৬ তাকবীরের সাথে ঈদের নামায আদায় করা হাদীস মোতাবেক সম্পূর্ণ সহীহ-২
ঈদের নামাযের অতিরিক্ত তাকবীর সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান:
(ক) দু’ঈদের নমাযে অতিরিক্ত ৬ তাকবীর ওয়াজিব হওয়ার বিধান সম্পূর্ণ হাদীস সম্মত। মারফু এবং মাওকুফ উভয় প্রকারের হাদীস দ্বারা তা প্রমাণিত। এ ব্যাপারে সহীহ-শুদ্ধ হাদীস গ্রন্থাদিতে বহু হাদীস পাওয়া যায়। উদাহরণ স্বরূপ কয়েকটি হাদীস নিম্নে পেশ করছি।
১নং হাদীস:
أن القاسم ابا عبد الرحمن حدثه قال حدثني بعض اصحاب رسول الله صلي الله عليه وسلم قال صلي بنا النبي صلي الله عليه وسلم يوم عيد فكبر اربعاً واربعاً ثم اقبل علينا بوجهه حين انصرف فقال لا تنسوا كتكبير الجنائز واشار باصابعه وقبض ابهامه ـ فهذا حديث حسن الاسناد ـ
নির্ভরযোগ্য হাদীসগ্রন্থ তাহাবী শরীফের বর্ণিত হাদীসে বলা হয়েছে যে, আবু আব্দুর রহমান বলেন, আমাকে কতিপয় সাহাবা রাযি. বলেছেন যে, হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাদের নিয়ে ঈদের নামায পড়ে ছিলেন। তাতে তিনি চার চার তাকবীর বলেন। অত:পর নামায শেষে হুযুর (সা.) আমাদের কে লক্ষ্য করে বললেন, ভুলে যেও না, ঈদের নামাযের তাকবীর জানাযার নামাযের তাকবীরের অনুরূপ। সাথে সাথে হুযুর (সা.) বৃদ্ধাঙ্গুলী মুষ্ঠিবদ্ধ করে অবশিষ্ট চার আঙ্গুল দ্বারা ইঙ্গিত করে দেখালেন (তাহাবী শরীফ, ২/৪০০পৃ । বর্ণিত হাদীসের সনদকে ইমাম তাহাবী রহ. হাসান বলেছেন। আর হাসান হাদীস গ্রহণযোগ্য হওয়ার ব্যাপারে সহীহ হাদীসের মত (তাদরীবুর রাবী, ১/৯৬ পৃ । বর্ণিত হাদীসে দু’ রাকাতে চার চার তাকবীর বলা হয়েছে। এদ্বারা বুঝা যায় মোট আট তাকবীর। যথা: প্রথম রাকাতে তাকবীরে তাহরীমা সহ চার তাকবীর আর দ্বিতীয় রাকাতে রুকুর তাকবীর সহ চার তাকবীর। অর্থাৎ দুটি আসল ৬টি অতিরিক্ত বলা যেতে পারে।
২নং হাদীস:
أن سعيد بن العاص سأل أبا موسي الاشعري وحذيفة بن اليمان كيف كان رسول الله صلي الله عليه وسلم يكبر في الاضحي والفطر فقال ابو موسي كان يكبر اربعا تكبيرة علي الجنائز فقال حذيفة صدق فقال ابو موسي كذلك كنت اكبر في البصرة ـ
বিশুদ্ধ হাদীসগ্রন্থ আবু দাউদ শরীফের এ হাদীসে বলা হয়েছে যে, সাঈদ ইবনে আস রাযি. একদা আবু মূসা আশয়ারী ও হুযায়ফা ইবনে ইয়ামান রাযি. কে জিজ্ঞাসা করলেন যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার নামাযে কিভাবে তাকবীর বলতেন? জবাবে আবু মূসা রাযি. বললেন জানাযার নামাযের মত প্রতি রাকাতে চার চার তাকবীর বলতেন। হুযায়ফা রাযি. সমর্থন করে বললেন আবু মূসা সত্য বলেছে। আবু মূসা রাযি. বললেন আমিও বসরা দেশে এভাবেই তাকবীর বলতাম (আবু দাউদ, ১/১৬৩ পৃ:; মুছান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, ৪/২১৩ পৃ ।
উভয় হাদীসে রাসূলুল্লাহ (সা.) ঈদের নামাযের তাকবীর প্রতি রাকাতে চার চার করে সর্ব মোট আট বলেছেন। অর্থাৎ দু’টি আসল ৬টি অতিরিক্ত। প্রশ্ন হতে পারে, হাদীসে তো তাকবীরে তাহরীমা ও রুকুর তাকবীরের কথা উল্লেখ নেই? তার জবাবে বলতে চাই যে, হুযুর (সা.) ঈদের তাকবীরকে জানাযার তাকবীরের সাথে তুলনা করেছেন। তা থেকে বুঝা যায় যে, যেমন জানাযার ৪ তাকবীরের মধ্যে প্রথম তাকবীরে তাহরীমা অপর ৩টি অতিরিক্ত তদ্রুপ ঈদের নামারের চার চার তাকবীরের মধ্যে ও একটি আসল অপর ৩টি অতিরিক্ত। এটা কোন মনগড়া ব্যাখ্যা নয় বরং বহু মাওকুফ হাদীস দ্বারা প্রমানিত সত্য। একথা বলার আর অপেক্ষা রাখে না যে, হাদীসে মাওকুফ যদি ইজতেহাদী বিষয় না হয় এবং কুরআনের কোন আয়াত বা হাদীসে মারফুর সাথে সাংঘর্ষিক না হয় তখন হাদীসে মারফুর মত শরীয়তের প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ যোগ্য হবে (জফরুল আমানী, ১/১৯০ পৃ ।
২নং হাদীসের সনদের তাহকীক: বার তাকবীর সমার্থকগণ আবু দাউদ শরীফে বর্ণিত হাদীসের সনদকে যয়ীফ বলতে চায়। কারণ উক্ত সনদে একজন রাবী হলেন আবু আয়শা তিনি মাজহুল। তাদের এই দাবী সঠিক নয়, কারণ আবু আয়শা হতে দু’ জন বর্ণনাকারী পাওয়া যায় একজন মাকহুল দ্বিতীয়জন খালিদ ইবনে মা’দান (তাহযীবুত তাহযীব, ১২/১৪৬ পৃ । আর রিজাল শান্ত্রের উসূল হল, যে রাবীর দু’জন ছেকাহ ছাত্র থাকবে সে কখনে মাজহুল থাকে না (মুকাদ্দামায়ে ইবনে সালাহ, ৯০ পৃ:; তাদরীবুর বাবী, ১/২২০ পৃ । হাফেজ আসকালানী রহ. আবু আয়শা কে মাকবুল বলেছেন, অতএব তার হাদীস গ্রহণযোগ্য হবে (তাকরীবুত তাহযীব, ১/৪২৬ পৃ ।
সাহাবাদের আমল
এ ছিল ৬ তাকবীরের সাথে ঈদের নামাযের সমর্থনে মারফু হাদীসের আলোচনা। এবার দেখা যাক, ৬ তাকবীরের সাথে ঈদের নামাযের প্রসঙ্গে হাদীসে মাওকুফ বা সাহাবায়ে কেরামের আমল কি ছিল?
أن إبن مسعود رضـ كان يكبر في العيدين تسعا اربع قبل القرأة ثم يكبر فيركع وفي الثانية يقرأ فاذا فرغ كبر اربعاً ثم ركع ـ
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযি.) থেকে ঈদের নামাযের নিয়ম প্রসঙ্গে বর্ণিত আছে যে, তিনি ঈদের নামাযে ৯টি তাকবীর বলতেন। ৪টি কেরাতের পূর্বে। অর্থাৎ তাকবীরে তাহরীমা সহ ৪টি। অত:পর কেরাত পড়ে তাকবীর বলে রুকু করতেন। দ্বিতীয় রাকাতে কেরাতের পর ৪টি তাকবীর বলতেন এবং চতুর্থ তাকবীরের সাথে রুকু করতেন (তিরমিজী শরীফ, ১/১২০ পৃ:; ই’লাউস সুনান, ৮/১০৬ পৃ:; তাহাবী শরীফ, রায়াহ, ২/৪০১ পৃ: মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, ৪/২১৬পৃ. নাসবুর রায়াহ, ২/২২২ পৃ.)।
আল্লামা হাফেজ ইবনে হাযম জাহেরী (রহ.) এ হাদীসটি উল্লেখ করে বলেন যে, এটি অতীব সঠিক এবং এটিই ইমাম আবু হানিফা রহ. এর অভিমত (আল-মুহাল্লা, ৫/৮৩ পৃ ।
অনুরূপ হাফেজে হাদীস আল্লামা ইবনে হাযার আসকালানী রহ. বলেন যে, এ হাদিসটি হাফেজ আব্দুর রাজ্জাক সহীহ সনদে বর্ননা করেছেন (আদদিরায়াহ, ১/ ১৭৩ পৃ ।
ছয় তাকবীরের সাথে ঈদের নামাযের এই নিয়মটি হযরত ইবনে মাসউদ ব্যতীত হযরত ওমর, হুযায়ফ, আবু মূসা আশয়ারী, আনাস, জাবির, আবু মাসউদ আনসারী, ইবনে আব্বাস ও আব্দুল্লাহ ইবনে জুবায়ের (রাযি.) প্রমুখ সাহাবায়ে কেরাম থেকেও বর্ণিত আছে (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, ৪/২১৪-২১৯ পৃ:; তাহাবী শরীফ, ২/৪০০ পৃ ।
সার কথা উপরের বর্ণনা দ্বারা স্পষ্ট বুঝা গেল যে, ঈদের নামায তাকবীরাতে জাওয়ায়েদে ছিত্তা অর্থাৎ অতিরিক্ত ছয় তাকবীরের সাথে আদায় করা নির্ভরযোগ্য ও সহীহ হাদীস সম্মত এবং অনেক সাহাবায়ে কেরামের স্বতঃসিদ্ধ আমলও তা। সুতরাং ঈদের নামাযের প্রচলিত নিয়ম অর্থাৎ ছয় তাকবীরে আদায় করাকে হাদীসের পরিপন্থী বা বিদআত বলার কোন অবকাশ নেই।
পূর্বেও বলা হয়েছে যে,সাহাবাদের আমল সহীহ হাদীসের বিপরীত না হলে তা নির্দ্বিধায় গ্রহণযোগ্য। বিশেষ করে খোলাফায়ে রাশেদ হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব রাযি. ও হযরত ইবনে মাসউদ রাযি. এর মত হাদীস বিশেষজ্ঞ সাহাবীদের আমল হলে তা দলীল হওয়াতে মোটেই দ্বিধা সংশয় না হওয়া চাই। বলা যেতে পারে যে, এখানে হাদীস সাহাবাদের আমল ১২ তাকবীরের পরিপন্থী? তার উত্তরে বলবো যে,সেই হাদীস গুলো দূর্বল প্রকৃতির। আর দূর্বল হাদীস গ্রহণযোগ্য নয়। আল্লামা হাফেজ ইবনে হাযম যাহেরী বলেন, ১২ তাকবীরের হাদীসগুলো মোটেই গ্রহণযোগ্য নয় (আল মুহাল্লা, ৫/৮৪)।
অনুরূপ হাফিজে হাদীস ইমাম তাহাবী রহ. তাহাবী শরীফের ২/৩৯৯ পৃষ্ঠায় বলেন যে, বিরুদ্ধপক্ষের হাদীস অর্থাৎ ১২ তাকবীরের হাদীস গুলো যয়ীফ হওয়ার কারণে অপ্রমাণযোগ্য। একথার বাস্তব প্রমাণ হিসেবে নিুম্নে ১২ তাকবীরের সমর্থনকারীদের উপস্থাপিত কিছু হাদীসের তাহকীক পেশ করছি। যে হাদীসগুলি তারা সরলমনা মুসলমানদের কে ধোকা দেওয়ার অপমানসে লিফলেট আকারে প্রকাশ করে চ্যালেঞ্জ ঘোষণা করছে।
(খ) লিফলেটে প্রচারিত ১২ তাকবীরের হাদীসের তাহকীক:
১নং হাদীস: قال الشافعي سمعت سفيان بن عيينة يقول سمعت عطاء بن ابي رباح يقول سمعت عبد الله بن عباس يقول اشهد علي رسول الله صلي الله عليه وسلم انه كبر في صلاة العيدين في الاولي سبعا سوي تكبيرة الاحرام وفي الثانية خمسا سوي تكبيرة القيام ـ
হাদীসটি উল্লেখ করে বলা হয়েছে এ হাদীসের সনদ অধিক ছহীহ এবং রাবীগণ অধিক নির্ভরযোগ্য এবং অধিক প্রতিষ্ঠিত শব্দে বর্ণিত কেননা এ হাদীস সামিতু (আমি নিজে শুনেছি) শব্দ দ্বারা এসেছে। (কিতাবুল উম্ম ১ম খন্ড ২৩৬ পৃ
তাহকীক: অত্যন্ত দু:খ জনক বিষয় হল এখানে কিতাবুল উম্ম এর উদ্ধৃতি উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ উল্লিখিত সনদের কোন হাদীস কিতাবুল উমে নেই। শুধু তাই নয় ছহীহ হাদীসের যত কিতাব রয়েছে কোন একটি কিতাবে এমন সনদে বর্ণিত হাদীস দেখাতে পারবেন না। কিতাবুল উমের উদ্বৃতি দিয়ে মাওলানা সাহেব সাধারণ মানুষকে ধোকা দেয়ার চেষ্টা করেছেন। কিতাবুল উমে ঈদের তাকবীর সংক্রান্ত যে সকল হাদীস উল্লেখ করা হয়েছে তার কোন একটি হাদীস আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত নয়।
দ্বিতীয়ত: সনদের দিকে দেখলেও বুঝে আসে যে, সনদটি সম্পূর্ণ বানানো। কারণ সুফিয়ান বিন উয়াইনা আতা বিন আবি রাবাহ এর ছাত্র নন। রিজাল শাস্ত্রের কোন কিতাবে ছাত্র হিসেবে উল্লেখ করেননি। আর ছাত্র হওয়ার সম্ভাবনাও খুব কম। কারণ সুফিয়ান বিন উয়াইনার জন্ম ১০৭ আর আতা বিন আবি রাবাহ এর মৃত্যু ১১৪ হিজরী। অতএব এত অল্প সময়ে মক্কার এক উস্তাদের কুফি এক ব্যক্তি ছাত্র হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম।
২নং হাদীস:عن كثير بن عبد الله عن ابيه عن جده أن النبي صلي الله عليه وسلم كبر في العيدين في الاولي سبعاً قبل
القرأة وفي الاخرة خمساً قبل القرأة ـ
ঈদের নামাযের তাকবীরে জাওয়ায়েদ ১২টি হওয়ার পক্ষে বর্ণিত হাদীসকেই মূল হাদীস হিসেবে পেশ করা হয়। তবে হাদীসটির সনদ অত্যন্ত দূর্বল বা যয়ীফ। কারণ সনদে এক রাবী হলেন কাসীর বিন আব্দুল্লাহ তার সম্পর্কে ইমাম শাফেয়ী রহ. বলেন, هو ركن من اركان الكذب অর্থাৎ কাসীর বিন আব্দুল্লাহ মিথ্যুকদের অন্যতম। ইবনে হিব্বান বলেন يروي عن ابيه عن جده نسخة موضوعة لا يحل ذكره في الكتب অর্থাৎ কাসীর বিন আব্দুল্লাহ তার পিতা এবং তার পিতা তার দাদা থেকে যে সনদ বর্ননা করে এটি একটি মওজু তথা বানাওয়াট সনদ। এমন সনদ কোন হাদীসের কিতাবে উল্লেখ করা অনুচিৎ (তোহফাতুল আহওয়াজী, ৩/৬৫ পৃ:; তাওযীহুল আফকার, ১/১৬৯ ইমাম বুখারী রহ. বালেন, منكر الحديث অর্থাৎ কাসীর বিন আব্দুল্লাহ এর হাদীস অপ্রমাণযোগ্য। ইমাম নাসায়ী বলেন متروك অর্থাৎ পরিত্যক্ত (তাহযীবুত তাহযীব, ৮/৪১৭; আল-কামেল ফিজ-জোয়াফা, ৭/২০০ পৃ ।
উল্লিখিত হাদীসটি সম্পর্কে ইমাম তিরমিজী বলেন, আমি হাদীসটি সম্পর্কে ইমাম বুখারীর রহ. কাছে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, এটাই ঈদের তাকবীর সম্পর্কে সর্বোচ্চ সহীহ হাদীস (তোহফাতুল আহওয়াযী, ৩/৬৬ পৃ ।
উপরের আলোচনাকে মিলালে সর্ব সাধারণের আর বুঝতে বাকী থাকবে না যে, একজন মিথ্যুক রাবীর হাদীস যদি সর্বোচ্চ হয়। তাহলে ১২ তাকবীর সংক্রান্ত বাকী হাদীসগুলির গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু?
৩, ৯ ও ১১ নং হাদীস: ৩নং হাদীসে হযরত আবু হুরাইরা রাযি. ৯নং হাদীসে হযরত আলী রাযি. ও ১১নং হাদীসে হযরত ইবনে আব্বাস রাযি. এর আমল বর্ণনা করা হয়েছে। আমরা ইতঃপূর্বে বার বার বলেছি, হাদীসে মাওকুফ তথা সাহাবাদের আমল দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য হওয়ার জন্য শর্ত হল হাদীসে মারফু সহীহর খেলাফ না হওয়া। আর বর্ণিত হাদীসগুলো ৬ তাকবীরের হাদীসে মারফু সহীহর খেলাফ। অতএব এমন হাদীসে মাওকুফ আমলযোগ্য নয়। এখানে এমন প্রশ্ন করা অবান্তর যে, বার তাকবীরের পক্ষেও তো হাদীস পাওয়া যায়। কারণ পূর্বের আলোচনা প্রমাণ করেছে যে, ১২ তাকবীরের সমস্ত হাদীস যয়ীফ হওয়ার কারণে অগ্রহণযোগ্য।
৪ নং হাদীস ঃ عن عمر بن الخطاب انه صلي العيد فكبر في الاولي سبعاً وفي الثانية خمساً يرفع يديه مع كل تكبير
ـ البيهقي ص ৩/৪১২
এখানেও মাওলানা সাহেব ওমর রাযি. এর আমল বয়ান করার ক্ষেত্রে বায়হাকী শরীফের উদ্বৃতি দিয়ে অসত্যের আশ্রয় নিয়েছেন। কারণ এমন হাদীস বায়হাকী শরীফে নেই (বায়হাকী শরীফ, ৫/৬৬-৭০ পৃ. দ্রষ্টব্য)
আর তাহাবী শরীফের একটি লম্বা হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ওমর রাযি. এর যুগে ঈদের নামাযে অতিরিক্ত তাকবীর ৬টি হওয়ার উপর ইজমা সংগঠিত হয়েছে (তাহাবী শরীফ, ১/২৮৬ পৃ.)।
৪নং হাদীসের জবাবে ঐ আলোচনা ও প্রযোজ্য হবে যা ৩নং হাদীসে বলা হয়েছে।
৫ ও ৮ নং হাদীস ঃ حدثنا ابو سعيد مولي بني هاشم حدثنا ابن لهيعة عن عقيل عن ابن شهاب عن عروة عن
عائشة ان رسول الله صلي الله عليه وسلم ……. الحديث .
হাদীসটি যয়ীফ, কারণ হাদীসটির সনদে একজন রাবী হলেন আব্দুল্লাহ বিন লাহীয়া। আর আব্দুল্লাহ বিন লাহীয়া সম্পর্কে অধিকাংশ মুহাদ্দিসীন বলেছেন তিনি যয়ীফ। ইমাম তিরমিজী রহ. বলেন لا يحتج به অর্থাৎ ইবনে লাহীয়ার হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করা যাবে না (তিরমিজী, ২য় খন্ড, কিতাবুল ইলাল, ২৩৫ পৃ.)।
ইমাম নাসায়ী বলেন, তিনি যয়ীফ (মিজানুল ইতিদাল, ৪/১৬৬ পৃ.)। আল্লামা শাওকানী বলেন, ইবনে লাহীয়া যয়ীফ (নাইলুল আওতার, ৩/৩১২ পৃ.)।
ইয়াহইয়া ইবনে মায়ীন বলেন, ইবনে লাহীয়া ـ ضعيف الحديث ـ হাদীস বর্ণনায় দুর্বল। তার হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করা যাবে না। আলী ইবনে মাদীনি বলেন, আমি ইয়াহইয়া বিন সাঈদকে বলতে শুনেছি আমাকে বিশির ইবনে ছারী বলেছেন-لو رأيت ابن لهيعة لم تحمل عنه حرفاً অর্থাৎ তুমি যদি ইবনে লাহীয়াকে দেখতে তার থেকে একটি হরফও গ্রহণ করতে না। ইয়াহইয়া বিন মায়ীনকে বলা হল যে, ইবনে লাহীয়ার কিতাব পুড়ে গিয়েছিল। ইয়াহইয়া জবাবে বলেন, সে কিতাব পোড়ার আগের থেকে যয়ীফ। ইমাম সা’দী বলেন, ইবনে লাহীয়ার হাদীস শিক্ষা করা, তার হাদীস থেকে দলীল পেশ করা, তার হাদীস হিসেবে গণনা করা কোনটাই ঠিক না (আল-কামেল ফিয-যোয়াফা ৫/২৩৭-২৩৯ পৃ.)।
৬ নং হাদীস ঃ حدثنا مسدد حدثنا المعتمر قال سمعت عبد الله بن عبد الرحمن الطائفي يحدث عن عمرو بن شعيب عن ابيه عن عبد الله بن عمرو بن العاص قال قال نبي الله صلي الله عليه وسلم التكبير في الفطر سبع ………….
ابو داؤد . ১/১৬৩
বর্ণিত হাদীসে এক রাবী পাওয়া যায়, আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহমান তায়েফী তিনি বিতর্কিত রাবী। ইয়াহইয়া ইবনে মায়ীন একবার বলেছেন صويلح আবার বলেছেন যয়ীফ। ইমাম বুখারী রহ. বলেন, فيه نظر অর্থাৎ তার ব্যাপারে সমস্যা আছে। ইমাম নাসায়ী বলেন সে মজবুত রাবী নয়। আলী ইবনে মাদীনি ও ইয়াহইয়া ইবনে মায়ীনের ন্যায় মত ব্যক্ত করেছেন (মিজানুল ই’তিদাল, ৪/১৩৪ পৃ.; তাহযীবুত তাহযীব, ৫/২৯৮ পৃ.; একমালু তাহযীবিল কামাল, ৮/৩৬; আল কামেল ফিয যোয়াফা, ৫/২৭৫ পৃ.)।
৭নং হাদীস ঃ
حدثنا عبد الله حدثني سريح بن يونس حدثنا محبوب بن محرز بياع القوارير عن ابرايهم بن عبد الله بن فروخ عن ابيه قال صليت خلف عثمان العيد فكبر سبعا و خمساً.
মুসনাদে আহমদের বর্ণিত হাদীসের টিকায় বলা হয়েছে, হাদীসটি নিতান্ত যয়ীফ, কারণ এর সনদে মাহবুব ইবনে মুহরিজ একজন রাবী রয়েছে যিনি যয়ীফ। তদরুপ আর এক রাবী হলেন ইব্রাহীম ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে ফররুখ তিনি মাজহুল। মাহবুব ইবনে মুহরিজ সম্পর্কে ইমাম দারা কুতনী বলেন, তিনি যয়ীফ (মিজানুল ই’তিদাল, ৬/২৮ পৃ ।
১০ নং হাদীস ঃ حدثنا عثمان بن احمد الدقاق حدثنا احمد بن علي الخزار حدثنا سعد بن عبد الحميد حدثنا فرج بن فضالة عن يحي بن سعيد عن نافع عن ابن عمر قال قال رسول الله صلي الله عليه وسلم التكبير في العيدين في
الركعة الاولي سبع تكبيرات وفي الأخرة خمس تكبيرات ـ
সুনানে দারা কুতনীর টিকায় বলা হয়েছে হাদীসটি যয়ীফ। কারণ ফরজ ইবনে ফুজালা ذاهب الحديث অর্থাৎ যয়ীফ। ইমাম বুখারী ও মুসলিম রহ. বলেন منكر الحديث ইমাম নাসায়ী বলেন যয়ীফ। ইবনে যারীন বলেছেন তিনি যয়ীফ। এছাড়া আরও অনেকে যয়ীফ বলেছেন (দারা কুতনী, ২/৩৮৮ পৃ; তাকরীবুত তাহযীব ২/৮ পৃ. তাহযীবুত তাহযীব, ৮/২৬০ পৃ.)।
১২ নং হাদীস ঃ حدثنا هشام بن عمار حدثنا عبد الرحمن بن سعد بن عمار بن سعد مؤذن رسول الله صلي الله عليه وسلم حدثني ابي عن ابيه عن جده ان رسول الله صلي الله عليه وسلم كبر في العيدين سبعاً في الاولي وخمسا في
الاخرة ـ
ইবনে মাজা শরীফের টিকায় বলা হয়েছে হাদীসটির সনদ যয়ীফ কারণ সনদে একজন রাবী হলেন আব্দুর রহমান বিন সামাদ তিনি যয়ীফ। ইয়াহইয়া ইবনে মায়ীন তাকে যয়ীফ বলেছেন (সুনানে ইবনে মাজা, ২/১০২ পৃ.; তাহযীবুত তাহযীব, ৬/১৮৩ পৃ.; তাহযীবুল কামাল, ৬/১৪৫ পৃ.; খুলাসাতু তাহযীবিল কামাল, ২/১৬৩ পৃ.)।
১৩ নং হাদীস ঃ عبد الرزاق عن ابي يحي عن جعفر بن محمد عن ابيه قال كان علي يكبر في الفطر والاضحي
والاستسقاء سبعا في الاولي ………… الحديث
হাদীসটি নিয়ে গবেষণা করলে দেখা যায় যে, মুহাদ্দিস মুহাম্মদ রহ. প্রথমে হযরত আলী রাযি. এর আমল বর্ণনা করেছেন এরপর রাসূলুল্লাহ (স.) সহ আরো কিছু সাহাবাদের আমল বর্ণনা করেছেন। অথচ মুহাদ্দিস মুহাম্মদ রহ. আলী রাযি. সহ হাদীসে বর্ণিত সাহাবাদের কাউকেও দেখেননি। ফলে সনদের মধ্যে এনকেতা পাওয়া গেছে। আর সনদে এনকেতা পাওয়া গেলে হাদীস মুনকাতে হয়। মুনকাতে হাদীস যয়ীফ এবং অপ্রমাণযোগ্য হয়।
৬ তাকবীরের হাদীসের গ্রহণযোগ্য হওয়ার জন্য আরোপিত শর্তের জবাবঃ
১. লিফলেটে বলা হয়েছে, যে সকল হাদীসের সনদে হাদীস শাস্ত্রের ইমাদের কোন একজন আপত্তিজনক মন্তব্য করেছেন এমন কোন হাদীস দয়া করে পাঠাবেন না। এর জবাবে বলবো উপরের আলোচনার দ্বারা সর্ব সাধারণের কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, তারা ১২ তাকবীরের পক্ষে যতগুলি হাদীস পেশ করেছে প্রত্যেকটি হাদীসের সনদে ইমামুল হাদীসগণ শুধু আপত্তি করেছেন তাই নয় বরং প্রত্যেকটি হাদীস যয়ীফ ও অপ্রমাণযোগ্য প্রমাণিত হয়েছে। অতএব ৬ তাকবীরের হাদীসের জন্য এমন শর্ত আরোপ করার যৌক্তিকতা কি?
২. কোন সাহাবীর আমল ছয় তাকবীরের ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য হবে না বলা হয়েছে। অথচ তারা ১২ তাকবীরের পক্ষে ১৩টি হাদীস পেশ করেছে তার মধ্যে ৬টি হাদীস সাহাবাদের আমল সম্বলিত।
৩. তাকবীরাতে ঈদাইন অর্থাৎ ঈদের নামাযের অতিরিক্ত ৬ তাকবীর প্রমাণিত হওয়ার জন্য হাদীসে সরাসরি ৬ শব্দটি উল্লেখ থাকতে হবে এমন কথা বলা, আমি মনে করি নির্বুদ্ধিতার প্রমাণ। কারণ অনেক হাদীসে দেখা যায় শরীয়তের কোন একটি বিধান বর্ণনা করতে গিয়ে একটি সংখ্যা বলা হয়েছে অথচ ঐ বিধানের ক্ষেত্রে ঐ সংখ্যাই নির্ধারণ করা হয় না। যেমন বিতিরের নামাযের রাকাতের ব্যাপারে হাদীসে ১৩, ১৫, ১৭ পর্যন্ত সংখ্যা পাওয়া যায় অথচ বিতিরের নামাজ ১৩, ১৫, বা ১৭ রাকাত এমন কেহ বলেননি (তিরমিজী শরীফ ১/১০৩ পৃ.) ।
অতএব বুঝা গেল ঈদের তাকবীর ৬টি প্রমাণ হওয়ার জন্য ৬ শব্দ হাদীসে সরাসরি উল্লেখ পেতে চাওয়া অবান্তর। ৮ বা ৯ সংখ্যা দ্বারাও ৬ তাকবীর প্রমাণ হতে পারে। ৮ থেকে যে ২ বিয়োগ হলে ৬ হয় এ অংক যারা বুঝে না তাদের সাথে কিসের আলোচনা।
ইবনে মাসউদ রাযি. এর হাদীসের উপর আপত্তির জবাব:
লিফলেটে বলা হয়েছ হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ (রাযি.) এর হাদীস কে যদি দলীল হিসেবে গ্রহণ করা হয় তাহলে সুরা নাস ও ফালাককে কুরআন শরীফ থেকে বাদ দিতে হবে, কারণ এ দ’ুটি সুরাকে ইবনে মাসউদ রাযি. কুরআনের অংশ মনে করেন না। এক্ষেত্রে তাফসীরে ইবনে কাসীর ও তাফসীরে রুহুল মাআনী সহ কয়েকটি তাফসীরের কিতাবের উদ্বৃতি পেশ করা হয়েছে। প্রথমত: আমরা পূর্বেই বলেছি সাহাবাদের উক্তি যদি হাদীসে মারফুর বিপরীত না হয় তখন দলীল হিসেবে গ্রহণ করা হবে। অতএব এক্ষেত্রে যেহেতু ইবনে মাসউদ রাযি. এর উক্তি ইজমায়ে সাহাবার বিপরীত অতএব সূরা নাস ও ফালাক কুরআনের অংশ হওয়ার ব্যাপারে ইবনে মাসউদ (রাযি.) এর মত দলীল হওয়ার প্রশ্নই আসে না। দ্বিতীয়ত: মাওলানা সাহেব স্বার্থ হাসীলের জন্য শুধু لا تقربوا الصلاة ই দেখেছেন وأنتم سكري আর দেখেননি। অর্থাৎ তিনি শুধু তাফসীরে ইবনে কাসীর ও তাফসীরে রুহুল মাআনীতে এটাই দেখেছেন যে, ইবনে মাসউদ (রাযি.) সূরা নাস ও ফালাককে কুরআনের অংশ মনে করেন না। তিনি ইহা আর দেখলেন না যে, তার পরে বলা হয়েছে ইবনে মাসউদ রাযি. এর নিকট সহীহ সনদে প্রথমে সূরা নাস ও ফালাক না পৌঁছার কারণে এমন উক্তি ব্যক্ত করেছেন। অতএব যখন সহীহ সনদে জানতে পারলেন যে, সুরা নাস ও ফালাক ও কুরআনের অংশ তখন প্রথম উক্তি থেকে ফিরে এসে জমহুরে সাহাবাদের মত গ্রহণ করেছেন। অতএব এখন আর কোন সংশয় বাকী রইল না (তাফসীরে ইবনে কাসীর, ৪/৭৪৪ পৃ:; তাফসীরে রুহুল মাআনী, ১৫/৬৫৩ পৃ ।
হানাফী ইমাম ও অন্যান্য আলিমদের আমলের জবাব:
* লিফলেটে বলা হয়েছে ইমাম আবু ইউসুফ ও ইমাম মুহাম্মদ রহ. বার তাকবীরের সাথে আমল করেছেন। এর জবাবে আমরা বলবো মাওলানা সাহেব এক্ষেত্রেও সর্ব সাধারণ কে বোকা বানানোর চেষ্টা করেছেন। তার কারণ তিনি এক্ষেত্রে বাদায়িউস সানায়ে, রদ্দুল মুখতার, দুররুল মুখতার ও শামীর হাওয়ালা দিয়েছেন। এখন আমরা মাওলানা সাহেবের কাছে প্রশ্ন করতে চাই, আপনি যেই রদ্দুল মুখতার, দুররুল মুখতার ও শামীর উদ্বৃতি দিয়েছেন সেখানে কি এ কথা উল্লেখ নেই যে, وبه اخذ ائمتنا الثلاثة অর্থাৎ ঈদের নামাযে অতিরিক্ত তাকবীর ৬টি, এটা ইমাম আবু হানিফা, আবু ইউসূফ ও মুহাম্মদ রহ. এর যৌথ মত। এর পরে বলা হয়েছে ففعلا ذلك امتثالا له لا مذهباً অর্থাৎ ইমাম আবু ইউসুফ ও ইমাম মুহাম্মদ রহ. এর ১২ তাকবীরের উপর আমল মাযহাব হিসেবে নয়, কেবল নির্দেশ পালনার্থে। এর পর বলা হয়েছে وعن أبي يوسف أنه رجع إلي ذلك অর্থাৎ ইমাম আবু ইউসূফ উক্ত আমল থেকে ফিরে এসে ৬ তাকবীরের আমল গ্রহণ করেছেন (রদ্দুল মুখতার, দুররুল মুখতার ও শামী ৩/৫৩-৫৪ পৃ।
* অতএব এক্ষেত্রে ইমাম আবু ইউসূফ ও ইমাম মুহাম্মদ রহ. এর আমল দ্বারা দলীল পেশ করার কোন অবকাশ নেই। কারণ এটা তাদের চিরাচরিত আমল বা মত ছিল না। তারা আজীবন ৬ তাকবীরের সাথেই আমল করেছেন এবং উক্তি পেশ করেছেন।
* হুজ্জাতুল্লাহিল বালেগা ও আত্তালিকুল মুমাজ্জাদ কিতাবের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে যে, শাহ ওয়ালি উল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী ও আব্দুল হাই লক্ষেèৗভী রহ. ১২ তাকবীরে পক্ষে মত পোষণ করেছেন। এর জবাবে বলতে চাই যে ক্ষেত্রে লাখো হানাফী আলেম ৬ তাকবীরের সাথে রায় ব্যক্ত করেছেন, সেক্ষেত্রে দু’এক জন হানাফী আলিম ১২ তাকবীরের সাথে রায় পেশ করলেই কি লাখো হানাফী ওলামা কেরামের রায় কে পরিত্যাগ করতে হবে? দু’এক মাসআলায় এরকম দু’এক জনের মতবিরোধ থাকতেই পারে। আসল কথা হলো সহীহ দলীল প্রমাণে যেটাই প্রমাণিত হবে সেটাই সকলে গ্রহণ করতে বাধ্য। ৬ তাকবীরের হাদীস যেহেতু অধিকতর সহীহ প্রমাণিত হল তাই সকল হানাফী ওলামা কেরাম সেটা গ্রহণ করেছেন।
* ইমাম নববী ও আল্লামা ইবনে আব্দুল বার রহ. এর উক্তি দ্বারা দলীল পেশ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বলবো তারা যখন ভিন্ন মাযহাব অবলম্বী তাই তারা ১২ তাকবীরের পক্ষে উক্তি ব্যক্ত করতেই পারেন কারণ তাদের মাযহাবে এই আমল চালু আছে। অতএব তাদের উক্তি ৬ তাকবীরের বিরুদ্ধে দলীল হওয়ার কোন যৌক্তিকতা নেই।
সার কথা: সুদীর্ঘ আলোচনার দ্বারা এটাই প্রতীয়মান হয় যে, ৬ তাকবীরের সাথে ঈদের নামায আদায় করা সম্পূর্ণ হাদীস মোতাবেক ও সহীহ। এটাকে হাদীস পরিপন্থী বা বিদআত বলার কোন অবকাশ নেই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন