শরীরে দুর্গন্ধের রহস্য উন্মোচন ও করনীয় চিকিৎসা ঃ-
সংকলক ও সংযোজক
এম এম আবদুল্লাহ ভূইয়া
শরীরের দুর্গন্ধ দুর করার জন্য সাধারণত আপনি কি করেন? স্নান করেন, ডিওডোরেন্ট, অ্যান্টি-পার্সপির্যান্ট, পাউডারও মাখেন। অথবা বগলের লোম কামিয়ে ফেলেন। কিন্তু গরমের দিনে শেষ পর্যন্ত কিছুই মনের মতো কার্যকর হয়না।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, তারা শরীরের দুর্গন্ধ দুর করার আরো অত্যাধুনিক পদ্ধতি খুঁজে পেয়েছেন। মানুষের বগল থেকে যে ঘাম বের হয় তা আসলে তেমন কোন গন্ধ নেই। কিন্তু ত্বকের উপর বাস করা একটি বিশেষ ব্যাকটেরিয়াই হল যতসব গন্ধের উৎস। গন্ধহীন ঘামকে তারাই রূপান্তর করে ও মানুষের শরীরে গন্ধ ছড়ায়।
ইউনিভার্সিটি অফ ইয়র্ক এবং অক্সফোর্ড-এর দুটো গবেষণা দল বলছে কিভাবে এই ব্যাকটেরিয়া কাজটি করে সেই রহস্যের প্রথম ধাপ তারা উন্মোচন করেছেন। তারা বলছেন, এর মাধ্যমে শরীরের দুর্গন্ধ দুর করার আরো অত্যাধুনিক পদ্ধতি খুঁজে পাওয়া সম্ভব হবে।
ঘাম কিভাবে হয়
শরীরের ত্বকে দুই ধরণের গ্ল্যান্ড বা গ্রন্থি থেকে ঘামের উৎপত্তি। শরীর চর্চা বা পরিশ্রমের ফলে যে ঘাম উৎপন্ন হয় তা তৈরি করে একরিন গ্রন্থি। এই ঘামে দুর্গন্ধ নেই এবং তা আমাদের শরীরকে ঠাণ্ডা করে। আরেকটি হল অ্যাপোক্রিন গ্রন্থি। যার উপস্থিতি বগল ও গোপনাঙ্গের আশপাশে। যেখানে রয়েছে অবাঞ্ছিত লোম। এখান থেকে যে ঘাম উৎপত্তি হয় তাতে রয়েছে এক বিশেষ ধরনের প্রোটিন। যা দুর্গন্ধহীন হলেও ব্যাকটেরিয়ার কারণে এটি দুর্গন্ধে রূপান্তরিত হয়। খুব সামান্য এই ব্যাকটেরিয়ার মারাত্মক ক্ষমতা। যারা তাদের কাজে ঐ প্রোটিনটি ব্যবহার করে।
চিকিৎসা ঃ-
ডিওডোরেন্ট নাকি অ্যান্টি-পার্সপির্যান্ট
শরীরের দুর্গন্ধ দুর করতে সাধারণত জনপ্রিয় দুটি পণ্য হল,
(ডিওডোরেন্ট) ও অ্যান্টি-পার্সপির্যান্ট)
ডিওডোরেন্টঃ-
সুগন্ধি ব্যবহার করে দুর্গন্ধকে ঢেকে দেয়। এতে ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী কিছু উপাদানও রয়েছে।
অ্যান্টি-পার্সপির্যান্ট ঃ-
ঘামের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। বলা যেতে পারে লোমকূপে এক ধরনের ছিপি এটে দেয়।
ইউনিভার্সিটি অফ ইয়র্ক-এর জীববিদ্যা বিভাগের ড. গ্যাভিন থমাস বলছেন, ‘আমাদের শরীরে যে ব্যাকটেরিয়া রয়েছে তার মধ্যে মাত্র কয়েকটি দুর্গন্ধের জন্য দায়ী। এই ব্যাকটেরিয়ার বৈজ্ঞানিক নাম স্টেফালোককাস হমিনিস। এটি যে প্রোটিনটি ব্যবহার করে, নতুন প্রজন্মের স্প্রে, রোল-অন ডিওডোরেন্টে তা প্রতিরোধী উপাদানই হবে দুর্গন্ধের নতুন অস্ত্র।-বিবিসি।
ইত্তেফাক/মোস্তাফিজ
এ সংক্রান্ত আমার পরামর্শ হল
এ দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পেতে হলে করনীয়
জরুরী টিপস,
ও প্রাকৃতিক চিকিৎসা ঃ---
১/ নাভির নীচের লোম ও বগলের পশম প্রতি সাপ্তাহে জরুরী ভিত্তিতে পরিস্কার করতে হবে।
২/ এ দুটো স্হান দৈনিক ভাল করে সাবান দিয়ে বা পানি দিয়ে ধৌত করে নিতে হবে কয়েকবার। সাথে কোন ক্রিম ও ব্যবহার করতে পারেন।
৩/ দৈনিক খাঁটি মধু সেবন এতে শরীরের গন্ধ, মুখের গন্ধ ও মুজার গন্ধ থেকেও মুক্তি পাওয়া যাবে যেটা আমার পরীক্ষিত।
এ জন্য ১/২ চামচ মধু সেবন চুমু দিয়ে বা , ১ গ্লাস গরম বা ঠান্ডা পানিতে ১/২ চামচমধু মিশিয়ে সকালে খালি পেটে,১/৩ মাস।
৪/ দুর্গন্ধ যুক্ত খাওয়ার পরিহার করতে হবে।
৫/ বিশুদ্ধ পানি পানের পরিমান বাডিয়ে দিতে হবে।
৬/শরীরে গন্ধের জন্য
যা অত্যন্ত গুরুত্ব পূর্ণ ও জরুরী।
ডেলী ২/৩ বার গোসল করা এবং গোসলের পর ফিটকারী মিশানো এক জগ পানি শরীরের উপর ডেলে দেওয়া,
এবং মাঝে মধ্যে গোসলের পর এক জগ পানিতে এক কাক পরিমান ডেটল মিশিয়ে মাথাও মুখ ব্যতিত সারা শরীরে ডেলে দেয়া।
এবং ফিটকারী পানি দিয়ে শরীর ধৌত করুন। অথবা বোগলে ও রানের গোডায় ফিটকারীর পানি ব্যবহার করুন।
৭/ আর , যাদের মুজায় গন্ধ হয় তাদেরকে জুতা পরার সময় জুতার ভিতর কিছু বেকিং সোডার পাউডার দিয়ে দিন, আর মুজা একবারের বেশী পরবেন না।
আর মধু সেবন করুন এবং পারলে মাঝে মধ্যে ফিটকারীর পানি বা ডেটলের পানি দিয়ে পা ধৌত করুন।
৮/ গামের বা শরীরের গন্ধ এর জন্য দৈনিক ১-২ বার গেন্জি ও আন্ডারওয়্যার পরিবর্তন করুন।
তাছাডা মর্ডান পথ্য বা ঔষধ
১, দীনার সূরাপ ঃ-
২, সিনামোমাম ট্যাবঃ-
৩, টারমারিক অরেঞ্জ সাবান
৪, পুদিনা নির্যাস
৫,এম এক্স এন বস
৬,চুইং জিনজার (মুখের দুর্গন্ধে।)
৭, জাশনে মতি ( মর্ডান আতর)
৩/৬ মাস ব্যবহারে শরীরের এ বাজে গন্ধ বা দূরারোগ্য ব্যধি থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
সংকলক ও সংযোজক
এম এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া।
০১৮২৯৩১৮১১৪
০০৯৬৬৫০৪৯৬৭৮৬৩
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন