Translate

সোমবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১২

বাংলা ব্লগের শুরুঃবাংলা ব্লগ দিবসঃব্লগ থেকে বাংলা ই-বুকঃ



 ইন্টারনেটের দুনিয়ায় বিভিন্ন দেশের নিজ নিজ ভাষার রয়েছে শক্ত অবস্থান। নিজের মাতৃভাষায় নানা ধরনের কার্যক্রম ইন্টারনেটে চালিয়ে যাচ্ছেন অনেকেই। ইন্টারনেটে ব্লগ ধারণাটি এসেছে অনেক দিন হলো। ব্লগকে বলা যায় অনলাইন দিনপঞ্জি। শুরুতে ওয়েব ব্লগ নাম হলেও পরে ব্লগ নামের যাত্রা শুরু হয় ইন্টারনেটে ইচ্ছেমতো মত প্রকাশের এ জায়গাটির। শুধু একটি বিষয়েই সীমাবদ্ধ থাকেনি ব্লগ। রাজনীতি, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান থেকে শুরু করে সাহিত্যচর্চায়ও ব্যবহার হচ্ছে ব্লগ। ভার্চুয়াল দুনিয়ায় পরস্পরের কাছে নিজের কথা আর সবার কথা জানতে, জানাতে ব্লগের বিকল্প নেই। ভিনদেশি বিভিন্ন ভাষায় অনেক আগে শুরু হলেও ওয়েবে বাংলা ব্লগের যাত্রা শুরু হয় ২০০৫ সালে। শুধু মনের ভাব প্রকাশই নয়, সারা বিশ্বের বাঙালিদের ভার্চুয়াল মিলনমেলা হয়ে উঠেছে বাংলা ব্লগ। নিজ ভাষায় মত প্রকাশের দারুণ এক মাধ্যম হয়ে উঠছেব্লগসাইটগুলো।

বাংলা ব্লগের শুরুঃ
শুরুর দিকে ইন্টারনেটের বিশাল দুনিয়ায় বাংলায় ব্লগ শুরু হয়েছে কিছু মানুষের ব্যক্তিগত আগ্রহে। তবে ব্যাপকভাবে এ কাজটি সামহোয়্যার ইন ব্লগের (http://www.somewhereinblog.net) হাত ধরে শুরু হয় ২০০৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর। ‘বাঁধ ভাঙার আওয়াজ’ স্লোগানে ব্লগ-দুনিয়ায় বাংলার আগমন ঘটে এবং ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে ব্লগের জনপ্রিয়তা।

ইন্টারনেটে মাতৃভাষাকে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যই শুরু হয়েছিল বাংলা ব্লগ। ইন্টারনেট বাংলা ভাষা চর্চার এ কাজটির ফলে বর্তমানে ভার্চুয়াল দুনিয়ায় নিজের ভাষায় লিখে চলছেন অনেকেই। সামহোয়্যার ইনের যাত্রা শুরুর পর

২০০৭ সালে আসে আরেকটি ব্লগসাইট সচলায়তন (http://www.sachalayatan.com)। এরপর চালু হয় আমার ব্লগ (http://www.amarblog.com)।

২০০৮ সালের নভেম্বরে প্রথম আলো ব্লগের (http://www.prothom-aloblog.com) যাত্রা শুরু হলে বাংলায় ব্লগচর্চা আরও বেগবান হয়।

প্রতিটি ব্লগেই বাংলায় মতামত প্রকাশ করে যাচ্ছেন অসংখ্য ব্লগার। শুধু যে বয়স্ক একদল লোকই করে যাচ্ছেন কাজটি, তা নয়। শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে নানা বয়সী ব্লগাররা মনের আনন্দে মাতৃভাষায় লিখে যাচ্ছেন নানা কথা। প্রথম আলো ব্লগের বিভাগীয় সম্পাদক সালাহ উদ্দিন জানান, ইন্টারনেটে বাংলা ভাষার ব্যবহারকে সহজ করে তুলেছে বাংলা ব্লগ। শুধু তা-ই নয়, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা ও গণতান্ত্রিক মানসিকতা তৈরিতে ব্লগ রাখছে বিশেষ ভূমিকা। এমন আয়োজন আর শেখার ব্যাপারটি বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব। শুধু এ মাধ্যমই নয়, কারিগরিভাবেও বর্তমানে বাংলা ব্লগের রয়েছে বিশেষ অবস্থান।

ব্লগাররাই প্রাণঃ
বাংলা ব্লগের শুরু থেকে এর চাহিদা ও ব্যবহার বেড়েই চলছে। কারিগরিভাবেও এর উত্তরোত্তর উন্নতি হচ্ছে। সামহোয়্যার ইন ব্লগে বর্তমানে নিবন্ধিত ব্লগারের সংখ্যা ৪১ হাজার এবং প্রতিদিনই বাড়ছে এ সংখ্যা—জানালেন সৈয়দা গুলশান ফেরদৌস। অন্যান্য বাংলা ব্লগেও বেড়ে চলছে ব্লগারের সংখ্যা।

বাংলা ব্লগের এমন অবস্থান আর উত্তরণ বিভিন্ন ধরনের সামাজিক যোগাযোগ সাইটসহ অন্যান্য ওয়েবসাইটের চেয়ে শিক্ষার্থীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে, জানালেন সালাহ উদ্দিন। একটি ব্লগেই নয়, প্রতিটি ব্লগ সাইটেই রয়েছে ব্লগাররা। প্রথম আলো ব্লগে বর্তমানে নিবন্ধিত ব্লগারের সংখ্যা ১৫ হাজার। ব্লগে যাঁরা লিখে থাকেন, সেসব ব্লগারই আবার অন্য একজনের ব্লগে নিজের মতামত দিয়ে থাকেন। মন্তব্য করেন অন্যের লেখা সম্পর্কে। ব্লগের শুধু যেমন পাঠক রয়েছে, তেমনি একজনই লেখক এবং পাঠক হিসেবেও চালিয়ে যাচ্ছেন ব্লগিং। ব্লগিংকে বর্তমানে খুব সহজে মতপ্রকাশের বিকল্প মাধ্যম হিসেবে বলা যায়, বললেন ব্লগার আইরিন সুলতানা।

কয়েকটি বাংলা ব্লগ আত্মপ্রকাশ করায় তৈরি হয়েছে বিভিন্ন শ্রেণীর ব্লগার, যাঁরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লিখছেন। তবে ইন্টারনেটে বাংলায় লেখার এ সুবিধাটি ব্যবহারকারীদের আকৃষ্ট করছে আর সঙ্গে সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলা ব্লগের ব্যাপ্তি, জানালেন ব্লগার মিলন।
কিছুটা ভিন্নমতও রয়েছে। ব্লগার একরামুল হক বলেন, ভবিষ্যতে বাংলা ব্লগের বিস্তার, কোথায় এর গন্তব্য—এসব নিয়ে চিন্তার সময় এসেছে। বাংলা ব্লগ যেমন ইন্টারনেটে বাংলায় ব্লগ লেখার সুযোগ দিচ্ছে, তেমন বিভিন্ন ধরনের বাংলা লেখার পাঠকও তৈরি করছে, বললেন ব্লগার নদী। আরেকটি ব্যাপারও তৈরি হচ্ছে বাংলা ব্লগের কারণে। নিজেদের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান আর ব্লগারদের মধ্যে তৈরি হওয়া সম্পর্কের সূত্র ধরে নানা ধরনের কার্যক্রমও সম্ভব, জানালেন ব্লগার রাতমজুর। তবে ব্লগের মাধ্যমে সৃষ্টি হচ্ছে লেখকও।

ব্লগার সুলতানা শিরিনের মতে, বাংলায় ব্লগ থাকায় তৈরি হচ্ছে লেখক, যাঁদের পাঠক নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। কারণ, ব্লগে যাঁরা লেখক, তাঁরা পাঠকও। ব্লগার নাঈম মনে করেন, নিজের ভাষায় লেখালেখির অভ্যাস তৈরির ক্ষেত্রে বাংলা ব্লগের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।

প্রতিদিনের নানা পছন্দ আর মজার জিনিস ছাড়াও নানা বিষয় জানাও সহজ হয় ব্লগের কারণে। পাশাপাশি ইন্টারনেটে সহজে বাংলা লেখার ক্ষেত্রটিও বেশ ভালো এমনই মতামত ব্লগার নয়নের। ব্লগারদের আগ্রহ আর ভালোবাসায় এগিয়ে চলছে বাংলা ব্লগের যাত্রা আর ইন্টারনেটে বাড়ছে বাংলার ব্যবহার।

বাংলা ব্লগ দিবসঃ
বাংলা ভাষায় ব্লগের এগিয়ে যাওয়াটা সুন্দর করে তুলতে ঘোষণা করা হয়েছে বাংলা ব্লগ দিবস। বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য একটি বিশেষ দিন, যা বাংলা ব্লগকে তুলে ধরবে, ব্লগের ব্যাপারে সবাই জানবে এমনই উদ্দেশে ১৯ ডিসেম্বরকে বাংলা ব্লগ দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। গত বছরই এ দিনটি বিশেষভাবে পালন করে সামহোয়্যার ইন ব্লগ। প্রতিবছর দিনটিকে বাংলা ব্লগ দিবস হিসেবে পালন করা হবে।

ব্লগ থেকে বাংলা ই-বুকঃ
বাংলা ব্লগ শুধু নিজস্ব লেখাতেই সীমাবদ্ধ নয়। ব্লগারদের বিভিন্ন লেখা নিয়ে প্রকাশিত হয় নানা ধরনের আয়োজন। গত বছর মুক্তিযুদ্ধের ওপর ব্লগারদের উল্লেখযোগ্য লেখা নিয়ে বের হয়েছিল ফিরে দেখা ৭১ নামের একটি ই-বুক। এ ছাড়া প্রতিবছর বইমেলায় ব্লগের উল্লেখযোগ্য লেখা নিয়ে বের হয় অপরবাস্তব নামে একটি গ্রন্থ। এমনই সব আয়োজন হয় ব্লগ আর ব্লগার সম্মিলনে।

বাড়ছে বাংলা ব্লগের সংখ্যাঃ
ইন্টারনেটে বাংলা ব্লগের সংখ্যা বাড়ছে ধীরে ধীরে। কমিউনিটি ব্লগিংয়ের সুবিধা সবার কাছে পৌঁছাতে এগিয়ে চলছে বাংলা ব্লগ। শুধু নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ই নয়, নানা বিষয়ে বাড়ছে বাংলা ব্লগের সংখ্যা। ক্যাডেট কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ক্যাডেট কলেজ ব্লগ (http://www.cadetcollegeblog.com), প্রযুক্তিবিষয়ক নানা তথ্য নিয়ে রয়েছে কম্পিউটার জগত্ ব্লগ (http://www.blog.comjagat.com) এবং টেকটিউনস ব্লগ (http://www.techtunes.com.bd)। এসব ব্লগেও নিয়মিতভাবে মত প্রকাশ আর ভালো লাগার কাজটুকু করে যাচ্ছেন ব্লগাররা। আর বেড়ে চলছে বাংলা ব্লগের জনপ্রিয়তা। থেমে নেই ব্লগারদের নিজেদের মধ্যে সম্পর্কের ব্যাপ্তি। বিভিন্ন আয়োজনে যেমন হচ্ছে ব্লগারদের আড্ডা, তেমন নানা ধরনের সাহায্যমূলক কাজে এগিয়ে আসছেন ভার্চুয়াল জগতের মানুষগুলো। বাংলা লেখার ক্ষেত্রে ব্লগগুলো শুধু ক্ষেত্র তৈরি করেই শেষ করেনি কাজ। এখানে নিজের মতো করে লেখা কিংবা নানা ধরনের কাজ ছড়িয়ে দেওয়ার বিষয়টিকে সহজ করে দিয়েছে।

ব্লগ ভালোভাবে এগিয়ে নিতে ব্লগারদের মতামতকে মাথায় রেখে থাকছে নীতিমালা, যা ব্লগার মেনে নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন ব্লগিং। এভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে বাংলা লেখার মাধ্যম আর ইন্টারনেটে ছড়িয়ে যাচ্ছে বাংলা। ইন্টারনেটে বাংলায় কোনো কিছু লিখে সার্চ দিলে শুরুতেই চলে আসে বাংলা ব্লগারদের নানা লেখা, যা বাংলায় তথ্য খোঁজার আগ্রহকে বাড়িয়ে দেয়। এমনই সব আয়োজন নিয়ে এগিয়ে যাক নিজের ভাষার ব্লগ।

সুত্রঃ-------------
মায়ের ভাষায় ব্লগচর্চা
নুরুন্নবী চৌধুরী | তারিখ: ১৯-০২-২০১০

শনিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১২

যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে 01

যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে

মেহেদী হাসান
তারিখ: ৩০ ডিসেম্বর, ২০১২
মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার ইস্যুতে সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক মহলের চাপ বাড়ছে। স্কাইপ কেলেঙ্কারি ফাঁস হওয়ার পর এই বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে বিতর্ক আরো বেড়েছে। বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার পক্ষ থেকে বিচারের স্বচ্ছতা, আন্তর্জাতিক মানের অভাব এবং রাজনৈতিক ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
বিচারের শুরু থেকে ১৯৭৩ সালের আইন এবং বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে তীব্র সমালোচনা করে আসছেন আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক বিশ্বের প্রভাবশালী বিভিন্ন সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইন বিশেষজ্ঞরা। ট্রাইব্যুনালের সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হকের স্কাইপ কথোপকথন ফাঁসের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বের অনেক প্রভাবশালী দেশ এ বিচার নিয়ে সরাসরি বাংলাদেশ সরকারকে উদ্দেশ করে তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। ন্যাটো জোটভুক্ত দেশ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ গুলের চিঠি নিয়ে ইতোমধ্যে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপড়েন সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিচারকে কেন্দ্র করে আরো অনেক প্রভাবশালী মুসলিম দেশের সাথে বাংলাদেশের তিক্ত সম্পর্ক সৃষ্টি হতে পারে। এমনকি বাংলাদেশ মুসলিম বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছে আন্তর্জাতিক মহল থেকে। সম্প্রতি সুদান ও সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত মুসলিম বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ এবং ইসলামিক স্কলারদের সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে।
৪১ বছর আগে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নিয়ে শুরু থেকেই বাংলাদেশের প্রতি তীè নজর ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অনেক প্রভাবশালী দেশ, সংস্থা ও ব্যক্তিদের। স্কাইপ কেলেঙ্কারির ফলে এখন গোটা বিশ্বের নজর কেড়েছে এ বিচার। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও এই বিচারপ্রক্রিয়ার খবর যথেষ্ট গুরুত্বের সাথে প্রকাশ পাচ্ছে। ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হকের কেলেঙ্কারি ফাঁস হওয়ার ফলে এক দিকে যেমন সরকার দেশের অভ্যন্তরে এ বিচার নিয়ে নাজুক অবস্থায় পড়েছে, তেমনি বাড়ছে আন্তর্জাতিক মহলের চাপ। বিশেষ করে মুসলিম বিশ্বের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, ইসলামপন্থীদের দমনের লক্ষ্যে সরকার এ বিচারের আয়োজন করেছে। বাংলাদেশে এভাবে ইসলামপন্থীদের দমন অব্যাহত থাকলে মুসলিম দেশ হিসেবে তারা চুপ করে থাকতে পারে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে।
তুরস্কের সাথে সম্পর্কের অবনতি : ইতোমধ্যে যুদ্ধাপরাধ বিচার ইস্যুতে প্রভাবশালী দেশ তুরস্কের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। যুদ্ধাপরাধ বিচার নিয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি পাঠিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ গুল। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের টানাপড়েন চলছে। ঢাকাস্থ তুরস্কের দূতাবাসের পক্ষ থেকে গত ২৩ ডিসেম্বর আবদুল্লাহ গুলের চিঠি পৌঁছে দেয়া হয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। এরপর সে চিঠি রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়। এ চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৬ ডিসেম্বর বুধবার ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। আবদুল্লাহ গুলের চিঠিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল আখ্যায়িত করে এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের অসন্তোষের কথা জানিয়ে দেয়া হয় তুরস্কের রাষ্ট্রদূতকে। এর পাল্টা জবাব হিসেবে পরের দিন বৃহস্পতিবার তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে তুরস্ক সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করা হয় তাকে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট তার চিঠিতে বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচারপ্রক্রিয়ার কারণে অর্থাৎ শীর্ষ ইসলামপন্থী নেতাদের শাস্তি দেয়া হলে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক আর্থসামাজিক অগ্রগতি ব্যাহত হতে পারে। এর ফলে সামাজিক অস্থিতিশীলতা ও রক্তপাতের আশঙ্কা রয়েছে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরো ক্ষুণœ হতে পারে।
বিচার বিষয়ে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখা ছাড়াও তুরস্ক থেকে ১৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল পাঠানো হয় যুদ্ধাপরাধ বিচার বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নেয়ার জন্য। গত ২০ থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকা সফর করেন তারা। তুরস্ক প্রতিনিধিদলের সফর নিয়েও দুই দেশের সম্পর্কে নেতিবাচক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
এ দিকে সরকারের সমর্থনপুষ্ট সংগঠন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি (ঘাদানিক) তুরস্কের প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে নানা ধরনের বিষোদগারমূলক অপপ্রচারে নেমেছে। বাংলাদেশের অন্যতম বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র ও বাণিজ্যের অংশীদার দেশটির ক্ষমতাসীন দল ও প্রেসিডেন্টকে মৌলবাদী ও সন্ত্রাসী দলের সাথে যুক্ত বলে মন্তব্য করা হয়েছে। সরকারসমর্থক সংগঠনের এ ধরনের ঢালাও মন্তব্য দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ককে আরো অবনতির দিকে নিয়ে যেতে পারে।
তুরস্ক ছাড়াও মরক্কো, লিবিয়া, মিসর, তিউনিসিয়াসহ অনেক দেশের সরকারি নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি বিরোধী নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের এ বিচার বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন। বিভিন্ন দেশের পক্ষ থেকে রাজপথে কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে এ বিচার বন্ধের দাবি জানিয়ে। জাতিসঙ্ঘ ও ওআইসিকে এ বিচারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে।
মুসলিম বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার হুঁশিয়ারি : গত ১২ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পবিত্র মক্কা নগরীতে আন্তর্জাতিক ফিকাহ বোর্ডের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বাংলাদেশে আলেম ও ধর্মীয় নেতাদের ওপর রাষ্ট্রীয় নির্যাতন বন্ধ এবং কারারুদ্ধ ইসলামি চিন্তাবিদ ও নেতৃবৃন্দের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সৌদি গ্র্যান্ড মুফতি শায়খ আবদুল আজিজ বিন আবদুল্লাহ আল শায়খ। ফিকাহ বোর্ডের ২১তম এই বোর্ড সভা উদ্বোধন করেন মক্কার গভর্নর প্রিন্স খালেদ আল ফয়সাল। সভায় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলা হয়, বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠার জন্য যেসব চেষ্টা চালানো হচ্ছে, তাতে দেশটি মুসলিম উম্মাহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে।
এর আগে গত ১৫ নভেম্বর থেকে সুদানের রাজধানী খার্তুমে তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক ইসলামি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। মুসলিম বিশ্বের ১৫০টি দেশের শীর্ষস্থানীয় ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও ইসলাম বিশেষজ্ঞরা এতে অংশ নেন। সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশের ইসলামি আন্দোলনের নেতাকর্মীরা এক বিভীষিকাময় সময় পার করছেন। এ সময় মুসলিম উম্মাহ নীরব থাকতে পারে না। তারা বাংলাদেশ সরকারকে দমন-পীড়ন পরিহার করার আহ্বান জানান। এই সম্মেলন থেকেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে যদি এভাবে ইসলামপন্থীদের ওপর দমন-পীড়ন অব্যাহত থাকে, তবে বাংলাদেশ মুসলিম বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারে। ইসলামপন্থীদের ওপর সরকারের দমন-নির্যাতন বন্ধ না হলে আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিবাদ করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয় সম্মেলনে।
ইসলামিক মুভমেন্ট অব সুদানের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. আলী ওসমান সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সুদানের প্রেসিডেন্ট ড. ওমর আল বশির। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইখওয়ানুল মুসলিমিনের মুর্শিদে আম ড. মোহাম্মদ বদিই। অন্যান্যের মধ্যে তিউনিসিয়া বিপ্লবের নায়ক ইসলামি চিন্তাবিদ রশিদ আল ঘানুসি, তুরস্কের ড. একমেলেদ্দিন, পাকিস্তান জামায়াতের আমির মুনাওয়ার হাসান প্রমুখ।
মরক্কো, আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া, লিবিয়া, মিসর, জর্ডান, সিরিয়া, তুরস্ক, ইরান, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, কয়েত, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন। বক্তারা অধ্যাপক গোলাম আযমসহ অন্য নেতাদের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করেন।
লিবিয়ার সংসদে ট্রাইব্যুনাল বিষয়ে লিখিত প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া মরক্কোসহ বিভিন্ন দেশের ইসলামপন্থী দলের পক্ষ থেকে সেসব দেশের সরকারের প্রতি পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানানো হয়েছে। মুসলিম বিশ্বের প্রভাবশালী নেতা তিউনিসিয়ায় শুরু হওয়া আরব বসন্তের নেপথ্য নায়ক রশিদ আল ঘানুশি বাংলাদেশের এ বিচার বিষয়ে জনমত যাচাইয়ের জন্য গণভোট আয়োজনের আহ্বান জানান বাংলাদেশের প্রতি।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের চাপ : লন্ডন থেকে প্রকাশিত বিশ্বখ্যাত সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্ট বিচার শুরুর পর থেকে বেশ কয়েকটি প্রতিবেদনে স্পষ্ট করে অভিযোগ করেছে, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমনের জন্য এ বিচারের আয়োজন করা হয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বন্দী নেতাদের কে কোন দলের, সে পরিচয়ও নির্দিষ্ট করে উল্লেখ করেছে ইকোনমিস্ট। বেশ কয়েকবার একই অভিযোগ করা হয়েছে সৌদি আরবের প্রভাবশালী পত্রিকা সৌদি গেজেটে। এ ছাড়া গালফ নিউজসহ মধ্যপ্রাচ্যের আরো অনেক প্রভাশালী দৈনিকে এ বিচারের তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে। দ্য ইকোনমিস্ট স্কাইপ সংলাপ বিষয়ে গত ১৫ ডিসেম্বর প্রকাশিত প্রতিবেদনে মন্তব্য করেছে সম্পূর্ণ বিচার আবার শুরুর প্রয়োজন হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত সর্বাধিক প্রচারিত দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে গত ২১ ডিসেম্বর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়েছে এই বলে যে, যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে রাজনৈতিক হস্তপে নিয়ে বাংলাদেশ সরকারবিরোধী দল ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর কাছ থেকে ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে রয়েছে। ট্রাইব্যুনালকে নিয়ে যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, তাতে বিচারপ্রক্রিয়ার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। এতে বিচার পথচ্যুত হতে পারে এবং রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব আরো প্রকট হতে পারে।
ট্রাইব্যুনালের প্রথম মামলা তথা জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলার রায় চলতি মাসে হওয়ার কথা থাকলেও হস্তেেপর অভিযোগের পর এখন এ মামলা নিয়ে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে।
বাংলাদেশ সরকার ওয়াদা করেছিল তারা আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজ শেষ করবে। কিন্তু বাংলাদেশের বিরোধী দলগুলো অভিযোগ করেছে, বিচারপ্রক্রিয়াকে সরকার রাজনীতিকীকরণ করেছে। যে ১০ জনের বিচার হচ্ছে, তাদের প্রায় সবাই বিএনপির মিত্র ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল জামায়াতের নেতা।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘ট্রাইব্যুনাল পপাতদুষ্ট বলে সরকারবিরোধীদের অভিযোগের ভিত্তি হলো যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক ও বেলজিয়াম প্রবাসী আইনজীবী আহমেদ জিয়াউদ্দিনের মধ্যে দীর্ঘ কথোপকথন। গত আগস্ট থেকে অক্টোবরের মধ্যে অনুষ্ঠিত ছয়টি কথোপকথনের অনুলিপি পর্যালোচনা করে দেখেছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। তাদের কেউই এই কথোপকথনের নির্ভুলতা নিয়ে মন্তব্য করেননি।’
প্রায় একই ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণাধর্মী সাময়িকী ফরেন পলিসিতে। এ ছাড়া হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতো মানবাধিকার সংগঠনের পক্ষ থেকে বিচারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ও মাওলানা সাঈদীর সাক্ষী সুখরঞ্জন বালী গুম হওয়ার বিষয় নিয়ে একাধিকবার উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
স্কাইপ সংলাপ ফাঁসের পর বিশ্বের বিভিন্ন অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশীরাও আন্দোলনে নেমেছেন। ট্রাইব্যুনাল ভেঙে দেয়ার দাবিতে তারা কোয়ালিশন অব বাংলাদেশ আমেরিকা অ্যাসোসিয়েশন নিউ ইয়র্কে জাতিসঙ্ঘ সদর দফতর ও বাংলাদেশ কনস্যুলেটের সামনে বিােভ করেছেন। বৃহস্পতিবার জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব বান কি মুনের বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা। একই দাবিতে কোয়ালিশন নিউ ইয়র্কে অবস্থিত বাংলাদেশ কনস্যুলেটের মাধ্যমে সরকারের কাছেও স্মারকলিপি দেয়।
ব্রিটেনের প্রবীণ রাজনীতিবিদ ব্যারন অ্যাভেবারি (এরিক লুবক) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারপ্রক্রিয়া আবার নতুন করে শুরু করার আহ্বান জানান। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের উচ্চক এবং পার্লামেন্টারি হিউম্যান রাইটস গ্রুপের সদস্য লর্ড অ্যাভেবারি বলেছেন, ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম নতুন করে শুরুর ব্যাপারে চাপ দিতে ইন্টারন্যাশনাল বার অ্যাসোসিয়েশনের এগিয়ে আসা উচিত। তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রতি ইন্টারন্যাশনাল বার অ্যাসোসিয়শনের বক্তব্য নেয়ার আহ্বান জানান। বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের যুদ্ধাপরাধবিষয়ক বিশেষ দূত স্টিফেন জে র‌্যাপ বিচারের স্বচ্ছতা ও আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখার জন্য বেশ কিছু সুপারিশ করেছিলেন। সেসব সুপারিশ বিচারিক কার্যক্রমে গ্রহণ করা হয়নি।

http://www.dailynayadiganta.com/new/?p=77933


মঙ্গলবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১২

আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় সমাবেশ ,r মিসরের সংবিধানে ইসলামপন্থীদের চূড়ান্ত বিজয়

মিসরের খসড়া সংবিধানের উপর দ্বিতীয় দফা ভোটে ১৭ জেলায় ৭১.৬ শতাংশ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চূড়ান্ত বিজয় লাভ করেছে মুসলিম ব্রাদারহুডসহ ইসলামপন্থীরা। বিপরীতে বামপন্থীরা পেয়েছে ২৮.৪ শতাংশ। ২৫ মিলিয়ন ৪৯০ হাজার ২৩৭ জন ভোটারের মধ্যে দ্বিতীয় দফা নির্বাচন সম্পন্ন হয়। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বের নির্বাচনে ৬৪.৫ শতাংশ ভোটে বিজয় লাভ করে ইসলামপন্থীরা।

সংবিধানের পক্ষে মিসরের গণরায়কে স্বাগত জানিয়েছেন প্রাচীন আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়য়ের প্রধান ড. আহমদ তইয়্যেব ও মুসলিম ব্রাদারহুড প্রধান ড. মুহাম্মাদ বদিইসহ বিশিষ্টজনেরা। তাছাড়া আল আযহারী সংগঠন শুকরিয়া আদায়ের লক্ষ্যে সমাবেশ করেছে। তবে আল বারাদী, আমর মুসা ও হামদীন সবাহীসহ বামজোট সরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণার আগে কোন মন্তব্য করতে নারাজ।

কাফরুশ শেখ কেন্দ্রে কারচুপির অভিযোগ তুলে বামজোট। ফলে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণায় দেরী হবে বলে জানান নির্বাচন কমিশনার। তাছাড়া গণভোটের পরিপন্থী কোন অন্যায় মেনে নেবে না বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান আব্দুল ফাত্তাহ সিসি। অন্যদিকে নতুন সংবিধানে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদবী না থাকায় ফলাফল ঘোষণার এক ঘণ্টা আগেই পদত্যাগ করেন বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহমুদ মাক্কী। মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রতিষ্ঠাতা হাসান আল বান্নার স্মৃতি বিজড়ীত ইসমাইলিয়াতে সংবিধানের পক্ষে পেয়েছে ১,৭৯,৯০৫ ভোট আর বিপক্ষে পেয়েছে ৭৬,৯০৫ ভোট লুকচুর জেলায় পক্ষে পেয়েছে ১,৩৩,৭৬৪ ভোট আর বিপক্ষে পেয়েছে ৪০,৭০৭ ভোট। লোহিত সাগর জেলায় ৬৪ টি ভোট কেন্দ্রের পক্ষে পেয়েছে ৪৪,১৩৭ ভোট আর বিপক্ষে পেয়েছে ২৬,৩১৫ ভোট। গিজা জেলায় মোট ভোটারের সংখ্যা ১,৪৮,২৬০২ জনের মধ্যে পক্ষে পেয়েছে ৭০ শতাংশ আর বিপক্ষে ৩০ শতাংশ। বুহায়রা জেলায় মোট ভোটারের সংখ্যা ১০,৮৫,১৬১ জনের মধ্যে পক্ষে পেয়েছে ৭৫ শতাংশ আর বিপক্ষে পেয়েছে ২৫ শতাংশ। আল মিনিয়ায় ভোটারের সংখ্যা ১০,৫২,২২৪ জনের মধ্যে পক্ষে পেয়েছে ৮৪ শতাংশ আর বিপক্ষে পেয়েছে ১৬ শতাংশ। কালুবিয়া জেলায় ৮,৩২,৫২০ ভোটারের মধ্যে পক্ষে পেয়েছে ৬০ শতাংশ আর বিপক্ষে পেয়েছে ৪০ শতাংশ। মুনুফিয়াতে ৭,৪৬,৩৮৫ ভোটারের মধ্যে পক্ষে পেয়েছে ৪৯ শতাংশ আর বিপক্ষে পেয়েছে ৫১ শতাংশ। কাফরুশ শেখ ৫৫,৩১২ ভোটারের মধ্যে পক্ষে পেয়েছে ৬৭ শতাংশ আর বিপক্ষে পেয়েছে ৩৩ শতাংশ। কেনায় ৩,৬২,৩২৯ ভোটারের মধ্যে পক্ষে পেয়েছে ৮৫ শতাংশ আর বিপক্ষে পেয়েছে ১৫ শতাংশ। ফাইয়ুম ৫,৪৩,১৮৯ ভোটারেরে মধ্যে পক্ষে পেয়েছে ৮৯ শতাংশ আর বিপক্ষে পেয়েছে ১১ শতাংশ। বনি সুইফ জেলায় ৫,৪৬,৯১৭ ভোটারের মধ্যে পক্ষে পেয়েছে ৮৫ শতাংশ আর বিপক্ষে পেয়েছে ১৫ শতাংশ। দুমিয়াতে ৩,১৯,৪৯২ ভোটারের মধ্যে পক্ষে পেয়েছে ৬৪ শতাংশ আর বিপক্ষে পেয়েছে ৩৬ শতাংশ। লুকচুরে ১,৮৫,৫৪৮ ভোটারের মধ্যে পক্ষে পেয়েছে ৭৭ শতাংশ আর বিপক্ষে পেয়েছে ২৩ শতাংশ।

পোর্ট সৈয়দ জেলায় ১,৬৬,৯৩১ ভোটারের মধ্যে পক্ষে পেয়েছে ৫১ শতাংশ আর বিপক্ষে পেয়েছে ৪৯ শতাংশ। সুয়েচ জেলায় সরকারিভাবে ১,৪৪,২৮৫ ভোটারের মধ্যে পক্ষে পেয়েছে ৭০ শতাংশ আর বিপক্ষে পেয়েছে ৩০ শতাংশ। মাসরা মাত্রুহ জেলায় ৭৬,৭০৯ ভোটারের মধ্যে পক্ষে পেয়েছে ৯২ শতাংশ আর বিপক্ষে ৮ শতাংশ। লোহিত সাগর জেলায় ৭০,৩৭৬ ভোটাররে মধ্যে পক্ষে ৬৩ শতাংশ আর বিপক্ষে ৩৭ শতাংশ। আল ওয়াদী জাদিদ জেলায় ৪৭,৭৭৫ ভোটারেরে মধ্যে পক্ষে পেয়েছে ৮৭ শতাংশ আর বিপক্ষে পেয়েছে ১৩ শতাংশ। আল মিনিয়াতে ৭,৬৩,৭২৯ ভোটারের মধ্যে পক্ষে ৮৪ শতাংশ আর বিপক্ষে ১৬ শতাংশ। খসড়া সংবিধানের গত নির্বাচনে ইসলামপন্থীরা ৫৭ শতাংশ ভোট পেয়েছে আর এবারে ৭১ শতাংশ ভোটে বিজয় লাভ করেছে সংবিধানের পক্ষের শক্তি। সরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হবে সোমবার। এই সংবিধানে কোন বিপক্ষ নেই বরং সকল নাগরিকের অধিকার সংরক্ষণ হবে বলে জানান কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়য়ের সংবিধান বিশেষজ্ঞ হামজা মাহমুদ। তিনি বলেন, এর ফলে বিশ্বে মুসলিমদের পক্ষে বিশাল শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ হল। আর মিসর যে আসলেই ইসলামপন্থীদের ঘাঁটি তা আবার প্রমাণিত হয়েছে। ইসলামপন্থীদের বিজয়ের ফলে মিসরজুড়ে সিয়াম পালনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে তারা।
 http://www.dailysangram.com/news_details.php?news_id=104840

 

শনিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১২

আমার ছোট্ট মনি নাফিজুল ইসলাম মাছরুর,আল্লামা সাঈদীকে ভাল লাগার কথা

আমার ছোট্ট মনি ,নাম তার নাফিজুল ইসলাম মাছরুর সবে মাত্র নূরানী মাদ্রাসার নার্শারীতে পড়ে, বয়স ৬ বৎসরের কানায় কানায় , কিন্তু মাদ্রাসায় আসা যাওয়ার প্রাক্কালে হয়তো বডদের মুখে শুনেছে , সাঈদী হাছিনা আর শেখ মুজিবের দল ৷ তবে মাশাআল্লাহ যাই শুনে তাই ঘরে এসে দাদা দাদী ও তার আম্মুর সাথে খোশ গল্পে মেতে উঠে , যদিও আমি সেই গল্প শুনতে পাইনা ৷ ছোট্ট মনীদের রিজীকের তাড়নায় আমাকে তাদের থেকে অনেক দূরেই অবস্হান করতে হয়েছে ৷আর বডরা ও খুব মজা করে শুনার অপেক্ষায় থাকে ৷








আমার সেই ছোট্ট মনি সকলের কাছে দোয়া চাই যেন ভবিষ্যতে এক জন দেশ বরেন্য আলেমে দ্বীন হিসাবে গঠন করতে পরি






ছোট্ট মনি তার ভাইয়ের সাথে

এমননি এক দিন হঠাৎ এসে বললো দাদু- দাদু আপনি কোন দল ?
অথচ দাদু কোন কথা বুঝে উঠার আগেই বলল কি দল ,
ছোট্ট মনি : আরে না না শেখ মুজিব দল ?
ছোট্ট মনি : হাছিনার দল?
দাদী : ওওওওওওওওওওও বুঝেছি
ছোট্ট মনি :আমি সাঈদী দল
দাদী : কেন ?
ছোট্ট মনি : হে আলেম সাঈদী ৷
আবার বলল
ছোট্টমনি : সাঈদীকে বলে ফাঁসি দিবো ?
যুদ্ধ যুদ্ধ হইবো
দাদী : কে কইছে তোরো
ছোট্ট মনি : না আমি শুনছি
পরে
তার আম্মুকে
আম্ম্মু আপনার কি হরান হুরেনা { প্রান জলেনা } সাঈদীর লাই ?
আম্মু : কেন?
ছোট্ট মনি : ঐ যে ফাঁসি দিবো , হাছিনা
ছোট্ট মনি : আমার তো হরান হুরে {প্রান জলে }
আম্মু : না না কিছুই হবেনা

আচ্ছা
ভাত খেয়ে নে , ওকে আম্মু

দেখুন আজকে সারা দেশ সহ সারা বিশ্বের মানুষের মনে আতংক দেশে কি হতে যাচ্ছে ৷ এক জন ছোট্ট শিশু ও সেই আতংক মুক্ত নয় ৷
অথচ আমাদের মধ্যে কেউ কোন রাজনৈতিকের সাথে যুক্ত না হওয়া সত্বেও বাহিরের আবহাওয়া কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে ৷

আমরা দল মত নির্বিশেষে আল্লামা সাইদী কে এক জন আলেম হিসাবে ভালবাসি , এবং তাঁর মূক্তি কামনা করি ,

বুধবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১২

১২ দলের ৮ দলই হরতালে নেই’ শীর্ষক সংবাদের প্রতিবাদ:

‘১২ দলের ৮ দলই হরতালে নেই’ শীর্ষক সংবাদের প্রতিবাদ: গণতন্ত্র হত্যার কমুনিস্টদের ব্যানারে আ.লীগের ফালতু হরতালের জবাবে জনতার স্বতস্ফূর্ত হরতাল

  


বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ১২ দলের ৮ দলই হরতালে নেই শীর্ষক সংবাদকে বিভ্রান্তিকর উল্লেখ করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামী ও সমমনা ১২ দল। আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তারা এই প্রতিবাদ জানায়।


গণতন্ত্র হত্যার কমুনিস্টদের ব্যানারে আ.লীগের ফালতু হরতালের জবাবে জনতার স্বতস্ফূর্ত হরতাল




বিবৃতিতে বলা হয়, ইসলামী ও সমমনা ১২ দলের সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য এবং ঈমান রক্ষার আন্দোলনকে ক্ষতিগ্রস্ত করতেই গতকাল হঠাৎ করে ফরিদউদ্দীন নামক এক অজ্ঞাত ব্যক্তি ১২ দলের কয়েকটি সংগঠনের নাম দিয়ে একটি মিথ্যা বিবৃতি দিয়েছে।

এতে দাবি করা হয়, ফরিদউদ্দীন নামে ইসলামী ও সমমনা ১২ দলে কোনো নেতা-কর্মী নেই এবং ইসলামী ১২ দলের কোনো নেতার স্বাক্ষর ছাড়াই ওই ফরিদউদ্দীন শান্তিপূর্ণ হরতালকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে গণমাধ্যমে একটি বিভ্রান্তিকর বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে ফরিদউদ্দীনকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি জানানো হয়।
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব ও ১২ দলের সদস্য সচিব মাওলানা জাফরুল্লাহ খান স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে আরো বলা হয়, হরতালে কেউ নাশকতা বা ভাঙচুর করে তাহলে ওই ফরিদউদ্দীন গং-দের ষড়যন্ত্র বলেই প্রমাণিত হবে। কেউ যাতে ‘বিশ্বজিত নাটক’ সৃষ্টি করতে না পারে সে ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে আহবান জানানো হয় বিবৃতিতে। এতে বলা হয়, মাওলানা মুহিউদ্দীন খানের সভাপতিত্বেই সর্বসম্মতভাবে হরতালের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। যদি কেউ অস্বীকার করেন তিনি আল্লাহর কাছে ধরা থাকবেন। ইসলামী ও সমমনা ১২ দলসহ মোট ৩৩টি ইসলামী দল হরতালে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে। ইসলামী ও সমমনা ১২ দলের মধ্যে কোনো অনৈক্য নেই এবং ইসলামী ১২ দলসহ সব ইসলামী সংগঠন ও আলেম উলামা, পীর মাশায়েখ আজকের শান্তিপূর্ণ হরতালে সক্রিয়ভাবে মাঠে আছে বলেও উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে। বিবৃতিতে সরকারের দালাল গোষ্ঠী অথবা কমিউনিস্ট ও বাতিলের সহযোগিদের কথায় কারো বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি অনুরোধ জানানো হয়। Click this link...


গণতন্ত্র হত্যার কমুনিস্টদের ব্যানারে আ.লীগের ফালতু হরতালের জবাবে জনতার স্বতস্ফূর্ত হরতাল


আজ রাস্তায় BRTC কেন ? কেও কি তা জানেন ?


মাদরাসা গুলাকে এ ভাবেই আবরুদ্ধ করে রাখে পুলিশ (২০.১২.১২)











 

সোমবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১২

২১শে ডিসেম্বর পৃথিবী KE ধ্বংস হবে ? কেন ?


 
আগামী ২১শে ডিসেম্বর পৃথিবী ধ্বংস হবে! এমন এক গুজবে চীনাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তারা যেখানে যা পায় তা-ই সংগ্রহ করে কাছে রাখছে। ফলে মোমবাতি, ম্যাচসহ দরকারি বিভিন্ন জিনিসপত্র হট কেকের মতো বিক্রি হচ্ছে। মায়া ক্যালেন্ডার অনুযায়ী আগামী ২১শে ডিসেম্বর পৃথিবীর শেষদিন। গুজব ছড়িয়ে পড়েছে এর পরের টানা তিন দিন সারা পৃথিবী অন্ধকারে ঢেকে থাকবে। এমন গুজবে কান দিয়ে সিচুয়ান প্রদেশের শুয়াংলিউ ও লংচাং অঞ্চলে মানুষের মধ্যে এক ধরনের প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে। তারা ছুটছেন দোকানে দোকানে। সেখান থেকে দরকারি জিনিসপত্র কিনে মজুত করছেন। গতকাল এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা আইএএনএস। এতে বলা হয়, ওই গুজব চীনের ক্ষুদ্র বার্তার ওয়েবসাইট ঝরহধ ডবরনড়’র মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এই সুযোগ লুফে নিচ্ছে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও অনলাইন ব্যবসায়ীরা। তারা পণ্যের স্পেশাল সব প্যাকেজ ঘোষণা দিয়েছে। নিজেকে নিজে কিভাবে সাহায্য করা যায় তার প্যাকেজ দিয়েছে। এমনকি শেষ সময়ে কিভাবে সাজতে হবে তার জন্যও পণ্যের বিজ্ঞাপন দেয়া হচ্ছে। জিংসু প্রদেশের ই য়াং জোংফু ঘটিয়ে ফেলেন তুলকালাম কাণ্ড। তিনি নবী নূহ (আ.)-এর মতো করে নৌকা তৈরি করছেন। স্টেইনলেস স্টিলের বিশাল বল আসলে তার নৌকা। পৃথিবী শেষ হওয়ার সময় এতে জীবিতদের আশ্রয় দেয়া যাবে। এমন বলের তরী তিনি বিক্রি করেছেন ৮ লাখ ডলারে। শানসি’র এক ব্যক্তি এরকম ১৫টি ডিভাইস অর্ডার দিয়েছেন। অর্ডার এসেছে নিউজিল্যান্ড থেকেও। এক নারী তার সহায় সম্পত্তি বন্ধক রেখেছেন। এই অর্থ তিনি এতিমদের জন্য দান করবেন। বাকি অর্থ দিয়ে পৃথিবী শেষ হওয়ার আগে মজা করে কাটাতে চান। আবার অনেকে ওই দিনের আগেই বিয়ে সেরে নিতে চান। সিয়ান, হেফেই, গুয়াংঝু ও শাংহাইয়ের বিবাহ রেজিস্ট্রি অফিসগুলো ২১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত বুক হয়ে আছে। তবে চীনের লুনার অরবিটার প্রজেক্টের প্রধান বিজ্ঞানী ওয়াং জিয়ুয়ান বলেছেন, মায়া ক্যালেন্ডার নিয়ে ভুল ধারণা ছড়ানো হচ্ছে। ২১শে ডিসেম্বর আসলে একটি শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ দিন হবে। =======================================================
মানে কেয়ামত ???? তবে এ সব গুজবে কেউ কান দিবেন না এ গুলো মানুষের ইমান নষ্টের পাঁয়তারা মাত্র , কেয়ামতের অনেক গুলো লক্ষন আছে সে গুলো এখন ও পরিলক্ষিত হয়নি ,কাজেই মায়া কেলেন্ডার তৈরী কারকদের জন্যই কেয়ামত অন্যদের জ্ন্য নয় , এ রকম আরও বহু বার শুনা গেছে , এর জবাব দেশ- বিদেশের ইসলামী দার্শনীক রা দিয়েছেন ,কেয়ামতের বড় বড় আলামতের মধ্যে নুজুলে ঈসা আঃ ঈমাম মাহদীর আত্বপ্রকাশ ,দাজ্জালর আভিবাব , পশ্চিম দিক থেকে সূয্যদয় ইত্যাদি বহবীদ আলামত দেখা যাওয়ার পর কেয়ামত / পৃথিবী ধবংশ হবে , আবশ্যই এর আগে মানষকে সতকO করার জন্য বিভিন্ন আজাব- গজব ভূমি ধস, সোনামী, অনাবৃষ্টি, খরা, দূযোগ ইত্যাদী হবে , কাজেই পৃথিবী ধবংশ এখন হবেনা 100% নিশ্চিত ৷
=================================



আপনাদের সাথে একটি News নিয়ে হাজির হলাম……।যেটা আমার কথা নয়……..এতা জ্যাতিষ বিদদের কথা।



জ্যাতিষ বিদদের যারা মায়ান ক্যালেন্ডার বিশ্বাস করে। তাদের মতে ২০১২ সালের পরে পৃথিবী আর থাকবে না। কারন মায়ান ক্যালেন্ডারে ২০১২ সালের পর আর কোন যুগের কথা বলা হয়নি তাই যারা মায়ান ক্যালেন্ডার বিশ্বাস মনে করে ২০১২ সালের পর আর কোন বছর আসবেনা। মায়ান ক্যালেন্ডারে ৬টি যুগের কথা বলা হয়েছে, তাদের মধ্যে শেষ ৫ম যুগ শেষ হয়েছে ১৯৯৬ সালে আর ৬তম যুগ শেষ হবে ২০১২ সালে ২৬ ডিসেম্বর ।৬তম যুগ পরে আর কোন কিছুর বিবরন মায়ান ক্যালেন্ডারে দেওয়া নেই। মায়ান ক্যালেন্ডারের ভবিষ্যত বাণী কখনোই ভূল হয়নি তাই জ্যাতিষ বিদগন এ

২০১২ সাল এর মহাপ্রলয় নিয়ে এখন পৃথিবীর গবেষকরা দুইভাগে ভাগ হয়ে গেছেন । ২০১২ সাল এর মহাপ্রলয় নিয়ে বেশ কিছু অকাট্য যুক্তি রয়েছে যা এখন আমি উপস্হাপন করছি ………….
১। পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বপ্রথম উন্নত জাতি ছিলো মায়ান জাতি। এরা ছিলো পৃথিবীর প্রথম সভ্য জাতি। পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বপ্রথম ক্যালেন্ডার মায়ান জাতিরা আবিষ্কার করে। কোনো এক অদ্ভুত ও রহস্যময় কারণে হাজার হাজার বছর আগে তৈরী মায়ান জাতিদের ক্যালেন্ডারটি “২০১২” সালে এসে শেষ হয়ে গেছে। সঠিক সময়টা হলো ২১ শে ডিসেম্বর ২০১২ অর্থাৎ ২০১২ সালের ডিসেম্বর এর ২১ তারিখ এরপর থেকে মায়ানদের ক্যালেন্ডার এ আর কিছু নেই। তাহলে কি মায়ানরা পৃথিবীর শেষ সম্পর্কে কোনোভাবে আগাম ধারণা পেয়ে গিয়েছিলো ? হয়তো পেয়েছিলো কিংবা না।
২। পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে সফল ও বিখ্যাত ভবিষ্যতদ্রষ্টা হলো নষ্ট্রাডমাস। হিটলার, কেনেডি, সাদ্দাম, টুইন টাওয়ার এর হামলাসহ আরো অনেক বিখ্যাত ভবিষ্যতবাণী তিনি করেছেন। তিনি কয়েকশো বছর আগে মারা গিয়েছিলেন। এই নষ্ট্রাডমাস এমন কিছু ভবিষ্যৎ করে গিয়েছিলেন যার অর্থ দাঁড়ায় যে ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে কোন এক কারণে পৃথিবী ধংস হয়ে যাবে।
৩। সানস্টর্ম বা সূর্যঝড়কে বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর ভবিষৎতের জন্য একটি ভয়ঙ্করতম হুমকি বলে মনে করছেন। সূর্যের ভেতরে প্রতিনিয়ত নানা ধরনের বিস্ফোরণ থেকে তৈরী হয় এনার্জি। আর সেই এনার্জি থেকে ইলেক্ট্রন, প্রোটনের মতো নানা পার্টিকল পৃথিবীতে এসে পৌছায় এবং এগুলোর ক্ষতিকর প্রভা এসে পরে পৃথিবীর উপর। সেই সঙ্গে সোলার র্স্ট্রম বা সৌরঝড় তো রয়েছেই। ২০১২ সালে সূর্যের সবচেয়ে বেশি পরিমাণ এনার্জি তৈরি হবে, যার নাম ‘সোলার ম্যাক্সিমাম’। এই সৌরঝড়ের ভয়ষ্কর রেডিয়েশন এবং এনার্জি নির্গমনের ফলে ভূপৃষ্ঠে বা মহাকাশে যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অন্যান্য ক্ষেত্রে নানা সমস্যা দেখে দিবে। বেড়ে যেতে পারে মানুষের অসুখ-বিসূখ, দুঘর্টনা ও ভয়াবহ সব প্রাকৃতিক দুর্যোগ। ফলে পৃথিবী এগিয়ে যাবে চুড়ান্ত পরিণতির দিকে। অন্যদিকে পৃথিবীর সবচেয়ে আগ্নেয়গিরি হলো আমেরিকার ইয়েলোস্টোন ভলকানো। মোটামুটি প্রতি ৬,৫০,০০০ বছর পর ভয়ষ্কর অগস্ন্যুৎপাত হয় এই আগেস্নগিরি থেকে। গবেষনা অনুসারে ২০১২ সালে ভয়ষ্কর বিষ্ফোরণ ঘটবে ইয়োলোস্টোনে হয়তো সেখান থেকে সাংঘাতিক অগস্ন্যুৎপাত হবে, সব বায়ু মন্ডল ঢেকে যাবে, ছাইয়ে হয়তো চাপা পড়ে যাবে সূর্যও। তখন গোটা পৃথিবী অন্ধকারে ঢেকে যাবে। এভাবে কিছু দিন চললেই পৃথিবী থেকে প্রাণের স্পন্দন থেমে যাবে।
৪। পৃথিবীর জন্য আরেকটি সম্ভাব্য হুমকি হচ্ছে লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার’। ব্রম্ম্রান্ডের জন্মমূর্হূতে পৌঁছতে সুইজারল্যান্ডের জেনাভায় মাটির নিচে তৈরী করা হয়েছে মানুষের তৈরী সবচেয়ে বড় যন্ত্র লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার। বিগ ব্যাংয়ের সময় মহাবিশ্বের জন্মলগ্নে বিশ্ব ব্রম্ম্রন্ড কি রকম ছিল তা জানতে ২৭ কি. মি. লম্বা জোড়া পাইপের ভেতর দিয়ে বিজ্ঞানীরা প্রোটেন কোটি কোটি বার চক্কর খাবে এখানে। তারপর প্রায় আলোর গতির কাছাকাছি পৌছে বিপরীতমুখী প্রোটনের সঙ্গে ভয়ষ্কর ধাক্কা খেয়ে ভেঙ্গ টুকরো টুকরো হয়ে তৈরী হবে ডট্রিলিয়ন ডিগ্রি (১০০০০০০০০০০০) সেন্ট্রিগ্রেড উত্তাপ। মাল্টিপেক্সড অ্যানালগ সিগন্যাল প্রসেসরে জমা হতে থাকবে অগণিত তথ্য। সেই তথ্য বিশেস্নষণ করে বিজ্ঞানীরা জানবেন বিশ্ব ব্রম্মান্ড সৃষ্টির রহস্য। এর প্রথম পরীক্ষাটি আবার ব্যর্থ হয়েছিল, কিন’ এর ফলে ঘটতে পারে ভয়ষ্কর দুঘর্টনা। আর ২০১২ সালেই এই যন্ত্রের সাহায্য চালানো হবে বিজ্ঞানের সবচেয়ে গুরম্নত্বপূর্ণ ও ঝুকিপূর্ণ এই পরীক্ষাটি। তাই এই ঝুঁকিটাও হেলা করার মতো নয়।
৫। আবার সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হচ্ছে, প্রচন্ড উত্তাপে দ্রুত গলে যাওয়া মেরু প্রদেশের বরফ। গলে যাচ্ছে হিমপ্রবাহ। পৃথিবী জুড়ে সমুদ্রের লেভেল বাড়ছে। গ্রীনল্যান্ড ও আ্যন্টার্কটিকার বরফও গলে যাচ্ছে। ফলে এক সময় হয়তো প্রবল জলোচ্ছাসে ভেসে যাবে সারা পৃথিবী। বিজ্ঞানের নানা বিশেস্নষণ ২০১২ সালকে পৃথিবীর অসিৱত্বের একটি টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে এমনও হতে পারে এর কিছুই হয়তো ঘটবে না। হয়তো ঘটবে আরো কয়েক শতাব্দী পর। সে আশায় আমরা বুক বাঁধতেই পারি।
মায়ান ক্যালেন্ডার রহস্যঃ
২০১২ ছবির ঘটনার মতো ২০১২ সালের ২১ ডিসেম্বর সত্যি সত্যি আমাদের পৃথিবীতে ঘটতে যাচ্ছে ধ্বংসলীলা এ কথাই বলছেন মায়ান পঞ্জিকা বিশেষজ্ঞরা। সবচেয়ে বড় ভয়ষ্কর ব্যাপার হলো, মায়ান পঞ্জিকাতে আজ পর্যন্ত যত ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে তার প্রতিটিই কালের আবর্তে সত্য ঘটনায় পরিণত হয়েছে। আর এ কারণেই পৃথিবী ধ্বংসের আশষ্কা নিয়ে এত বেশী আলোচনা হচ্ছে। অধিকাংশ প্রাচীন সভ্যতায় উলেস্নখ থাকে যে, অলৌকিক ক্ষমতাসম্পন্ন কেউ একজন দূর থেকে আমাদের নিয়ন্ত্রণ করছেন। জীবনের প্রতিটি খুঁটিনাটি ঘটনা সেই একজনের বিশাল বড় এক ঐশ্বরিক প্ল্যানের অংশ বিশেষ।
আর প্রাচীন সভ্যতায় উলেস্নখিত এই ঐশ্বরিক প্ল্যান বুঝতে পারার জন্য পৃথিবীর একমাত্র উপায় এই মায়ান পঞ্জিকা। কী আছে মায়ান ক্যালেন্ডারে ? জিনিসটাই বা কি? পুরাতন সেই মায়ান সভ্যতা ইতিহাসের এক অনুপম সৃষ্টি। সময় এবং সৃষ্টির সুন্দর বিন্যাস সর্ম্পকে মায়ানরা অনেক আগেই অবগত ছিলেন। তাদের ছিল ভবিষ্যৎ জানার নান্দনিক ক্ষমতা। মায়ানরা আগে থেকেই জানতো যে চাঁদ, শুক্র এবং অন্য গ্রহ- তারা মহাবিশ্বে চক্রকারে ঘুরছে। সেই সময়েই তারা নিখুঁতভাবে সময় গণনা করতে পারত। তাদের একটি পঞ্জিকা ছিল যাতে সৌর বছরের প্রতিটি মিনিটের নিখুঁত বর্ণনা ছিল। মায়ানরা মনে করত প্রতিটি জিনিসের ওপর সময়ের প্রভাব রয়েছে এবং প্রতিটি জিনিস একেক সময় একেকটি অবস্থানে বিরাজ করছে। মায়ানদের কাছে মহাকাশের উপর ২২টি ভিন্ন ভিন্ন পঞ্জিকা ছিল। এর মধ্যে কোনা কোনো পঞ্জিকা এখন থেকে ১০ মিলিয়ন বছর আগের।
আর সেগুলো এত দূর্বোধ্য যে তা বুঝতে চাইলে হিসাব-নিকাশ করার জন্য সঙ্গে অবশ্যই একজন করে অ্যাস্ট্রোনমার, অ্যাস্ট্রোলজার, জিওলজিস্ট এবং ম্যাথমেটিশিয়ান থাকতে হবে। অধিংকাশ আর্কিওলজিস্ট মনে করেন মায়ানরা খ্রিস্ট জন্মের প্রায় ৩ হাজার ১১৪ বছর আগে থেকে সময় গণনা করা শুরম্ন করেছে। আমাদের বর্তমান পঞ্জিকা মতে খ্রিস্টের জন্মের বছরের জানুয়ারী মাস থেকে প্রথম বছর গণনা করা হয়। আর মায়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এই বছরটাকে হিসাব করা হয় শূন্য বছর। এই সময়টাকে লেখা হয় এভাবে :০-০-০-০-০। একটা নতুন চক্র শুরম্ন হওয়ার আগের ১৩ চক্রে ৩৯৪ বছর শেষ হয়ে যাবে। আর নতুন চক্রটি শুরম্ন হবে ২০১২ সালের। সবচেয়ে আশষ্কার ব্যাপার হলো ২০১২ সালের ২১ ডিসেম্বরের পর থেকে মায়ান পঞ্জিকাতে আর কোনো দিনের উলেস্নখ নেই। তাই এই দিনটিকে মনে করা হচ্ছে পৃথিবীর সর্বশেষ দিন।
আর একটি বিষয় হলো আজ পর্যন্ত মায়ান পঞ্জিকাতে যা-ই ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে, তার প্রতিটি কথা বাসৱবে প্রতিফলিত হয়েছে। আজকের বিজ্ঞানের চরম উৎকর্ষতা থেকে শুরু করে বিজ্ঞানের সব গুরত্বপূর্ণ উত্থানের উলেস্নখ মায়ানদের ক্যালেন্ডারে আগে থেকেই ছিল। তাই বিশ্বের বাঘা বিজ্ঞানীরাও ২০১২ সালের ২১ ডিসেম্বরে পর থেকে কী ঘটতে পারে তাই নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন। বর্তমানে মানুষের চিন্তা-চেতনা এবং ধ্যান- ধারণায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। সময় এবং বিজ্ঞান সম্পর্কিত জ্ঞানের বিষয়ে মধ্য আমেরিকার মায়ান সভ্যতাই সবচেয়ে বেশি এগিয়ে ছিল এবং আছে।
সমগ্র পৃথিবীর মধ্যে তাদের পঞ্জিকাই সবচেয়ে বেশি নিখূঁত। আজ পর্যন্ত কেউ এর কোনো খুঁত খুঁজে পাননি। মায়ানদের পঞ্জিকার মধ্যে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সমগ্র পৃথিবী এবং সোলার সিস্টেমের পরিবর্তনের কথা উল্লেখ আছে। এগুলোর মধ্যে কিছু পঞ্জিকা এখনো পর্যন্ত প্রকাশিত হয়ে আছে। মায়ানদের হিসাব মোতাবেক পঞ্চম বিশ্বের সমাপ্তি হয়েছে ১৯৮৭ সালে। ষষ্ঠ বিশ্ব শুরু হবে ২০১২ সাল থেকে। অর্থাৎ বর্তমানে আমরা বিশ্বের মাঝামাঝি জায়গায় অবস্থান করছি। এই সময়টাকে বলা হয় এপোক্যালিপস অর্থাৎ রহস্যোদঘাটন বা রহস্য উন্মোচন। এর অর্থ দাঁড়ায় প্রকৃত সত্য প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। মায়ানদের ষষ্ঠ সভ্যতা যে আসলে কবে থেকে শুরু হতে যাচ্ছে তার কোনো নির্ধারিত তারিখ নেই। আমরা যেমনটি আশা করি, তেমন একটি পৃথিবী এবং সভ্যতা যখন থেকে আমরা গড়া শুরু করব তখন থেকে এই বিশ্ব শুরু হয়ে যাবে । মায়ানরা এটাও বলে যে এটা বিশ্ব হবে ২০১২ সাল নাগাদ। আমরা প্রযুক্তির অনেক ঊর্ধ্বে উঠে যাব (এখন আমরা যেমনটা দেখতে পাচ্ছি)। আমরা সময় এবং টাকার ঊর্ধ্বে চলে যাব।
চর্তুথ ডাইমেনশন নিয়ে কাজ চলছে। আমরা সময় এবং টাকার ঊর্ধ্বে চলে যাব। চতুর্থ ডাইমেনশন (বর্তমান ৮টি ডাইমেনশন নিয়ে কাজ চলছে) অতিক্রম করে আমরা পঞ্চম ডাইমেনশনে প্রবেশ করব। গ্যালাক্সি সময় বিন্যাসের এবং আমাদের পৃথিবী ও সমগ্র সোলার সিস্টেমের সময়সীমা সামজ্ঞস্যপূর্ণ হয়ে যাবে। ২০১২ সালে আমাদের সৌরজগত এবং ছায়াপথএকই সমতলে বিন্যসৱ হবে। এই চক্রটি পূরণ হতে পুরোপুরি ২৬ হাজার বছর লেগেছে। অর্থাৎ খুব শিগগিরই মহাজাগতিক কোনো ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে। কিন’ প্রশ্ন হলো ২০১২ সালেই কেন এ ক্যালেন্ডারের সমাপ্তি? মায়ান ক্যালেন্ডার বিশেষজ্ঞদের বিশ্বাস ২০১২ সালে পৃথিবীতে কোনো না কোনো দুর্যোগ অবশ্যই নেমে আসবে।
অনেকের মতে, ২০১২ সালের ২১ ডিসেম্বরের পর থেকে পৃথিবী ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের কবলে পড়বে। আবার এর ভিন্ন ব্যাখ্যাও রয়েছে। সেই ব্যাখ্যা অনুসারে এই সময়ে এসে অর্থাৎ ২০১২ এর ক্রান্তিলগ্নে এসে আমরা ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ছি। পৃথিবী ব্যালান্সের বাইরে চলে গেছে। পৃথিবী যা ডিজার্ভ করে তার অনেক ঊর্ধ্বে চলে গেছে পৃথিবীর সভ্যতা। তাই মায়ানদের ক্যালেন্ডারে আর কোনো লিখিত হিসাব রাখা হয়নি বা রাখা সম্ভব হয়নি। অনেকের মতেই এ দিনটি হবে মানব সভ্যতার শেষ দিন। অনবরত মায়ান সভ্যতা এবং ক্যালেন্ডারে যাদের আস্থা তাদের বিশ্বাস এরকমই।
****জানি না কি হবে ২০১২ এর ২১ শে ডিসেম্বর আমাদের এই সুন্দর পৃথিবীর কি আসলেই ধংশ হয়ে যাবে। আমরা মানুষ আমরা একমাত্র আল্লাহ ইবাদত ছাড়া কিছুই করতে পারিনা।****



টাকে ইতিবাচক ভূমিকায় দেখছে।
http://www.sonarbangladesh.com/blog/saifur99/140303
 

মেয়ে থেকে ছেলেতে রুপান্তরীত ২ জনই বাংলাদেশী


নীলফামারী প্রতিনিধি
নতুন বার্তা ডটকম
নীলফামারী: নীলফামারীর লাবনী নামের এক মেয়ে ছেলেতে রূপান্তরিত হয়েছে। জেলার সৈয়দপুরে উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের আলোকদ্দিপাড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে।

এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তরিত হওয়া ওই মেয়েকে এক নজর দেখতে শত শত মানুষ ভিড় করছে তাদের বাড়িতে। এ অবস্থায় মানুষের ভিড় সামলাতে ওই পরিবারের সদস্যদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।

জানা গেছে, ওই এলাকার স্কুলশিক্ষক আব্দুল হালিমের এক ছেলে ও ছয় মেয়ের মধ্যে সবার ছোট নুসরাত জাহান ওরফে লাবনী (১৪)। সে বাড়ির পার্শ্ববর্তী ফাজিলপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবারে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় অংশ নেয়।

রোববার সকালে তার আকস্মিক শারীরিক পরিবর্তন ঘটে। সে বিষয়টি টের পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে তার দাদীকে জানায়। পরে একে একে ঘটনাটি গোটা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে আশেপাশের এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।

লাবনী মা রওশন আরা বেগম নতুন বার্তাকে জানান, শিশুকাল থেকে লাবনী চলাফেরা ছিল ছেলেদের মতো। পঞ্চম শ্রেণীতে অধ্যয়নকালে তার আচার-আচরণে আরো বেশি পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। সে সময় থেকে লাবনী মেয়ে হলে মেয়েদের সঙ্গে তেমন মেলামেশা করতো না। ছেলেদের সঙ্গে তার সখ্যতা ছিল সবচেয়ে বেশি। তারা ওই সময় থেকে মেয়ে লাবনীর বিষয়টি আঁচ করে আসছিলেন। এ অবস্থায় তারা মেয়ে লাবনীকে নিয়ে চিকিৎসকদের শরনাপন্ন হন। সে সময় চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তার শরীরে পুরুষ হরমোনের পরিমাণ বেশি বলে জানান। শারীরিক পরিবর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত হন।

চিকিৎসকরা জানান, বয়ঃসন্ধিক্ষণে তাঁর পুরোপুরি শারীরিক পরিবর্তন ঘটতে পারে। রোববার আকস্মিক তার ওই পরিবর্তন ঘটে। এ ঘটনার পর তার বাবা আব্দুল হালিম মেয়ে লাবনীর নাম পরিবর্তন করে নাছির উদ্দিন আহমেদ রাখেন।

এ ব্যাপারে কথা হয় সৈয়দপুরের বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. শেখ নজরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, মানুষের শরীরের হরমোনজনিত পরিবর্তনের কারণে এমনটি ঘটে। মূলতঃ ওই মেয়েটির জন্মের পর থেকে তার শরীরে নারী হরমোন বেশি ছিল। কিন্তু বয়স বেড়ে যাওয়ায় মেয়েটির শরীরে পুরুষ হরমোনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় এই শারীরিক পরিবর্তন ঘটেছে।

নতুন বার্তা/জবা
http://www.natunbarta.com/index.php?view=details&data=Tax&news_type_id=1&menu_id=81&news_id=3382




===================================================

এক সন্তানের জননী রেহানা বেগম পুরুষে রূপান্তর হওয়ার চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।

  


ছবিটি সেই মহিলার বর্তমানে পুরুষ।

লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের চরপাগলা গ্রামে এক সন্তানের জননী রেহানা বেগম পুরুষে রূপান্তর হওয়ার চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। তিনি এখন তার চুল কেটে অবিকল পুরুষ হয়ে নিজের নাম রাসেল ধারণ করেছেন। তাকে একনজর দেখার জন্য তার বাড়িতে হাজার হাজার মানুষের ঢল।

মা খুকি বেগম জানান, ছয় বছর আগে তার মেয়ে রেহানাকে উপজেলার তোরাবগঞ্জ এলাকার পণ্ডিতবাড়ির ফয়েজ আহমদের ছেলে নাছিরের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের তিন বছর পর তাদের ঘরে একটি পুত্রসন্তানের জন্ম হয়। তার নাম রাখা হয় রায়হান। সন্তান হওয়ার পর থেকে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। ছাড়াছাড়ি না হলেও বর্তমানে তাদের মধ্যে কোনো সম্পর্ক নেই। রেহানার মা আরও জানান, ৭-৮ বছর বয়স থেকে রেহানা প্রায় বলত, 'আমি একদিন ছেলে হয়ে যাব।'

রেহানা ওরফে রাসেল জানান, 'শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে ঘুমের মধ্যে আমি পুরুষ হয়ে যাই। ওই সময় আমার খুব কষ্ট হয়েছে। এখনও আমার শরীর ব্যথা করছে।' একই গ্রামের আবু বকর সিদ্দিক জানান, 'রেহানা মেয়ে থাকতেও ছেলেদের মতো আচরণ করত।' একই গ্রামের হাজি আলী আকবর বলেন, 'গত কোরবানির ঈদের দু'তিন দিন আগে আমি তাকে বোরকা পরা অবস্থায় দেখি এবং কথাও বলি। তাকে এখন ছেলে হিসেবে দেখে অবাক হয়েছি।'

স্থানীয় তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ সেলিম জানান, ওই ওয়ার্ডের মেম্বার আবদুস শহিদ ঘটনাটি তাকে অবগত করেছেন। কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মীর মোঃ আমিনুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, সেক্স ক্রোমজোম ও হরমোনের পরিবর্তনে লিঙ্গ পরিবর্তন হতে পারে। তবে পরীক্ষা ছাড়া নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না।

সুত্রঃ নোয়াখালী ওয়েব ডেস্ক/১৭ জানু্যারি ২০১২/০২০০ঘ./নিউ
তথ্য সূত্র ===============
দৈনিক আমার দেশে দেখতে পারেন 
 

 

বৃহস্পতিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১২

ধুমপানের ক্ষতিকর দিক, ধূমপান ছাড়ার উপায় ধূমপান ত্যাগ করার জন্য কয়েকটি উপদেশ :


.
তামাকগাছ এক সময় ভেষজ হিসেবে ব্যবহৃত হতো। মাথাব্যথা, ঠাণ্ডা, কাশির ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হতো। তামাকের ভেষজ ব্যবহার ছিল ষোড়শ শতকে। মেক্সিকোর টোব্যাকো (Tobacos) প্রদেশে এর ব্যবহার বেশি ছিল। তামাকের tobacco ইংরেজি শব্দটিও ঐ প্রদেশের নামানুসারে। এক সময় এর পরিচিতি ছিল herbe sainte অথবা পবিত্র গাছ হিসেবে। ফ্রান্সে তখন গাছটি বেশ জনপ্রিয় ছিল (১৫৬৫)। নিকোট (Nicot) নামক এক ব্যক্তি গাছটিকে ফ্রান্সে পরিচিত করান বলে তার নামানুসারে গাছটির ফ্রান্সে নামকরণ হয় Nicotiane. পরবর্তী সময়ে তামাকের কার্যকরী উপাদানেরও নামকরণ করা হয় নিকোটিন (Nicotine).
নিকোটিন হেরোইনের চেয়েও ভয়াবহ। যদি আপনি ধূমপান করেন, তবে মাত্র ৬ সেকেন্ডের মধ্যে তা আপনার মস্তিষ্কে পৌঁছে যাবে, যা হেরোইনের চেয়ে দ্বিগুণ দ্রুত কাজ করে। এ জন্য বলা হয়, nicotine is wonderful drug. অথচ ড্রাগ হিসেবে হেরোইন নিষিদ্ধ। আইন প্রয়োগকারী সংস্হা হেরোইন আটকে থাকে ত্রস্ত-ব্যস্ত। কিন্তু' ধূমপান চলে প্রকাশ্যে। তামাক, জর্দা, বিড়ি, সিগারেট বিক্রি হয় যত্রতত্র। তামাকজাত দ্রব্য নিষিদ্ধ নয়। নিষিদ্ধ হচ্ছে হেরোইন। নিকোটিন হেরোইনের চেয়ে ভয়াবহ অসক্তি সৃষ্টি করলেও তা নিষিদ্ধ নয়। নিকোটিন সবচেয়ে ক্ষতিকর ড্রাগ বলে বর্তমানে চিহ্নিত। আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অন ড্রাগ এবিউস (National Institute on drug Abuse)-এর মতে Cigarette smoking is now the most serious and most widespread from of addiction in the world –even worse than heroinনিকোটিন সরাসরি আমাদের মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রে প্রভাব বিস্তার করে। ধূমপানের কারণে যে নিকোটিন আমাদের শরীর গ্রহণ করে, তা আমাদের হৃৎপিণ্ডের রক্তনালীকে সঙ্কুচিত করে। যার কারণে বুক ব্যথা ও হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। নিকোটিন মস্তিষ্কের রক্তনালীগুলোকে সঙ্কুচিত করে। ফলে ব্রেইন স্ট্রোক হয়ে থাকে। নিকোটিন শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। শরীরের রক্ত প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে। এ ধরনের আরো বহু প্রতিক্রিয়া নিকোটিনের কারণে ঘটে থাকে।

                                               "'"  ধুমপানের ক্ষতিকর দিক  ""

এ ছাড়া তামাকে থাকে চার হাজারেরও বেশি রাসায়নিক উপাদান, যার মধ্যে ১০০টি ক্যান্সার
=================================================
সৃষ্টি করতে পারে। তামাক দ্বারা শুধু যে ফুসফুসের ক্যান্সার হয়, তা কিন্তু' নয়। কিডনি, পাকস্হ'লী
=========================================================
, মুখগহ্বর, গলনালী, মলান্ত্র, জরায়ুমুখ এবং যোনিমুখের ক্যান্সারও সৃষ্টি করতে পারে তামাকজাত
=======================================================
দ্রব্য।


যারা ধূমপান করেন, তারা ধূমপানজনিত ক্ষতিকর বিষয় জানেন না এমন নয়। মূলত, ধূমপান এমন এক ধরনের আসক্তি সৃষ্টি করে, যার কারণে শত ইচ্ছা থাকলেও অনেকে ধূমপান ত্যাগ করতে পারেন না।

তাই কেউ যখন ধূমপান ছাড়ার চিন্তা করেন, তখন তাকে ধূমপানের ক্ষতিকর দিকগুলোকে ইতিবাচক বিবেচনায় মেনে নিতে হবে।

**ধূমপানজনিত রোগগুলোর ভয়াবহতা সম্পর্কে তার পরিষ্কার ধারণা লাভ করতে হবে।

***ধূমপান যে একটি বড় সামাজিক সমস্যা, তা তাকে উপলব্ধি করতে হবে।  কারন বতমানে আন্তজাতীক ভাবে      ধূমপান কে ঘৃনা করা হচ্ছে , এবং সব দেশেই এর বিরুদ্ধে আইন হচ্ছে , কারন  এর ক্ষতি ও ভয়াবহতা মানুষ মারার বোমা - মিজাইল থেকে ও বেশী  **** জাপানের হিরোশিমায় আমেরিকার বোমা নিক্ষেপে ২৬০০০০ হাজার মানুষ মারা গেছে , আর ধুমপানের কারনে প্রতি বছর পৃথিবীতে মারা যায় ত্রিশ লক্ষ লোক ৷যা আমাদের জানা নেই ৷

*** তাকে আরো মেনে নিতে হবে যে, ধূমপান দ্বারা তিনি শুধু নিজেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন না, পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং আশপাশের লোকেরাও তার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। বরং অন্যরা তার তুলনায় আরও বেশী ক্ষতি হচ্ছে  ৷
,
*****  এটা সমপূন হারাম আজকের যূগে পৃথিবীর সকল আলেম মুফতি গবেষক এ ব্যপারে এক মত,  বিড়ি  সিগারেট পান কারীকে অনেকেই ঘৃনা করে , কারন তার মুখ থেকে পায়খানার দুরগন্ধের চেয়ে  আরও খারাপ  গন্ধ অনুভব করেন অনেকে ,যুক্তি হলো অনেকে টয়লেটে ধুমপান করে , দেখা গেছে পায়খানার গন্ধ ও সিগারেটের  গন্ধের কাছে হার মানায় ৷
**********  ধুমপায়ীদের মুখ, শরীর ,ও কাপড থেকে সব সময় দুরগন্ধ বাহির হয় যদিও ধুমপায়ী বন্ধুরা তা অনুভব করতে পারেনা ৷
 ****  অনেক সময় দেখেছি বা শুনেছি  ধুমপায়ীদের সাথে  মসজিদে নামাজের কাতারে দাঁডালে মুখের  দুগ্ধের কারনে  সহয্য করতে না পেরে নামাজ  ভেঙ্গে অন্যত্র চলে যায় ৷ আবার অনেকে বলেছেন যে নামাজে যখন দাডাই গেলাম , নামাজ না পডে পারলামনা কিন্তু নামাজের খুশুখুজু নষ্ট হয়ে যায় , অনেক সময় অনিশ্চা সত্বেও নামাজের বিতর , ধুমপায়ী ব্যক্তির উপর বদ দোয়া এসে যায় ৷ আবস্হা যদি তাই হয়   , এ লেখা টা পডে  ধুম পায়ীরা একটু  সচেতন হবে ন কি ?
 
 তা ছাডা রসুল সাঃ   বলেছেন তোমরা কাঁচা পিয়াজ বা রসুন খেয়ে মসজিদে এসোনা , কারন এ গন্ধের কারনে মানুষের কষ্ট হয় , আর যে জিনিষে মানুষ কষ্ট পায় তাতে ফেরেশতারা ও কষ্ট পায় ৷
চিন্তা করুন সিগারেটের গন্ধ পিয়াজের গন্ধ থেকে কম না বেশী ? আবশ্যই বেশী  ,, তাই ধুম পান করে ভাল করে ব্রাশ বা মেছওয়াক না করে মসজিদে আসা কতটকু যুক্তি যুক্ত ?

 ****এখানে মনে রাখা দরকার, ধূমপান শুধু ধূমপায়ীকেই ক্ষতি করে না, বরং তার আশপাশের লোকেরা আরো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

****সুতরাং এটা মনে করার কোনো কারণ নেই যে, যিনি ধূমপান করেন, শুধু তিনিই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাই সমাজের সব শ্রেণীর দায়িত্ব হচ্ছে- ধূমপান প্রতিরোধ করা।

**** প্রকাশ্যে ধুমপান দন্ডনীয় অপরাধ হলেও তা এক ধরণের ধুমপায়ীরা তা মানছে না। সব চেয়ে বেশি অসস্থিকর পরিস্থিতির শিকার হয় যানবাহনে ধুমপান করলে । মাঝে মধ্যে যানবাহনে যাত্রীরা নিষেধ করা সত্বেও ধুমপায়ীরা নিষেধ না শুনে ধুমপান করে যাচ্ছে । এ নিয়ে প্রায় যানবহনে তর্ক বিতর্ক হয়। 
**** প্রবাস জীবনে গাদাগাদী করেই কয়েক জন মিলেই এক রুমে থাকতে হয় , কিন্তু অনেক সময় দেখা গেছে ধূমপায়ী ব্যক্তিরা অধূমপায়ীদের ঘৃনার পাত্র বিধায় রুমে স্হান পান না ৷ অন্যত্র অস্বাস্হ কর পরিবেশেই   তাকে   একাএকি থাকতে হয় ৷

****** গবেষনায় দেখা গেছে প্রতিটি সিগারেটের কারনে ঐ বক্তির ১৫ সেকেন্ড করে হায়াত কমে যায় ৷
****  আর  পৃথিবীতে ধুম পানের কারনে  শুধু মাত্র ফুসফুসের ক্যান্সারে বৎসরে ১৫ লক্ষ লোক মারা যায় ৷ সূত্র বিবি সি নভেম্বর ২০১২ ৷

**** إن في المائة سبعون شخص من 50 مليون مدخن في الولايات المتحدة حاولوا الإقلاع عن التدخين فمتى تحاول أنت يا عبد الله آخى المسلم الإقلاع عن التدخين – الست أحق بذالك منهم   
আমেরিকাতে ৫০ মিলিয়ন লোকের মধ্যে শতকরা ৭০% লোক ধুম পান ত্যাগ করেছে , ধুমপানের ভয়াবহতা অনূধাবন করার পর , আর আপনি কখন ছাডছেন ----------------------------------------?

 ধূমপান ত্যাগ করার জন্য কয়েকটি উপদেশ :


(ক) প্রথমেই নিজেকে একজন অধূমপায়ী হিসেবে চিন্তা করুন।
(খ) ধূমপানের সমস্যাগুলো ইতিবাচকভাবে মেনে নিন।
(গ) ধূমপানের সমস্যাগুলো বন্ধুবান্ধবের সাথে আলোচনা করুন।
(ঘ) ধূমপানের ইচ্ছা ত্যাগ করুন। ধূমপানের ইচ্ছা হলে অন্য কাজে মনোযোগ দিন।
(ঙ) ধূমপানের সময়গুলো চিহ্নিত করুন এবং ওই সময়ে ভিন্ন কিছু করার চিন্তা করুন।
(চ) ধূমপানের ইচ্ছা হলে ইচ্ছামতো ফলফলাদি খান।
(ছ) ভিটামিন-সি জাতীয় জিনিস বেশি বেশি খান।
(জ) মনটাকে সব সময় ইতিবাচক চিন্তার অনুসারী করুন। ।

আপনি কি ধুমপায়ী? তাহলে দেখুন ধুমপানের ২৪টি ক্ষতিকর দিক।

১. ধুমপানের মাধ্যমে যেসব উপার্জন হয়, তা সম্পূর্ন হারাম। কারন, ধুমপানের ব্যবসা করা এবং এর লেনদেন সম্পূর্ন হারাম।
২. ধুমপান মানুষের অপমৃত্যু ঘটায়। আন্তর্জাতিক স্বাস্হ সংস্হা তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করেন যে, সমগ্র পৃথীবিতে ধুমপানের কারনে যত বেশি অপমৃত্যুর ঘটনা ঘটে, অন্য কোন রোগ-ব্যধির কারনে তত বেশি অপমৃত্যু ঘটেনা।
৩. ধুমপানের কারনে ফুসফুসে ক্যান্সার, শরীরে তাপ, প্রদাহ, জ্বালাপোড়া ইত্যাদি দীর্ঘ মেয়াদী রোগব্যাধী দেখা যায়।
৪. ধুমপানের কারনে কন্ঠনালীতে ক্যান্সার হয়।
৫. ধুমপানের কারনে রক্তনালীগুলো দুর্বল হয় এবং অনেক সময় একজন ধুমপায়ীর রক্তের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
৬. এটি স্মরনশক্তি কমিয়ে দেয় এবং মনোবল দুর্বল করে দেয়।
৭. ইন্দ্রিয় ক্ষমতা দুর্বল করে; বিশেষ করে ঘ্রান নেয়া এবং স্বাদ গ্রহনের ক্ষমতা লোপ পায়।
৮. অতিরিক্ত ধুমপানের কারনে দৃষ্টিশক্তি লোপ পায়।
৯. মানুষ দুর্বল হয়ে পড়ে এবং বার বার সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়।
১০ .হার্ডের সাথে সম্পৃক্ত ধমনীগুলো ব্লগ হয়ে যায়।
১১. বক্ষ ব্যাধীতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।
১২. রক্তের উচ্চ চাপের কারন হয়।
১৩. যৌনশক্তি বিলুপ্ত হয়।
১৪. হজমশক্তি কমায় এবং ধারনক্ষমতা লোপ পায়, আর তার শরীর ঢিলে হয়ে যায়।
১৫. ধুমপায়ী সব সময় দুর্বলতা অনুভব করে এবং আতঙ্কগ্রস্ত থাকে।
১৬. ধুমপানকারীর ঠোটে মুখে জিহ্বা গলনালি ইত্যাদীতে ক্যান্সার হয়।
১৭. পাকস্হলী ক্ষত হতে থাকে।
১৮. ধুমপানের কারনে যকৃত শুকিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
১৯. ধুমপানের কারনে মুত্রথলিতে ক্যান্সার হয় এবং মুত্রথলি যক্ষায় আক্রান্ত হয়।
২০. কিডনিতে ক্যান্সার হয়।
২১. পেশাব বিশাক্ত হয়।
২২ ধুমপান মৃত্যু ঘটায়, আত্নহত্যা মহা পাপ।
২৩ অর্থ অপচয় ঘটে, অপচয়কারী শয়তানের ভাই।
২৪ অপকার ব্যতীত কোন উপকার নেই।

এতকিছুর পরও একজন জ্ঞানী লোকের জন্য ধুমপান করা  কি উচিৎ...............?  

ধুমপান করা আর পানের সাখে জর্দ্দা খাওয়া ও হারাম।
**************************************


ধুমপানঃ অনেক বছর আগে যখন বিজ্ঞান তেমন উন্নত ছিলনা তখন বেশির ভাগ ইসলামিক বিশেষজ্ঞ বলতেন ধুমপান করা মাকরুহ। আর এর ভিত্তি ছিল একটি হাদিস যেটা আছে সহি বুখারী খন্ড ১, হাদিস নং ৮৫৫. নবীজি বলেছেন কখনো কেউ যদি কাঁচা রসুন বা পেঁয়াজ খায় তাহলে সে যেন আমার কাছ থেকে আর মসজিদ থেকে দূরে থাকে। এই হাদিস উপর ভিত্তি করে ফতোয়া দিয়েছিল ধুমপান মাকরুহ কারণ রসুন আর পেঁয়াজ খেলে মুখে বাজে গন্ধ হয় আর ধুমপান করলেও বাজে গন্ধ হয়।কারণ রসুন আর পিয়াজ খাওয়া মাকরুহ এজন্য ‍সিগারেট খাওয়া মাকরুহ বলেছেন।

কিন্তু এখন বিজ্ঞান উন্নতির ফলে আমরা জানতে পেরেছি ধুমপান করার ফলে অনেক রোগ হয়। যেমন, ফুসফুসের ক্যানসার. ব্রনকাটিস, আলসার, ঠোট কালো, যৌন শক্তি কমে যায়, স্বাস্থ্য খারাপ হবে আরো অনেক রোগ।সিগারেটের প্যাকেটে মধ্যে লেখা থাকে ধুমপান করলে মৃত্যু হয়, ধুমপান করলে হার্ট এটাক হয়, ধুমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
 মেডিসিন সাইন্স এর মতে ধুমপান হচ্ছে slow poisoning। আর প্রবিত্র কুরআন বলছে তোমরা নিজের হাতে নিজেদের ধ্বংস করনা, সুরা বাকারা, আয়াত ১৯৫
এমন অনেক আয়াতের উপর ভিত্তি করে এখন প্রায় চারশ বিশেষজ্ঞরো বেশি ফতোয়া দিয়েছে ধুমপান করা হারাম।এটা অনেকটা আত্তহত্তার মত।আর সিগারেট আছে নিকোটিন আর টাক। ধুমপান করার ফলে একজন মানুষের প্রায়  দৈনিক ৫০-১০০ টাকা বা ততোধীক টাকা খরচ হয়।
 আর প্রবিত্র কুরআন বলছে পানাহার করো অপচয় করোনা। সুরা আরাফ, আয়াত নং ৩১ । প্রবিত্র কুরআন আরো বলছে, তোমরা অপচয় করোনা, কারণ অপচয় কারি শয়তানের ভাই। সুরা বনী ইসরা্ঈল, আয়াত ২৬-২৭।
ধুমপান করলে পাশের লোকের ক্ষতি হয়। যে ধুমপান করে তার চেয়ে বেশি ক্ষতি হয় তার পাশের লোকের যখন সেই লোক ধোঁয়া ছাডেন ৷ অনেক সময় আমার বাস্তব অভিজ্ঞতার থেকেই বলছি যে ধুম পায়ীর ধোঁয়া আমার নাকে বাজার সঙ্গে সঙ্গে নাকের ডগায় জালাপোডা  করতে থাকে যতক্ষন না আমি সে স্হান ত্যাগ না করি ৷ আবার ব্যাড রুমে ধুম পান করলে ঐ দিনের ঘুম আমার জন্য হারাম হয়ে যায় ৷ তাছাডা যানবাহনে তো একে বারেই আমার সহ্য হয়না , অনেক সময় এ কারনে বুমিও হয়ে থাকে ৷ অনেক বন্ধু বান্ধবের সাথে আলাপ করলে অনেকে এ সমস্যা গুলোর সাথে ঐক্যমত ও পোষন  করেন ৷ <  মানুষ কে কষ্ট দেয়া হারাম ::  আল হাদীস
 :: যার হাত- পা মুখ থেকে অপর মুসলিম নিরাপদ নয় সে সত্যিকার মুমিন নয় ৷ আল হাদীস
,
 এজন্য সিঙ্গাপুর সবার সামনে সিগারেট খাওয়া নিষেধ। দন্ডনীয় অপরাধ ৷ বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর প্রায় দেশে আইন পাশ করা হয়েছে ৷
 জন সমাগম হয় এমন জায়গা যেমন বাস -ট্রেন  টামিনাল و বিমান বন্দর , আবাসীক হোটেল , রেস্তোরা ,অফিস -আদালত  সহ আরও অনেক জায়গায় ধুম পান নিষিদ্ধ ,তবে অগত্যা ধুম পান করতে হলে নিধারীত স্হানে গিয়েই ধুম পান করতে হয় ৷ অন্যাথায়   শাস্তি স্বরুপ  বিভন্ন অংকের  জরিমানা  গুনতে  হয় ৷


পানঃ শুধু পান খা্ওয়া হারাম নয় কারণ খালি পান করা তেমন ক্ষতি হয়না আর যদি পানের সাথে জর্দ্দা বা তামাক খায় তাহলে হারাম কারণ জর্দ্দা বা তামাকে আছে টাক আর নিকোটিন যা খেলে অনেক ক্ষতি হয় মানুষের, যেটা ধোঁয়ার মাধ্যমে নেয়া হোক বা পানের সাথে চিবিয়ে খাওয়া হোক ।যে কোন ভাবেই তা  হারাম ৷   পান বিক্রেতাকে ধরে দিতে পারলে ২০০০ দিরহাম পুরস্কার?
আমাদের দেশের প্রবাসী ভাইদের যেখানে সেখানে থু থু ফেলার একটা বদ অভ্যাস আছে। প্রবাসে পান খাওয়া নিষিদ্ধ। তারপরেও প্রবাসীরা পান খাওয়া থেকে বিরত নেই। বাসায় পান খেলে কেউ দেখে না। কিন্তু প্রবাসী ভাইয়েরা রাস্তায় পান খেতে বেশী পছন্দ করে। একটার পর একটা সিগারেট  আর পান চিবাতে চিবাতে খোশগল্পে মেতে উঠে। পানের পিচকিগুলো দেয়ালে লাগিয়ে দিয়ে রং করে দেয়। সুন্দর সুন্দর ডাস্টবিন গুলোর চারিদিকে পানের পিচকি দেখলে যে কারো মাথা খারাপ হবে।   বড় বড় সুপার মাকেটের ডাজবিন  , বিল্ডিং এর কোনায় এমন ভাবে পানের পিচকী ফেলে রক্তাক্ত করে ফেলেন যা দেখে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন মেজাজী লোকদের মাথা খারাপ হওয়ারই কথা ,
 ক্লিনারদেরকে ডাস্টবিন ও দেয়ালগুলো পরিস্কার করতে দেখি। হয়ত ক্লিনারদের অভিযোগের কারনে দুবাই সরকার পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে "এখন থেকে কেউ পান খেলে তার শাস্তি হবে, জরিমানা হবে, আর পান বিক্রেতাকে ধরিয়ে দিতে পারলে   2000 দিরহাম পুরস্কিত করা হবে।


প্রফেসর স্টিভেন স্পাইরোর এই সুপারিশ এমন এক সময়ে এল যখন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ক্যান্সার রিসার্চ ইউকে’ বলছে ধূমপান বিরোধী কার্যক্রমের ফলে ব্রিটেনে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষের মধ্যে ক্যান্সারের হার কমে এলেও দক্ষিণ এশিয়া থেকে আসা গোষ্ঠীর মধ্যে এর কার্যকারিতা খুব একটা দেখা যাচ্ছে না।
আর পৃথিবীতে ধুম পানের কারনে ফুসফুসের ক্যান্সারে বৎসরে ১৫ লক্ষ লোক মারা যায় ৷

লিংক------------- বি বি সি অডিও http://www.bbc.co.uk/bengali/multimedia/2012/11/121129_sg_southasia_smoking.shtml








---------------
آخى المدخن لحظه من فضلك
------------------------
الحمد لله وحده والصلاة والسلام على من لانبى بعده اما بعد----
*فقد اجمع علماء في البلد الحرام المباركة على حرمة التدخين---
واستدلوا على ذالك بكثير من أدلة الكتاب والسنة – منها قوله تعالى ----- ويحل لهم الطيبات ويحرم عليهم الخبائث – الأعراف الآية 157
ولا يشك احد من العاقل البالغ في خبث الدخان -------------------
وقوله تعالى --------------------------------------------------------
ولاتلقوا بأيديكم إلى التهلكة ---- البقرة الآية –195
وقوله تعالى ------------------------------------------------------
ولا تقتلوا أنفسكم إن الله كان بكم رحيما ----- النساء – الآية 29

وقد أثبتت الدراسات والتجارب الطبية آن التدخين مهلك وقاتل ولو على المدى البعيد---------------------------------------------------
------------------ وقول النبي صلى الله عليه وسلم --------------
 لا ضرر ولا ضرار – رواه احمد -------- والدخان ضرر على النفس والأسرة والمجتمع والأمة بأسرها-------------



أولا---- من أضرار التدخين على الجهاز التنفسي
----------------------------------------------
*** الإصابة بسرطان الرئة والحنجرة- والتهاب الرئة المزمن-
***بمرض السل الرؤى – والربو المزمن -
*** الاصابة بضيق التنفس – والالتهاب الشعبي المزمن

ثانيا --- من أضرار التدخين على جهاز العصبي
--------------------------------------------------
***-----------الاصابة –بمرض الأرق والتوتر
*** -- ضعف الأعصاب المؤدى إلى شلل الأعصاب
***---------- -- سرعة الغضب – والعصبية الزائدة
***-- -------- ضعف الذاكرة – ووهن النشاط الذهني
*** --- ضعف حاستي- الشم والذوق لأنه رائحة الدخان يظهر من الفم والجسم والثياب ولكن ما عندهم إحساس ---
*** ------------------- ضعف البصر والتهاب الجفون

ثالثا ---- من إضرار التدخين على القلب والجهاز الدوري
--------------------------------------------------------
***--- زيادة ضربات القلب –
*** ---- تصلب الشرايين وارتفاع ضغط الدم
****----- جلطات القلب والأوعية الدموية للمخ
****----- اضطراب الدورة الدموية في الأطراف
**** ----- الاصابة بالذبحة الصدرية والتهاب الشريان
التاجي


رابعا – من اضرارالتدخين على الجهاز الهضمي
---------------------------------------------
*** -- الاصابة بسرطان الفم والبلعوم والمريء والبنكرياس ----
****----------الاصابة بقرحة المعدة والاثنى عشر
**** ---------- الاصابة بمرض الضمور الكبدي

***** --- فقدان الشهية –والوهن - والضعف العام –

خامسا --- من أضرار التدخين على جهاز البولي
----------------------------------------------
***-- الاصابة بسرطان المثانة- وقرحة المثانة
***---- الاصابة بسرطان الكلى - والتسمم البولي

هل تصدق
-----------
**** أن الوفيات الناتجة عن التدخين في كل عام أكثر من الوفيات الناتجة عن جميع الأمراض الفتاكة مجتمعة –
****--- إذا كانت القنبلة الذرية التي ألقيت على يابان فتكت ب 260000 شخص فان التدخين يفتك كل عام بثلاثة ملايين شخص واه على العجب من المدخنين
*****--- ان السيدات والسادة: أن السيجارة الوحدة تحتوى على ما يقرب من 600 مركب كيماوي منها 40 مركبا يسبب مرض السرطان
**** إن في المائة سبعون شخص من 50 مليون مدخن في الولايات المتحدة حاولوا الإقلاع عن التدخين فمتى تحاول أنت يا عبد الله آخى المسلم الإقلاع عن التدخين – الست أحق بذالك منهم



كتبه --- عبد الله نظامي بنغلاديش
المائخذ من الرسائل القسم العلمي
مدار الوطن للنشر
المملكة العربية السعودية
25/12/1430 هجرية
التحذير من الطعن فى الصحابة
------------------------------
الحمد لله وحده والصلاة والسلام على من لا نبى بعده أما بعد -------------------------------------------------
*1*اعلم آخى الحبيب – أعزك الله – أن الطعن فى صحابة رسول الله صلى الله عليه وسلم هو طعن فى الحقيقة الطعن فى الإسلام وفى نبى الإسلام وفى القران الذي انزل على نبى الإسلام ------
***------------ أما كونه طعنا فى الإسلام---- فلان الصحابة رضي الله عنهم هم الوسائط الذين نقلوا إلينا الإسلام - والطعن فى الوسائط طعن فى الأصل – والازدراء بالناقل ازدراء بالنقل------------------------------
**** ----------- وأما كون الطعن فى الصحابة طعنا فى القران --------- فلان القران نطق بعدالتهم والثناء عليهم فكان الطعن فيهم يلزم تكذيبا لهذه الآيات التي نطقت بفضلهم و المعلوم أن إنكار الآية من الآيات القران كفر وحكمه خرج عن الملة والدين – أعذنا الله منهم
قال الله تعالى على شاءن الصحابة الكرام -------------- -------------------------
والسابقون الأولون من المهجرين والأنصار والذين اتبعوهم
بإحسان رضي الله عنهم ورضوا عنه واعد لهم جنت تجرى تحتها الأنهر خلدين فيها أبدا-- ذالك الفوز العظيم --
التوبة – 100
فكيف يكون هذا الثناء والفوز العظيم لقوم خائنين لله ورسوله كما يصفهم بعض الجهال

***-- وما كونه طعنا في النبي صلى الله عليه وسلم ----
فلانة دلالة على أن النبي صلى الله عليه وسلم لم يحسن اختيار الصحابة . ولم يؤثر فيهم , وهو أيضا تكذيب للنبي صلى الله عليه وسلم .
ومن ذالك ---
=== قال النبي صلى الله عليه وسلم لا تسبوا اصحابى –
فوالذى نفسي بيده لو انفق أحدكم مثل احد ذهبا ما بلغ مد احدهم ولا نصيفه متفق عليه
==== وقال النبي صلى الله عليه وسلم --
لعن الله من سب اصحابى- رواه الطبراني وحسنه الالبانى ----
==== وقال النبي صلى الله عليه وسلم –
واصحابى أمنة لامتى – فإذا ذهب اصحابى أتى امتى ما يوعدون --------------------- رواه مسلم
==== وقال النبي صلى الله عليه وسلم --
إذا ذكر اصحابى فامسكوا -- رواه الطبراني
==== وقال النبي صلى الله عليه وسلم –
ابوبكر في الجنة, وعمر في الجنة , وعثمان في الجنة وعلى في الجنة. وطلحة في الجنة , والزبير في الجنة. وعبد الرحمن في الجنة , وسعد في الجنة . وسعيد في الجنة, وأبو عبيدة بن الجراح في الجنة , رواه احمد; والترمذي بسند صحيح;
ولما قيل لعائشة رضي الله عنها يا أم المؤمنين نال ناس أصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم حتى نالوا من أبى بكر وعمر قالت انقطعت عنهما الإعمال فأحب الله عزوجل ألا ينقطع عنهما الآجر
=== وقال رسول الله صلى الله عليه وسلم .
اصحابى كالنجوم بأيهم اقتديتم اهتديتم ,


=== وقال الله تعالى -- وإذا قيل لهم امنوا كما امن الناس قالوا أنؤمن كما امن السفهاء ألا إنهم هم السفهاء ولكن لا يعلمون ; البقرة الآية 13 ----------------- والمعلوم أن هذه الآية المقصود من امن الناس هم الصحابة رسول الله رضوان الله عليهم أجمعين فالإيمان الصحابة مرائة للجميع حاضرا كان أو غائبا إلى يوم ألقيامه ,
==== وقوله تعالى – إذ قال لصاحبه لا تحزن إن الله معنا الآية .
هناك المراد لصاحبه هو سيدنا, وحبيبنا, وحبيب محمد صلى الله عليه وسلم , والرئيس العشرة المبشرات ,
والرئيس خلفاء الراشدين,والرئيس هذه الأمة بعد الأنبياء, هو سيدنا ابو بكر الصديق رضي الله عنه .

== وقال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلوا كما رائيتمونى أصلى ,
وهناك أيضا باعتبار رؤية صلواة النبي هم الصحابة هم المعيار الحق إلى يوم القيامة
لو يسألك يا عبد الله – يا عبد الرحمن -------------
من الذي راء صلواة النبي , من الذي راءا صيام النبي , من الذي راءا حج النبي , من الذي راءا معاملات النبي , إلى غير ذالك ----------------------------------
لا شئى من الجواب إلا الصحابة رسول الله صلى الله عليه وسلم . فلان الصحابة هم الوسائط الذين نقلوا إلينا الإسلام والإيمان والصلاة و الصيام والحج إلى غير ذالك

قال ابن الجو زى
وإنما يعرف قدر الصحابة رضي الله عنهم وفضائلهم من تدبر أحوالهم وسيرهم وأثارهم في حياة رسول الله صلى الله عليه ؤسلم وبعد موته –
من المسابقة إلى الإيمان والمجاهدة لأعداء الله ورسوله - فلولا هم ما وصل إلينا من الدين أصل ولا فرع- ولا حملنا من الشرائع سنة ولا فرضا – ولا علمنا من أحاديث رسول الله صلى الله عليه وسلم وإخباره وسيرته وأثاره شيئا
النتيجة ======
فمن طعن فيهم وسبهم – فقد خرج من الدين الحنيف ومرق من ملة المسلمين -------
وصلى الله على سيدنا محمد وعلى اله وصحبه وسلم –

كاتب === عبد الله نظامي بنغلاديش
مقيم المملكة العربية السعودية
مكة المكرمة

মঙ্গলবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১২

অবশ্য পালনীয় বাসর রাতে

  


বাসর রাত মুমিন জীবনের অন্যতম রাত। যারা পরকীয়া করে, লিভ টুগেদার করে, তারা এ রাতের মর্ম বুঝবে না। যারা বেশ্যা বা বহুগামিতা তাদের কাছে এ রাত বাতুলতা মাত্র। আমরা এ পর্বে বাসর রাতে অবশ্য পালনীয় কিছু টিপ্স নিয়ে আলোচনা করব।
০১. গোলাপ ফুল দিয়ে দুজন দুজনাকে বরণ করে নিতে হবে।
০২. উভয়ই মহান আল্লাহকে যে ভালবাসবেন তা পরিষ্কারভাবে দুজনা বোঝা পড়া করবেন।
০৩. হানিমুনে কোথায় যাবেন তা বাসর রাতেই ঠিক করবেন, সে ক্ষেত্রে স্বামী স্ত্রীকে এটা ঠিক করতে হবে যে, সবচেয়ে পৃথিবীর মূল্যবান যায়গা মক্কা মদীনায় যাওয়া এবং ওমরা করার পরিকল্পনা করা।
০৪. ছোট খাট ভুলের জন্য কাউকে তিরষ্কার না করা। কাউকে ছোট না করা।
০৫. কোন পক্ষের আত্নীয় স্বজনকে ছোট না করা, গালি না দেওয়া, অপমান না করা।
০৬. জীবনের প্রথম ভালবাসার রাত, তাই ভালবাসা অক্ষুন্ন রাখা।
০৭. দুজনাতে একটু খোশ গল্প করা, জীবন থেকে কোন গল্প বলা।
০৮. ভবিষ্যত জেনারেশনের ব্যাপারে আলাপ সেরে নেওয়া। তবে বেশী দূর অগ্রসর না হওয়াই ভাল।
০৯. মোহরানা যদি বাকি থাকে সেটা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া, অল্প দিনের মধ্যেই মোহরানা পরিশোধ করা। স্ত্রী যদি চাকুরি করে তবে টাইম টেবিলটা নিয়ে একটু পরিষ্কার করা। চাকুরি না করলে ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথা বলা।
১০. এ রাতই হল উত্তম ভালবাসার রাত। দুজনার সব আকুতি মেশানো ভালবাসা দিয়ে দুজনাকে জয় করা। কোন ভাবেই যেন ফজরের নামাজ কাজা না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখা্। আরো আরো কত কি? সব লিখতে পারলাম না। আমারওতো একটু লজ্জা……………………..


 
ইসলামে নারী-পুরুষের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য বিয়েই হচ্ছে একমাত্র বৈধ উপায়। বিয়েতে মোহরানা ধার্য করা এবং তা যথারীতি আদায় করার জন্য ইসলামে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। স্বামীর পক্ষ থেকে স্ত্রীকে মোহরানা প্রদান করা ফরজ।

কোরআন ও হাদীসের আলোকে মোহরানাঃ

মোহরানা সম্পর্কে কোরআনের বানীঃ

আল্লাহ তায়ালা বলেন,
‘তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের নিকট যে যৌন স্বাধ গ্রহন কর, তার বিনিময়ে তাদের মোহরানা ফরজ মনে করে আদায় কর।’ (সূরা নিসা-২৪)

আল্লাহ তায়ালা বলেন,
‘অতঃপর নারীদের অভিভাবকের অনুমুতি নিয়ে তাদের বিয়ে কর এবং তাদের মোহর যথাযথভাবে আদায় করে দাও।’ (সূরা নিসা-২৫)

আল্লাহ তায়ালা বলেন,
“স্ত্রীদের প্রাপ্য মোহরানা আদায় করে দাও, খূশী হয়ে ও তাদের প্রাপ্য অধিকার মনে করে।’ (সূরা নিসা-৪)

অত্র আয়াত সমুহ প্রমাণ করে যে, মোহরানা ফরজ বা আদায় করা অপরিহার্য।

মোহরানা সম্পর্কে রাসুল (সাঃ) এর বানীঃ

উক্ববা ইবনু আমের (রাঃ) বলেন, রাসুল (সাঃ) বলেছেন, “অবশ্যই পূরণীয় শর্ত হচ্ছে, যার বিনিময়ে তোমরা স্ত্রীর যৌনাঙ্গ নিজেদের জন্য হালাল মনে কর।’ (বুখারী,মুসলিম)

মহানবী (স.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোন মেয়েকে মোহরানা দেয়ার ওয়াদায় বিয়ে করেছে, কিন্তু সে মোহরানা আদায় করার তার ইচ্ছে নেই, সে কেয়ামতের দিন আল্লাহর সামনে অপরাধী হিসেবে দাঁড়াতে বাধ্য হবে।’ (মুসনাদে আহমেদ)।

সুতরাং মোহরানা স্ত্রীর এমন একটি প্রাপ্য যা তিনি স্বামীর সঙ্গে মিলিত হওয়ার আগে পাওনা হন, তবে স্ত্রী (স্বেচ্ছায় ও স্বত:স্ফূর্তভাবে) সময় দিলে বাকি রাখা যাবে। কিন্তু মোহরানার অর্থ আবশ্যিকভাবে পরিশোধ করতে হবে। বিবাহিত স্ত্রীকে অসহায় মনে করে ছলে-বলে-কৌশলে বা অজ্ঞতার সুযোগে মাফ করিয়ে নিলে মাফ না হয়ে তা হবে জুলুম-প্রতারণা। এ জুলুম প্রতিরোধকল্পে মহান আল্লাহপাক ঘোষণা করেন-‘যদি স্ত্রী নিজের পক্ষ থেকে স্বত:প্রবৃত্ত হয়ে মোহরের কিছু অংশ ক্ষমা করে দেয়, তবে তোমরা তা হৃষ্টচিত্তে গ্রহণ করতে পার।’ (সূরা নিসা, আয়াত-৪)।

মোহরানা এককালীন আদায় করতে অক্ষম হলে, উত্তম হল কিছু অংশ নগদ আদায় করে বাকি অংশ পরে আদায় করা, তা ধীরে ধীরে কিস্তিতে পরিশোধ করা। তবে মোহরানা নির্ধারণ করতে হবে স্বামীর সামর্থ্য অনুযায়ী যাতে তিনি সহজেই তা পরিশোধ করতে পারেন। কিন্তু বর্তমান সমাজের দু:খজনক ঘটনা হলো-বিশাল আকারের মোহরানা বাধা হয় নামেমাত্র অথচ বহুলাংশে তা পরিশোধ করতে দেখা যায় না।

আমাদের সমাজে কি দেখতে পাচ্ছি?

আজ থেকে ২০/২৫বছর আগেও বিয়েতে অল্প পরিমান মোহরানা ধার্য করা হতো। স্ত্রীকে প্রদান করতো কিনা আমার জানা নেই। তবে বর্তমানে বিয়েতে বেশী পরিমানে মোহরানা ধার্য করা হচ্ছে তার অন্যতম কারন হচ্ছেঃ

বিবাহ বিচ্ছেদ দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাই মোহরানা বেশী ধার্য করা হয় যাতে স্বামী স্ত্রীকে তালাক দিতে ভয় পায়।

*** বর্তমানে ধনী পরিবারের বিয়েতে লোক দেখানোর জন্য কোটি টাকা মোহরানা ধার্য করা হয়।

*** মধ্যেবিত্ত পরিবারের বিয়েতেও ১০ লক্ষ টাকার উপরে মোহরানা ধার্য করা হয়।

*** নিম্মবিত্ত পরিবারের বিয়েতে ২ লাখ টাকার উপরে মোহরানা ধার্য করা হয়।

*** বিয়েতে স্ত্রীকে দেয়া স্বর্ন ক্রয়ের টাকাটা অর্ধেক অথবা পুরাটাই মোহরানা থেকে কর্তন করা হয়। আর বাকীটা পরে প্রদান করার প্রতিশ্রতি দিয়ে থাকে।


মিথ্যা ওয়াদা দিয়েই নব-দম্পর্তির সংসার জীবন শুরু হয়ঃ

স্ত্রীকে মোহরানা আদায় করা ফরজ। আর এই ফরজ কাজটি না করে কিভাবে সংসার জীবন শুরু করবে? তাই বিয়ের পর স্ত্রীর সাথে প্রথম সাক্ষাতেই এই বিষয়টি ফয়সালা করা হয়। বউকে পরবর্তীতে প্রদান করার ঘোষনা দিয়েই সংসার জীবন শুরু করতে হয়। অচত আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের নিকট যে যৌন স্বাধ গ্রহন কর, তার বিনিময়ে তাদের মোহরানা ফরজ মনে করে আদায় কর।’ তারপর মোহরানা আদায় না করে বছরের পর বছর স্ত্রীর সাথে বসবাস করে। স্ত্রীও সংসারের সুখ-শান্তি নষ্ট হবার ভয়ে স্বামীর কাছে মোহরানা অর্থ চাইতে সংকোচ করে। অনেকে স্বামী মোহরানার অর্থ আদায় না করেই কোন এক সময় না ফেরার দেশে চলে যায়। অনেকে সংসারে অশান্তি দেখা দিলে তালাকের মাধ্যমে দাম্পত্য জীবনের ইতি ঘঁটান আর তখনই স্বামীকে আদালতের রায়ের মাধ্যমে মোহরানার অর্থ পরিশোধ করতে বাধ্য হয়।

আল্লাহ ও রাসুল (সাঃ) এর নির্দেশকে অমান্য করে আজ আমরা বিয়েতে মোহরানা কে কত বেশী দিতে পারি, কে কত নিতে পারি সেই প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছি। যার ফলে সংসারে অশান্তি,ভূল-বোঝাবুঝি, পরিশেষে বিচ্ছেদের মত ঘঁটনা ঘটে।

তাই সবাইকে বলছি, বিয়েতে সমতা রক্ষা করুন। কম মোহরানা ধার্য করুন। আর মোহরানা আদায় করেই সংসার জীবন শরুন। মনে রাখবেন, পরবর্তীতে প্রদান করার মিথ্যা প্রতিশ্র“তি দিয়ে সংসার শুরু করলেও যে কোন মুহুত্বে আপনার মৃত্যু হতে পারে। তখন আপনার স্ত্রী কার কাছে মোহরানা চাইবে? যদি মোহরানা আদায় করার মত কিছু না থাকে? স্ত্রীর মোহরানা আদায় না করে আপনি কি জান্নাতে যেতে পারবেন?

তাই কেবল সামাজিক স্টাটাস রক্ষার জন্য মোটা অংকের মোহরানা নয়; বরং সামর্থ্যরে মধ্যে মোহরানা বেঁধে নির্দিষ্ট সময়ে বাসর হওয়ার আগেই তা পরিশোধ করে দেয়া উচিত।


 

  


কাহিনীঃ জাফর তানিয়াকে ১৬ লাখ টাকা মোহরানা ধার্য করে বিয়ে করেছে। বিয়েতে জাফর তানিয়াকে দশ ভরি স্বর্ণ উপহার দেয়। দুই পরিবারের সম্মতিতে স্বর্নের মূল্য থেকে তিন লাখ টাকা উসুল দেখিয়ে বাকী টাকা পরে পরিশোধ করার অঙ্গীকার করে বিয়ে হয়েছে। বিয়ের পরে বাসর রাতে জাফরের ভাবী রুমে প্রবেশ করে মোহরানার বাকী টাকাটা কিভাবে পরিশোধ করবে জাফরের কাছে জানতে চায়। জাফর পরবর্তীতে পরিশোধ করবে বলে ভাবীর সামনে তানিয়াকে জানায়। তানিয়া এই প্রস্তাবে রাজী হয়ে জাফরকে নিয়ে স্বপ্নের বাসর রাত পার করে।

বাসর রাতে বিড়াল মারা নিয়ে বিবাহিত/অবিবাহিত নারী/পুরুষরা নানা গুঞ্জন করে থাকে। একেক একজন একেক দৃষ্টি ভঙ্গিতে দেখে। সবাই এই বিষয়টিকে নিয়ে হাসি-তামাশা করে। বিড়াল মারতে পারলে সবাই খুশী। তবে দুঃখ জনক হলেও সত্য যে আজকাল স্বামীরা বাসর রাতে বিড়াল মারা তো দুরের কথা উল্টো বউয়ের কাছে মাফ চাইতে হয়। কেন মাফ চাইতে হয় জানেন? তাহলে শুনুন।

আজ থেকে কয়েক দশক আগেও বিয়েতে খুব অল্প পরিমান মোহরানা ধার্য করা হত। বেশীর ভাগ স্বামী মোহরানা আদায় করে দিত। কেউবা বউয়ের নামে জমি লিখে দিত। কিন্তু আজকাল মোহরানা নিয়ে বর-কনে দু'পক্ষের মধ্যে দর কষাকষি শুরু হয়।

ডিজিটাল এই যুগে তালাকের পরিমান দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাই তালাক ঠেকাতে এখন মোহরানার পরিমান বেশী ধার্য করা হয়। মোহরানার টাকা স্বামী স্ত্রীকে দিতে পারবে কি পারবে না তা আর কেউ দেখে না। এখন বেশী টাকা মোহরানা ধার্য করে বিয়ে ঠিকিয়ে রাখার জন্য সবাই চেষ্টা করে। স্বামীকে চাপের মধ্যে রাখে। এই সুযোগে স্ত্রীদের পক্ষ থেকে তালাকের প্রস্তাব বেশী আসছে। তাই তালাকের পরিমান দিন দিন বেড়েই চলেছে।

ইসলামে মোহরানা আদায় করে স্ত্রীর কাছে যেতে বলা হয়েছে। বর্তমানে বিয়েতে স্ত্রীকে উপহার দেয়া স্বর্নের মূল্য হিসাব করে কিছু টাকা উসুল দেখিয়ে মোহরানার বাকী টাকাটা বাকীর খাতায় রেখে দেয়া হয়। তাই মোহরানার টাকা শত ভাগ পরিশোধ না করে বাসর রাতে স্বামী স্ত্রীকে মোহরানার বাকী টাকা পরে পরিশোধ করার ওয়াদা করে থাকে। স্ত্রীও স্বামীর কথায় বিশ্বাস করে সংসার জীবন শুরু করে। তাই বাসর রাতে বিড়াল মারার পরিবর্তে উল্টো স্ত্রীর কাছে মোহরানার টাকা নিয়ে ছোট হতে হয়।

দাম্পত্য জীবনে কোন এক সময় ভুল-বুঝাবুঝি হলে তালাকের মাধ্যমে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাইলে স্বামী স্ত্রীকে মোহরানার টাকা পরিশোধ করতে হয়। মোহরানার টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে স্বামী জেলের ভাত খেতে হয়।

তাই বাসর রাতে বিড়াল মারা নিয়ে যারা অতি উৎসাহী তাদেরকে বলতে চাই, বাসর রাতে বিড়াল মারার আগে স্ত্রীর মোহরানা আদায় করুন। মোহরানা আদায় না করে যদি আপনার মৃত্যু হয় তাহলে আপনাকে কঠিন শাস্তি পেতে হবে-

۩۞۩ ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে বাসর রাতে স্বামী-স্ত্রীর করণীয় কি পড়ে দেখুনঃ ۩۞۩


۩۞۩ বাসরঘর ও কনে সাজানো এবং তাদের জন্য দোয়া করাঃ ۩۞۩

নতুন বর ও কনের জন্য একটি ঘরের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন, যেখানে সুন্দরভাবে সাজিয়ে সুসজ্জিত করে বরের নিকট পেশ করা হবে। যেসব মহিলারা কনেকে সাজাবে তারা তাদের (বর-কনে) জন্য কল্যাণ, বরকত ও সৌভাগ্যবান হওয়ার জন্য দোয়া করবে।

বর-কনের জন্য ঘরের ব্যবস্থা করা এবং কনেকে সাজানো সুন্নত। আসমা বিনতে ইযাযিদ (রাঃ) বলেন, আমি রাসুল (সাঃ) এর জন্য আয়েশাকে সুসজ্জিত করেছিলাম।

(আহমদ, আদাবুয যিফাফ ১৯ পৃষ্টা)


۩۞۩ বাসর রাতে স্ত্রীর সাথে সদয়, স্নেহময়, কোমল, ভদ্র ও নম্র হওয়া উত্তম এবং মিষ্টান্নর ব্যবস্থা থাকা উচিতঃ ۩۞۩

বাসর রাতে স্ত্রীর নিকট যাওয়ার সময় স্বামীকে কোমন হওয়া উচিত। সেখানে কিছু শরবত ও কিছু সুস্বাদু খাদ্য রাখা সুন্নত, যা স্বামী-স্ত্রী উভয়েই খাবে। যারা ব্যবস্থাপনায় থাকবে তারাও এ খাদ্য অংশগ্রহন করতে পারে।



 

সোমবার, ২২ অক্টোবর, ২০১২

কুরবানীর মাসলা মাসায়েল

কুরবানী একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি আদায় করা ওয়াজিব।

সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি এই ইবাদত পালন করে না তার ব্যাপারে হাদীস শরীফে এসেছে, ‘যার কুরবানীর সামর্থ্য রয়েছে কিন্তু কুরবানী করে না সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে।’-মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস : ৩৫১৯; আত্তারগীব ওয়াত্তারহীব ২/১৫৫

ইবাদতের মূলকথা হল আল্লাহ তাআলার আনুগত্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন। তাই যেকোনো ইবাদতের পূর্ণতার জন্য দুটি বিষয় জরুরি। ইখলাস তথা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে পালন করা এবং শরীয়তের নির্দেশনা মোতাবেক মাসায়েল অনুযায়ী সম্পাদন করা। এ উদ্দেশ্যে এখানে কুরবানীর কিছু জরুরি মাসায়েল উল্লেখ হল।

কার উপর কুরবানী ওয়াজিব

মাসআলা : ১. প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থমস্তিষ্ক সম্পন্ন প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী, যে ১০ যিলহজ্ব ফজর থেকে ১২ যিলহজ্ব সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে তার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব। টাকা-পয়সা, সোনা-রূপা, অলঙ্কার, বসবাস ও খোরাকির প্রয়োজন আসে না এমন জমি, প্রয়োজন অতিরিক্ত বাড়ি, ব্যবসায়িক পণ্য ও অপ্রয়োজনীয় সকল আসবাবপত্র কুরবানীর নেসাবের ক্ষেত্রে হিসাবযোগ্য।

আর নিসাব হল স্বর্ণের ক্ষেত্রে সাড়ে সাত (৭.৫) ভরি, রূপার ক্ষেত্রে সাড়ে বায়ান্ন (৫২.৫) ভরি, টাকা-পয়সা ও অন্যান্য বস্ত্তর ক্ষেত্রে নিসাব হল এর মূল্য সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপার মূল্যের সমপরিমাণ হওয়া। আর সোনা বা রূপা কিংবা টাকা-পয়সা এগুলোর কোনো একটি যদি পৃথকভাবে নেসাব পরিমাণ না থাকে কিন্তু প্রয়োজন অতিরিক্ত একাধিক বস্ত্ত মিলে সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপার মূল্যের সমপরিমাণ হয়ে যায় তাহলেও তার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব।-আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৪৫৫; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৭/৪০৫

নেসাবের মেয়াদ

মাসআলা ২. কুরবানীর নেসাব পুরো বছর থাকা জরুরি নয়; বরং কুরবানীর তিন দিনের মধ্যে যে কোনো দিন থাকলেই কুরবানী ওয়াজিব হবে।-বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৬, রদ্দুল মুহতার ৬/৩১২

কুরবানীর সময়

মাসআলা : ৩. মোট তিনদিন কুরবানী করা যায়। যিলহজ্বের ১০, ১১ ও ১২ তারিখ সূর্যাস্ত পর্যন্ত। তবে সম্ভব হলে যিলহজ্বের ১০ তারিখেই কুরবানী করা উত্তম। -মুয়াত্তা মালেক ১৮৮, বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৮, ২৩, ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/২৯৫

নাবালেগের কুরবানী

মাসআলা : ৪. নাবালেগ শিশু-কিশোর তদ্রূপ যে সুস্থমস্তিষ্কসম্পন্ন নয়, নেসাবের মালিক হলেও তাদের উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়। অবশ্য তার অভিভাবক নিজ সম্পদ দ্বারা তাদের পক্ষে কুরবানী করলে তা সহীহ হবে।-বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৬, রদ্দুল মুহতার ৬/৩১৬

মুসাফিরের জন্য কুরবানী

মাসআলা : ৫. যে ব্যক্তি কুরবানীর দিনগুলোতে মুসাফির থাকবে (অর্থাৎ ৪৮ মাইল বা প্রায় ৭৮ কিলোমিটার দূরে যাওয়ার নিয়তে নিজ এলাকা ত্যাগ করেছে) তার উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়। -ফাতাওয়া কাযীখান ৩/৩৪৪, বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৫, আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩১৫

নাবালেগের পক্ষ থেকে কুরবানী

মাসআলা : ৬. নাবালেগের পক্ষ থেকে কুরবানী দেওয়া অভিভাবকের উপর ওয়াজিব নয়; বরং মুস্তাহাব।-রদ্দুল মুহতার ৬/৩১৫; ফাতাওয়া কাযীখান ৩/৩৪৫

দরিদ্র ব্যক্তির কুরবানীর হুকুম

মাসআলা : ৭. দরিদ্র ব্যক্তির উপর কুরবানী করা ওয়াজিব নয়; কিন্তু সে যদি কুরবানীর নিয়তে কোনো পশু কিনে তাহলে তা কুরবানী করা ওয়াজিব হয়ে যায়। -বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯২

কুরবানী করতে না পারলে

মাসআলা : ৮. কেউ যদি কুরবানীর দিনগুলোতে ওয়াজিব কুরবানী দিতে না পারে তাহলে কুরবানীর পশু ক্রয় না করে থাকলে তার উপর কুরবানীর উপযুক্ত একটি ছাগলের মূল্য সদকা করা ওয়াজিব। আর যদি পশু ক্রয় করে ছিল, কিন্তু কোনো কারণে কুরবানী দেওয়া হয়নি তাহলে ঐ পশু জীবিত সদকা করে দিবে।-বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৪, ফাতাওয়া কাযীখান ৩/৩৪৫

প্রথম দিন কখন থেকে কুরবানী করা যাবে

মাসআলা : ৯. যেসব এলাকার লোকদের উপর জুমা ও ঈদের নামায ওয়াজিব তাদের জন্য ঈদের নামাযের আগে কুরবানী করা জায়েয নয়। অবশ্য বৃষ্টিবাদল বা অন্য কোনো ওজরে যদি প্রথম দিন ঈদের নামায না হয় তাহলে ঈদের নামাযের সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর প্রথম দিনেও কুরবানী করা জায়েয।-সহীহ বুখারী ২/৮৩২, কাযীখান ৩/৩৪৪, আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩১৮

রাতে কুরবানী করা

মাসআলা : ১০. ১০ ও ১১ তারিখ দিবাগত রাতেও কুরবানী করা জায়েয। তবে দিনে কুরবানী করাই ভালো। -মুসনাদে আহমাদ, হাদীস : ১৪৯২৭; মাজমাউয যাওয়াইদ ৪/২২, আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩২০, কাযীখান ৩/৩৪৫, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৩

কুরবানীর উদ্দেশ্যে ক্রয়কৃত পশু সময়ের পর যবাই করলে

মাসআলা : ১১. কুরবানীর দিনগুলোতে যদি জবাই করতে না পারে তাহলে খরিদকৃত পশুই সদকা করে দিতে হবে। তবে যদি (সময়ের পরে) জবাই করে ফেলে তাহলে পুরো গোশত সদকা করে দিতে হবে। এক্ষেত্রে গোশতের মূল্য যদি জীবিত পশুর চেয়ে কমে যায় তাহলে যে পরিমাণ মূল্য হ্রাস পেল তা-ও সদকা করতে হবে।-বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০২, আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩২০-৩২১

কোন কোন পশু দ্বারা কুরবানী করা যাবে

মাসআলা : ১২. উট, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা দ্বারা কুরবানী করা জায়েয। এসব গৃহপালিত পশু ছাড়া অন্যান্য পশু যেমন হরিণ, বন্যগরু ইত্যাদি দ্বারা কুরবানী করা জায়েয নয়। -কাযীখান ৩/৩৪৮, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৫

নর ও মাদা পশুর কুরবানী

মাসআলা : ১৩. যেসব পশু কুরবানী করা জায়েয সেগুলোর নর-মাদা দুটোই কুরবানী করা যায়। -কাযীখান ৩/৩৪৮, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৫

কুরবানীর পশুর বয়সসীমা

মাসআলা : ১৪. উট কমপক্ষে ৫ বছরের হতে হবে। গরু ও মহিষ কমপক্ষে ২ বছরের হতে হবে। আর ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা কমপক্ষে ১ বছরের হতে হবে। তবে ভেড়া ও দুম্বা যদি ১ বছরের কিছু কমও হয়, কিন্তু এমন হৃষ্টপুষ্ট হয় যে, দেখতে ১ বছরের মতো মনে হয় তাহলে তা দ্বারাও কুরবানী করা জায়েয। অবশ্য এক্ষেত্রে কমপক্ষে ৬ মাস বয়সের হতে হবে।

উল্লেখ্য, ছাগলের বয়স ১ বছরের কম হলে কোনো অবস্থাতেই তা দ্বারা কুরবানী জায়েয হবে না। -কাযীখান ৩/৩৪৮, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৫-২০৬

এক পশুতে শরীকের সংখ্যা

মাসআলা : ১৫. একটি ছাগল, ভেড়া বা দুম্বা দ্বারা শুধু একজনই কুরবানী দিতে পারবে। এমন একটি পশু কয়েকজন মিলে কুরবানী করলে কারোটাই সহীহ হবে না। আর উট, গরু, মহিষে সর্বোচ্চ সাত জন শরীক হতে পারবে। সাতের অধিক শরীক হলে কারো কুরবানী সহীহ হবে না। -সহীহ মুসলিম ১৩১৮, মুয়াত্তা মালেক ১/৩১৯, কাযীখান ৩/৩৪৯, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৭-২০৮

সাত শরীকের কুরবানী

মাসআলা : ১৬. সাতজনে মিলে কুরবানী করলে সবার অংশ সমান হতে হবে। কারো অংশ এক সপ্তমাংশের কম হতে পারবে না। যেমন কারো আধা ভাগ, কারো দেড় ভাগ। এমন হলে কোনো শরীকের কুরবানীই সহীহ হবে না। -বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৭

মাসআলা : ১৭. উট, গরু, মহিষ সাত ভাগে এবং সাতের কমে যেকোনো সংখ্যা যেমন দুই, তিন, চার, পাঁচ ও ছয় ভাগে কুরবানী করা জায়েয। -সহীহ মুসলিম ১৩১৮, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৭

কোনো অংশীদারের গলদ নিয়ত হলে

মাসআলা : ১৮. যদি কেউ আল্লাহ তাআলার হুকুম পালনের উদ্দেশ্যে কুরবানী না করে শুধু গোশত খাওয়ার নিয়তে কুরবানী করে তাহলে তার কুরবানী সহীহ হবে না। তাকে অংশীদার বানালে শরীকদের কারো কুরবানী হবে না। তাই অত্যন্ত সতর্কতার সাথে শরীক নির্বাচন করতে হবে। -বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৮, কাযীখান ৩/৩৪৯

কুরবানীর পশুতে আকীকার অংশ

মাসআলা : ১৯. কুরবানীর গরু, মহিষ ও উটে আকীকার নিয়তে শরীক হতে পারবে। এতে কুরবানী ও আকীকা দুটোই সহীহ হবে।-তাহতাবী আলাদ্দুর ৪/১৬৬, রদ্দুল মুহতার ৬/৩৬২

মাসআলা : ২০. শরীকদের কারো পুরো বা অধিকাংশ উপার্জন যদি হারাম হয় তাহলে কারো কুরবানী সহীহ হবে না।

মাসআলা : ২১. যদি কেউ গরু, মহিষ বা উট একা কুরবানী দেওয়ার নিয়তে কিনে আর সে ধনী হয় তাহলে ইচ্ছা করলে অন্যকে শরীক করতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে একা কুরবানী করাই শ্রেয়। শরীক করলে সে টাকা সদকা করে দেওয়া উত্তম। আর যদি ওই ব্যক্তি এমন গরীব হয়, যার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব নয়, তাহলে সে অন্যকে শরীক করতে পারবে না। এমন গরীব ব্যক্তি যদি কাউকে শরীক করতে চায় তাহলে পশু ক্রয়ের সময়ই নিয়ত করে নিবে।-কাযীখান ৩/৩৫০-৩৫১, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১০

কুরবানীর উত্তম পশু

মাসআলা : ২২. কুরবানীর পশু হৃষ্টপুষ্ট হওয়া উত্তম।-মুসনাদে আহমদ ৬/১৩৬, আলমগীরী ৫/৩০০, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৩

খোড়া পশুর কুরবানী

মাসআলা : ২৩. যে পশু তিন পায়ে চলে, এক পা মাটিতে রাখতে পারে না বা ভর করতে পারে না এমন পশুর কুরবানী জায়েয নয়। -জামে তিরমিযী ১/২৭৫, সুনানে আবু দাউদ ৩৮৭, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১৪, রদ্দুল মুহতার ৬/৩২৩, আলমগীরী ৫/২৯৭

রুগ্ন ও দুর্বল পশুর কুরবানী

মাসআলা : ২৪. এমন শুকনো দুর্বল পশু, যা জবাইয়ের স্থান পর্যন্ত হেঁটে যেতে পারে না তা দ্বারা কুরবানী করা জায়েয নয়। -জামে তিরমিযী ১/২৭৫, আলমগীরী ৫/২৯৭, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১৪

দাঁত নেই এমন পশুর কুরবানী

মাসআলা : ২৫. যে পশুর একটি দাঁতও নেই বা এত বেশি দাঁত পড়ে গেছে যে, ঘাস বা খাদ্য চিবাতে পারে না এমন পশু দ্বারাও কুরবানী করা জায়েয নয়। -বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১৫, আলমগীরী ৫/২৯৮

যে পশুর শিং ভেঙ্গে বা ফেটে গেছে

মাসআলা : ২৬. যে পশুর শিং একেবারে গোড়া থেকে ভেঙ্গে গেছে, যে কারণে

মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সে পশুর কুরবানী জায়েয নয়। পক্ষান্তরে যে পশুর অর্ধেক শিং বা কিছু শিং ফেটে বা ভেঙ্গে গেছে বা শিং একেবারে উঠেইনি সে পশু কুরবানী করা জায়েয। -জামে তিরমিযী ১/২৭৬, সুনানে আবু দাউদ ৩৮৮, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১৬, রদ্দুল মুহতার ৬/৩২৪, আলমগীরী ৫/২৯৭

কান বা লেজ কাটা পশুর কুরবানী

মাসআলা : ২৭. যে পশুর লেজ বা কোনো কান অর্ধেক বা তারও বেশি কাটা সে পশুর কুরবানী জায়েয নয়। আর যদি অর্ধেকের বেশি থাকে তাহলে তার কুরবানী জায়েয। তবে জন্মগতভাবেই যদি কান ছোট হয় তাহলে অসুবিধা নেই। -জামে তিরমিযী ১/২৭৫, মুসনাদে আহমদ ১/৬১০, ইলাউস সুনান ১৭/২৩৮, কাযীখান ৩/৩৫২, আলমগীরী ৫/২৯৭-২৯৮

অন্ধ পশুর কুরবানী

মাসআলা : ২৮. যে পশুর দুটি চোখই অন্ধ বা এক চোখ পুরো নষ্ট সে পশু কুরবানী করা জায়েয নয়। -জামে তিরমিযী ১/২৭৫, কাযীখান ৩/৩৫২, আলমগীরী ২৯৭, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১৪

নতুন পশু ক্রয়ের পর হারানোটা পাওয়া গেলে

মাসআলা : ২৯. কুরবানীর পশু হারিয়ে যাওয়ার পরে যদি আরেকটি কেনা হয় এবং পরে হারানোটিও পাওয়া যায় তাহলে কুরবানীদাতা গরীব হলে (যার উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়) দুটি পশুই কুরবানী করা ওয়াজিব। আর ধনী হলে কোনো একটি কুরবানী করলেই হবে। তবে দুটি কুরবানী করাই উত্তম। -সুনানে বায়হাকী ৫/২৪৪, ইলাউস সুনান ১৭/২৮০, বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৯, কাযীখান ৩/৩৪৭

গর্ভবতী পশুর কুরবানী

মাসআলা : ৩০. গর্ভবতী পশু কুরবানী করা জায়েয। জবাইয়ের পর যদি বাচ্চা জীবিত পাওয়া যায় তাহলে সেটাও জবাই করতে হবে। তবে প্রসবের সময় আসন্ন হলে সে পশু কুরবানী করা মাকরূহ। -কাযীখান ৩/৩৫০

পশু কেনার পর দোষ দেখা দিলে

মাসআলা : ৩১. কুরবানীর নিয়তে ভালো পশু কেনার পর যদি তাতে এমন কোনো দোষ দেখা দেয় যে কারণে কুরবানী জায়েয হয় না তাহলে ওই পশুর কুরবানী সহীহ হবে না। এর স্থলে আরেকটি পশু কুরবানী করতে হবে। তবে ক্রেতা গরীব হলে ত্রুটিযুক্ত পশু দ্বারাই কুরবানী করতে পারবে। -খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৩১৯, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১৬, ফাতাওয়া নাওয়াযেল ২৩৯, রদ্দুল মুহতার ৬/৩২৫

পশুর বয়সের ব্যাপারে বিক্রেতার কথা

মাসআলা : ৩২. যদি বিক্রেতা কুরবানীর পশুর বয়স পূর্ণ হয়েছে বলে স্বীকার করে আর পশুর শরীরের অবস্থা দেখেও তাই মনে হয় তাহলে বিক্রেতার কথার উপর নির্ভর করে পশু কেনা এবং তা দ্বারা কুরবানী করা যাবে। -আহকামে ঈদুল আযহা, মুফতী মুহাম্মাদ শফী রহ. ৫

বন্ধ্যা পশুর কুরবানী

মাসআলা : ৩৩. বন্ধ্যা পশুর কুরবানী জায়েয। -রদ্দুল মুহতার ৬/৩২৫

নিজের কুরবানীর পশু নিজে জবাই করা

মাসআলা : ৩৪. কুরবানীর পশু নিজে জবাই করা উত্তম। নিজে না পারলে অন্যকে দিয়েও জবাই করাতে পারবে। এক্ষেত্রে কুরবানীদাতা পুরুষ হলে জবাইস্থলে তার উপস্থিত থাকা ভালো। -মুসনাদে আহমদ ২২৬৫৭, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২২-২২৩, আলমগীরী ৫/৩০০, ইলাউস সুনান ১৭/২৭১-২৭৪

জবাইয়ে একাধিক ব্যক্তি শরীক হলে

মাসআলা : ৩৫. অনেক সময় জবাইকারীর জবাই সম্পন্ন হয় না, তখন কসাই বা অন্য কেউ জবাই সম্পন্ন করে থাকে। এক্ষেত্রে অবশ্যই উভয়কেই নিজ নিজ যবাইয়ের আগে ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার’ পড়তে হবে। যদি কোনো একজন না পড়ে তবে ওই কুরবানী সহীহ হবে না এবং জবাইকৃত পশুও হালাল হবে না। -রদ্দুল মুহতার ৬/৩৩৪

কুরবানীর পশু থেকে জবাইয়ের আগে উপকৃত হওয়া

মাসআলা : ৩৬. কুরবানীর পশু কেনার পর বা নির্দিষ্ট করার পর তা থেকে উপকৃত হওয়া জায়েয নয়। যেমন হালচাষ করা, আরোহণ করা, পশম কাটা ইত্যাদি।সুতরাং কুরবানীর পশু দ্বারা এসব করা যাবে না। যদি করে তবে পশমের মূল্য, হালচাষের মূল্য ইত্যাদি সদকা করে দিবে।-মুসনাদে আহমদ ২/১৪৬, নায়লুল আওতার ৩/১৭২, ইলাউস সুনান ১৭/২৭৭, কাযীখান ৩/৩৫৪, আলমগীরী ৫/৩০০

কুরবানীর পশুর দুধ পান করা

মাসআলা : ৩৭. কুরবানীর পশুর দুধ পান করা যাবে না। যদি জবাইয়ের সময় আসন্ন হয় আর দুধ দোহন না করলে পশুর

কষ্ট হবে না বলে মনে হয় তাহলে দোহন করবে না। প্রয়োজনে ওলানে ঠান্ডা পানি ছিটিয়ে দেবে। এতে দুধের চাপ কমে যাবে। যদি দুধ দোহন করে ফেলে তাহলে তা সদকা করে দিতে হবে। নিজে পান করে থাকলে মূল্য সদকা করে দিবে। -মুসনাদে আহমদ ২/১৪৬, ইলাউস সুনান ১৭/২৭৭,

রদ্দুল মুহতার ৬/৩২৯, কাযীখান ৩/৩৫৪, আলমগীরী ৫/৩০১

কোনো শরীকের মৃত্যু ঘটলে

মাসআলা : ৩৮. কয়েকজন মিলে কুরবানী করার ক্ষেত্রে জবাইয়ের আগে কোনো শরীকের মৃত্যু হলে তার ওয়ারিসরা যদি মৃতের পক্ষ থেকে কুরবানী করার অনুমতি দেয় তবে তা জায়েয হবে। নতুবা ওই শরীকের টাকা ফেরত দিতে হবে। অবশ্য তার

স্থলে অন্যকে শরীক করা যাবে। -বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৯, আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩২৬, কাযীখান ৩/৩৫১

কুরবানীর পশুর বাচ্চা হলে

মাসআলা : ৩৯. কুরবানীর পশু বাচ্চা দিলে ওই বাচ্চা জবাই না করে জীবিত সদকা করে দেওয়া উত্তম। যদি সদকা না করে তবে কুরবানীর পশুর সাথে বাচ্চাকেও জবাই করবে এবং গোশত সদকা করে দিবে।-কাযীখান ৩/৩৪৯, আলমগীরী ৫/৩০১, রদ্দুল মুহতার ৬/৩২৩

মৃতের পক্ষ থেকে কুরবানী

মাসআলা : ৪০. মৃতের পক্ষ থেকে কুরবানী করা জায়েয। মৃত ব্যক্তি যদি ওসিয়ত না করে থাকে তবে সেটি নফল কুরবানী হিসেবে গণ্য হবে। কুরবানীর স্বাভাবিক গোশতের মতো তা নিজেরাও খেতে পারবে এবং আত্মীয়-স্বজনকেও দিতে পারবে। আর যদি মৃত ব্যক্তি কুরবানীর ওসিয়ত করে গিয়ে থাকে তবে এর গোশত নিজেরা খেতে পারবে না। গরীব-মিসকীনদের মাঝে সদকা করে দিতে হবে। -মুসনাদে আহমদ ১/১০৭, হাদীস ৮৪৫, ইলাউস সুনান ১৭/২৬৮, রদ্দুল মুহতার ৬/৩২৬, কাযীখান ৩/৩৫২

কুরবানীর গোশত জমিয়ে রাখা

মাসআলা : ৪১. কুরবানীর গোশত তিনদিনেরও অধিক জমিয়ে রেখে খাওয়া জায়েয।-বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৪, সহীহ মুসলিম ২/১৫৯, মুয়াত্তা মালেক ১/৩১৮, ইলাউস সুনান ১৭/২৭০

কুরবানীর গোশত বণ্টন

মাসআলা : ৪২. শরীকে কুরবানী করলে ওজন করে গোশত বণ্টন করতে হবে। অনুমান করে ভাগ করা জায়েয নয়।-আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩১৭, কাযীখান ৩/৩৫১

মাসআলা : ৪৩. কুরবানীর গোশতের এক তৃতীয়াংশ গরীব-মিসকীনকে এবং এক তৃতীয়াংশ আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীকে দেওয়া উত্তম। অবশ্য পুরো গোশত যদি নিজে রেখে দেয় তাতেও কোনো অসুবিধা নেই। -বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৪, আলমগীরী ৫/৩০০

গোশত, চর্বি বিক্রি করা

মাসআলা : ৪৪. কুরবানীর গোশত, চর্বি ইত্যাদি বিক্রি করা জায়েয নয়। বিক্রি করলে পূর্ণ মূল্য সদকা করে দিতে হবে। -ইলাউস সুনান ১৭/২৫৯, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৫, কাযীখান ৩/৩৫৪, আলমগীরী ৫/৩০১

জবাইকারীকে চামড়া, গোশত দেওয়া

মাসআলা : ৪৫. জবাইকারী, কসাই বা কাজে সহযোগিতাকারীকে চামড়া, গোশত বা কুরবানীর পশুর কোনো কিছু পারিশ্রমিক হিসেবে দেওয়া জায়েয হবে না। অবশ্য পূর্ণ পারিশ্রমিক দেওয়ার পর পূর্বচুক্তি ছাড়া হাদিয়া হিসাবে গোশত বা তরকারী দেওয়া যাবে।

জবাইয়ের অস্ত্র

মাসআলা : ৪৬. ধারালো অস্ত্র দ্বারা জবাই করা উত্তম।-বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৩

পশু নিস্তেজ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা

মাসআলা : ৪৭. জবাইয়ের পর পশু

নিস্তেজ হওয়ার আগে চামড়া খসানো বা অন্য কোনো অঙ্গ কাটা মাকরূহ। -বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৩

অন্য পশুর সামনে জবাই করা

মাসআলা : ৪৮. এক পশুকে অন্য পশুর সামনে জবাই করবে না। জবাইয়ের সময় প্রাণীকে অধিক কষ্ট না দেওয়া।

কুরবানীর গোশত বিধর্মীকে দেওয়া

মাসআলা : ৪৯. কুরবানীর গোশত হিন্দু ও অন্য ধর্মাবলম্বীকে দেওয়া জায়েয।-ইলাউস সুনান ৭/২৮৩, ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩০০

অন্য কারো ওয়াজিব কুরবানী আদায় করতে চাইলে

মাসআলা : ৫০. অন্যের ওয়াজিব কুরবানী দিতে চাইলে ওই ব্যক্তির অনুমতি নিতে হবে। নতুবা ওই ব্যক্তির কুরবানী আদায় হবে না। অবশ্য স্বামী বা পিতা যদি স্ত্রী বা সন্তানের বিনা অনুমতিতে তার পক্ষ থেকে কুরবানী করে তাহলে তাদের কুরবানী আদায় হয়ে যাবে। তবে অনুমতি নিয়ে আদায় করা ভালো।

কুরবানীর পশু চুরি হয়ে গেলে বা মরে গেলে

মাসআলা : ৫১. কুরবানীর পশু যদি চুরি হয়ে যায় বা মরে যায় আর কুরবানীদাতার উপর পূর্ব থেকে কুরবানী ওয়াজিব থাকে তাহলে আরেকটি পশু কুরবানী করতে হবে। গরীব হলে (যার উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়) তার জন্য আরেকটি পশু কুরবানী করা ওয়াজিব নয়।-বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১৬, খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৩১৯

পাগল পশুর কুরবানী

মাসআলা : ৫২. পাগল পশু কুরবানী করা জায়েয। তবে যদি এমন পাগল হয় যে, ঘাস পানি দিলে খায় না এবং মাঠেও চরে না তাহলে সেটার কুরবানী জায়েয হবে না। -আননিহায়া ফী গরীবিল হাদীস ১/২৩০, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১৬, ইলাউস সুনান ১৭/২৫২

নিজের কুরবানীর গোশত খাওয়া

মাসআলা : ৫৩. কুরবানীদাতার জন্য নিজ কুরবানীর গোশত খাওয়া মুস্তাহাব। -সূরা হজ্ব ২৮, সহীহ মুসলিম ২২/১৫৯, মুসনাদে আহমদ, হাদীস ৯০৭৮, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৪

ঋণ করে কুরবানী করা

মাসআলা : ৫৪. কুরবানী ওয়াজিব এমন ব্যক্তিও ঋণের টাকা দিয়ে কুরবানী করলে ওয়াজিব আদায় হয়ে যাবে। তবে সুদের উপর ঋণ নিয়ে কুরবানী করা যাবে না।

হাজীদের উপর ঈদুল আযহার কুরবানী

মাসআলা : ৫৫. যেসকল হাজী কুরবানীর দিনগুলোতে মুসাফির থাকবে তাদের উপর ঈদুল আযহার কুরবানী ওয়াজিব নয়। কিন্তু যে হাজী কুরবানীর কোনো দিন মুকীম থাকবে সামর্থ্যবান হলে তার উপর ঈদুল আযহার কুরবানী করা জরুরি হবে। -ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/২৯৩, আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩১৫, বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৫, ইমদাদুল ফাতাওয়া ২/১৬৬

নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পক্ষ থেকে কুরবানী করা

মাসআলা : ৫৬. সামর্থ্যবান ব্যক্তির রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পক্ষ থেকে কুরবানী করা উত্তম। এটি বড় সৌভাগ্যের বিষয়ও বটে। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলী রা.কে তার পক্ষ থেকে কুরবানী করার ওসিয়্যত করেছিলেন। তাই তিনি প্রতি বছর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পক্ষ থেকেও কুরবানী দিতেন। -সুনানে আবু দাউদ ২/২৯, জামে তিরমিযী ১/২৭৫, ইলাউস সুনান ১৭/২৬৮, মিশকাত ৩/৩০৯

কোন দিন কুরবানী করা উত্তম

মাসআলা : ৫৭. ১০, ১১ ও ১২ এ তিন দিনের মধ্যে প্রথম দিন কুরবানী করা অধিক উত্তম। এরপর দ্বিতীয় দিন, এরপর তৃতীয় দিন। -রদ্দুল মুহতার ৬/৩১৬

খাসীকৃত ছাগল দ্বারা কুরবানী

মাসআলা : ৫৮. খাসিকৃত ছাগল দ্বারা কুরবানী করা উত্তম। -ফাতহুল কাদীর ৮/৪৯৮, মাজমাউল আনহুর ৪/২২৪, ইলাউস সুনান ১৭/৪৫৩

জীবিত ব্যক্তির নামে কুরবানী

মাসআলা : ৫৯. যেমনিভাবে মৃতের পক্ষ থেকে ঈসালে সওয়াবের উদ্দেশ্যে কুরবানী করা জায়েয তদ্রূপ জীবিত ব্যক্তির পক্ষ থেকে তার ইসালে সওয়াবের জন্য নফল কুরবানী করা জায়েয। এ কুরবানীর গোশত দাতা ও তার পরিবারও খেতে পারবে।

বিদেশে অবস্থানরত ব্যক্তির কুরবানী অন্যত্রে করা

মাসআলা : ৬০. বিদেশে অবস্থানরত ব্যক্তির জন্য নিজ দেশে বা অন্য কোথাও কুরবানী করা জায়েয।

কুরবানীদাতা ভিন্ন স্থানে থাকলে কখন জবাই করবে

মাসআলা : ৬১. কুরবানীদাতা এক স্থানে আর কুরবানীর পশু ভিন্ন স্থানে থাকলে কুরবানীদাতার ঈদের নামায পড়া বা না পড়া ধর্তব্য নয়; বরং পশু যে এলাকায় আছে ওই এলাকায় ঈদের জামাত হয়ে গেলে পশু জবাই করা যাবে। -আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩১৮

কুরবানীর চামড়া বিক্রির অর্থ সাদকা করা

মাসআলা : ৬২. কুরবানীর চামড়া কুরবানীদাতা নিজেও ব্যবহার করতে পারবে। তবে কেউ যদি নিজে ব্যবহার না করে বিক্রি করে তবে বিক্রিলব্ধ মূল্য পুরোটা সদকা করা জরুরি। -আদ্দুররুল মুখতার, ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩০১

কুরবানীর চামড়া বিক্রির নিয়ত

মাসআলা : ৬৩. কুরবানীর পশুর চামড়া বিক্রি করলে মূল্য সদকা করে দেওয়ার নিয়তে বিক্রি করবে। সদকার নিয়ত না করে নিজের খরচের নিয়ত করা নাজায়েয ও গুনাহ। নিয়ত যা-ই হোক বিক্রিলব্ধ অর্থ পুরোটাই সদকা করে দেওয়া জরুরি। -ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩০১, কাযীখান ৩/৩৫৪

কুরবানীর শেষ সময়ে মুকীম হলে

মাসআলা : ৬৪. কুরবানীর সময়ের প্রথম দিকে মুসাফির থাকার পরে ৩য় দিন কুরবানীর সময় শেষ হওয়ার পূর্বে মুকীম হয়ে গেলে তার উপর কুরবানী ওয়াজিব হবে। পক্ষান্তরে প্রথম দিনে মুকীম ছিল অতপর তৃতীয় দিনে মুসাফির হয়ে গেছে তাহলেও তার উপর কুরবানী ওয়াজিব থাকবে না। অর্থাৎ সে কুরবানী না দিলে গুনাহগার হবে না। -বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৬, ফাতাওয়া খানিয়া ৩/৩৪৬, আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩১৯

কুরবানীর পশুতে ভিন্ন ইবাদতের নিয়তে শরীক হওয়া

মাসআলা : ৬৫. এক কুরবানীর পশুতে আকীকা, হজ্বের কুরবানীর নিয়ত করা যাবে। এতে প্রত্যেকের নিয়তকৃত ইবাদত আদায় হয়ে যাবে।-বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৯, রদ্দুল মুহতার ৬/৩২৬, আলমাবসূত সারাখছী ৪/১৪৪, আলইনায়া ৮/৪৩৫-৩৪৬, আলমুগনী ৫/৪৫৯

কুরবানীর গোশত দিয়ে খানা শুরু করা

মাসআলা : ৬৬. ঈদুল আযহার দিন সর্বপ্রথম নিজ কুরবানীর গোশত দিয়ে খানা শুরু করা সুন্নত। অর্থাৎ সকাল থেকে কিছু না খেয়ে প্রথমে কুরবানীর গোশত খাওয়া সুন্নত। এই সুন্নত শুধু ১০ যিলহজ্বের জন্য। ১১ বা ১২ তারিখের গোশত দিয়ে খানা শুরু করা সুন্নত নয়। -জামে তিরমিযী ১/১২০, শরহুল মুনয়া ৫৬৬, আদ্দুররুল মুখতার ২/১৭৬, আলবাহরুর রায়েক ২/১৬৩

কুরবানীর পশুর হাড় বিক্রি

মাসআলা : ৬৭. কুরবানীর মৌসুমে অনেক মহাজন কুরবানীর হাড় ক্রয় করে থাকে। টোকাইরা বাড়ি বাড়ি থেকে হাড় সংগ্রহ করে তাদের কাছে বিক্রি করে। এদের ক্রয়-বিক্রয় জায়েয। এতে কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু কোনো কুরবানীদাতার জন্য নিজ কুরবানীর কোনো কিছু এমনকি হাড়ও বিক্রি করা জায়েয হবে না। করলে মূল্য সদকা করে দিতে হবে। আর জেনে শুনে মহাজনদের জন্য এদের কাছ থেকে ক্রয় করাও বৈধ হবে না। -বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৫, কাযীখান ৩/৩৫৪, ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩০১

রাতে কুরবানী করা

মাসআলা : ৬৮. ১০ ও ১১ তারিখ দিবাগত রাতে কুরবানী করা জায়েয। তবে রাতে আলোস্বল্পতার দরুণ জবাইয়ে ত্রুটি হতে পারে বিধায় রাতে জবাই করা অনুত্তম। অবশ্য পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা থাকলে রাতে জবাই করতে কোনো অসুবিধা নেই। -ফাতাওয়া খানিয়া ৩/৩৪৫, আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩২০, ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/২৯৬, আহসানুল ফাতাওয়া ৭/৫১০

কাজের লোককে কুরবানীর গোশত খাওয়ানো

মাসআলা : ৬৯. কুরবানীর পশুর কোনো কিছু পারিশ্রমিক হিসাবে দেওয়া জায়েয নয়। গোশতও পারিশ্রমিক হিসেবে কাজের লোককে দেওয়া যাবে না। অবশ্য এ সময় ঘরের অন্যান্য সদস্যদের মতো কাজের লোকদেরকেও গোশত খাওয়ানো যাবে।-আহকামুল কুরআন জাস্সাস ৩/২৩৭, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৪, আলবাহরুর রায়েক ৮/৩২৬, ইমদাদুল মুফতীন

জবাইকারীকে পারিশ্রমিক দেওয়া

মাসআলা : ৭০. কুরবানী পশু জবাই করে পারিশ্রমিক দেওয়া-নেওয়া জায়েয। তবে কুরবানীর পশুর কোনো কিছু পারিশ্রমিক হিসাবে দেওয়া যাবে না। -কিফায়াতুল মুফতী ৮/২৬৫

মোরগ কুরবানী করা

মাসআলা : ৭১. কোনো কোনো এলাকায় দরিদ্রদের মাঝে মোরগ কুরবানী করার প্রচলন আছে। এটি না জায়েয। কুরবানীর দিনে মোরগ জবাই করা নিষেধ নয়, তবে কুরবানীর নিয়তে করা যাবে না। -খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৩১৪, ফাতাওয়া বাযযাযিয়া ৬/২৯০, আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩১৩, ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/২০০ ষ 

http://www.alkawsar.com/article/740