Translate

মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৩

সোনাপাতা বা সোনামুখি পাতার উপকারীতা

সোনামুখি পাতার চূর্ণ কোষ্ঠকাঠিন্য রুগিদের জন্য  মহৌষধ। 

এটি এমন একটা ভেষজ যাদের ২/৩ দিনেও পায়খানা একবার হয়না বা হতে চায়না তারা এ ভেষজটি নির্দিধায় সেবন করতে পারেন।

এটি জোলাপের ও কাজ করে। 

অপারেশনের আগে রুগিদের পেট পরিস্কার করতেও সেবন করিয়ে থাকেন।

মাত্র ১ চা চামচ চূর্ণ ১ কাপ গরম পানিতে মিশিয়ে সেবন করুন আর মিউজিক দেখুন।

তাছাডা নরমাল পানিতে 
বা ইসুবগুল ভুষির সাথে মিশিয়ে ও সেবন করতে পারেন।
সৌজন্যে 
ভূঁইয়া ন্যাচরাল হার্বস এন্ড অর্গানিক ফুড সেন্টার বারৈয়ার হাট   মিরসরাই চট্ট 
01829318114

শনিবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৩

শোধনকৃত আলকুশির চমৎকার ঔষধী গুনাগন

আলকুশির চমৎকার উপকারীতা 

বেবি কনসিভ নিয়ে যারা চিন্তিত আছেন , বা 
যাদের শুক্রাণুর পরিমান কম বা দুর্বল ফলে বাচ্চা আসছে না।
তাদের জন্য একটি জাদুকরী সমাধান হচ্ছে 🔥🔥আলকুশি পাউডার🔥🔥
🛸এতে অসাধারণ কার্যক্ষমতা রয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। 

💢আলকুশি বীজের পাউডারের উপকারিতা💢 

🔰পুরুষের বন্ধ্যাত্ব দূরীকরণে :
আলকুশি বীজ প্রজনন সমস্যা উন্নত করতে পারে। এতে বিভিন্ন প্রকার অ্যালকালিয়েড থাকে যা টেস্টোস্টেরন হরমোনকে সংশ্লেষণ করে পুনরুজ্জীবিত করতে পারে। ফলস্বরূপ একটি শুক্রাণুর সংখ্যা, গতিশীলতা ও কার্যক্ষমতা বাড়াতে পারে। 

🔰মহিলাদের বন্ধ্যাত্ব দূরীকরণে :
কম টেস্টাটেরন, অস্বাভাবিক ফলিকল স্টিমুলেটিং হরমোন (FSH), এবং প্রোল্যাকটিন বন্ধ্যাত্বের কারণ।  আলকুশি বীজ গ্রহণ (FSH) এবং প্রোলেকটিন (Prolactin) কমাতে পারে, ফলে এটি মহিলাদের বন্ধ্যাত্বও দূর করতে পারে। 

🔰মস্তিষ্কের কার্যকরিতা বৃদ্ধি :
আলকুশি বীজের সবথেকে শক্তিশালী ফাইটো নিউট্রিয়েন্ট হলো এল্ডোপা নামে এমাইনো এসিড।  এটি ডোপামিন বৃদ্ধির কাজ করে।  আর ডোপামিন মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে সরাসরি ভূমিকা রাখে। 

🔰ডায়াবেটিস প্রতিরোধে:
আলকুশি বীজের পাউডার এর ডি-চিরো ইনোসিটল নামক একটি উপাদান রয়েছে, যা ইনসুলিনের প্রভাব অনুকরণ করতে পারে এবং সুগারের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। 

👉আলকুশিতে Levodopa রয়েছে যা রক্তে শর্করা ও কোলেস্টেরলের স্বাস্থ্যকর মাত্র বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনাও কমিয়ে দেয়। 

🔰অনেক চেষ্টা করেও যাদের বাচ্চা কন্সিভ হচ্ছে না তারা একবার এই পাঊডারটি ট্রাই করে দেখতে পারেন।
ইনশা আল্লাহ সফল হবেন।💯 
যোগাযোগ 
০১৮২৯৩১৮১১৪

উত্থান জনিত সমস্যার সমাধান করতে মালিশ ক্রিম

বিশেষ অঙ্গের উত্থান জনিত সমস্যার সমাধান করতে মালিশ 

RASBiDO রাসবিডো 
ক্রিম, জেনিটাল শক্তি বর্ধক মালিশ। 

এটি বিশেষ অঙ্গের উপর মৈথুন জনিত কারণে বা অন্য যে কোন কারণে যাদের  বিশেষ অঙ্গের স্নায়ু,রক্তবাহী নালী এবং  লিঙ্গের টিসু দূর্বল হওয়ায় লিঙ্গ উত্থান  ক্ষনস্হায়ী  ও শিথিল হইয়া  নিত্তেজ হইয়া পড়ে। ফলে বক্রতার  সৃষ্টি করেছে।

বাংলাদেশে এ প্রথম উন্নত প্রযুক্তিতে পুরুষাঙ্গের হারবাল ক্রিম  রাসবিডো। 

এটি ব্যবহারের ফলে লিঙ্গের সকল অংশে রক্ত প্রবাহ নিশ্চিত করে।ফলে পুরুষাঙ্গের উত্থান ও দৃঢতা আনয়ন করে,ফলে বক্রতা আকা বাকা দূর করতে সাহায্য করে। লিঙ্গ দীর্ঘ  ও সবল হয়।
এটি দেৈনিক ২/৩ বার ২/৩ মাস  ব্যবহার করতে হবে।
আশা করি  আশানুরূপ ফলাফল পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ। 
সাইডএপেক্ট মুক্ত। 

20 ml 300৳ 

চিকিৎসক এর পরামর্শে আবস্থা ভেদে আরও অন্যান্য চিকিৎসা ও প্রয়োজনে দিতে পারেন। 
যোগাযোগ 
01829318114

বুধবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৩

শোধনকৃত আলকুশির চমৎকার ঔষধী গুনাগন

আলকুশির চমৎকার উপকারীতা 

বেবি কনসিভ নিয়ে যারা চিন্তিত আছেন , বা 
যাদের শুক্রাণুর পরিমান কম বা দুর্বল ফলে বাচ্চা আসছে না।
তাদের জন্য একটি জাদুকরী সমাধান হচ্ছে 🔥🔥আলকুশি পাউডার🔥🔥
🛸এতে অসাধারণ কার্যক্ষমতা রয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। 

💢আলকুশি বীজের পাউডারের উপকারিতা💢 

🔰পুরুষের বন্ধ্যাত্ব দূরীকরণে :
আলকুশি বীজ প্রজনন সমস্যা উন্নত করতে পারে। এতে বিভিন্ন প্রকার অ্যালকালিয়েড থাকে যা টেস্টোস্টেরন হরমোনকে সংশ্লেষণ করে পুনরুজ্জীবিত করতে পারে। ফলস্বরূপ একটি শুক্রাণুর সংখ্যা, গতিশীলতা ও কার্যক্ষমতা বাড়াতে পারে। 

🔰মহিলাদের বন্ধ্যাত্ব দূরীকরণে :
কম টেস্টাটেরন, অস্বাভাবিক ফলিকল স্টিমুলেটিং হরমোন (FSH), এবং প্রোল্যাকটিন বন্ধ্যাত্বের কারণ।  আলকুশি বীজ গ্রহণ (FSH) এবং প্রোলেকটিন (Prolactin) কমাতে পারে, ফলে এটি মহিলাদের বন্ধ্যাত্বও দূর করতে পারে। 

🔰মস্তিষ্কের কার্যকরিতা বৃদ্ধি :
আলকুশি বীজের সবথেকে শক্তিশালী ফাইটো নিউট্রিয়েন্ট হলো এল্ডোপা নামে এমাইনো এসিড।  এটি ডোপামিন বৃদ্ধির কাজ করে।  আর ডোপামিন মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে সরাসরি ভূমিকা রাখে। 

🔰ডায়াবেটিস প্রতিরোধে:
আলকুশি বীজের পাউডার এর ডি-চিরো ইনোসিটল নামক একটি উপাদান রয়েছে, যা ইনসুলিনের প্রভাব অনুকরণ করতে পারে এবং সুগারের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। 

👉আলকুশিতে Levodopa রয়েছে যা রক্তে শর্করা ও কোলেস্টেরলের স্বাস্থ্যকর মাত্র বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনাও কমিয়ে দেয়। 

🔰অনেক চেষ্টা করেও যাদের বাচ্চা কন্সিভ হচ্ছে না তারা একবার এই পাঊডারটি ট্রাই করে দেখতে পারেন।
ইনশা আল্লাহ সফল হবেন।💯 
যোগাযোগ 
০১৮২৯৩১৮১১৪

সোমবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৩

তেঁতুল কাঠের ঘানিতে ভাঙ্গা দেশী খাঁটি সরিষার তেল

ভূঁইয়া ন্যাচরাল হার্বস এন্ড অর্গানিক ফুড সেন্টার এর সরবারহ কৃত 
তেঁতুল কাঠের ঘানিতে ভাঙ্গানো ১০০% মাঘী সরিষা দিয়ে ভাঙ্গানো তেলের কারখানা, 
এখানে দেখতে পাচ্ছেন সেই কাঠের ঘানী।
যা  একেবারেই হাইকোয়ালিটি সম্পন্ন  প্রথম চাপের কোল্ডপ্রসেড  সরিষার তেলটা চিবিয়ে আপনাদের দিচ্ছি। 

সরিষার তেল কিন্তু ১ম ২য় ও ৩য় চাপের পর্যন্ত হয়ে থাকে। যা হিট ওয়েল ঝাঝালো হয়ে থাকে। 
১ম চাপেরটা ননহিট্ যা ঝাঝালো মুক্ত কোল্ড প্রসেড।

তবে আমরা ১ম  চাপের কোল্ডপ্রসেড সরিষার তেল টাই আপনাদের দিয়ে থাকি। নিশ্চিতে আমাদের উপর আস্হা রাখতে পারেন ইনশাআল্লাহ। 

যোগাযোগ 
 ভূঁইয়া ন্যাচরাল হার্বস এন্ড অর্গানিক ফুড সেন্টার বারৈয়ার হাট   মিরসরাই চট্ট

 ভূঁইয়া ন্যাচরাল হার্বস 
01829318114





মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

যাদু বান টোনা বা ছেহের এর আলামত

যাদু গ্রস্হ রুগির আলামত 

যাদু, বান টোনা বা ছেহের এটি যেমন মানুষের পক্ষ থেকে করা হয়ে থাকে তেমনি জ্বীনদের পক্ষ থেকেও করা হয়ে থাকে।
লোকটি যাদু গ্রস্হ হলে নিন্ম বর্নিত আলামত গুলো দেখা যেতে পারে। 

★যাকে যাদু করা হয়েছে, সে খানা- পিনা  করার সময় হঠাৎ বুকে হালকা হালকা বেঁধে যাবে।
★পেটে বেশী সমস্যা হয়,খানা পিনা ও ঠিক ভাবে খেতে পারেন না, অনেক সময় ডাক্তারী পরীক্ষায় ও কিছুই ধরা পড়ে না।
★কারো কারো চোখের পাশ দিয়ে কালো হয়ে যায়।
★ধীরে ধীরে শুকিয়ে যায়, শরীর রিষ্ট পুষ্ট থাকেনা।
★হঠাৎ যৌন শিথিলতা দেখা দে।
★কোন কারণ ছাড়া স্বামী স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দে।
★ স্বামী স্ত্রীর মাঝে একে অপরের উপর সন্দেহ কাজ করে।

★ যার তার সাথে ঝগড়া মারামারি লেগে যাওয়ার উপক্রম হয়।
★মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়।
★কোন সময় রক্ত বমি হয়।
★ব্যবসা বানিজ্য  চাকুরী বা কোন কাজে মন বসেনা।
★সর্বদা দুঃচিন্তা ভাব দেখা দে।
★অস্হিরতা ভাব 
★স্বরনশক্তি লোপ পাওয়া 
★অবিবাহিত মহিলা- পুরুষ হলে বিবাহের প্রতি আগ্রহ কমে যায় বা অনেকের একেবারেই থাকেনা।
★মেয়েরা উপযুক্ত হওয়া সত্বেও ও বর আসেনা বা আসলেও যেমন তেমন ভাবে ফিরে যায়।
★হঠাৎ অসুস্থ হয়ে যাওয়া এমনকি মৃত্যু মুখে পতিত হওয়ার উপক্রম হওয়া 
এমন অসুস্থ যা ডাক্তারী পরীক্ষায় ও ধরা না পড়া।

এসকল আলামত এর মধ্যে থেকে কারো কারো বেলায় একাধিক আলামত ও দেখা যেতে পারে।  

কেই যাদু বা ছেহের গ্রস্হ হলে 
দেরী না করে সব সময় ঘরে সুরা বাকারার তেলাওয়াত জারী রাখবে।
৪ কুল পাঠ করে সকাল বিকাল শরীরে ফু দিবে। 

তাছাডা আরও অনেক আমল ও তদবির  আছে যে গুলোর মাধ্যমে ছেহের বা যাদু থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ। 

কোরআনী তদবীর ও রুহানী আমলিয়াত  
পরামর্শের জন্য 
 ০১৮২৯৩১৮১১৪ 




★★★★

যাদু বান টোনা না ছেহের এর তদবির 
মানুষ  মানুষ কর্তৃক যেমন যাদুতে আক্রান্ত হয় তেমনি  কিছু সময় আছে   জীন কর্তৃক ও যাদুতে আক্রান্ত হয়।

জীন কর্তৃক যাদু : 
 কারো ভাল কিছু দেখার সঙ্গে সঙ্গে  মাশাআল্লাহ  বলতে হয়।
যদি কেউ   মাশাআল্লাহ না বলে থাকেন। তখন 
দিনের মধ্যে এমন কিছু  সময় আছে  যে সময়ের মধ্যে  জ্বীন শয়তান ঐ সুযোগে  ঐ ব্যক্তির উপর  যাদু করে বসে।

ফলে সে যাদু গ্রস্হ হয়ে পড়ে  তখন এ যাদু কাটা ব্যতিরেকে তার আর শান্তি আসেনা।
বিভিন্ন  অশান্তির বীজ বপন করা হয়। 

এ জন্য  সব সময় কারো ভাল কিছু দেখলে শুনলে। আশ্চর্য কিছু দেখলে সঙ্গে সঙ্গে  মাশাআল্লাহ বলা সুন্নাত। 

অনেক লোক আছে মাশাআল্লাহ কি সেটাও জানেনা।
ফলে ঐ ব্যক্তি জ্বীন শয়তান কর্তৃক  যাদুতে আক্রান্ত হয়।

এ জন্য  আমরা জ্বীন বা মানব কর্তৃক এমন যাদুতে আক্রান্ত হলে 
বিভিন্ন তদবির দিয়ে থাকি। 

যেমন 
১, নদী বা চরার পানি বা জোয়ার বাটার পানিতে দম করে তদবির গোসল করার জন্য 
২, সাধারণ পানিতে  দম করে তদবির। গোসল ও সেবন 
৩,৪১ দিন সেবনের জন্য কোরআনী তদবীর
৪, ৭ দিন সেবনের জন্য কোরআনী তদবীর 
৫, জাপরান কালী দ্বারা কোরআনী তদবীর, সেবন ৭ দিন 
৬,গামছা পড়া।
৭, ৭ কুপের পানিতে কোরআনী তদবীর। 
৮, গোলাপ জলে ভিজিয়ে সেবনের তদবীর
৯, চীনা মাটুর প্লেট লিখা কোরআনী তদবীর 

১০, নিজে নিজে আমলের তদবির 
১১, সুরা বাকারার আমল 
 ইত্যাদি। 

রুগির আবস্থা ভেদে তদবীর দেয়া হয়।

কোরআনী তদবীর ও রুহানী আমলিয়াত 
01829318114 


রবিবার, ৩০ জুলাই, ২০২৩

ঈদের নামাজ ৬ তকবীরের সাথে আদায করা সুন্নাহ সমর্থন

৬ তাকবীরের সাথে ঈদের নামায আদায় করা হাদীস মোতাবেক সম্পূর্ণ সহীহ-২
ঈদের নামাযের অতিরিক্ত তাকবীর সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান:

 

(ক) দু’ঈদের নমাযে অতিরিক্ত ৬ তাকবীর ওয়াজিব হওয়ার বিধান সম্পূর্ণ হাদীস সম্মত। মারফু এবং মাওকুফ উভয় প্রকারের হাদীস দ্বারা তা প্রমাণিত। এ ব্যাপারে সহীহ-শুদ্ধ হাদীস গ্রন্থাদিতে বহু হাদীস পাওয়া যায়। উদাহরণ স্বরূপ কয়েকটি হাদীস নিম্নে পেশ করছি।

 

১নং হাদীস:

 

أن القاسم ابا عبد الرحمن حدثه قال حدثني بعض اصحاب رسول الله صلي الله عليه وسلم قال صلي بنا النبي صلي الله عليه وسلم يوم عيد فكبر اربعاً واربعاً ثم اقبل علينا بوجهه حين انصرف فقال لا تنسوا كتكبير الجنائز واشار باصابعه وقبض ابهامه ـ فهذا حديث حسن الاسناد ـ

 

 

নির্ভরযোগ্য হাদীসগ্রন্থ তাহাবী শরীফের বর্ণিত হাদীসে বলা হয়েছে যে, আবু আব্দুর রহমান বলেন, আমাকে কতিপয় সাহাবা রাযি. বলেছেন যে, হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাদের নিয়ে ঈদের নামায পড়ে ছিলেন। তাতে তিনি চার চার তাকবীর বলেন। অত:পর নামায শেষে হুযুর (সা.) আমাদের কে লক্ষ্য করে বললেন, ভুলে যেও না, ঈদের নামাযের তাকবীর জানাযার নামাযের তাকবীরের অনুরূপ। সাথে সাথে হুযুর (সা.) বৃদ্ধাঙ্গুলী মুষ্ঠিবদ্ধ করে অবশিষ্ট চার আঙ্গুল দ্বারা ইঙ্গিত করে দেখালেন (তাহাবী শরীফ, ২/৪০০পৃ । বর্ণিত হাদীসের সনদকে ইমাম তাহাবী রহ. হাসান বলেছেন। আর হাসান হাদীস গ্রহণযোগ্য হওয়ার ব্যাপারে সহীহ হাদীসের মত (তাদরীবুর রাবী, ১/৯৬ পৃ । বর্ণিত হাদীসে দু’ রাকাতে চার চার তাকবীর বলা হয়েছে। এদ্বারা বুঝা যায় মোট আট তাকবীর। যথা: প্রথম রাকাতে তাকবীরে তাহরীমা সহ চার তাকবীর আর দ্বিতীয় রাকাতে রুকুর তাকবীর সহ চার তাকবীর। অর্থাৎ দুটি আসল ৬টি অতিরিক্ত বলা যেতে পারে।

 

২নং হাদীস:

 

أن سعيد بن العاص سأل أبا موسي الاشعري وحذيفة بن اليمان كيف كان رسول الله صلي الله عليه وسلم يكبر في الاضحي والفطر فقال ابو موسي كان يكبر اربعا تكبيرة علي الجنائز فقال حذيفة صدق فقال ابو موسي كذلك كنت اكبر في البصرة ـ

বিশুদ্ধ হাদীসগ্রন্থ আবু দাউদ শরীফের এ হাদীসে বলা হয়েছে যে, সাঈদ ইবনে আস রাযি. একদা আবু মূসা আশয়ারী ও হুযায়ফা ইবনে ইয়ামান রাযি. কে জিজ্ঞাসা করলেন যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার নামাযে কিভাবে তাকবীর বলতেন? জবাবে আবু মূসা রাযি. বললেন জানাযার নামাযের মত প্রতি রাকাতে চার চার তাকবীর বলতেন। হুযায়ফা রাযি. সমর্থন করে বললেন আবু মূসা সত্য বলেছে। আবু মূসা রাযি. বললেন আমিও বসরা দেশে এভাবেই তাকবীর বলতাম (আবু দাউদ, ১/১৬৩ পৃ:; মুছান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, ৪/২১৩ পৃ ।

 

উভয় হাদীসে রাসূলুল্লাহ (সা.) ঈদের নামাযের তাকবীর প্রতি রাকাতে চার চার করে সর্ব মোট আট বলেছেন। অর্থাৎ দু’টি আসল ৬টি অতিরিক্ত। প্রশ্ন হতে পারে, হাদীসে তো তাকবীরে তাহরীমা ও রুকুর তাকবীরের কথা উল্লেখ নেই? তার জবাবে বলতে চাই যে, হুযুর (সা.) ঈদের তাকবীরকে জানাযার তাকবীরের সাথে তুলনা করেছেন। তা থেকে বুঝা যায় যে, যেমন জানাযার ৪ তাকবীরের মধ্যে প্রথম তাকবীরে তাহরীমা অপর ৩টি অতিরিক্ত তদ্রুপ ঈদের নামারের চার চার তাকবীরের মধ্যে ও একটি আসল অপর ৩টি অতিরিক্ত। এটা কোন মনগড়া ব্যাখ্যা নয় বরং বহু মাওকুফ হাদীস দ্বারা প্রমানিত সত্য। একথা বলার আর অপেক্ষা রাখে না যে, হাদীসে মাওকুফ যদি ইজতেহাদী বিষয় না হয় এবং কুরআনের কোন আয়াত বা হাদীসে মারফুর সাথে সাংঘর্ষিক না হয় তখন হাদীসে মারফুর মত শরীয়তের প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ যোগ্য হবে (জফরুল আমানী, ১/১৯০ পৃ ।

 

২নং হাদীসের সনদের তাহকীক: বার তাকবীর সমার্থকগণ আবু দাউদ শরীফে বর্ণিত হাদীসের সনদকে যয়ীফ বলতে চায়। কারণ উক্ত সনদে একজন রাবী হলেন আবু আয়শা তিনি মাজহুল। তাদের এই দাবী সঠিক নয়, কারণ আবু আয়শা হতে দু’ জন বর্ণনাকারী পাওয়া যায় একজন মাকহুল দ্বিতীয়জন খালিদ ইবনে মা’দান (তাহযীবুত তাহযীব, ১২/১৪৬ পৃ । আর রিজাল শান্ত্রের উসূল হল, যে রাবীর দু’জন ছেকাহ ছাত্র থাকবে সে কখনে মাজহুল থাকে না (মুকাদ্দামায়ে ইবনে সালাহ, ৯০ পৃ:; তাদরীবুর বাবী, ১/২২০ পৃ । হাফেজ আসকালানী রহ. আবু আয়শা কে মাকবুল বলেছেন, অতএব তার হাদীস গ্রহণযোগ্য হবে (তাকরীবুত তাহযীব, ১/৪২৬ পৃ ।

 

সাহাবাদের আমল

 

এ ছিল ৬ তাকবীরের সাথে ঈদের নামাযের সমর্থনে মারফু হাদীসের আলোচনা। এবার দেখা যাক, ৬ তাকবীরের সাথে ঈদের নামাযের প্রসঙ্গে হাদীসে মাওকুফ বা সাহাবায়ে কেরামের আমল কি ছিল?

 

أن إبن مسعود رضـ كان يكبر في العيدين تسعا اربع قبل القرأة ثم يكبر فيركع وفي الثانية يقرأ فاذا فرغ كبر اربعاً ثم ركع ـ

আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযি.) থেকে ঈদের নামাযের নিয়ম প্রসঙ্গে বর্ণিত আছে যে, তিনি ঈদের নামাযে ৯টি তাকবীর বলতেন। ৪টি কেরাতের পূর্বে। অর্থাৎ তাকবীরে তাহরীমা সহ ৪টি। অত:পর কেরাত পড়ে তাকবীর বলে রুকু করতেন। দ্বিতীয় রাকাতে কেরাতের পর ৪টি তাকবীর বলতেন এবং চতুর্থ তাকবীরের সাথে রুকু করতেন (তিরমিজী শরীফ, ১/১২০ পৃ:; ই’লাউস সুনান, ৮/১০৬ পৃ:; তাহাবী শরীফ, রায়াহ, ২/৪০১ পৃ: মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, ৪/২১৬পৃ. নাসবুর রায়াহ, ২/২২২ পৃ.)।

আল্লামা হাফেজ ইবনে হাযম জাহেরী (রহ.) এ হাদীসটি উল্লেখ করে বলেন যে, এটি অতীব সঠিক এবং এটিই ইমাম আবু হানিফা রহ. এর অভিমত (আল-মুহাল্লা, ৫/৮৩ পৃ ।

অনুরূপ হাফেজে হাদীস আল্লামা ইবনে হাযার আসকালানী রহ. বলেন যে, এ হাদিসটি হাফেজ আব্দুর রাজ্জাক সহীহ সনদে বর্ননা করেছেন (আদদিরায়াহ, ১/ ১৭৩ পৃ ।

ছয় তাকবীরের সাথে ঈদের নামাযের এই নিয়মটি হযরত ইবনে মাসউদ ব্যতীত হযরত ওমর, হুযায়ফ, আবু মূসা আশয়ারী, আনাস, জাবির, আবু মাসউদ আনসারী, ইবনে আব্বাস ও আব্দুল্লাহ ইবনে জুবায়ের (রাযি.) প্রমুখ সাহাবায়ে কেরাম থেকেও বর্ণিত আছে (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, ৪/২১৪-২১৯ পৃ:; তাহাবী শরীফ, ২/৪০০ পৃ ।

সার কথা উপরের বর্ণনা দ্বারা স্পষ্ট বুঝা গেল যে, ঈদের নামায তাকবীরাতে জাওয়ায়েদে ছিত্তা অর্থাৎ অতিরিক্ত ছয় তাকবীরের সাথে আদায় করা নির্ভরযোগ্য ও সহীহ হাদীস সম্মত এবং অনেক সাহাবায়ে কেরামের স্বতঃসিদ্ধ আমলও তা। সুতরাং ঈদের নামাযের প্রচলিত নিয়ম অর্থাৎ ছয় তাকবীরে আদায় করাকে হাদীসের পরিপন্থী বা বিদআত বলার কোন অবকাশ নেই।

পূর্বেও বলা হয়েছে যে,সাহাবাদের আমল সহীহ হাদীসের বিপরীত না হলে তা নির্দ্বিধায় গ্রহণযোগ্য। বিশেষ করে খোলাফায়ে রাশেদ হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব রাযি. ও হযরত ইবনে মাসউদ রাযি. এর মত হাদীস বিশেষজ্ঞ সাহাবীদের আমল হলে তা দলীল হওয়াতে মোটেই দ্বিধা সংশয় না হওয়া চাই। বলা যেতে পারে যে, এখানে হাদীস সাহাবাদের আমল ১২ তাকবীরের পরিপন্থী? তার উত্তরে বলবো যে,সেই হাদীস গুলো দূর্বল প্রকৃতির। আর দূর্বল হাদীস গ্রহণযোগ্য নয়। আল্লামা হাফেজ ইবনে হাযম যাহেরী বলেন, ১২ তাকবীরের হাদীসগুলো মোটেই গ্রহণযোগ্য নয় (আল মুহাল্লা, ৫/৮৪)।

অনুরূপ হাফিজে হাদীস ইমাম তাহাবী রহ. তাহাবী শরীফের ২/৩৯৯ পৃষ্ঠায় বলেন যে, বিরুদ্ধপক্ষের হাদীস অর্থাৎ ১২ তাকবীরের হাদীস গুলো যয়ীফ হওয়ার কারণে অপ্রমাণযোগ্য। একথার বাস্তব প্রমাণ হিসেবে নিুম্নে ১২ তাকবীরের সমর্থনকারীদের উপস্থাপিত কিছু হাদীসের তাহকীক পেশ করছি। যে হাদীসগুলি তারা সরলমনা মুসলমানদের কে ধোকা দেওয়ার অপমানসে লিফলেট আকারে প্রকাশ করে চ্যালেঞ্জ ঘোষণা করছে।

 

(খ) লিফলেটে প্রচারিত ১২ তাকবীরের হাদীসের তাহকীক:

 

১নং হাদীস: قال الشافعي سمعت سفيان بن عيينة يقول سمعت عطاء بن ابي رباح يقول سمعت عبد الله بن عباس يقول اشهد علي رسول الله صلي الله عليه وسلم انه كبر في صلاة العيدين في الاولي سبعا سوي تكبيرة الاحرام وفي الثانية خمسا سوي تكبيرة القيام ـ

হাদীসটি উল্লেখ করে বলা হয়েছে এ হাদীসের সনদ অধিক ছহীহ এবং রাবীগণ অধিক নির্ভরযোগ্য এবং অধিক প্রতিষ্ঠিত শব্দে বর্ণিত কেননা এ হাদীস সামিতু (আমি নিজে শুনেছি) শব্দ দ্বারা এসেছে। (কিতাবুল উম্ম ১ম খন্ড ২৩৬ পৃ

তাহকীক: অত্যন্ত দু:খ জনক বিষয় হল এখানে কিতাবুল উম্ম এর উদ্ধৃতি উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ উল্লিখিত সনদের কোন হাদীস কিতাবুল উমে নেই। শুধু তাই নয় ছহীহ হাদীসের যত কিতাব রয়েছে কোন একটি কিতাবে এমন সনদে বর্ণিত হাদীস দেখাতে পারবেন না। কিতাবুল উমের উদ্বৃতি দিয়ে মাওলানা সাহেব সাধারণ মানুষকে ধোকা দেয়ার চেষ্টা করেছেন। কিতাবুল উমে ঈদের তাকবীর সংক্রান্ত যে সকল হাদীস উল্লেখ করা হয়েছে তার কোন একটি হাদীস আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত নয়।

দ্বিতীয়ত: সনদের দিকে দেখলেও বুঝে আসে যে, সনদটি সম্পূর্ণ বানানো। কারণ সুফিয়ান বিন উয়াইনা আতা বিন আবি রাবাহ এর ছাত্র নন। রিজাল শাস্ত্রের কোন কিতাবে ছাত্র হিসেবে উল্লেখ করেননি। আর ছাত্র হওয়ার সম্ভাবনাও খুব কম। কারণ সুফিয়ান বিন উয়াইনার জন্ম ১০৭ আর আতা বিন আবি রাবাহ এর মৃত্যু ১১৪ হিজরী। অতএব এত অল্প সময়ে মক্কার এক উস্তাদের কুফি এক ব্যক্তি ছাত্র হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম।

২নং হাদীস:عن كثير بن عبد الله عن ابيه عن جده أن النبي صلي الله عليه وسلم كبر في العيدين في الاولي سبعاً قبل

القرأة وفي الاخرة خمساً قبل القرأة ـ

ঈদের নামাযের তাকবীরে জাওয়ায়েদ ১২টি হওয়ার পক্ষে বর্ণিত হাদীসকেই মূল হাদীস হিসেবে পেশ করা হয়। তবে হাদীসটির সনদ অত্যন্ত দূর্বল বা যয়ীফ। কারণ সনদে এক রাবী হলেন কাসীর বিন আব্দুল্লাহ তার সম্পর্কে ইমাম শাফেয়ী রহ. বলেন, هو ركن من اركان الكذب অর্থাৎ কাসীর বিন আব্দুল্লাহ মিথ্যুকদের অন্যতম। ইবনে হিব্বান বলেন يروي عن ابيه عن جده نسخة موضوعة لا يحل ذكره في الكتب অর্থাৎ কাসীর বিন আব্দুল্লাহ তার পিতা এবং তার পিতা তার দাদা থেকে যে সনদ বর্ননা করে এটি একটি মওজু তথা বানাওয়াট সনদ। এমন সনদ কোন হাদীসের কিতাবে উল্লেখ করা অনুচিৎ (তোহফাতুল আহওয়াজী, ৩/৬৫ পৃ:; তাওযীহুল আফকার, ১/১৬৯ ইমাম বুখারী রহ. বালেন, منكر الحديث অর্থাৎ কাসীর বিন আব্দুল্লাহ এর হাদীস অপ্রমাণযোগ্য। ইমাম নাসায়ী বলেন متروك অর্থাৎ পরিত্যক্ত (তাহযীবুত তাহযীব, ৮/৪১৭; আল-কামেল ফিজ-জোয়াফা, ৭/২০০ পৃ ।

উল্লিখিত হাদীসটি সম্পর্কে ইমাম তিরমিজী বলেন, আমি হাদীসটি সম্পর্কে ইমাম বুখারীর রহ. কাছে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, এটাই ঈদের তাকবীর সম্পর্কে সর্বোচ্চ সহীহ হাদীস (তোহফাতুল আহওয়াযী, ৩/৬৬ পৃ ।

উপরের আলোচনাকে মিলালে সর্ব সাধারণের আর বুঝতে বাকী থাকবে না যে, একজন মিথ্যুক রাবীর হাদীস যদি সর্বোচ্চ হয়। তাহলে ১২ তাকবীর সংক্রান্ত বাকী হাদীসগুলির গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু?

৩, ৯ ও ১১ নং হাদীস: ৩নং হাদীসে হযরত আবু হুরাইরা রাযি. ৯নং হাদীসে হযরত আলী রাযি. ও ১১নং হাদীসে হযরত ইবনে আব্বাস রাযি. এর আমল বর্ণনা করা হয়েছে। আমরা ইতঃপূর্বে বার বার বলেছি, হাদীসে মাওকুফ তথা সাহাবাদের আমল দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য হওয়ার জন্য শর্ত হল হাদীসে মারফু সহীহর খেলাফ না হওয়া। আর বর্ণিত হাদীসগুলো ৬ তাকবীরের হাদীসে মারফু সহীহর খেলাফ। অতএব এমন হাদীসে মাওকুফ আমলযোগ্য নয়। এখানে এমন প্রশ্ন করা অবান্তর যে, বার তাকবীরের পক্ষেও তো হাদীস পাওয়া যায়। কারণ পূর্বের আলোচনা প্রমাণ করেছে যে, ১২ তাকবীরের সমস্ত হাদীস যয়ীফ হওয়ার কারণে অগ্রহণযোগ্য।

৪ নং হাদীস ঃ عن عمر بن الخطاب انه صلي العيد فكبر في الاولي سبعاً وفي الثانية خمساً يرفع يديه مع كل تكبير

ـ البيهقي ص ৩/৪১২

এখানেও মাওলানা সাহেব ওমর রাযি. এর আমল বয়ান করার ক্ষেত্রে বায়হাকী শরীফের উদ্বৃতি দিয়ে অসত্যের আশ্রয় নিয়েছেন। কারণ এমন হাদীস বায়হাকী শরীফে নেই (বায়হাকী শরীফ, ৫/৬৬-৭০ পৃ. দ্রষ্টব্য)

আর তাহাবী শরীফের একটি লম্বা হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ওমর রাযি. এর যুগে ঈদের নামাযে অতিরিক্ত তাকবীর ৬টি হওয়ার উপর ইজমা সংগঠিত হয়েছে (তাহাবী শরীফ, ১/২৮৬ পৃ.)।

৪নং হাদীসের জবাবে ঐ আলোচনা ও প্রযোজ্য হবে যা ৩নং হাদীসে বলা হয়েছে।

৫ ও ৮ নং হাদীস ঃ حدثنا ابو سعيد مولي بني هاشم حدثنا ابن لهيعة عن عقيل عن ابن شهاب عن عروة عن

عائشة ان رسول الله صلي الله عليه وسلم ……. الحديث .

হাদীসটি যয়ীফ, কারণ হাদীসটির সনদে একজন রাবী হলেন আব্দুল্লাহ বিন লাহীয়া। আর আব্দুল্লাহ বিন লাহীয়া সম্পর্কে অধিকাংশ মুহাদ্দিসীন বলেছেন তিনি যয়ীফ। ইমাম তিরমিজী রহ. বলেন لا يحتج به অর্থাৎ ইবনে লাহীয়ার হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করা যাবে না (তিরমিজী, ২য় খন্ড, কিতাবুল ইলাল, ২৩৫ পৃ.)।

ইমাম নাসায়ী বলেন, তিনি যয়ীফ (মিজানুল ইতিদাল, ৪/১৬৬ পৃ.)। আল্লামা শাওকানী বলেন, ইবনে লাহীয়া যয়ীফ (নাইলুল আওতার, ৩/৩১২ পৃ.)।

ইয়াহইয়া ইবনে মায়ীন বলেন, ইবনে লাহীয়া ـ ضعيف الحديث ـ হাদীস বর্ণনায় দুর্বল। তার হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করা যাবে না। আলী ইবনে মাদীনি বলেন, আমি ইয়াহইয়া বিন সাঈদকে বলতে শুনেছি আমাকে বিশির ইবনে ছারী বলেছেন-لو رأيت ابن لهيعة لم تحمل عنه حرفاً অর্থাৎ তুমি যদি ইবনে লাহীয়াকে দেখতে তার থেকে একটি হরফও গ্রহণ করতে না। ইয়াহইয়া বিন মায়ীনকে বলা হল যে, ইবনে লাহীয়ার কিতাব পুড়ে গিয়েছিল। ইয়াহইয়া জবাবে বলেন, সে কিতাব পোড়ার আগের থেকে যয়ীফ। ইমাম সা’দী বলেন, ইবনে লাহীয়ার হাদীস শিক্ষা করা, তার হাদীস থেকে দলীল পেশ করা, তার হাদীস হিসেবে গণনা করা কোনটাই ঠিক না (আল-কামেল ফিয-যোয়াফা ৫/২৩৭-২৩৯ পৃ.)।

৬ নং হাদীস ঃ حدثنا مسدد حدثنا المعتمر قال سمعت عبد الله بن عبد الرحمن الطائفي يحدث عن عمرو بن شعيب عن ابيه عن عبد الله بن عمرو بن العاص قال قال نبي الله صلي الله عليه وسلم التكبير في الفطر سبع ………….

ابو داؤد . ১/১৬৩

বর্ণিত হাদীসে এক রাবী পাওয়া যায়, আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহমান তায়েফী তিনি বিতর্কিত রাবী। ইয়াহইয়া ইবনে মায়ীন একবার বলেছেন صويلح আবার বলেছেন যয়ীফ। ইমাম বুখারী রহ. বলেন, فيه نظر অর্থাৎ তার ব্যাপারে সমস্যা আছে। ইমাম নাসায়ী বলেন সে মজবুত রাবী নয়। আলী ইবনে মাদীনি ও ইয়াহইয়া ইবনে মায়ীনের ন্যায় মত ব্যক্ত করেছেন (মিজানুল ই’তিদাল, ৪/১৩৪ পৃ.; তাহযীবুত তাহযীব, ৫/২৯৮ পৃ.; একমালু তাহযীবিল কামাল, ৮/৩৬; আল কামেল ফিয যোয়াফা, ৫/২৭৫ পৃ.)।

৭নং হাদীস ঃ

حدثنا عبد الله حدثني سريح بن يونس حدثنا محبوب بن محرز بياع القوارير عن ابرايهم بن عبد الله بن فروخ عن ابيه قال صليت خلف عثمان العيد فكبر سبعا و خمساً.

মুসনাদে আহমদের বর্ণিত হাদীসের টিকায় বলা হয়েছে, হাদীসটি নিতান্ত যয়ীফ, কারণ এর সনদে মাহবুব ইবনে মুহরিজ একজন রাবী রয়েছে যিনি যয়ীফ। তদরুপ আর এক রাবী হলেন ইব্রাহীম ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে ফররুখ তিনি মাজহুল। মাহবুব ইবনে মুহরিজ সম্পর্কে ইমাম দারা কুতনী বলেন, তিনি যয়ীফ (মিজানুল ই’তিদাল, ৬/২৮ পৃ ।

১০ নং হাদীস ঃ حدثنا عثمان بن احمد الدقاق حدثنا احمد بن علي الخزار حدثنا سعد بن عبد الحميد حدثنا فرج بن فضالة عن يحي بن سعيد عن نافع عن ابن عمر قال قال رسول الله صلي الله عليه وسلم التكبير في العيدين في

الركعة الاولي سبع تكبيرات وفي الأخرة خمس تكبيرات ـ

সুনানে দারা কুতনীর টিকায় বলা হয়েছে হাদীসটি যয়ীফ। কারণ ফরজ ইবনে ফুজালা ذاهب الحديث অর্থাৎ যয়ীফ। ইমাম বুখারী ও মুসলিম রহ. বলেন منكر الحديث ইমাম নাসায়ী বলেন যয়ীফ। ইবনে যারীন বলেছেন তিনি যয়ীফ। এছাড়া আরও অনেকে যয়ীফ বলেছেন (দারা কুতনী, ২/৩৮৮ পৃ; তাকরীবুত তাহযীব ২/৮ পৃ. তাহযীবুত তাহযীব, ৮/২৬০ পৃ.)।

১২ নং হাদীস ঃ حدثنا هشام بن عمار حدثنا عبد الرحمن بن سعد بن عمار بن سعد مؤذن رسول الله صلي الله عليه وسلم حدثني ابي عن ابيه عن جده ان رسول الله صلي الله عليه وسلم كبر في العيدين سبعاً في الاولي وخمسا في

الاخرة ـ

ইবনে মাজা শরীফের টিকায় বলা হয়েছে হাদীসটির সনদ যয়ীফ কারণ সনদে একজন রাবী হলেন আব্দুর রহমান বিন সামাদ তিনি যয়ীফ। ইয়াহইয়া ইবনে মায়ীন তাকে যয়ীফ বলেছেন (সুনানে ইবনে মাজা, ২/১০২ পৃ.; তাহযীবুত তাহযীব, ৬/১৮৩ পৃ.; তাহযীবুল কামাল, ৬/১৪৫ পৃ.; খুলাসাতু তাহযীবিল কামাল, ২/১৬৩ পৃ.)।

১৩ নং হাদীস ঃ عبد الرزاق عن ابي يحي عن جعفر بن محمد عن ابيه قال كان علي يكبر في الفطر والاضحي

والاستسقاء سبعا في الاولي ………… الحديث

হাদীসটি নিয়ে গবেষণা করলে দেখা যায় যে, মুহাদ্দিস মুহাম্মদ রহ. প্রথমে হযরত আলী রাযি. এর আমল বর্ণনা করেছেন এরপর রাসূলুল্লাহ (স.) সহ আরো কিছু সাহাবাদের আমল বর্ণনা করেছেন। অথচ মুহাদ্দিস মুহাম্মদ রহ. আলী রাযি. সহ হাদীসে বর্ণিত সাহাবাদের কাউকেও দেখেননি। ফলে সনদের মধ্যে এনকেতা পাওয়া গেছে। আর সনদে এনকেতা পাওয়া গেলে হাদীস মুনকাতে হয়। মুনকাতে হাদীস যয়ীফ এবং অপ্রমাণযোগ্য হয়।

 

৬ তাকবীরের হাদীসের গ্রহণযোগ্য হওয়ার জন্য আরোপিত শর্তের জবাবঃ

 

১. লিফলেটে বলা হয়েছে, যে সকল হাদীসের সনদে হাদীস শাস্ত্রের ইমাদের কোন একজন আপত্তিজনক মন্তব্য করেছেন এমন কোন হাদীস দয়া করে পাঠাবেন না। এর জবাবে বলবো উপরের আলোচনার দ্বারা সর্ব সাধারণের কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, তারা ১২ তাকবীরের পক্ষে যতগুলি হাদীস পেশ করেছে প্রত্যেকটি হাদীসের সনদে ইমামুল হাদীসগণ শুধু আপত্তি করেছেন তাই নয় বরং প্রত্যেকটি হাদীস যয়ীফ ও অপ্রমাণযোগ্য প্রমাণিত হয়েছে। অতএব ৬ তাকবীরের হাদীসের জন্য এমন শর্ত আরোপ করার যৌক্তিকতা কি?

২. কোন সাহাবীর আমল ছয় তাকবীরের ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য হবে না বলা হয়েছে। অথচ তারা ১২ তাকবীরের পক্ষে ১৩টি হাদীস পেশ করেছে তার মধ্যে ৬টি হাদীস সাহাবাদের আমল সম্বলিত।

৩. তাকবীরাতে ঈদাইন অর্থাৎ ঈদের নামাযের অতিরিক্ত ৬ তাকবীর প্রমাণিত হওয়ার জন্য হাদীসে সরাসরি ৬ শব্দটি উল্লেখ থাকতে হবে এমন কথা বলা, আমি মনে করি নির্বুদ্ধিতার প্রমাণ। কারণ অনেক হাদীসে দেখা যায় শরীয়তের কোন একটি বিধান বর্ণনা করতে গিয়ে একটি সংখ্যা বলা হয়েছে অথচ ঐ বিধানের ক্ষেত্রে ঐ সংখ্যাই নির্ধারণ করা হয় না। যেমন বিতিরের নামাযের রাকাতের ব্যাপারে হাদীসে ১৩, ১৫, ১৭ পর্যন্ত সংখ্যা পাওয়া যায় অথচ বিতিরের নামাজ ১৩, ১৫, বা ১৭ রাকাত এমন কেহ বলেননি (তিরমিজী শরীফ ১/১০৩ পৃ.) ।

অতএব বুঝা গেল ঈদের তাকবীর ৬টি প্রমাণ হওয়ার জন্য ৬ শব্দ হাদীসে সরাসরি উল্লেখ পেতে চাওয়া অবান্তর। ৮ বা ৯ সংখ্যা দ্বারাও ৬ তাকবীর প্রমাণ হতে পারে। ৮ থেকে যে ২ বিয়োগ হলে ৬ হয় এ অংক যারা বুঝে না তাদের সাথে কিসের আলোচনা।

 

ইবনে মাসউদ রাযি. এর হাদীসের উপর আপত্তির জবাব:

 

লিফলেটে বলা হয়েছ হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ (রাযি.) এর হাদীস কে যদি দলীল হিসেবে গ্রহণ করা হয় তাহলে সুরা নাস ও ফালাককে কুরআন শরীফ থেকে বাদ দিতে হবে, কারণ এ দ’ুটি সুরাকে ইবনে মাসউদ রাযি. কুরআনের অংশ মনে করেন না। এক্ষেত্রে তাফসীরে ইবনে কাসীর ও তাফসীরে রুহুল মাআনী সহ কয়েকটি তাফসীরের কিতাবের উদ্বৃতি পেশ করা হয়েছে। প্রথমত: আমরা পূর্বেই বলেছি সাহাবাদের উক্তি যদি হাদীসে মারফুর বিপরীত না হয় তখন দলীল হিসেবে গ্রহণ করা হবে। অতএব এক্ষেত্রে যেহেতু ইবনে মাসউদ রাযি. এর উক্তি ইজমায়ে সাহাবার বিপরীত অতএব সূরা নাস ও ফালাক কুরআনের অংশ হওয়ার ব্যাপারে ইবনে মাসউদ (রাযি.) এর মত দলীল হওয়ার প্রশ্নই আসে না। দ্বিতীয়ত: মাওলানা সাহেব স্বার্থ হাসীলের জন্য শুধু لا تقربوا الصلاة ই দেখেছেন وأنتم سكري আর দেখেননি। অর্থাৎ তিনি শুধু তাফসীরে ইবনে কাসীর ও তাফসীরে রুহুল মাআনীতে এটাই দেখেছেন যে, ইবনে মাসউদ (রাযি.) সূরা নাস ও ফালাককে কুরআনের অংশ মনে করেন না। তিনি ইহা আর দেখলেন না যে, তার পরে বলা হয়েছে ইবনে মাসউদ রাযি. এর নিকট সহীহ সনদে প্রথমে সূরা নাস ও ফালাক না পৌঁছার কারণে এমন উক্তি ব্যক্ত করেছেন। অতএব যখন সহীহ সনদে জানতে পারলেন যে, সুরা নাস ও ফালাক ও কুরআনের অংশ তখন প্রথম উক্তি থেকে ফিরে এসে জমহুরে সাহাবাদের মত গ্রহণ করেছেন। অতএব এখন আর কোন সংশয় বাকী রইল না (তাফসীরে ইবনে কাসীর, ৪/৭৪৪ পৃ:; তাফসীরে রুহুল মাআনী, ১৫/৬৫৩ পৃ ।

 

হানাফী ইমাম ও অন্যান্য আলিমদের আমলের জবাব:

 

* লিফলেটে বলা হয়েছে ইমাম আবু ইউসুফ ও ইমাম মুহাম্মদ রহ. বার তাকবীরের সাথে আমল করেছেন। এর জবাবে আমরা বলবো মাওলানা সাহেব এক্ষেত্রেও সর্ব সাধারণ কে বোকা বানানোর চেষ্টা করেছেন। তার কারণ তিনি এক্ষেত্রে বাদায়িউস সানায়ে, রদ্দুল মুখতার, দুররুল মুখতার ও শামীর হাওয়ালা দিয়েছেন। এখন আমরা মাওলানা সাহেবের কাছে প্রশ্ন করতে চাই, আপনি যেই রদ্দুল মুখতার, দুররুল মুখতার ও শামীর উদ্বৃতি দিয়েছেন সেখানে কি এ কথা উল্লেখ নেই যে, وبه اخذ ائمتنا الثلاثة অর্থাৎ ঈদের নামাযে অতিরিক্ত তাকবীর ৬টি, এটা ইমাম আবু হানিফা, আবু ইউসূফ ও মুহাম্মদ রহ. এর যৌথ মত। এর পরে বলা হয়েছে ففعلا ذلك امتثالا له لا مذهباً অর্থাৎ ইমাম আবু ইউসুফ ও ইমাম মুহাম্মদ রহ. এর ১২ তাকবীরের উপর আমল মাযহাব হিসেবে নয়, কেবল নির্দেশ পালনার্থে। এর পর বলা হয়েছে وعن أبي يوسف أنه رجع إلي ذلك অর্থাৎ ইমাম আবু ইউসূফ উক্ত আমল থেকে ফিরে এসে ৬ তাকবীরের আমল গ্রহণ করেছেন (রদ্দুল মুখতার, দুররুল মুখতার ও শামী ৩/৫৩-৫৪ পৃ।

* অতএব এক্ষেত্রে ইমাম আবু ইউসূফ ও ইমাম মুহাম্মদ রহ. এর আমল দ্বারা দলীল পেশ করার কোন অবকাশ নেই। কারণ এটা তাদের চিরাচরিত আমল বা মত ছিল না। তারা আজীবন ৬ তাকবীরের সাথেই আমল করেছেন এবং উক্তি পেশ করেছেন।

* হুজ্জাতুল্লাহিল বালেগা ও আত্তালিকুল মুমাজ্জাদ কিতাবের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে যে, শাহ ওয়ালি উল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী ও আব্দুল হাই লক্ষেèৗভী রহ. ১২ তাকবীরে পক্ষে মত পোষণ করেছেন। এর জবাবে বলতে চাই যে ক্ষেত্রে লাখো হানাফী আলেম ৬ তাকবীরের সাথে রায় ব্যক্ত করেছেন, সেক্ষেত্রে দু’এক জন হানাফী আলিম ১২ তাকবীরের সাথে রায় পেশ করলেই কি লাখো হানাফী ওলামা কেরামের রায় কে পরিত্যাগ করতে হবে? দু’এক মাসআলায় এরকম দু’এক জনের মতবিরোধ থাকতেই পারে। আসল কথা হলো সহীহ দলীল প্রমাণে যেটাই প্রমাণিত হবে সেটাই সকলে গ্রহণ করতে বাধ্য। ৬ তাকবীরের হাদীস যেহেতু অধিকতর সহীহ প্রমাণিত হল তাই সকল হানাফী ওলামা কেরাম সেটা গ্রহণ করেছেন।

* ইমাম নববী ও আল্লামা ইবনে আব্দুল বার রহ. এর উক্তি দ্বারা দলীল পেশ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বলবো তারা যখন ভিন্ন মাযহাব অবলম্বী তাই তারা ১২ তাকবীরের পক্ষে উক্তি ব্যক্ত করতেই পারেন কারণ তাদের মাযহাবে এই আমল চালু আছে। অতএব তাদের উক্তি ৬ তাকবীরের বিরুদ্ধে দলীল হওয়ার কোন যৌক্তিকতা নেই।

 

সার কথা: সুদীর্ঘ আলোচনার দ্বারা এটাই প্রতীয়মান হয় যে, ৬ তাকবীরের সাথে ঈদের নামায আদায় করা সম্পূর্ণ হাদীস মোতাবেক ও সহীহ। এটাকে হাদীস পরিপন্থী বা বিদআত বলার কোন অবকাশ নেই।

আল্লাহ সকলকে সঠিক বুঝ দান করুন। আমীন॥ (সমাপ্ত)

মঙ্গলবার, ৪ জুলাই, ২০২৩

স্বামী স্ত্রীর অমিল সমস্যার সমাধান

যে সকল স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে  অমিল ঝগড়া, মারামারি, লেগেই থাকে তাদের মধ্যে মিল্ মহব্বত শান্তির বাতাস বয়ে আনার জন্য  কতিপয় তদবীর ও আমলের শিরনাম  নিন্মে দেয়া হলো।

আশা করি  কোরআনও হাদিসে বর্নিত দোয়া, আয়াত দ্বারা  সঠিক ভাবে নিয়ম মেনে তদবির করতে পারলে আশানুরূপ ফলাফল পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ। 

# স্বামী বা স্ত্রী কে বশিভূত করার আমল বা তদবীর 

#স্বামীর অত্যাচার থেকে মুক্তির আমল

#স্বামী স্ত্রীর মাঝে মিল মহব্বতের তদবীর

#চরিত্হীন  স্বামীকে ভালো বানানোর আমল

#স্বামীস্ত্রীর মাঝে ঝগড়া মারামারি  লেগে থাকলে তার সমাধান তদবীর

#স্বামী বা স্ত্রী দূরে থাকলে  তাদের অন্তরে মহব্বত সৃষ্টির আমল

#স্বামী স্ত্রীর দ্বন্দ্ব মিটানোর তদবীর

#প্রিয়জনকে বশ করার আমল

#স্ত্রীকে স্বামীর বাডিতে পিরিয়ে আনার তদবীর

#জালীম স্বামীর অত্যাচার থেকে বাচার তদবীর 

#অবৈধ সম্পর্ক ভাঙ্গার তদবির 

#স্বামীর রাগ মিটানোর তদবীর 
#স্বামী বা #স্ত্রীর পরকিয়া বন্ধের কোরআনি তদবীর।

শীর্ক মুক্ত  তদবীর নিতে আমাদের ভূবনে স্বাগতম 
০১৮২৯৩১৮১১৪

বেবী কনসেপ্ট নিয়ে চিন্তা ভাবনার দিন শেষ

👨‍👩‍👦বেবি কনসিভ নিয়ে যারা চিন্তিত আছেন , বা 
যাদের শুক্রাণুর পরিমান কম বা দুর্বল ফলে বাচ্চা আসছে না।
তাদের জন্য একটি জাদুকরী সমাধান হচ্ছে 🔥🔥আলকুশি পাউডার🔥🔥
🛸এতে অসাধারণ কার্যক্ষমতা রয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। 

💢আলকুশি বীজের পাউডারের উপকারিতা💢 

🔰পুরুষের বন্ধ্যাত্ব দূরীকরণে :
আলকুশি বীজ প্রজনন সমস্যা উন্নত করতে পারে। এতে বিভিন্ন প্রকার অ্যালকালিয়েড থাকে যা টেস্টোস্টেরন হরমোনকে সংশ্লেষণ করে পুনরুজ্জীবিত করতে পারে। ফলস্বরূপ একটি শুক্রাণুর সংখ্যা, গতিশীলতা ও কার্যক্ষমতা বাড়াতে পারে। 

🔰মহিলাদের বন্ধ্যাত্ব দূরীকরণে :
কম টেস্টাটেরন, অস্বাভাবিক ফলিকল স্টিমুলেটিং হরমোন (FSH), এবং প্রোল্যাকটিন বন্ধ্যাত্বের কারণ।  আলকুশি বীজ গ্রহণ (FSH) এবং প্রোলেকটিন (Prolactin) কমাতে পারে, ফলে এটি মহিলাদের বন্ধ্যাত্বও দূর করতে পারে। 

🔰মস্তিষ্কের কার্যকরিতা বৃদ্ধি :
আলকুশি বীজের সবথেকে শক্তিশালী ফাইটো নিউট্রিয়েন্ট হলো এল্ডোপা নামে এমাইনো এসিড।  এটি ডোপামিন বৃদ্ধির কাজ করে।  আর ডোপামিন মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে সরাসরি ভূমিকা রাখে। 

🔰ডায়াবেটিস প্রতিরোধে:
আলকুশি বীজের পাউডার এর ডি-চিরো ইনোসিটল নামক একটি উপাদান রয়েছে, যা ইনসুলিনের প্রভাব অনুকরণ করতে পারে এবং সুগারের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। 

👉আলকুশিতে Levodopa রয়েছে যা রক্তে শর্করা ও কোলেস্টেরলের স্বাস্থ্যকর মাত্র বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনাও কমিয়ে দেয়। 

🔰অনেক চেষ্টা করেও যাদের বাচ্চা কন্সিভ হচ্ছে না তারা একবার এই পাঊডারটি ট্রাই করে দেখতে পারেন।
ইনশা আল্লাহ সফল হবেন।💯 

সেবনবিধিঃ 
১-২ চা চামচ  পরিমাণ চূর্ণ  ১ কাপ কুসুম গরম দুধ সহ ভরা পেটে সেব্য ৩ মাস
ইনশাআল্লাহ  আল্লাহর মেহেরবানী তে কনসেপ্ট হবেই হবে ইনশাআল্লাহ। 

বিঃদ্রঃ  
রুগির আবস্থা ভেদে সাথে আরও অন্যান্য ভেষজ দিয়ে তৈরী করা  পথ্য ও সেবন করতে পারলে আশানুরূপ ফলাফল পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ। 

সৌজন্যে
 ভূঁইয়া ন্যাচরাল হার্বস এন্ড অর্গানিক ফুড সেন্টার বারৈয়ার হাট জোরারগঞ্জ মিরসরাই চট্টগ্রাম 
👉আলকুশি পাউডার পেতে
০১৮২৯৩১৮১১৪

সোমবার, ২২ মে, ২০২৩

কোরআনী তদবীর ও রুহানী আমলিয়াত

কোরআনী তদবীর ও রুহানী আমলিয়াত এ যে সকল রোগের চিকিৎসা পাবেন--+

১, #বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসা  প্রাকৃতিক  ও ভেষজ চিকিৎসা  ও তদবীর রুকাইয়্যা শরয়িয়্যাহ দ্বারায়। 
২, গর্ভ ধারনের তদবীর

৩,#কনসেপ্টস হওয়ার পর না গর্ভ না টিকলে  তদবীর। 

৪,  গর্ভ ধারনের পর হামল বা গর্ভ রক্ষার তদবির 
৫, যে নারীর শুধু মেযে হয়, তাদের ছেলে হওয়ার তদবীর।

৬,#অবাধ্য স্বামী বা স্ত্রীর মাঝে মিল মহব্বত তৈরির আমল বা তদবীর 
৭,মেধা বা #স্বরনশক্তি বৃদ্ধির তদবীর ও আমল

৮, #জ্বীনের আছর দূর করার তদবীর। 
৮, #যাদু টোনা ধবংশের তদবির 
৯,যাদু নষ্ট করার তদবীর 
১০,বদ নজর দূর করার তদবীর 
১১, প্রস্তাব আসা ও দ্রুত বিবাহ হওয়ার তদবীর 
১২,বিবাহ বেধে রাখলে খোলার তদবির 
১৩,জ্বীন সমস্যার সমাধান 
১৪,প্রবাসীরা যাদু বা জ্বীনের সমস্যায় থাকলে দূর থেকে তদবীর 
১৫,বাড়ি ঘর বন্ধ করার তদবীর  

বিঃদ্রঃ 
তবে রুকাইয়্যা শরয়্যিয়া বা আমল তদবির  ইত্যাদির স্বতন্ত্র কোন ক্ষমতা নেই যে বিশেষ  ক্ষমতাবলে আপনার রোগ ভাল হয়ে যাবে।
তবে চিকিৎসা সুন্নাহ হিসাবে  কোরআন হাদিসে বর্নিত  দোয়া  ইত্যাদি দ্বারা করলে এর উচিলায় আল্লাহ  আপনাকে রোগ থেকে মুক্তি  দিবেন।

তবে কোন ঔষধ  বা চিকিৎসা  বা তদবীর এর নিজস্ব  কোন ক্ষমতা নেই। 

সব ক্ষমতা একমাত্র  আল্লার।
আমরা শুধু মাত্র কোরআন হাদিসে বর্নিত দোয়ার উপর  অঘাত বিশ্বাস,  ভালবাসা, ভক্তি, শ্রদ্ধা ও এখলাছের সহিত আমল গুলো করে থাকি।
তদবির কারীর আমল যত বেশী এখলাসপূর্ণ   হবে তার কৃত তদবির ও তেমন ফলাফল পূর্ণ হবে ইনশাআল্লাহ। 

চাইলে আপনি ও করতে পারেন। 
যোগাযোগ 
০১৮২৯৩১৮১১৪

শনিবার, ১৩ মে, ২০২৩

মহিলাদের মসজিদে নামাজ আদায়ের শরয়ী বিধান ও ৪ মাজহাবের অভিমত

মহিলাদের মসজিদে গমন সম্পর্কে ৪ মাজহাব 

নিষেধের ৯টি দলিল ও ঘরে পড়া উত্তমের ১২টি দলিলের 
💢 এসমস্ত কারণে চার মাযহাবের ইমামগণ কিছুটা ভিন্ন ভাষায় মহিলাদের এ ফিতনার যুগে মসজিদে গমন করাকে মাকরূহ বলে ফাতওয়া দিলেন।
.
সুতরাং মহিলাদের মসজিদে গমন বর্তমান যুগেও মাকরূহে তাহরীমা ।
.
মহিলাদের মসজিদে গমন সম্পর্কে চার মাযহাবের ইমামগণের মতামত
.
🔲 ক.ফিকহে হানাফী
.
হানাফী ইমামগণের মতে যুবতীদের মসজিদের জামাতে শরীক হওয়া মাকরূহ। বৃদ্ধাদের ক্ষেত্রে ইমাম আবু হানীফা রা. ফযর , মাগরিব ও ইশার নামাযে মসজিদে গমন করার অবকাশ দিয়েছেন।

ইমাম আবু ইউসুফ ও ইমাম মুহাম্মদ র.-এর মতে বৃদ্ধা মহিলারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাযেই মসজিদের জামাতে শরীক হতে পারবে।
উল্লেখ্য, হানাফী মাযহাবের ইমামগণ উপরোক্ত ফয়সালা ফেতনার আশঙ্কা থাকা বা না থাকার ভিত্তিতে প্রদান করেছেন।

পরবর্তী যুগে দিনে কিংবা রাতে যুবতী কিংবা বৃদ্ধা সব মহিলা জন্য ফেতনার আশঙ্কা বিদ্ধমান থাকায় সকল নামাযে মসজিদের জামাতে শরীক হওয়া নিষেধ করে ফাতওয়া জারি করেছেন।
.
🌻 আল্লামা কাসানী র. বলেন-
ﻭَﻟَﺎ ﻳُﺒَﺎﺡُ ﻟِﻠﺸَّﻮَﺍﺏِّ ﻣِﻨْﻬُﻦَّ ﺍﻟْﺨُﺮُﻭﺝُ ﺇﻟَﻰ ﺍﻟْﺠَﻤَﺎﻋَﺎﺕِ، ﺑِﺪَﻟِﻴﻞِ ﻣَﺎ ﺭُﻭِﻱَ ﻋَﻦْ ﻋُﻤَﺮَ – ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ – ﺃَﻧَّﻪُ ﻧَﻬَﻰ ﺍﻟﺸَّﻮَﺍﺏَّ ﻋَﻦْ ﺍﻟْﺨُﺮُﻭﺝِ؛ ﻭَﻟِﺄَﻥَّ ﺧُﺮُﻭﺟَﻬُﻦَّ ﺇﻟَﻰ ﺍ ’; ﻟْﺠَﻤَﺎﻋَﺔِ ﺳَﺒَﺐُ ﺍﻟْﻔِﺘْﻨَﺔِ، ﻭَﺍﻟْﻔِﺘْﻨَﺔُ ﺣَﺮَﺍﻡٌ، ﻭَﻣَﺎ ﺃَﺩَّﻯ ﺇﻟَﻰ ﺍﻟْﺤَﺮَﺍﻡِ ﻓَﻬُﻮَ ﺣَﺮَﺍﻡٌ .
যুবতীদের জন্য জামাতে বা মসজিদে আগমন বৈধ নয়। যার প্রমাণ হযরত ওমর রা. যুবতীদের মসজিদে আসতে নিষেধ করেছেন। কেননা যুবতীদের উপস্থিত হওয়াটা ফেতনার কারণ। আর ফেতনা সৃষ্টি করা হারাম এবং যে কাজের মাধ্যমে ফেতনার সৃষ্টি হয় তাও হারাম।
.
🌻ইনায়াহ শরহে হিদায়াহ গ্রন্থে উল্লেখ আছে-
ﻭَﻟَﻘَﺪْ ﻧَﻬَﻰ ﻋُﻤَﺮُ ﺍﻟﻨِّﺴَﺎﺀَ ﻋَﻦْ ﺍﻟْﺨُﺮُﻭﺝِ ﺇﻟَﻰ ﺍﻟْﻤَﺴَﺎﺟِﺪِ ﻓَﺸَﻜَﻮْﻥَ ﺇﻟَﻰ ﻋَﺎﺋِﺸَﺔَ – ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻬَﺎ – ﻓَﻘَﺎﻟَﺖْ : ﻟَﻮْ ﻋَﻠِﻢَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ – ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ – ﻣَﺎ ﻋَﻠِﻢَ ﻋُﻤَﺮُ – ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ – ﻣَﺎ ﺃَﺫِﻥَ ﻟَﻜُﻦَّ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺨُﺮُﻭﺝِ، ﻓَﺎﺣْﺘَﺞَّ ﺑِﻪِ ﻋُﻠَﻤَﺎﺅُﻧَﺎ ﻭَﻣَﻨَﻌُﻮﺍ ﺍﻟﺸَّﻮَﺍﺏَّ ﻋَﻦْ ﺍﻟْﺨُﺮُﻭﺝِ ﻣُﻄْﻠَﻘًﺎ .
হযরত উমর রা. তার খিলাফতকালে নারীদেরকে মসজিদে আসতে নিষেধ করেন। তখন হযরত আয়েশা রা.-এর নিকট উমর রা.-এর এ সিন্ধান্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। জবাবে হযরত আয়েশা রা. বলেন, তোমাদের চালচলন সম্পর্কে হযরত উমর রা. যা জানেন তা যদি রাসূল স. অবগত হতেন তাহলে রাসূল স. তোমাদের কখনো মসজিদে গমনের অনুমতি দিতেন না।
.
🌻 আল্লামা আইনি র. বলেন, আমাদের উলামায়ে কিরাম এ হাদীসকে দলীলস্বরূপ গ্রহণ করে যুবতীদের জন্য মসজিদে আসা একেবারে নিষেধ করে দিয়েছেন। [আল ইনায়াহ : ১/৩৭৬]

🌻 হিদায়াহ গ্রন্থে রয়েছে-
ﻭﻳﻜﺮﻩ ﻟﻬﻦ ﺣﻀﻮﺭ ﺍﻟﺠﻤﺎﻋﺎﺕ ” ﻳﻌﻨﻲ ﺍﻟﺸﻮﺍﺏ ﻣﻨﻬﻦ ﻟﻤﺎ ﻓﻴﻪ ﻣﻦ ﺧﻮﻑ ﺍﻟﻔﺘﻨﺔ ” ﻭﻻ ﺑﺄﺱ ﻟﻠﻌﺠﻮﺯ ﺃﻥ ﺗﺨﺮﺝ ﻓﻲ ﺍﻟﻔﺠﺮ ﻭﺍﻟﻤﻐﺮﺏ ﻭﺍﻟﻌﺸﺎﺀ ” ﻭﻫﺬﺍ ﻋﻨﺪ ﺃﺑﻲ ﺣﻨﻴﻔﺔ ﺭﺣﻤﻪ ﺍﻟﻠﻪ ” ﻭﻗﺎﻻ ﻳﺨﺮﺟﻦ ﻓﻲ ﺍﻟﺼﻠﻮﺍﺕ ﻛﻠﻬﺎ ” ﻷﻧﻪ ﻻ ﻓﺘﻨﺔ ﻟﻘﻠﺔ ﺍﻟﺮﻏﺒﺔ ﺇﻟﻴﻬﺎ ﻓﻼ ﻳﻜﺮﻩ ﻛﻤﺎ ﻓﻲ ﺍﻟﻌﻴﺪ
সারমর্ম- যুবতীদের জন্যে মসজিদের জামাতে অংশগ্রহণ একেবারে মাকরূহ । বৃদ্ধাদের জন্য ফযর মাগরিব ,এশাতে জায়েয। যোহর আসরে না জায়েয। এটা ইমাম আবু হানীফার নিকট। আর অপর দুইজন ইমামের দৃষ্টিতে বৃদ্ধাদের প্রতি মানুষের আকর্ষণ কম থাকায় পাঁচ ওয়াক্ত নামাযে মসজিদে গমন বৈধ। [হিদায়া : ১২৬/১]
.
🌻আউযাজুল মাসালিক গ্রন্থে আছে,
ﺍﻓﺘﻲ ﺍﻟﻤﺸﺎﺋﺦ ﺍﻟﻤﺘﺄﺧﺮﻭﻥ ﺑﻤﻨﻌﻬﺎ ﺃﻱ ﺍﻟﻌﺠﻮﺯ ﻣﻦ ﺣﻀﻮﺭ ﺍﻟﺼﻠﻮﺍﺕ ﻛﻠﻬﺎ ﻭﺍﻟﺸﺎﺑﺎﺕ ﻭﻻﺑﻌﺪ ﻓﻲ ﺍﺧﺘﻼﻑ ﺍﻻﺣﻜﺎﻡ ﺑﺎﻋﺘﺒﺎﺭ ﺍﺧﺘﻼﻑ ﺍﺣﻮﺍﻝ ﺍﻟﻨﺎﺱ ﻓﺄﻓﺘﻮ ﺑﻤﻨﻊ ﺍﻟﻌﺠﺎﺋﺰ ﻣﻄﻠﻘﺎ ﻛﻤﺎ ﻣﻨﻌﺖ ﺍﻟﺸﻮﺍﺏ ﺑﺠﺎﻣﻊ ﺷﻴﻮﻉ ﺍﻟﻔﺴﺎﺩ . ‏( ﺍﻭﺟﺰﺍﻟﻤﺴﺎﻟﻚ : ৪/১৫৪)
পরবর্তী মাশায়িখগণ বৃদ্ধাদেরকেও সকল নামাযে অংশগ্রহণ থেকে নিষেধ করেছেন যেমনিভাবে যুবতীদের নিষেধ করা হয়েছিলো। (কেননা) মানুষের অবস্থার পরিবর্তন আসাটা নতুন কিছু নয়। এ দৃষ্টিকোণ থেকে ফেতনার দিকে লক্ষ করে যুবতীদর ন্রায় বৃদ্দাদে;র কেও মসজিদে আসতে নিষেধ করে দেয়া হয়েছে। [১৫৪/৪]

🌻ফাতওয়ায়ে আলমগীরী তে আছে-
ﻭَﺍﻟْﻔَﺘْﻮَﻯ ﺍﻟْﻴَﻮْﻡُ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﻜَﺮَﺍﻫَﺔِ ﻓِﻲ ﻛُﻞِّ ﺍﻟﺼَّﻠَﻮَﺍﺕِ ﻟِﻈُﻬُﻮﺭِ ﺍﻟْﻔَﺴَﺎﺩِ . ﻛَﺬَﺍ ﻓِﻲ ﺍﻟْﻜَﺎﻓِﻲ ﻭَﻫُﻮَ ﺍﻟْﻤُﺨْﺘَﺎﺭُ . ﻛَﺬَﺍ ﻓِﻲ ﺍﻟﺘَّﺒْﻴِﻴﻦِ .
বর্তমান যামানায় ফাতওয়া নারীদের যেকোন নামাযের জন্য মসিজদে আগমন মাকরূহ। কারণ বর্তমানে ব্যপক হারে ফেতনা ছড়িয়ে পড়েছে, [দ; ফাতওয়ায়ে আলমগীরী ৮৯/১]
.

🔲 খ. মালেকী মাযহাবের মত
.
মালেকী মাযহাবের ইমাগণনের মতে সকল মহিলার জন্য মসিজদে গমনের অনুমতি নেই। কারো কারো ক্ষেত্রে বিশেষশর্ত স্বাপেক্ষ অনুমতি থাকলেও না যাওয়া উত্তম।

🌻 আশ শারহুল কাবীর গ্রন্তে উদ্ধৃত আছে-
ﻭَ ﺟَﺎﺯَ ﺧُﺮُﻭﺝُ ﻣُﺘَﺠَﺎﻟَّﺔٍ ﻟَﺎ ﺃَﺭَﺏَ ﻟِﻠﺮِّﺟَﺎﻝِ ﻓِﻴﻬَﺎ ﻏَﺎﻟِﺒًﺎ ‏( ﻟِﻌِﻴﺪٍ ﻭَﺍﺳْﺘِﺴْﻘَﺎﺀٍ ‏) ﻭَﺍﻟْﻔَﺮْﺽُ ﺃَﻭْﻟَﻰ ‏( ﻭَ ‏) ﺟَﺎﺯَ ﺧُﺮُﻭﺝُ ‏( ﺷَﺎﺑَّﺔٍ ﻟِﻤَﺴْﺠِﺪٍ ‏) ﻟِﺼَﻠَﺎﺓِ ﺍﻟْﺠَﻤَﺎﻋَﺔِ ﻭَﻟِﺠِﻨَﺎﺯَﺓِ ﺃَﻫْﻠِﻬَﺎ ﻭَﻗَﺮَﺍﺑَﺘِﻬَﺎ ﺑِﺸَﺮْﻁِ ﻋَﺪَﻡِ ﺍﻟﻄِّﻴﺐِ ﻭَﺍﻟﺰِّﻳﻨَﺔِ ﻭَﺃَﻥْ ﻟَﺎ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﻣَﺨْﺸِﻴَّﺔَ ﺍﻟْﻔِﺘْﻨَﺔِ ..… ﺍﻟﺦ
ﻗﺎﻝ ﺍﻟﺪﺳﻮﻗﻲ : ﻗﻮﻟﻪ ﺟﺎﺯ ﺧﺮﻭﺝ ﻣﺘﺠﺎﻟﺔ ﺃﻱ ﺟﻮﺍﺯﺍ ﻣﺮﺟﻮﻋﺎ ﺃﻧﻪ ﺧﻼﻑ ﺍﻻﻭﻟﻲ ﻭﻗﻮﻟﻪ ﺷﺎﺑّﺔ ﺃﻱ ﻏﻴﺮ ﻓﺎﺭﻫﺔ ﻓﻲ ﺍﻟﺸﺒﺎﺏ ﻭﺍﻟﻨﺠﺎﺑﺔ، ﺃﻣﺎ ﺍﻟﻔﺎﺭﻫﺔ ﻓﻼ ﺗﺼﻠﺢ ﺍﺻﻼ .
এমন বয়োবৃদ্ধ মহিলা যাদের প্রতি সাধারণত পুরূষের আগ্রহ থাকেনা; তাদের জন্য ঈদ ও ইস্তিসকার উদ্দেশ্যে মসজিদে বের হওয়া এ শর্তে বৈধ যে তারা সুগন্ধি ব্যবহার করবে না। সাজসজ্জা পরিহার করবে। ফিতনায় পতিত হওয়ার আশংকা মুক্ত হতে হবে ইত্যাদি ।
.
🌻ইমাম দুসুকী র. বলেন, বয়োবৃদ্ধেেদর বের হওয়া জায়েয এর অর্থ হচ্ছে, অনুত্তম। যুবতী যে শর্ত সাপেক্ষে বের হওয়া জায়েয বলা হয়েছে সেটা যারা সুন্দর আকর্ষণীয় নয় তাদের ক্ষেত্রে । আর যারা সুন্দর আকর্ষণীয় তারা নামাযের জন্য মোটেই বের হওয়ার অনুমতি নেই। [আউজাযুল মাসালিক : ১৫৪/৪]
.

🔲 গ. শাফেয়ী মাযহাবের মতামত
.
শাফেয়ী মাযহাবের ইমামদের মতে যুবতীদের জন্য মসজিদে গমন মাকরূহ। অন্যদের জন্য অনুত্তম, ঘরে পড়াই শ্রেয়।
.
🌻শাফেয়ী মাযহাবের সুপ্রসিদ্ধ কিতাব ‘আল মাজমু’-তে রয়েছে-
ﻗَﺎﻝَ ﺃَﺻْﺤَﺎﺑُﻨَﺎ ﺇﻥْ ﻛَﺎﻧَﺖْ ﺷَﺎﺑَّﺔً ﺃَﻭْ ﻛَﺒِﻴﺮَﺓً ﺗُﺸْﺘَﻬَﻰ ﻛُﺮِﻩَ ﻟَﻬَﺎ ﻭَﻛُﺮِﻩَ ﻟِﺰَﻭْﺟِﻬَﺎ ﻭَﻭَﻟِﻴّﻬَﺎ ﺗَﻤْﻜِﻴﻨُﻬَﺎ ﻣِﻨْﻪُ ﻭَﺇِﻥْ ﻛَﺎﻧَﺖْ ﻋَﺠُﻮﺯًﺍ ﻟَﺎ ﺗُﺸْﺘَﻬَﻰ ﻟَﻢْ ﻳُﻜْﺮَﻩْ ﻭَﻗَﺪْ ﺟَﺎﺀَﺕْ ﺃَﺣَﺎﺩِﻳﺚُ ﺻَﺤِﻴﺤَﺔٌ ﺗَﻘْﺘَﻀِﻲ ﻫَﺬَﺍ ﺍﻟﺘَّﻔْﺼِﻴﻞَ
অর্থাৎ শাফেয়ী ইমামগণ বলেন, মহিলা যদি যুবতী কিংবা এমন বয়স্কা হয় যে, পুরুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে; তাহলে তাদের জন্য মসজিদে গমন মাকরূহ। আর যে বৃদ্ধা পুরুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে না তার জন্য মসজিদে গমন মাকরূহ নয়। এ ব্যাপারে অনেক সহীহ হাদীস এসেছে যেগুলো যুবতী ও ব্দ্ধৃার হুকুমের মাঝে তারতম্যের দাবী রাখে। [আল মাজমূ ১৭১/৪]
.

🔲ঘ. হাম্বলী মাযহাব
.
হাম্বলী মাযহাবেও যুবতী সুন্দরী রমনীদের ক্ষেত্রে মসজিদে গমন মাকরূহ। অন্যান্যদের জন্য মসজিদ গমন মাকরূহ না হলেও অনুত্তম বরং ঘরে পড়াই উত্তম।

🌻আউযাজুল মাসালিক গ্রন্থে নাইলুল মাআরিব কিতাবের উদ্ধৃতিতে বলা হয়েছে-
ﻭﻳﻜﺮﻩ ﻟﺤﺴﻨﺎﺀ ﺣﻀﻮﺭﻫﺎ ﻣﻊ ﺍﻟﺮﺟﺎﻝ، ﻭﻳﺒﺎﺡ ﻟﻐﻴﺮﻫﺎ ﺣﻀﻮﺭ ﺍﻟﺠﻤﺎﻋﺔ .
সুন্দরীদের জন্য পুরুষদের সাথে জামাতে অংশগ্রহণ মাকরূহ। অন্যান্যদের জন্য অবকাশ আছে। [আওজায : ১৫৪/৪]
.

💝 চার মাযহাবের মতামতের সারকথা
.
 যুবতী মহিলাদের জন্য মসজিদে গমন চারো মাযহাবের ইমামগণের মতে মাকরূহ। আর যারা একেবারে বয়োবৃদ্ধ তাদের ব্যাপারে সকল মাযহাবের বক্তব্য থেকে কিছু শর্তসাপেক্ষে মসজিদ গমনের অবকাশ বুঝা যায়। আর মাঝামাঝি যেসব মহিলা আছে তাদের ক্ষেত্রে কেউ কঠিন শর্তের সাথে অবকাশ দিয়েছেন আবার কেউ মসজিদ গমনের একেবারেই নিষেধ করেছেন।
.
ফুকাহায়ে কেরামের কারো মতেই সব শর্ত বিদ্যমান থাকাবস্থায়ও মহিলাদের মসজিদে যাওয়া ওয়াজিব বা সুন্নাত পর্যায়ের কোনো আমল নয় । আবার শর্ত লঙ্ঘন করে মসজিদে যাওয়া কারো মতেই বৈধ নয়।
.
 মহিলাদের মসজিদে গমন শর্ত সাপেক্ষেও জরুরী, সুন্নাত বা উত্তম না হওয়ায় পরবর্তী হানাফী ইমামগণ বর্তমান যুগে মহিলাদের গাফলত, খামখেয়ালী এবং চতুর্মুখী ফেতনার কথা বিবেচনা করে জামাতে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন।
.

💝 সারসংক্ষেপ
.
রাসূল স.-এর হাদীস, সাহাবাদের আছার ও ফিকহের ইমামগণের বক্তব্য ও সিদ্ধান্তমূলক ফাতওয়ার আলোকে এটা দিবালোকের মতো পরিষ্কার যে বর্তমান যামানায় কোনো মহিলার জন্যই মসজিদের জামাতে হাযির হওয়ার উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হওয়া জায়েয নেই। কারণ যামানাটা ফেতনা ফাসাদের ।
বর্তমানে মহিলারা ঘর থেকে বের হওয়ার শরয়ী শর্তাবলী পালনে ব্যর্থ ।
.
মসজিদে না যাওয়াতে একটি উত্তম কাজও ছুটে যাচ্ছে না। বরং ঘরের নামাযে উত্তমের উপর আমল হচ্ছে।
.
রাসুলের যুগে যেসব কারণে মসজিদে যাওয়া হতো তা বর্তমানে অনুপস্থিত। সুতরাং উত্তম আমল বাদ দিয়ে প্রবল গুনাহের আশঙ্কার পথ অবলম্বন করা কোনো বিবেকবান মানুষের কাজ হতে পারে না। এরপরও যদি কেউ আজকের যমানায় বিচার বিশ্লেষণ না করে হাদেিসর মমৃ, লক্স্য উদ্দেশ্য এবং গভীরতার দিকে না তাকিয়ে মুসলিম রমনী দের গৃহের নিরাপদ প্রাচির ভেঙ্গে বের করে আনার অপচেষ্টায় লিপ্ত থাকে। 
.
সে হয়তো হাদীস কুরআনে র ব্যপারে অজ্ঞ বা বিধর্মীয় ষড়যন্ত্র কারীদের শিকার না হয় সে খলীফায়ে রাসুল হযরত উমর এবং হযরত আয়েশা সহ সকল সাহাবিদের চেয়ে অধিক জ্ঞানী হওয়ার দাবীদার ।
.
এ ক্ষুদ্র প্রবন্ধে জরুরী বিষয় গুলো সংক্ষিপ্ত আকারে পেশ করলাম। আল্লাহ সঠিকটা বুঝার তাওফিক দান করুক। আমিন।। 
কপি কৃত

বিঃদ্রঃ 
আমি ব্যক্তিগত ভাবে যা মনে করি তাহল 
পথে ঘাটে চলাচলের সময়  যদি নামাজের সময় হয়ে যায়  তখন যে কোন নিরাপদ   স্হান,বা  মসজিদে গিয়ে আবশ্যই নামাজ পড়ে নিবে।
পডে নিতে পারবে এতে সন্দেহ নাই। 
তবে নিয়ম করে ৫ ওয়াক্ত নামাজের জন্য  মহিলাদের কে মসজিদে পাঠানোর জন্য  উদ্বধ্য করা সেটা হল ভিন্ন কথা।

যেখানে হাজার বছর আগের  অধিকাংশ ফকিহদের মতে  মসজিদ থেকে ঘরের কোনে মহিলাদের জন্য নামাজ উত্তম  বলা হয়েছে, মসজিদে  মাকরূহ  বলেছেন। 
তারা যদি বর্তমান যুগে জীবিত থাকতেন তাহলে তারা আগে মাকরূহ বলে থাকলে ও বর্তমানে তা হারামই বলতেন। 

তাছাড়া  
অনেকে বলে থাকেন যে অসংখ্য মহিলা হাটে বাজারে যাচ্ছে ,  মসজিদে গেলে সমস্যা কি?

আসলে আপনি চিন্তা করে গবেষণা করে দেখবেন বাজারী মহিলা  কয়জনই বা নামাজ পড়েন?? 

তাছাডা  বাজারের উপর মসজিদের সাথে তুলনা করা কেয়াস মা-য়াল ফারেগ্। 

তার পরও কেউ  বাজারে গেলে বা সফরে গেলে নামাজের সময় হয়ে গেলে 
মসজিদ হউক 
কিংবা রাস্তার পাশে নিরাপদ স্হানে হউক  নামাজ আদায় করে নিতে পারেন  তাতে সমস্যা নেই। করা দরকার ও আছে।

তবে নিয়ম করে মহিলাদের মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায়ে তাদের কে ডাকাডাকি করা। 
মসজিদে জমায়েত করা  কোন প্রকায়ে শরিয়ত সন্মত নয়।

 অনেকে বলে থাকেন যে মসজিদে নববীতে ও মসজিদুল হারামে মহিলারা নামাজ পড়েন কেন?

মসজিদে নববীতে ৩ কারণে মহিলারা নামাজ আদায় করতেন বর্তমানে কি এসকল কারণ বিদ্যমান?  

১, যেয়ারতে নববীঃ
 তথা  নবী সাঃ দর্শন বা যেয়ারত করতে মহিলারা আসতেন
২, তালীমে নববী ঃ
তথা নবী সাঃ এর থেকে কোরআন ও হাদিসের তালীম নিতে আসতেন 

৩, ফজিলতে মসজিদে নববী ঃ
তথা মসজিদে নববীতে ১ রাকাতে ৫০ হাজার রাকাত নামাজের ছাওয়াব অর্জন করতে।
বর্তমানে আমাদের মহল্লার বা আপনার মহল্লার মসজিদে এ কারণ  গুলো কি বিদ্যমান?  

তাহলে কেন মহিলাদের কে মসজিদে যাওয়ার জন্য  উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। 
মনে রাখবেন মহিলারা ঘরের কোনে নামাজ পড়া উত্তম। 
বরং ছাওয়াব বেশী।
তাছাডা 
যারা  এখন মসজিদে নববী ও মসজিদুল হারামের উপমা দেন তাদের ও মনে রাখা উচিত যে, সেটা এ ২ মসজিদের সাথে খাছ। কারণ  সেখানে হজ্জ  ওমরার বিষয় রয়েছে  নবী সাঃ  এর  রওজা যেয়ারতের বিষয় রয়েছে। 
যা অন্য কোথাও নেই।

কারণ এতে ছাওয়াব নিহীত আছে।

তবে হ্যা রাস্তা ঘাটে চলাচলের সময় যদি নামাজের সময় হয়ে যায় তখন কোন মসজিদে মহিলাদের জন্য  সূব্যবস্হা থাকলে তখন নামাজ আদায় করে নিতে পারেন, নামাজ ক্বাজা না করে।সেটা ভিন্ন কথা।

ওয়ামা আলাইনা ইল্লাল বালাগ্

এম এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া।

রবিবার, ৭ মে, ২০২৩

অর্শ পাইলস ভগন্দর ফিস্টুলা চিকিৎসা

অর্শ বা পাইলস ৪ ভাগে ভাগ করা যায়, চিকিৎসা  করণীয় ও বর্জনীয়  
========০০০========== 

পাইলস (Piles), যা ডাক্তারি ভাষায় (Haemorrhoid)বলে।  Haemorrhoid হলো পায়ুপথে বিদ্যমান রক্তনালির কুশন যা মল নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। যখন এটি কোনো ধরনের উপসর্গ তৈরি করে যেমন- 👉মলদ্বার দিয়ে রক্তপাত বা মাংসপিন্ড মলদ্বার দিয়ে বের হয়ে আসা, তখনই আমরা একে হেমোরয়েড রোগ বলে থাকি। পাইলস দুধরনের হতে পারে-

👉অভ্যন্তরীণ পাইলস (Internal Haemorrhoid): সাধারণত ডেনটেট লাইনের ওপরে সৃষ্ট পাইলস হলো অভ্যন্তরীণ

 হেমোরয়েড (Internal Haemorrhoid) রক্তনালির কুশনের ডেনটেট লাইন থেকে স্থানচ্যুতির মাত্রার ওপর নির্ভর করে একে

 চার শ্রেণিতে বা গ্রেডে ভাগ করা হয়। 
 
👉গ্রেড-১।স্থানচ্যুত হয় না, শুধু রক্তনালির কুশনগুলো ফুলে যায়। 
👉গ্রেড-২। নিম্নমুখী চাপে স্থানচ্যুত হয়, তবে তা আপনা আপনি পায়ুপথে ঢুকে যায়। 
👉গ্রেড-৩। নিম্নমুখী চাপে স্থানচ্যুত হয় এবং তা হাত দিয়ে পায়ুপথে ঢুকাতে হয়। 
👉গ্রেড-৪।স্থানচ্যুত হয় এবং তা তার পায়ুপথে ঢুকানো সম্ভব হয় না। 
 
👉বাহ্যিক পাইলস (External Haemorrhoid) : ডেনটেট লাইনের নিচে সৃষ্ট পাইলস হলো, বাহ্যিক হেমোরয়েড বা External Haemorrhoid.  এক্ষেত্রে সাধারণত মলদ্বারের বাইরে ফোলা থাকে এবং কিছুটা ব্যথা বা অস্বস্তি হতে পারে।

👉#Piles রোগ কেন হয় : 
এর সঠিক কারণ জানা না গেলেও এ রোগের জন্য যেসব বিষয় দায়ী বলে ধারণা করা হয় তা মধ্যে রয়েছে-  অন্ত্রজনিত সমস্যা (দীর্ঘমেয়াদী কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া);  মলত্যাগে অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ; অনিয়মিত মলত্যাগের অভ্যাস; শাকসবজি ও অন্য আঁশযুক্ত খাবার এবং পানি স্বল্পতা। 

#স্থূলতা : পেটের ভিতরে চাপ বৃদ্ধি, যেমন- ভারি ওজন তোলা, গর্ভ্যবস্থা, অ্যাসাইটিস ইত্যাদি; দীর্ঘ সময় দাড়িয়ে/ এছাড়া বসে থাকা।
#বার্ধক্য  : পরিবারে কারও পাইলস থাকা 

 #উপসর্গ : পাইলস হলো মলদ্বারের নিম্নাংশের রোগ, যেখানে রক্তনালির শিরাগুলো ফুলে গিয়ে বিভিন্ন উপসর্গ তৈরি করে যেমন- রক্তপাত হওয়া বা মাংসপিন্ডের মতো বের হয়ে আসা ইত্যাদি। এ রোগ মলদ্বারের ভিতরে বা বাইরেও হতে পারে এবং সেই অনুযায়ী উসর্গের ভিন্নতা থাকতে পারে। 

অভ্যন্তরীণ পাইলসের লক্ষণের ভিত্তিতে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়।
#লক্ষণসমূহ:
মলদ্বারের অভ্যন্তরে হলে নিচের লক্ষণগুলো দেখা যেতে পারে :
১. পায়খানার সময় ব্যথাহীন রক্তপাত হওয়া।
২. মলদ্বারের ফোলা বাইরে বের হয়ে আসতে পারে, নাও পারে। যদি বের হয় তবে তা নিজেই ভেতরে চলে যায় অথবা হাত দিয়ে ভেতরে ঢুকিয়ে দেয়া যায়। কখনও কখনও এমনও হতে পারে যে, বাইরে বের হওয়ার পর তা আর ভেতরে প্রবেশ করানো যায় না বা ভেতরে প্রবেশ করানো গেলেও তা আবার বের হয়ে আসে।
৩. মলদ্বারে জ্বালাপোড়া, যন্ত্রণা বা চুলকানি হওয়া।
৪. কোনো কোনো ক্ষেত্রে মলদ্বারে ব্যথাও হতে পারে।

#মলদ্বারের বাইরে হলে নিচের লক্ষণগুলো দেখা যেতে পারে :
১. মলদ্বারের বাইরে ফুলে যাওয়া যা হাত দিয়ে স্পর্শ ও অনুভব করা যায়।
২. কখনও কখনও রক্তপাত বা মলদ্বারে ব্যথাও হতে পারে।

#পাইলস রোগের চিকিৎসার আগে কিছু   করণীয় আছে যা নিজে নিজেই  করতে হয়।
যে যত বেশী এ গুলো মেনে চলবে সে ততবেশীই সুস্হ হবেন বা থাকবেন।
সব চিকিৎসা  শুধু  মাত্র  ঔষধ এর দ্বারা সম্ভব নয়। ঔষধ  ছাডা সতর্ক  থাকলে অনেককাংশে ঝুঁকি  এডানো যায়।

১. কোষ্ঠকাঠিন্য যেনো না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকা এবং নিয়মিত মলত্যাগ করা।
এবং যে খাবার খেলে মল নরম থাকে সে খাবার খাওয়া।
২. পর্যাপ্ত পরিমাণে শাকসব্জি ও অন্যান্য আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া এবং পানি (প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস) পান করা।
৩. সহনীয়মাত্রার অধিক পরিশ্রম না করা।
৪. প্রতিদিন ৬-৮ ঘণ্টা ঘুমানো।
৫. শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করা।
৬. টয়লেটে অধিক সময় ব্যয় না করা।
৭. সহজে হজম হয় এমন খাবার গ্রহণ করা। যেমন : আঁশযুক্ত খাবার, শাকসবজি ইত্যাদি।
৮. ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া লাক্সেটিভ বা রেচক ঔষধ বেশি গ্রহণ না করা।
৯. মলত্যাগে বেশি চাপ না দেয়া।
১০. দীর্ঘমেয়াদী ডায়রিয়া থাকলে তার চিকিৎসা নেয়া।
এবং যে কোন গোস্ত চাই  সেটা মুরগী  খাশি গরু যাই হউক না কেন এডিয়ে চলা।
নিতান্ত  মাঝে মধ্যে  খেতে চাইলে পিয়াজ রসুন আদার পরিমান গোস্তের সমান সমান দিয়ে  পাক করা স্পেশাল ভাবে এবং মরিচ ও মসল্লা কম দেয়া।।
 
#পাইলস রোগে গ্রহণীয় কিছু খাবার :
+++++++++++++++++++++++

শাকসব্জি, ফলমূল, সব ধরনের ডাল, তবে মসুর ডাল ব্যতিত কারন এটি কোষ্ঠকাঠিন্য  বাডায়। সালাদ, দধি, পনির, গাজর, মিষ্টি কুমড়া, লেবু ও এ জাতীয় টক ফল, পাকা পেঁপে, বেল, আপেল, কমলা, খেজুর, ডিম, মাছ, দেশী মুরগীর মাংস, ভূসিযুক্ত (ঢেঁকি ছাঁটা) চাল ও আটা ইত্যাদি।

#পাইলস রোগে বর্জনীয় কিছু খাবার) :

খোসাহীন শস্য, গরুর মাংস, খাসির মাংস ও অন্যান্য চর্বিযুক্ত খাবার, মসৃণ চাল, কলে ছাঁটা আটা, ময়দা, চা, কফি, মাখন, চকোলেট, আইসক্রীম, কোমল পানীয়, সব ধরনের ভাজা খাবার, যেমন : পরোটা, লুচি, চিপস  চম্বুছা, পিয়াজু, ইত্যাদি।  

চিকিৎসা  

১, হাব্বে বাওয়াসীর বাদি ক্যাপ  ঃ 

কোষ্ঠকাঠিন্য বায়ুজনিত অর্শ,পায়ুপথে ফোলা,ব্যথা,জালা,ও আন্ত্রিক প্রদাহে কার্যকর। 

২, ডি ফাইলস ট্যাব  (অর্শ রোগের মহৌষধ) অর্শ,ভগন্দর, পিস্টুলা,আন্ত্রিক প্রদাহ ও কোষ্ঠকাঠিন্য, দূর করতে কার্যকর। 

 ৩, ডি - পাইলস্ সিরাপ ঃ 

অর্শ, পায়ুপথে ফোলা,ব্যথা ও মলধারে গেজ,ভগন্দর, ও জালাপোডায় বিশেষ  কার্যকর। 

৪, মরহম জদীদ ঃ 

অর্শের ক্ষত,পায়ুপথে ব্যথা,জালাপোডা, গেজের বেদনা,খোসপাঁচড়ায় কার্যকর। 

৫, সুফুপ পাইলস  ঃ 
কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস, বদহজম,অর্শ - পাইলস  পিস্টোলা সমস্যার সমাধানে কার্যকর।  

৬, সুফুপ যোয়ান ঃ  
অর্শ পাইলস পিস্টোলা, বদহজম কোষ্ঠকাঠিন্য কার্যকর।  
৭, অর্শ চূর্ণ 
৮,অশর্ব বাম
৯,অর্শ শান্তি
১০, অর্শ পাইলস (ভগন্দর  ফিস্টুলা) 

 ইত্যাদি সহ অন্যান্য ঔষধ  চিকিৎসক এর পরামর্শ এ  লাগাতার ৩/৬ মাস সেবন করতে পারেন।  

সৌজন্যে
 ভূঁইয়া ন্যাচরাল হার্বস এন্ড অর্গানিক ফুড সেন্টার 
০১৮২৯৩১৮১১৪ 
ওয়াতসাফ ইমু তে




মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৩

৫টি প্রধান যৌন সমস্যার সমাধানে১ টি প্যাকেজ

৫টি প্রধান যৌন সমস্যা সমাধান ১ টি পেকেজ এ 

 যেমন 
★লিঙ্গ উত্থানজনিত সমস্যা, ★দ্রুত বীর্যপাত সমস্যা, 
★যৌন মিলন বা যৌন আগ্রহের অভাব, 
★বীর্যে শুক্রের পরিমাণ কমে যাওয়া এবং মানসম্পন্ন না থাকা, 
★টেস্টোস্টেরন হরমোন ঠিক না থাকা এর ন্যাচারাল সমাধান!

.
এ ৫ টি সমস্যার সমাধান করতে  আপনি শেষ চিকিৎসা মনে করে একটি পেকেজ 
ব্যবহার করতে।

এ পেকেজে যা থাকছে 
★ ২ প্রকারের কেরামতি হালুয়া ৫০০ গ্রাম  কোটায়  ২ কেজি। ৫০ দিন সেবন করতে হবে। 
★ কেরামতি  বটিকা ৫০ পিস ৩ মাস 
★ কেরামতি ওয়েল ৪ টি ড্রপ সেবন করার জন্য ৫০ দিন সেবন করতে হবে। 
★ কেরামতি তৈল মালিশের জন্য। ৪৫ দিন যাবে

 দাম মাত্র  ৩৮০০ টাকা সার্ভিস সার্জ সহ।

 ক্যাশঅন ডেলীভারী সিস্টেম। 

তবে সিকিউরিটি  হিসাবে ৩০০ টাকা অগ্রীম বিকাশ পেমেন্ট করতে হবে।

অর্ডার নিশ্চিত করতে বা বিস্তারিত যে কোনো তথ্যের জন্য  
০১৮২৯৩১৮১১৪

শনিবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৩

যৌন সমস্যার স্হায়ী সমাধান


ইরেকটাইল ডিসফাংশন কী?

**যৌন মিলনের পূর্বশর্ত হলো, পুরুষের লিঙ্গের উত্থান ঘটবে। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, মিলনের পূর্বে পুরুষের লিঙ্গের পর্যাপ্ত উত্থান ঘটছে না। কিংবা কারো কারো আবার উত্থান ঘটলেও, তা বেশিক্ষণ দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে না। এর ফলে পরিপূর্ণ যৌন মিলনও সম্ভব হচ্ছে না। একজন পুরুষের লিঙ্গের এরুপ উত্থানজনিত সমস্যাকেই বলা হয়ে থাকে ইরেকটাইল ডিসফাংশন।

তবে মাঝে মাঝে কোনো পুরুষের লিঙ্গের উত্থানে সমস্যা হলেই এমনটা বলা যাবে না যে তিনি ইরেকটাইল ডিসফাংশনের শিকার। এগুলো নিছকই বিচ্ছিন্ন ঘটনা। কিন্তু বিষয়টি কপালে ভাঁজের কারণ হয়ে দাঁড়ায় তখনই, যখন একজন পুরুষ ক্রমাগত এই সমস্যার সম্মুখীন হতে থাকেন। এর ফলে তারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন, অবসাদ তাদেরকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে, তারা আত্মবিশ্বাসহীনতায় ভুগতে থাকেন, এবং তাদের দাম্পত্য সম্পর্কও ঝুঁকির মুখে পড়ে। লিঙ্গের উত্থানে ব্যর্থতা কিংবা তা ধরে রাখতে না পারার পেছনে অন্য কোনো শারীরিক সমস্যাও ভূমিকা রাখ রাখতে পারে।

★★★ইরেকটাইল ডিসফাংশনের লক্ষণ
একজন ব্যক্তি যে ইরেকটাইল ডিসফাংশনের শিকার, তা বলা যাবে যদি তিনি নিয়মিত নিম্নোক্ত সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হন:

লিঙ্গের উত্থান ঘটাতে না পারা;
লিঙ্গের উত্থান ধরে রাখতে না পারা;
যৌন আকাঙ্ক্ষা হ্রাস পাওয়া কিংবা কখনোই আকাঙ্ক্ষা জাগ্রত না হওয়া।

দেখা দিতে পারে কিছু বিরল লক্ষণও;
এছাড়া আরো কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে:

দ্রুত বীর্যপাত হওয়া;
বিলম্বে বীর্যপাত হওয়া;
টেস্টোস্টেরন বা পুরুষের যৌন হরমোনের মাত্রা কম হওয়া;
অ্যানোর্গাজমিয়া দেখা দেয়া, অর্থাৎ পর্যাপ্ত উত্তেজনা সত্ত্বেও অর্গাজম লাভে ব্যর্থ হওয়া।
কখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে
ইরেকটাইল ডিসফাংশন হয়েছে, এমন মনে করলে দেরি না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। এবং সেক্ষেত্রে অবশ্যই যথাযথ যোগ্যতাসম্পন্ন চিকিৎসকের দ্বারস্থ হতে হবে। তবে যেহেতু অনেকেই লজ্জার কারণে চিকিৎসকের কাছে যেতে সংকোচ বোধ করেন, তাই তারা প্রথমে ব্যক্তিগতভাবে নিজের মধ্যে নিম্নোক্ত সমস্যাগুলো আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে পারেন:

আপনি কি লিঙ্গের উত্থান বা স্থিতাবস্থা নিয়ে সন্তুষ্ট নন?
আপনার কি দ্রুত বা বিলম্বে বীর্যপাত ঘটছে?
আপনার কি ডায়াবেটিস, হৃদরোগ বা অন্য কোনো শারীরিক সমস্যা আছে?
যদি এই তিনটি প্রশ্নেরই, কিংবা যেকোনো দুটি বা একটির উত্তর 'হ্যাঁ' হয়, তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। তবে ভালো হয় প্রথমে পারিবারিক চিকিৎসক বা যে চিকিৎসকের কাছে নিঃসংকোচে সব সমস্যা শেয়ার করা যায়, তার পরামর্শ গ্রহণ করা।
★★★ইরেকটাইল ডিসফাংশন কেন হয়?

পুরুষের লিঙ্গের উত্থান মূলত যৌনোদ্দীপনার সাথে সম্পর্কিত। আর পুরুষের যৌনোদ্দীপনা খুবই জটিল একটি প্রক্রিয়া, যেটির সাথে সরাসরি সংযোগ রয়েছে তাদের মস্তিষ্ক, হরমোন, আবেগ, স্নায়ু, পেশি ও রক্তসংবহনতন্ত্রের। ইরেকটাইল ডিসফাংশন এগুলোর যেকোনো একটির সমস্যা বা অস্বাভাবিকতার কারণে হয়ে থাকতে পারে। এছাড়া চাপ, বিষণ্ণতা বা অন্যান্য মানসিক সমস্যার ফলেও ইরেকটাইল ডিসফাংশন হতে পারে, বা আরো ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে।

কখনো কখনো ইরেকটাইল ডিসফাংশনের পেছনে শারীরিক ও মানসিক দু'ধরনের কারণই প্রভাব ফেলতে পারে। যেমন ধরুন, কোনো একটি ছোটখাট শারীরিক সমস্যার কারণে হয়তো সাময়িকভাবে আপনার যৌন উদ্দীপনার মাত্রা কমে গেল। কিন্তু এ নিয়ে আপনি এত বেশি চিন্তিত হয়ে পড়লেন যে, সে কারণে পরবর্তীতে আপনার লিঙ্গের উত্থান ঘটা বা ধরে রাখা আরো বেশি কঠিন হয়ে পড়ল। এভাবেই শারীরিক সমস্যার সাথে মানসিক সমস্যা যোগ হয়ে ইরেকটাইল ডিসফাংশনের মাত্রা বহু গুণে বাড়িয়ে দিল।

ইরেকটাইল ডিসফাংশনের শারীরিক কারণ
বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার কারণে ইরেকটাইল ডিসফাংশন দেখা দিতে পারে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

হৃদরোগ;
রক্তনালী সংকীর্ণ হয়ে যাওয়া, 
উচ্চ কোলেস্টেরল;
উচ্চ রক্তচাপ;
ডায়াবেটিস;
ওবেসিটি;
 , কোমরের কাছে অতিরিক্ত চর্বি ও উচ্চ কোলেস্টরল জন্মানো;
প্রোস্টেট ক্যান্সার;
স্লিপ ডিজঅর্ডার বা ঘুমের সমস্যা;
শ্রোণী এলাকা বা মেরুদণ্ডে জখম।

ইরেকটাইল ডিসফাংশনের মনস্তাত্ত্বিক কারণঃ

লিঙ্গের উত্থানের পেছনে মস্তিষ্ক সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মস্তিষ্কের থেকে পাওয়া সংকেতের মাধ্যমেই একজন পুরুষ তার দেহে যৌন উদ্দীপনা অনুভব করতে থাকেন, তার মধ্যে বিভিন্ন শারীরিক পরিবর্তন আসতে থাকে, এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে তার লিঙ্গের উত্থান ঘটে। কিন্তু মস্তিষ্ক যদি স্বাভাবিক না থাকে, তার প্রভাব পড়ে লিঙ্গের উত্থানে, ফলে সৃষ্টি হয় ইরেকটাইল ডিসফাংশন। মস্তিষ্ক স্বাভাবিক না থাকার কারণসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য:

অবসাদ, দুশ্চিন্তা ও অন্যান্য মানসিক সমস্যা;
মানসিক চাপ;
অন্যমনস্কতা;
সম্পর্কের অবনতি বা অধারাবাহিকতার কারণে উদ্ভূত চাপ;
আত্মবিশ্বাসহীনতা;
ভীতি।

রিস্ক ফ্যাক্টরঃ

একজন পুরুষের বয়স বাড়ার সাথে সাথে যৌন ক্ষমতা হ্রাস পাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। ফলে একজন মধ্যবয়সী বা প্রৌঢ় পুরুষের তরুণ বয়সের মতো সহজেই লিঙ্গের উত্থান ঘটে না, আর লিঙ্গ খুব বেশি শক্তও থাকে না। তখন বারবার স্পর্শ করে লিঙ্গ উত্থিত ও শক্ত রাখতে হয়।

তবে আজকাল বয়স বিশ বা ত্রিশের কোঠায় আসা মাত্রও অনেকে ইরেকটাইল ডিসফাংশনের শিকার হচ্ছেন। এর পেছনে পেছনে বেশ কিছু রিস্ক ফ্যাক্টর কাজ করতে পারে, যেমন:

 বিশেষ করে ডায়াবেটিস বা হৃদরোগ;
তামাক ব্যবহার, যেটি রক্তনালী বা ধমনীতে রক্তপ্রবাহ আটকে দেয়, ফলে সময়ের সাথে সাথে বিভিন্ন দীর্ঘস্থায়ী শারীরিক জটিলতা দেখা যায়, যা ইরেকটাইল ডিসফাংশনের জন্ম দিতে পারে;
অতিরিক্ত শারীরিক ওজন থাকলে, বিশেষত ওবেসিটি বা অতিস্থূলতার শিকার হলে;
কোনো চোট বা জখম, বিশেষত তা যদি স্নায়ু বা উত্থান নিয়ন্ত্রণকারী ধমনীকে আক্রান্ত করে;
কিছু বিশেষ ওষুধ ব্যবহার করলে, যেমন অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট, অ্যান্টিহিস্টামিন কিংবা উচ্চ রক্তচাপ, ব্যথা বা প্রোস্টেটে সমস্যার ওষুধ;
বিভিন্ন মানসিক অবস্থা, যেমন- দুশ্চিন্তা, চাপ, অন্যমনস্কতা বা অবসাদ;
মাদকের নেশা, বিশেষত কেউ যদি দীর্ঘদিন ধরে নেশা করে আসে বা মাত্রাতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণ করে।
উদ্ভূত জটিলতা
ইরেকটাইল ডিসফাংশনের ফলে বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। যেমন:

অসন্তুষ্ট যৌন জীবন;
সঙ্গীর সাথে সম্পর্কে অবনতি;
মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তা বৃদ্ধি;
নিজের উপর থেকে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলা;
সঙ্গীকে গর্ভবতী করতে না পারা।

বাঁচার উপায়ঃ-
একবার যদি কোনো ব্যক্তি ইরেকটাইল ডিসফাংশনের শিকার হয়েই যান, সেক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে ওষুধ সেবন করতে হবে,  কিংবা নিছকই নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করতে হবে। আর যারা এখনো ইরেকটাইল ডিসফাংশনের সম্মুখীন হননি, তাদের উচিত হবে সুস্থতা ধরে রাখার জন্য নিম্নোক্ত কাজগুলো যথাযথভাবে পালন করা:

চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ডায়াবেটিস, হৃদরোগ বা অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী শারীরিক সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা;
শারীরিক সমস্যার অতীত ইতিহাস থাকলে, কিংবা না থাকলেও, প্রতিবছর অন্তত একবার চিকিৎসকের কাছে গিয়ে চেক-আপ ও মেডিকেল স্ক্রিনিং টেস্ট করিয়ে আসা;
ধূমপান পুরোপুরি বর্জন করা, অ্যালকোহল গ্রহণের মাত্রা সীমিত করা কিংবা নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ না থাকলে পুরোপুরি এড়িয়ে চলা, অবৈধ নেশাদ্রব্য ব্যবহার না করা;
নিয়মিত শরীরচর্চা করা;
অনিয়মিত খাদ্যগ্রহণের বদলে সুষম ও স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য গ্রহণ করা;
রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানো ও কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিশ্রাম নেয়া;
মানসিক চাপ, অবসাদ, দুশ্চিন্তা বা অন্যান্য সমস্যাকে অবহেলা না করে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া।

কোরআনী তদবীর ও রুহানী আমলিয়াত

যে সকল স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে  অমিল ঝগড়া, মারামারি, লেগেই থাকে তাদের মধ্যে মিল্ মহব্বত শান্তির বাতাস বয়ে আনার জন্য  কতিপয় তদবীর ও আমলের শিরনাম  নিন্মে দেয়া হলো।

আশা করি  কোরআনও হাদিসে বর্নিত দোয়া, আয়াত দ্বারা  সঠিক ভাবে নিয়ম মেনে তদবির করতে পারলে আশানুরূপ ফলাফল পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ। 

# স্বামী বা স্ত্রী কে বশিভূত করার আমল বা তদবীর 

#স্বামীর অত্যাচার থেকে মুক্তির আমল

#স্বামী স্ত্রীর মাঝে মিল মহব্বতের তদবীর

#চরিত্হীন  স্বামীকে ভালো বানানোর আমল

#স্বামীস্ত্রীর মাঝে ঝগড়া মারামারি  লেগে থাকলে তার সমাধান তদবীর

#স্বামী বা স্ত্রী দূরে থাকলে  তাদের অন্তরে মহব্বত সৃষ্টির আমল

#স্বামী স্ত্রীর দ্বন্দ্ব মিটানোর তদবীর

#প্রিয়জনকে বশ করার আমল

#স্ত্রীকে স্বামীর বাডিতে পিরিয়ে আনার তদবীর

#জালীম স্বামীর অত্যাচার থেকে বাচার তদবীর 

#অবৈধ সম্পর্ক ভাঙ্গার তদবির 

#স্বামীর রাগ মিটানোর তদবীর 
#স্বামী বা #স্ত্রীর পরকিয়া বন্ধের কোরআনি তদবীর।

আশা করি  উপরোক্ত সমস্যা গুলোর সমাধান 

শীর্ক মুক্ত  তদবীর নিতে আমাদের ভূবনে স্বাগতম। 
০১৮২৯৩১৮১১৪

মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারী, ২০২৩

৫ টি যৌন সমস্যার স্হায়ী সমাধান

৫টি প্রধান যৌন সমস্যা সমাধান ১ টি পেকেজ এ 

 যেমন 
★লিঙ্গ উত্থানজনিত সমস্যা, ★দ্রুত বীর্যপাত সমস্যা, 
★যৌন মিলন বা যৌন আগ্রহের অভাব, 
★বীর্যে শুক্রের পরিমাণ কমে যাওয়া এবং মানসম্পন্ন না থাকা, 
★টেস্টোস্টেরন হরমোন ঠিক না থাকা এর ন্যাচারাল সমাধান!
★যৌবন কালে শরীরের উপর অযাচিত অকল্পনীয় অত্যাচার করার ফলে বিবাহ করতে ভয় পাচ্ছেন এমন রুগি।

.
এ ৫ টি সমস্যার সমাধান করতে  আপনি শেষ চিকিৎসা মনে করে একটি পেকেজ 
ব্যবহার করতে পারেন। 

এ পেকেজে যা থাকছে 
★ ২ প্রকারের কেরামতি হালুয়া ৫০০ গ্রাম  কোটায়  ২ কেজি। ৫০ দিন সেবন করতে হবে। 
★ কেরামতি  বটিকা ৫০ পিস ৩ মাস 
★ কেরামতি ওয়েল ৪ টি ড্রপ সেবন করার জন্য ৫০ দিন সেবন করতে হবে। 
★ কেরামতি তৈল মালিশের জন্য। ৪৫ দিন যাবে

 দাম মাত্র  ৩৬০০ টাকা সার্ভিস সার্জ সহ।

 ক্যাশঅন ডেলীভারী সিস্টেম। 

তবে সিকিউরিটি  হিসাবে ৩০০ টাকা অগ্রীম বিকাশ পেমেন্ট করতে হবে।

অর্ডার নিশ্চিত করতে বা বিস্তারিত যে কোনো তথ্যের জন্য  
০১৮২৯৩১৮১১৪