Translate

শনিবার, ৭ নভেম্বর, ২০২০

কোরআনের ‎আয়াতের ‎সংখ্যা ‎নিয়ে ‎সংশয় ‎নিরসন ‎

 কুরআনে মোট আয়াত সংখ্যা প্রকৃতপক্ষে কত হত পারে? এ নিয়ে ঐতিহাসিকদের মাঝে ভিন্নতা রয়েছে। 
যেমন 

👏👏১ম অভিমত👏👏
১) আয়েশা(রাঃ) —– ৬,৬৬৬ টি।
২) উসমান(রাঃ) —– ৬,২৫০ টি।
৩) আলী(রাঃ) ——- ৬,২৩৬ টি।
৪) ইবনে মাসুদ(রাঃ)– ৬,২১৮ টি।
৫) মক্বার গনণা ——- ৬,২১২ টি।
৬) ইরাকের গনণা —- ৬,২১৪ টি।
৭) বসরার গনণা —– ৬,২২৬ টি।

✌এইগুলোর সাথে বিসমিল্লাহ ধরে হিসাব করলে এইরুপ হবেঃ-

আয়েশা(রাঃ)—— ৬,৬৬৬ টি।
উসমান(রাঃ) —– ৬,২৫০ + ১১৩ = ৬,৩৬৩ টি।
আলী(রাঃ) ——– ৬,২৩৬ + ১১৩ = ৬,৩৪৯ টি।
ইবনে মাসুদ(রাঃ)— ৬,২১৮ + ১১৩ = ৬,৩৪১ টি।
মক্বার গনণা ——- ৬,২১২ + ১১৩ = ৬,৩২৫ টি।
ইরাকের গনণা —– ৬,২১৪ + ১১৩ = ৬,৩২৭ টি।
বসরার গনণা —— ৬,২২৬ + ১১৩ = ৬,৩৩৯ টি।

✌উল্লেখ্য যে, সুরা আত-তাওবা’য় বিসমিল্লাহ নাই। এই কারনে আল্লাহ রাববুল আলামিন মোট ১১৪ টি সুরায় ১১৩ বার বিসমিল্লাহ সংযোজন করেছেন এবং সুরা আত-তাওবায় কেন বিসমিল্লাহ সংযোজন করেননি তা আল্লাহই ভাল জানেন।ঐতিহাসিকরা আয়েশা (রাঃ) এর গনণা বা মত (৬,৬৬৬টি) গ্রহন করেছেন।তবে এটা সত্য যে, বেশির ভাগ আলেম-উলামাগণ আবার আলী (রাঃ) এর মতকেও (৬,২৩৬টি বিসমিল্লাহ ছাড়া এবং ৬,৩৪৯টি বিসমিল্লাহ সহ) গ্রহন করেছেন।

🌹তবে সূরার শুরুতে  ‘বিসমিল্লাহ’ কুরআনের কোন আয়াত নয় এই ব্যাপারে ওলামগন একমত। তেমনি সূরা ফাতিহার শেষে ‘আমীন’ ও কোন আয়াত নয়। তবে এটা কোরআনের  আয়াত এতে কোন সন্দেহ  নেই।  ( আল্লাহ ভাল জানেন) 

কুরআনে বিভিন্ন দৈর্ঘ্যের মোট ১১৪টি সূরা রয়েছে। সকল সূরা মিলিয়ে মোট আয়াতের সংখ্যা।প্রায় ৬২৩৬ (মতান্তরে ৬৩৪৮টি অথবা ৬৬৬৬টি)।

[সূত্র: উইকিপিডিয়া।] 


👏👏👏২য় অভিমত👏👏👏
আল কোরআন একাডেমী লন্ডন থেকে প্রকাশিত পবিত্র কোরআনের পূর্ণাঙ্গ সহজ সরল বাংলা অনুবাদ জনাব হাফেজ মুনির উদ্দীন আহমদ সাহেবের কিতাব থেকে দেখা যায় যে, তিনি তার কিতাবের ১৭ নং পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেছেন:

জান্নাতের ওয়াদা ১০০০, জাহান্নামের ভয় ১০০০, নিষেধ ১০০০, আদেশ-১০০০, উদাহরন-১০০০, কাহিনী-১০০০, হারাম-২৫০, হালাল-২৫০, পবিত্রতা-১০০ এবং বিবিধ-৬৬ সর্বমোট ৬৬৬৬ আয়াত।

হযরত আয়েশা (রা.) এঁর মতে ৬৬৬৬, হযরত ওসমা (রা.) এঁর মতে ৬২৫০, হযরত আলী (রা.) এঁর মতে ৬২৩৬, হযরত ইবনে মাসউদ (রা.) এঁর মতে ৬২১৮, মক্কার গননা মতে ৬২১২, বসরার গণনা মতে ৬২২৬, ইরাকের গণনা মতে ৬২১৪টি আয়াত আমাদের মুসলমাদের ধর্মগ্রন্থে বিদ্যমান। ঐতিহাসিকদের মতে আয়েশা (রা.) গণনাই বেশী প্রসিদ্ধ লাভ করেছে।

✌এই অনুবাদক সাহেব খুব জোড় দিয়েই লিখেছেন ঐতিহাসিকদের মতে আয়েশা (রা.) গণনাই বেশী প্রসিদ্ধ লাভ করেছে।

👏👏👏৩য় অভিমত👏👏👏
*(ক.) পবিত্র কোরআনের আয়াত সংখ্যার ব্যাপারে মদীনা বাসিদের দুটি মত।

এক-৬২১৭ টি*
দুই-৬২১৪ টি *
[ফতোয়ায়ে হাক্কানিয়া খ: ২,পৃ: ১৩২]

*(খ.) মক্কা বাসিদের মতে কোরআনে কারীমের আয়াতের সংখ্যা ৬২২০ টি, যা হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা:) এর দিকে নিসবত করা হয়।
[ফতোয়ায়ে হাক্কানিয়া খ: ২,পৃ: ১৩২]

*(গ.) কূফা বাসিদের নিকট আয়াত সংখ্যা ৬২৩৬ টি।
[মছদারু চ্ছাবিক খ:২, পৃ: ১৩২]

*(ঘ.) এ ব্যাপারে বসরা বাসিদের দুটি মত।
এক-৬২০৫ টি*
দুই-৬২১৯ টি*
[মছদারু চ্ছাবিক খ:২, পৃ: ১৩২]

*(ঙ.) শাম বাসিদের মতে কোরআনে কারীমের আয়াত সংখ্যা ৬২২৬ টি [ফতোয়ায়ে হাক্কানিয়া খ: ২,পৃ: ১৩২]

*(চ.) আরবের বিভিন্ন অঞ্চলের ক্বারীগণ কোরানের আয়াতের সংখ্যা নির্ধারণ করেছেন: কুফীদের মতে: ৬,২৩৬টি আয়াত; বসরাবাসীদের মতে: ৬,২১৬টি আয়াত; সিরীয়াবাসীদের মতে: ৬,২৫০টি আয়াত; ইসমাইল ইবনে জাফর মদনীর মতে: ৬,২১৪টি আয়াত; মক্কীদের মতে: ৬,২১৮টি আয়াত; হযরত আয়শার মতে: ৬,৬৬৬টি আয়াত”।
[দ্র: সং. ই. বিশ্বকোষ,১ম খ.৩য় মুদ্রণ ‘আয়াত’ অধ্যায়; পৃ: ৭০; ই. ফা.]

✌আল-কোরআন পাঠের সময় বিশেষ কিছু স্থানে ওয়াকফ করতে হয় অর্থাৎ থামা জরুরী এবং না থামলে গোনাহ হয়। আবার কিছু কিছু স্থানে থামা ও না থামা উভয়ই অনুমোদিত অর্থাৎ না থামলেও চলে। আর এ কারনেই অনেকে একসাথে একের অধিক আয়াত/বাক্যকে একসাথে ধরে গুনেছেন। আবার অনেকে প্রতিটি ওয়াকফ/থামার স্থানকে এক একটি বাক্য হিসেবে ধরে গুনেছেন।

✌বাংলা ভাষাতেও কোন বিষয়কে একই সংখ্যক শব্দ প্রয়োগের মাধ্যমে যেমন বিভিন্ন সংখ্যক বাক্য রূপে প্রকাশ করা যায়। আরবী ভাষার ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য এবং আরও সহজ বটে। তবে এক্ষেত্রে শব্দ প্রয়োগের ক্ষেত্রে কোনরূপ অসামঞ্জস্যতা ও বিকৃত অর্থ পরিলক্ষিত হচ্ছে কিনা সেটাই মূল বিবেচ্য বিষয়।

যেমন: আমি হাসপাতালে গিয়ে একজন রোগী দেখলাম। তিনি খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তাকে তৎক্ষণাৎ আইসিইউ-তে স্থানান্তর করি, সেখানে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করি। এখন আল্লাহর রহমতে তিনি সুস্থ।
[এখানে পাঁচটি আয়াত/বাক্য রয়েছে]

✌একটু ভিন্নভাবে হিসেব করলে দেখুন কয়টি বাক্য হয় দেখুন: আমি হাসপাতালে গিয়ে একজন রোগী দেখলাম যিনি খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন, তাকে তৎক্ষণাৎ আইসিইউ-তে স্থানান্তর করি এবং সেখানে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করায় এখন আল্লাহর রহমতে তিনি সুস্থ।
[এখানে দুইটি আয়াত/বাক্য রয়েছে]

🌹কোরানের আয়াত সংখ্যা নির্ণয়ে এ মতবিরোধ খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। একটি উদাহরণের মধ্য দিয়ে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে ওঠবে। সুরা ফাতিহার আয়াত সংখ্যা সাধারণভাবে গণ্য করা হয় ৭টি। কিন্তু ইমাম হাসান (রা.)-এর মতে আয়াত সংখ্যা ৮টি। তিনি ‘বিসমিল্লাহ’-কেও একটি আয়াত গণ্য করেছেন। আবার কারও কারও মতে সুরা ফাতিহার আয়াত সংখ্যা ৬টি। এ মতানুযায়ী ৬ ও ৭ আয়াতদ্বয় মিলে এক আয়াত এবং বিসমিল্লাহ আয়াত নয়। আবার কার কারও মতে সুরা ফাতিহার আয়াত সংখ্যা ৯টি।

🌴তবে বর্তমান বিশ্বে প্রচলিত কোরানের প্রতিটি সুরার প্রারম্ভে প্রতিটি সুরার যে আয়াত সংখ্যা উল্লেখিত আছে তা এক সঙ্গে যোগ করা হলে মোট আয়াত সংখ্যা দাঁড়ায় ৬২৩৬টি আর ‘বিসমিল্লাহ’-কে প্রতিটি সুরার এক একটি আয়াত গণ্য করা হলে এ সংখ্যা দাঁড়ায় ৬২৩৬+১১৩ = ৬৩৪৯টি।”

✌প্রত্যেকে হুবহু একই কোরানকে আয়াত সংখ্যার দিক দিয়ে বিভিন্ন মত দিয়েছেন।কারন তারা একেকজন আয়াতকে একেক জায়গায় শেষ করেছেন।তাই মূল কোরআনে বিভিন্নতা না থাকলেও আয়াত সংখ্যার গননায় বিভিন্নতা।এজন্য আয়াত সংখ্যা নিয়ে মতভেদ দেখা গেলেও আজ পর্যন্ত আয়াত সংখ্যায় বিভিন্ন মত দানকারীদের মধ্যে কোরানে কম বেশি করা হয়েছে -এ জাতীয় বিতর্ক সৃষ্টি হয় নি।কেননা তারা মূল বিষয়টি জানেন।কিন্তু বর্তমানে এ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করতেছে।কেননা,৬৬৬৬ সংখ্যাটির সৌন্দর্য বিবেচনায় আলেমগন এ মতটিকে গ্রহন করেছেন।কিন্তু বিশ্বব্যাপী প্রচলিত কোরআনে সাজানোর ধরন অনুযায়ী আয়াত সংখ্যা হয় ৬২৩৬ টি।এখন এ পরিস্থিতিতে আহলে হাদীসরা বলছে কোরআনের আয়াত সংখ্যা ৬২৩৬ টি,৬৬৬৬ সংখ্যাটি ভুল।দেওয়ানবাগী বলছে,৬৬৬৬ সংখ্যাটি ভুল।আমি সংস্কার করে বললাম ৬২৩৬ টি,নতুবা গুনে দেখুন।আর শিয়ারা বলতেছে ৬৬৬৬ টি আয়াত ছিল,সুন্নীরা ৪৩০ টি আয়াত গায়েব করে ফেলেছে।অজ্ঞতার কারনে ধর্মে কি পরিমাণ ফেতনা ছড়াচ্ছে।

✌প্রশ্ন হতে পারে সেই ৪৩০ টি আয়াত কোথায় গেল?কোথায় সংরক্ষিত আছে?আপনারা কেন দেখাতে পারছেন না?সত্যের দলীল একেবারে গায়েব করা যায় না।কোরআন তো কখনোই না।কারন আল্লাহ নিঁজেই ঘোষনা করছেন তিঁনি এর হেফাজতকারী।কাফের মোশরেকরা যথেষ্ট চেষ্টা করেছে কোরআনকে উল্টাপাল্টা করে দিতে।কিন্তু পারে নি।যেই শিয়ারা বলেছে যে কোরআন থেকে ৪৩০ টি আয়াত মুছে ফেলা হয়েছে,তাদের কাছে অনুমান ও কাল্পনিকতা ব্যতীত স্পষ্ট দলীলের প্রমাণ চাই,দিতে পারবেন কি?একজন অলির কিতাব থেকে প্রমাণ দিতে পারবেন যে কোরান থেকে আয়াত মুছে ফেলা হয়েছে?সবচেয়ে বড় কথা হল,মাওলা আলী (আ:) বলেছেন,আয়াত সংখ্যা ৬২৩৬ টি আর মা আয়েশা(রা:) এর মত হল আয়াত সংখ্যা ৬৬৬৬ টি।তাই প্রশ্ন থেকে যায়,আপনারা যেখানে মাওলা আলী (আ:) ব্যতীত কাউকে মানছেন না এবং মা আয়েশা (রা:) কেও মানছেন না,তবে আপনারা কেন আয়াত সংখ্যা নির্ধারনে মাওলা আলী (আ) কে বর্জন করে মা আয়েশা (রা:) এঁর মত গ্রহন করে ৪৩০ টি আয়াত মুছে ফেলার অভিযোগ তুলছেন? আপনারা এক সকল ক্ষেত্রে মাওলা আলী (আ:) কে মানলে এখানে কেন মা আয়েশা (রা:) এর মত গ্রহন করে মুসলমানদের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন।অথচ: আয়াত সংখ্যা সুস্পষ্ট মতভেদের কারন পরিলক্ষিত হচ্ছে।যেটা নিয়ে এত মতভেদ দেখা যায়,সেটা নিয়ে কেন এত বাড়াবাড়ী??

👏👏👏৪র্থ অভিমত👏👏👏
এ. বি. এম. আব্দুল মান্নান মিয়া ও আহমদ আবুল কালাম কোরানের আয়াত সংখ্যার বিষয়ে যে অভিমত দিয়েছেন তা এরকম: “কোরানের আয়াত সংখ্যা ছয় হাজারের মত। শায়খ আদ-দানী (রা.) বলেছেন, মুসলিম উম্মাহ একমত যে কোরানের আয়াত সংখ্যা মোটামুটি ছয় হাজারের মত। তবে তাঁদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে এই ছয় হাজারের পরে কত সংখ্যা বেশি আছে তা নিয়ে। এ বিষয়ে ছয়টি মত পাওয়া যায় :

১. পূর্ণ ছয় হাজার; না বেশি, না কম।
২. ৬ হাজার ২শত ৪টি।
৩. ৬ হাজার ২শত ১৪টি।
৪. ৬ হাজার ২শত ১৯টি।
৫. ৬ হাজার ২শত ২৫টি।
৬. ৬ হাজার ২শত ৩৬টি।

👏👏👏৫ম অভিমত👏👏👏

*(ক.) মুসনাদ দায়লামীর এক বর্ণনায় আছে কোরানের আয়াত সংখ্যা ৬ হাজার ২শত ১৬টি।

*(খ.) ইবনুদ দুরীস (রা.)-এর এক বর্ণনায় জানা যায় কোরানের আয়াত সংখ্যা ৬ হাজার ৬শত।

*(গ.) আমাদের দেশে ও অন্যান্য মুসলিম বিশ্বে বহুল প্রচলিত কোরানের আয়াত সংখ্যা ৬ হাজার ৬শত ৬৬টি।তবে যেভাবে পূর্ণ আয়াত ধরা হয়েছে,সেভাবে হিসাব করলে আয়াত সংখ্যা ৬২৩৬ টি।

🌹অধিকাংশ মানুষ পবিত্র কোরআনের আয়াত সংখ্যা সম্পর্কে যা জানে তা হল পবিত্র কোরআনের আয়াত সংখ্যা ৬৬৬৬ টি।তবে কেউ গণনা করে দেখে না যে আসলে কয়টি আয়াত বিদ্যমান। মূলত ৬৬৬৬ সংখ্যাটি আমরা পেয়েছি আলেম উলামাদের কল্যানে।কিন্তু পবিত্র কোরআন শরীফের আয়াত গণনা করলে আমরা ৬২৩৬ টি আয়াত পাই।৬৬৬৬ টি আয়াত হতে আরো ৪৩০ টি আয়াত প্রয়োজন।তাহলে কি আলেম উলামাগণ ভুল গণনা করলেন?

👌আলেমগনের মধ্যে সর্বপ্রথম যিনি ৬৬৬৬ আয়াতের কথা বলেছেন, তিনি হলেন ইবনে হুজাইমাহ (রা:)।তিনি উনার আন নসিহ ওয়াল মানসুখ কিতাবে এটি প্রকাশ করেন।ইবনে হুজাইমাহ (রা:) পবিত্র কোরআনের আয়াতের ধরন অনুযায়ী উল্লেখ করেনঃ

🎷১০০০ আয়াত-ওয়া’আদ
🎷১০০০ আয়াত-ওয়া’ইদ
🎷১০০০ আয়াত-আমর
🎷১০০০ আয়াত-নাহি
🎷১০০০ আয়াত-তথ্য ও ইতিহাস
🎷১০০০ আয়াত-নিষেধ ও উদাহরন
🎷৫০০ আয়াত-কতৃত্ব
🎷১০০ আয়াত-ইবাদত ও মহত্ব 🎷 ৬৬আয়াত-নাসিহ ও মানসুহ
=মোট হল ৬৬৬৬ -টি আয়াত

✌ অবশ্য তিনি প্রতিটি শ্রেণী বিভাগের বিস্তারিত বর্ণনা দেন নি।অন্যদিকে বর্তমানে সাজানো কোরআন শরীফে আয়াত পাওয়া যাচ্ছে ৬২৩৬ টি।বলা বাহুল্য হযরত উসমান (রা) সর্বপ্রথম যে কোরআন সংকলন করেছিলেন তাতে তিনি আয়াত সংখ্যা বসান নি।ফলশ্রুতিতে গণনায় বিভিন্ন মত পাওয়া গিয়েছিল, যা অতি স্বাভাবিক ব্যাপার।তবে সর্বোচ্চ গৃহীত মত হল ৬২৩৬ টি আয়াত মতান্তরে ৬৬৬৬ টি আয়াত।তাহলে এই মতান্তরে বেড়াজালে আবদ্ধ হয়ে ৪৩০ টি আয়াতের হিসাব আমরা কিভাবে দিব?আসুন একটু গবেষনা করে দেখা যাক।

✌পবিত্র কোরআনুল মাজিদে দুই ধরনের আয়াত বিদ্যমান।

১)তারসুরাত/জাহের-লিখিত।
২)তারসিরাত/বাতেন-গোপন।

✌জাহেরে আয়াত ৬২৩৬ টি,বাতেনে আরো ৪৩০ টি আয়াত বিদ্যমান।

✌আম্মিজান হযরত আয়েশা(রা) কে জিঙ্গেস রাসূল (ﷺ) এঁর জীবন পদ্ধতি সম্পর্কে জিঙ্গেস করা হলে তিনি জবাব দেন,হুজুর পাক (ﷺ) উঁনার কর্মে কোরআন,উঁনার চলনে কোরআন,উঁনার কথাবার্তায় কোরআন,উঁনার জীবনে কোরআন।

🌹🌹অর্থাৎ হুজুর পাক (ﷺ) হলেন জীবন্ত কোরআন।এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে সুরা নজমে উল্লেখ হয়েছে,
وَمَا يَنطِقُ عَنِ الْهَوَى

এবং প্রবৃত্তির তাড়নায় কথা বলেন না।
[সুরা নাজম,আয়াত নং ৩ ]

إِنْ هُوَ إِلَّا وَحْيٌ يُوحَى

কোরআন ওহী,যা প্রত্যাদেশ হয়।
[ সুরা নাজম,আয়াত নং ৪ ]

عَلَّمَهُ شَدِيدُ الْقُوَى

তাঁকে শিক্ষা দান করে এক শক্তিশালী ফেরেশতা,
[সুরা নাজম,আয়াত নং ৫ ]

🌹🌹হুজুর পাক (ﷺ) হলেন রহমাতাল্লিল আলামিন এবং কোরআন ও হুজুর পাক (ﷺ) উভয়ই হলেন নূর।সুতরাং পবিত্র কোরআন থেকে কখনো হযরত মোহাম্মদ (ﷺ) কে পৃথক করা যাবে না।সুতরাং হুজুর পাক (ﷺ) নিঁজেই আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি ওহি।উঁনার নামে চারটি হরফ।যথাঃ মীম,হা,মীম,দাল।

*১. মীম-২৪ তম হরফ-২৪ তম সুরা আন নূর-আয়াত সংখ্যা-৬৪

*২. হা-৬ষ্ঠ হরফ-৬ষ্ঠ সুরা আল আনআম-আয়াত সংখ্যা-১৬৫

*৩. মীম-২৪ তম হরফ-২৪ তম সুরা আন নূর-আয়াত সংখ্যা-৬৪

*৪. দাল- ৮ম হরফ- ৮ম সুরা আনফাল-আয়াত সংখ্যা-৭৫
____________________________
(২৪+৬৪+৬+১৬৫+২৪+৬৪+৮+৭৫)
=৪৩০
[সুরা নম্বর ও সুরা গুলোর আয়াত সংখ্যার যোগফল]

🌹সুতরাং, ৬২৩৬ টি আয়াত হল জাহেরে।কিন্তু ৬৬৬৬ টি আয়াত হল জাহের ও বাতেনের সমন্বয়ে।

✌এবার ৬৬৬৬ সংখ্যার প্রতিটি সংখ্যা আলাদা যোগ করলে হয়,

৬+৬+৬+৬=২৪(কালেমায় ২৪ হরফ)

🌴১২ হরফ-“লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” এবং ১২ হরফ- “মোহাম্মাদুর রাসূল আল্লাহ”।
কালেমা পূর্ণ হতে যেমন “মোহাম্মাদুর রাসূলাল্লাহ” প্রয়োজন,তেমনি মোহাম্মদ (ﷺ) ব্যতীত কোরআন অপূর্ণ।যখন মোহাম্মদ (ﷺ) দ্বারা কোরআন পূর্ণ করা হয় তখন কোরআনের আয়াত সংখ্যা হয় ৬৬৬৬ টি।
[এখন মানা, না মানা যার যার ব্যাপার।



বিঃদ্রঃ  

পরিশেষে  একটা কথা না বললেই  নয়  এ আয়াত সংখ্যা নিয়ে ভিন্নতা থাকলেও কিন্তু পবিত্র কোরআনে  কোন প্রকারের সন্দেহ  সংশয় এর অবকাশ নেই। 

মূলত আয়াত সংখ্যা গননা করতে কেউ কোন অংশ কে বাদ দিয়ে করেছেন কেউ বা ছোট আয়াত বড আয়াতের মধ্যে পার্থক্য  করেছেন কেউ বা ওয়াকফ করার স্হান সম্পর্কে  ভিন্নমত পোষণ করে গননা  করেছেন সেই  হিসাবে  মূল গননায় পার্থক্য  হয়েছে। কিন্তু  মূল কোরআনে কোন সংশয় বা সন্দেহের অবকাশ নেই। আল্লাহ  সবাইকে  সঠিক ভাবে  বুঝার তাওফিক  দান করুক আমিন।  


সার কথা ঃঃ 

হযরত আয়েশা রাঃ  এর মত অনূসারে  কোরআনের আয়াত ৬৬৬৬। এটাই  প্রসিদ্ধ,

আর হযরত আলী রাঃ এর মতে ৬২৩৬ আয়াত। তবে বর্তমান  ছাপানো কোরআনে ৬২৩৬ আয়াতই দেখা যায়, যেটা আলী রাঃ এর মত অনূসারে এটাও প্রসিদ্ধ। 

আমি ব্যক্তিগত ভাবে সৌদি আরব এ  মদীনার সেই  কিং ফাহাদ ছাপাখানা থেকেন ছাপানো কোরআন শরীফ গননা করে দেখেছি সেখানেও ৬২৩৬ আয়াত পেয়েছি। তাছাডা ওমান - দুবাই  থেকে  ছাপানো  কোরআনে  ও ৬২৩৬ আয়াত দেখা গেছে।তাই এটাও প্রসিদ্ধ মত।

সংকলন সংযোজন 

 এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া 

প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক 

নূরুল গনি ইসলামি একাডেমী কাটাছরা  জোরারগঞ্জ,  মিরসরাই,  চট্টগ্রাম,  বাংলাদেশ  


তথ্য  সূত্র ঃ 

https://modinargolam.wordpress.com/2018/06/25/%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%8B%E0%A6%9F-%E0%A6%86%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%A4-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%96%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE/


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন