Translate

সোমবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১২

বাংলা ব্লগের শুরুঃবাংলা ব্লগ দিবসঃব্লগ থেকে বাংলা ই-বুকঃ



 ইন্টারনেটের দুনিয়ায় বিভিন্ন দেশের নিজ নিজ ভাষার রয়েছে শক্ত অবস্থান। নিজের মাতৃভাষায় নানা ধরনের কার্যক্রম ইন্টারনেটে চালিয়ে যাচ্ছেন অনেকেই। ইন্টারনেটে ব্লগ ধারণাটি এসেছে অনেক দিন হলো। ব্লগকে বলা যায় অনলাইন দিনপঞ্জি। শুরুতে ওয়েব ব্লগ নাম হলেও পরে ব্লগ নামের যাত্রা শুরু হয় ইন্টারনেটে ইচ্ছেমতো মত প্রকাশের এ জায়গাটির। শুধু একটি বিষয়েই সীমাবদ্ধ থাকেনি ব্লগ। রাজনীতি, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান থেকে শুরু করে সাহিত্যচর্চায়ও ব্যবহার হচ্ছে ব্লগ। ভার্চুয়াল দুনিয়ায় পরস্পরের কাছে নিজের কথা আর সবার কথা জানতে, জানাতে ব্লগের বিকল্প নেই। ভিনদেশি বিভিন্ন ভাষায় অনেক আগে শুরু হলেও ওয়েবে বাংলা ব্লগের যাত্রা শুরু হয় ২০০৫ সালে। শুধু মনের ভাব প্রকাশই নয়, সারা বিশ্বের বাঙালিদের ভার্চুয়াল মিলনমেলা হয়ে উঠেছে বাংলা ব্লগ। নিজ ভাষায় মত প্রকাশের দারুণ এক মাধ্যম হয়ে উঠছেব্লগসাইটগুলো।

বাংলা ব্লগের শুরুঃ
শুরুর দিকে ইন্টারনেটের বিশাল দুনিয়ায় বাংলায় ব্লগ শুরু হয়েছে কিছু মানুষের ব্যক্তিগত আগ্রহে। তবে ব্যাপকভাবে এ কাজটি সামহোয়্যার ইন ব্লগের (http://www.somewhereinblog.net) হাত ধরে শুরু হয় ২০০৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর। ‘বাঁধ ভাঙার আওয়াজ’ স্লোগানে ব্লগ-দুনিয়ায় বাংলার আগমন ঘটে এবং ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে ব্লগের জনপ্রিয়তা।

ইন্টারনেটে মাতৃভাষাকে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যই শুরু হয়েছিল বাংলা ব্লগ। ইন্টারনেট বাংলা ভাষা চর্চার এ কাজটির ফলে বর্তমানে ভার্চুয়াল দুনিয়ায় নিজের ভাষায় লিখে চলছেন অনেকেই। সামহোয়্যার ইনের যাত্রা শুরুর পর

২০০৭ সালে আসে আরেকটি ব্লগসাইট সচলায়তন (http://www.sachalayatan.com)। এরপর চালু হয় আমার ব্লগ (http://www.amarblog.com)।

২০০৮ সালের নভেম্বরে প্রথম আলো ব্লগের (http://www.prothom-aloblog.com) যাত্রা শুরু হলে বাংলায় ব্লগচর্চা আরও বেগবান হয়।

প্রতিটি ব্লগেই বাংলায় মতামত প্রকাশ করে যাচ্ছেন অসংখ্য ব্লগার। শুধু যে বয়স্ক একদল লোকই করে যাচ্ছেন কাজটি, তা নয়। শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে নানা বয়সী ব্লগাররা মনের আনন্দে মাতৃভাষায় লিখে যাচ্ছেন নানা কথা। প্রথম আলো ব্লগের বিভাগীয় সম্পাদক সালাহ উদ্দিন জানান, ইন্টারনেটে বাংলা ভাষার ব্যবহারকে সহজ করে তুলেছে বাংলা ব্লগ। শুধু তা-ই নয়, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা ও গণতান্ত্রিক মানসিকতা তৈরিতে ব্লগ রাখছে বিশেষ ভূমিকা। এমন আয়োজন আর শেখার ব্যাপারটি বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব। শুধু এ মাধ্যমই নয়, কারিগরিভাবেও বর্তমানে বাংলা ব্লগের রয়েছে বিশেষ অবস্থান।

ব্লগাররাই প্রাণঃ
বাংলা ব্লগের শুরু থেকে এর চাহিদা ও ব্যবহার বেড়েই চলছে। কারিগরিভাবেও এর উত্তরোত্তর উন্নতি হচ্ছে। সামহোয়্যার ইন ব্লগে বর্তমানে নিবন্ধিত ব্লগারের সংখ্যা ৪১ হাজার এবং প্রতিদিনই বাড়ছে এ সংখ্যা—জানালেন সৈয়দা গুলশান ফেরদৌস। অন্যান্য বাংলা ব্লগেও বেড়ে চলছে ব্লগারের সংখ্যা।

বাংলা ব্লগের এমন অবস্থান আর উত্তরণ বিভিন্ন ধরনের সামাজিক যোগাযোগ সাইটসহ অন্যান্য ওয়েবসাইটের চেয়ে শিক্ষার্থীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে, জানালেন সালাহ উদ্দিন। একটি ব্লগেই নয়, প্রতিটি ব্লগ সাইটেই রয়েছে ব্লগাররা। প্রথম আলো ব্লগে বর্তমানে নিবন্ধিত ব্লগারের সংখ্যা ১৫ হাজার। ব্লগে যাঁরা লিখে থাকেন, সেসব ব্লগারই আবার অন্য একজনের ব্লগে নিজের মতামত দিয়ে থাকেন। মন্তব্য করেন অন্যের লেখা সম্পর্কে। ব্লগের শুধু যেমন পাঠক রয়েছে, তেমনি একজনই লেখক এবং পাঠক হিসেবেও চালিয়ে যাচ্ছেন ব্লগিং। ব্লগিংকে বর্তমানে খুব সহজে মতপ্রকাশের বিকল্প মাধ্যম হিসেবে বলা যায়, বললেন ব্লগার আইরিন সুলতানা।

কয়েকটি বাংলা ব্লগ আত্মপ্রকাশ করায় তৈরি হয়েছে বিভিন্ন শ্রেণীর ব্লগার, যাঁরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লিখছেন। তবে ইন্টারনেটে বাংলায় লেখার এ সুবিধাটি ব্যবহারকারীদের আকৃষ্ট করছে আর সঙ্গে সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলা ব্লগের ব্যাপ্তি, জানালেন ব্লগার মিলন।
কিছুটা ভিন্নমতও রয়েছে। ব্লগার একরামুল হক বলেন, ভবিষ্যতে বাংলা ব্লগের বিস্তার, কোথায় এর গন্তব্য—এসব নিয়ে চিন্তার সময় এসেছে। বাংলা ব্লগ যেমন ইন্টারনেটে বাংলায় ব্লগ লেখার সুযোগ দিচ্ছে, তেমন বিভিন্ন ধরনের বাংলা লেখার পাঠকও তৈরি করছে, বললেন ব্লগার নদী। আরেকটি ব্যাপারও তৈরি হচ্ছে বাংলা ব্লগের কারণে। নিজেদের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান আর ব্লগারদের মধ্যে তৈরি হওয়া সম্পর্কের সূত্র ধরে নানা ধরনের কার্যক্রমও সম্ভব, জানালেন ব্লগার রাতমজুর। তবে ব্লগের মাধ্যমে সৃষ্টি হচ্ছে লেখকও।

ব্লগার সুলতানা শিরিনের মতে, বাংলায় ব্লগ থাকায় তৈরি হচ্ছে লেখক, যাঁদের পাঠক নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। কারণ, ব্লগে যাঁরা লেখক, তাঁরা পাঠকও। ব্লগার নাঈম মনে করেন, নিজের ভাষায় লেখালেখির অভ্যাস তৈরির ক্ষেত্রে বাংলা ব্লগের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।

প্রতিদিনের নানা পছন্দ আর মজার জিনিস ছাড়াও নানা বিষয় জানাও সহজ হয় ব্লগের কারণে। পাশাপাশি ইন্টারনেটে সহজে বাংলা লেখার ক্ষেত্রটিও বেশ ভালো এমনই মতামত ব্লগার নয়নের। ব্লগারদের আগ্রহ আর ভালোবাসায় এগিয়ে চলছে বাংলা ব্লগের যাত্রা আর ইন্টারনেটে বাড়ছে বাংলার ব্যবহার।

বাংলা ব্লগ দিবসঃ
বাংলা ভাষায় ব্লগের এগিয়ে যাওয়াটা সুন্দর করে তুলতে ঘোষণা করা হয়েছে বাংলা ব্লগ দিবস। বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য একটি বিশেষ দিন, যা বাংলা ব্লগকে তুলে ধরবে, ব্লগের ব্যাপারে সবাই জানবে এমনই উদ্দেশে ১৯ ডিসেম্বরকে বাংলা ব্লগ দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। গত বছরই এ দিনটি বিশেষভাবে পালন করে সামহোয়্যার ইন ব্লগ। প্রতিবছর দিনটিকে বাংলা ব্লগ দিবস হিসেবে পালন করা হবে।

ব্লগ থেকে বাংলা ই-বুকঃ
বাংলা ব্লগ শুধু নিজস্ব লেখাতেই সীমাবদ্ধ নয়। ব্লগারদের বিভিন্ন লেখা নিয়ে প্রকাশিত হয় নানা ধরনের আয়োজন। গত বছর মুক্তিযুদ্ধের ওপর ব্লগারদের উল্লেখযোগ্য লেখা নিয়ে বের হয়েছিল ফিরে দেখা ৭১ নামের একটি ই-বুক। এ ছাড়া প্রতিবছর বইমেলায় ব্লগের উল্লেখযোগ্য লেখা নিয়ে বের হয় অপরবাস্তব নামে একটি গ্রন্থ। এমনই সব আয়োজন হয় ব্লগ আর ব্লগার সম্মিলনে।

বাড়ছে বাংলা ব্লগের সংখ্যাঃ
ইন্টারনেটে বাংলা ব্লগের সংখ্যা বাড়ছে ধীরে ধীরে। কমিউনিটি ব্লগিংয়ের সুবিধা সবার কাছে পৌঁছাতে এগিয়ে চলছে বাংলা ব্লগ। শুধু নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ই নয়, নানা বিষয়ে বাড়ছে বাংলা ব্লগের সংখ্যা। ক্যাডেট কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ক্যাডেট কলেজ ব্লগ (http://www.cadetcollegeblog.com), প্রযুক্তিবিষয়ক নানা তথ্য নিয়ে রয়েছে কম্পিউটার জগত্ ব্লগ (http://www.blog.comjagat.com) এবং টেকটিউনস ব্লগ (http://www.techtunes.com.bd)। এসব ব্লগেও নিয়মিতভাবে মত প্রকাশ আর ভালো লাগার কাজটুকু করে যাচ্ছেন ব্লগাররা। আর বেড়ে চলছে বাংলা ব্লগের জনপ্রিয়তা। থেমে নেই ব্লগারদের নিজেদের মধ্যে সম্পর্কের ব্যাপ্তি। বিভিন্ন আয়োজনে যেমন হচ্ছে ব্লগারদের আড্ডা, তেমন নানা ধরনের সাহায্যমূলক কাজে এগিয়ে আসছেন ভার্চুয়াল জগতের মানুষগুলো। বাংলা লেখার ক্ষেত্রে ব্লগগুলো শুধু ক্ষেত্র তৈরি করেই শেষ করেনি কাজ। এখানে নিজের মতো করে লেখা কিংবা নানা ধরনের কাজ ছড়িয়ে দেওয়ার বিষয়টিকে সহজ করে দিয়েছে।

ব্লগ ভালোভাবে এগিয়ে নিতে ব্লগারদের মতামতকে মাথায় রেখে থাকছে নীতিমালা, যা ব্লগার মেনে নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন ব্লগিং। এভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে বাংলা লেখার মাধ্যম আর ইন্টারনেটে ছড়িয়ে যাচ্ছে বাংলা। ইন্টারনেটে বাংলায় কোনো কিছু লিখে সার্চ দিলে শুরুতেই চলে আসে বাংলা ব্লগারদের নানা লেখা, যা বাংলায় তথ্য খোঁজার আগ্রহকে বাড়িয়ে দেয়। এমনই সব আয়োজন নিয়ে এগিয়ে যাক নিজের ভাষার ব্লগ।

সুত্রঃ-------------
মায়ের ভাষায় ব্লগচর্চা
নুরুন্নবী চৌধুরী | তারিখ: ১৯-০২-২০১০

শনিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১২

যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে 01

যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে

মেহেদী হাসান
তারিখ: ৩০ ডিসেম্বর, ২০১২
মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার ইস্যুতে সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক মহলের চাপ বাড়ছে। স্কাইপ কেলেঙ্কারি ফাঁস হওয়ার পর এই বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে বিতর্ক আরো বেড়েছে। বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার পক্ষ থেকে বিচারের স্বচ্ছতা, আন্তর্জাতিক মানের অভাব এবং রাজনৈতিক ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
বিচারের শুরু থেকে ১৯৭৩ সালের আইন এবং বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে তীব্র সমালোচনা করে আসছেন আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক বিশ্বের প্রভাবশালী বিভিন্ন সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইন বিশেষজ্ঞরা। ট্রাইব্যুনালের সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হকের স্কাইপ কথোপকথন ফাঁসের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বের অনেক প্রভাবশালী দেশ এ বিচার নিয়ে সরাসরি বাংলাদেশ সরকারকে উদ্দেশ করে তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। ন্যাটো জোটভুক্ত দেশ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ গুলের চিঠি নিয়ে ইতোমধ্যে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপড়েন সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিচারকে কেন্দ্র করে আরো অনেক প্রভাবশালী মুসলিম দেশের সাথে বাংলাদেশের তিক্ত সম্পর্ক সৃষ্টি হতে পারে। এমনকি বাংলাদেশ মুসলিম বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছে আন্তর্জাতিক মহল থেকে। সম্প্রতি সুদান ও সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত মুসলিম বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ এবং ইসলামিক স্কলারদের সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে।
৪১ বছর আগে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নিয়ে শুরু থেকেই বাংলাদেশের প্রতি তীè নজর ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অনেক প্রভাবশালী দেশ, সংস্থা ও ব্যক্তিদের। স্কাইপ কেলেঙ্কারির ফলে এখন গোটা বিশ্বের নজর কেড়েছে এ বিচার। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও এই বিচারপ্রক্রিয়ার খবর যথেষ্ট গুরুত্বের সাথে প্রকাশ পাচ্ছে। ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হকের কেলেঙ্কারি ফাঁস হওয়ার ফলে এক দিকে যেমন সরকার দেশের অভ্যন্তরে এ বিচার নিয়ে নাজুক অবস্থায় পড়েছে, তেমনি বাড়ছে আন্তর্জাতিক মহলের চাপ। বিশেষ করে মুসলিম বিশ্বের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, ইসলামপন্থীদের দমনের লক্ষ্যে সরকার এ বিচারের আয়োজন করেছে। বাংলাদেশে এভাবে ইসলামপন্থীদের দমন অব্যাহত থাকলে মুসলিম দেশ হিসেবে তারা চুপ করে থাকতে পারে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে।
তুরস্কের সাথে সম্পর্কের অবনতি : ইতোমধ্যে যুদ্ধাপরাধ বিচার ইস্যুতে প্রভাবশালী দেশ তুরস্কের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। যুদ্ধাপরাধ বিচার নিয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি পাঠিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ গুল। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের টানাপড়েন চলছে। ঢাকাস্থ তুরস্কের দূতাবাসের পক্ষ থেকে গত ২৩ ডিসেম্বর আবদুল্লাহ গুলের চিঠি পৌঁছে দেয়া হয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। এরপর সে চিঠি রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়। এ চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৬ ডিসেম্বর বুধবার ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। আবদুল্লাহ গুলের চিঠিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল আখ্যায়িত করে এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের অসন্তোষের কথা জানিয়ে দেয়া হয় তুরস্কের রাষ্ট্রদূতকে। এর পাল্টা জবাব হিসেবে পরের দিন বৃহস্পতিবার তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে তুরস্ক সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করা হয় তাকে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট তার চিঠিতে বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচারপ্রক্রিয়ার কারণে অর্থাৎ শীর্ষ ইসলামপন্থী নেতাদের শাস্তি দেয়া হলে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক আর্থসামাজিক অগ্রগতি ব্যাহত হতে পারে। এর ফলে সামাজিক অস্থিতিশীলতা ও রক্তপাতের আশঙ্কা রয়েছে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরো ক্ষুণœ হতে পারে।
বিচার বিষয়ে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখা ছাড়াও তুরস্ক থেকে ১৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল পাঠানো হয় যুদ্ধাপরাধ বিচার বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নেয়ার জন্য। গত ২০ থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকা সফর করেন তারা। তুরস্ক প্রতিনিধিদলের সফর নিয়েও দুই দেশের সম্পর্কে নেতিবাচক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
এ দিকে সরকারের সমর্থনপুষ্ট সংগঠন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি (ঘাদানিক) তুরস্কের প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে নানা ধরনের বিষোদগারমূলক অপপ্রচারে নেমেছে। বাংলাদেশের অন্যতম বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র ও বাণিজ্যের অংশীদার দেশটির ক্ষমতাসীন দল ও প্রেসিডেন্টকে মৌলবাদী ও সন্ত্রাসী দলের সাথে যুক্ত বলে মন্তব্য করা হয়েছে। সরকারসমর্থক সংগঠনের এ ধরনের ঢালাও মন্তব্য দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ককে আরো অবনতির দিকে নিয়ে যেতে পারে।
তুরস্ক ছাড়াও মরক্কো, লিবিয়া, মিসর, তিউনিসিয়াসহ অনেক দেশের সরকারি নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি বিরোধী নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের এ বিচার বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন। বিভিন্ন দেশের পক্ষ থেকে রাজপথে কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে এ বিচার বন্ধের দাবি জানিয়ে। জাতিসঙ্ঘ ও ওআইসিকে এ বিচারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে।
মুসলিম বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার হুঁশিয়ারি : গত ১২ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পবিত্র মক্কা নগরীতে আন্তর্জাতিক ফিকাহ বোর্ডের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বাংলাদেশে আলেম ও ধর্মীয় নেতাদের ওপর রাষ্ট্রীয় নির্যাতন বন্ধ এবং কারারুদ্ধ ইসলামি চিন্তাবিদ ও নেতৃবৃন্দের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সৌদি গ্র্যান্ড মুফতি শায়খ আবদুল আজিজ বিন আবদুল্লাহ আল শায়খ। ফিকাহ বোর্ডের ২১তম এই বোর্ড সভা উদ্বোধন করেন মক্কার গভর্নর প্রিন্স খালেদ আল ফয়সাল। সভায় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলা হয়, বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠার জন্য যেসব চেষ্টা চালানো হচ্ছে, তাতে দেশটি মুসলিম উম্মাহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে।
এর আগে গত ১৫ নভেম্বর থেকে সুদানের রাজধানী খার্তুমে তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক ইসলামি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। মুসলিম বিশ্বের ১৫০টি দেশের শীর্ষস্থানীয় ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও ইসলাম বিশেষজ্ঞরা এতে অংশ নেন। সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশের ইসলামি আন্দোলনের নেতাকর্মীরা এক বিভীষিকাময় সময় পার করছেন। এ সময় মুসলিম উম্মাহ নীরব থাকতে পারে না। তারা বাংলাদেশ সরকারকে দমন-পীড়ন পরিহার করার আহ্বান জানান। এই সম্মেলন থেকেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে যদি এভাবে ইসলামপন্থীদের ওপর দমন-পীড়ন অব্যাহত থাকে, তবে বাংলাদেশ মুসলিম বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারে। ইসলামপন্থীদের ওপর সরকারের দমন-নির্যাতন বন্ধ না হলে আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিবাদ করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয় সম্মেলনে।
ইসলামিক মুভমেন্ট অব সুদানের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. আলী ওসমান সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সুদানের প্রেসিডেন্ট ড. ওমর আল বশির। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইখওয়ানুল মুসলিমিনের মুর্শিদে আম ড. মোহাম্মদ বদিই। অন্যান্যের মধ্যে তিউনিসিয়া বিপ্লবের নায়ক ইসলামি চিন্তাবিদ রশিদ আল ঘানুসি, তুরস্কের ড. একমেলেদ্দিন, পাকিস্তান জামায়াতের আমির মুনাওয়ার হাসান প্রমুখ।
মরক্কো, আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া, লিবিয়া, মিসর, জর্ডান, সিরিয়া, তুরস্ক, ইরান, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, কয়েত, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন। বক্তারা অধ্যাপক গোলাম আযমসহ অন্য নেতাদের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করেন।
লিবিয়ার সংসদে ট্রাইব্যুনাল বিষয়ে লিখিত প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া মরক্কোসহ বিভিন্ন দেশের ইসলামপন্থী দলের পক্ষ থেকে সেসব দেশের সরকারের প্রতি পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানানো হয়েছে। মুসলিম বিশ্বের প্রভাবশালী নেতা তিউনিসিয়ায় শুরু হওয়া আরব বসন্তের নেপথ্য নায়ক রশিদ আল ঘানুশি বাংলাদেশের এ বিচার বিষয়ে জনমত যাচাইয়ের জন্য গণভোট আয়োজনের আহ্বান জানান বাংলাদেশের প্রতি।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের চাপ : লন্ডন থেকে প্রকাশিত বিশ্বখ্যাত সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্ট বিচার শুরুর পর থেকে বেশ কয়েকটি প্রতিবেদনে স্পষ্ট করে অভিযোগ করেছে, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমনের জন্য এ বিচারের আয়োজন করা হয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বন্দী নেতাদের কে কোন দলের, সে পরিচয়ও নির্দিষ্ট করে উল্লেখ করেছে ইকোনমিস্ট। বেশ কয়েকবার একই অভিযোগ করা হয়েছে সৌদি আরবের প্রভাবশালী পত্রিকা সৌদি গেজেটে। এ ছাড়া গালফ নিউজসহ মধ্যপ্রাচ্যের আরো অনেক প্রভাশালী দৈনিকে এ বিচারের তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে। দ্য ইকোনমিস্ট স্কাইপ সংলাপ বিষয়ে গত ১৫ ডিসেম্বর প্রকাশিত প্রতিবেদনে মন্তব্য করেছে সম্পূর্ণ বিচার আবার শুরুর প্রয়োজন হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত সর্বাধিক প্রচারিত দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে গত ২১ ডিসেম্বর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়েছে এই বলে যে, যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে রাজনৈতিক হস্তপে নিয়ে বাংলাদেশ সরকারবিরোধী দল ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর কাছ থেকে ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে রয়েছে। ট্রাইব্যুনালকে নিয়ে যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, তাতে বিচারপ্রক্রিয়ার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। এতে বিচার পথচ্যুত হতে পারে এবং রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব আরো প্রকট হতে পারে।
ট্রাইব্যুনালের প্রথম মামলা তথা জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলার রায় চলতি মাসে হওয়ার কথা থাকলেও হস্তেেপর অভিযোগের পর এখন এ মামলা নিয়ে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে।
বাংলাদেশ সরকার ওয়াদা করেছিল তারা আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজ শেষ করবে। কিন্তু বাংলাদেশের বিরোধী দলগুলো অভিযোগ করেছে, বিচারপ্রক্রিয়াকে সরকার রাজনীতিকীকরণ করেছে। যে ১০ জনের বিচার হচ্ছে, তাদের প্রায় সবাই বিএনপির মিত্র ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল জামায়াতের নেতা।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘ট্রাইব্যুনাল পপাতদুষ্ট বলে সরকারবিরোধীদের অভিযোগের ভিত্তি হলো যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক ও বেলজিয়াম প্রবাসী আইনজীবী আহমেদ জিয়াউদ্দিনের মধ্যে দীর্ঘ কথোপকথন। গত আগস্ট থেকে অক্টোবরের মধ্যে অনুষ্ঠিত ছয়টি কথোপকথনের অনুলিপি পর্যালোচনা করে দেখেছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। তাদের কেউই এই কথোপকথনের নির্ভুলতা নিয়ে মন্তব্য করেননি।’
প্রায় একই ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণাধর্মী সাময়িকী ফরেন পলিসিতে। এ ছাড়া হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতো মানবাধিকার সংগঠনের পক্ষ থেকে বিচারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ও মাওলানা সাঈদীর সাক্ষী সুখরঞ্জন বালী গুম হওয়ার বিষয় নিয়ে একাধিকবার উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
স্কাইপ সংলাপ ফাঁসের পর বিশ্বের বিভিন্ন অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশীরাও আন্দোলনে নেমেছেন। ট্রাইব্যুনাল ভেঙে দেয়ার দাবিতে তারা কোয়ালিশন অব বাংলাদেশ আমেরিকা অ্যাসোসিয়েশন নিউ ইয়র্কে জাতিসঙ্ঘ সদর দফতর ও বাংলাদেশ কনস্যুলেটের সামনে বিােভ করেছেন। বৃহস্পতিবার জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব বান কি মুনের বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা। একই দাবিতে কোয়ালিশন নিউ ইয়র্কে অবস্থিত বাংলাদেশ কনস্যুলেটের মাধ্যমে সরকারের কাছেও স্মারকলিপি দেয়।
ব্রিটেনের প্রবীণ রাজনীতিবিদ ব্যারন অ্যাভেবারি (এরিক লুবক) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারপ্রক্রিয়া আবার নতুন করে শুরু করার আহ্বান জানান। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের উচ্চক এবং পার্লামেন্টারি হিউম্যান রাইটস গ্রুপের সদস্য লর্ড অ্যাভেবারি বলেছেন, ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম নতুন করে শুরুর ব্যাপারে চাপ দিতে ইন্টারন্যাশনাল বার অ্যাসোসিয়েশনের এগিয়ে আসা উচিত। তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রতি ইন্টারন্যাশনাল বার অ্যাসোসিয়শনের বক্তব্য নেয়ার আহ্বান জানান। বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের যুদ্ধাপরাধবিষয়ক বিশেষ দূত স্টিফেন জে র‌্যাপ বিচারের স্বচ্ছতা ও আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখার জন্য বেশ কিছু সুপারিশ করেছিলেন। সেসব সুপারিশ বিচারিক কার্যক্রমে গ্রহণ করা হয়নি।

http://www.dailynayadiganta.com/new/?p=77933


মঙ্গলবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১২

আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় সমাবেশ ,r মিসরের সংবিধানে ইসলামপন্থীদের চূড়ান্ত বিজয়

মিসরের খসড়া সংবিধানের উপর দ্বিতীয় দফা ভোটে ১৭ জেলায় ৭১.৬ শতাংশ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চূড়ান্ত বিজয় লাভ করেছে মুসলিম ব্রাদারহুডসহ ইসলামপন্থীরা। বিপরীতে বামপন্থীরা পেয়েছে ২৮.৪ শতাংশ। ২৫ মিলিয়ন ৪৯০ হাজার ২৩৭ জন ভোটারের মধ্যে দ্বিতীয় দফা নির্বাচন সম্পন্ন হয়। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বের নির্বাচনে ৬৪.৫ শতাংশ ভোটে বিজয় লাভ করে ইসলামপন্থীরা।

সংবিধানের পক্ষে মিসরের গণরায়কে স্বাগত জানিয়েছেন প্রাচীন আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়য়ের প্রধান ড. আহমদ তইয়্যেব ও মুসলিম ব্রাদারহুড প্রধান ড. মুহাম্মাদ বদিইসহ বিশিষ্টজনেরা। তাছাড়া আল আযহারী সংগঠন শুকরিয়া আদায়ের লক্ষ্যে সমাবেশ করেছে। তবে আল বারাদী, আমর মুসা ও হামদীন সবাহীসহ বামজোট সরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণার আগে কোন মন্তব্য করতে নারাজ।

কাফরুশ শেখ কেন্দ্রে কারচুপির অভিযোগ তুলে বামজোট। ফলে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণায় দেরী হবে বলে জানান নির্বাচন কমিশনার। তাছাড়া গণভোটের পরিপন্থী কোন অন্যায় মেনে নেবে না বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান আব্দুল ফাত্তাহ সিসি। অন্যদিকে নতুন সংবিধানে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদবী না থাকায় ফলাফল ঘোষণার এক ঘণ্টা আগেই পদত্যাগ করেন বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহমুদ মাক্কী। মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রতিষ্ঠাতা হাসান আল বান্নার স্মৃতি বিজড়ীত ইসমাইলিয়াতে সংবিধানের পক্ষে পেয়েছে ১,৭৯,৯০৫ ভোট আর বিপক্ষে পেয়েছে ৭৬,৯০৫ ভোট লুকচুর জেলায় পক্ষে পেয়েছে ১,৩৩,৭৬৪ ভোট আর বিপক্ষে পেয়েছে ৪০,৭০৭ ভোট। লোহিত সাগর জেলায় ৬৪ টি ভোট কেন্দ্রের পক্ষে পেয়েছে ৪৪,১৩৭ ভোট আর বিপক্ষে পেয়েছে ২৬,৩১৫ ভোট। গিজা জেলায় মোট ভোটারের সংখ্যা ১,৪৮,২৬০২ জনের মধ্যে পক্ষে পেয়েছে ৭০ শতাংশ আর বিপক্ষে ৩০ শতাংশ। বুহায়রা জেলায় মোট ভোটারের সংখ্যা ১০,৮৫,১৬১ জনের মধ্যে পক্ষে পেয়েছে ৭৫ শতাংশ আর বিপক্ষে পেয়েছে ২৫ শতাংশ। আল মিনিয়ায় ভোটারের সংখ্যা ১০,৫২,২২৪ জনের মধ্যে পক্ষে পেয়েছে ৮৪ শতাংশ আর বিপক্ষে পেয়েছে ১৬ শতাংশ। কালুবিয়া জেলায় ৮,৩২,৫২০ ভোটারের মধ্যে পক্ষে পেয়েছে ৬০ শতাংশ আর বিপক্ষে পেয়েছে ৪০ শতাংশ। মুনুফিয়াতে ৭,৪৬,৩৮৫ ভোটারের মধ্যে পক্ষে পেয়েছে ৪৯ শতাংশ আর বিপক্ষে পেয়েছে ৫১ শতাংশ। কাফরুশ শেখ ৫৫,৩১২ ভোটারের মধ্যে পক্ষে পেয়েছে ৬৭ শতাংশ আর বিপক্ষে পেয়েছে ৩৩ শতাংশ। কেনায় ৩,৬২,৩২৯ ভোটারের মধ্যে পক্ষে পেয়েছে ৮৫ শতাংশ আর বিপক্ষে পেয়েছে ১৫ শতাংশ। ফাইয়ুম ৫,৪৩,১৮৯ ভোটারেরে মধ্যে পক্ষে পেয়েছে ৮৯ শতাংশ আর বিপক্ষে পেয়েছে ১১ শতাংশ। বনি সুইফ জেলায় ৫,৪৬,৯১৭ ভোটারের মধ্যে পক্ষে পেয়েছে ৮৫ শতাংশ আর বিপক্ষে পেয়েছে ১৫ শতাংশ। দুমিয়াতে ৩,১৯,৪৯২ ভোটারের মধ্যে পক্ষে পেয়েছে ৬৪ শতাংশ আর বিপক্ষে পেয়েছে ৩৬ শতাংশ। লুকচুরে ১,৮৫,৫৪৮ ভোটারের মধ্যে পক্ষে পেয়েছে ৭৭ শতাংশ আর বিপক্ষে পেয়েছে ২৩ শতাংশ।

পোর্ট সৈয়দ জেলায় ১,৬৬,৯৩১ ভোটারের মধ্যে পক্ষে পেয়েছে ৫১ শতাংশ আর বিপক্ষে পেয়েছে ৪৯ শতাংশ। সুয়েচ জেলায় সরকারিভাবে ১,৪৪,২৮৫ ভোটারের মধ্যে পক্ষে পেয়েছে ৭০ শতাংশ আর বিপক্ষে পেয়েছে ৩০ শতাংশ। মাসরা মাত্রুহ জেলায় ৭৬,৭০৯ ভোটারের মধ্যে পক্ষে পেয়েছে ৯২ শতাংশ আর বিপক্ষে ৮ শতাংশ। লোহিত সাগর জেলায় ৭০,৩৭৬ ভোটাররে মধ্যে পক্ষে ৬৩ শতাংশ আর বিপক্ষে ৩৭ শতাংশ। আল ওয়াদী জাদিদ জেলায় ৪৭,৭৭৫ ভোটারেরে মধ্যে পক্ষে পেয়েছে ৮৭ শতাংশ আর বিপক্ষে পেয়েছে ১৩ শতাংশ। আল মিনিয়াতে ৭,৬৩,৭২৯ ভোটারের মধ্যে পক্ষে ৮৪ শতাংশ আর বিপক্ষে ১৬ শতাংশ। খসড়া সংবিধানের গত নির্বাচনে ইসলামপন্থীরা ৫৭ শতাংশ ভোট পেয়েছে আর এবারে ৭১ শতাংশ ভোটে বিজয় লাভ করেছে সংবিধানের পক্ষের শক্তি। সরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হবে সোমবার। এই সংবিধানে কোন বিপক্ষ নেই বরং সকল নাগরিকের অধিকার সংরক্ষণ হবে বলে জানান কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়য়ের সংবিধান বিশেষজ্ঞ হামজা মাহমুদ। তিনি বলেন, এর ফলে বিশ্বে মুসলিমদের পক্ষে বিশাল শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ হল। আর মিসর যে আসলেই ইসলামপন্থীদের ঘাঁটি তা আবার প্রমাণিত হয়েছে। ইসলামপন্থীদের বিজয়ের ফলে মিসরজুড়ে সিয়াম পালনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে তারা।
 http://www.dailysangram.com/news_details.php?news_id=104840

 

শনিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১২

আমার ছোট্ট মনি নাফিজুল ইসলাম মাছরুর,আল্লামা সাঈদীকে ভাল লাগার কথা

আমার ছোট্ট মনি ,নাম তার নাফিজুল ইসলাম মাছরুর সবে মাত্র নূরানী মাদ্রাসার নার্শারীতে পড়ে, বয়স ৬ বৎসরের কানায় কানায় , কিন্তু মাদ্রাসায় আসা যাওয়ার প্রাক্কালে হয়তো বডদের মুখে শুনেছে , সাঈদী হাছিনা আর শেখ মুজিবের দল ৷ তবে মাশাআল্লাহ যাই শুনে তাই ঘরে এসে দাদা দাদী ও তার আম্মুর সাথে খোশ গল্পে মেতে উঠে , যদিও আমি সেই গল্প শুনতে পাইনা ৷ ছোট্ট মনীদের রিজীকের তাড়নায় আমাকে তাদের থেকে অনেক দূরেই অবস্হান করতে হয়েছে ৷আর বডরা ও খুব মজা করে শুনার অপেক্ষায় থাকে ৷








আমার সেই ছোট্ট মনি সকলের কাছে দোয়া চাই যেন ভবিষ্যতে এক জন দেশ বরেন্য আলেমে দ্বীন হিসাবে গঠন করতে পরি






ছোট্ট মনি তার ভাইয়ের সাথে

এমননি এক দিন হঠাৎ এসে বললো দাদু- দাদু আপনি কোন দল ?
অথচ দাদু কোন কথা বুঝে উঠার আগেই বলল কি দল ,
ছোট্ট মনি : আরে না না শেখ মুজিব দল ?
ছোট্ট মনি : হাছিনার দল?
দাদী : ওওওওওওওওওওও বুঝেছি
ছোট্ট মনি :আমি সাঈদী দল
দাদী : কেন ?
ছোট্ট মনি : হে আলেম সাঈদী ৷
আবার বলল
ছোট্টমনি : সাঈদীকে বলে ফাঁসি দিবো ?
যুদ্ধ যুদ্ধ হইবো
দাদী : কে কইছে তোরো
ছোট্ট মনি : না আমি শুনছি
পরে
তার আম্মুকে
আম্ম্মু আপনার কি হরান হুরেনা { প্রান জলেনা } সাঈদীর লাই ?
আম্মু : কেন?
ছোট্ট মনি : ঐ যে ফাঁসি দিবো , হাছিনা
ছোট্ট মনি : আমার তো হরান হুরে {প্রান জলে }
আম্মু : না না কিছুই হবেনা

আচ্ছা
ভাত খেয়ে নে , ওকে আম্মু

দেখুন আজকে সারা দেশ সহ সারা বিশ্বের মানুষের মনে আতংক দেশে কি হতে যাচ্ছে ৷ এক জন ছোট্ট শিশু ও সেই আতংক মুক্ত নয় ৷
অথচ আমাদের মধ্যে কেউ কোন রাজনৈতিকের সাথে যুক্ত না হওয়া সত্বেও বাহিরের আবহাওয়া কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে ৷

আমরা দল মত নির্বিশেষে আল্লামা সাইদী কে এক জন আলেম হিসাবে ভালবাসি , এবং তাঁর মূক্তি কামনা করি ,

বুধবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১২

১২ দলের ৮ দলই হরতালে নেই’ শীর্ষক সংবাদের প্রতিবাদ:

‘১২ দলের ৮ দলই হরতালে নেই’ শীর্ষক সংবাদের প্রতিবাদ: গণতন্ত্র হত্যার কমুনিস্টদের ব্যানারে আ.লীগের ফালতু হরতালের জবাবে জনতার স্বতস্ফূর্ত হরতাল

  


বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ১২ দলের ৮ দলই হরতালে নেই শীর্ষক সংবাদকে বিভ্রান্তিকর উল্লেখ করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামী ও সমমনা ১২ দল। আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তারা এই প্রতিবাদ জানায়।


গণতন্ত্র হত্যার কমুনিস্টদের ব্যানারে আ.লীগের ফালতু হরতালের জবাবে জনতার স্বতস্ফূর্ত হরতাল




বিবৃতিতে বলা হয়, ইসলামী ও সমমনা ১২ দলের সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য এবং ঈমান রক্ষার আন্দোলনকে ক্ষতিগ্রস্ত করতেই গতকাল হঠাৎ করে ফরিদউদ্দীন নামক এক অজ্ঞাত ব্যক্তি ১২ দলের কয়েকটি সংগঠনের নাম দিয়ে একটি মিথ্যা বিবৃতি দিয়েছে।

এতে দাবি করা হয়, ফরিদউদ্দীন নামে ইসলামী ও সমমনা ১২ দলে কোনো নেতা-কর্মী নেই এবং ইসলামী ১২ দলের কোনো নেতার স্বাক্ষর ছাড়াই ওই ফরিদউদ্দীন শান্তিপূর্ণ হরতালকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে গণমাধ্যমে একটি বিভ্রান্তিকর বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে ফরিদউদ্দীনকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি জানানো হয়।
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব ও ১২ দলের সদস্য সচিব মাওলানা জাফরুল্লাহ খান স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে আরো বলা হয়, হরতালে কেউ নাশকতা বা ভাঙচুর করে তাহলে ওই ফরিদউদ্দীন গং-দের ষড়যন্ত্র বলেই প্রমাণিত হবে। কেউ যাতে ‘বিশ্বজিত নাটক’ সৃষ্টি করতে না পারে সে ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে আহবান জানানো হয় বিবৃতিতে। এতে বলা হয়, মাওলানা মুহিউদ্দীন খানের সভাপতিত্বেই সর্বসম্মতভাবে হরতালের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। যদি কেউ অস্বীকার করেন তিনি আল্লাহর কাছে ধরা থাকবেন। ইসলামী ও সমমনা ১২ দলসহ মোট ৩৩টি ইসলামী দল হরতালে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে। ইসলামী ও সমমনা ১২ দলের মধ্যে কোনো অনৈক্য নেই এবং ইসলামী ১২ দলসহ সব ইসলামী সংগঠন ও আলেম উলামা, পীর মাশায়েখ আজকের শান্তিপূর্ণ হরতালে সক্রিয়ভাবে মাঠে আছে বলেও উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে। বিবৃতিতে সরকারের দালাল গোষ্ঠী অথবা কমিউনিস্ট ও বাতিলের সহযোগিদের কথায় কারো বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি অনুরোধ জানানো হয়। Click this link...


গণতন্ত্র হত্যার কমুনিস্টদের ব্যানারে আ.লীগের ফালতু হরতালের জবাবে জনতার স্বতস্ফূর্ত হরতাল


আজ রাস্তায় BRTC কেন ? কেও কি তা জানেন ?


মাদরাসা গুলাকে এ ভাবেই আবরুদ্ধ করে রাখে পুলিশ (২০.১২.১২)











 

সোমবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১২

২১শে ডিসেম্বর পৃথিবী KE ধ্বংস হবে ? কেন ?


 
আগামী ২১শে ডিসেম্বর পৃথিবী ধ্বংস হবে! এমন এক গুজবে চীনাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তারা যেখানে যা পায় তা-ই সংগ্রহ করে কাছে রাখছে। ফলে মোমবাতি, ম্যাচসহ দরকারি বিভিন্ন জিনিসপত্র হট কেকের মতো বিক্রি হচ্ছে। মায়া ক্যালেন্ডার অনুযায়ী আগামী ২১শে ডিসেম্বর পৃথিবীর শেষদিন। গুজব ছড়িয়ে পড়েছে এর পরের টানা তিন দিন সারা পৃথিবী অন্ধকারে ঢেকে থাকবে। এমন গুজবে কান দিয়ে সিচুয়ান প্রদেশের শুয়াংলিউ ও লংচাং অঞ্চলে মানুষের মধ্যে এক ধরনের প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে। তারা ছুটছেন দোকানে দোকানে। সেখান থেকে দরকারি জিনিসপত্র কিনে মজুত করছেন। গতকাল এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা আইএএনএস। এতে বলা হয়, ওই গুজব চীনের ক্ষুদ্র বার্তার ওয়েবসাইট ঝরহধ ডবরনড়’র মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এই সুযোগ লুফে নিচ্ছে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও অনলাইন ব্যবসায়ীরা। তারা পণ্যের স্পেশাল সব প্যাকেজ ঘোষণা দিয়েছে। নিজেকে নিজে কিভাবে সাহায্য করা যায় তার প্যাকেজ দিয়েছে। এমনকি শেষ সময়ে কিভাবে সাজতে হবে তার জন্যও পণ্যের বিজ্ঞাপন দেয়া হচ্ছে। জিংসু প্রদেশের ই য়াং জোংফু ঘটিয়ে ফেলেন তুলকালাম কাণ্ড। তিনি নবী নূহ (আ.)-এর মতো করে নৌকা তৈরি করছেন। স্টেইনলেস স্টিলের বিশাল বল আসলে তার নৌকা। পৃথিবী শেষ হওয়ার সময় এতে জীবিতদের আশ্রয় দেয়া যাবে। এমন বলের তরী তিনি বিক্রি করেছেন ৮ লাখ ডলারে। শানসি’র এক ব্যক্তি এরকম ১৫টি ডিভাইস অর্ডার দিয়েছেন। অর্ডার এসেছে নিউজিল্যান্ড থেকেও। এক নারী তার সহায় সম্পত্তি বন্ধক রেখেছেন। এই অর্থ তিনি এতিমদের জন্য দান করবেন। বাকি অর্থ দিয়ে পৃথিবী শেষ হওয়ার আগে মজা করে কাটাতে চান। আবার অনেকে ওই দিনের আগেই বিয়ে সেরে নিতে চান। সিয়ান, হেফেই, গুয়াংঝু ও শাংহাইয়ের বিবাহ রেজিস্ট্রি অফিসগুলো ২১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত বুক হয়ে আছে। তবে চীনের লুনার অরবিটার প্রজেক্টের প্রধান বিজ্ঞানী ওয়াং জিয়ুয়ান বলেছেন, মায়া ক্যালেন্ডার নিয়ে ভুল ধারণা ছড়ানো হচ্ছে। ২১শে ডিসেম্বর আসলে একটি শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ দিন হবে। =======================================================
মানে কেয়ামত ???? তবে এ সব গুজবে কেউ কান দিবেন না এ গুলো মানুষের ইমান নষ্টের পাঁয়তারা মাত্র , কেয়ামতের অনেক গুলো লক্ষন আছে সে গুলো এখন ও পরিলক্ষিত হয়নি ,কাজেই মায়া কেলেন্ডার তৈরী কারকদের জন্যই কেয়ামত অন্যদের জ্ন্য নয় , এ রকম আরও বহু বার শুনা গেছে , এর জবাব দেশ- বিদেশের ইসলামী দার্শনীক রা দিয়েছেন ,কেয়ামতের বড় বড় আলামতের মধ্যে নুজুলে ঈসা আঃ ঈমাম মাহদীর আত্বপ্রকাশ ,দাজ্জালর আভিবাব , পশ্চিম দিক থেকে সূয্যদয় ইত্যাদি বহবীদ আলামত দেখা যাওয়ার পর কেয়ামত / পৃথিবী ধবংশ হবে , আবশ্যই এর আগে মানষকে সতকO করার জন্য বিভিন্ন আজাব- গজব ভূমি ধস, সোনামী, অনাবৃষ্টি, খরা, দূযোগ ইত্যাদী হবে , কাজেই পৃথিবী ধবংশ এখন হবেনা 100% নিশ্চিত ৷
=================================



আপনাদের সাথে একটি News নিয়ে হাজির হলাম……।যেটা আমার কথা নয়……..এতা জ্যাতিষ বিদদের কথা।



জ্যাতিষ বিদদের যারা মায়ান ক্যালেন্ডার বিশ্বাস করে। তাদের মতে ২০১২ সালের পরে পৃথিবী আর থাকবে না। কারন মায়ান ক্যালেন্ডারে ২০১২ সালের পর আর কোন যুগের কথা বলা হয়নি তাই যারা মায়ান ক্যালেন্ডার বিশ্বাস মনে করে ২০১২ সালের পর আর কোন বছর আসবেনা। মায়ান ক্যালেন্ডারে ৬টি যুগের কথা বলা হয়েছে, তাদের মধ্যে শেষ ৫ম যুগ শেষ হয়েছে ১৯৯৬ সালে আর ৬তম যুগ শেষ হবে ২০১২ সালে ২৬ ডিসেম্বর ।৬তম যুগ পরে আর কোন কিছুর বিবরন মায়ান ক্যালেন্ডারে দেওয়া নেই। মায়ান ক্যালেন্ডারের ভবিষ্যত বাণী কখনোই ভূল হয়নি তাই জ্যাতিষ বিদগন এ

২০১২ সাল এর মহাপ্রলয় নিয়ে এখন পৃথিবীর গবেষকরা দুইভাগে ভাগ হয়ে গেছেন । ২০১২ সাল এর মহাপ্রলয় নিয়ে বেশ কিছু অকাট্য যুক্তি রয়েছে যা এখন আমি উপস্হাপন করছি ………….
১। পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বপ্রথম উন্নত জাতি ছিলো মায়ান জাতি। এরা ছিলো পৃথিবীর প্রথম সভ্য জাতি। পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বপ্রথম ক্যালেন্ডার মায়ান জাতিরা আবিষ্কার করে। কোনো এক অদ্ভুত ও রহস্যময় কারণে হাজার হাজার বছর আগে তৈরী মায়ান জাতিদের ক্যালেন্ডারটি “২০১২” সালে এসে শেষ হয়ে গেছে। সঠিক সময়টা হলো ২১ শে ডিসেম্বর ২০১২ অর্থাৎ ২০১২ সালের ডিসেম্বর এর ২১ তারিখ এরপর থেকে মায়ানদের ক্যালেন্ডার এ আর কিছু নেই। তাহলে কি মায়ানরা পৃথিবীর শেষ সম্পর্কে কোনোভাবে আগাম ধারণা পেয়ে গিয়েছিলো ? হয়তো পেয়েছিলো কিংবা না।
২। পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে সফল ও বিখ্যাত ভবিষ্যতদ্রষ্টা হলো নষ্ট্রাডমাস। হিটলার, কেনেডি, সাদ্দাম, টুইন টাওয়ার এর হামলাসহ আরো অনেক বিখ্যাত ভবিষ্যতবাণী তিনি করেছেন। তিনি কয়েকশো বছর আগে মারা গিয়েছিলেন। এই নষ্ট্রাডমাস এমন কিছু ভবিষ্যৎ করে গিয়েছিলেন যার অর্থ দাঁড়ায় যে ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে কোন এক কারণে পৃথিবী ধংস হয়ে যাবে।
৩। সানস্টর্ম বা সূর্যঝড়কে বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর ভবিষৎতের জন্য একটি ভয়ঙ্করতম হুমকি বলে মনে করছেন। সূর্যের ভেতরে প্রতিনিয়ত নানা ধরনের বিস্ফোরণ থেকে তৈরী হয় এনার্জি। আর সেই এনার্জি থেকে ইলেক্ট্রন, প্রোটনের মতো নানা পার্টিকল পৃথিবীতে এসে পৌছায় এবং এগুলোর ক্ষতিকর প্রভা এসে পরে পৃথিবীর উপর। সেই সঙ্গে সোলার র্স্ট্রম বা সৌরঝড় তো রয়েছেই। ২০১২ সালে সূর্যের সবচেয়ে বেশি পরিমাণ এনার্জি তৈরি হবে, যার নাম ‘সোলার ম্যাক্সিমাম’। এই সৌরঝড়ের ভয়ষ্কর রেডিয়েশন এবং এনার্জি নির্গমনের ফলে ভূপৃষ্ঠে বা মহাকাশে যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অন্যান্য ক্ষেত্রে নানা সমস্যা দেখে দিবে। বেড়ে যেতে পারে মানুষের অসুখ-বিসূখ, দুঘর্টনা ও ভয়াবহ সব প্রাকৃতিক দুর্যোগ। ফলে পৃথিবী এগিয়ে যাবে চুড়ান্ত পরিণতির দিকে। অন্যদিকে পৃথিবীর সবচেয়ে আগ্নেয়গিরি হলো আমেরিকার ইয়েলোস্টোন ভলকানো। মোটামুটি প্রতি ৬,৫০,০০০ বছর পর ভয়ষ্কর অগস্ন্যুৎপাত হয় এই আগেস্নগিরি থেকে। গবেষনা অনুসারে ২০১২ সালে ভয়ষ্কর বিষ্ফোরণ ঘটবে ইয়োলোস্টোনে হয়তো সেখান থেকে সাংঘাতিক অগস্ন্যুৎপাত হবে, সব বায়ু মন্ডল ঢেকে যাবে, ছাইয়ে হয়তো চাপা পড়ে যাবে সূর্যও। তখন গোটা পৃথিবী অন্ধকারে ঢেকে যাবে। এভাবে কিছু দিন চললেই পৃথিবী থেকে প্রাণের স্পন্দন থেমে যাবে।
৪। পৃথিবীর জন্য আরেকটি সম্ভাব্য হুমকি হচ্ছে লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার’। ব্রম্ম্রান্ডের জন্মমূর্হূতে পৌঁছতে সুইজারল্যান্ডের জেনাভায় মাটির নিচে তৈরী করা হয়েছে মানুষের তৈরী সবচেয়ে বড় যন্ত্র লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার। বিগ ব্যাংয়ের সময় মহাবিশ্বের জন্মলগ্নে বিশ্ব ব্রম্ম্রন্ড কি রকম ছিল তা জানতে ২৭ কি. মি. লম্বা জোড়া পাইপের ভেতর দিয়ে বিজ্ঞানীরা প্রোটেন কোটি কোটি বার চক্কর খাবে এখানে। তারপর প্রায় আলোর গতির কাছাকাছি পৌছে বিপরীতমুখী প্রোটনের সঙ্গে ভয়ষ্কর ধাক্কা খেয়ে ভেঙ্গ টুকরো টুকরো হয়ে তৈরী হবে ডট্রিলিয়ন ডিগ্রি (১০০০০০০০০০০০) সেন্ট্রিগ্রেড উত্তাপ। মাল্টিপেক্সড অ্যানালগ সিগন্যাল প্রসেসরে জমা হতে থাকবে অগণিত তথ্য। সেই তথ্য বিশেস্নষণ করে বিজ্ঞানীরা জানবেন বিশ্ব ব্রম্মান্ড সৃষ্টির রহস্য। এর প্রথম পরীক্ষাটি আবার ব্যর্থ হয়েছিল, কিন’ এর ফলে ঘটতে পারে ভয়ষ্কর দুঘর্টনা। আর ২০১২ সালেই এই যন্ত্রের সাহায্য চালানো হবে বিজ্ঞানের সবচেয়ে গুরম্নত্বপূর্ণ ও ঝুকিপূর্ণ এই পরীক্ষাটি। তাই এই ঝুঁকিটাও হেলা করার মতো নয়।
৫। আবার সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হচ্ছে, প্রচন্ড উত্তাপে দ্রুত গলে যাওয়া মেরু প্রদেশের বরফ। গলে যাচ্ছে হিমপ্রবাহ। পৃথিবী জুড়ে সমুদ্রের লেভেল বাড়ছে। গ্রীনল্যান্ড ও আ্যন্টার্কটিকার বরফও গলে যাচ্ছে। ফলে এক সময় হয়তো প্রবল জলোচ্ছাসে ভেসে যাবে সারা পৃথিবী। বিজ্ঞানের নানা বিশেস্নষণ ২০১২ সালকে পৃথিবীর অসিৱত্বের একটি টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে এমনও হতে পারে এর কিছুই হয়তো ঘটবে না। হয়তো ঘটবে আরো কয়েক শতাব্দী পর। সে আশায় আমরা বুক বাঁধতেই পারি।
মায়ান ক্যালেন্ডার রহস্যঃ
২০১২ ছবির ঘটনার মতো ২০১২ সালের ২১ ডিসেম্বর সত্যি সত্যি আমাদের পৃথিবীতে ঘটতে যাচ্ছে ধ্বংসলীলা এ কথাই বলছেন মায়ান পঞ্জিকা বিশেষজ্ঞরা। সবচেয়ে বড় ভয়ষ্কর ব্যাপার হলো, মায়ান পঞ্জিকাতে আজ পর্যন্ত যত ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে তার প্রতিটিই কালের আবর্তে সত্য ঘটনায় পরিণত হয়েছে। আর এ কারণেই পৃথিবী ধ্বংসের আশষ্কা নিয়ে এত বেশী আলোচনা হচ্ছে। অধিকাংশ প্রাচীন সভ্যতায় উলেস্নখ থাকে যে, অলৌকিক ক্ষমতাসম্পন্ন কেউ একজন দূর থেকে আমাদের নিয়ন্ত্রণ করছেন। জীবনের প্রতিটি খুঁটিনাটি ঘটনা সেই একজনের বিশাল বড় এক ঐশ্বরিক প্ল্যানের অংশ বিশেষ।
আর প্রাচীন সভ্যতায় উলেস্নখিত এই ঐশ্বরিক প্ল্যান বুঝতে পারার জন্য পৃথিবীর একমাত্র উপায় এই মায়ান পঞ্জিকা। কী আছে মায়ান ক্যালেন্ডারে ? জিনিসটাই বা কি? পুরাতন সেই মায়ান সভ্যতা ইতিহাসের এক অনুপম সৃষ্টি। সময় এবং সৃষ্টির সুন্দর বিন্যাস সর্ম্পকে মায়ানরা অনেক আগেই অবগত ছিলেন। তাদের ছিল ভবিষ্যৎ জানার নান্দনিক ক্ষমতা। মায়ানরা আগে থেকেই জানতো যে চাঁদ, শুক্র এবং অন্য গ্রহ- তারা মহাবিশ্বে চক্রকারে ঘুরছে। সেই সময়েই তারা নিখুঁতভাবে সময় গণনা করতে পারত। তাদের একটি পঞ্জিকা ছিল যাতে সৌর বছরের প্রতিটি মিনিটের নিখুঁত বর্ণনা ছিল। মায়ানরা মনে করত প্রতিটি জিনিসের ওপর সময়ের প্রভাব রয়েছে এবং প্রতিটি জিনিস একেক সময় একেকটি অবস্থানে বিরাজ করছে। মায়ানদের কাছে মহাকাশের উপর ২২টি ভিন্ন ভিন্ন পঞ্জিকা ছিল। এর মধ্যে কোনা কোনো পঞ্জিকা এখন থেকে ১০ মিলিয়ন বছর আগের।
আর সেগুলো এত দূর্বোধ্য যে তা বুঝতে চাইলে হিসাব-নিকাশ করার জন্য সঙ্গে অবশ্যই একজন করে অ্যাস্ট্রোনমার, অ্যাস্ট্রোলজার, জিওলজিস্ট এবং ম্যাথমেটিশিয়ান থাকতে হবে। অধিংকাশ আর্কিওলজিস্ট মনে করেন মায়ানরা খ্রিস্ট জন্মের প্রায় ৩ হাজার ১১৪ বছর আগে থেকে সময় গণনা করা শুরম্ন করেছে। আমাদের বর্তমান পঞ্জিকা মতে খ্রিস্টের জন্মের বছরের জানুয়ারী মাস থেকে প্রথম বছর গণনা করা হয়। আর মায়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এই বছরটাকে হিসাব করা হয় শূন্য বছর। এই সময়টাকে লেখা হয় এভাবে :০-০-০-০-০। একটা নতুন চক্র শুরম্ন হওয়ার আগের ১৩ চক্রে ৩৯৪ বছর শেষ হয়ে যাবে। আর নতুন চক্রটি শুরম্ন হবে ২০১২ সালের। সবচেয়ে আশষ্কার ব্যাপার হলো ২০১২ সালের ২১ ডিসেম্বরের পর থেকে মায়ান পঞ্জিকাতে আর কোনো দিনের উলেস্নখ নেই। তাই এই দিনটিকে মনে করা হচ্ছে পৃথিবীর সর্বশেষ দিন।
আর একটি বিষয় হলো আজ পর্যন্ত মায়ান পঞ্জিকাতে যা-ই ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে, তার প্রতিটি কথা বাসৱবে প্রতিফলিত হয়েছে। আজকের বিজ্ঞানের চরম উৎকর্ষতা থেকে শুরু করে বিজ্ঞানের সব গুরত্বপূর্ণ উত্থানের উলেস্নখ মায়ানদের ক্যালেন্ডারে আগে থেকেই ছিল। তাই বিশ্বের বাঘা বিজ্ঞানীরাও ২০১২ সালের ২১ ডিসেম্বরে পর থেকে কী ঘটতে পারে তাই নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন। বর্তমানে মানুষের চিন্তা-চেতনা এবং ধ্যান- ধারণায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। সময় এবং বিজ্ঞান সম্পর্কিত জ্ঞানের বিষয়ে মধ্য আমেরিকার মায়ান সভ্যতাই সবচেয়ে বেশি এগিয়ে ছিল এবং আছে।
সমগ্র পৃথিবীর মধ্যে তাদের পঞ্জিকাই সবচেয়ে বেশি নিখূঁত। আজ পর্যন্ত কেউ এর কোনো খুঁত খুঁজে পাননি। মায়ানদের পঞ্জিকার মধ্যে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সমগ্র পৃথিবী এবং সোলার সিস্টেমের পরিবর্তনের কথা উল্লেখ আছে। এগুলোর মধ্যে কিছু পঞ্জিকা এখনো পর্যন্ত প্রকাশিত হয়ে আছে। মায়ানদের হিসাব মোতাবেক পঞ্চম বিশ্বের সমাপ্তি হয়েছে ১৯৮৭ সালে। ষষ্ঠ বিশ্ব শুরু হবে ২০১২ সাল থেকে। অর্থাৎ বর্তমানে আমরা বিশ্বের মাঝামাঝি জায়গায় অবস্থান করছি। এই সময়টাকে বলা হয় এপোক্যালিপস অর্থাৎ রহস্যোদঘাটন বা রহস্য উন্মোচন। এর অর্থ দাঁড়ায় প্রকৃত সত্য প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। মায়ানদের ষষ্ঠ সভ্যতা যে আসলে কবে থেকে শুরু হতে যাচ্ছে তার কোনো নির্ধারিত তারিখ নেই। আমরা যেমনটি আশা করি, তেমন একটি পৃথিবী এবং সভ্যতা যখন থেকে আমরা গড়া শুরু করব তখন থেকে এই বিশ্ব শুরু হয়ে যাবে । মায়ানরা এটাও বলে যে এটা বিশ্ব হবে ২০১২ সাল নাগাদ। আমরা প্রযুক্তির অনেক ঊর্ধ্বে উঠে যাব (এখন আমরা যেমনটা দেখতে পাচ্ছি)। আমরা সময় এবং টাকার ঊর্ধ্বে চলে যাব।
চর্তুথ ডাইমেনশন নিয়ে কাজ চলছে। আমরা সময় এবং টাকার ঊর্ধ্বে চলে যাব। চতুর্থ ডাইমেনশন (বর্তমান ৮টি ডাইমেনশন নিয়ে কাজ চলছে) অতিক্রম করে আমরা পঞ্চম ডাইমেনশনে প্রবেশ করব। গ্যালাক্সি সময় বিন্যাসের এবং আমাদের পৃথিবী ও সমগ্র সোলার সিস্টেমের সময়সীমা সামজ্ঞস্যপূর্ণ হয়ে যাবে। ২০১২ সালে আমাদের সৌরজগত এবং ছায়াপথএকই সমতলে বিন্যসৱ হবে। এই চক্রটি পূরণ হতে পুরোপুরি ২৬ হাজার বছর লেগেছে। অর্থাৎ খুব শিগগিরই মহাজাগতিক কোনো ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে। কিন’ প্রশ্ন হলো ২০১২ সালেই কেন এ ক্যালেন্ডারের সমাপ্তি? মায়ান ক্যালেন্ডার বিশেষজ্ঞদের বিশ্বাস ২০১২ সালে পৃথিবীতে কোনো না কোনো দুর্যোগ অবশ্যই নেমে আসবে।
অনেকের মতে, ২০১২ সালের ২১ ডিসেম্বরের পর থেকে পৃথিবী ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের কবলে পড়বে। আবার এর ভিন্ন ব্যাখ্যাও রয়েছে। সেই ব্যাখ্যা অনুসারে এই সময়ে এসে অর্থাৎ ২০১২ এর ক্রান্তিলগ্নে এসে আমরা ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ছি। পৃথিবী ব্যালান্সের বাইরে চলে গেছে। পৃথিবী যা ডিজার্ভ করে তার অনেক ঊর্ধ্বে চলে গেছে পৃথিবীর সভ্যতা। তাই মায়ানদের ক্যালেন্ডারে আর কোনো লিখিত হিসাব রাখা হয়নি বা রাখা সম্ভব হয়নি। অনেকের মতেই এ দিনটি হবে মানব সভ্যতার শেষ দিন। অনবরত মায়ান সভ্যতা এবং ক্যালেন্ডারে যাদের আস্থা তাদের বিশ্বাস এরকমই।
****জানি না কি হবে ২০১২ এর ২১ শে ডিসেম্বর আমাদের এই সুন্দর পৃথিবীর কি আসলেই ধংশ হয়ে যাবে। আমরা মানুষ আমরা একমাত্র আল্লাহ ইবাদত ছাড়া কিছুই করতে পারিনা।****



টাকে ইতিবাচক ভূমিকায় দেখছে।
http://www.sonarbangladesh.com/blog/saifur99/140303
 

মেয়ে থেকে ছেলেতে রুপান্তরীত ২ জনই বাংলাদেশী


নীলফামারী প্রতিনিধি
নতুন বার্তা ডটকম
নীলফামারী: নীলফামারীর লাবনী নামের এক মেয়ে ছেলেতে রূপান্তরিত হয়েছে। জেলার সৈয়দপুরে উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের আলোকদ্দিপাড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে।

এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তরিত হওয়া ওই মেয়েকে এক নজর দেখতে শত শত মানুষ ভিড় করছে তাদের বাড়িতে। এ অবস্থায় মানুষের ভিড় সামলাতে ওই পরিবারের সদস্যদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।

জানা গেছে, ওই এলাকার স্কুলশিক্ষক আব্দুল হালিমের এক ছেলে ও ছয় মেয়ের মধ্যে সবার ছোট নুসরাত জাহান ওরফে লাবনী (১৪)। সে বাড়ির পার্শ্ববর্তী ফাজিলপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবারে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় অংশ নেয়।

রোববার সকালে তার আকস্মিক শারীরিক পরিবর্তন ঘটে। সে বিষয়টি টের পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে তার দাদীকে জানায়। পরে একে একে ঘটনাটি গোটা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে আশেপাশের এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।

লাবনী মা রওশন আরা বেগম নতুন বার্তাকে জানান, শিশুকাল থেকে লাবনী চলাফেরা ছিল ছেলেদের মতো। পঞ্চম শ্রেণীতে অধ্যয়নকালে তার আচার-আচরণে আরো বেশি পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। সে সময় থেকে লাবনী মেয়ে হলে মেয়েদের সঙ্গে তেমন মেলামেশা করতো না। ছেলেদের সঙ্গে তার সখ্যতা ছিল সবচেয়ে বেশি। তারা ওই সময় থেকে মেয়ে লাবনীর বিষয়টি আঁচ করে আসছিলেন। এ অবস্থায় তারা মেয়ে লাবনীকে নিয়ে চিকিৎসকদের শরনাপন্ন হন। সে সময় চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তার শরীরে পুরুষ হরমোনের পরিমাণ বেশি বলে জানান। শারীরিক পরিবর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত হন।

চিকিৎসকরা জানান, বয়ঃসন্ধিক্ষণে তাঁর পুরোপুরি শারীরিক পরিবর্তন ঘটতে পারে। রোববার আকস্মিক তার ওই পরিবর্তন ঘটে। এ ঘটনার পর তার বাবা আব্দুল হালিম মেয়ে লাবনীর নাম পরিবর্তন করে নাছির উদ্দিন আহমেদ রাখেন।

এ ব্যাপারে কথা হয় সৈয়দপুরের বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. শেখ নজরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, মানুষের শরীরের হরমোনজনিত পরিবর্তনের কারণে এমনটি ঘটে। মূলতঃ ওই মেয়েটির জন্মের পর থেকে তার শরীরে নারী হরমোন বেশি ছিল। কিন্তু বয়স বেড়ে যাওয়ায় মেয়েটির শরীরে পুরুষ হরমোনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় এই শারীরিক পরিবর্তন ঘটেছে।

নতুন বার্তা/জবা
http://www.natunbarta.com/index.php?view=details&data=Tax&news_type_id=1&menu_id=81&news_id=3382




===================================================

এক সন্তানের জননী রেহানা বেগম পুরুষে রূপান্তর হওয়ার চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।

  


ছবিটি সেই মহিলার বর্তমানে পুরুষ।

লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের চরপাগলা গ্রামে এক সন্তানের জননী রেহানা বেগম পুরুষে রূপান্তর হওয়ার চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। তিনি এখন তার চুল কেটে অবিকল পুরুষ হয়ে নিজের নাম রাসেল ধারণ করেছেন। তাকে একনজর দেখার জন্য তার বাড়িতে হাজার হাজার মানুষের ঢল।

মা খুকি বেগম জানান, ছয় বছর আগে তার মেয়ে রেহানাকে উপজেলার তোরাবগঞ্জ এলাকার পণ্ডিতবাড়ির ফয়েজ আহমদের ছেলে নাছিরের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের তিন বছর পর তাদের ঘরে একটি পুত্রসন্তানের জন্ম হয়। তার নাম রাখা হয় রায়হান। সন্তান হওয়ার পর থেকে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। ছাড়াছাড়ি না হলেও বর্তমানে তাদের মধ্যে কোনো সম্পর্ক নেই। রেহানার মা আরও জানান, ৭-৮ বছর বয়স থেকে রেহানা প্রায় বলত, 'আমি একদিন ছেলে হয়ে যাব।'

রেহানা ওরফে রাসেল জানান, 'শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে ঘুমের মধ্যে আমি পুরুষ হয়ে যাই। ওই সময় আমার খুব কষ্ট হয়েছে। এখনও আমার শরীর ব্যথা করছে।' একই গ্রামের আবু বকর সিদ্দিক জানান, 'রেহানা মেয়ে থাকতেও ছেলেদের মতো আচরণ করত।' একই গ্রামের হাজি আলী আকবর বলেন, 'গত কোরবানির ঈদের দু'তিন দিন আগে আমি তাকে বোরকা পরা অবস্থায় দেখি এবং কথাও বলি। তাকে এখন ছেলে হিসেবে দেখে অবাক হয়েছি।'

স্থানীয় তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ সেলিম জানান, ওই ওয়ার্ডের মেম্বার আবদুস শহিদ ঘটনাটি তাকে অবগত করেছেন। কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মীর মোঃ আমিনুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, সেক্স ক্রোমজোম ও হরমোনের পরিবর্তনে লিঙ্গ পরিবর্তন হতে পারে। তবে পরীক্ষা ছাড়া নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না।

সুত্রঃ নোয়াখালী ওয়েব ডেস্ক/১৭ জানু্যারি ২০১২/০২০০ঘ./নিউ
তথ্য সূত্র ===============
দৈনিক আমার দেশে দেখতে পারেন