Translate

রবিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৪

বিশ্ব এজতেমাকে হজ্বের সাথে তুলনা অতিরঞ্জিত ও বাডাবাডি

১৯৬৭ সাল থেকে এ যাবত পর্যন্ত স্থায়ীভাবে বিশ্ব ইজতেমা নামে প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন মানুষের অংশ গ্রহণের মাধ্যমে তুরাগ নদীর উত্তর-পূর্ব তীরে রাজউকের প্রায় ১৬০ একর (এখন প্রায় ১৭৫ একর) বিশাল ভুমির উপরে সামিয়ানা টাঙ্গিয়ে নিয়মিতভাবে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশ সরকার উল্লেখিত জায়গায় বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবার লিখিত অনুমতি প্রদান করেন। বিভিন্ন পত্রিকা/ পরিসংখ্যানের হিসাবে দুই পর্ব মিলিয়ে প্রায় ষাট থেকে সত্তর লাখ মানুষ এতে অংশ গ্রহন করেন। এবং প্রায় ১০০টিরও বেশী দেশের প্রায় অর্ধ লক্ষ বিদেশি মেহমান এতে অংশ গ্রহন করেন। বিশ্বব্যপী দ্বীন প্রচারে তাবলীগি জামাত বিরাট ভূমিকা পালন করেন এতে কোন সন্দেহ নেই ৷ তবে যে কাজ যতটুকু ঠিক ততটুকুই মর্যাদা বা গুরুত্ব দেয়া চাই  এর চেয়ে বেশী নয় ৷ইসলাম অতিরঞ্জনে বিশ্বাসী নয় , যেমন খৃষ্টানরা হযরত ঈসা আঃ কে অতি ভক্তি ও শ্রদ্বা করতে গিয়ে খোদার আসনে বসিয়েছে ,ইহুদীরা ওযাইর আঃ কে খোদার পুত্র ও শিয়ারা আলী রাঃ কে নবীর আসনে ও নামধারী রসুল প্রেমীকরা রসুল সাঃকে  নিয়ে কত কি করছে এগুলো অতি রঞ্জিত ৷ঠিক তেমনি ভাবে তাবলীগ বা বিশ্ব এজতেমাকে   হজ্বের সাথে তুলনা ওঅতিরঞ্জিত ৷ 
কারন  হজ্ব হল ইসলামের ৫ রুকুনের একটি, কোরান হাদিস দারা  স্বীকৃত ,যা  ছাডা  ঈমান /ইসলাম পরিপূর্ন নয় ৷  স্বামর্থবানদের জন্য ফরজ এবং গুনাহ মাফের গ্যারান্টি আর আস্বীকার করা কুফরী , আর তাবলীগ কোরান-সুন্নাহ দ্বারা স্বীকৃত হলে ও   বিশ্ব এজতেমা    কোরান হাদীস দারা স্বীকৃত  নয় এটি  হল একটি বিশ্ব ইসলামী মহা সন্মেলন মাত্র , ,যা  ছাডাও ঈমান/ইসলাম পরিপূর্ন ৷সামর্থবানদের হজ্বে যাওয়া ফরজ হলেও বিশ্ব এজতেমা ফরজ নয় , বা গুনাহ মাফের ওগ্যারান্টি নেই ৷ লোক সমাগমের দিকদিয়ে কাছাকাছি হলেও হজ্বের সাথে কোন দিক দিয়েই তুলনাই করা যায়না ৷ যদি ও মাঝে মধ্যে কিছু মূর্খ লোকেরা জোশের ঠেলায় বিশ্ব এজতেমাকে হজ্বের সাথে তুলনা করে বসে  তবে কিসের বৃত্তিতে করে তা বোধগম্য নয়  এমন কি এহরাম সাদৃশ্য সাদা কাপড ও পরেন বলে শুনা যায় ,  যা কিনা বিভিন্ন  মিডিয়ার  মাধ্যমে সামনে আসে , তবে সরাসরী কাউকে এমন মনতব্য করতে শুনি নাই ৷ এমন পরিস্হিতীতে তাবলীগ বিরোধীরা অপ প্রচারের একটা সূযোগ পেয়ে যায় ৷এ জন্য সাথীদের বা দ্বীনের দাঈীদের আরও সতর্ক হওয়া উচিত ৷জোশের বসে বেহুশ যেন হয়ে না যাই ৷ হজ্বের সাথে বিশ্ব এজতেমাকে তুলনা করা অনর্থক ,মুর্খতা, অতিরঞ্জিত৷ কেউ করে থাকলে সে বোকার স্বর্গে বাস করে বলে প্রতিয়মান হবে ৷এটা সত্য যে সমগ্র বিশ্বে মুসলিমদের সর্ব বৃহৎ জমায়েতের মধ্যে ২য় বৃহত্তম জমায়েত হল টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে  বিশ্ব এজতেমা লোক সমাগমের হিসাবে তবে ছাওয়াব বা গুরুত্বের দিক দিয়ে নয় ৷

শনিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৪

বিডাল হত্যায় অনুতপ্ত হয়ে ভ্রমন স্হগিত

আমরা তিন সাথী সাপ্তাহীক ছুটির দিনে আনন্দ ভ্রমনে বের হলাম, একটু পার্কে যাবো , ভাল-মন্দ কিছু খাওয়া-দাওয়া সেরেই আবার নিজ বাসায় ফিরবো , এমনি প্রায় সময় করে থাকি , কারন সারাক্ষন পরের চাকুরী করে নিজের মত করে কিছু করার সেই সুযোগ থাকেনা  ৷ তার পরও একটু সময় ফেলে মনটা ফ্রেশ করার জন্য কয়েক ঘন্টার জন্য রাত্রে বের হয়ে পডি ৷ তেমনি একটি প্রোগামে গত ১৫ আক্টোবর 2014 ,22 জিলহজ্ব 1435 বৃহসপ্রতিবার রাত সাডে এগারটায় বের হলাম , মক্কা শহরে ৷  সাথে এক সৌদি নাগরীক কে সাথে নিয়েই আমরা তিন জন ৷মাত্র ৫ মিনিটের মাথায় তা পুন্ড হয়ে যায় ৷ 

কারন আমাদের গাডীটা তখন খুব আস্তে আস্তে রাস্তা অতিক্রম করছিল ঠিক এমন সময় একটি বিডাল অবুজ প্রানী , আমাদের অজান্তে সকলের চোখ কে ফাঁকি দিয়ে খুব দ্রত বেগে রাস্তা অতিক্রম করার সময় আমাদের গাডীতে পিষ্ট হয়ে যায় ৷

তাডাতাডি গাডী ব্রেক করে আমরা নেমে পডলাম , বিডালটাকে বাঁচানোর চেষ্টা করলাম , পানি ঢাললাম মাথায় , অনেক চেষ্টা করে ও সফল হয়নি হায়! ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস , চোখের সামনে নিজের হাতে একটা বিডাল কে মরতে দেখে নিজেদের কে খুব বড অপরাধী মনে হল যদি ও অনিচ্ছাকৃত ঘটনা ৷আল্লাহই ক্ষমাসীল ৷

অতঃপর আমাদের আনন্দ ভ্রমন আর হলনা ,  ভারাক্রান্ত  হ্রদয় নিয়েই প্রোগ্রাম স্হগীত  করলাম ৷ বাধ্য হলাম নিজেদের অনন্দকে কোরবান করতে কেননা ঐটাওতো একটা জীবন ! জীব হত্যা করে কেউ কি আনন্দ উল্লাস করতে পারে ?

পরদিন আল্লাহর রাস্তায় কিছু ছদকা করলাম ঐ অনিচ্ছাকৃত ক্রুটির জন্য, আল্লাহই ক্ষমাশীল ৷আমি/আমরা সকলেই অনুতপ্ত ৷