আই_বি_এস (IBS) চিকিৎসা / করনীয় বর্জনীয় ঃ
আই বি এস কি?
আই.বি.এস (Irritable Bowel Syndrome)-এর রোগীরা দীর্ঘমেয়াদি পেটের সমস্যায় ভুগে থাকেন ,বাংলাদেশর মোট জনসংখ্যার প্রায় ১১-১২%মানুষ এই রোগে আক্রান্ত। অর্থাৎ বদহজম, গ্যাস আমাশা চির জীবনের সঙ্গী হয়ে যায়। পেটে হঠাৎ করে কামড় দেবে এবং সাথে সাথে বাথরুমে যেতে হবে। এমনও ব্যক্তি আছে যার দিনে চার-পাঁচ বার বাথরুমে যাওয়া লাগে।হঠাৎ পাতলা পায়খানা হঠাৎ কোষ্ঠকাঠিন্য, আবার কখনো আমাশয় জনিত সমস্যা, পেটে গ্যাস বদহজম লেগেই থাকে। এক কথায় বলতে গেলে হ্যাভি গ্যাস্টিক অর্থাৎ গ্যাস্টিক যখন উচ্চ পর্যায়ে পোছে যায় তখন একে আই বি এস বলা হয়। কিন্তু পেটের এত সমস্যা থাকার পরও অনেক সময় কোন পরীক্ষায় ও ধরা পডেনা।
Types প্রকারভেদ : আই বি এস দুই প্রকার ঃ
১।ডায়রিয়া প্রধান (আইবিএস)
২।কোস্টকাঠিন্য প্রধান (আইবিএস)
Aetiology কারণঃ
১।মানসিক ও সামাজিক সমস্যা
২।পরিপাকতন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা
৩। অতিরিক্ত তেলে ভুনা খাদ্য গ্রহণ
৪।অতিরিক্ত রাএি জাগরণ
৫।মদ্যপান
৬।অতিরিক্ত নেনশন
৭। অনিয়মিত খাদ্য গ্রহণ
৮।অতিরিক্ত ব্যস্ত থাকা
৯।অতিরিক্ত ফাস্টফুড জাতিয় খাবার গ্রহণ
১০।দীর্ঘদিন Constipation এ ভোগার কারণে
১১।Vagus nerve বেশি উওেজিত হওয়া।
োClinical feature.লক্ষ্যন
১।মল কখনও শক্ত আবার কখনও নরম হয়।
২।খাবার পরপর পায়খানার বেগ হয়।
৩।মলের সাথে মিউকাস বা আঠালো বিজলা যেতে পারে।
৪।পেট ফেঁপে থাকে
৫।পেটের বাম দিকে চাপ দিলে ব্যাথা লাগে।
৬।প্রস্রাবে জ্বালা যন্ত্রনা থাকতে পারে।
৭।শরীরের ওজন কমে যায়।
৮।কোনো কোনো সময় মলের সাথে রক্ত যেতে পারে।
৯। রোগী অতিরিক্ত দুশ্চিন্তায় ভুগতে থাকে।
১০।পেটে ভুটভাট শব্দ হয়ে থাকে।
১১।Anorexia /অরুচি
১২।দীর্ঘদিন এই রোগে ভুগতে থাকলে যৌন সমস্যার সৃষ্টি হয়।
Investigation :রোগী যে সমস্যা বা রোগের বর্ণনা দেয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাতেই রোগ নির্ণয় হয়ে যায়। তাছাড়াও যে সকল পরীক্ষা সমূহ করা উচিৎ।
👉History,নিতে হবে।
👉রক্ত পরীক্ষা
👉কলোনস্কাপি
👉সিগময়ডোস্কপি,
👉থাইরয়েড হরমোন পরীক্ষা
👉মল পরীক্ষা
👉দুধ সহ্যক্ষমতা পরীক্ষা ইত্যাদি।
যে সব
নিষেধ :
আইবিএসের রোগীদের আমরা চর্বিযুক্ত খাবার, তৈলাক্ত খাবার, আঁশযুক্ত খাবার, যব, গম, গমের তৈরি খাবার না খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকি, শাকসবজি, সালাদ ইত্যাদি নিষেধ। হোটেলের খাবার, দুধ ও দুধের তৈরি খাবার বন্ধ তবে ছানা খাওয়া যাবে। অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার ও গুরুপাক বর্জন করতে হবে।
পরামর্শ : নরম ভাত, হালকা ঝোলের তরকারি, কাচা -পাকা পেঁপে,-পাকা বেল খাবেন, কদু,শষা,ইসুবগুল, মাছ, গরম-গরম-টাটকা খাবার খেতে হবে। বাসি পচা খাবার খাওয়া যাবে না ।
যে সকল খাবার রোগী খেতে পারবেন ঃ-
১। জিরা+ ধনিয়া+মিষ্টি জিরা-সবগুলো উপাদান ১০০ গ্রাম নিয়ে হালকা ভেজে পাউডার করে ১চামচ পাউডার ১টি খালি পানের ভিতর চাবাই খাবেন ভরাপেট এ ১বার।
৩। খাবার আগে ও পরে ১ টুকরা আদা চাবাই খাওয়া যেতে পারে।
৪। প্রতিদিন থানকুনি ও পুদিনাপাতা খাওয়া যেতে পারে।
যে সকল খাবার রোগীর জন্য নিষেধ:-
দুধ জাতীয় খাবার, শাকজাতীয় খাবার, মাংস জাতীয় খাবার, ভাজাপোড়া, অতি তৈলাক্ত, মসলাও চর্বিযুক্ত খাবার।
সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হল এ সকল রুগিদের খুব সিম্পল জীবন যাপন করতে হয় সতর্কতার সঙ্গে।
এবং ধৈর্য্য ধারণ করে
নিয়মিত ভেষজ সেবনে সচেষ্ট হলে অনেকাংশে সুস্হ থাকা যায়।
ত্রিফলা,
বেল শুঁঠ,
পুদিনা,
সুফুপ কম্মুন
থানকুনি,
ইসুবগুল,
আদা,
আফেল সাইডার ভিনিগার
ইত্যাদি চিকিৎসক এর পরামর্শে সেবন করা যায়।
সৌজন্যে
ভূঁইয়া ন্যাচরাল হার্বস
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন