Translate

রবিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

হাডের ক্ষয়রোধে করনীয় ও খাদ্য

প্রতিদিন যে খাবারগুলো হাড় ক্ষয় প্রতিরোধে করবে

সুত্র ঃ-  সময়ের কণ্ঠস্বর-JAR-T-2017

স্বাস্থ্য ডেস্কঃ হাড় ক্ষয়ের সমস্যা আজকাল সবার মুখে শুনা যায়। এর ফলে হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে এবং অনেক ক্ষেত্রে ভেঙে যায়। সাধারণত ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার, ভিটামিন ডি এর অভাবে এ রোগ হয়। সাধারণত চল্লিশের পর অস্টিওপরোসিস বা হাড় ক্ষয়রোগ শুরু হয়। এই রোগের নারীদের বেশি ভুগতে দেখা যায়। নারীদের মেনোপজের পর এই সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ অবস্থায় হাড় দুর্বল ও ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। হাড় শক্তিশালী বা মজবুত হলে অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধ করা যায়।

হাড়ের ভেতরের ঘনত্ব বাড়া-কমা একটি চলমান প্রক্রিয়া। ১৬-১৮ বছর বয়সের দিকে হাড়ের দৈঘ্য বৃদ্ধি হওয়া বন্ধ হয়ে যায়, কিন্তু ২০ বছর বয়স পর্যন্ত হাড়ের ভেতরের ঘনত্ব ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। ৩৫ বছর বয়স পর্যন্ত হাড়ের গঠন ও ক্ষয় একসঙ্গে একই গতিতে চলতে থাকে। ৪০ বছর বয়সের পর থেকে প্রাকৃতিক নিয়মে বয়স বাড়ার সাথে সাথে হাড় ক্ষয়ের মাত্রা একটু একটু করে বাড়তে থাকে। তাই নির্দিষ্ট বয়সে হাড়ের ক্ষয় একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। হাড়ের এই ক্ষয় বাড়তে বাড়তে হাড় যখন নরম ও ভঙ্গুর হয়ে যায় সেই অবস্থাকে অস্টিওপোরোসিস বলা হয়।

জীবনধারাবিষয়ক বোল্ডস্কাইয়ের স্বাস্থ্য বিভাগে জানানো হয়েছে হাড় ক্ষয় প্রতিরোধে খাবারগুলোর কথাঃ

১. দই

দই ভিটামিন-ডি’র ভালো উৎস। প্রতিদিন এক কাপ দই শরীরের ক্যালসিয়ামের চাহিদার অনেকটাই পূরণ করে; হাড়কে শক্তিশালী করে। নিয়মিত দই খেলে অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধ হয়।

২. দুধ

ক্যালসিয়ামের একটি চমৎকার উৎস দুধ। নিয়মিত দুধ খেলে হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়ার আশঙ্কা কমে। দুধ খেলে শরীরে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিনের চাহিদার অনেকটাই পূরণ হয়।

৩. কাঠবাদাম

প্রতিদিন আধা কাপ কাঠবাদাম খেলে দৈনিক ক্যালসিয়ামের ১৮ ভাগ পূরণ করে। এটি কেবল হাড় মজবুতই করে না, এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং হার্টকে ভালোও রাখে।

">৪. ব্রকলি

ব্রকলির মধ্যে উচ্চ পরিমাণ ভিটামিন-কে ও ক্যালসিয়াম রয়েছে। এটি হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ব্রকলি রাখলে হাড় ক্ষয় প্রতিরোধ করা যায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

৫. কমলার রস

কমলার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন-সি। এতে হাড় শক্তিশালী করার উপাদান ক্যালসিয়ামও রয়েছে। এটি হাড়ের গঠনে কাজ করে। দৈনিক ক্যালসিয়ামের চাহিদার ৬ ভাগ পূরণ করতে পারে একটি কমলা।

এছাড়াও আরও কিছু টিপসঃ

_ ধূমপানের ফলে হাড়ের ক্ষয় বাড়তে থাকে এবং এরজন্য হাড়ের ভঙ্গুরতা বৃদ্ধি পায়। যারা নিয়মিত ধূমপান ও মদ্যপান করেন তাদের দেহ খাবারের পুষ্টি সঠিকভাবে দেহে সরবরাহ করতে পারে না। ফলে হাড় ক্ষয় হতে থাকে। তাই সুস্থ দেহ ও হাড়ের জন্য ধূমপান ও মদ্যপান বন্ধ করে দিন আজই।

– যারা একটানা বসার কাজ করেন তাদের দেহের হাড়ের ভঙ্গুরতা বৃদ্ধি পায় অন্যান্যদের তুলনায় অনেক বেশি। যারা একেবারেই শারীরিক পরিশ্রম করেন না তাদের হাড় অপেক্ষাকৃত নরম ও দুর্বল হয়ে পড়ে দ্রুতই। শারীরিক ব্যায়াম, খেলাধুলা, নাচ, সাইকেল চালানো, সাতার কাটা ইত্যাদি বেশ ভালো শারীরিক পরিশ্রম যা হাড়কে মজবুত করে তোলে এবং হাড়ের ক্ষয়রোধে সহায়তা করে।

– হাড়ের ক্ষয় রোধে খেজুর বেশ কার্যকরী। কেননা খেজুর ক্যালসিয়াম ম্যাঙ্গানিজের দারুন উৎস। আর কপার ও ম্যাগনেসিয়াম হাড়ের জন্য উপকারী।
মানসিক চাপের সাথে হাড়ের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। মানসিক চাপে থাকলে আমাদের দেহে নিঃসরণ হয় কারটিসোল নামক একটি হরমোনের যা হাড়ের ক্ষয়ের জন্য বিশেষভাবে দায়ী। তাই মানসিক চাপ যতো দূরে রাখবেন আপনার জন্য ততই ভালো হবে।

Categories: আপনার স্বাস্থ্য

কপি পোস্ট 


http://351224351224.blogspot.com/2018/06/blog-post_17.html?m=1



চলবে ----

চুনের অভাক করা কিছু গুনাগুন

চুনের অভাক করা কিছু গুন

চুনের উপকারিতা যা হয়তো অনেকের ই অজানা 
চুন উচ্চতা বাড়াতে প্রচুর সাহায্য করে ।যেসব বাচ্চাদের উচ্চতা বাড়ছে না ,বা বুদ্ধি সঠিক ভাবে বাড়ে নি তাদের জন্য চুন মহা ওষুধ ।রোজ  একটা গমের দানার সমান চুন এক কাপ দই ,বা ডাল বা শুধু জলে গুলে খেলে দারুন উপকার হয় মন্দ বুদ্ধি সম্পন্ন শিশুদের জন্য চুন অমৃত ।২-৩ বছর লাগাতার উপরের নিয়ম অনুযায়ী চুন খাওয়ালে বুদ্ধির অনেক বৃদ্ধি হয় ।

মহিলাদের জন্য চুনের উপকার  
বা
যে সব মহিলাদের মাসিক ধর্মের সমস্যা হয় ।সময়ের আগে বা পরে হয় ।যন্ত্রনা হয় বা রক্তের পরিমান প্রচুর হয় ।তাদের জন্য চুন হলো রামবান ।গমের দানার সমান চুন ডাল ,দই বা জলে গুলে খেলে কোনো ওষুধের দরকার হয় না ।রোগ ও ঠিক হয়ে যায় ।

যে কোনো ব্যাথার জন্য চুন  

হাড়ে ক্র্যাক হয়ে গেলে তাকে জোড়ার সবথেকে বেশী শক্তি চুনের মধ্যেই আছে ।হাঁটুতে ব্যাথা ,কোমরে ব্যাথা ,পিঠে ব্যাথা ও হাড ক্ষয় সহ যে কোনো ক্ষেত্রে ব্যাথা  নিবারণ কারী ওষুধ হলো চুন ।   তবে ১ ফোটা চুনের পানি ১ কাপ গরম পানিতে মিশিয়ে সেবন করতে হবে।

দাঁতের উপকারি চুন 
যে সব শিশুরা খুব বেশি চকলেট খায় তাদের দাঁতে পোকা ও লেগে যায় ।নিয়মিত চুন খাওয়ালে  বাচ্চাদের দাঁতে পোকা লাগে না ।যাদের ঠান্ডা বা গরম পানীয় খেলে দাঁত শিরশির করে তারা চুন খেলে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় ।দাঁত কমজোর থাকলে  দাঁত নড়লে চুন খেতে হয় ।দাঁতের সব সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় ।

টিউমার-
যে কোন টিউমারের জন্য ১ ফোটা চুন পানি বা ১ চাউল সমান চুন ১ কাপ পানিতে মিশিয়ে সেবন, রাতে, ভরা পেটে।নিয়মিত।

গবাদি পশুর দুগ্ধ বৃদ্ধিতে চুন 

গরু বা মোষ কে প্রতিদিন চুন  খাওয়াতে হয় ।একটা গমের দানার সমান ৩-৪ টা টুকরো 
বড়াবড় চুন প্রতিদিন খাবার জলে মিশিয়ে খেতে দিলে গবাদি পশুর দুধ প্রচুর বেড়ে যায় ।যদি গবাদি পশু গর্ভ ধারণ না করতে পারে বা গর্ভ পাত হয় তাতেও চুন সাহায্য় করে ।কারণ চুন বন্ধাত্ব প্রতিরোধে সাহায্য করে ।

মহিলাদের গর্ভপাত নিবারণে চুন 

মহিলাদের সব report ঠিক থাকলেও অনেক সময় তারা মা হতে পারেন না ,বা বার বার গর্ভ পাত হয়ে যায় ।এই সব মায়েদের নিয়মিত চুন খাওয়া দরকার একটা গমের সমান ।গর্ববতী মায়েদের এক কাপ বেদনার রসের সাথে একদানা চুন মিশিয়ে খাওয়াতে হয় ।বেদনার মধ্যে সবথেকে বেশি আয়রন থাকে চুন এ থাকে সথেকে বেশি ক্যালসিয়াম যেগুলো গর্ভবতী মায়ের জন্য প্রয়োজন ।৯ মাস পর্যন্ত এ টা খাওয়ালে বাচ্চা জন্মের সময় মা ও বাচ্চার  কোনো অসুবিধা হবে না ।বাচ্চা স্বাস্থবান হবে আর বাচ্চা বুদ্ধিমান হবে ।বাচ্চার I Q লেভেল খুব বেশি হবে ।এই সব বাচ্চারা জীবনেও মারাত্মক রোগের সম্মুখীন হবে না ।

                               সব থেকে সস্তা গুনে ভরা এমন একটা জিনিস আমরা প্রত্যেকে ব্যবহার করতে পারি ।পানের দোকানে যে চুন বিক্রি হয় সেই চুন থেকেই এতো গুন্ পাওয়া যায় তবে পাথরী চুন যেন হয় । 

কপিকৃত 

সৌজন্যে
প্রাকৃতিক চিকিৎসা নিতে আমাদের ভূবনে স্বাগতম
00966504967863 ওয়াতসাফ/ইমু

বৃহস্পতিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

জতীয় সংসদে পাশকৃত কওমী সনদ স্বীকৃতি বিল হুবহ

সংসদে পাস হওয়া কওমি মাদরাসা সনদের বিলে যা আছে
কওমি মাদরাসা সমূহের দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল)-এর সনদকে আল হাইআতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর অধীনে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) সমমান প্রদান বিল ২০১৮’ জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে।
আজ বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বিলটি পাসের প্রস্তাব উপস্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে বিলটি পাসের আগে জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
এর আগে জাতীয় সংসদের ২২তম অধিবেশনের দ্বিতীয় দিন (সোমবার) বিলটি উত্থাপন করেন শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ। বিলটি উত্থাপনের পর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
বিলটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, আলেমদের দাবি ও সব শর্ত মেনে দারুল উলুম দেওবন্দের মূলনীতি অনুসারে এ স্বীকৃতির প্রস্তাব করা হয়েছে। বাংলাদেশের বর্তমান কোনো আইন এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক হলে কওমি আইনই বলবৎ থাকবে বলেও বলা হয়েছে বিলের ৩ নং ধারায়।
সংসদে উত্থাপিত বিলটির হুবহু প্রকাশ করা হলো-
কওমি মাদরাসাসমূহের দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল)-এর সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি)-এর সমমান প্রদানসহ আনুষঙ্গিক বিষয়ে
বিধান করিবার নিমিত্ত আনীত বিল।
যেহেতু কওমি মাদরাসার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য ও স্বকীয়তা বজায় রাখিয়া দারুল উলুম দেওবন্দের মূলনীতিসমূহকে ভিত্তি ধরিয়া ‘আল-হাইআতুল উলয়া লিল জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর অধীন কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল)-এর সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি)-এর সমমান প্রদানসহ আনুষঙ্গিক বিষয়ে বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়।
সেহেতু এতদদ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল-
১। সংক্ষিপ্ত শিরােনাম, প্রবর্তন ও প্রয়ােগ। (১) এই আইন “আল-হাইআতুল উলয়া লিল জামি‘আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর অধীন কওমি মাদরাসাসমূহের দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল) এর সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি)-এর সমমান প্রদান আইন ২০১৮ নামে অভিহিত হইবে।
(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।
(৩) এই আইন সমগ্র বাংলাদেশে দারুল উলুম দেওবন্দের নীতি, আদর্শ ও নিসাব (পাঠ্যসূচি) অনুসরণে পরিচালিত কওমি মাদরাসাসমূহের দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল)-এর ক্ষেত্রে প্রয়ােজ্য হইবে।
২। সংজ্ঞা।— বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনাে কিছু না থাকিলে, এই আইনে
(১) “কওমি মাদরাসা” অর্থ আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা’আত ও দারুল উলুম দেওবন্দের অাদর্শ, মূলনীতি ও মত-পথের অনুসরণে মুসলিম জনসাধারণের আর্থিক সহায়তায় উলামায়ে কেরামের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত ইলমে ওহীর শিক্ষাকেন্দ্র।
(২) “কওমি মাদরাসার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য ও স্বকীয়তা” অর্থ:
(ক) ঈমান, তাকওয়া ও তাওয়াক্কালতু আলাল্লাহ (একমাত্র আল্লাহর উপর নিরংকুশ ভরসা) এবং সর্বাবস্থায় সকল ক্ষেত্রে আল্লাহ তাআলার রিযামন্দী ও সন্তুষ্টি অর্জনকে জীবনের পরম ব্রত ও লক্ষ্য স্থির করিয়া একমাত্র আল্লাহ তাআলার সত্ত্বার সহিত ভয় ও আশার সম্পর্ক স্থাপন এবং তাহাতে অবিচল থাকা।
(খ) মহানবি হযরত মুহাম্মদ সা. এর বাণী “আমি ও আমার সাহাবীগণ যে মত, পথের উপর প্রতিষ্ঠিত)” এর আলোকে আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামা’আত এর মতাদর্শ অনুসরণে আম্বিয়া আলাইহিমুস সালামের মাসুম (নিষ্পাপ) হওয়ার বিশ্বাস এবং সাহাবায়ে কিরাম রাদিয়াল্লাহু আনহুমের যথাযথ আজমত (মার্যাদা) ও তাঁহাদের ‘মিয়ারে হক’ (সত্যের মাপকাঠি) হওয়ার বিশ্বাস অন্তরে সুদৃঢ় করা ও তদনুসারে জীবন যাপন।
(গ) চার মাযহাবের প্রতি শ্রদ্ধা ও পরমত সহিষ্ণুতার সহিত হানাফী মাযহাব অনুসরণ।
(ঘ) সুলুক ও আধ্যাত্মিকতায় সুপরিচিত চার তরীকা (চিশতিয়া, সােহরাওয়ারদিয়া, নকশবন্দিয়া-মুজাদ্দিদিয়া ও কাদিরিয়া) সহ সকল হকপন্থী ধারার প্রতি সহনশীল ও উদার মনােভাব পােষণ।
(ঙ) উপমহাদেশে ইসলামী রেনেসাঁর অগ্রদূত হযরত শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী (রহ.) এর চিন্তাধারার অনুসারী ও অনুগামী হযরত কাসেম নানুতবী (রহ.) ও হযরত রশীদ আহমদ গাঙ্গুহী (রহ) প্রমুখ আকাবিরে দেওবন্দের চিন্তা-চেতনার অনুসরণ এবং তা’লীম তরবিয়াতসহ জীবনের সকল ক্ষেত্রে দারুল উলুম দেওবন্দের মূলনীতি, আদর্শ ও কর্মপদ্ধতি অনুসরণ; এবং
(চ) আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি’আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ কর্তৃক প্রণীত নেসাবে তা’লীম (পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যসূচি), শিক্ষা, গবেষণা, প্রশিক্ষণ, ভৌত অবকাঠামাে নির্মাণ, মাদরাসা পরিচালনা ইত্যাদিতে প্রভাবমুক্ত থাকিয়া স্বকীয় বৈশিষ্ট্য বজায় রাখা;
(৩) “কো-চেয়ারম্যান” অর্থ আল-হাইআতুল উলয়ার কো-চেয়ারম্যান।
(৪) “চেয়ারম্যান” অর্থ আল-হাইআতুল উলয়ার চেয়ারম্যান।
(৫) “দাওয়াতে হাদিস (তাকমীল)” অর্থ কওমি মাদরাসার স্নাতকোত্তর ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি)-এর সমমান।
(৬) “বিধি” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;
(৭) “সদস্য” অর্থ আল-হাইআতুল উলয়ার কোনাে সদস্য।
৩। আইনের প্রাধান্য।- আপাতত বলবৎ অন্য কোনাে আইনের যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানাবলী প্রাধান্য পাইবে।
৪। বাের্ড। ‘আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর অধীন নিম্নবর্ণিত অনুর্ধ্ব ৬(ছয়) টি কওমি মাদরাসা শিক্ষা বাের্ড থাকিবে, যথা :
(ক) বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ;
(খ) বেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া গওহরডাঙ্গা বাংলাদেশ;
(গ) আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশ;
(ঘ) আযাদ দ্বীনি এদারায়ে তালীম বাংলাদেশ;
(ঙ) তানযীমূল মাদারিসিদ দ্বীনিয়া বাংলাদেশ; এবং
(চ) জাতীয় দ্বীনি মাদরাসা শিক্ষাবাের্ড বাংলাদেশ।
৫। আল-হাইআতুল উলয়ার কার্যালয়। আল-হাইআতুল উলয়ার প্রধান কার্যালয় থাকিবে ঢাকায় এবং প্রয়ােজনে, বাংলাদেশের যে কোন স্থানে উহার আঞ্চলিক বা শাখা কার্যালয় স্থাপন করা যাইবে।
৬। আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর কমিটি।— (১) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক ১৩-০৪-২০১৭ খ্রিস্টাব্দ তারিখে ৩৭.০০.০০০০.১১৮.২০.০০৫.১৭-১২১ নম্বর স্মারকমূলে জারীকৃত প্রজ্ঞাপনের আলােকে ‘আলআতুল উলয়া লিল-জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর নিম্নরূপ একটি কমিটি থাকিবে, যথা :
(ক) চেয়ারম্যান: বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ-এর সভাপতি (পদাধিকার বলে);
(খ) কো-চেয়ারম্যান: সিনিয়র সহ-সভাপতি, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ (পদাধিকার বলে);
(গ) বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ (বেফাক) এর ৫ (পাঁচ) জন সদস্য (পদাধিকার বলে মহাসচিসহ অথবা বাের্ড কর্তৃক মনােনীত);
(ঘ) বেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া গওহরডাঙ্গা বাংলাদেশ এর ২ (দুই) জন সদস্য (পদাধিকারবলে সভাপতি ও মহাসচিব অথবা বাের্ড কর্তৃক মনােনীত);
(ঙ) আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশ এর ২ (দুই) জন সদস্য (পদাধিকার বলে সভাপতি ও মহাসচিব অথবা বাের্ড কর্তৃক মনােনীত);
(চ) আযাদ দ্বীনি এদারায়ে তালিম বাংলাদেশ এর ২ (দুই) জন সদস্য (পদাধিকার বলে
সভাপতি ও মহাসচিব অথবা বোর্ড কর্তৃক মনােনীত);
(২) তানজিমুল মাদারিসিদ দ্বীনিয়া বাংলাদেশ এর ২ (দুই) জন সদস্য (পদাধিকার বলে
সভাপতি ও মহাসচিব অথবা বাের্ড কর্তৃক মনােনীত); এবং
(জ) জাতীয় দ্বীনি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ এর ২ (দুই) জন সদস্য (পদাধিকার বলে
সভাপতি ও মহাসচিব অথবা বাের্ড কর্তৃক মনােনীত)।
(২) চেয়ারম্যান প্রয়োজনে, যে কোনাে সংখ্যক সদস্যকে কমিটিতে কো-অপট করিতে পারিবেন; তবে উক্ত সংখ্যা ১৫ (পনেরাে) জনের অধিক হইবে না ।
(৩) অন্যূন এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতিতে কমিটির সভার কোরাম পূর্ণ হইবে।
(৪) দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল)-এর সিলেবাস প্রণয়ন, পরীক্ষা পদ্ধতি, পরীক্ষার সময় নির্ধারণ, অভিন্ন প্রশ্নপত্র পণয়ন, উত্তরপত্র মূল্যায়ন, ফলাফল ও সনদ তৈরীসহ আনুষাঙ্গিক কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে কমিটি এক বা একাধিক উপ-কমিটি গঠন করিতে পারিবে ।
(৫) কমিটি স্থায়ী কমিটি বলিয়া বিবেচিত হইবে এবং উহা দলীয় রাজনীতির উর্ধ্বে থাকিবে।
৭। দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল)-এর সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রির সমমান প্রদান। -শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ১৩-০৪-২০১৭ খ্রিস্টাব্দ তারিখের ৩৭.০০.০০০০.১১৮.২০.০০৫.১৭-১২১ নম্বর স্মারকমূলে জারীকৃত প্রজ্ঞাপনের পরিপ্রেক্ষিতে কওমি মাদরাসার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট বজায় রাখিয়া ও দারুল উলুম দেওবন্দের মূলনীতিসমূহকে ভিত্তি ধরিয়া গঠিত আল হাইয়াতুল উলয়া লিল-জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ কর্তৃক প্রদত্ত কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল)-এর সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি)-এর সমমান এমনভাবে প্রদান করা হইল যেন উহা এই আইনের অধীন প্রদান করা হইয়াছে।
৮। শিক্ষা কার্যক্রম।—ধারা ৪ এ উল্লিখিত ‘আল হাইআতুল উলয়া লিল-জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর অধীন বাের্ডসমূহ ধারা ৬ এ উল্লিখিত কমিটি দ্বারা নিবন্ধিত কওমি মাদরাসাসমূহে দারুল উলুম দেওবন্দের নীতি, আদর্শ ও নিসাব (পাঠ্যসচি) অনুসারে দাওরায়ে হাদিসের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হইবে।
৯। আল হাইআতুল উলয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ এর কমিটির কার্যাবলি। —(১) ধারা| ৬ এ উল্লিখিত কমিটি নিম্নরূপ দায়িত্ব পালন করিবে, যথা :
(ক) কওমি মাদরাসাসমূহের দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল) সনদের শিক্ষার মান নিশ্চিতকরণ;
(খ) দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল) সনদ বিষয়ক যাবতীয় কার্যক্রমের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত
গ্রহণ;
(গ) দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল)-এর পরীক্ষা গ্রহণ ও তত্ত্বাবধান; এবং
(ঘ) দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল)-এর সিলেবাস প্রণয়ন, পরীক্ষা পদ্ধতি ও পরীক্ষার সময়
নির্ধারণ, অভিন্ন প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, উত্তরপত্র মূল্যায়ন এবং ফলাফল ও সনদ তৈরীসহ আনুষাঙ্গিক কার্যক্রম পরিচালনা।
(২) কমিটি উহার কার্যক্রম সম্পর্কে, সময় সময়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অবহিত করিবে।
১০। বিধি ও সংবিধি প্রণয়ন— এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণের স্বার্থে সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে এই আইনে উল্লিখিত যে কোন বিষয়ে কমিটি কর্তৃক বিধি ও সংবিধি প্রণয়ন করা যাইবে।
উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতি
দেশে কওমি মাদরাসার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট বজায় রাখিয়া দারুল উলুম দেওবন্দের মূলনীতিসমূহকে ভিত্তি ধরিয়া ‘আল হাইআতুল উলয়া লিল-জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর অধীন কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল)-এর সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি)-এর সমমান প্রদানের উদ্দেশ্যে একটি আইন প্রণয়নের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
২। কওমি মাদরাসার বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করিয়া এবং কওমি মাদরাসার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট ও স্বকীয়তা বজায় রাখিয়া দারুল উলুম দেওবন্দের মূলনীতিসমূহকে ভিত্তি ধরিয়া ‘আল হাইআতুল উলয়া লিল-জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর অধীন কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল)-এর সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি)-এর সমমান প্রদানের উদ্দেশ্যে একটি আইন প্রণয়ন করা অতীব প্রয়ােজন ও যুক্তিযুক্ত।
৩। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলােকে কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল)-এর সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি)-এর সমমান আইন, ২০১৮” বিল আকারে প্রস্তাবক্রমে জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হইল।)
কপি
বেফাক ঢাকা অফিস  ফেইজ থেকে।

সংযোজিত,
আমি এ মহত কাজের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ সংশ্লিষ্ট সবাই অন্তরীক মোবারকবাদ জানাই।
মানুষ চলে যায় কিন্তু কর্ম থেকে যায়,ইতিহাস কথা বলে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ঐতিহাসিক স্বীকৃতির জন্য স্বরনীয় হয়ে থাকবেন।
এম এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া
প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক
নুরুলগনি ইসলামি একাডেমি কাটাছরা, মিরসরাই চট্টগ্রাম  বাংলাদেশ

সোমবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

ধাতু দুর্বলতা বা ক্ষয় রোগ ঘন ঘন পেশাব সিপিলিস ও টাইমিং সমস্যার স্হায়ী সমাধান

প্রসাবে ক্ষয় / ধাতু ক্ষয় / ধাতু দুর্বলতা/ ঘন ঘন প্রসাব ?? 
জেনে নিন কারণ, লক্ষন ও উপযুক্ত সমাধান !!

আমাদের দেশের পুরুষদের মাঝে যৌনতা বিষয়ক তেমন কোন বিশেষ জ্ঞান না থাকার কারনে এবং যৌবনকালের শুরুতে নিজেদের কতৃক কিছু ভুলত্রুটির কারনে আমাদের সমাজের অধিকাংশ পুরুষদের মাঝেই যৌবনকালেরমধ্যবর্তী বয়সে প্রসাবে ক্ষয় ( semen with urine ) নামক একটি রোগের উদ্রেক হয়, যা ধাতু দুর্বলতা ( Spermatorrhoea) / ধাতুক্ষয় ( Semen Leakage ) / প্রদর রোগ নামেও পরিচিত ।
এই রোগটি সরাসরি / তৎক্ষণাৎ শরীরের উপর কোন প্রকার প্রভাব তৈরি করে না বিধায় এই রোগটির সৃষ্টি সম্পর্কে আক্রান্ত পুরুষ মানবদেহটি অনুভবও পারে না, বরংচ উক্ত রোগটি খুব ধীরে ধীরে শরীরের উপর প্রভাব ফেলে শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা নষ্ট করে দেয় । এক কথায় বলতে গেলে - ইহা নিজে কোন রোগ নয় কিন্তু ইহা অন্যান্য অনেক শারীরিক  রোগ ও সমস্যা সৃষ্টির প্রধান এবং অন্যতম কারন হল,  যেমনটি ডায়াবেটিস।
যৌবনকালের শুরুতে অধিক বেশী হস্তমৈথুন করা । এছাড়া অল্প বয়সে অতিরিক্ত যৌন মিলন করা । পাশাপাশি অধিক বেশী পর্ণ দেখা, খারাপ চিন্তা করা।স্বাভাবিক ভাবে হরমোনের অভাবে অথবা কৃত্রিম অতিরিক্ত মৈথন বা অস্বাভাবিক শুক্রপাত করতে থাকলে স্পারম্যাটোরিয়া সৃষ্টি হতে পারে। আবার অনেক সময় অপুষ্টি বা ভিটামিন প্রভৃতির অভাবে অথবা দীর্ঘদিন রক্তশূন্যতা বা নানা প্রকার রোগে ভোগার ফলে ইহা দেখা দিতে পারে। এমন কি অন কোন ঔষধের পার্শ্ব পতিকিয়ার  কারনে হতে পারে।
ইহার ফলে তাদের শুক্র নির্গত হলে দেখা যায় তাদের শুক্রে ঘনত্ব (viscosity) কম এবং তা দেখতে বেশ তরল। ইহাতে রোগীর ভয়ানক দুর্বলতা সৃষ্টি হয়।
লক্ষণসমূহ :- উক্ত রোগে আক্রান্ত রোগীর শুক্র অত্যন্ত তরল হয়, রোগী ধীরে ধীরে শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং দেহের এবং চেহারার সৌন্দর্য নষ্ট হয়, চেহারার লাবণ্যতা কমে যায়, মুখ মলিন এবং চক্ষু কোঠরাগত হয়ে পরে । দেহে প্রয়োজনীয় প্রোটিন এবং ভিটামিনের প্রবল অভাব পরিলক্ষিত হয়, রোগীর জীবনীশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং নানা প্রকার রোগে অতি সহজেই আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ,দেহে যৌন হরমোন বা পিটুইটারি এড্রিনাল প্রভৃতি গ্রন্থির হরমোন কম নিঃসৃত হয়, যার ফলে দেহে যৌন ক্ষমতা কমে যায় এবং শুক্র ধীরে ধীরে পাতলা হতে থাকে, দৈহিক এবং মানসিক দুর্বলতা বৃদ্ধি পায়, মাথার যন্ত্রণা দেখা যায়, আক্রান্ত ব্যক্তি সর্বদাই অস্থির বোধ করে, বসা থেকে উঠলেই মাথা ঘোরে এবং ক্ষুধা হীনতা ভাব দেখা দেয়, ইহাতে পেনিস বা জননেদ্রীয় এতটাই দুর্বল হয়ে যায় যে, তার শুক্রের ধারণ শক্তি একেবারে কমে যায়, রাত্রে স্বপ্ন দেখে শুক্র ক্ষয় হয়, আবার দিনের বেলায়ও নিদ্রাকালীন স্বপ্ন দেখে শুক্রপাত হয় । প্রসাবের আগে-পরে আঠালো জাতীয় ধাতু নির্গত হয়, সমস্যা ধীরে ধীরে কঠিন আকার ধারণ করলে সামান্য উত্তেজনায় শুক্রপাত হয়, স্ত্রীলোক দর্শনে বা স্পর্শে শুক্রপাত ঘটে,পায়খানার সময় কুন্থন দিলে শুক্রপাত হয়, স্মরণশক্তি কমে যায়, বুদ্ধিবৃত্তি কমে যায়, অকাল বার্ধক্য এবং ধ্বজভঙ্গ রোগের লক্ষণ দেখা ।


                                            1    চিকিৎসাঃ৷ প্রসাবে ক্ষয়, ধাতু দুর্বলতা, ধাতুক্ষয় 
পুরুষ মানবদেহের জন্য খুবই মারাত্মক এবং ভয়াবহ রোগ হিসাবে বিবেচিত, বিশেষ করে আমাদের দেশের তরুন সমাজ এই রোগে অধিক বেশী ভুক্তভোগী হয়ে থাকে । আর যে সকল যুবক এবং বিবাহিত ভাইয়েরা উক্ত মারাত্মক সমস্যায় আক্রান্ত রয়েছেন, তাদের উপযুক্ত সমাধান এবং চিকিৎসার মাধ্যমে স্বাভাবিক শারীরিক শক্তি এবং সক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে  প্রাকৃতিক এবং ভেষজ উপাদান দ্বারা তৈরিকৃত     hormo ghout  tb সেবনে আপনি এ রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন
 যা আপনার প্রসাবে ক্ষয় / ধাতু ক্ষয় / ধাতু দুর্বলতা সমস্যার প্রয়োজনীয় সমাধান দিতে শতভাগ কার্যকারী। 
ক্রিয়া :- প্রসাবে ক্ষয় বন্ধকরন, প্রসাবের আগে-পরে ধাতু ক্ষয় বন্ধকরন, , স্মৃতিশক্তি বর্ধক , শারীরিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সমূহের কার্যক্ষমতা বর্ধক , যৌনশক্তি বর্ধক , প্রফুল্লকারক, চেহারা ও ত্বকে লাবণ্য আনায়ন, রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি সহ সার্বিক শারীরিক ও মানসিক ভাবে সক্ষমতা ফিরিয়ে আনতে অত্যন্ত কার্জকরি । সম্পূর্ণ পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ামুক্ত ।উক্ত প্রোডাক্টটি যুবক এবং বিবাহিত ভাইদের তথা পুরুষের প্রসাবে ক্ষয় / ধাতু দুর্বলতা / ধাতু ক্ষয় নামক সমস্যা সমাধানে শতভাগ কার্যকারী আমাদের এই  ঔষধটি 


যে কোন ধাতুক্ষয় প্রমেহ, সমাধান ঃঃ- 

অল্প উত্তজনায় লিঙ্গের মাথায় আঠালো  পানি আসা,যৌন কল্পনা করা বা কোন ছবি দেখা বা জীবন সঙ্গীনির সাথে ফোনালাপের সময় ও লিঙ্গ দিয়ে তরল পানি বের হয়ে আসা,পেশাব করার সময় ঝাকুনি দিয়ে কিছু বের হওয়া, পেশাবে সাথে বা আগে পরে সাদা আঠালো জাতীয় ধাতু নির্গত হওয়া সহ যে কোন ক্ষয় জনিত সমস্যায় 
বিশেষ উপকারী। 
"হরমোঘট" Hormo Ghout " tb আয়ুর্বেদিক  ফর্মুলায় তৈরী। পাশ্ব পতিক্রিয়া মুক্ত। দাম মাত্র  ৯০০ টাকা। 

আল্লাহর রহমত হলে রোগ নতুন হলে১ /২ ফাইল আর পুরনো হলে ৪ ফাইল  যথেষ্ট ইনশাআল্লাহ।
বিকাশ পেমেন্টের মাধ্যমে আপনার নিকটস্থ যে কোন কুরিয়া, পোস্ট অফিস মারফত আপনার ঠিকানায় পৌঁছে যাবে। 


সার্ভিস সার্জ ১৫০ টাকা। 

তাছাডা 
1  শরবত এ্যালকুলি শানতারা 
2 কুশতাকলয়ী 
3 স্পার্মিটিন 
ইত্যাদি খুব কার্যকরী ঔষধ । 


              (২)     ঘন ঘন  প্রস্রাব, জালাপোডা, মূত্র নালীর সমস্যা সিপিলিস, প্রস্রাবের ধারণ ক্ষমতা কম 
কারণঃ- 
ডায়াবেটিস ছাড়া অন্য যেসব কারণে ঘন ঘন প্রস্রাব হয়, তা হলো: মূত্রনালি বা মূত্রথলির সংক্রমণ।গর্ভকালীন প্রথম ও শেষ দিকে।বয়স্ক পুরুষদের প্রস্টেট গ্রন্থির সমস্যায়।স্ট্রোক ও অন্যান্য স্নায়ুরোগ, মূত্রথলির স্নায়ুবিকলতা, মূত্রথলির ক্যানসার ইত্যাদি।মস্তিষ্কের টিউমার, বিকিরণ, সার্জারি, আঘাত, কিডনি রোগ ইত্যাদি কারণে মূত্র নিয়ন্ত্রক এডিএউচ হরমোনের অভাব বা অকার্যকারিতা দেখা দেয়।থাইরয়েড হরমোন বা করটিসল হরমোনের আধিক্য।রক্তে ক্যালসিয়াম বা পটাশিয়ামের তারতম্য।ঘন ঘন প্রস্রাব বা অধিক পরিমাণ প্রস্রাব কোনো রোগ নয় বরং রোগের উপসর্গমাত্র। এর কারণে শরীরেপানিশূন্যতা, পানির ভারসাম্যহীনতা, লবণের ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি হতে পারে।আসুন জেনে নিই লক্ষণগুলো ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া এবং পিপাসা লাগা ক্লান্তি ও অবসাদগ্রস্ত ভাব মাত্রাতিরিক্ত ওজন হ্রাস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া ঘন ঘন ইনফেকশন প্রস্রাবের সময় জ্বালা পোড়া, ঘন ঘন অল্প অল্প প্রসাব, প্রস্রাব করার পরও প্রস্রাবের ইচ্ছে থাকা,বিশেষ করে ১৫ থেকে ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত এই সংক্রমণের প্রকোপ বেশি দেখা যায়।
চিকিৎসা - ঘন ঘন প্রসাব মানবদেহের জন্য খুবই মারাত্মক এবং ভয়াবহ রোগ হিসাবে বিবেচিত, বিশেষ করে আমাদের দেশের তরুন সমাজ এই রোগে অধিক বেশী ভুক্তভোগী হয়ে থাকে । আর যে সকল যুবক এবং বিবাহিত ভাইয়েরা উক্ত মারাত্মক সমস্যায় আক্রান্ত রয়েছেন, তাদের উপযুক্ত সমাধান এবং চিকিৎসার মাধ্যমে স্বাভাবিক শারীরিক শক্তি এবং সক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে 
 যা আপনার ঘন ঘন প্রসাব সমস্যার প্রয়োজনীয় সমাধান দিতে শতভাগ কার্যকারী।

ক্রিয়া :-ঘন ঘন প্রসাব বন্ধকরন, ফোটা ফোটা প্রসাব,প্রস্রাবের সময় ব্যাথা, জ্বালাপোড়া রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি সহ সার্বিক শারীরিক ও মানসিক ভাবে সক্ষমতা ফিরিয়ে আনতে অত্যন্ত কার্জকরি ।
সম্পূর্ণ পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ামুক্ত,উক্ত প্রোডাক্টটি যুবক এবং বিবাহিত ভাইদের তথা পুরুষের ঘন ঘন প্রসাব বন্ধকরন/ ফোটা ফোটা প্রসাব, নামক সমস্যা সমাধানে শতভাগ কার্যকারী আমাদের এই
মর্ডান পন্য

1, সিজিজিয়াম জ্যাম্ব tab
2 হিপার সালফ ক্লাভাটোম
3 সানতারা ক্যাপ
4 এ্যালকুলি
                                                   
  সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদান এবং উপযুক্ত নিয়ম অনুসরন করে তৈরিকৃত বিধায় আমাদের প্রোডাক্টগুলোতে কোন প্রকার পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া নেই বলে আমরা উল্লেখ করতে পারি ।
                               




                             3        ধাতুক্ষয় ও যৌন সমস্যার স্হায়ী সমাধান
 আমাদের যুব সমাজের অনেকই কমন একটি সমস্যায় ভূগে থাকেন ১৮-হতে৩৫-৪০ বছর বয়স পর্যন্ত এটি যেমন অবিবাহিতদের হয়ে থাকে তেমনি বিবাহিতদের ও হয়ে থাকে বিশেষত যারা প্রবাসে বা ফ্যামেলি থেকে দূরে থাকেন তাহল ধাতু ক্ষয়   । এ রোগটি সাধারণত কোন জটিল সমস্যা না হলেও কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদী ভুগতে থাককে শারীরিক মানসিক অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে।      এটি বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে।

১,যে কোন ধাতুক্ষয় প্রমেহ, সমাধান ঃঃ-

অল্প উত্তজনায় লিঙ্গের মাথায় আঠালো  পানি আসা,যৌন কল্পনা করা বা কোন ছবি দেখা বা জীবন সঙ্গীনির সাথে ফোনালাপের সময় ও লিঙ্গ দিয়ে তরল পানি বের হয়ে আসা,পেশাব করার সময় ঝাকুনি দিয়ে কিছু বের হওয়া, পেশাবে সাথে বা আগে পরে সাদা আঠালো জাতীয় ধাতু নির্গত হওয়া সহ যে কোন ক্ষয় জনিত সমস্যায়
বিশেষ উপকারী।
"হরমোঘট" Hormo Ghout " tb আয়ুর্বেদিক  ফর্মুলায় তৈরী। পাশ্ব পতিক্রিয়া মুক্ত। দাম মাত্র  ৯০০ টাকা। 

আল্লাহর রহমত হলে রোগ নতুন হলে১ /২ ফাইল আর পুরনো হলে ৪ ফাইল  যথেষ্ট ইনশাআল্লাহ।
বিকাশ পেমেন্টের মাধ্যমে আপনার নিকটস্থ যে কোন কুরিয়া, পোস্ট অফিস মারফত আপনার ঠিকানায় পৌঁছে যাবে।

সার্ভিস সার্জ ১৫০ টাকা।

 তাছাডা
1  শরবত এ্যালকুলি শানতারা
2 কুশতাকলয়ী
3 স্পার্মিটিন
ইত্যাদি খুব কার্যকরী ঔষধ



                                                   স্হায়ী ভাবে যৌন চিকিৎসা
                                             4  " Jinsin" জিনসিং USA তৈরী-
এটা স্হায়ী ভাবেযৌন শক্তিবর্ধক হিসাবে কাজ করে, যারা অতিরিক্ত মাস্টারবেশন,স্বপ্ন দোষ বা অন্য কারণ যৌন শক্তি হারিয়ে ফেলছেন, মাস্টারবেশন বা হস্তমৈথুনের কারনে  পেনিসের টিসু ডেমেজ হয়ে পেনিস নরম হয়ে গেছে ঠিকমত শক্ত হয়না, টাইমিং কম পান তাদের জন্য বিশেষ কার্যকর।
এটা সেবনে সাধারন দুর্বলতা, যৌন দুর্বলতা,উদ্দিপনা বাডাবে,স্হায়ীত্ব বা টাইমিং বাডাবে,বীর্য উতপাদন শুক্রানু বৃদ্ধি ও শক্তিশালী করবে, রক্ত সন্চালনের কারনে   পেনিস শক্তিশালী হবে ক্রমান্নয়ে।

jinsin এর আরও  উপকারিতা –
1-শক্তি বর্ধক হিসেবে জিনসেং দারুন কার্যকরী।
2-পুরুষের #যৌন সমস্যার একমাত্র সমাধান।
3-শারিরিক শক্তি বাড়ায় এবং দুশ্চিন্তা ও হতাশা দূর করে।
4-মানসিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
5-মনযোগ, স্মৃতিশক্তি, কথা শোনার সাথে সাথে বুঝতে পারার ক্ষমতা,শেখার ক্ষমতা,কল্পনাশক্তি, বিচারবুদ্ধি, চিন্তা শক্তি ও সমস্যা সমাধান করে কোন একটা সিদ্ধান্তে পৌছানোর ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
6-কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমাতে সহায়তা করে।
7-অনিদ্রা জনিত কারনে শারীরিক ও মানসিক সৃষ্ট রোগের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
8-অস্থিরতা দূর করে মনকে সতেজ ও প্রফুল্ল রাখতে সাহায্য করে।

মূল্য ২৫০০৳, পুল কোর্স ৩ ফাইল।








  5  . sex pills এ যাবতকালের সর্ব শ্রেষ্ঠ ও নিরাপদ পার্শপ্রতিক্রিয়াহীন সেক্সুয়াল হারবাল usa মেডিসিন  


" Sex pills,"
এ যাবত কালের সর্ব শ্রেষ্ঠ usa তৈরী সেক্সীয়াল সমস্যায় স্হায়ী সমাধানে কার্যকরী হারবাল প্রোাক্ট হিসাবে পরিচিতি লাভ করে।ইহা বীর্য স্তবক টাইমিং উত্তেজনা শক্ত মজবুত দীর্ঘ স্হায়ীত্ব সহ হস্তমৈথুন জনিত যাবতীয় সমস্যায় কার্যকরী। শুধু মাত্র প্রাপ্ত বয়স্ক ও বয়স্ক ও বিবাহিত রুগিদের জন্য কার্যকরী । এ ঔষধটি এক ফাইল সেবনে দীর্ঘ দিন সুস্হ থাকা যায় ।পার্শপ্রতী ক্রিয়া মূক্ত সম্পুর্ণ ন্যাচরাল /হারবাল /আয়ুর্বেদিক প্রোডাক্ট








তাছাডা

 6  "MAX MAN " ( men Enlarging gel) 
 থাইল্যান্ড এর তৈরী  এটা জেলী শুধু মাত্র লিঙ্গে মালিশ হিসাবে ব্যবহার,
এটা হস্তমৈথুনের কারনে পেনিসের টিসু ডেমেজ হয়ে ব্লাড সার্কুলেশন কমে গিয়ে লিঙ্গ ছোট হয়ে গেলে লিঙ্গকে পুনঃ শক্তিশালী মোটা তাজা করতে কার্যকর।

মূল্য  ৩০০০৳।

সতর্কতা ঃ- কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই,
শুধু  মাত্র  প্রাপ্ত বয়স্কদের  জন্য।



7 ,                        VigRX Made in Canada 60,Capsule

                     ভিগরেক্স গোপনাঙ্গ বড় মোটা ও শক্ত দ্রতপতন রোধ করার ঔষধ।
--------------------------------------------------------------------------(কানাডার তৈরী) সম্পুর্ণ হারবাল প্রোডাক্ট,১০০% ন্যাচরাল।
অনেকেই অতিরিক্ত হস্তমৈথুন এর ফলে লিঙ্গ ছোট ও নিস্তেজ করে ফেলেছেন।
আগের মত শক্ত হয়না। আকারে ছোট।
উত্তেজিত অবস্থায় হঠাৎ লিঙ্গ নেতিয়ে পড়ে।
১ বার সহবাস করলে দ্বিতীয়বার সহজে শক্ত হতে চায়না।
এই সমস্যার সমাধান পেতে ( ভিগরেক্স ) ব্যাবহার করে আপনি আপনার গোপনাঙ্গকে স্থায়ীভাবে শক্ত মোটা ও লম্বা করতে পারবেন।
ভিগরেক্স যে যে কাজ করে
১, গোপনাঙ্গ বড় করে
২, গোপনাঙ্গ মোটা করে
৩, গোপনাঙ্গ শক্ত করে
৪, সেক্স টাইম বাড়ায়
৫, উত্তেজনা বাড়ায়
৬, বীর্য উৎপাদন করে
-----------------------------------------------------
ভিগরেক্স এর বর্তমান মূল্য: 5000  টাকা মাত্র ।



আমরা দেশের যে কোন জায়গায় কুরিয়ারের মাধ্যমে ঔষধ পাঠিয়ে থাকি,তবে কুরিয়ার ও বিকাশ সার্জ প্রযোজ্য
আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।
এখন থেকে আমরা দেশী বিদেশী বেশ কয়েকটি ঔষধ যা অত্যধিক কার্যকরী ব্যবহারীত ও শংকামুক্ত, রুগিদের দেয়ার চিন্তা করেছি আরও ভাল ফলাফলের জন্য।




হাকিম জসিম উদ্দিন কর্তৃক আমদানীকৃত
বিস্তারিত জানতে অথবা অর্ডার করতে ফোন করুন ।
মোবাইল- +966504967863 ওয়াতসাফ/ ইমু

 বিঃ দ্রষ্টব্য
বিকাশ পেমেন্টের মাধ্যমে বাংলাদেশের যে কোন স্হানে বসে পন্য সংগ্রহ করতে পারবেন । পোষ্ট অফিস বা কুরিয়ার সার্ভিসের ঠিকানায় পৌছে যাবে।

সৌজন্যে
 প্রাকৃতিক চিকিৎসা নিতে আমাদের ভূবনে স্বাগতম
যোগাযোগ ০০৯৬৬৫০৪৯৬৭৮৬৩ ওয়াসাফ ও ইমু

অথবা
সার্বিক যোগাযোগ ঃ-
ভূঁইয়া ন্যাচরাল  হার্বস
01829318114  ওয়াতসাফ ইমুতে 

বুধবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

দাওয়াত ও তাবলীগের মেহনতে আলেমদের অবদান

দাওয়াত ও তাবলীগের মেহনতে আলেমদের অবদান অপরিসীম।

ইদানিং তথাকথিত এতায়াতপন্থী নামধারী কিছু তাবলীগি সাথীদের আচরণে আমরা মর্মাহত।তারা যে ভাবে দ্বীনের অতন্দ্র পহরী ওলামাদের শানে বেয়াদবীমূলক আচরণ শুরু করেছেন সত্যিই বেদনাহত। আমরা আবশ্যই এমনটা দীর্ঘ ১০/১৫ বছর থেকেই আশংকায় ছিলাম  যা বর্তমানে দৃশ্য মান হয়েছে।
হজরতজী ইলিয়াস রহঃ প্রথমেই বুঝেছিলেন, যদি ওলামায়ে কেরাম আমার এই মেহনত নিয়ে আপত্তি করেন, তাহলে এই কাজ চলবে না।
.
তাই এই মেহনতের রূপরেখা তিনি সর্বপ্রথম ওলামায়ে কেরামের কাছে পেশ করেছিলেন।কিন্তু সে ইতিহাস  কথিত এতায়াত   সাথীরা ভুলে গেছেন
হজরত মুফতি কেফায়াতুল্লাহ রহঃ ছিলেন দেওবন্দের প্রধান মুফতি। তাকে বলা হতো মুফতিয়ে আজম হিন্দ। তিনিই ছিলেন হজরতজী ইলিয়াস রহঃ এর প্রথম সহযোগী। কুরআন-সুন্নাহর সাথে মিলিয়ে তিনিই সর্বপ্রথম মেহনতের রূপরেখার প্রতি ইতমিনান প্রকাশ করেছিলেন।

উপমহাদেশের দ্বিতীয় ব্যক্তি হজরতজী যার সমর্থন মেহনতের জন্য অত্যাবশ্যক মনে করেছিলেন, তিনি হচ্ছেন হজরত মাওলানা আশরাফ আলী থানবী রহঃ। থানবী রহঃ এর সমর্থন আদায়ের জন্য এক জামাতকে তিনি বিশেষ হেদায়াত দিয়ে থানাভবন এলাকায় রোখ করেছিলেন। হজরত সৈয়দ আবুল হাসান আলী নদভী রহঃ ‘ হজরত ইলিয়াস রহঃ ও তাঁর দ্বীনি দাওয়াত’ কিতাবে সবিস্তারে এ ঘটনা লিপিবদ্ধ করেছেন। থানবী রহঃ জামাতের কারগুজারী শুনে জামাতকে কিছু হাদিয়া দিয়েছিলেন। জামাতের জিম্মাদার সেই হাদিয়া হজরতজীর কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন। হজরতজী সেই হাদিয়া দেখে এত খুশী হয়েছিলেন, তার জবান দিয়ে এই কথা বের হয়েছিলো, ‘ এই মেহনতের সাথে যখন হজরত থানবীর হাতের বরকত যোগ হয়েছে, ইন শা আল্লাহ এই মেহনত চলবে।
সেই প্রথম সারির ওলামায়ে কেরাম, যাদের দোয়া, সমর্থন এই মেহনতের ভিতকে মজবুত করে দিয়েছিলো।

আরবদের কাছে এই মেহনতকে পরিচিত করার উদ্দেশ্যে সর্বপ্রথম যাকে নির্বাচন করা হয়েছিলো, তিনি সৈয়দ আবুল হাসান আলী নদভী রহঃ। নিঃসন্দেহে সে সময় মেহনতকে আরবদের কাছে পেশ করার জন্যে তিনিই যোগ্যতম ব্যক্তি ছিলেন।

মেহনতের সাথে ওলামায়ে কেরামের সমর্থন এভাবে পাশাপাশি এগিয়ে চলেছে।
‘তাবলীগে তো ভালো আলিম নেই ‘ – অভিযোগের জবাবে দেওবন্দের তৎকালিন প্রধান মুফতি মুফতি মাহমুদ হাসান গঙ্গুহী রহঃ এ জবাব দিয়েছিলেন, আমি তাবলীগেরই মুফতি। তাবলীগই আমাকে মুফতি বানিয়েছে।

তাবলীগের দ্বারা ইসলাহে নফস কতটুকু হবে এ সংশয়ের জবাবে দেওবন্দের তৎকালিন মুহতামিম হজরত ক্বারী তৈয়ব সাহেব রহঃ এই জবাব দিয়েছিলেন, ‘ নিশ্চয় দাওয়াত ও তাবলীগের কাজের মধ্যে ইসলাহে নফস আছে। ‘
তাবলীগের কাজের সমালোচনার জবাবে ওলামায়ে কেরাম বার বার কলম ধরেছেন। তাঁদের কিতাবাদি এর পক্ষে সাক্ষী হয়ে আছে। শায়খুল হাদীস রহঃ এর ‘ তাবলীগ জামাতের সমালোচনা এবং এর জবাব’ এই বিষয়ে প্রথম বই।

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর হজরত আল্লামা শাহ আহমদ শফী দামাত বারাকাতুহুম একদম তরুন বয়সে দাওয়াতের মেহনতের পক্ষে কলম ধরেছেন। তাঁর রচিত ‘দাওয়াত ও তাবলীগ-একটা জিহাদ ‘ এ বিষয়ে একটা মাইলফলক। আফসোসের সাথে বলতে হয়, চট্টগ্রামের কিছু অবুঝ সাথী ‘হেফাজতে ইসলাম লাভলেইন মারকায দখল করতে আসছে ‘ জানিয়ে থানায় জিডি করে এবং মারকাযে পুলিশ মোতায়েন করে, যা তাবলীগের জন্য এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। অথচ সেদিন পুলিশ মারকাযে এক অভাবনীয় দৃশ্য প্রত্যক্ষ করে অবাক হয়। হাজার হাজার তালেবে ইলম ও শীর্ষ স্হানীয় ওলামায়ে কেরামের সেদিন বেডিং কাঁধে শান্তিপূর্ণ উপস্থিতি পুলিশকেও এ-কথা বলতে বাধ্য করে, ‘ এর নাম মারকায দখল করতে আসা?’

হজরত মুফতিয়ে আজম রহঃ ‘তাবলীগ করা কি ফরজ? ‘- এর এমন এক হিকমতপূর্ণ জবাব দিয়েছেন, যা তাবলীগের সাথীদের মুখে মুখে এখনও শোনা যায়। তিনি বলেছেন, তাবলীগ হলো উম্মুল ফারায়েজ -সব ফরজের মা। একজন বিজ্ঞ আলিমের একটা উক্তিই দাওয়াতের মেহনতকে হাজারগুন এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট প্রমানিত হয়েছে।

পটিয়ার মুফতি সাহেব রহঃ এর এই উক্তিটিও মেহনতের কার্যকারিতা বুঝানোর জন্যে প্রবাদবাক্য তুল্য -‘ তাবলীগ হলো চলতি-ফিরতি মাদ্রাসা।’

মুফতিয়ে আজম রহঃ একদিনের জন্যও তাবলীগে যাওয়ার সুযোগ করতে পারেন নি, কিন্তু

তাঁর লিখনী, তাঁর বক্তব্য চট্টগ্রামের মতো বৈরী এলাকায় দাওয়াতের মেহনতের গ্রহনযোগ্যতা তৈরিতে বিশাল ভূমিকা রেখেছে।

বাংলাদেশে দাওয়াতের মেহনতের রূপকার হচ্ছেন হজরত আল্লামা শামসুল হক ফরিদপুরী রহঃ। তিনিই সর্বপ্রথম বাংলাদেশে তাবলীগের কাজ শুরু করার জন্য হজরত মাওলানা আব্দুল আজিজ খুলনাবী রহঃকে, যিনি বড় হুজুর রহঃ নামে প্রসিদ্ধ, দাওয়াতের কাজ শিখে আসার জন্য নিজামুদ্দিন পাঠান এবং মানুষের কাছে দাওয়াতের কাজের গ্রহনযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য স্বয়ং নিজে নিজের শত দ্বীনি ব্যস্ততার মাঝেও প্রতি বছর চিল্লা দিতেন।

যে সাথী এ ইতিহাস মনে রাখবে, সে কখনও ওলামার বিরুদ্ধে, মাদ্রাসার বিরুদ্ধে জবান খুলবে না। মাদ্রাসা ও ওলামাদের বিরুদ্ধে যে সব প্রোপাগান্ডা বামপন্থি ও নাস্তিকেরা চালিয়ে আসছে, সে কথাগুলি কিভাবে একজন তাবলীগওয়ালার মুখ দিয়ে উচ্চারিত হতে পারে? ‘ তারা হেফাজত, তারা পাকিস্তানপন্থী, তারা জঙ্গি’ – এ সব বাক্য পাগড়ি পরিহিত একজন তাবলীগওয়ালার মুখে কিছুতেই মানায় না, মানাতে পারে না।

বরং আলিম-ওলামাই এই মেহনতের প্রাণ। ওলামাদের অান্তরিক রাহবারিই এই মেহনতের আসল চালিকাশক্তি।

মারকাযের বাইরের ওলামাদেরও আক্রমন করবো, আবার মারকাযের সাথে সংশ্লিষ্ট ওলামাদেরও চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার করবো- এ কিছুতেই একজন প্রকৃত তাবলীগওয়ালার কাজ হতে পারে না। আমরা যদি তাবলীগি পরিচয়ে পরিচিত কারও মুখ থেকে এ ধরনের কথা শুনি, তাহলে আমাদের মনে করতে হবে এ বর্ণচোরা, ইসলামেরই কোন দুশমন বদ মতলবে তাবলীগের বেশ ধরেছে। ইলিয়াসী ফিকরে যে ফিকরবান, তার মুখ দিয়ে কখনোই এমন বাক্য বের হতে পারে না। সময় এসেছে প্রকৃত তাবলীগওয়ালা চেনার।

আর যে ভাইটি একান্তই অবুঝ, না বুঝে এ সব বাক্য উচ্চারণ করছে, আমাদের সবার দায়িত্ব তাকে বুঝিয়ে ফিরিয়ে আনার। হজরত গঙ্গুহী রহঃ এর বাক্য, যা আমার হৃদয়ে সদা ভীতির সঞ্চার করে,
” যারা ওলামাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করতো, তাদের কবর খুলে দেখো, তাদের চেহারা কিবলা থেকে ফিরিয়ে উল্টোমুখী করে দেয়া হয়েছে।”

এর সাথে

আমি আরও মনে করি যে,
ওলামায়ে কেরাম কাজের বিরোধী না বরং এ কাজের ১০০% সহায়ক কিন্তু ইদানিং  মাও সাদ সাহেবের কোরআান সুন্নাহ বহির্ভূত কিছু কর্ম কান্ড মন্তব্য  সমগ্র বিশ্বের ওলামায়ে কেরাম কে ভাবিয়ে তুলেছে, তাই বিশেষত দেওবন্দের ওলামায়ে কেরাম ৮/৯ বছর ধরে গোপনে সংশোধনের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে শেষ পর্যন্ত ফতোয়া জারী করতে বাধ্য হয়েছে। তাইতো তাবলীগের অবুঝ সাথীরা ক্ষেপে গেলেন। কিন্তু যারা ছমজদার সাথী আল্লাহর জন্য তাবলীগ করেন তারা ঠিকই বুঝতে সক্ষম হয়েছে।

কিন্তু খুব আফসোস লাগে যখন তাবলীগের সাধারণ একজন সাথী যখন বলে যে মাও মাহমুদুল হাসান সাহেব ও মাও জুনাইদ বাবুনগরী গংরা তো তাবলীগে সময় লাগায়নী তারা তাবলীগের উপদেষ্টা হয় কি করে বা তাবলীগ সম্পর্কে কি বুঝবে?
হায় আফসোস  এ গন্ড মুর্খ তাবলীগের সাথীর জন্য যে মাও মাহমুদুল হাসান ও জুনাইদ বাবুনগরীর গংদের একদিনের বা এক ঘন্টার চিন্তা চেতনা আর মেহনত বা খেদমতকে এক পাল্লায় দিলে সেই কথিত "এতায়াত" বা সা'দ পন্থীর মত লাখো কুটিজনকে একপাল্লায় দিলে সেই মাও আহমদ শফি বাবুনগরী/ মাহমুদুল হাছান এর এক ঘন্টার মেহনত তার চেয়ে ভারী হবে।
তাছাডা মাও ইলিয়াস ছাঃ রহ সে সময় যে সকল ওলামায়ে কেরামের পরামর্শ আর দিক নির্দেশনায় তাবলীগের কাজ এগিয়ে নিয়েছিলেন যেমন আশরাফ আলী থানবী কারী তৈয়ব সাহেব, রশিদ আহমদ গাঙ্গুহী প্রমুখ কেউ  তাবলীগে সময় লাগায়নি  কিন্তু তাবলীগের উপদেষ্টার ভূমিকায় ছিলেন। সেটাও তাবলীগের অন্তর্ভুক্ত, কারণ তাবলীগ মানে শুধু  মসজিদে বসে বসে তাবলীগ নয় বরং এটা দ্বীন প্রচারের অসংখ্য পদ্ধতির একটি।

২. তাবলিগ জামাতের চলমান সংকট!
রক্তের আঁচড়ে লেখা কিছু কথা!
‘পাকিস্তানপন্থী তাবলিগ’ এবং কিছু দুঃখগাঁথা!!

মুফতি লুৎফুর রহমান ফরায়েজী: সাহেবের এ লেখাটি সঙ্গে সংযোজন করা হল।

এমন দিনও দেখতে হবে কখনো কল্পনায়ও আসেনি।
এ সুন্দর সাজানো বাগান।
আমরা এর বাইরের সৌন্দর্যে যেমন মুগ্ধ হয়েছি।
তেমনি সাময়িক সময়ের মেহমান হয়ে আরো বেশি আকৃষ্ট হয়েছি এ বাগানের সুঘ্রাণে।

আমরা ছিলাম যার একান্ত ভক্ত। অনুরক্ত।
যে তাবলিগের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে ছলকে উঠতো আমাদের রক্ত। লেখায় বয়ানে, বক্তৃতায় আমরা প্রতিবাদ করতাম।
দলিলের আলোকে সমুচ্চ করে তুলতাম দাওয়াত ও তাবলিগের মানহাজ ও পদ্ধতিকে।

ভারত, পাকিস্তান বাংলাদেশসহ পুরো বিশ্বের হক্কানি উলামাগণ পূর্ণাঙ্গ সাপোর্ট দিয়েছে তাবলিগ জামাতকে।
কখনো তাবলিগের মুরুব্বী সেজে মাতব্বরী করার খাহেশ জাহির করেননি বরেণ্য কোন শাইখুল হাদিস কিংবা আল্লামা। যে যার কাজে দরস-তাদরীস, ফিকহ-ফাতওয়া নিয়েই মগ্ন ছিলেন। সময় পেলে তাবলিগি মুরুব্বীদের অধীনেই দ্বীনী তাকাজায় শরিক হতেন। নিজেরা কখনো তাদের আসনে বসার ইচ্ছে প্রকাশ আগেও করেননি, এখনো নয়।

বিজ্ঞ উলামাগণের মত কুরআন ও হাদিসের শিক্ষা প্রদান, মুফতিয়ানে কেরামের মত ফিকহ ও ফাতওয়া নিয়ে সুচিন্তিত মত পেশ করার সময়, সুযোগ, অনেক ক্ষেত্রে যোগ্যতা যেমন তাবলিগি মুরুব্বীদের অনেকেরই নেই, তেমনি তাবলিগের সাথীদের মত সব কিছু ছেড়ে দিয়ে তাবলিগের মারকাজে পড়ে থেকে এ কাজে জড়িয়ে থাকার সুযোগ বিজ্ঞ উলামা হযরতের নেই।

তাই উভয় জামাত উভয় জামাতকে মুহাব্বত করেন।
ভালবাসেন। কল্যাণকামী।
সবাই সবার কাজ করে যাচ্ছেন।
নিষ্ঠার সাথে।
এক জামাত অন্য জামাতের সহযোগী। হিতাকাঙ্ক্ষী।
বিরোধী বা প্রতিপক্ষ নয়।

ইখলাস, লিল্লাহিয়্যাত, রবের সন্তুষ্টির জন্য সব কিছু কুরবান করা, খিদমতে খালক, উত্তম চরিত্র, অন্যকে প্রাধান্য দেয়ার মানসিকতা, বড়দের শ্রদ্ধা, ছোটদের স্নেহ, সুন্নতের পাবন্দ, সাহাবা আজমাঈনের আখলাকের জলন্ত প্রতিচ্ছবি, ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য ছিল তাবলিগি সাথী ও মুরুব্বীদের প্রধান পরিচয়। পুরো বিশ্ব জোরে এ কাজের দ্যুতি দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ার পিছনে ছিল এসব আখলাকী চালিকাশক্তি।

কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে এ নববী মেহনতের কাজের ভিতরে জমা বাঁধছিল কিছু ময়লা। আবর্জনা।
যা আমাদের অজান্তেই নষ্ট করে দিচ্ছিল সুন্দর সাজানো বাগানের পরিবেশ।
আল্লাহ হিফাযত করুন।

#এ সংকটের জন্য দায়ী কারা?

আমি আল্লাহর কসম করে বলতে পারি, দৃঢ়তার সাথে বলতে পারি, তাবলিগের এ চলমান সংকটের জন্য দেওবন্দের ফাতওয়া, কিংবা বাংলাদেশের উলামাগণের প্রতিবাদ মোটেও দায়ী নয়। হতেই পারে না।
তাবলিগের চলমান সংকট বিষয়ে বাংলাদেশের শীর্ষ উলামাগণ সভা করেছেন ২০১৭ সালের ১১ই নভেম্বর।
আর দারুল উলুম দেওবন্দ মাওলানা সাদ সম্পর্কে তাদের অনাস্থার ফাতওয়া প্রদান করেন বিগত ৫ই ডিসেম্বর ২০১৬ সালে।

তাহলে তাবলিগ বিষয়ে দারুল উলুম দেওবন্দ ও বাংলাদেশের উলামাগণের অবস্থান পরিস্কার করা হয় সর্বোচ্চ ২০১৬ সালের শেষ দিকে এবং ২০১৭ সালে। কিন্তু তাবলিগের সংকট কি এ ফাতওয়া প্রকাশ ও বাংলাদেশের উলামা হযরতের মিটিং এর পর সৃষ্টি হয়েছে?

নিজামুদ্দিন বা কাকরাইলের সাথে সম্পৃক্ত কোন মুরুব্বী বা কোন সাথী এ দাবি কী করতে পারবেন? পারবেন না। কারণ উক্ত ফাতওয়ার কারণে এ সংকট তৈরি হয়নি। এ ঝগড়া অনেক আগের। বহু আগের। সেই ২০১২/১৩ সাল থেকে শুরু। কিংবা আরো পুরোনো।

২০১৪ মুশফিক স্যার মরহুম এবং জনাব ওয়াসীফ সাহেবের গণ্ডগোল তাবলিগি সাথীদের সবারই জানা। তাহলে তাবলিগের চলমান সংকট ২০১৭ সালে সৃষ্ট না ২০১৩ সালে?

উলামাগনের কারণে তৈরি না নিজেদের ক্ষমতার দ্বন্দ নিয়ে তৈরি?

উলামায়ে কেরাম কিছুতেই এ সংকট তৈরির জন্য দায়ী নয়। দ্বন্দ সংঘাত যখন হাতাহাতি, দাড়ি টানাটানি, ক্যাডার বাহিনী দিয়ে মাস্তানী পর্যন্ত গড়ায়, তখন উলামাগণের কাছে এর সমাধানের জন্য চিঠির পর চিঠি আসতে থাকে। আমি অধমের মত নগণ্য ব্যক্তির কাছেও অসংখ্য মেইল ও চিঠি এসেছে বিগত কয়েক বছরে। কিন্তু লজ্জায় চুপ ছিলাম। কাকে বলবো? কিভাবে বলবো? কে মানবে আমার কথা?

দারুল উলুম দেওবন্দ! ঠিক একইভাবে এ সংকটের জন্য দায়ী নয়। দারুল উলুম দেওবন্দ বিশ্বব্যাপী প্রসিদ্ধ একটি দীনী দরসগাহ। ইলমে ওহির বাতিঘর। যেখান থেকে কুরআন ও সুন্নাহের আলো বিচ্ছুরিত হয় দুনিয়াব্যাপী। মাওলানা সাদ সাহেবের কুফরী বক্তব্য নির্ভর বয়ান বিষয়ে দারুল উলুমে প্রশ্ন এলে দীনী দায়িত্ব পালনার্থে তারা মাসআলার সমাধান দিয়েছেন।

ব্যক্তি মাওলানা সাদের বক্তব্যের কুরআন ও হাদিস ভিত্তিক সমাধান পেশ করেছেন। তাবলিগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল বিষয়ে কোন মন্তব্য করেননি। বা তাদের মসনদ দখল করার কোন হীন খাহেশও জাহির করেননি।

সুতরাং এ ফাতওয়া প্রদানকে আরো তিন চার বছর আগে থেকে চলতে থাকা ঝগড়ার ইন্ধনদাতা হিসেবে উপস্থাপন করা ঘৃণ্য ও নীচ মানসিকতা ছাড়া আর কী হতে পারে? সুতরাং প্রতিটি বিবেকবান মানুষের কাছেই পরিস্কার হবার কথা যে, দারুল উলুম দেওবন্দের ফাতওয়া বা বাংলাদেশের উলামাগণের পদক্ষেপ তাবলিগের চলমান সংকটের জন্য কোন অংশেই দায়ী নয়।

এটি তাদের পুরনো ঝগড়া। পুরনো বিবাদ। যা তাদের নিজেদের মজলিশে শুরা সদস্য এবং মুরুব্বীদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা। দেওবন্দ ও বাংলাদেশের শীর্ষ উলামাগণ এর জন্য কোন অংশেই দায়ী ছিলেন না। এখনো নয়। উলামাগণ তাদের মুরুব্বীর আসনে বসার বা নিজে মুরুব্বী সেজে তাবলিগ জামাতকে নিয়ন্ত্রণ করার ইচ্ছে আগেও কখনো জাহির করেননি এখনো নয়। তাই উলামায়ে কেরামকে এ সংকটের জন্য দায়ী করা চরম অপবাদ ছাড়া আর কিছু নয়।

#তাবলিগি ভাই! তোমার মুখের এ কী ভাষা?

তাবলিগকে হেফাজতীরা দখল করতে চায়! পাকিস্তানপন্থী উলামারা তাবলীগের নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়! কওমি মাদরাসায় ছাত্র ভর্তি করার আগে ভেবে নিন আপনার সন্তান কী করবে!

ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিঊন। তাবলিগের সাথী নামধারী কতিপয় সাথীদের উপরোক্ত বক্তব্য নির্ভর ভিডিও যখন দেখি, অঝর ধারায় অধমের চোখ দিয়ে পানি ঝরছিল। যখন কম্পোজ করছি তখনো অধমের চোখগুলো ঝাপসা হয়ে আসছে বারবার। ভিডিওটি দেখার পর থেকে সারারাত বিছানায় এপাশ উপাশ করে কাটিয়েছি। হায়! আমি এ কি দেখলাম? এ কি শুনতে পাচ্ছি? আমি কার জন্য কাঁদি। কার ব্যথায় ব্যথিত হই।

আজকের এ দিনটির জন্যই কি রাতকে দিন বানিয়েছিলাম। রাতের পর রাত নির্ঘুম কাটিয়েছিলাম। আমার তাবলীগ। আমাদের তাবলীগ। আমার তাবলিগি ভাইটা আমাকে, আমাদের এ কী বলছে?

হেফাজতি।
কী এই হেফাজত? হেফাজত কি কোন এক ব্যক্তির দল?
এটি কি শুধুই একটি সংগঠন? না, কস্মিনকালেও না।
এটি একটি আন্দোলন।
ঈমানি আন্দোলন। নবি প্রেমিকের দিলের স্পন্দন।
নাস্তিকের বিরুদ্ধে মুমিনের গর্জন। নবীর দুশমনের বিরুদ্ধে আশেকে রাসূলের হুংকারের নাম হেফাজতে ইসলাম।

হেফাজতের কোন নেতার বিরুদ্ধে আপনার অভিযোগ থাকতেই পারে।
থাকাটাও যৌক্তিক। কিন্তু মূল হেফাজতে ইসলামের সেই স্প্রিট, সেই চেতনার প্রতি আপনি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাতে পারেন না। কোন মুমিন পারে না। এতো নবির প্রতিই দুশমনির নিদর্শন। ‘
হেফাজতী’ বলে গালিটাতো নাস্তিক বা তার দোসরদের। নবির দুশমনের।
কিন্তু হে আমার সাথী।
হে আমার বন্ধু, তোমার জবানে এ গালি উঠলো কি করে?
তোমার ঈমান কোথায়? তোমার বিবেক কোথায়?
তোমাকে কে এমন অন্ধ বানিয়ে দিল? কে তোমাকে এমন বধির বানিয়ে দিল? তুমি কী বলছো একবার ভেবেছো কী?

#পাকিস্তানপন্থী!

যতবার অধমকে আল্লাহ তাবলিগের স্থানীয় মারকাজে যাবার তৌফিক দিয়েছেন। বড়দের কাছাকাছি যাবার চেষ্টা করেছি। বাংলাদেশের অনেক পুরানো সাথীদের জবানে শুনতাম পুরো বিশ্বে তাবলীগের মেহনত ছড়ানোর পিছনে পাকিস্তানীদের একনিষ্ট মেহনতের কথা কেউ অস্বিকার করতে পারবে না। তাদের সাথে জামাতে গেলে কোন নিস্তার নেই।

সারাদিনই দাওয়াত দেবার মেহনতে থাকেন। অনেক কষ্ট করেন। অনেক মুজাহাদা করেন। পাকিস্তানীদের মেহনতের তুলনা হয় না। উম্মতের প্রতি এত দরদ, এত মোহাব্বত পাকিস্তানীদের ছাড়া নজীর পাওয়া ভার। আজকে হঠাৎ সেই পাকিস্তানি তাবলীগের সাথীরা হয়ে গেলেন জঘন্য। নিকৃষ্ট। খারাপ। আফসোস! বড়ই আফসোস!

প্রশ্ন হল, বাংলাদেশের উলামা হযরতগণ কিভাবে পাকিস্তানপন্থী হলেন? উলামাগণের কারণে তো এ সংকট তৈরি হয়নি। তৈরি হয়েছে ভেতরগত কারণে। তাহলে উলামাগণকে পাকিস্তানপন্থী বলে কাকে খুশি করতে চাচ্ছেন? খালিস দ্বীনী এ মেহনতকে আর কত নিচে নামাতে চাচ্ছেন আপনারা?
শেষ পর্যন্ত ভারত পাকিস্তান ইস্যু পর্যন্ত টেনে আনছেন। ইন্নালিল্লাহ। আল্লাহর পানাহ।

#বাংলাদেশের আলেমদের কেন দোষারোপ করেন?

পাকিস্তানে মাওলানা সাদ নিষিদ্ধ। অষ্ট্রেলিয়ার সিডনি থেকে মাওলানা সাদের কট্টর অনুসারীদের পিটিয়ে বের করে দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশে মাওলানা সাদকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপ। একই হালাত ভারতে।
একই অবস্থা লন্ডনসহ পুরো বিশ্বে। পাকিস্তান, অষ্ট্রেলিয়া, লন্ডন, ভারতে এই গ্রুপিং এর জন্য কি বাংলাদেশের উলামাগণ দায়ী?
অষ্ট্রেলিয়া, ভারত, লন্ডনের মাওলানা সাদ বিরোধীরাও কী পাকিস্তানপন্থী?

বাংলাদেশের উলামাগণ তাবলিগের মারকাজের মুরুব্বী সাজতে আগেও যেমন আগ্রহী ছিলেন না। এখনো নয়। আর এ সংকটের জন্য বাংলাদেশের উলামাগণ মোটেও দায়ী নয়। তাই বাংলাদেশের সম্মানিত উলামা হযরত, এবং দারুল উলুম দেওবন্দের সেরেতাজ উলামাগণকে দোষারোপ করে নিজের আমলনামায় গোনাহ না লিখাতে সকল সাথীদের প্রতি উদাত্ত আহবান করছি।

#শেষ কথা

কী লিখবো? কিভাবে লিখবো? বুঝতে পারি না। যদি আমার চোখের পানিতে জমিন ভিজে গেলে থেমে যেতো এ বিতর্ক, তবে আমি তাই করতাম। চিৎকার করে কাঁদতাম। মাতম করে কাঁদতাম।

এ কোন সময়ে আসলাম? এও কী দেখতে হল? কী বলে সান্ত্বনা দেব নিজেকে? ভাষা নেই। সমঝ যেখানে থমকে গেছে। বুদ্ধি যেখানে স্তব্ধ। জবান যেখানে বাকরুদ্ধ। কলম যেখানে নিথর। কিছু বলতে পারি না। অসহ্য এক দাহনে জ্বলছি। পুড়ে ছাই হচ্ছে সব। চিৎকার করতে পারি না। কলজে ছেড়া ব্যথায় কুঁকড়ে যাচ্ছে সব, মুখ ফুটে বলতে পারি না কিছুই।

আহ! আর কতোদিন এ অসহ্য দাহনে জ্বলবো জানি না।
হে মালিক! পারওয়ার দিগার। তোমার রহমান গুণের কসম লাগে মালিক! এ যাতনা দূর কর। এ সংকট সমাধান করে দাও। ফিরিয়ে দাও স্থিতিশীলতা।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মনে তোমার ভয় দিয়ে দাও।
সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হবার তাওফিক দাও।
এ মকবুল মেহনতকে তার সেই পূর্বের রূহানী পরিবেশে ফিরিয়ে দাও।

আমাদের সকলকে তোমার গোলাম হিসেবে কবুল কর। আমীন।

আল্লাহ পাক আমাদের হক বুঝার তাওফিক দিন আমিন।

এম এম আবদুল্লাহ  ভূঁইয়া