশ আনন্দিত হয়েছি। 

এর একটি হলো, চট্টগ্রামের আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়া মাদরাসা থেকে দাওরায়ে হাদিসের সনদধারীদের সৌদি আরবের কিং সাউদ ইউনিভার্সিটিতে ভর্তির সুযোগ সংক্রান্ত শিক্ষাচুক্তি (মুয়াদালা) পুনঃ সম্পাদিত হয়েছে। প্রথম এ চুক্তিটি ২০০১ সালে সম্পাদিত হয়। এ চুক্তির আওতায় পটিয়া থেকে দাওরায়ে হাদিস শেষ করে বেশ কয়েকজন ছাত্র কিং সাউদ ইউনিভার্সিটিতে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পেয়েছেন। বাংলাদেশের হাতেগোনা কয়েকটি কওমি মাদরাসা এ সাফল্য অর্জন করেছে। পটিয়া সেই সাফল্যের অংশীদার। 

অন্যটি হলো, পটিয়া মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা আবদুল হালিম বোখারী মাদরাসার সহকারী পরিচালক নিয়োগ করেছেন তরুণ আলেম মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামযাকে। যদিও ব্যক্তিগতভাবে মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামযার সঙ্গে আমার পরিচয় নেই। তার পরও এ খবরে আমি আনন্দবোধ করেছি, মনে আশার সঞ্চার ঘটেছে।

কাছের বন্ধুদের কাছ থেকে শুনেছি, মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামযা একজন জ্ঞানসাধক। বহুমাত্রিক মেধা ও মননের অধিকারী মাওলানা হামযা একাধারে মুহাদ্দিস, ওয়ায়েজ, গ্রন্থকার ও খতিব। বাংলা, আরবি, ইংরেজি, উর্দূ ও ফার্সি ভাষায় তার দক্ষতা ঈর্ষণীয়। তার আরও অনেক সাফল্য রয়েছে। স্বজনতোষণ ও আত্মীয়করণের এমন পাষাণ সময়ে শুধুমাত্র যোগ্যতাবলে পটিয়ায় মাওলানা হামযার সহকারী পরিচালক হিসেবে নিয়োগ অবশ্যই বিশাল ঘটনা। এ নিয়োগ আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, এখনও যোগ্যদের মূল্যায়ন করা হয়। আর এ জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে বংশানুক্রমে পরিচালনা কিংবা শাসনের রীতি-রেওয়াজের দাসত্ব সবাই করেন না। এ বিষয়ে আলোচনা অন্য আরেক সময়।

আজকের আলোচনা পটিয়া মাদরাসার মহাপরিচালক, জ্ঞানসাধকদের পৃষ্ঠপোষক, হাকিমুল মিল্লাত আল্লামা শাহ্ মুফতি আবদুল হালিম বোখারীকে নিয়ে।  

জাতির অন্যতম রাহবার আল্লামা আবদুল হালিম বোখারী আমার কাছে এক বিস্ময়ের নাম। তিনি অনেক বিখ্যাত বিখ্যাত মেধা লালন করেছেন, গড়েছেন আপন হাতে পরম মমতায়। যারা বাংলাদেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশের মাটিতেও সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন।

পটিয়া মাদরাসা বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কওমি মাদরাসা হিসেবে স্বীকৃত। ১৯৩৮ সালে মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন মুফতি আজিজুল হক (রহ.)। বাংলাদেশে ইসলামি শিক্ষার প্রচার-প্রসারে পটিয়ার অবদান অপরিসীম। কওমি শিক্ষা-সংস্কার, মান উন্নয়ন এবং মাদরাসাগুলোকে এক প্ল্যাটফর্মে আনতে পটিয়ার সাবেক মহাপরিচালক আলহাজ মাওলানা মুহাম্মদ ইউনুস (হাজী সাহেব হুজুর, ১৯০৬-১৯৯২) রহমাতুল্লাহি আলাইহির নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। দেশের দুই বৃহৎ কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাক ও ইত্তেহাদ প্রতিষ্ঠায় তার ব্যাপক অবদান ও ত্যাগ রয়েছে। তিনি বেফাকের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন। ১৯৭৮ সালে বেফাক প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত বেফাকের সভাপতি ছিলেন হাজী সাহেব হুজুর। এর পর পটিয়া মাদরাসারই মহাপরিচালক মাওলানা মুহাম্মদ হারুন ইসলামাবাদী (১৯৯২-৯৬) বেফাকের সভাপতি হন। ইতিহাসের কঠিন বাস্তবতা হলো- সেই পটিয়া মাদরাসা এখন বেফাকে নেই। এটা অবশ্য ভিন্ন প্রসঙ্গ। 

বলছিলাম, আল্লামা আবদুল হালিম বোখারীর কথা। কওমি মাদরাসার সনদের সরকারি স্বীকৃতি বিষয়ক সুপারিশ, সিলেবাস ও প্রস্তাবনা তৈরির কাজে তার সান্নিধ্যে যাওয়ার সুযোগ ঘটে। অসাধারণ প্রজ্ঞার অধিকারী এই মহিরুহের সঙ্গে একাধিকবার একান্তে বৈঠকেও মিলিত হয়েছি। তার জ্ঞানের গভীরতা মাপার কোনো যোগ্যতা আমার নেই। তবে, এতটুকু বলতে পারি, তিনি একজন অসাধারণ মানুষ। আলাপচারিতায় যেমন তার রসবোধে উপকৃত হয়েছি, তেমনি বিস্মিত হয়েছি তার উপস্থিত বুদ্ধির মাত্রা দেখে। 

আল্লামা আবদুল হালিম বোখারী একজন দূরদর্শী চিন্তার মানুষ। কঠোরভাবে আইন-কানুন মেনে চলেন, কিছুটা রাশভারী স্বভাবের। আমানতদার হিসেবে তার যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। বার্ধক্যজনিত নানা ব্যাধির জটিলতায় তার শরীর নুয়ে পড়েছে এখন। চোখ ও কিডনি বিশেষভাবে আক্রান্ত। তবুও পঠন পাঠন ও জ্ঞানগবেষণায় বিরতি নেই তার। কিন্তু রাজনীতি ও রাজধানী থেকে দূরে থাকায়, বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই তার জ্ঞান, প্রজ্ঞা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নন। লেখালেখি ও গবেষণার পাশাপাশি প্রশাসনিক দক্ষতায় তিনি যেমন ঋদ্ধ, তেমনি মানুষকে সম্মোহন করার অপরিসীম ক্ষমতা রয়েছে তার। সবচেয়ে বড় কথা, তার ইলমি খেদমতে জাতি ও উম্মাহ বিশেষভাবে উপকৃত হয়েছে ও হচ্ছে। 

ইলমি জগতের এ কিংবদন্তি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানার অন্তর্গত রাজঘাটা গ্রামে ১৯৪৫ সালের জানুয়ারি মাসে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম আল্লামা আবদুল গণী বোখারী রহ.। আল্লামা আবদুল হালিম বোখারীর ছোট ভাই মাওলানা আবদুর রহীম বোখারীও (রহ.) ছিলেন নামকরা মুহাদ্দিস ও আলেম। চলতি বছরের ১৬ এপ্রিল তিনি ইন্তেকাল করেন।

গভীর পাণ্ডিত্যের অধিকারী আল্লামা আবদুল হালিম বোখারী লোহাগাড়া থানার অন্তর্গত রাজঘাটা হোসাইনিয়া আজিজুল উলুম মাদরাসায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা শেষে পটিয়ায় জামাতে দুয়ামে (আলিয়া ২য় বর্ষ) ভর্তি হন। এখান থেকে ১৯৬৪ সালে অত্যন্ত সুনাম ও কৃতিত্বের সঙ্গে দাওরায়ে হাদিস পাশ করে ‘মাওলানা’ সনদ লাভ করেন। 

জ্ঞানতাপস এই মহাপুরুষ শিক্ষা অর্জনের ক্ষেত্রে এতটুকুতে ক্ষান্ত হননি। জ্ঞানের সকল শাখায় বিচরণের স্বপ্ন নিয়ে অদম্য সাহসিকতা ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে তিনি আরও কয়েক বছর পড়াশোনা করেন। এ এক বিরল ঘটনাও বটে। পড়াশোনার এই পর্বে তিনি ১৯৬৫ সালে পটিয়ার ‘বাংলা সাহিত্য ও গবেষণা বিভাগে’ ভর্তি হন। অতঃপর ১৯৭১ সালে সাতকানিয়া আলিয়া মাহমুদুল উলুম থেকে আলিম ও ১৯৭৩ সালে ফাজিল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। টাঙ্গাইল আলিয়া মাদরাসা থেকে কামিল পাশ করেন প্রথম বিভাগে। ১৯৬৯ সনে টাঙ্গাইল কাগমারি কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ১৯৭৫ সালে বিএ পাশ করেন। এ ছাড়া তিনি লাহোর ডন হোমিওপ্যাথিক কলেজে বায়োক্যামিকের ওপর ২ বছর মেয়াদি কোর্স করে ১ম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। 

খ্যাতিমান এই ইসলামি চিন্তাবিদ সহপাঠী ও শিক্ষকসহ সবার সঙ্গে অমায়িক আচরণের মাধ্যমে মন জয় করেন। নম্র ব্যবহার, বড়দের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাবোধ, উস্তাদদের প্রতি আনুগত্য ইত্যাদি চারিত্রিক সৌর্ন্দয্য ও উন্নত গুণাবলীর কারণে ছাত্রজীবন থেকেই সমাজে গ্রহণযোগ্যতা ও নেতৃত্ব লাভ করেন।

বিজ্ঞ এ হাদিস বিশারদ কর্মজীবন শুরু করেন শিক্ষকতার মধ্য দিয়ে। প্রথমে তিনি ১৯৬৭-১৯৬৮ সাল পর্যন্ত টাঙ্গাইল দারুল উলুম আলিয়া মাদরাসায় আরবি প্রভাষক হিসেবে খেদমত করেন। তারপর ১৯৬৮ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত সাতকানিয়া মাহমুদুল উলুম আলিয়া মাদরাসায়, অতঃপর ১৯৭২ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত পুনরায় টাঙ্গাইল দারুল উলুম আলিয়া মাদরাসায় মুহাদ্দিস ও শায়খুল হাদিস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৮২ সালে স্বীয় উস্তাদদের আহবানে সাড়া দিয়ে চলে আসেন পটিয়ায়। এখানে তিনি দীর্ঘ ২০ বছর তিরমিজি শরীফের দরস প্রদান করেন। পটিয়ায় নিয়োগের পর তিন বছর শিক্ষা সচিব, পাঁচ বছর সহকারী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে ২০০৮ সালে ১০ অক্টোবর মহাপরিচালকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি পটিয়া মাদরাসার শায়খুল হাদিসও। মাদরাসার শিক্ষা পাঠ্যক্রম ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের তার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। এখনও তিনি দক্ষ নাবিকের মতো হাল ধরে আছেন পটিয়ার। 

পটিয়া মাদরাসার গৌরবোজ্জ্বল অতীত সংরক্ষণের পাশাপাশি বর্তমানকে সমৃদ্ধ ও ভবিষ্যতকে বর্ণিল করার প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তার নিষ্ঠাপূর্ণ সুষ্ঠু পরিচালনায় জামিয়া পটিয়া এখনও বহুমূখী উন্নয়ন-উন্নতির ধারা অব্যাহত রেখেছে। বর্তমানে তিনি পটিয়া মাদরাসার সুষ্ঠু পরিচালনার পাশাপাশি আরও বহু মাদরাসার পরিচালনা ও পৃষ্ঠপোষকতার দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নশীল ও সংস্কারধর্মী সংগঠন পরিচালনা করে জাতির খেদমত করে যাচ্ছেন। 

সবচেয়ে বড় কথা, ব্যতিক্রমী ও সৃজনশীল পাঠদান পদ্ধতি, মনোমুগ্ধকর উপস্থাপনা, দুর্বোধ্য বিষয়কে সহজভাবে ও সংক্ষেপে বুঝানোর বিস্ময়কর দক্ষতা, সকল শ্রেণির ছাত্রদের বোধগম্য ও উপকারী তাকরির ইত্যাদি অনন্য বৈশিষ্টাবলীর কারণে ছাত্রদের হৃদয়-মনে ভালোবাসার স্থান অধিকার করে আছেন। এ ভালোবাসা অমর ও অক্ষয়। 

আগেই বলেছি, অসাধারণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী হলেন- আল্লামা বোখারী। আল্লাহতায়ালা তাকে হক-বাতিল নির্ণয় করার বিস্ময়কর দক্ষতা দিয়েছেন। সেই সঙ্গে দিয়েছেন অদম্য সাহস ও অবিচলতা। যে কারণে আমরা দেখতে পাই, গড্ডালিকা প্রবাহে তিনি গা ভাসিয়ে চলেন না। সময়ে সময়ে সৃষ্ট ইসলামবিরোধী নানা অপতৎপরতা ও বাতিল ফেরকাসমূহের বিরুদ্ধে নির্ভীকচিত্তে প্রতিবাদ করছেন। বিরোধীদের সমালোচনা ও তিরস্কারের কোনো ধরনের তোয়াক্কা করেন না তিনি। 

আল্লামা আবদুল হালিম বোখারী পটিয়ায় মাদরাসা পরিচালনা, হাদিসের দরস প্রদানসহ আরও বহু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে আসছেন। পটিয়ার মুখপাত্র মাসিক আত তাওহীদের সম্পাদক ও পরে প্রধান সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বর্তমানে মাসিক আত তাওহীদের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন- ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনিও একজন বড়মাপের আলেম। ওয়ায়েজ হিসেবে সারাদেশে তার ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সন্তান ড. খালিদ চট্টগ্রাম ওমর গণি এমইএস ডিগ্রি কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। বছর খানেক আগে তিনি অবসর গ্রহণ করেছেন। এখন জিরি মাদরাসায় হাদিসের দরস দেন। 

দক্ষ সংগঠক হিসেবে আল্লামা আবদুল হালিম বোখারীর ব্যাপক সুনাম রয়েছে। তিনি ১৯৮৩ সাল থেকে (বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড) আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশের মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৫৯ সালে বোর্ডটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আল্লামা বোখারীর আন্তরিক প্রচেষ্টা ও দক্ষ পরিচালনার কারণে বোর্ডটি বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলে কওমি মাদরাসা শিক্ষাকে সংগঠিত করার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখছে। বাংলাদেশের প্রাচীন কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড ইত্তেহাদের সভাপতি হলেন দেশ বরেণ্য শিক্ষবিদ চট্টগ্রাম জামেয়া দারুল মাআরিফ আল ইসলামিয়ার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আল্লামা সুলতান যওক নদভী।

পটিয়া মাদরাসার পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণমূলক সংস্থা বাংলাদেশ তাহফিজুল কোরআন সংস্থার বর্তমান সভাপতি আল্লামা আবদুল হালিম বোখারী। সল্পসময়ে পবিত্র কোরআন হিফজ করার জন্য শিশু-কিশোরদের উৎসাহিত করার মাধ্যমে তাজবিদ তথা বিশুদ্ধ পাঠভিত্তিক হিফজ শিক্ষার সম্প্রসারণ ও পবিত্র কোরআনের সংরক্ষণের লক্ষে ১৯৭৬ সালে সংস্থাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। 

সারাদেশে ব্যাপকভাবে ইসলামের বাণী ছড়িয়ে দিতে ইসলামি সম্মেলন আয়োজন করার লক্ষে ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘ইসলামী সম্মেলন সংস্থা বাংলাদেশ।’ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ২০১৫ পর্যন্ত তিনি এই সংস্থাটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ২০১৬ সালে ফকিহুল মিল্লাত মুফতি আবদুর রহমানের মৃত্যুবরণের পর তিনি সভাপতির দায়িত্ব পান। 

ইসলামি অর্থব্যবস্থা বর্তমান সময়ের অন্যতম চাহিদা ও দাবি। আধুনিক অর্থব্যবস্থা যথাযথভাবে অনুধাবন করে ইসলামি অর্থব্যবস্থার মাধ্যমে তার সমাধান পেশ করা একজন বিজ্ঞ মুফতির অন্যতম দায়িত্ব। এই গুরুদায়িত্বও তিনি পালন করে যাচ্ছেন। বর্তমানে তিনি শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের শরিয়াহ সুপারভাইজারী কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার নির্দেশনায়, পটিয়া মাদরাসার প্রধান মুফতি হিসেবে মুফতি শাসসুদ্দীন জিয়াও এক্ষেত্রে বিশাল অবদান রাখছেন। 

শুধু শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক ও ধর্মীয় আলোচক হিসেবে নয়, আধ্যাত্মিক সাধক হিসেবেও তিনি সফল। আল্লামা আবদুল হালিম বোখারী কুতবে জামান আল্লামা মুফতি আজিজুল হক রহমাতুল্লাহি আলাইহির বিশিষ্ট খলিফা জামিয়া ইসলামিয়া দারুস সুন্নাহ হ্নীলার সাবেক শায়খুল হাদিস আল্লামা ইসহাক (ছদর সাহেব হুজুর নামে চট্টগ্রাম অঞ্চলে সমধিক পরিচি) রহমাতুল্লাহি আলাইহির হাতে বায়াত হন এবং খেলাফত লাভ করেন। আল্লামা আবদুল হালিম বোখারীর অসংখ্য ভক্ত ও মুরিদ রয়েছে। তাদের কয়েকজনকে তিনি খেলাফতও দিয়েছেন। 

লেখক হিসেবে তিনি অবদান রেখেছেন। তার লিখিত গ্রন্থাবলীর অন্যতম হলো- তাসহিলুত তাহাভি, তাসহিলুল উসূল (পাঠ্যভূক্ত)ও তাসহিলুত তিরমিজি। 

চট্টগ্রামের গণ্ডি পেরিয়ে জাতীয় পর্যায়েও তার বিশাল ভূমিকা রয়েছে। বিভিন্ন সেমিনার-সিম্পোয়ামে অংশগ্রহণসহ নানা কাজে তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন। যেকোনো আন্দোলন-সংগ্রাম কিংবা জাতীয় ইস্যুতে তার সরব উপস্থিতি দেখা যায়। কওমি মাদরাসার সনদের সরকারি স্বীকৃতি আন্দোলনের পুরোভাগে ছিলেন তিনি। ২০১৮ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিসের সনদকে মাস্টার্সের স্বীকৃত প্রদানের নিমিত্তে আল হাইআতুল উলয়া গঠিত হলে তিনি এর স্থায়ী কমিটির সদস্য মনোনীত হন। 

চার ছেলে ও তিন মেয়ের বাবা আল্লামা বোখারী। চার ছেলে ও মেয়ের জামাইদের সবাই আলেম। নিজ কর্মক্ষেত্রে তারা সফলতার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। 

বলা হয়, জ্ঞানীর কদর একমাত্র জ্ঞানীরাই জ্ঞানের কদর করেন। এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত আল্লামা আবদুল হালিম বোখারী। এ কারণে আমরা দেখি, পটিয়া মাদরাসার বহুমুখী কর্মকাণ্ডে জ্ঞানসাধকদের ভিড়। বিশেষ করে আজকের লেখায় মুফতি শাসসুদ্দীন জিয়া, ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন ও মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামযার প্রসঙ্গ এসেছে। এ ছাড়া জামিয়ার শিক্ষা কার্যক্রমে জড়িয়ে আছেন বিজ্ঞ ও যোগ্য উস্তাদগণ। পটিয়াকে ঘিরে জ্ঞানীদের এই মিলনমেলা সাজানোর কারিগর আল্লামা আবদুল হালিম বোখারী।  

যাদের জ্ঞানের সমারোহে এই প্রজন্ম ও উম্মাহ লাভবান হচ্ছেন। তাদের জ্ঞানের দীপ্তিতে আলোকিত হচ্ছে এই সমাজ ও দেশ। এটাই আল্লামা আবদুল হালিম বোখারীর ব্যতিক্রমী কর্মপন্থা ও মুন্সিয়ানা। যুগচাহিদার প্রেক্ষিতে নেওয়া তার সিদ্ধান্তগুলো প্রমাণ করে, জ্ঞানীদের প্রতি সম্মান ও উৎসাহ দিতে তিনি কুণ্ঠিত নন। 

লেখার শুরুতে বলেছিলাম তার একান্ত সান্নিধ্য প্রসঙ্গ নিয়ে। তখন দেখেছি, মতের মিল না হলে ভিন্নমত পোষণকারীর প্রতি তার শ্রদ্ধায় কমতি নেই। সবার সঙ্গে, সব বিষয়ে মতের মিল হতে হবে এটা প্রত্যাশিতও নয়। আল্লামা বোখারীকে দেখেছি, ভিন্নমতের মতের হলেও জ্ঞানী-গুণীকে সমাদর করতে কসুর করেন না। এটা তার অনন্য গুণ। এখনকার যুগের এমন গুণের মানুষ পাওয়া বিরল। 

তিনি একজন সাহসী কর্মবীর। সুদূরপ্রসারী চিন্তা ও গভীর জ্ঞানের কারণে তিনি পরিণত হয়েছেন আলেমদের অভিভাবকে। আল্লামা আবদুল হালিম বোখারীর এই গুণ ও জ্ঞানসাধনার আলো আরও ছড়াক এবং তার ছায়া আমাদের ওপর আরও দীর্ঘ হোক। আমিন। 
কপি কৃত।

সোমবার, ১৭ আগস্ট, ২০২০

যৌন ‎সমস্যার ‎ স্হায়ী ‎সমাাধান ‎

বিশ্বের সবচাইতে উন্নত ফর্মুলায় তৈরি sexfill সেক্স পিল 
য়ৌন সমস্যার  স্হায়ী সমাধান 

এখন পুরুষদের পছন্দের তালিকায় ১ নাম্বার। পরীক্ষিত।

-----------------------------------
কাদের জন্য সেক্স পিল প্রয়োজনঃ- 
স্ত্রী মিলনে অক্ষম।যাদের মিলনের আকাঙ্খা ও জাগেনা তাদের জন্য। 
যাদের দ্রুত বীর্যপাত।টাইমিং কম।
যাদের  ছোট লিঙ্গ। 
অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের ফলে নিস্তেজ লিঙ্গ। লিঙ্গ নিত্তেজ বা অনূভুতি  হীনতা, 
একবার মিলনের পর দ্বিতীয়বার আর যৌন চাহিদা না থাকা।
অথবা শরীরে উত্তেজনা আসলেও সহবাস করার মত শক্ত হয়না। 
বন্ধ্যাত্ব সমস্যার  সমাধান। 
শুকানু শক্তিশালী করতে। 

--------------------------------------------
সেক্স পিলের  কার্যকারিতাঃ-
সেক্স পিল আপনার লিঙ্গের টিস্যুতে রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি করে আপনার লিঙ্গকে তার প্রাকৃতিক পূর্ণ আকার অর্জনের ক্ষমতা প্রদান করে।
এটি আপনার ইমিউনিটি সিস্টেমকে নিয়ন্ত্রণ করে যৌন মন বল দৃঢ় করবে।
যৌন শক্তি বৃদ্ধি করে সহবাসের সময়কে দীর্ঘায়িত করবে।
 লিঙ্গ আকার স্থায়ীভাবে ২-৩ ইঞ্চি বড়, দীর্ঘ, দৃঢ় এবং শক্তিশালী করবে।
বীর্যের গুণমান ও শক্তি মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে।
ভাস্কুলার বিস্তার বৃদ্ধি করে এবং বার্ধক্যজনিত লক্ষণগুলিও কমিয়ে দিবে।
বীর্যে শুক্রাণু বৃদ্ধি করে এবং শুক্রাণুর গতিশীলতা বাড়াতে সাহায্য করবে।বাচ্ছা জন্মদানে অক্ষম পুরুষদের বন্ধ্যাত্ব দূর করবে। 
শুকানু কম, দূর্বল মাথা বা লেজ কাটা শুকানুকে সবল করবে।
---------------------------------------------
মূল্য  প্রতি ফাইল  ৫৫০০৳ ৫০ টি ক্যাপসুল।
১০০% প্রাকৃতিক usa এর তৈরী।  -------------------------------------
সেবন বিধিঃ-
প্রতিদিন রাতে ১ টি করে ক্যাপসুল খাবারের পর খাবেন ৫০ দিন। 
দষ্টব্যঃ  একেবারেই যাদের ডেমেজ সিস্টেমের আওতায় তারাও এটি সেবন করতে পারেন।এতে ১-৪ ফাইল সেবন করতে হবে। পুল কোর্স।
এটা স্হায়ী চিকিৎসার জন্য। 

আর  এটা শুধু মাত্র  বিবাহিতদের জন্য   বা বিবাহ ঠিক হয়েছে  এমন রুগি সহ  বয়স্ক রুগিদের জন্য ও উপকারী। সাধারণত ৫০ উর্ধ লোকদের অনেকের যৌবনের ভাটা পডে তারাও সেবন করতে পারেন।
যারা যৌবনে কূঅভ্যাসের কারনে ( হস্তমৈথুন পুনঃ মৈথুন) ইত্যাদি  অনেক কূকর্ম করে নিজের যৌন জীবন সম্পর্কে  ভয়ে আছেন। এমন কি বিবাহ করতে ভয় পাচ্ছেন এমন রুগিরা ও সেবন করতে পারেন। এ জন্য ১-৪ ফাইল সেবনে পূর্ণ সুস্হ হবেন বলে আশা রাখি। ইনশাআল্লাহ। 
এ যাবত যত রুগিকে দেয়া হয়েছে  কোন রুগি ব্যাড রেকড আসেনি  তাই বলতে পারি পরীক্ষিত। 
 আলহামদুলিল্লাহ। 

বিকাশ পেমেন্ট এর মাধ্যমে আপনার বাডির ঠিকানায় কুরিয়ার এ সংগ্রহ করতে পারবেন।
সার্ভিস সার্জ ১২০ ৳ প্রযোজ্য।

সৌজন্যে 
ভূঁইয়া ন্যাচরাল হার্বস। 
০১৮২৯৩১৮১১৪ 
০০৯৬৬৫০৪৯৬৭৮৬৩
শুধু মাত্র 
ওয়াতসাফ /ইমু তে।

যৌন ‎সমস্যার ‎ স্হায়ী ‎সমাাধান ‎

বিশ্বের সবচাইতে উন্নত ফর্মুলায় তৈরি sexfill সেক্স পিল 
য়ৌন সমস্যার  স্হায়ী সমাধান 

এখন পুরুষদের পছন্দের তালিকায় ১ নাম্বার। পরীক্ষিত।

-----------------------------------
কাদের জন্য সেক্স পিল প্রয়োজনঃ- 
স্ত্রী মিলনে অক্ষম।যাদের মিলনের আকাঙ্খা ও জাগেনা তাদের জন্য। 
যাদের দ্রুত বীর্যপাত।টাইমিং কম।
যাদের  ছোট লিঙ্গ। 
অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের ফলে নিস্তেজ লিঙ্গ। লিঙ্গ নিত্তেজ বা অনূভুতি  হীনতা, 
একবার মিলনের পর দ্বিতীয়বার আর যৌন চাহিদা না থাকা।
অথবা শরীরে উত্তেজনা আসলেও সহবাস করার মত শক্ত হয়না। 
বন্ধ্যাত্ব সমস্যার  সমাধান। 
শুকানু শক্তিশালী করতে। 

--------------------------------------------
সেক্স পিলের  কার্যকারিতাঃ-
সেক্স পিল আপনার লিঙ্গের টিস্যুতে রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি করে আপনার লিঙ্গকে তার প্রাকৃতিক পূর্ণ আকার অর্জনের ক্ষমতা প্রদান করে।
এটি আপনার ইমিউনিটি সিস্টেমকে নিয়ন্ত্রণ করে যৌন মন বল দৃঢ় করবে।
যৌন শক্তি বৃদ্ধি করে সহবাসের সময়কে দীর্ঘায়িত করবে।
 লিঙ্গ আকার স্থায়ীভাবে ২-৩ ইঞ্চি বড়, দীর্ঘ, দৃঢ় এবং শক্তিশালী করবে।
বীর্যের গুণমান ও শক্তি মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে।
ভাস্কুলার বিস্তার বৃদ্ধি করে এবং বার্ধক্যজনিত লক্ষণগুলিও কমিয়ে দিবে।
বীর্যে শুক্রাণু বৃদ্ধি করে এবং শুক্রাণুর গতিশীলতা বাড়াতে সাহায্য করবে।বাচ্ছা জন্মদানে অক্ষম পুরুষদের বন্ধ্যাত্ব দূর করবে। 
শুকানু কম, দূর্বল মাথা বা লেজ কাটা শুকানুকে সবল করবে।
---------------------------------------------
মূল্য  প্রতি ফাইল  ৫৫০০৳ ৫০ টি ক্যাপসুল।
১০০% প্রাকৃতিক usa এর তৈরী।  -------------------------------------
সেবন বিধিঃ-
প্রতিদিন রাতে ১ টি করে ক্যাপসুল খাবারের পর খাবেন ৫০ দিন। 
দষ্টব্যঃ  একেবারেই যাদের ডেমেজ সিস্টেমের আওতায় তারাও এটি সেবন করতে পারেন।এতে ১-৪ ফাইল সেবন করতে হবে। পুল কোর্স।
এটা স্হায়ী চিকিৎসার জন্য। 

আর  এটা শুধু মাত্র  বিবাহিতদের জন্য   বা বিবাহ ঠিক হয়েছে  এমন রুগি সহ  বয়স্ক রুগিদের জন্য ও উপকারী। সাধারণত ৫০ উর্ধ লোকদের অনেকের যৌবনের ভাটা পডে তারাও সেবন করতে পারেন।
যারা যৌবনে কূঅভ্যাসের কারনে ( হস্তমৈথুন পুনঃ মৈথুন) ইত্যাদি  অনেক কূকর্ম করে নিজের যৌন জীবন সম্পর্কে  ভয়ে আছেন। এমন কি বিবাহ করতে ভয় পাচ্ছেন এমন রুগিরা ও সেবন করতে পারেন। এ জন্য ১-৪ ফাইল সেবনে পূর্ণ সুস্হ হবেন বলে আশা রাখি। ইনশাআল্লাহ। 
এ যাবত যত রুগিকে দেয়া হয়েছে  কোন রুগি ব্যাড রেকড আসেনি  তাই বলতে পারি পরীক্ষিত। 
 আলহামদুলিল্লাহ। 

বিকাশ পেমেন্ট এর মাধ্যমে আপনার বাডির ঠিকানায় কুরিয়ার এ সংগ্রহ করতে পারবেন।
সার্ভিস সার্জ ১২০ ৳ প্রযোজ্য।

সৌজন্যে 
ভূঁইয়া ন্যাচরাল হার্বস। 
০১৮২৯৩১৮১১৪ 
০০৯৬৬৫০৪৯৬৭৮৬৩
শুধু মাত্র 
ওয়াতসাফ /ইমু তে।

বুধবার, ১২ আগস্ট, ২০২০

‏যৌনদূর্বলতা,স্নায়ুবিক ‎দূর্বলতা ‎স্বপ্নদোষ,নিরাময়ে ‎দশমূলী

সাধারণ দূর্বলতা, যৌন দূর্বলতায়
আজীবন যৌবন ধরে রাখতে 
======০০০======
"সুফুপ  দশমূলী "
১০০% ন্যাচরাল  
 
কার্যকরীতাঃ-
সাধারন দূর্বলতা, বলকারক,
যৌনদূর্বলতা,মানসিক দূর্বলতা,
ক্লান্তি,স্নায়ুবিক অবসাদ, স্মৃতি শক্তির দূর্বলতা,শুক্রা'পাদন, 
 শুক্র - বর্ধক, শুক্র স্তবক,শুক্র গাঢ কারক,
শুক্রমেহ,মুত্রকুচ্ছতা,পীডন,গ্রন্হিস্ফীতি, অনিদ্রা, কোষকলার ঘাটতি পুরণ ,মহিলাদেরশ্বেতপদর, অতিরিক্ত ঋতুস্রাব,জরায়ুর শক্তি বৃদ্ধি, দুগ্ধবৃদ্ধি কারক,ও অতিরিক্ত স্বপ্ন দোষ নিবারক ও মৈথুন জনিত সমস্যায় কার্যকর। 

অজীবন যৌবন ধরে রাখতে নিয়মতি সেবন করতে পারেন। 
তবে কমাজকম ১২০-১৮০ দিন সেবনে আশানুরূপ ফল পাবেন ইনশাআল্লাহ। 

উপাদান ঃ- ১,অশ্বগন্ধা,২,শিমুলমূল,৩,শতমুলী, ৪,আলকুশি ও ৫,তেতুলবীজ চূর্ণ , ৬,কাবাব চিনি, ৭,কাতিলা  ৮,জাফরান,৯,স্বর্ন সিন্দুর,বা মোকাদ্দাস,
 ইত্যাদি। 

সেবনবিধিঃ- ২ চা চামচ চূর্ণ রাতে ১ গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে সকালে খালি পেটে সেব্য ও সকালে ভিজিয়ে রাতে সেব্য। 

অথবা অধিক কার্যকরীতার জন্য 
সাথে ১ চা চামচ মধু  ও চিনি বা মিসরী, ২৫০ মিলিঃ দুধ ও ১ চা চামচ খেজুর চূর্ণও ১ চামচ কালোজিরা তেল  মিশিয়ে ও সেবন করতে পারেন  যারা আজীবন যৌবন ধরে রাখতে চান এ নিয়মেসেবন করুন। 

সর্কতাঃ উচ্চ রক্তচাপ রুগিদের সেবন নিষেধ। 

মূল্য   1 fille 300  g 650  taka 
১ মাস। 

কুরিয়ারে ঔষধ পাঠানো হয়  ১২০-১৫০ টাকা সার্ভিস সার্জ। 

সৌজন্যে 
ভূঁইয়া ন্যাচরাল হার্বস মিরসরাই চট্টগ্রাম  
০১৮২৯৩১৮১১৪ 
০০৯৬৬৫০৪৯৬৭৮৬৩ 
শুধু মাত্র ইমু ওয়াতসাফ এ