Translate

বুধবার, ১ জুলাই, ২০২০

সামনের ‎সারীতে ‎থেকেই ‎খেদমত ‎করার ‎চেষ্টা ‎করেছি ‎

সামনের সারীতে থেকেই খেদমত করার চেষ্টা করেছি    
====এম এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া==== 
   
আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে ১৯৯৩ তথা ১৪১৪ হিজরী সনে জামেয়া ইসলামিয়া পটিয়া থেকে দাওরাহ হাদিস কমপ্লিট করার পর সর্ব প্রথম  লোহাগাড়া (সাতকানিয়া) আমিরাবাদ,চট্টগ্রাম এর     মাদরাসা হোছাইনিয়া আজিজুল উলুম  রাজঘাটায়, (জামেয়ারই প্রবীন মোহাদ্দেস  আমার শফীক্ব ওস্তাদ  ওস্তাদুল আসাতেজা  আল্লামা নূরুল ইসলাম জদীদ সাহেব হুজুর রহঃ)
 এর   নির্দেশক্রমে  সিনিয়র সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগাদান করি। 

প্রথম বছর  কোন প্রকারে  সময় অতিবাহিত হলেও   দ্বিতীয় বছর নাজেমে দারুল এক্বামা তথা হল সুপারের দায়িত্বে  আসার পর মাদরাসার সকল বিভাগে কাজ করার সুযোগ তৈরী হয়।

কারণ  নাজেমে দারুল এক্বামার দায়িত্বে থাকার সুবাদে সঠিকভাবে প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় নিয়ম কানুন সুচারুভাবে ভাবে পরিচালনার কারণে        সকল ছাত্র শিক্ষকদের সাথে আন্তরিকতা  শ্রদ্ধা আর   ভালোবাসা তৈরী করতে সক্ষম  হই   যা একমাত্র মহান আল্লাহর মেহেরবানী আর দয়ায় সম্ভব হয়েছে। 
কারণ   এর আগে দীর্ঘ প্রায় ১৫  বছর পূর্বে থেকে সেখানে কোন প্রকারের নিয়মনীতির তোয়াক্কা করা হতনা।  তখনকার জনৈক পরিচালকের একচ্ছত্র ক্ষমতা আর   আধিপত্যের  কারনে।
 কিন্তু ১৪১৫ হিজরীতে নতুন  পরিচালক মাওলানা আজিজুল ওয়াহেদ সাহেব রহঃ এর নেতৃত্বে আসার পর থেকে প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি বিভাগে লেখাপডার মান উন্নয়ন সহ আইন- শৃঙ্খলা নিয়মনীতি সব সেক্টরেে পরিবর্তন আনতে সক্ষম   হই। তখনকার নাজেমে তালিমাত তথা শিক্ষা পরিচালক মাওঃ কারী মোহাম্মদ হোছাইন সাহেবের নেতৃত্বে।  বর্তমানে তিনিও কিন্তু ওমান প্রবাসী।   
         

অথচ ঐ সকল এলাকায়  উত্তর চট্টলা থেকে  দক্ষিণ চট্টলায়  গিয়ে এভাবে আন্তরিক ভালোবাসা  আর গ্রহণ যোগ্যতা অর্জন সত্যি সত্যিই চ্যালেন্জীং ছিল বটে। তবে সব আল্লাহর ইচ্ছায়  সক্ষম   হয়েছিল।

এবং প্রতিষ্ঠানের এমন কোন কাজ ছিলনা যে কাজে আমাকে অংশগ্রহণ করতে হয়নি। 
কর্তৃপক্ষের আন্তরীকতা আর  ব্যক্তিগত  সাহসীকতা নিয়ে নিজের মত করে আপন পরিবারের মত করে নিজের প্রতিষ্ঠান মনে করে। আল্লাহর রহমতে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায়   সেই রাজঘাটা হোছাইনিয়া মাদরাসাকে সাজিয়েছিলাম (১৯৯৩-২০০০)   আজও সেই ভিত্তির উপর চলমান আছে আলহামদুলিল্লা। 

কিন্তু  কর্তব্যের খাতিরে  ২০০০ সনে সৌদিতে  পাডি জমাতে হল বিধায়  নিজের গডা প্রতিষ্ঠানকে চাডতে হল। 

আজও মনে পডে। সেই প্রতিষ্ঠানের ততকালীন ছাত্র শিক্ষক   সহ কর্তৃপক্ষের আন্তরিক শ্রদ্ধা আর  ভালবাসার কথা। 
দীর্ঘ ২০ বছর অতিবাহীত হলেও আজও প্রতিষ্ঠানের  অনেক ছাত্র শিক্ষকদের সাথে  যোগাযোগ হয়। 
তারাও যোগাযোগ করেন আলহামদুলিল্লাহ। 
কারণ প্রতিষ্ঠানের এমন অনেক কাজ ছিল যেখানে অন্যরা সাহস করতোনা কিন্তু আমি সামনের সারীতে থেকেই খেদমত করার চেষ্টা করেছি। একমাত্র রেজায়ে মাওলার উদ্দেশ্যেে।   এ জন্যই তারা ও আজ পর্যন্ত আমাকে স্বরন করেন আমিও তাদের কে স্বরন করি।
আল্লাহ আমাদের সকলকে এখলাছের সাথে সকল কাজ করার তাওফিক দান করুক আমিন। 
 

এম এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া  
প্রক্তন সিনিয়র শিক্ষক 
মাদরাসা হোছাইনিয়া আজিজুল  উলুম রাজঘাটা লোহাগাডা চট্টগ্রাম।     
=========== ও  =======
প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক নূরুলগনি ইসলামি একাডেমী  কাটাছরা জোরারগঞ্জ মিরসরাই চট্টগ্রাম          
          ০১/০৬/২০২০ 
 
 
        

  

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন