Translate

শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১১

কাদিয়ানী মতবাদ : বাংলাদেশের সম্প্রীতির জন্য বিরাট হুমকি

mawlana  abdullah nezami bhouiya

কাদিয়ানী মতবাদের প্রতিষ্ঠাতা মির্জা গোলাম আহমেদ কাদিয়ানী (১৮৩৫-১৯০৮) ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের গুরুদাস পুরের কাদিয়ান নামক স্থানে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি স্ববিরোধী কিছু দাবীর মাধ্যমে নিজেকে একটি মতবাদের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে উপস্থাপন করতে চেষ্টা করেছেন। ইতিহাসে তার মত আরো অনেকে এভাবে বহু মতবাদ এনেছেন। শিয়া, বাহাই, ইসমাইলীয়া সম্প্রদায় সহ বিশটির অধিক মতবাদ এখনও দুনিয়াতে বিদ্যমান রয়েছে। তবে তারা কেউ কাদিয়ানীদের মত এতটুকু সমস্যা নিয়ে হাজির হয়নি। যার কারণে প্রতিটি সচেতন মুসলিম জনগোষ্ঠীর কাছে তারা গ্রহণযোগ্য হয়নি বরং তাদের অবস্থান মুসলিম সমাজে নিত্য নতুন সমস্যা তৈরি করে চলছে।




মির্জা গোলাম আহমেদ নিজেকে কখনও ‘নবী’ কখনও ‘মসীহ’ কখনও ‘ইমাম মাহদী’ দাবী করেছেন। এখানে মসীহ আর মাহদী এক চরিত্র নয়। মসীহ হলেন ঈসা (আঃ) এবং তিনি একজন রাসুল। ইমাম মাহদী হবেন একজন জগৎবিখ্যাত ঈমাম যিনি দুনিয়াতে আসবেন। ইসলামের ইতিহাসে ইমাম বুখারী, ইমাম আবু হানিফা, ইমাম গাজ্জালী সহ বহু ইমাম গত হয়েছেন। তাঁদের কাছে কখনও ওহী আসেনি এবং তারা কোন নতুন শরীয়তও ঘোষণা করেন নি। তাঁরা বরং কোরআন হাদিসের আলোকে আধুনিক সমস্যার ব্যাখ্যা দিয়েছেন। ইমাম মাহদীও সে ধরনের একজন বিখ্যাত ব্যক্তি হবেন, যার কাছে নবী-রাসুলের মত ওহী আসার সম্ভাবনা নাই। মির্জা গোলাম আহমেদ আবার দাবী করেছেন তার কাছে আল্লাহর পক্ষ থেকে ওহী এসেছিল। যুক্তির খাতিরে যদি ধরা হয়, তার কাছে ওহী আসে। তাহলে তিনি আর কোন অবস্থাতেই ইমাম মাহদী হতে পারেন না। ইসলামের মৌলিক দাবী হল মোহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর শেষ নবী ও রাসুল, তাঁর পরে পৃথিবীতে আর কোন নবী আসবেন না। যদি কোন নবী আসতেন তাহলে হযরত ওমরকেই আল্লাহ নবী করে পাঠাতেন। সুতরাং মির্জা গোলাম আহমেদ যে নবী নয়, তা রাসুল (সাঃ) এর এই হাদিসে প্রমাণিত হয়। আবার তিনি কখনও নিজেকে মসীহ হিসেবে দাবী করেছেন। অথচ মসীহ হলেন ঈসা (আঃ) এবং তিনি একজন রাসুল ছিলেন। মসীহের মর্যাদা অর্থাৎ একজন রাসুলের মর্যাদার সাথে ইমাম মাহদী তথা একজন ইমামের মর্যাদা কিভাবে তুলনা করা যায়? যেখানে দুটোর মর্যাদাই তুলনা করা যায়না সেখানে মির্জা গোলাম আহমেদ, সেই দুটি চরিত্রই নিজের বলে দাবী করেছেন! সুতরাং তার প্রতিটি দাবী একটির সাথে অন্যটি সাংঘার্ষিক এবং সরাসরি স্ববিরোধী। অথচ পৃথিবীর কোন রাসুল এবং নবীদের কথা বার্তার একটি অক্ষরও স্ববিরোধী এবং সাংঘার্ষিক ছিলনা। এই স্ববিরোধিতার যাঁতাকলে পড়ে কাদিয়ানীরা ও দ্বিধা বিভক্ত। পাকিস্তানের কাদিয়ানীরা বলেন তিনি একজন ইমাম ছিলেন, ভারতীয় কাদিয়ানীরা বলেন তিনি একজন নবী ছিলেন, বাংলাদেশের কাদিয়ানীরা বলেন মোহাম্মাদ (সাঃ) কে তারাও নবী হিসেবে মানে। মূলত প্রতিকূল অবস্থা সামাল দিতেই কাদিয়ানীরা এই পদ্ধতির অবলম্বন করে।



নবী রাসুলদের জন্য আল্লাহ প্রদত্ত কয়েকটি মৌলিক দিকের কথা না বললে লেখাটির তাৎপর্য বুঝা যাবেনা। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন নবী রাসুলদের জন্য দুনিয়ার কোন ব্যক্তিকে শিক্ষক বানায় নাই। জিবরাঈলের (আঃ) মাধ্যমে আল্লাহ নবীদের শিক্ষার ব্যবস্থা করেছেন। অন্যদিকে মির্জা সাহেব পুরো বাল্যকালেই বিভিন্ন মক্তব, খৃষ্টান মিশনারি থেকে শিক্ষা লাভ করেছেন। আল্লাহ কোন পরাশক্তির কাছে নবীদের রিজিকের ব্যবস্থা করে নাই, আল্লাহ বিরোধী কথা বলার কারণে শিশু মুসা (আঃ) ফেরাউনের গালে প্রচণ্ড থাপ্পড় মেরেছিলেন। অথচ মির্জা গোলাম আহমেদ রিজিকের তাড়নায় ব্রিটিশের অধীনে দীর্ঘদিন কেরানীর চাকুরী করেছেন। যাদের অধীনে চাকুরী করে জীবন ধারণ করা নবী তো বহু দূরের কথা, একজন ইমামের জন্যও হারাম। সম সাময়িক খোদা-দ্রোহী শক্তির বিরুদ্ধে নবী রাসুলদের পাঠানো হয়েছে, আর নবীরা সেই শক্তিকে উৎখাত করে আল্লাহর বিধান কায়েম করেছে। মির্জা সাহেবের আমলে চরম খোদা-দ্রোহী শক্তি ছিল ব্রিটিশ। তিনি ব্রিটিশের বিরুদ্ধে কোন কথা বলেনি বরং অনুসারীদেরকে ব্রিটিশের গোলামী করার জন্য খোদার পক্ষ থেকে ওহী জোগাড় করে এনেছেন। উপরের তিনটি ধারার কোনটিতেই মির্জা গোলাম আহমদের পরিষ্কার অবস্থান ছিলনা। তাই কোন যুক্তিতেই তাকে নবী, রাসুল কিংবা ইমাম মানার কোন সুযোগ নাই।



ব্রিটিশেরা ভারতে মুসলমানদের থেকেই ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছিল। নবাব সিরাজদ্দৌলার পতনের পরও মুসলমানদের নিকট থেকে পরিপূর্ণ ক্ষমতা কেড়ে নিতে আরো একশত বছর লেগেছিল। ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিপ্লব মূলত মুসলমানেরাই ঘটিয়েছিল। সেই বিপ্লবের ফলে হাজার হাজার মুসলিম আলেম শাহাদাত বরণ করেন। যার কারণে মুসলমানদের নিয়ে ব্রিটিশ তেমন স্বস্তিতে ছিলনা। ফলে এসব সমস্যা পর্যবেক্ষণ করে ব্রিটিশ সরকারকে পরামর্শ দিতে, স্যার উইলিয়াম হান্টার (১৮৪০-১৯০০খৃ) কে দিয়ে একটি কমিশন গঠন করে ভারতে পাঠানো হয়। হান্টার কমিশন ব্রিটিশ সরকারকে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছিল তার মধ্যে একটি বড় অধ্যায় ছিল মুসলমানদের কে নিয়ে। তিনি তাঁর লিখিত গ্রন্থ ‘দি ইন্ডিয়ান মুসলমানস’ বইয়ে স্বীকার করেছেন, ‘যখন আমরা অস্ত্রবলে মুসলমানদের নির্মূল করতে চেয়েছি, তখন তারা আমাদের নেতাদের হতবুদ্ধি করে দিয়েছে এবং আমাদের সেনাবাহিনীর ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছে’। তিনি অন্যত্র বলেছেন ‘ভারতে ব্রিটিশ শাসনের জন্য মুসলমানেরা হল স্থায়ী বিপদ স্বরূপ’। হান্টার কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়, "ভারতীয় মুসলমানরা কঠোরভাবে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলে। তাদের ধর্মগ্রন্থ কোরআনেই নির্দেশ রয়েছে বিজাতীয়দের শাসন মানা যাবে না এবং শাসকদের জুলুমের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে জিহাদ করতে হবে”। কমিশন বুঝতে পারেন জিদাহী চেতনার কারণেই মুসলমানদের পর্যদুস্ত করা যায়নি এবং কোনভাবে তাদের মধ্যে বিবাদ ঢুকিয়ে দিতে পারলে তারা হীনবল হয়ে পড়বে। হান্টার কমিশন মুসলমানদের এই প্রেরণা কিভাবে নষ্ট করা যাবে সে সম্পর্কে একটি সুপারিশও পেশ করেছিলেন। তিনি সুপারিশ করেছেন, "ভারতের মুসলমানদের বিরাট সংখ্যা গরিষ্ঠ অংশ পীর ভক্ত। তাই মুসলমানদের মধ্য হতে আমাদের আস্থা-ভাজন এমন একজন পণ্ডিত ব্যক্তিকে দাঁড় করাতে হবে, যিনি বংশ পরম্পরায় আমাদের আস্থা-ভাজন বলে প্রমাণিত হবেন এবং মুসলমানদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টিতে সহযোগিতা করবেন”।



উপরের তথ্যগুলো হল ইতিহাসের পাতা থেকে তোলা। ব্রিটিশ সরকার সর্বদা এ ধরণের একজন ব্যক্তির সন্ধানে ছিলেন। অবশেষে তারা তাদের ইচ্ছে বাস্তবায়নের জন্য তাদেরই অধীনে কেরানী হিসেবে চাকুরীরত মির্জা গোলাম আহমেদকে পেয়ে যান। অর্থ কড়ির লোভ, পদের প্রলোভন দেখিয়ে মানুষকে কিনতে পারা ব্রিটিশ পলিসির অন্যতম দিক। ইরাকের আইয়াদ আলাভী, নুরী আল মালিকি, হামিদ কারজাই, ড. ফখরুদ্দীন দের মত মানুষকে তারা পালন করেই পরবর্তীতে কাজে লাগিয়েছিল। সেভাবেই তারা মির্জা গোলাম আহমেদকে কাজে লাগানোর জন্য এক অভিনব পন্থা বের করে। ইসলাম ধর্মের মাঝে বিভেদ, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে দীর্ঘদিন তাকে জিইয়ে রাখার মত এমন এক পন্থা আবিষ্কার করেন যা আজ পর্যন্ত কার্যকর হয়ে আছে। পৃথিবীর ইতিহাসে যত নবী-রাসুল এসেছেন তারা মানুষকে আল্লাহর পথে ডাক দিয়েছেন এবং সে অঞ্চলের মানুষের ভাষা অনুযায়ী কিতাব এনেছেন, স্থানীয় ভাষাতেই মানুষকে আল্লাহর প্রতি আহবান করেছেন। এক্ষেত্রে মির্জা গোলাম আহমেদ ভারতে জন্ম নিলেও তিনি তার দাবী অনুযায়ী ওহী এনেছেন আরবি ভাষায় অথচ তা হবার কথা ছিল হিন্দি কিংবা উর্দু ভাষায়। আরো আশ্চর্য যে, তিনি হাদিসের স্টাইলে যত বক্তব্য দিয়েছেন তা আরবি ভাষায় না হয়ে, বেশীর ভাগই উর্দু ভাষায় দিয়েছে। তার অনুসারীদের মাঝে পরবর্তী জীবনে কাউকে আর আরবি ভাষায় দক্ষ পাওয়া যায়নি। কোন নবীরা এমন কাজ করে নাই, এমনকি কোন ইমামেরা পর্যন্ত এ জাতীয় কুটিল পদ্ধতির আশ্রয় নেয় নাই। অথচ মির্জা গোলাম আহমেদ এই পদ্ধতি গ্রহণ করেছে, ইসলাম ধর্মকে দুর্বল, আভ্যন্তরীণ গোলযোগ বাড়িয়ে দেবার প্রত্যয়ে এবং ব্রিটিশের সরকারের সহযোগিতায়।



সকল নবীরা এক আল্লাহর দিকে দাওয়াত দিলেও তাঁদের ভাষা, শব্দ প্রয়োগ এবং পরিভাষা ছিল ভিন্ন, তবে সকল নবীদের লক্ষ্য ছিল এক ও অভিন্ন। যেমন, মুসলমানেরা যাঁদের ‘আদম-হাওয়া’ বলে খৃষ্টানেরা তাকে 'এডাম-ইভ' বলে। মুসলমানেরা যাকে জান্নাত-জাহান্নাম বলে ইহুদী-খৃষ্টানেরা সেসব বিশ্বাস করলেও অন্য নামে চিনে। মুসলমানেরা তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনার্থে যাকে মসজিদ বলে, খৃষ্টানেরা তাকে গির্জা বলে, ইহুদীরা তাকে সিনাগগ বলে। ইহুদীর ধর্মগ্রন্থ ওল্ড টেস্টামেন্ট হিব্রু ভাষায় রচিত, খৃষ্টান ধর্মগ্রন্থ সুরীয়ানী ভাষায় রচিত আর পবিত্র কোরআন আরবি ভাষায় রচিত। এসব কিতাব এক আল্লাহর নিকট থেকে উৎসারিত হলেও, কোন কিতাবের পরিভাষা এক ধরনের ছিলনা। ফলে এসব ধর্মের মানুষ আলাদা বৈশিষ্ট্য ও স্বভাব নিয়ে, পরিপূর্ণ ধর্মীয় স্বাধীনতা ভোগ করে মুসলিম দেশে বাস করে আসছে। তবে মির্জা গোলাম আহমেদ এক্ষেত্রে এক নতুন ফন্দির আশ্রয় গ্রহণ করে। যেমন, তার কিতাবের কথাগুলোকে কোরআনের কথা বলা হয়। তার বর্ণিত কথাগুলোকে হাদিস বলা হয়। তাদের নির্মিত উপাসনালয়কে মসজিদ বলে, তাদের মত করে পালন করা প্রার্থনা কে নামাজ বলে। তাদের উপোষ করার পদ্ধতিকে উপবাস ব্রত, চীবর দান, ফাষ্টথিং কিংবা নতুন নামে না ডেকে বলা হয় রোজা রাখা হয়েছে! গোলাম আহমদের আনিত ধর্ম নতুন এবং তিনি একজন ভারতীয় নাগরিক নাগরিক হওয়া স্বত্বেও হিন্দি ভাষার প্রাধান্যের জায়গায় আরবি ভাষাকে প্রাধান্য দিয়েছে। মুসলমানদের রেওয়াজ অনুসারে আরবি শব্দ আল্লাহকে, তিনিও আল্লাহ বলেছেন; নবীদের কে তিনিও নবী বলেছেন। সেভাবে জিবরাঈল, মিকাঈল, ইসরাফিল, নাজিল, নফল, ফরজ, আসমান, ফেরেশতা, জান্নাত, জাহান্নাম, সাওম, সালাত, ইমান থেকে শুরু করে ইসলামী যত পরিভাষা আছে সকল পরিভাষা তার ধর্মের জন্যও ব্যবহার করেছেন। অথচ এসব শব্দ ও পরিভাষা আরবি এবং ইসলাম ধর্মের জন্যই ব্যবহৃত হয়। অথচ তার নতুন ধর্মের জন্য শব্দ, বাক্য, পরিভাষা অবশ্যই হিন্দি হওয়া বাঞ্ছনীয় ছিল। এসব শব্দ আরবি হওয়া সত্ত্বেও, তিনি তা হিন্দিভাষী ভারতীয়দের মাঝে ঢুকাতে চেষ্টা করেছেন। ইসলাম পরবর্তী সময়ে আরো বহু ধর্মের জন্ম হলেও, তারা আলাদা স্বতন্ত্রতা নিয়ে গড়ে উঠেছে। আল্লাহ যদি ভারতীয় এলাকায় কোন নবী পাঠাতেন, তিনি হিন্দি ভাষায় কথা বলতেন, তাঁর আনিত কিতাব হিন্দি ভাষায় হত এবং ইবাদত বন্দেগীর জন্য হিন্দি ভাষায় নতুন পরিভাষা সৃষ্টি হত। গোলাম আহমদের আনিত ধর্মে সেটা কোথাও পরিলক্ষিত হয়নি বরং তিনি ইসলাম ধর্মের সকল কিছু ধারণ করে, ইসলামী অনুশাসনে অভ্যস্ত মানুষদের পথভ্রষ্ট করার নীতি গ্রহণ করেছে, এটি একটি মহা প্রতারণা ছাড়া আর কিছু নয়। উল্লেখ্য আশির দশকে খৃষ্টান মিশনারিরা বাইবেল কে বঙ্গানুবাদ করতে, কোরআনের পরিভাষা গ্রহণ করেছিল। তারা ইঞ্জিল শরীফ নাম দিয়ে বাইবেল ছেপেছিল। আমি ইঞ্জিল শরীফ নামক সেই বাইবেল নিয়ে তাদের তত্ত্বাবধানে লেখাপড়া করেছিলাম। তাদের সার্টিফিকেট সহ সেই ইঞ্জিল কিতাব এখনও আমার সংগ্রহ শালায় আছে। তবে অজানা কারণে খৃষ্টানেরা সেই পদ্ধতি নিজেরাই বাতিল করে ইংরেজি পরিভাষায় বাইবেল প্রকাশ করে। কাদিয়ানীদের কু-মতলব ছিল বলে, আরবি পরিভাষা ত্যাগ না করে, সেটাকে বিভ্রান্তির পূঁজি বানিয়েছে! সমস্যাটা এখানেই।



কাদিয়ানী ধর্মের সকল পরিভাষা যেহেতু ইসলাম থেকে নিয়েছে সেহেতু অল্প শিক্ষিত মুসলমানেরা কাদিয়ানীর কিতাব আর ইসলামী কিতাবের পার্থক্য ধরতে পারে না। কম জানা সে সকল মুসলমান আন্তরিকতার সাথে মুহাম্মদ (সাঃ) কর্তৃক হাদিসের জ্ঞান মনে মনে করে কাদিয়ানীর কিতাব পড়ে থাকে। কাদিয়ানী কিতাবের কথা বিশ্বাসের কারণে একজন অসহায় মুসলমান জানতেই পারবেনা কখন তার ঈমান নষ্ট হয়ে গিয়েছে। জিহাদ সম্পর্কিত হান্টারের পরামর্শ অবিকল আমল করেছেন মির্জা গোলাম আহমেদ। তিনি মুসলমানদেরকে জিহাদের প্রেরণা থেকে দূরে রাখতে লিখনির মাধ্যমে সেই কাজ সফলতার সহিত আঞ্জাম দিয়েছেন। জিহাদের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত গোলাম আহমেদ নিজেই বলেছেন, ‘আমি জিহাদের বিরুদ্ধে এত লিখেছি যে, সে সব যদি জমা রাখা হত, তাহলে ৫০ টি আলমারি লাগত হেফাজতের জন্য’। কাদিয়ানীরা লোক দেখানো, দৃশ্যত আকর্ষণীয় কার্যক্রমের মাধ্যমে কাজ করে থাকে। বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে মানুষকে দাওয়াত দেয়। যেমন, এস ভাল মুসলমান হই, আসুন প্রকৃত মুসলমান হিসেবে গড়ে উঠি ইত্যাদি। এসব চটকদার সুন্দর কথায় সাধারণ মানুষ প্রভাবিত হয় এবং বিস্তারিত না জেনে তাদের সাথে ভিড়ে যায়। তাদের প্রতি উৎসাহী মানুষদের মাঝ থেকে যোগ্য ব্যক্তিকে প্রলোভনে ফেলা হয়। কাউকে বৃত্তির প্রলোভন, কাউকে বিদেশী ডিগ্রীর লোভ, উচ্চতর ডিগ্রী পাইয়ে দিতে সহযোগিতার আশ্বাস, বেশী বেতনের চাকুরীর প্রস্তাব, বিদেশী কোম্পানির বড় পদ ভাগিয়ে দেবার লোভ সহ নানাবিধ ভাবে মানুষকে ঘায়েল করা হয়। মানুষকে সাহায্যের নামে ঈমান বরবাদ করা, মুসলিম দেশে মুসলিম নাম নিয়ে বেশী সুবিধা আদায় করা, মুসলমানদের হীনবল করা, নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করা এবং মুসলমান ছপ্দনামে খৃষ্টান বিশ্বের জন্য বিশ্বস্ত গুপ্তচর বাড়ানো মূলত এই ধর্মের অন্যতম প্রধান কাজ। এই ধর্মের মূল পরিকল্পনা দাতা হল ব্রিটিশ সরকার, যার ফলে তাদের সকল প্রকার সাহায্য সহযোগিতার উপর ভিত্তি করেই পৃথিবীতে এই ধর্মের বুনিয়াদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ব্রিটিশ শাসনকে রক্ষা ও ব্রিটিশকে আজীবন সেবা করার জন্য গোলাম আহম্মদ কাদিয়ানী তার উম্মতদের কে বহু যায়গায় প্রচুর উপদেশ দিয়েছেন। যেমন তিনি বলেছেন, “শুন, ইংরেজদের রাজত্ব তোমাদের জন্য একটি বরকত এবং খোদার তরফ হইতে তাহা তোমাদের জন্য ঢাল স্বরূপ। অতএব তোমরা নিজেদের জান প্রাণ দিয়া ঢালের যত্ন কর, হেফাজত কর, সম্মান কর। আমাদের বিরোধী মুসলমানদের তুলনায় তারা হাজার গুনে শ্রেষ্ঠ”। তবলীগে রিসালাত, ২য় খণ্ড, ১২৩ পৃষ্ঠা।



কাদিয়ানীদের এসব কর্মকাণ্ডের কারণে শুরু থেকই এই মতবাদের বিরুদ্ধে মুসলমানেরা প্রতিবাদ করেছে। বহু বিতর্ক সভা হয়েছে সর্বত্র তারা পরাজিত হয়েছে। কয়েকবার সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সংগঠিত হয়েছে। প্রত্যেক বারই ব্রিটিশ সরকার তাদের রক্ষার্থে জোরালো ভূমিকা রেখেছে। ব্রিটিশ সরকার মুসলিম এবং কাদিয়ানীদের সংঘাতের মধ্যে বরাবরই কাদিয়ানীর পক্ষ নিয়েছে। পরবর্তীতে ব্রিটিশের অনুসরণে কাদিয়ানীদের কে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহ সকল খৃষ্টান সম্প্রদায় তাদের পক্ষ নিতে কসুর করেনি। অন্যদিকে কাদিয়ানীদের বই-পুস্তক, বক্তৃতা-বিবৃতিতে ব্রিটিশের পক্ষে সুনাম গাওয়া থেকে প্রমাণিত হয় মূলত কাদিয়ানীরা ইসলাম ধর্মের ভিতর একটি নতুন সম্প্রদায় গড়ে তুলতে সদা সচেষ্ট। তারা ইসলাম ধর্মের ভিতরে থেকে মানুষকে বিভ্রান্ত করবে, তারা নিজেদের মুসলিম বলে পরিচয় দেবে এবং পরগাছার মত ইসলাম ধর্মের ক্ষতি করার যতটুকু সম্ভব তার সবটাই করবে। পৃথিবীর ইতিহাসে ধর্মের নামে প্যারাসাইট বা পরগাছা হয়ে নতুন মতবাদ ঢুকানোর জন্য কাদিয়ানীর মত দ্বিতীয় ভয়ঙ্কর কোন উদাহরণ নাই। এসব কর্মকাণ্ড বিশ্লেষণ করে পৃথিবীর বেশীর ভাগ মুসলিম দেশেই কাদিয়ানীদের অমুসলিম সম্প্রদায় ঘোষণা করে এবং তাদেরকে সে সব দেশে গমন নিষিদ্ধ করা হয়। সকল ধর্মের মানুষ মুসলিম দেশে যেতে পারলেও কাদিয়ানীরা যেহেতু ইসলাম ধর্মের পরগাছা হিসেবে সৃষ্ট, তাদের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সংঘাত বাড়ার সম্ভাবনা বেশী, তাই তাদের মুসলিম দেশে ঢুকাটা নিষেধ করা হয়েছে। এই আইনের কার্যকারিতা রহিত কল্পে ব্রিটিশ সরকার কাদিয়ানীদের জন্য তড়িৎ গতিতে প্রোটেকশনের ব্যবস্থা করেছে। কাদিয়ানীরা মূলত ভারত ও পাকিস্তান থেকে সৃষ্ট, আর ভারত সরকার হিন্দু ধর্মাবলম্বী এবং ব্রিটিশের কাছে বিশ্বস্ত। ফলে ভারত সরকার তাদের পাসপোর্ট তৈরিতে কাদিয়ানীদের ধর্মের কোন পরিচিতি উল্লেখ না করে মুসলিম হিসেবে লিখে থাকে। ফলে কাদিয়ানীরা ভারত থেকে যে কোন মুসলিম দেশে প্রবেশ করার সুযোগ পেয়ে যায়। মুখে দাড়ি, নামে মুসলমান সেজে এসব ইসলাম বিনষ্টকারী ব্যক্তিরা পাসপোর্টের এই কারসাজির মাধ্যমে অতি সহজেই প্রতিটি মুসলিম দেশে ঢুকে পড়তে পারে।



১৯৪৮ সালে পাকিস্তান নামে মুসলমানদের জন্য নূতন একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হবার প্রাক্কালে কাদিয়ানীরা দুঃচিন্তা গ্রস্ত হয়ে পড়ে। প্রথমত পাকিস্তান সৃষ্টিতে কোন ভূমিকা না রাখা, দ্বিতীয়ত নতুন মুসলিম দেশে তাদের কি পরিচিতি হবে এটাই ছিল দুঃচিন্তার কারণ। তাদের জন্য কঠিন এই বিপদের দিনে ঈশ্বরের আশীর্বাদ নিয়ে আবারো হাজির হন ব্রিটিশ সরকার। মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর সাথে পাকিস্তানের স্বাধীনতা প্রাপ্তির দর কষাকষিতে, পাকিস্তান নামক নতুন মুসলিম দেশের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় চালানোর জন্য কিছু নামধারী মুসলিম ব্যক্তিকে বাছাই করে নিয়েছিলেন, যারা নামে মুসলিম জাতে কাদিয়ানী ছিলেন। তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন স্যার জাফর উল্লাহ খান (১৮৯৩-১৯৮৫)। তিনি ব্রিটিশ আমলে ভারতের প্রথম রেল মন্ত্রী ছিলেন। পাকিস্তান স্বাধীন হবার প্রাক্কালে ১৯৪৭-১৯৫৪ সাল পর্যন্ত তিনি পাকিস্তানের ১ম পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ব্রিটিশ সরকার কাদিয়ানীদের রক্ষা করতে কায়দা করে জাফর উল্লাহ খানকে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়ে যান। উল্লেখ্য ব্রিটিশ রাজত্বে প্রকৃত সুন্নি মুসলমানেরা কখনও চাকুরী পেত না, এসব পদ মুসলমানদের দেবার কথা বলে, কাদিয়ানীদের বসিয়ে দেওয়া হত। তারা প্রচার করত দেখ কত বড় বড় পদ মুসলমানদের দেওয়া হয়েছে। এসব বড় কর্মকর্তাদের মুসলমান মনে করে সাধারণ মুসলিম জন সাধারণ খুবই উৎসাহ বোধ করত। ফলে ব্রিটিশ আমলেই বহু কাদিয়ানী সরকারী বড় কর্মকর্তা হবার সুযোগ পেয়ে যায়।



নতুন সৃষ্ট রাষ্ট্র পাকিস্তানের জন্য যখন পাসপোর্ট বানাবার দরকার পড়ে, তখন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাফর উল্লাহ খান পাসপোর্ট গুলোকে এমনভাবে তৈরি করেন যাতে কাদিয়ানীদের পরিচয় মুসলিম হিসেবে থাকে। কাউকে যাতে কাদিয়ানী হিসেবে সনাক্ত করতে না পারা যায়, সে জন্য পাসপোর্টের জন্য দরখাস্ত করতে যে সব তথ্য লাগে সেখান থেকেও তাদের বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে। কাদিয়ানীরা এই পলিসি নিরাপত্তার ভীতির জন্য করেনি! মুসলিম পরিচয়ে তারা যেন ইসলামী দেশ গুলোতে বিনা বাধায় প্রবেশ করতে পারে, সেই ধান্ধায় এটি করেছে। গোলাম আহমেদ কাদিয়ানী তার নিজের ধর্মের জন্য যতটুকু করতে পেরেছে, পাকিস্তানী কাদিয়ানীদের রক্ষা করতে তার চেয়ে অনেক বেশী সার্ভিস দিয়েছে স্যার জাফর উল্লা খান। সদ্য গঠিত নূতন রাষ্ট্র পাকিস্তান কে পরিচালনা করার জন্য যোগ্য মানুষের দরকার হয়ে পড়ে, নূতন নতুন পদের জন্য নতুন ধরনের কর্মকর্তার অভাব দেখা দেয়। সে সব শূন্য পদে দলে দলে কাদিয়ানী ঢুকানোর জন্য জাফর উল্লা ও তার অন্যান্য সহকারী যারা পাকিস্তান রাষ্ট্রের শুরুতে কর্মকর্তা ছিল তারা বিরাট ভূমিকা রাখে। কাদিয়ানীদের মধ্যে যার যে ধরণের শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল সেই ব্যক্তি তার মত করে প্রশাসনে ঢুকে যেতে পেরেছে। পুরো দেশের সকল শিক্ষিত কাদিয়ানীদের শহরে হাজির করা হয় এবং তাদের ধরে ধরে সরকারী চাকুরীতে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। হিন্দু মুসলমানের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সৃষ্ট দুটি দেশের মধ্যে ভারতে হিন্দুরা আর পাকিস্তানে দৃশ্যত কাদিয়ানীরা প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেল..

শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১১

প্রসংগ মাজার/ ও কবর সেজদা

মৌলানা আবদুল্লাহ নিজামী ভূঁইয়া


আল্লাহর রাসুল সা: আলী রা: কে নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, সকল উচু কবর ধ্বংস করার জন্য। আমাদেরও এখন একই কাজ সকল উচু কবর, মাজার নামের ব্যবসা ধ্বংস করে দেওয়া, মাটির সাথে সমান। আফসোসের বিষয় সেই আলী রা: এর কবরই এখন মাজারে পরিনত করছে।



মাজার শব্দের অর্থ হলো দর্শনীয় স্থান। যেটা দেখলে মন ভাল হয়। যেমন সমুদ্র সৈকত একটা মাজার বা দর্শনীয় স্থান।



সহীহ হাদিসগুলোতে আছে, কবর পাকা করা নিষেধ, কবরে বাতি দেওয়া নিষেধ, কবরের উপর ঘর নির্মাণ নিষেধ, কবরকে উৎসরেব স্থান বানানো নিষেধ, কবরে গিলাফ লাগানো নিষেধ। কিন্তু আমাদের মুসলমান নামধারীরা সবগুলো নিষেধ করা কাজই বেশী করে করে।



বলতে পারে সেগুলো পীরদের মাজার। কিন্তু প্রশ্ন হলো এই পীরগুলার অস্তিত্ব কেন সাহাবাদের যুগে নাই, কেন তাবেয়ীদের যুগে নাই। কারণ এটা একটা ব্যবসা যা মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠে।



আল্লাহ কোরআনে বলেছেন

সূরা ফাতির-২২> হে নবী, তুমি কবরে শায়িতদের কথা শুনাতে সক্ষম না।

আর আমাদের কবরগুলোতে এমনই আক্বিদাহ পোষন করে যে কবর বাসী শুনে।



আল্লাহ কোরআনে বলেছেন

সূরা আহকাফ-৯> হে নবী, বল, আমি জানি না আমার সাথে আল্লাহ কি ব্যবহার করবেন এবং আমি জানি না আল্লাহ তোমাদের সাথে কি ব্যবহার করবেন।



বুঝার চেষ্টা করুন, নবী নিজেই যেখানে জানেন না তার সাথে কি ব্যবহার হবে, সেখানে আমাদের দেশের অনেক মূর্খ মানুষরা মনে করে আব্দুল কাদের জিলানী, শাহ জালাল, শাহ পরান (র রা জান্নাতি। তারা জান্নাতের সার্টিফিকেটই দিয়া দেয়।



অনেকে তাদের মুখে জান্নাতি না বললেও মনে মনে সেটা বিশ্বাস করে। আর ঈমান হলো সেটাই যা অন্তরে বিশ্বাস করা হয়, মুখে স্বীকার করা হয় এবং কার্য দ্বারা সম্পাদন করা হয়।









কবরপুজারী, মাজারপুজারীরা মুখে অস্বীকার করলেও তাদের অন্তর এই স্বাক্ষ্যই দেয় যে তারা জান্নাতি।



আল্লাহ আমাদের কবর পুজা, মাজার পুজা ইত্যাদি থেকে বাচার তৌফিক দান করুন। আল্লাহ এই পীর পুজারী, কবর পুজারীদের হেদায়েত দান করুন।







সম্মানিত (?) পীরগণ ও তাদের মুরিদগণ কোরআন থেকে দলিল দেন যে আদম আ: কে সিজদাহ করতে বলা হইছিল ফেরেশতাদের। কারণ কি? কারণ তিনি তাদের চেয়ে বেশী জ্ঞান সম্পন্ন ছিলেন। পাশাপাশি আদম আ: ও ফেরেশতাদের মধ্যে জ্ঞান এর প্রতিযোগীতায় তিনি জয়লাভ করেছিলেন।



তো আদম আ: এর যদি জ্ঞান বেশী থাকার কারণে ফেরেশতারা তাকে সিজদাহ করে। তাহলে পীরের জ্ঞান বেশী থাকার কারণে কেন মুরীদরা তার সিজদাহ করতে পারবে না?

শয়তান যেহেতু আদম আ: কে সিজদাহ করেনি, তাই সে জাহান্নামী। তেমনি বর্তমানে যে পীরদের সিজদাহ করবে না তারাও শয়তান, জাহান্নামী।



--------------------------------------------------------------------



তাদের এই দলিল এক কথাতেই খন্ডন করা যায় যে,

-===================================



জ্ঞান বেশী থাকার কারণে যদি কাউকে সিজদা করা যেত তাহলে বিশ্ব নবী, সর্বশেষ ও চুড়ান্ত নবী, আমাদের প্রাণপ্রিয় নবী মোহাম্মদ সা: ছিলেন সেই সিজদাহ পাওয়ার সর্বপ্রথম দাবীদার এবং সবচেয়ে যোগ্য। সকল পীরের থেকেও যোগ্য।



=> কিন্তু সাহাবাগণ কি তাকে সিজদাহ করেছিলেন?

=> মহানবী সা: কি তাদের সিজদাহ করতে বলেছিলেন তাকে। নাকি এক আল্লাহকে?







আল্লাহু আকবার।

সিজদাহ একমাত্র আল্লাহর প্রাপ্য। পীর নামক শয়তানগুলো আল্লাহর এই অধিকারেও হাত দিয়েছে। তাদের মতে যারা পীরকে সিজদাহ করে না তারা শয়তানের মতো জাহান্নামী। মূলত যারা পীরকে সিজদাহ করে তারা আল্লাহর ইবাদাত কে খন্ড খন্ড করে আল্লাহর পাশাপাশি মানুষের ইবাদাত এ লিপ্ত যা শিরকে আকবর।



সত্য প্রকাশিত হওয়ার পরও এমনটি যে করে সে ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাবে।





আল্লাহ আমাদের সত্য বুঝার ও আমল করার তৌফিক দান করুন। আমীন।







১লা জানুয়ারি (নববর্ষ) পালন ইসলাম ও মুসলমানদের জন্য নয়

থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ১লা জানুয়ারী পালনের ইতিহাস:




ইতিহাসের তথ্য অনুযায়ী খ্রিস্টপূর্ব ৪৬ সালে জুলিয়াস সিজার সর্বপ্রথম ইংরেজি নববর্ষ উৎসবের প্রচলন করে। ১লা জানুয়ারি পালনের ইতিহাস ইসলামের সাথে সম্পৃক্ত নয়। পহেলা জানুয়ারি পাকাপোক্তভাবে নববর্ষের দিন হিসেবে নির্দিষ্ট হয় ১৫৮২ সালে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার প্রবর্তনের পর। ধীরে ধীরে শুধু ইউরোপে নয় সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার (পোপ গ্রেগরীর নামানুসারে যে ক্যালেন্ডার) অনুযায়ী নববর্ষ পালন করা হচ্ছে।



সাধারণভাবে প্রাচীন পারস্যের পরাক্রমশালী সম্রাট জমশীদ খ্রিস্টপূর্ব ৮০০ সালে এই নওরোজের প্রবর্তন করেছিল এবং এ ধারাবাহিকতা এখনো পারস্য তথা ইরানে নওরোজ ঐতিহ্যগত নববর্ষের জাতীয় উৎসব পালিত হয়। ইরান হতেই ইহা একটি সাধারণ সংস্কৃতির ধারা বয়ে এসে মধ্য প্রাচ্যের বিভিন্ন মুসলিম দেশ এবং ভারত উপমহাদেশে প্রবেশ করে। মেসোপটেমিয়ায় এই নববর্ষ বা আকিতু শুরু হতো নতুন চাঁদের সঙ্গে। ব্যাবিলনিয়ায় নববর্ষ শুরু হতো মহাবিষুবের দিনে ২০ মার্চ। অ্যাসিরিয়ায় শুরু হতো জলবিষূবের দিনে ২১ সেপ্টেম্বর। মিসর, ফিনিসিয়া ও পারসিকদের নতুন বছর শুরু হতো ২১ সেপ্টেম্বর। গ্রীকদের নববর্ষ শুরু হতো খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দী পর্যন্ত ২১ ডিসেম্বর। রোমান প্রজাতন্ত্রের পঞ্জিকা অনুযায়ী নববর্ষ শুরু হতো ১ মার্চ এবং খ্রিস্টপূর্ব ১৫৩-এর পরে ১ জানুয়ারিতে। ইহুদীদের নববর্ষ বা রোশ হাসানা শুরু হয় তিসরি মাসের প্রথম দিন গোঁড়া ইহুদীদের মতে সেই মাসের দ্বিতীয় দিন। মোটামুটিভাবে তিসরি মাস হচ্ছে ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ অক্টোবর। মধ্যযুগে ইউরোপের বেশিরভাগ দেশে নববর্ষ শুরু হতো ২৫ মার্চ, তারা ধারণা করতো, এদিন দেবদূত গ্যাব্রিয়েল যিশুমাতা মেরির কাছে যিশু খ্রিস্টের জন্মবার্তা জ্ঞাপন করে। অ্যাংলো-স্যাকসন ইংল্যান্ডে নববর্ষের দিন ছিল ২৫ ডিসেম্বর। পহেলা জানুয়ারি পাকাপোক্তভাবে নববর্ষের দিন হিসেবে নির্দিষ্ট হয় ১৫৮২ সালে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার প্রবর্তনের পর। ধীরে ধীরে শুধু ইউরোপে নয় সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী নববর্ষ পালন করা হচ্ছে।



বাদশাহ আকবরের ফরমান অনুযায়ী আমীর ফতেহ উল্লাহ্‌ শিরাজী উদ্ভাবিত বাংলা ফসলি সাল চালু হয় ১০ মার্চ ১৫৬৩ সালে। ইংরেজ আমলে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসরণ করা হলেও রাজস্ব আদায়ে ও অভ্যন্তরীণ ব্যবসা-বাণিজ্যে বাংলা সাল তথা ফসলী সন বেশি ব্যবহার করা হতো।



বর্ষবরণের সাথে ধর্মীয় বিশ্বাস অনুভূতি যোগটা সে শুরু থেকেই ছিলো বা বর্ষবরণকারীরা ধর্মীয় বিশ্বাসের আলোকেই তা করতো। অথবা বর্ষবরণকে তাদের বিশেষ ধর্মীয় আচার বলে বিশ্বাস করতো। মজুসী বা অগ্নি উপাসকরা এখনো বর্ষবরণকে সরকারিভাবেও ব্যাপক জাঁকজমকভাবে পালন করে থাকে। একে তারা তাদের ধর্মীয় অনুষঙ্গ মনে করে এবং একে নওরোজ বা নতুন দিন বলে অভিহিত করে।



ফসলী সনের নববর্ষ হিন্দুদের খাছ ধর্মীয় উৎসবের দিন। এর আগের দিন তাদের চৈত্র সংক্রান্তি। আর পহেলা বৈশাখ হলো ঘট পূজার দিন।



ইতিহাস পর্যালোচনায় শরিয়তের ফায়সালাঃ



হযরত ইমাম আবু হাফস কবীর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, নওরোজ বা নববর্ষ উপলক্ষে যদি কেউ একটা ডিমও দান করে তার ৫০ বৎসরের আমল থাকলে তা বরবাদ হয়ে যাবে। অর্থাৎ নওরোজ বা নববর্ষ পালনের কারণে তার জিন্দেগির সমস্ত আমল বরবাদ হয়ে যাবে।

abdullah nezami   bhuiya

আজকে অনেক মুসলমান থার্টি ফার্স্ট নাইট পালন করছে। ইংরেজি নববর্ষ, ফসলী সনের নববর্ষসহ বিভিন্ন নববর্ষ পালন করছে। আর এতে করে তারা বিজাতি ও বিধর্মীদের সাথেই সদৃশ্য রাখছে। তাদেরই অনুসরণ অনুকরণ করছে।



হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখে, সে তাদের দলভুক্ত এবং তার হাশর-নশর তাদের সাথেই হবে।” (সুনানে আহমদ, সুনানে আবূ দাউদ)



ইতিহাস এটাই প্রমাণ করে যে, সব নববর্ষের প্রবর্তকই বিধর্মীরা। তাই ইসলাম নববর্ষ পালনকে কখনোই স্বীকৃতি দেয় না। যেহেতু এতে করে অন্য ধর্মের ধর্মীয় রীতির সাথে সার্দশ্য হয় সেহেতু তা মুসলমানদের বৈধ হবে না।

তা ছাড়াও নব বর্ষের নামে যে সকল অপসংস্কৃতি ও কুসভ্যতার অবতারণা করা হয় এর সবই মুসলমানদের জন্য সম্পূর্ণ হারাম।

আল্লাহ আমাদের সকলকে হিদায়াত দান করুন।



বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১১

,পাশ্চাত্য সমাজে আদর্শ পরিবার নিয়ে কিছু ভাবনা-১

এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া


পাশ্চাত্যে পারিবারিক মূল্যবোধ



আমরা যারা পাশ্চাত্যে বসবাস করি আমাদের সামনে এই কথা পরিষ্কার যে , পাশ্চাত্যে বস্তুগত উন্নতি ও উৎকর্ষতা সাধিত হলেও নৈতিকতা ও পারিবারিক মূল্যবোধ নেই বললেই চলে। পারিবারিক জীবন, পারিবারিক জীবনের শান্তি, স্থিতি, বন্ধন, ভালবাসা ও মধুময় জীবনের অভাবে অনেকে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েও রাস্তায় ঘুমায়। তাদের ঘর, বাড়ী, সম্পদ ও বিত্ত বৈভরে অভাব নেই। অভাব হচ্ছে পারিবারিক জীবনের শান্তির। এই শান্তির অভাবে জীবন সংগী বা সংগীনি নিয়ে তারা দীর্ঘদিন চলতে পারেনা;



এক পর্যায়ে ’ কুকুরই”তাদের চলাফেরার সংগী হয়।



কুকুরকে তারা শুধূ ভালবেসে সংগে রাখেনা একাকীত্ব ঘুচানোর জন্যও সংগে রাখে। উক্ত সংগীকেই তারা আদর করে ; রাস্তায় চলাফেরার সময় বন্ধু বান্ধবকে উক্ত সংগীকেই পরিচিত করে। আমি এমন অনেক ঘটনা জানি যে, স্বামী- স্ত্রী বা পার্টনার দুইজনই শপিং করার জন্য যাওয়ার পর সামান্য বিষয় নিয়ে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে এক অপরকে ধাক্কা মেরে বৈবাহিক জীবন বা পার্টনারশীপের ইতি ঘটিয়ে কুকুরকে সাথে নিয়েই বাসায় ফিরে আসে। অতি সামান্য বিষয় নিয়েও তারা একে অপরকে সহ্য করতে পারেনা; বিবাহ বা সম্পর্কচ্ছেদ করতে দ্বিধা করেনা।



পাশ্চাত্যে আমি আরও একটি বিষয় প্রত্যক্ষ করেছি যে, তারা বিবাহ করে দীর্ঘদিন এক সাথে থাকতে পারেনা। অথচ একই পুরুষ বা নারী বন্ধু-বান্ধবী হিসাবে দীর্ঘদিন” লীভ টুগেদার” করতে পারে। এর অর্থ হচ্ছে তাদের মাঝ থেকে বৈবাহিক জীবনের নিয়ামত উঠে গেছে। বিবাহ তাদের কাছে বোঝা মনে হয়। পাশ্চাত্যে বিবাহ এর সংখ্যা দিন দিন কমছে এবং ডিভোর্স ও লীভ টুগেদারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।



পাশ্চাত্যের আরও একটি বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন আর তা হচ্ছে পারিবারিক জীবনের কনসেপ্ট।

ইসলামের দৃষ্টিতে নারী-পুরুষের বৈধ বিবাহের মাধ্যমেই পারিবারিক জীবনের সূচনা হয়।

------------------------------------------------------------------------------------------------

আর স্বামী, স্ত্রী ও ছেলে-মেয়ে নিয়ে পরিবার গঠিত হয়। পিতা-মাতা, ভাই ও বোন একই

----------------------------------------------------------------------------------------------

পরিবারের সদস্য হিসাবে পরিগণিত। কিন্তু পাশ্চাত্যে পুরুষে-পুরুষে বিবাহ ও নারী-নারী বিবাহ

------------------------------------------------------------------------------------------------------

বা পার্টনারশীপ চুক্তির মাধ্যমেও পরিবার হতে পারে।

---------------------------------------------------------------



আর তারা রাস্তাঘাটে যেভাবে বেহায়াপনা করে কুকুরও তাদের কাছে হার মানে। আমি দেখেছি একটি কুকুর রাস্তায় পেশাব করতে হলে কোন একটি গাছ বা খামের কাছে যায়; কিন্তু পাশ্চাত্যে কুকুর- কুকরণীর চেয়ে অধিক বেহায়পনা হয়ে একে অন্যেও সাথে হাজারো মানুষের সামনে আদর ও ভালবাসার প্রকাশ করতে দেখি। এর অর্থ হচ্ছে লজ্জাবোধ ও নৈতিকতাবোধ একেবারেই উঠে যাচ্ছে বলা যায়।



পিতা-মাতা ও ভাই-বোন একে অপরের প্রতি মুসলমানেরা যে ভালবাসা প্রদর্শন করে এবং একে অপরের সুখে দুখে যেভাবে শরীক থাকে পাশ্চাত্যে তা নেই।



এই প্রসংগে একটি ঘটনা উল্লেখ করছি।



আমাদের প্রতিবেশী এক বৃদ্ধ পুরুষকে একদিন সকাল বেলা একটু উৎফল্ল মনে হল। পরবর্তীতে তার সাথে আলাপ- আলোচনায় জানা গেল তার চার ছেলে রয়েছে। আগের দিন তার জন্মদিবস উপলক্ষে ছোট ছেলে তার জন্য গিফট নিয়ে এসেছিল। বছরে একবার ছোট ছেলে গিফট নিয়ে আসায় বৃদ্ধ মহাখুশী। কেননা পাশ্চাত্যে পিতা-মাতার খেদমত করতে হয় এই কনসেপ্ট নেই। পিতা-মাতা অসুস্থ হলে, অক্ষম হলে তাদের জন্য সরকারী সার্ভিসকেই তারা যথেষ্ট মনে করে। পাশ্চাত্যে সবাই নিজেকে নিয়ে চিন্তা করে। নিজের আয়, নিজের ভবিষ্যত ছাড়া অন্যের ভাল-মন্দ নিয়ে চিন্তা করার সময় নেই। এরফলে পাশ্চাত্যে পরিবারের সদস্যদের মাঝে আত্মকেন্দ্রীকতা বেশী দেখা যায়।

-------========================-------

আমি ও আমার এই শব্দ দুটো তাদের খুবই প্রিয়।

------==================----------------



পাশ্চাত্যে মুসলমানদের পারিবারিক জীবন

===========================



পাশ্চাত্যে মুসলমানদের আগমনের শুরুতে পরিবারের সংখ্যা খুবই কম ছিল। কেননা প্রথম পর্যায়ে যারা ইউরোপ- আমেরিকায় যান তাঁরা চাকুরীর জন্য বা পড়াশুনার জন্য গমন করেন। সে সময় ইউরোপ- আমেরিকায় জন্মসূত্রে মুসলমানরাই পরিবার নিয়ে থাকত। পরবর্তীতে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থী, ব্যবসা বানিজ্য ও ইউরোপ-আমেরিকা কর্তৃক প্রদত্ত নাগরিক সুবিধা পেয়ে অনেকই পরিবার পরিজন নিয়ে ইউরোপ-আমেরিকায় বসবাস শুরু করেন। এরপর জন্মসূত্রেই অনেক তরূন-তরূনী ইউরোপ- আমেরিকায় বড় হয় এবং পারিবারিক জীবন গড়ে তোলে। আমার দৃষ্টিতে পাশ্চাত্যে বসবাসকারী মুসলিম পরিবারগুলোর চিত্র নিন্মরূপঃ



১· ইউরোপ-আমেরিকা যাওয়ার আগেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ ছিল। স্বামী-স্ত্রী দুইজনের একজন আগে ইউরোপ-আমেরিকায় যাওযার সুযোগ পেয়ে অপর জীবনসংগী বা সংগীনিকে পরবর্তীতে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। আর কেউ কেউ একসাথেই ইউরোপ-আমেরিকায় গমন করেন এবং সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।



২· ইউরোপ-আমেরিকায় যাওয়ার পর সেখানে আগ থেকে বসবাসরত কোন মুসলিম তরূন-তরূনীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন কিংবা নিজ দেশে গিয়ে বিবাহ করে জীবন সংগীনি নিয়ে আসার ব্যবস্থা করেন।



৩· ইউরোপ- আমেরিকায় বড় হওয়া ছেলে-মেয়ে পরস্পরের মধ্যে বিবাহ হওয়ার মাধ্যমেই পারিবারিক জীবনের সূচনা হয়। এই ক্ষেত্রে কখনও কখনও দেখা যায় ইউরোপ- আমেরিকায় বড় হওয়া ছেলে-মেয়ের সাথে বিবাহ দিয়ে নিজের কোন আত্মীয়কে বিদেশে আনার জন্য অনেক সময় পিতা-মাতা ছেলে-মেয়ের সন্মতি ছাড়াই জোর করে বিবাহ দেন। আমার কাছে এমনও রিপোর্ট রয়েছে যে , পিতা-মাতা দেশের কারও কাছ থেকে টাবা-পয়সা নিয়েও ছেলে-মেয়েকে বিবাহ দিতে দ্বিধাবোধ করেননা।



৪· ইউরোপ- আমেরিকায় কিছু কিছু মুসলিম আহলে কিতাবদের সাথে বৈধ পন্থায় বিবাহ বন্ধনে আব্ধ হয়ে পারিবারিক জীবনের সূচনা করেন। আর দুঃখ জনক হলেও সত্য যে, কিছু কিছু মুসলিম ” লীভ টগেদার” করতেও দ্বিধাবোধ করছেননা।



পাশ্চাত্যে পারিবারিক জীবনে মুসলমানেরা মডেল হতে পারে

====================================



এই কথা সত্য যে, ইসলাম একটি পূর্ণাংগ জীবন ব্যবস্থা। এতে অর্থনীতি-রাজনীতি, সমাজনীতি, রাষ্ট্রনীতি, ব্যবসানীতি সব কিছুই রয়েছে। ইসলামে পারিবারিক জীবনের যেমনি দিক নির্দেশনা রয়েছে তেমনি রাষ্ট্র পরিচালনার গাইড লাইনও আছে। তবে, আমি মনে করি ইসলামী রাষ্ট্র ও ইসলামী সমাজ উপহার দেয়া সহজেই সম্ভব নয়। এরজন্য নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে দাওয়াত ও তাবলীগের কাজ করতে হবে। কিন্তু মুসলমানেরা ইচ্ছা করলে , ” মডেল পরিবার” উপহার দিতে পারেন। মুমলমানেরা ইসলাম অনুসরণ করেই পরিবার পরিচালনা করলে মডেল জীবন উপহার দেয়া সম্ভব। কিন্তু দুঃখজনক সত্য যে, অনেক মুসলিম পরিবারেও অশান্তি বিরাজমান, অনেক মুসলিম পরিবারও কলহ-বিবাদ লেগে থাকে, মুসলিম পরিবারগুলোতেও ডিভোর্স এর সংখ্যা বাড়ছে। তারপরও এখনও মুসলিম পারিবারিক যে মূল্যবোধ রয়েছে তা আমাদের বিরাট নিয়ামত। আমরা এই নিয়ামতকে পাশ্চাত্যের সামনে মডেল হিসাবে উপস্থাপন করতে পারি।



মডেল পরিবার এর জন্য আল্লাহর রাসুলই সর্বোত্তম উসওয়া

========================================

প্রত্যেক মুসলমানকে এই কথা মনে প্রাণে-বিশ্বাস করতে হবে যে, আদশ পারিবারিক জীবনই সমাজ ও সভ্যতা বিনির্মানের মূল ভিত্তি। পারিবারিক জীবনে অশান্তি থাকলে অঢেল সম্পদ থাকলেও মনে শান্তি আসেনা; রাতে ঘুম হয়না। দুঃখ- যাতনা নিয়েই দিনাতিপাত করতে হয়। আর পারিবারিক জীবনে শান্তি পেতে হলে পাশ্চাত্যের কাছ থেকে কিছুই পাওয়ার নেই; আমাদেরকে আল্লাহর রাসুলের উসওয়া আদর্শ অনুসরণ করতে হবে। এই ক্ষেত্রে ইসলামের কয়েকটি মৌলিক শিক্ষা মনে রাখতে হবেঃ



১· বিবাহের মাধ্যমে পারিবারিক জীবন গঠন নবী - রাসুলদের সুন্নাত। হযরত আদম (আ) এর সৃষ্টির পরই হযরত হাওয়াকে তাঁর জীবন সংগীনি হিসাবে সৃষ্টি করা হয়। আর এরই মাধ্যমে পারিবারিক জীবনের সূচনা হয়। এরপর থেকেই বিবাহের মাধ্যমে মানব বংশ বিস্তার ও পারিবারিক জীবনের বিস্তৃতি হতে থাকে।



২· ইসলামে পারিবারিক জীবনের মূল ভিত্তি দাম্পত্য জীবন। এই প্রসংগটি কুরআনের সূরা নিসার এক নম্বর আয়াতে উল্লেখ আছে। দাম্পত্য জীবনের বাহিরে লীভ টুগেদার ইসলাম শুধু সমর্থনই করেনা বরং এটা মারাত্মক ব্যাভিচার হিসাবে পরিগণিত। এই ধরনের অপরাধের জন্য কুরআনে শাস্তির বিধান সূরা- আন-নূরে উল্লেখ করা আছে।



৩· ইসলামে পারিবারিক জীবনের লক্ষ্য ক· শান্তি তৃপ্তি খ· ভালবাসা ও বন্ধুত্ব গ· বংশ বৃদ্ধি ঘ· লজ্জাস্থানের হেফাজত। এই প্রসংগে সূরা রূমের ২১ ও ৩০ নম্বর আয়াত, সূরা আরাফের ১৮৯ নম্বর আয়াতের তাফসীর এবং হাদীসের কিতাবুন নিকাহ এর সংশ্লিষ্ট হাদীস সমূহ পাঠ করার জন্য আমি পাঠক/পাঠিকাকে অনুরোধ করছি।



৪· ইসলামের দৃষ্টিতে বিবাহের জন্য মোহর ফরজ। স্বামী-স্ত্রীকে মোহর প্রদান করতে হবে। অথচ দুঃখজনক হলেও সত্য যে বর্তমানে মোহর নামে মাত্র ধরা হয় কিন্তু যোৗতুক প্রদানের জন্য স্ত্রীর প্রতি অমানবিক আচরণ করার খবরও পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। অথচ ইসলামের শিক্ষা অনুসরণ করলে কেউ স্ত্রী বা তার পরিবারের কাছে যৌতুক দাবী করতোনা। অপরদিকে মোহর নির্ধারণ করা হয় অনেক টাকা। পাত্রের আর্থিক সংগতি ও পাত্রীর সামাজিক মর্যাদার প্রতি খেয়াল রেখে মোহর নির্ধারণ করা হয়না। আমি এমন অনেক বিবাহতে গিয়েছি যেখানে বেশী মোহর নির্ধারণকে গর্বেও বিষয় হিসাবে প্রকাশ করা হয়। অথ্যাৎ কার মেয়ের কত বেশী টাকা মোহর নির্ধারণ করা হল এটা যেন বলার বিষয়; এটা দেয়ার বিষয় নয়। অথচ নির্ধারিত মোহর পরিশোধ ছাড়া স্বামী তার স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া বৈবাহিক মিলন করা যায়না। তাই আমাদেরকে যৌতুকের প্রতি ঘৃণা জন্মাতে হবে; ইনসাফপূর্ণ মোহর নির্ধালন করতে হবে এবং মোহর যেন শুধু কাবিনে না থাকে বাস্তবে দেয়া হয় সেদিকে সকলকে খেয়াল রাখতে হবে।



যৌতূক ===============

--------------------------------- দেখুন





http://www.sonarbangladesh.com/blog/DaliaNuzha/57286





৫· ইসলামের দৃষ্টিতে বিবাহের আগে ছেলে-মেয়ে পরস্পরকে দেখা সুন্নাত।



রাসুলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এক সাহাবী যখন তার বিবাহ নির্ধারণের কথা জানিয়েছেন তখন তিনি তাকে প্রশ্ন করেছেন তুমি কি দেখেছো? সাহাবী প্রতি উত্তরে জানালেন না ” আমি দেখি নাই”। তখন আল্লাহর রাসুল (সা) বললেন, ” তুমি তাকে দেখে নাও। এটা তোমার মাঝে মহব্বত ও সম্পর্ক স্থায়ী করণে অধিক সহায়ক হবে”।



আমি এক বিবাহের কথা জানি যেখানে বর কনেকে এই কারণে দেখতে যায় নাই যে কনে দেখতে গেলে তার খরচ হবে। তাই না দেখেই বিবাহ করেছে। বিবাহ করার পরপরই কনে তার পছন্দ হয়নি। এরফলে মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে পারিবারিক অশান্তির সূচনা হয় এবং তার শেষ পরিণতি হল বিাহ- বিচ্ছেদ। তাই বিবাহের আগে বিবাহ কেন্দ্রীক সিদ্বান্ত নেয়ার জন্য যতটুকু দেখা দরকার শুধু ততটুকুই কোন একজন মাহরামের সামনে দেখার ব্যবস্থা করার প্রতি অভিভাবকদের খেয়াল রাখা উচিৎ।





এই কেন্দ্রীক আমি কয়েকটি বিষয় লক্ষ্য করছিঃ





১· ছেলে-মেয়ে পরস্পরকে দেখার পর বিবাহের আগেই এক সাথে ঘুরা-ঘুরি শুরু করে দেয়। এই ক্ষেত্রে এই বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে যে, বিবাহের অনুষ্ঠান না হলেও আক্কদ হয়ে যাওয়ার পর থেকেই পরস্পর স্বামী-স্ত্রী হিসাবে চলাফেরা করতে পারে। কিন্তু আক্কদ হওয়ার আগে এই ধরনের মেলো-মেশা গুনাহের কাজ। তাই বিাহের কথা বার্তা ফাইনাল হয়ে গেলে বিবাহের আগে মাঝ-খানে দীর্ঘদিন বিরতি রাখা আমি পছন্দ করিনা। ২· বাংলাদেশে গ্রামে গঞ্জে আমি প্রত্যক্ষ করেছি যে , ছেলের জন্য বউ দেখার জন্য বাপ, ভাই বা দুলা ভাইরা যান অথচ ছেলে-মেয়ে পরস্পরকে দেখা ” সামাজিক ভাবে অন্য চোখে’ দেখা হয়। অথচ বাপ- ভাই বা দুলা ভাই কারো জন্যই মেয়েটি মাহরাম নয় এবং একজনের বিবাহের জন্য গায়েরে মাহরাম অন্য কেউ মেয়ে দেখতে যাওয়া ঠিক নয়। আমাদের সমাজে ছেলের জন্য বউ দেখতে গিয়ে বাপে বিবাহ করারও কিছু নজীর আছে। আমি মনে করি ছেলে- মেয়ের জীবন সংগী-সংগীনি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ইসলাম তাদেরকে যে অধিকার দিয়েছে তা খর্ব করা উচিৎ নয়। এই ক্ষেত্রে সঠিক সিদ্বান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে অভিভাকগণ গাইড করবেন তবে জোর করে কোন সিদ্বান্ত চাপিয়ে দিবেননা।



http://www.sonarbangladesh.com/blog/DaliaNuzha/75904



.পাশ্চাত্য সমাজে আদর্শ পরিবার নিয়ে কিছু ভাবনা-২

molana  abdullah nezami bhouiya


পাশ্চাত্য সমাজে আদর্শ পরিবার নিয়ে কিছু ভাবনা-২




(পূর্ব প্রকাশের পর)



ইসলামের পারিবারিক জীবনের লক্ষ্য ও পাশ্চাত্যের মুসলিম সমাজ



উপরি উক্ত আলোচনায় এই কথা পরিষ্কার যে ইসলামী পারিবারিক জীবনের অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে পারিবারিক জীবনে শান্তি ও তৃপ্তি। এই প্রসংগে আল্লাহ পাক সূরা আল-আরাফের ১৮৯ নম্বর আয়াতে



আল্লাহই তোমাদেও সৃষ্টি করেছেন একটি সাত্র প্রাণ থেকে এবং তারই প্রজাতি থেকে তার জুড়ি বানিয়েছেন। যাতে তার কাছে প্রশান্তি লাভ করতে পারে। তারপর যখন পুরুষ নারীকে ঢেকে ফেলে তখন সে হালকা গর্ভধারণ করে। তাকে বহন করে সে চলা ফেরা করে। গর্ভ যখন ভারি হয়ে যায় তখন তারা দুজনে মিলে এক সাথে তাদেও রব আল্লাহর কাছে দোয়া করেঃ যদি আমাদেও একটি ভাল সন্তান দাও তাহলে আমরা তোমার শুকর গোজারী করবো। কিন্তু যখন আল্লাহ তাদেরকে একটি সুস্থ- নিখুঁত সন্তান দান করেন, তখন তাঁরা তাঁর এ ও অনুগ্রহে অন্যদেরকে তাঁর সাথে শরীক করতে থাকে- আল আরাফ ১৮৯-১৯০। এই আয়াত থেকে পরিষ্কার যে ইসলামে পারিবারিক জীবনের লক্ষ্য হচ্ছে নারী-পুরুষের দৈহিক চাহিদা বৈধভাবে পূরণের মাধ্যমে লজ্ঝাস্থানের হেফাজত করা। হ্রদয়ে শান্তি ও তৃপ্তি এবং সন্তান সন্তুতি লাভের মাধ্যমে মানব বংশ বৃদ্ধি করা। রাসুলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই প্রসংগে ইরশাদ করেছেন , ÊÒæÌæÇ ÇáæáæÏ ÊäÇÓáæÇ ÝÇäí ãÈÇå Èßã ÇáÇãã íæã ÇáÞíãÉ-

;- এই হাদীসে এই কথা পরিষ্কার যে আল্লাহর রাসুল (সা) কিয়ামতের দিন তাঁর উম্মতের সংখ্যাধিক্য নিয়ে গর্ববোধ করবেন এই কারণে সন্তান বেশী হয় এমন বংশে বিবাহ করতে নিতে উৎসাহিত করেছেন।



আমরা এখন একটু চিন্তা করি, মুসলিম পরিবারগুলোতে কি যথার্থ অর্থে শান্তি বিরাজ করছে? এই প্রসংগে আমার মনে হয় এখনও মুসলিম পরিবারগুলো গর্ব করার মত অবস্থানে রয়েছে। কেননা পাশ্চাত্যের তুলনায় মুসলিম পারিবারিক জীবনের শান্তি, স্থিতিশীলতা অনেক গুণ বেশী। পাশ্চাত্যেও জনগণ বৈবাহিক জীবন যাপনের মাধ্যমে পারিবারিক জীবন গঠন করূক বা লীভ টুগেদার করূক না কেন উভয় ক্ষেত্রে তারা নিজেদের দৈহিক চাহিদা পূরণকেই প্রাধান্য দিচ্ছে। সন্তান-সন্তুতি গ্রহনের প্রতি তাদের মারাত্মক অনীহা রয়েছে। তারা শুধুমাত্র একটু আনন্দ উপভোগের জন্য একটি সন্তান নিতে চায় এবং এরজন্যও , ” পেট ভাড়া” করার প্রতি ঝুঁকছেন। অথচ মুসলমানেরা বৈদভাবে দৈহিক চাহিদা পূরণ ও বংশ বৃদ্ধির কাজ করছে। অতি সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক জরিপে , মুসলমানেরা বিশ্বের সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্মাবলম্বী হিসাবে পরিসংখ্যন প্রকাশিত হবার পর ভ্যাটিকান সিটির পোপ মন্তব্য করেছেন যে, ” মুসলমানেরা সন্তান বৃদ্ধিতে আগ্রহী আর খৃষ্টানরা সন্তান না নেয়ার প্রতি আগ্রহী। তাই মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে”। উপরিউক্ত বাস্তবতা সত্যেও মুসলমানদেরকে আত্মপর্যালোচনা করা দরকার যে, মুসলিম পারিবারিক জীবনে যেই ধরনের শান্তি থাকার কথা ছিল তা আছে কিনা? কি কারণে মুসলমানদের পারিবারিক জীবনে ভাংগন বা অশান্তি দেখা দেয়? মুসলমানেরা সন্তান গ্রহন ও সন্তান লালন-পালনে ইসলামের শিক্ষা কতটুকু অনুসরণ করছে? মহাগ্রন্থ আল-কুরআনের বলা হয়েছে স্বামী স্ত্রী পরস্পরের জন্য চক্ষু শীতলকারী ও আনন্দদায়ক হবে। এই ধরনের পারিবারিক জীবন কামনা করার জন্য আল্লাহ পাক দুআ শিখিয়ে দিয়েছেন। আমাদেরকে আত্ম পর্যালোচনা করতে হবে যে, স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে দেখলেই সত্যিই কি আনন্দিত হন না অজানা কোন আশংকায় ভুগেন ? কেননা মুসলিম পরিবারগুলোতেও নির্যাতন নিপীড়নের অনেক ঘটনা অহরহ সংঘটিত হচ্ছে।



আদর্শ পরিবার গঠনে করণীয়



আদর্শ পরিবার গঠন করতে হলে বিবাহের আগেই পরিকল্পনা নিতে হবে। রাসুলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন , মানুষ সাধারনত সম্পদ, বংশ মর্যাদা, সৌন্দর্য ও দ্বীনদারীর প্রতি আকৃষ্ট হয়ে বিবাহ করে। একজন মুসলমানকে দ্বীনদারীর প্রতিই গুরুত্ব দেয়া দরকার। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে অনেক সময় আমরা দ্বীনদারীর কথা বেমালুম ভূলে যাই। ইউরোপ-আমেরিকায় দেশ থেকে কাউকে আনার জন্য বা সম্পদের লোভের দ্বীনদারীর কথা ভুলে গিয়ে অনেক সময় ছেলে-মেয়েকে বিবাহ দিয়ে তাদের জীবনে সর্বনাশ ডেকে আনা হয়। এই দিকে অভিভাকদের খেয়াল রাখা উচিৎ। আবার কখনও কখনও শারীরিক সৌন্দয়তার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে চারিত্রিক সৌন্দর্যতাকে গৌণ করে দেখা হয়। এরফলে কিছুদিনের ব্যবধানে পরস্পরের মধ্যে চিন্তা ও আদর্শের দ্বন্ধ দেখা দেয়। ইসলাম সৌন্দর্য, ধন ও বংশ মর্যাদার প্রতি খেয়াল রাখতে নিষেধ করেনি; এক সাথে সবগুলো পেলে ভাল। কিন্তু মুসলমানদের একে অপরের জন্য বা ছেলে মেয়ের জীবন সংগী-সংগীণি তালাশ করার সময় ইসলামী আদর্শ ও চরিত্র কতটুকু আছে তার প্রতি গুরুত্ব দেয়ার কথা আল্লাহর রাসুল (সা) বলেছেন।



আদর্শ পরিবারগঠনে আরও কিছু করণীয়



১. পরস্পরের জন্য দুআ করাঃ



স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের জন্য দুআ করা উচিৎ। আল্লাহ তায়ালা কুরআনে কোন ভাষায় দুআ করতে হবে তাও শিখিয়ে দিয়েছেন।



২. পরস্পরের হক আদায় করাঃ



স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের অনেক হক রয়েছে। যেমন ক· শারীরিক চাহিদা পূরণ করা। অনেক সময় দেখা যায়, আয়-রোজগার নিয়ে এত বেশী ব্যাস্ততার মাঝে দুই জনের একজন সময় কাটান তার জীবন সংগী বা সংগীনির শারীরিক হক আদায় করার সময়ও খূজে পাননা। এরফলে তার মনের মধ্যে শয়তান ওয়াসওয়াসা দেয়া শুরু করে। শারীরিক হক আদায়ের জন্য শারীরিক ফিটনেস গুরুত্বপূর্ণূ। এইজন্য শারীরিক কোন সমস্যা হলে তার উপযুক্ত চিকিৎসা নেয়া জরূরী। খ· সময় দান- স্বামী-স্ত্রী পরস্পরকে সময় দান করা জরূরী। এইজন্য একত্রে খাওয়ার অভ্যাস করা, পারিবারিক বৈঠক করা প্রয়োজন।



৩. ইসলামী শরীয়তের অনুসরণ ও সামষ্টিক ইবাদতের পরিবেশঃ



আদর্শ পরিবার গঠন করতে হলে ঘরে ইবাদতের পরিবেশ বজায় রাখতে হবে। এই জন্য কুরআন তিলাওয়াত, নামায আদায়, ইসলামী কৃষ্টি ও কালচার এর অনুসরণের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। ইসলামী শরীয়তের অনুসরণের প্রতি দৃঢ়তা প্রদর্শন করতে হবে। ”কোন অবস্থাতেই হারাম রুজি গ্রহন করা হবেনা ” এই ধরনের সিদ্বান্তে পরিবারের সকলকে অটল ও অবিচল থাকতে হবে।



৪. জ্ঞান চর্চার পরিবেশঃ



ইসলামী পারিবারিক জীবন যাপন করতে হলে ইসলামের সঠিক জ্ঞান অর্জন করতে হবে। এই কারণে সহীহ ইলম অর্জনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।



৫. পারিবারিক ব্যাবস্থাপনাঃ



পরিবারের কাজগুলো সুন্দরভাবে ব্যবস্থাপনার জন্য পারিবারিক বৈঠকে পারিবারিক ডাইরী, দৈনন্দিন রুটিন, কর্মবন্টন, হোম ম্যানেজমেন্ট এর যাবতীয় পরিকল্পনা নেয়া জরূরী। এছাড়া পরামর্শ ভিত্তিক পারিবারিক কাজ করার অভ্যাস গড়ে তোলা আবশ্যক। এই কারণে আল্লাহ তায়ালা সন্তানের দুধপান ছাড়ার সময় সম্পর্কে সিদ্বান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের পরামর্শের ভিত্তিতে সিদ্বান্ত নেয়ার কথা উল্লেখ আছে। তবে এই ক্ষেত্রে স্বামী পরিবারের প্রধান হিসাবে একে অপরের প্রতি সন্মান ও মর্যাদা প্রদর্শন করা দরকার।



৬. স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের জন্য হচ্ছে লেবাস- (সূরা বাকারা ১৮২)।



কুরআনের এই ঘোষনার বাস্তব প্রতিফলন পারিবারিক জীবনে ঘটানো প্রয়োজন। এর অর্থ হচ্ছে পোশাক যেমনিভাবে গায়ের সাথে লেগে থাকে স্বামী-স্ত্রী অনুরপভাবে পরস্পরের মনের কাছা-কাছি থাকতে হবে। এই জন্য একে অপরকে ভালভাবে জানতে হবে; পরস্পরের চিন্তা-চেতনা ও রুচি অনুধাবন করেই সেইভাবে আচরণ করার চেষ্টা করতে হবে। পোশাক যেমনিভাবে শরীরের দাগ ঢেকে রাখে তেমনিভাবে স্বামী-স্ত্রী একে অপরের উপস্থিতি বা অনুপুস্থিতি কারো সামনে একে অপরের দোষ বর্ণনা করা ঠিক নয়। পোশাক যেমনিভাবে ব্যক্তি যেখানে যায় সেখানে সাথে থাকে। তেমনিভাবে কোন কারণে স্বামী-স্ত্রী ভৌগলিক দুরত্বে থাকলেও মনের আয়নায় একে অপরের কাছা-কাছি থাকতে হবে। অন্য কারো কথা বা চিন্তা মনের ভিতর যেন উঁকি না দেয় সেজন্য সদা সতর্ক থাকতে হবে।



৭. মানুষ হিসাবে পরস্পরের ভূল হওয়া স্বাভাবিক।



ভূল বুঝাবুঝি সৃষ্টি হলে রাগের মাথায় কোন কথা না বলে পরে শান্তভাবে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা দরকার। একে অপরের ভুলের জন্য একে অপরকে মাফ করে দেয়ার মানসিকতা রাখতে হবে। আবার সব সময় একজনই মাফ করবেন বা মাফ চাইবেন বিষয়টি যেন এ পর্যায়ে না থাকে। কোন বিষয়ে মতবিরোধ দেখা-দিলে মতের মিল সৃষ্টি করার জন্য পদক্ষেপ নেয়া আবশ্যক। এক্ষেত্রে উভয় পক্ষের অভিভাকদের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ।



৮. দুঃখ কষ্টে ধৈর্য ধারণ করা জরূরী।



এই ক্ষেত্রে পরস্পরের মনে আঘাত লাগে এমন কথা ও কাজ করা থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করা দরকার। একে অপরকে উপহাস করা, হেয় প্রতিপন্ন করা বা খোঁচা দিয়ে কথা বলা থেকে বিরত থাকা প্রয়োজন।



৯. পরস্পরকে মাঝে মধ্যে উপহার দেয়া উচিৎ।



এই ক্ষেত্রে কথার মাধ্যমেও উত্তম উপহার দেয়া যেতে পারে। রান্না-বান্না, ঘর গুছিয়ে রাখা বা কোন কাজ করার জন্য প্রশংসাসূচক একটি মন্তব্য হ্রদয় উজাড় করা ভালবাসার পথ প্রশস্ত করে। আবার একটি ছোট্ট মন্তব্য পরস্পরের মাঝে পাহাড়সম ব্যবধান সৃষ্টি করতে পারে।



১০. পরস্পরের আত্মীয়কে সন্মান ও মর্যাদা দেয়া উচিৎ।



কখনও কখনও দেখা যায় স্বামী-স্ত্রী একে অপরের পরিবারকে সহ্য করতে পারেনা। এরফলে তাদের বৈবাহিক জীবনে অশান্তি ও ঝগড়া লেগে থাকে। তাই সম্ভব হলে মাঝে মধ্যে পরস্পরের অত্মীয় স্বজনদাওয়াত দেয়া ভাল।



১১. পরস্পরের প্রতি সুধারনা পোষন করা আবশ্যক।



অনেক সময় দেখা যায় একজন যা ভাবেননা অপরজন তা ধারণা করে বসেন। এরফলে একে অপরের প্রতি রাগ ও ক্ষোভের জন্ম নেয়।



পারিবারিক জীবনে আল্লাহর রাসুলের (সা) কতিপয় উসওয়া



১. রাসুলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাহির হতে ঘরে ঢুকার আগে দুআ পড়তেন। কেননা দুআ না পড়লে অনেক সময় শয়তান সাথে সাথে ঘরে ঢোকে । একজন ব্যক্তি মাসনূন দুআ পড়ে সব কাজ করলে শয়তান সেক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করতে পারেনা।



২. আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘরে ঢুকে সালাম করতেন এবং হাসিমুখে কথা বলতেন।



৩. আল্লাহর রাসূলের হাদীস অনুযায়ী স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের প্রতি মায়া মমতা প্রদর্শন করা, একে অপরকে সময় দেয়া এবং শারীরিক হক আদায় করা নেকীর কাজ।



৪. রাসুলে কারীম (সা) বিভিণ্ন কাজের জন্য উম্মাহাতুল মুমীনদের প্রশংসা করতেন।



৫. এক সাথে খাবারের সময় মাঝে মধ্যে পরস্পরের মুখে খাবার তুলে দিতেন। আল্লাহর রাসুল (সা) বলেন, ” স্ত্রীর মুখে খাবার তুলে দেয়া সাদকার সওয়াব”।



৬. উম্মুহাতুল মুমীনদেরকে আদর করে ডাকতেন। রাসুলে কারীম (সা) হযরত আয়েশাকে আদর করে আয়েশ বা হুমাইরা ডাকতেন।



৭. আল্লাহর রাসুল (সা) একই সাথে পনানাহার করতেন। হাদীসে উল্লেখ আছে যে , কখনও কখনও আল্লাহর রাসুল গ্লাসের সেই পাশ দিয়ে পানি পান করতেন যে পাশে হযরত আয়েশা পানি পান করেছেন।



৮. আল্লাহর রাসুল ( সা)তিনি মাঝে মধ্যে ঘরের কাজে তথা রান্না-বান্নার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতেন।



৯. উম্মুহাতুল মুমীনগণ আল্লাহর রাসুল (স) আসার আগে ঘর গুছিয়ে রাখতেন এবং নিজেরা সুন্দর পরিচ্ছন্ন হয়ে থাকতেন। তিনি বাহির থেকে আসার শব্দ শুনলে দরওয়াজা খোলে মুচকি হেসে অভ্যর্থনা জানাতেন।



১০. হাদীসে আছে যে, হযরত আয়েশা গায়ের কোট খুলতে সাহায্য করতেন। আল্লাহর রাসুল (সা- ঘর থেকে বের হওয়ার আগে চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়িয়ে দিতেন এবং ঘর থেকে বের হতে কাপড় চোপড় প্রস্তুত করতে সাহায করতেন।



১১. একে অপরকে কখনও চিন্তিত দেখলে সংগ দিতেন এবং কিকারণে চিন্তিত তার কারণ জানার চেষ্টা করতেন।







আদর্শ পরিবার গঠনে আদর্শ সন্তান







আদর্শ পরিবার গঠনে সন্তান-সন্তুতিকে আদর্শ মানুষ রূপে গড়ে তোলার জন্য চেষ্টা করা পিতা-মাতার দইয়ত্ব। এই ক্ষেত্রে কয়েকটি কথা উল্লেখ করছিঃ



১. কুরআন ও হাদীস থেকে জানা যায় যে নেক সন্তানের জন্য আল্লাহর কাছে দুআ করা প্রয়োজন। সুরা ইবরাহীমে উল্লেখিত একটি দুআর ভাষা হচ্ছে , ”- হে আল্লাহ আমাকে এবং আমার সন্তান দিগকে নামায কায়েমকারীদের অন্তর্ভুক্ত করূন”। সন্তান জন্মগ্রহন করার আগে যেমনিভাবে দুআ করতে হয় তেমনিভাবে সন্তান জন্মগ্রহন করার পরও দুআ অব্যাহত রাখতে হয়। কেননা সন্তানের জন্য পিতা-মাতার দুআ আল্লাহ কবুল করেন।



২. সন্তান জন্মের পর সুন্দর ও অর্থবহ একটি নাম রাখা পিতা-মাতার দায়িত্ব। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় পিতা-মাতা আদর করে এমন নাম রাখেন পরবর্তীতে উক্ত নামে ডাকলে সন্তান লজ্জাবোধ করে।



৩. হালাল রুজি রোজগার থেকে সন্তান প্রতি-পালন করা। কেননা অবৈধ উপার্জনের একটি অনৈতিক প্রভাব ব্যাক্তির জীবনে পড়ে।



৪. ছোট বেলা থেকেই নৈতিক প্রশিক্ষন দান করার প্রতি গুরুত্ব দেয়া উচিৎ। ছেলে-মেয়েদের অন্যায় আবদার কৌশলে নিবারণ করতে হবে। এক্ষেত্রে অহেতুক বকুনী বা শাসন করা থেকে বিরত থাকা জরূরী। পাশ্চাত্যে যেসব শিশু জন্মগ্রহন করে তাদের মন- মানসিকতার প্রতি খেয়াল রেখেই তাদেরকে নৈতিক প্রশিক্ষন দিতে হবে। এই জন্য দ্বীনি শিক্ষায় আধুনিক উপায় উপকরণ ব্যবহার করা প্রয়োজন। কেননা তারা আধুনিক শিক্ষা যেই ধরনের আনন্দঘন পরিবেশে পায় আর দ্বীনি শিক্ষা অজূনে যদি উৎসাহিত না হয় তাহলে জোর করে বেশী দিন শিখানো যাবেনা।



৫. সন্তানের মৌলিক প্রয়োজন পূরণে অর্থ-খরচের মানসিকতা থাকতে হবে। অনেক পিতা-মাতা ব্যবসা-বানিজ্যে অঢেল সম্পদ ইনভেস্ট করে রাখেন কিন্তু সন্তানের মৌলিক প্রয়োজনে অর্থ খরচ করতে চাননা। এরফলে তাদের মধ্যে একধরনের নেতিবাচক মনোভাব গড়ে উঠে।



৬. ধুম পান ড্রাগসসহ সমাজের ক্ষতিকর জিনিস সম্পর্কে ধারনা দেয়া জরূরী। এই জন্য পিতা-মাতাকে ভাল বন্ধু জোগড়া করে দেয়া এবং ভাল বন্ধুর সাথে সময় ব্যয় করে কিনা তার খোঁজ খবর নেয়া দরকার।



৭. শারীরিক ও বুদ্ধি বৃত্তিক উতকর্ষতা সাধনের জন্য সহযোগিতা করা দরকার। সময়- সুযোগ অনুযায়ী বাহিরে নিয়ে যাওয়া এবং প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনে দেয়া দরকার।



৮. ঘরের মধ্যে ইসলামী পরিবেশ বজায় রাখাঃ ঘরের মধ্যে ইসলামী পরিবেশ বজায় না থাকলে যতই ইসলাম শেখানো হোক না কেন তারা বাস্তব জীবনে তা অনুসরণ করতে চাইবেনা। আমি লন্ডনে একটি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করার সময় একবার ছাত্রদেও কাছে জানতে চাইলাম ,ফজরের নামাজ সুর্য উঠার আগে কারা পড়ে? অল্প সংখ্যকই ইতিবাচক জবাব দেয়। সে সময় একজন ছাত্র আমাকে বলল, ” উস্তাদজী আমি জীবনেও আমার আব্বা-আম্মাকে নামায পড়তে দেখি নাই”। শিশূ-কিশোররা সব সময় লক্ষ্য করে তাদের পিতা-মাতা কিভাবে কথা বলে, কিভাবে চলে, কিভাবে একে অপরের সাথে ব্যবহার করে। তাই ছেলে সন্তানকে আদর্শ সন্তান হিসাবে গঠন করতে হলে পিতা-মাতাকে আদর্শের নমুনা পেশ করতে হবে।

(সমাপ্ত)







..নবী সা: এর বংশ পরিচিতি (আদম আ: পর্যন্ত

 m abdullah nezami  bhuiya
নবী সা: এর বংশ পরিচয়


নবী সা: এর বংশ ধারাকে তিন ভাবে ভাগ করা যায়। প্রথম অংশ মোহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সা: থেকে আদনান পর্যন্ত। এ অংশের নির্ভুলতার ব্যপারে সীরাত রচয়িতা ও বংশধারা বিশেষজ্ঞরা একমত।

প্রথমাংশের পরিচিতি :

১. মুহাম্মদ

২. আব্দুল্লাহ

৩. আব্দুল মুত্তালীব (শায়বা)

৪. হাশেম (আমের)

৫. আব্দুল মান্নাফ (মুগীরা)

৬. কুসাই (যায়েদ)

৭. কিলাব

৮. মাররা

৯. কাআব

১০. লুআই

১১. গালেব

১২. ফাহার (এর উপাধিই ছিল কুরাইশ এবং এর বংশীয় লোকেরা কুরাইশ বলে পরিচিত)

১৩. মালেক

১৪. নযর

১৫. কায়েস

১৬. কেনানা

১৭. খুজায়মা

১৮. মাদরেকা (আমের)

১৯. ইলিয়াস

২০. মোদার

২১. নাযার

২২. মায়াদ

২৩. আদনান।



নবী সা: এর বংশ পরিচয়ে দ্বিতীয় অংশের ব্যপারে সীরাত রচয়িতাদের মাঝে কিছু মতভেদ রয়েছে। কেউ সমর্থন কেউ মতভেদ আবার কেউ কেউ ভিন্নমত প্রকাশও করেছেন। এ অংশে রয়েছে আদনান থেকে ইব্রাহীম আ: পর্যন্ত পরিচিতি।

দ্বিতীয়াংশের পরিচিতি :

২৪. আওফ

২৫. হামিছা

২৬. সালামান

২৭. আওছ

২৮. পোজ

২৯. কামোওয়াল

৩০. উবাই

৩১. আওয়াম

৩২. নাশেদ

৩৩. হাজা

৩৪. বালদাস

৩৫. ইয়াদলাফ

৩৬. তারেখ

৩৭. জাহেম

৩৮. নাহেশ

৩৯. মাখি

৪০. আয়েয

৪১. আবকার

৪২. ওবায়েদ

৪৩. আদদায়া

৪৪. হামদান

৪৫. সুনবর

৪৬. ইয়াসরেবী

৪৭. ইয়াহাজান

৪৮. ইয়ালহান

৪৯. আরউই

৫০. তাই

৫১. যায়শান

৫২. আইশার

৫৩. আফনাদ

৫৪. আইহাম

৫৫. মাকছার

৫৬. নাহেছ

৫৭. জারাহ

৫৮. সুমাই

৫৯. মাযি

৬০. আওযা

৬১. আরাম

৬২. কায়দার

৬৩. ইসমাঈল

৬৪. ইব্রাহীম।



নবী সা: এর বংশ পরিচয়ের তৃতীয়াংশে কিছু ভুল থাকতে পারে। এ অংশে ইব্রাহীম আ: থেকে আদম আ: এর পরিচয় পাওয়া যায়।

তৃতীয়াংশের পরিচিতি :

৬৫. তারাহ (আযার)

৬৬. নাহুব

৬৭. ছারদা (সারুগ)

৬৮. রাউ

৬৯. ফালেজ

৭০. আবের

৭১. শালেখ

৭২. আরফাখশাদ

৭৩. সাম

৭৪. নূহ আঃ

৭৫. লামেক

৭৬. মাতুশালাখ

৭৭. আখনুখ (মতান্তরে ইদরিস আঃ)

৭৮. ইয়াদ

৭৯. মাহলায়েল

৮০. কায়নান

৮১. আনুশা

৮২. শীশ আঃ

৮৩. আদম আঃ।



[তথ্যসুত্র : ইবনে হিশাম, তালকীহে ফুহমে আহলুল আছার, রাহমাতুল লিল আলামীন, খোলাছাতুস সিয়ার, আর রাহীকুল মাখতুম- পৃষ্ঠা নাম্বার ৬৫]







;বাইবেলে নারীর স্বরূপ ও ইসলামে তার অবস্থান

mawlana  abdullah nezami

বাইবেলে নারীর স্বরূপ ও ইসলামে তার অবস্থান






বাইবেলে রয়েছে, " নারীরা কন্যা সন্তান জন্ম দিলে সন্তান প্রসবের পরে অপবিত্র থাকে ২ সপ্তাহ। পক্ষান্তরে পুত্র সন্তান জন্মদিলে অপবিত্র থাকে ৭ দিন বা এক সপ্তাহ। (লেভিটিকাস: ১২/২-৫)

আর ক্যাথলিক বাইবেলে পরিস্কারভাবে বলা আছে যে, "কন্যা সন্তান জন্ম হওয়া একটা ক্ষতি বা লোকসান"। (এক্সিলেসিয়াস্টিকাসঃ ২২/৩)

অপরদিকে ঐ সমস্ত পুরুষদেরকে প্রশংসা করেছে,"যে তার পুত্র সন্তানকে শিক্ষাদান করে এবং শত্রুরা তাতে ঈর্ষান্বিত হয়"। (এক্সিলেসিয়াস্টিকাসঃ ৩০/৩)





দেখুন! ইহুদী পন্ডিতের কার্যকলাপ। ইহুদী পন্ডিত ইহুদীদেরকে তাগিদ দিচ্ছে জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য, সাথে সাথে ছেলে সন্তানদেরকেপ্রাধান্য দিচ্ছে " তোমাদের জন্য পুত্র সন্তান জন্ম দেয়া হবে কল্যাণকর আর কন্যা সন্তান জন্ম দেয়া হবে অকল্যাণকর"। " সবাই পুত্রসন্তানের জন্মে খুশি হয় কিন্তু, কন্যা সন্তানের জন্ম হলে তারা চিন্তিত হয়"। " যখন পুত্র সন্তান জন্ম গ্রহণ করে তখন তা দুনিয়ায় শান্তি আসার কারণ হয় পক্ষান্তরে কন্যা সন্তানের জন্মে কিছুই হয় না"। [Swidler, op. cit., p. 140.]





কন্যা সন্তান তার পিতামাতার জন্য বোঝা এবং অপমানের কারণ হিসেবে পরিগণিত হয়।

"যদি তোমার কন্যা অবাধ্য হয় তাহলে সতর্ক থেক সে তোমার শত্রুদেরকে হাসাবে এবং সে এলাকাবাসীর গল্পের উপভোগ্য হয়ে তোমার জন্য অপমান ডেকে আনবে। (এক্সিলেসিয়াস্টিকাসঃ ৪২/১১)





অবাধ্য নারীর প্রতি তোমার কঠোর হওয়া আবশ্যক। অন্যথায়, তোমার নির্দেশ অমান্য করবে এবং ভূলের ভিতর দিনাতিপাত করবে। যখন সে তোমার অপমানের কারণ হয় তখন তুমি আশ্চর্য না হয়ে বরং বিচক্ষণতার পরিচয় দাও। (এক্সিলেসিয়াস্টিকাসঃ ২৬/১০-১১)

আর এমনটিই করেছিল জাহেলী যুগের কাফেররা। তারা কন্যা সন্তানদেরকে জীবন্ত কবর দিত। কুরআন তাদের এ কুকর্মকে কঠোরভাষায় তিরস্কার করেছে।





আল্লাহ বলেন: "অর্থাৎ, আর যখন তাদেরকে কন্যা সন্তান জন্মের সুসংবাদ দেয়া হয় তখন তার চেহারা কালো হয়ে যায় এবং অসহ্য মনোযন্ত্রনায় ভূগতে থাকে। তাকে শোনানো সুসংবাদের দুঃখে সে লোকদের থেকে মুখমন্ডল গোপন করে থাকে। সে ভাবে সে কি অপমান সহ্য করে তাকে দুনিয়ায় থাকতে দেবে নাকি তাকে মাটির নিচে পুতে ফেলবে। শুনে রাখ! তাদের কৃত ফয়সালা অত্যন্ত নিকৃষ্ট"। (সূরা নাহলঃ ৫৮-৫৯)



]

যদি কুরআনে এটাকে নিষিদ্ধ করা না হত, তাহলে এ নিকৃষ্ট কাজটি আজও দুনিয়ায় অব্যাহত থাকত। কুরআন শুধুমাত্র এ কাজটিকে নিষিদ্ধ করেই ক্ষান্ত হয় নি বরং কুরআন পুরুষ ও নারীর ভিতরে কোন পার্থক্যেরও সৃষ্টি করে নি। এটা বাইবেলের বিপরীত। কুরআনে কন্যা সন্তানের জন্মকে পুত্র সন্তানের মতই আল্লাহ তাআলার অনুগ্রহ ও বিশেষ দান হিসেবে গণ্য করেছে। প্রথমতঃ কন্যা সন্তানের জন্মকে কুরআন শরীফে আল্লাহ তাআলার নিয়ামত বা অনুগ্রহ হিসেবে বর্ণিত হয়েছে।





আল্লাহ বলেন: "অর্থাৎ, নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের রাজত্ব আল্লাহ তাআলারই। তিনি যাকে ইচ্ছা কন্যা সন্তান এবং যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন"। (সূরা আশ শুরাঃ ৪৯)

বিশ্বমানবতার মুক্তির দিশারী মুহাম্মদ (সাঃ) কন্যা সন্তানকে জীবন্ত কবর দেয়ার প্রচলনকে চিরতরে উৎখাত করার জন্য কন্যা সন্তানের লালন-পালন ও শিষ্টাচার শিক্ষাদানকারীকে সুমহান পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন।





রাসুল (সাঃ) বলেছেন: "যাকে কোন কন্যা সন্তান দিয়ে পরীক্ষায় ফেলা হয়েছে এবং সে তাদের সাথে ভাল ব্যবহার করেছে তারা তার জন্য জাহান্নাম থেকে পর্দা হয়ে থাকবে"। (বুখারী ও মুসলিম)





রাসুল (সাঃ) আরও বলেছেন: "যে দুইজন কন্যা সন্তানকে বয়ঃপ্রাপ্ত হওয়া পর্যন্ত লালন পালন করেছে সে আর আমি কিয়ামতের দিন এভাবে থাকব। অতঃপর তিনি তার আঙ্গুলি সমুহকে একত্রিত করলেন"। (মুসলিম)





রাসুলুল্লাহ (সাঃ) অন্যত্র বলেছেন: ‍যার গৃহে কন্যা সন্তান জন্ম গ্রহন করল, অতঃপর সে তাকে (কন্যাকে) কষ্টও দেয়নি, তার উপর অসন্তুষ্টও হয়নি এবং পুত্র সন্তানকে প্রাধান্য দেয়নি, তাহলে ঐ কন্যার কারনে আল্লাহ তাআলা তাকে বেহেশতে প্রবেশ করাবেন"। (মুসনাদে আহমদ: ১:২২৩)





রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন: " যে ব্যক্তির তিনটি কন্যা সন্তান হবে এবং সে তাদেরকে এলেম-কালাম, আদব-কায়দা শিক্ষা দিবে, এবং যত্নের সাথে প্রতিপালন করবে ও তাদের উপর অনুগ্রহ করবে, তারা তার জন্য জাহান্নাম থেকে আড়াল হয়ে থাকবে"। (সহীহুল জামে)







পানির বিস্ময়কর কিছু গুনাগুন ও হাদিসে রসুল সঃ সংযোজিত

m  abdullah nezami and bhoiyan

আমরা সকলেই জানি পানির অপর নাম জীবন কিন্তু কেউ কি কখনো ভেবে দেখেছি কি? যে কেন


পানির অপর নাম জীবন ?

পানি তৃষ্ণা মেটায়। শরীরের বেশিরভাগ অংশই পানি। এছাড়া কয়েকটি অবাক হওয়ার মতো কাজ করে পানি। যেমন-



(১) স্লিম রাখে : ওযন কমাতে চাইলে বেশি করে পানি পান করতে হবে। পানি অন্যান্য খাবারের পরিপাক ও শ্বসন (মেটাবলিজম) ত্বরান্বিত করে। একই সঙ্গে পানি খেলে পেট ভরে যায় বলে খাবার গ্রহণের পরিমাণ কমে যায়। ওযন কমানোর জন্য ঠান্ডা পানি বেশি কার্যকর। বরফঠান্ডা পানি খেলে মেটাবলিজম বাড়ে। কারণ এই ঠান্ডা পানিকে শরীরের তাপমাত্রায় আনতে শরীরকে বাড়তি কাজ করতে হয়। এতে ক্যালোরি ক্ষয় হয়, ওযন কমাতে যা সবচেয়ে বেশি দরকার।



(২) শক্তি জোগায় : শরীরে যখন ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্য হয়, তখন কোষগুলো পর্যাপ্ত পানি পায় না। ফলে পুরো শরীরটাই দুর্বল হয়ে পড়ে। পানি পেলে যেমন বাগানের গাছগুলো সজীব হয়, তেমনি শরীরও সজীব হয়। পানি কমে গেলে শরীরে রক্তের পরিমাণও কমে যায়। ফলে কোষে অক্সিজেন ও নুন (মিনারেল) কমে যায়। পানির পরিমাণ ঠিক থাকলে অক্সিজেন ও মিনারেল পেতে কোষের কোন সমস্যা হয় না।



(৩) মানসিক চাপ কমায় : মস্তিষ্কের ৮৫ শতাংশই পানি। যখন মস্তিষ্ক পানিশূন্য হয়, স্বাভাবিকভাবেই মস্তিষ্কের সকল কর্মকান্ডে ভীষণ চাপ পড়ে। তৃষ্ণা পেলেই বুঝতে হবে মস্তিষ্কে পানির ঘাটতি পড়েছে। কথায় বলে, ভয়ে গলা শুকিয়ে যায়। মানে হচ্ছে, ভয় পেলে মস্তিষ্ক তার স্বাভাবিক কাজ করতে পারে না, তৃষ্ণার মাধ্যমে শরীরকে জানিয়ে দেয় তার পানির প্রয়োজন। কোন চাপ অনুভূত হ’লেই, তা পরীক্ষা হোক বা ব্যবসা-চাকরির টেনশনই হোক, বেশি করে পানি পান করতে হবে। তাহ’লে চাপ কমে যাবে এবং মস্তিষ্ক কাজ করতে পারবে স্বাভাবিকভাবে।



(৪) শরীর গঠনে কাজ করে : শরীরের জয়েন্টেও পানি থাকে। পানি ঠিকমতো পেলেই মাংসপেশী কাজ করে। অতএব ক্রীড়াবিদ হোন বা ব্যায়ামবীর হোন মাংসপেশী সুগঠিত করতে চাইলে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।



(৫) ত্বক সুস্থ রাখে : কসমেটিক কোম্পানীগুলো ব্যবসা করে যাচ্ছে এই চিন্তাকে দূর করার কৌশল নিয়েই। বয়সের বলি রেখা কমানো, ত্বকের খসখসে ভাব দূর করা, রং ফর্সা করা, সারাদিন তরতাজা থাকা এসবের জন্য পানি কাজ করতে পারে সবচেয়ে বেশি। ত্বকের কোষ সুস্থ থাকলে এমনিতেই মানুষকে ফ্রেশ, সজীব দেখাবে। পানি ত্বকের পানিশূন্যতা কমায়। ত্বকের কোষকে পরিপূর্ণ রাখে। এতে মুখমন্ডল থাকে তরুণ।



(৬) হজমে সাহায্য করে : শাক-সবজি এবং আঁশযুক্ত খাবারের সঙ্গে প্রচুর পানি পান করতে হবে, তাহ’লে কোষ্ঠকাঠিন্য কমে যাবে। প্রচুর পানি খেলে হজমের পর খাবারের বর্জ্য অংশ সহজেই পানির সঙ্গে মিশে পায়খানা হিসাবে বেরিয়ে যায়। যখন শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়, শরীর অন্ত্রের মাধ্যমে পায়খানার সঙ্গে থাকা পানি শুষে নেয়, ফলে তৈরি হয় কোষ্ঠকাঠিন্য।







এ জন্যই বিশ্ব বরেন্য সকল ডাক্তার দের ডাক্তার ,



মহা পদ প্রদর্শক নবীকূল শীরমনি রাহমাতুল্লীল আলামীন বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ ছাল্লালাহূ আলাইহে ওয়াছালাল্লাম সূস্বাস্হ নিশ্চীত করনের লক্ষে অতী ভোজন না করতে উপদেশ প্রধান করেছেন ৷



এবং পেট কে ৩ ভাগে ভাগ করার জন্য বলেছেন , এক ভাগ পানি দ্বারা , ২য় খাদ্য দ্বারা , ৩য় খালি রাখার জন্য বলেছেন

আজকের বিজ্ঞানের যূগে বিশ্লেষন করতে গেলে মহানবীর কোন কাজ/কথা /অভ্যাস/উপদেশ বিজ্ঞান বহির্ভূত নয় .

অথচ মহানবীর সেই যূগে বিজ্ঞান নামক এ শব্দের ও কোন অস্তিত্ব ছিলনা,

তা সত্বেও সেই মরু অঞ্চলে লালীল-পালীত সেই নবীই উম্মীর জবান [মুখ] থেকে এ রকম আশ্চ্যার্য বিস্ময়কর বিজ্ঞান সন্মত তথ্য ভিত্তিত উপদেশাবলী প্রিয় নবীজি সাঃ এর রেসালত কে

আরও সূদৃঢ করে তুলতে সহায়তা করছে প্রাশ্চ্যাতের সমাজে . ৷



যার পরিপেক্ষিতে অনেক অমূসলীম বৈজ্ঞানীক /গবেষকের ইসলামের শীতল ছায়া তলে আসার সূভাগ্য হচ্ছে ৷এবং হবে , ৷





(৭) কিডনির পাথর প্রতিরোধ করে : পানি পরিমাণ মতো পান করলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি অনেক কমে যায়। বিশ্বজুড়ে কোল্ডড্রিংক্সের ব্যাপক বিস্তারের কারণে কিডনিতে পাথর হওয়ার হার বেড়েছে, পানি কম খাওয়ার কারণে। কিডনির পাথর আসলে এক ধরনের নুন ও মিনারেল, যা ক্রিস্টাল আকারে জমে পাথরের মতো হয়। প্রচুর পানি পান করলে এই নুন ও মিনারেল জমে গিয়ে ক্রিস্টাল তৈরি করতে পারে না।





মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১১

ধূমপান ছাড়ার উপায় [ সংকলিত

ধূমপান ছাড়ার উপায় abdullah nezami


.

তামাকগাছ এক সময় ভেষজ হিসেবে ব্যবহৃত হতো। মাথাব্যথা, ঠাণ্ডা, কাশির ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হতো। তামাকের ভেষজ ব্যবহার ছিল ষোড়শ শতকে। মেক্সিকোর টোব্যাকো (Tobacos) প্রদেশে এর ব্যবহার বেশি ছিল। তামাকের tobacco ইংরেজি শব্দটিও ওই প্রদেশের নামানুসারে। এক সময় এর পরিচিতি ছিল herbe sainte অথবা পবিত্র গাছ হিসেবে। ফ্রান্সে তখন গাছটি বেশ জনপ্রিয় ছিল (১৫৬৫)। নিকোট (Nicot) নামক এক ব্যক্তি গাছটিকে ফ্রান্সে পরিচিত করান বলে তার নামানুসারে গাছটির ফ্রান্সে নামকরণ হয় Nicotiane. পরবর্তী সময়ে তামাকের কার্যকরী উপাদানেরও নামকরণ করা হয় নিকোটিন (Nicotine).

নিকোটিন হেরোইনের চেয়েও ভয়াবহ। যদি আপনি ধূমপান করেন, তবে মাত্র ৬ সেকেন্ডের মধ্যে তা আপনার মস্তিষ্কে পৌঁছে যাবে, যা হেরোইনের চেয়ে দ্বিগুণ দ্রুত কাজ করে। এ জন্য বলা হয়, nicotine is wonderful drug. অথচ ড্রাগ হিসেবে হেরোইন নিষিদ্ধ। আইন প্রয়োগকারী সংস'া হেরোইন আটকে থাকে ত্রস্ত-ব্যস্ত। কিন' ধূমপান চলে প্রকাশ্যে। তামাক, জর্দা, বিড়ি, সিগারেট বিক্রি হয় যত্রতত্র। তামাকজাত দ্রব্য নিষিদ্ধ নয়। নিষিদ্ধ হচ্ছে হেরোইন। নিকোটিন হেরোইনের চেয়ে ভয়াবহ অসক্তি সৃষ্টি করলেও তা নিষিদ্ধ নয়। নিকোটিন সবচেয়ে ক্ষতিকর ড্রাগ বলে বর্তমানে চিহ্নিত। আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অন ড্রাগ এবিউস (National Institute on drug Abuse)-এর মতে Cigarette smoking is now the most serious and most widespread from of addiction in the world –even worse than heroinনিকোটিন সরাসরি আমাদের মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রে প্রভাব বিস্তার করে। ধূমপানের কারণে যে নিকোটিন আমাদের শরীর গ্রহণ করে, তা আমাদের হৃৎপিণ্ডের রক্তনালীকে সঙ্কুচিত করে। যার কারণে বুক ব্যথা ও হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। নিকোটিন মস্তিষ্কের রক্তনালীগুলোকে সঙ্কুচিত করে। ফলে ব্রেইন স্ট্রোক হয়ে থাকে। নিকোটিন শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। শরীরের রক্ত প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে। এ ধরনের আরো বহু প্রতিক্রিয়া নিকোটিনের কারণে ঘটে থাকে।





এ ছাড়া তামাকে থাকে চার হাজারেরও বেশি রাসায়নিক উপাদান, যার মধ্যে ১০০টি ক্যান্সার

=================================================

সৃষ্টি করতে পারে। তামাক দ্বারা শুধু যে ফুসফুসের ক্যান্সার হয়, তা কিন' নয়। কিডনি, পাকস'লী

=========================================================

, মুখগহ্বর, গলনালী, মলান্ত্র, জরায়ুমুখ এবং যোনিমুখের ক্যান্সারও সৃষ্টি করতে পারে তামাকজাত

=======================================================

দ্রব্য।





যারা ধূমপান করেন, তারা ধূমপানজনিত ক্ষতিকর বিষয় জানেন না এমন নয়। মূলত, ধূমপান এমন এক ধরনের আসক্তি সৃষ্টি করে, যার কারণে শত ইচ্ছা থাকলেও অনেকে ধূমপান ত্যাগ করতে পারেন না।



তাই কেউ যখন ধূমপান ছাড়ার চিন্তা করেন, তখন তাকে ধূমপানের ক্ষতিকর দিকগুলোকে ইতিবাচক বিবেচনায় মেনে নিতে হবে।



**ধূমপানজনিত রোগগুলোর ভয়াবহতা সম্পর্কে তার পরিষ্কার ধারণা লাভ করতে হবে।



***ধূমপান যে একটি বড় সামাজিক সমস্যা, তা তাকে উপলব্ধি করতে হবে।



*** তাকে আরো মেনে নিতে হবে যে, ধূমপান দ্বারা তিনি শুধু নিজেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন না, পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং আশপাশের লোকেরাও তার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।



****এখানে মনে রাখা দরকার, ধূমপান শুধু ধূমপায়ীকেই ক্ষতি করে না, বরং তার আশপাশের লোকেরা আরো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।



****সুতরাং এটা মনে করার কোনো কারণ নেই যে, যিনি ধূমপান করেন, শুধু তিনিই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাই সমাজের সব শ্রেণীর দায়িত্ব হচ্ছে- ধূমপান প্রতিরোধ করা।





ধূমপান ত্যাগ করার জন্য কয়েকটি উপদেশ :





(ক) প্রথমেই নিজেকে একজন অধূমপায়ী হিসেবে চিন্তা করুন।

(খ) ধূমপানের সমস্যাগুলো ইতিবাচকভাবে মেনে নিন।

(গ) ধূমপানের সমস্যাগুলো বন্ধুবান্ধবের সাথে আলোচনা করুন।

(ঘ) ধূমপানের ইচ্ছা ত্যাগ করুন। ধূমপানের ইচ্ছা হলে অন্য কাজে মনোযোগ দিন।

(ঙ) ধূমপানের সময়গুলো চিহ্নিত করুন এবং ওই সময়ে ভিন্ন কিছু করার চিন্তা করুন।

(চ) ধূমপানের ইচ্ছা হলে ইচ্ছামতো ফলফলাদি খান।

(ছ) ভিটামিন-সি জাতীয় জিনিস বেশি বেশি খান।

(জ) মনটাকে সব সময় ইতিবাচক চিন্তার অনুসারী করুন। ।





الرحيم

--------------------

آخى المدخن لحظه من فضلك

------------------------

الحمد لله وحده والصلاة والسلام على من لانبى بعده اما بعد----

*فقد اجمع علماء في البلد الحرام المباركة على حرمة التدخين---

واستدلوا على ذالك بكثير من أدلة الكتاب والسنة – منها قوله تعالى ----- ويحل لهم الطيبات ويحرم عليهم الخبائث – الأعراف الآية 157

ولا يشك احد من العاقل البالغ في خبث الدخان -------------------

وقوله تعالى --------------------------------------------------------

ولاتلقوا بأيديكم إلى التهلكة ---- البقرة الآية –195

وقوله تعالى ------------------------------------------------------

ولا تقتلوا أنفسكم إن الله كان بكم رحيما ----- النساء – الآية 29



وقد أثبتت الدراسات والتجارب الطبية آن التدخين مهلك وقاتل ولو على المدى البعيد---------------------------------------------------

------------------ وقول النبي صلى الله عليه وسلم --------------

 لا ضرر ولا ضرار – رواه احمد -------- والدخان ضرر على النفس والأسرة والمجتمع والأمة بأسرها-------------







أولا---- من أضرار التدخين على الجهاز التنفسي

----------------------------------------------

*** الإصابة بسرطان الرئة والحنجرة- والتهاب الرئة المزمن-

***بمرض السل الرؤى – والربو المزمن -

*** الاصابة بضيق التنفس – والالتهاب الشعبي المزمن



ثانيا --- من أضرار التدخين على جهاز العصبي

--------------------------------------------------

***-----------الاصابة –بمرض الأرق والتوتر

*** -- ضعف الأعصاب المؤدى إلى شلل الأعصاب

***---------- -- سرعة الغضب – والعصبية الزائدة

***-- -------- ضعف الذاكرة – ووهن النشاط الذهني

*** --- ضعف حاستي- الشم والذوق لأنه رائحة الدخان يظهر من الفم والجسم والثياب ولكن ما عندهم إحساس ---

*** ------------------- ضعف البصر والتهاب الجفون



ثالثا ---- من إضرار التدخين على القلب والجهاز الدوري

--------------------------------------------------------

***--- زيادة ضربات القلب –

*** ---- تصلب الشرايين وارتفاع ضغط الدم

****----- جلطات القلب والأوعية الدموية للمخ

****----- اضطراب الدورة الدموية في الأطراف

**** ----- الاصابة بالذبحة الصدرية والتهاب الشريان

التاجي





رابعا – من اضرارالتدخين على الجهاز الهضمي

---------------------------------------------

*** -- الاصابة بسرطان الفم والبلعوم والمريء والبنكرياس ----

****----------الاصابة بقرحة المعدة والاثنى عشر

**** ---------- الاصابة بمرض الضمور الكبدي



***** --- فقدان الشهية –والوهن - والضعف العام –



خامسا --- من أضرار التدخين على جهاز البولي

----------------------------------------------

***-- الاصابة بسرطان المثانة- وقرحة المثانة

***---- الاصابة بسرطان الكلى - والتسمم البولي



هل تصدق

-----------

**** أن الوفيات الناتجة عن التدخين في كل عام أكثر من الوفيات الناتجة عن جميع الأمراض الفتاكة مجتمعة –

****--- إذا كانت القنبلة الذرية التي ألقيت على يابان فتكت ب 260000 شخص فان التدخين يفتك كل عام بثلاثة ملايين شخص واه على العجب من المدخنين

*****--- ان السيدات والسادة: أن السيجارة الوحدة تحتوى على ما يقرب من 600 مركب كيماوي منها 40 مركبا يسبب مرض السرطان

**** إن في المائة سبعون شخص من 50 مليون مدخن في الولايات المتحدة حاولوا الإقلاع عن التدخين فمتى تحاول أنت يا عبد الله آخى المسلم الإقلاع عن التدخين – الست أحق بذالك منهم







كتبه --- عبد الله نظامي بنغلاديش
المملكة العربية السعودية

25/12/1430 هجرية







;যিনার শাস্তি কার্যকর করার শর্তাবলী: যিনার শাস্তি কার্যকর করতে হলে কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে নচেৎ শাস্তি কার্যকর করা যাবে না।

এম. আবদুল্লাহ নিজামী ভূঁইয়া




অনেকেই ইসলামের বিভিন্ন বিধান নিয়ে সমালোচনা করেন। কেউ কেউ সুযোগ পেলে ইসলামের বিধানকে বর্বর বলে চালিয়ে দেন।

কেউ কেউ সমাজে বিভ্রান্তি ছড়াতে চান। জুলিয়া বিনতে খানম নামের একজন ব্লগার আফগানিস্তানে মা ও মেয়েকে পাথর ছুঁড়ে হত্যার ব্যাপারে জানতে চেয়েছেন- বিষয়টি ইসলামসম্মত হয়েছে কি-না?



এখানে দুটি বিষয় লক্ষনীয়:



এক. যারা এ কাজটি করেছে তারা এটি করার ক্ষমতা রাখেন কিনা?



দুই. শরীয়ত বহির্ভূতভাবে নারী-পুরুষ শারীরিক মিলন করলে তার বিধান কি?



জবাব:

এক.

ইসলামের দৃষ্টিতে কোন বিধান কার্যকর ক্ষমতা কেবল সরকারকেই দেয়া হয়েছে। কোন ব্যক্তি ইচ্ছা করলেই অপরের উপর এ ধরণের কোন দন্ড কার্যকর করতে পারে না।

উপরের ঘটনায় যারা দন্ড কার্যকর করেছেন তারা সরকারের কোন লোক নন তাই তাদের এ কাজ শরীয়ত সম্মত হয়নি। এছাড়া একটি দন্ড কার্যকর করতে অনেক শর্ত পূরণ করতে হয় তা এখানে পূরণ হয়েছে কিনা সেটি একটি বড় প্রশ্ন।



দুই.

শরীয়ত বহির্ভূতভাবে নারী-পুরুষ শারীরিক মিলন (যিনা) করলে তার বিধান হচ্ছে-

ক. অবিবাহিত হলে বেত্রাঘাত।

দলীল: 'ব্যভিচারিণী নারী ব্যভিচারী পুরুষ; তাদের প্রত্যেককে একশ করে বেত্রাঘাত কর।' সুরা নুর আয়াত ২।

খ. বিবাহিত হলে রজম অর্থাৎ পাথর ছুড়ে হত্যা করা।

দলীল:

উবাদাহ ইবনুস সামিত এর হাদিস:

والثيب بالثيب جلد مائة والرجم

অর্থাৎ- বিবাহিতের শাস্তি বেত্রাঘাত ও রজম। (সহীহ মুসলিম, হাদসি নং: ১৬৯০)





বেত্রাঘাত ও রজমের মধ্যে কোন বিরোধ নেই। কুরআনের আয়াত দ্বারা শুধু অবিবাহিত নর-নারীর যিনার বিচার সাব্যস্ত হয়েছে। আর নবী স. ও তাঁর সাহাবাগণ বিবাহিত যিনাকারীদের শাস্তি হিসেবে রজম দিয়েছেন। নবী স. নিজেই অনেকগুলি রজমের দণ্ড কার্যকর করেছেন।



হযরত মইয ইবনে মালিক আল আযলামী, গামিদ গোত্রের জনৈকা মহিলা, ও দু ইয়াহুদীকে রাসূল স. কতৃক রজমের দণ্ড প্রদান করার ঘটনা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।





এ প্রসঙ্গে হযরত উমর রা. এর একটি কথা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।



তিনি বলেন: ‍"আল্লাহ তায়ালা মুহাম্মদ স. কে সত্য সহকারে পাঠিয়েছেন। তাঁর প্রতি কিতাব অবতীর্ন করেছেন। সে অবতীর্ণ বিষয়াবলীর মধ্যে রজমের আয়াতও ছিল। আমরা তা পড়েছি এবং তা সংরক্ষণও করেছি। স্বয়ং রাসূলও রজমের দণ্ড দিয়েছেন। পরে আমরাও তা করিয়েছি। আমার আশঙ্কা হচ্ছে, সময়ের ব্যবধানে লোকেরা হয়ত বলবে, আল্লাহর কিতাবে আমরা রজমের আয়াত পাচ্ছি না। এভাবে তারা আল্লাহর নির্ধারিত ফরজ ত্যাগ করে পথভ্রষ্ট হবে। মনে রেখ, রজম আল্লাহর কিতাবেরই বিধান। বিবাহিত নার-পুরুষ যিনা করলেই তা কার্যকর হবে। তিনি আরো বলেন, আল্লাহর শপথ! উমর আল্লাহর কিতাবে বৃদ্ধি করেছে লোকেরা এ কথা বলে বেড়াবে- এ আশঙ্কা না হলে আমি অবশ্যই কুরআনে আয়াতটি লিখে দিতাম" (আবু দাউদ, ৪৪১৮)







চার মাযহাবের সকল ইমামই বিবাহিত যিনাকারীদের শাস্তি রজমের উপর ঐক্যমত হয়েছেন।

এ বিধানের উপর উম্মতের ইজমা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।



কেউ কেউ বিবাহিত যিনা কারীকে পাথর ছুড়ে মারা মানবিক নয় বলে আখ্যা দেন।



আসলে আল্লাহর সব বিধানই মানবের কল্যাণের জন্য।ইসলাম ন্যাচারাল ধর্ম। যৌন ক্ষুধা মানুষের সহজাত বিষয়। ইসলাম প্রত্যেক মানুষের যৌন ক্ষুধা মেটানোর বৈধ পথও বাতলিয়ে দিয়েছে। সেটি হচ্ছে শরয়ীভাবে বিবাহ। বিবাহের মাধ্যমে একজন নারী-পুরুষ তাদের প্রয়োজনীয় হাজত পূরণ করতে পারেন।



একজন বিবাহিত নর অথবা নারী যিনা করলে সমাজের বিশাল ক্ষতি হতে পারে। যেমন: সংসার ভেঙ্গে যেতে পারে, খুনাখুনি হতে পারে, বিবাহ বিচ্ছেদের ফলে সন্তানাদিদের ভবিষ্যৎ হুমকির মধ্যে পড়তে পারে। তাই বিবাহিত যিনাকারীদের শাস্তিটা একটু কঠিন যাতে মনের ভূলেও কেউ এই পথে না আসে। তাছাড়া যিনি বিবাহের মাধ্যমে বৈধ যৌনতার স্বাদ পেলেন তিনি কেন এরকম অবৈধ কাজ করবেন এবং ফেতনা সৃষ্টি করবেন?







এই অবৈধ কাজ করার ফলে ইসলামী সরকার যদি তার বিচার শরীয়া আইন অনুযায়ী করেন তাহলে সমাজের অন্য মানুষেরা শিক্ষা পেয়ে যাবেন।



যিনার শাস্তি কার্যকর করার শর্তাবলী: যিনার শাস্তি কার্যকর করতে হলে কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে নচেৎ শাস্তি কার্যকর করা যাবে না।



শর্তগুলি হচ্ছে-

১. উভয়কে মুসলিম হতে হবে।

২. প্রাপ্ত বয়স্ক ও সুস্থ মস্তিস্ক হতে হবে।

৩. পুরষাঙ্গ নারীর জননেন্দ্রিয়ে প্রবিষ্ট করা।

৪. যিনার নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে জানা থাকা।

৫. স্বেচ্ছায় হতে হবে, জোরপূর্বক হলে চলবে না।

৬. ইসলামী রাষ্ট্রে যিনা হওয়া।

৭. যিনাকারীকে বাকশক্তিসম্পন্ন হতে হবে।

৮. জীবিত মহিলার সাথে যিনা হওয়া।

৯. দুজনের একজন পুরুষ আরেকজন নারী হওয়া।

১০. সন্দেহমুক্ত হওয়া



যিনা প্রমাণের পদ্ধতি:





১. মৌখিক স্বীকৃতি: যারা যিনা করেছে তারা যদি নিজেরাই যিনা করার কথা স্বীকার করে তাহলে যিনা প্রমাণিত হবে। তবে সেখানেই শর্ত রয়েছে।

শর্তগুলি হচ্ছে-



ক. প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া

খ. সুস্থ বিবেক থাকা, পাগল না হওয়া।

গ. বাকসম্পন্ন্ হওয়া

ঘ. পূর্ণ স্বাধীনতা থাকা।







২. স্বীকারোক্তির কিছু শর্ত:



ক. চার চার বার স্বীকার করা।

খ. ভিন্ন ভিন্ন এজলাসে স্বীকারোক্তি দেয়া।

গ. বিচারকের এজলাসে স্বীকারোক্তি করা।

ঘ. স্বীকারোক্তি স্পষ্ট হওয়া।

ঙ. স্বীকারোক্তির উপর অটল থাকা।



৩. সাক্ষীদের মাধ্যমে যিনা প্রমাণ: এখানেও কিছু শর্ত আছে-





ক. সাক্ষীদেরকে মুসলিম হতে হবে।

খ. বয়ঃপ্রাপ্ত হতে হবে।

গ. ন্যায় পরায়ন হতে হবে।

ঘ. সাক্ষেদের পুরুষ হতে হবে।

ঙ. সাক্ষীদের সংখ্যা চার হতে হবে।

চ. সাক্ষীদেরকে বাশক্তি সম্পন্ন হতে হবে।





সাক্ষ্যের সাথে সংশ্লিষ্ট কিছু শর্ত:





ক. চারজন সাক্ষীর সাক্ষ্য একই মজলিসে হতে হবে।

খ. সাক্ষীদের সাক্ষ্য স্পষ্ট হতে হবে।

গ. সাক্ষ্য মৌলিক হতে হবে। অর্থাৎ প্রত্যক্ষদর্শী হতে হবে।

ঘ. প্রত্যেকের সাক্ষে মিল থাকতে হবে।



উল্লেখিত শর্ত পাওয়া গেলেই কেবল যিনার শাস্তি কার্যকর করা যায়। কেউ চাইলেই মনগড়াভাবে করতে পারেন না।



লেখাটি দীর্ঘ হওয়ার ভয়ে দলীলগুলো দেয়া হল না। আশাকরি যারা নাস্তিকদের কথায় বিভ্রান্ত হচ্ছেন এখন আর হবেন না।



ইসলাম বর্বর ধর্ম নয়। বর্বর নয় এর বিধানও। ইসলাম বিরোধীরা একে বর্বর বলে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। আমরা তাতে ভায়াস্ট হচ্ছি।



প্রিয়া বন্ধুরা! সারাবিশ্বে আমরিকা ও তার দোসররা অসংখ্য বর্বর কান্ড করে যাচ্ছে। সেগুলি কিন্তু বিবিসি ফলাও করে প্রকাশ করে না। প্রকাশ করলেও এমনভাবে রিপোর্ট করে তাতে আমরিকার দোষ ফুটে উঠে না। কিন্তু মুসলমানরা পাছা দিয়ে একটু বায়ু ছাড়লেও তাকে তারা বোমা বানিয়ে ছাড়ে। আমরাও ওদের রিপোর্ট দেখে বিভ্রান্ত হই। সত্য মিথ্যা যাচাই করি না।



এ সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন:

ড. আহমদ আলী, ইসলামের শাস্তি আইন, বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার। ঢাকা।









সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১১

;মুসলিম বিজ্ঞানীদের নামের তালিকা

এম   আবদুল্লাহ ভূঁইয়া এন্ড নিজামী 

http://www.sonarbangladesh.com/blog/DaliaNuzha/62243


জ্যোতির্বিজ্ঞান:


আনুশাহ আনসারী।

আল মারওয়াজী।

আমীর আনসারী।

আল নাইরিযী।

ইয়াকুব ইবনে তারিক।

আল সাঘানী।

ইবরাহীম আল ফাজারী।

আল ফারঘানি।

নাউবাখত।

আবূ নাসর মানসূর।

আল খাওয়ারিজমি (গণিতবিদ)

আবূ সাহল আল কুহি।

জাফর ইবনে মুহাম্মাদ আবু মা’শার আল বাখী।

আবূ মুহাম্মাদ আল খুজানদি।

আল ফারঝানী।

আবূ আল ওয়াফা আল বাঝজানি।

বনু মূসা (বিন মুসা) ইবনে ইউনূস।

জাফর মুহাম্মাদ ইবনে মুসা ইবনে শাকীর।

খালিদ ইবনে ইয়াজিদ।

আহমাদ ইবনে মুসা ইবনে শাকীর।

ইবনে আল হাইসাম (আল হাসেন)।

আল হাসান ইবনে মুসা ইবনে শাকীর।

আবূ রায়হান আল বিরুনী।

আল মাজরিতি।

তালগাত মুসাউবায়েভ।

মুহাম্মাদ ইবনে জাবির আল হারানী আল বাতানী (আলব্যাটেনিয়াস)

আবূ ইসাখ ইব্রাহীম আল যারকালি।

আল ফারাবী (আবূ নাসের)

ওমর খঈয়াম।

আব্দুল্লাহ আর রাহমান আস সুফী।

আল খাযিনী।

আবূ সাঈদ গরগানি।

ইবনে বাজ্জাহ।

খুশাঈর ইবনে লাব্বান।

ইবনে তোফায়েল।

আবূ জাফর আল খাযিন।

নূরউদ্দীন আল বিত্রগি।

আল মাহানী। আভিররস।

আল জাযারী।

সুলতান নুরুন্নাহার (specialist in atomic astrophysics and spectroscopy)

শারাফ আদ দীন তুসি।

সুলতান বিন সালমান বিন আব্দুল আযীয আস সাউদ।

আনভারী।

মুহাম্মাদ ফারিস।

ময়ীদ্দীন উরদী।

আব্দুল আহাদ মুহাম্মাদ।

নাসির আদ দীন তুসি।

কুতুবুদ্দীন আস সিরাজী।

উলূঘ বেগ (গণিতবিদ।

ইবনে শাতির।

আহমদ নহভানদি।

শামসুদ্দীন আস সামারকান্দী।

হেলী আবিনরাজেল।

জামসেদ আল কাশী।

আবূল ফজল হারায়ী।

ফারুখ আল বায ((NASAর Scientist যিনি প্রথম চাঁদে অবতরণের সময় Apollo Program-3 -এর সাথে জড়িত ছিলেন।

কারীম কারীমভ (সোভিয়েত স্পেস প্রোগ্রাম এর প্রতিষ্ঠাতা এবং স্পেস ফ্লাইট Vostok 1 এর স্থপতীদের নেতা। এছাড়াও তিনি Salyut and Mir 1-2 নামক স্পেস স্টেশন এর স্থপতিদের নেতা।

তাকী আদ দীন মুহাম্মাদ ইবনে মা’রূফ।



রসায়ন:

খালিদ ইবনে ইয়াজিদ।

ইবনে সীনা

জাফর আস সাদিক।

সলিমুজ্জামান সিদ্দিকী

জাবির ইবনে হাঈয়ান (Geber, Father of Chemistry)

আহমেদ এইচ যিওয়ালী (Nobel Prize in Chemistry, 1999)

আব্বাস ইবনে ফিরনাস (Armen Firman)

মোস্তফা আল সাঈদ

আল কিনদি।

আসাদ ফারাজ।

আল মাজরিতি।

আল খাযিন

ইবনে মিসকাওয়াহ।

আবূ রায়হান আল বিরুনী।

ইবনে খালদুন।



অর্থনীতি ও সমাজ:

আবূ হানিফা আন-নূ’মান (৬৯৯-৭৬৭।

ইবনে তাঈমিয়া (১২৬৩-১৩২৮)

আবূ ইউসূফ (৭৩১-৭৯৮)

ইবনুন নাফিস (১২১৩-১২৮৮)

ইসহাক বিন আলী আর রাহী ৮৫৪-৯৩১

আল মাকরিযী (১৩৬৪-১৪৪২

আল ফারাবী (৮৭৩-৯৫০)

আখতার হামিদ খান Pakistani social scientist; pioneer of microcredit

আল সাঘানী one of the earliest historians of science (মৃত্যু ৯৯০)

মুহাম্মাদ ইউনূস Nobel Prize winner Bangladeshi economist; pioneer of microfinance.

শামস আল মো’আল্লী আবূল হাসান ঘাবূস ইবনে ওয়াশমগীর (মৃত্যু ১০১২)

মাহবুব উল হক Pakistani economist; developer of Human Development Index and founder of Human Development Report[18][19]

আবূ রায়হান আল বিরুনী considered the "first anthropologist"[9] and father of Indology[10] (973-1048)

ইবনে খালদুন forerunner of social sciences[11] such as demography,[12] cultural history,[13] historiography,[14] philosophy of history,[15] sociology[12][15] and economics[16][17] (1332-1406)

ইবনে সীনা (৯৮০-১০৩৭)

আল মাওয়ারদী (১০৭৫-১১৫৮)

ইবনে মিসকাওয়াহ (জন্ম ১০৩০)

নাসিরুদ্দীন আত তুসী (১২০১-১২৭৪)

আল গাযেল (১০৫৮-১১১১)

আল মাওয়ারদী (১০৭৫-১১৫৮)



ভূগোল:

আল মাসূদী (the "Herodotus of the Arabs", and pioneer of historical geography [20]

আল কিন্দী (pioneer of environmental science [21]

আল তামিনি।

আল মসিহি।

আলী ইবনে রেদওয়ান।

মুহাম্মাদ আল ইদ্রিসি (also a cartographer)

আহমদ ইবনে ফাদলান।

আবূ রায়হান আল বিরুনী (father of geodesy, [9][12] considered the first geologist and "first anthropologist"[9]

অভিসিন্না।

আব্দুল লতিফ আল বাগদাদী।

আভাররুস।

ইবনে আল নাফিস।

ইবনে বতুতা।

ইবনে খালদুন।

পিরি রেইস।

ইভিলিয়া সিলিবি।

জঘলুল আল নেগার।



গণিত:

আল হাজ্জাজী ইবনে ইউসূফ ইবনে মাতার।

খালিদ ইবনে ইয়াজিদ।

মুহাম্মাদ ইবনে মূসা আল খাওয়ারিজমি। (Algorismi) - father of algebra[22] and algorithms[23]

আব্দুল হামিদ ইবনে তুরক।

আবূ আল হাসান ইবনে আলী আল কলাসাদি। (1412–1482), pioneer of symbolic algebra[24]

আবূ কামিল সুজা ইবনে আসলাম।

আল আব্বাস ইবনে সাঈদ আল জাহিরী।

আল কিন্দি।

বনু মূসা।

আল মাহানী।

আল হাসান ইবনে মূসা ইবনে শাকির।

জাফর মুহাম্মাদ ইবনে মূসা ইবনে শাকির।

আহমেদ ইবনে ইউসূফ।

আল মাজরিতি।

মুহাম্মাদ ইবনে জাবির আল হারানি আল বাতানি।

আল ফারাবী।

আল খলিলী।

আল নাঈরিযী।

আবূ জাফর আল খাযিন।

আবূল হাসান আল উকলিদিসী।

আল সাঘানী।

আবূ সাহল আল কুহী।

আবূ মুহাম্মাদ আল খুজানদি।

আবূ আল ওয়াফা আল বায়জানি।

ইবনে সাহল।

আল সিজ্জি।

ইবনে ইউসুন।

আবূ নাসর মানসূর।

কুশাঈর ইবনে লাব্বান।

আল কারাজি।

ইবনে আল হাইসাম।

আবূ রায়হান আল বিরুনী।

ইবনে তাহির আল বাগদাদী।

আল নাসায়ী।

আল জাঈয়ানি।

আবূ ইসহাক ইব্রাহীম আল যারকালী।

আল মু’তামান ইবনে হুদ।

ওমর খৈয়াম।

আল খাজিনী।

ইবনে বাজ্জাহ।

আল গাযেল।

আল মাররাকুশি।

আল সামাওয়াল।

আভাররস।

ইবনে সিনা।

হুনায়ন ইবনে ইসহাক।

ইবনে আল বান্না।

ইবনে আল সাতির।

জাফর ইবনে মুহাম্মাদ আল মা’সার আল বখী।

জামসেদ আল কাশি।

কামাল উদ্দীন আল ফারিসী।

মুহিউদ্দীন আল মাগরিবী।

মরিয়াম মিরযাখানী।

ময়িদ্দীন উরদী।

মুহাম্মাদ বাকির ইয়াযদি।

নাসিরুদ্দীন তুসী। ((13th century Persian mathematician and philosopher)

কাজী জাদা আল রুমি।

কুতুন আদ দীন আল সিরাজী।

শামসুদ্দীন আস সামারকান্দী।

শারফুদ্দীন আত তুসি।

তাকী উদ্দীন মুহাম্মাদ ইবনে মা’রূফ।

উলূঘ বেগ।

লতফি আসকার জেদ্দা। Azerbaijanian computer scientist; founder of Fuzzy Mathematics and fuzzy set theory[25][26]

কামরুন ভাফা।



জীববিজ্ঞান, স্নায়ুবিদ, মনোবিজ্ঞান:

ইবনে শিরিন। 654–728), author of work on dreams and dream interpretation[27]

আল কিন্দী। Alkindus), pioneer of psychotherapy and music therapy[28]

আলী ইবনে সাহল রাব্বান আল তাবারি। pioneer of psychiatry, clinical

psychiatry and clinical psychology[29]

আহমেদ ইবনে সাহল আল বলখি। pioneer of mental health,[30] medical

psychology, cognitive psychology, cognitive therapy, psychophysiology and psychosomatic medicine[31]

নাজাবুদ্দিন মুহাম্মাদ। pioneer of mental disorder classification[32]

আল ফারাবি। Alpharabius), pioneer of social psychology and consciousness studies[33]

আল ইবনে আব্বাস আল মাজুসি। (Haly Abbas), pioneer of neuroanatomy,

neurobiology and neurophysiology[33]

আবূ আল কাসিম আল যাহরায়ী। (Abulcasis), pioneer of neurosurgery[34]

ইবনে আল হাইসাম। founder of experimental psychology,

psychophysics, phenomenology and visual perception[35]

আবূ রায়হান আল বিরুনী। pioneer of reaction time[36]

ইবনে সীনা।

pioneer of physiological psychology,[32] neuropsychiatry,[37]

thought experiment, self-awareness and self-consciousness[38]

ইবনে জোহরা। (Avenzoar), pioneer of neurology and neuropharmacology[34]

অভিররস। (pioneer of Parkinson's disease[34]

ইবনে তোফায়েল। pioneer of tabula rasa and nature versus nurture[39]

মীর সাজাদ। Neuroscientist and pioneer in neuroinflammation and

neurogenesis.[40][41]



চিকিৎসা বিজ্ঞান:

খালিদ ইবনে ইয়াজিদ।

জাফর আস সাদিক।

শাপুর ইবনে সাহল। (d. 869), pioneer of pharmacy and pharmacopoeia[42]

আল কিন্দি। (Alkindus) (801-873), pioneer of pharmacology[43]

আব্বাস ইবনে ফিমাস। (Armen Firman) (810-887)

আল জাহিয। pioneer of natural selection

আলী ইবনে সাহল রাব্বান আল তাবারি। pioneer of medical

encyclopedia[29]

আহমেদ ইবনে সাহল আল বলখী।

ইসহাক ইবনে আলী আল রাহী। (854–931), pioneer of peer review and medical peer review[44]

আল ফারাবি।

ইবনে আল জাজ্জার। ( ৮৯৮-৯৮০)

আবূল হাসান আল তাবারী।

আলী ইবনে সাহল রাব্বান আল তাবারী।

আলী ইবনে আব্বাস আল মাজুসী। (d. 994), pioneer of obstetrics and perinatology [45]

আবূ গাফার আহমেদ ইবনে ইব্রাহীম ইবনে আবি হালিদ আল গাজ্জার। (10th century), pioneer of dental restoration[46]

ইবনে মিসকাওয়াহ।

ইবনে আল হাইসাম।

আবূ রায়হান আল বিরুনী।

ইবনে সীনা। (980-1037) - father of modern medicine,[51] founder

of Unani medicine,[47] pioneer of experimental medicine, evidence-based medicine, pharmaceutical sciences, clinical

pharmacology,[52] aromatherapy,[53] pulsology and sphygmology, [54] and also a philosopher

ইবনুন নাফিস। (1213–1288), father of circulatory physiology,

pioneer of circulatory anatomy,[58] and founder of Nafisian

anatomy, physiology,[59] pulsology and sphygmology[60]

আবূল কাসিম আল জাহরায়ী। (Abulcasis) - father of modern surgery, and pioneer of neurosurgery,[34] craniotomy,[45] hematology[47] and dental surgery[48]

বনে জোহরা। (Avenzoar) - father of experimental surgery,[55] and pioneer of experimental anatomy, experimental physiology, human dissection, autopsy[56] and tracheotomy[57]

ইবনে বাজ্জাহ।

ইবনে তোফায়েল।

ইবনে আল বায়তার।

ইবনে জাযলা।

নাসিরুদ্দীন তুসী।

হাকিম সাঈদ জিল্লুর রহমান। physician of Unani medicine

ইবনে আল ক্বাফ। (1233–1305), pioneer of embryology[45]

কামালুদ্দীন আল ফারাসী।

ইবনে খাতিমা। (14th century), pioneer of bacteriology and

microbiology[61]

ইবনুল খতীব। (১৩১৩-১৩৭৪)

মানসুর ইবনে ইলিয়াস।

সাঘির আখতার। pharmacist

সাঈদ জিয়াউর রহমান। pharmacologist

তফি মুসিভান্দ।

মুহাম্মাদ বিন ইউনুস।the "father of our modern view of fibromyalgia"[62]

শেখ মুজাফফর শুকুর।pioneer of biomedical research in

space[63][64]

হুলুসি বাসিদ। known for the discovery of Behçet's disease

ইব্রাহীম বিন সাঈদ। radiologist

মেহমাত ও. জি। cardiothoracic surgeon



প্রকৌশল, প্রযুক্তি:





জাফর আস সাদিক। 8th century

বনু মূসা। (Ben Mousa), 9th century

জাফর মুহাম্মাদ ইবনে মূসা ইবনে শাকির।

আহমেদ ইবনে মূসা ইবনে শাকির।

আল হাসান ইবনে মূসা ইবনে শাকির।

আব্বাস ইবনে ফাইমাস। (Armen Firman), 9th century

আল সাঘানি। 10th century

আবূ সাহল আল কুহি। 10th century

ইবনে সাহল। 10th century

ইবনে ইউনূস। 10th century

আল কারাজি। 10th century

আবূ রায়হান আল বিরুনী। 11th century, pioneer of experimental mechanics[69]



ইবনে আল হাইসাম। (Alhacen), 11th century Iraqi scientist,

father of optics,[65] pioneer of scientific method[66] and

experimental physics,[67] considered the "first

scientist"[68]

ইবনে সীনা। 11th century

আল খাযিনী। 12th century

ইবনে বাজ্জাহ। 12th century

হিবাতাল্লাহ আবুল বরকত আল বাগদাদী। 12th century

অভিররস। 12th century Andalusian mathematician, philosopher and medical expert

আল জাযারি। 13th century civil engineer, father of robotics,[6] father of modern engineering[70]

নাসিরুদ্দীন তুসি। 13th century

কুতুবুদ্দীন আস সিরাজী। 13th century

কামালুদ্দিীন আল ফারসী। 13th century

ইবনে আল সাতির। 14th century

তাকীউদ্দীন মুহাম্মাদ ইবনে মা’রুফ। 16th century

হাযেরফান আহমেদ সিলভি। 17th century

লাগারি হাসান সিলভি। 17th century

শেখ দীন মাহমুদ। 18th century

টিপু সুলতান। 18th century Indian mechanician

ফজলুর খান। 20th century Bangladeshi mechanician

মাহমূদ হিসাবি।
20th century Iranian physicist

আলী জাভান। 20th century Iranian physicist

বাসার উদ্দীন জুসাফ হাবিবী। 20th century Indonesian aerospace engineer and president

আব্দুল কালাম। Indian aeronautical engineer and nuclear scientist

আব্দুস সালাম। Pakistani theoretical physicist and Nobel Prize winner(1979)

মেহরান কারদার। Iranian theoretical physicist Cumrun Vafa, Iranian mathematical physicist

কামরুন ভাফা। Iranian mathematical physicist

নিমা আরাকানী হামিদ। American-born Iranian physicist

আব্দুন নাসির তৌফিক। Egyptian-born German particle physicist

মুনির নাঈফাহ। Palestinian-American particle physicis

রিয়াজ উদ্দীন। Pakistani theoretical physicist

আলী মোশারফ। Egyptian nuclear physicist

আব্দুল কাদির খান। Pakistani nuclear scientist

সামিরা মূসা। Egyptian nuclear physicist



উল্লেখ্য:

এই তালিকায় প্রদত্ত নামের উচ্চারণ ও শব্দ চয়নের ব্যাপারে কোনো প্রামাণ্য বক্তব্য থাকলে কিংবা আরো বিস্তৃত কোনো তথ্য থাকলে আশা করি শেয়ার করবেন। তাতে আমরা অনেকে উপকৃত হতে পারবো ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ আমাদের সকলকে তার দীনের জন্য কবুল করুন। আমীন।



শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১১

মূর্তি পূজা বনাম কবর বা মাজার পূজার সূচনা


এম আবদুল্লাহ নিজামী


হযরত আদম আঃ থেকে নূহ আঃ পযন্ত তৎকালীন পৃথিবীর সকল মানুষই মুসলিম ছিল, তাওহীদের উপর অটল ছিল , কোন ফেরক্বা বন্দী ছিলনা, এমন অবস্হা হযরত নূহ আঃ এর জমানা পযন্ত চলতে থাকে . ইমাম বভবী রঃ বলেন হযরত আদম আঃ ও নূহ আঃ এর মধ্যবর্তী সময়ে ৫ জন বিশিষ্ট মুত্তাকী ধমভীরু নেককার লোক ছিল, যার বননা সূরা নূহতে এ ভাবেই এসেছে , , وفالوا لا تذرن الهتكم ولا تذرن ودا ولاسواعا ولا يغوث ويعوق ونسرا الاية سورة نوح এ ৫ জন যথাক্রমে ওয়াদ,সূয়া , ইয়াগুছ, ইয়াউক, ও নসর , এরা প্রকৃত পক্ষে সে জামানার মুত্তাকী পরহেজগার লোক বা সে জমানার অলী , সবাই এদের সন্মন করত , তাদের কৃত নছিহত শুনতো আমল করত. ভক্তরা সূদীঘকাল পযন্ত তাদের পদান্ক অনূসরন করে সঠিক ও তাওহীদের উপর অটল ছিল . তাদের সকলের এন্তেকালের পর শয়তন মানুষবেশী জুব্বা পাগডী পরিধান করে ভক্তদের কাছে এসে পরোচনার জাল আঁটল এভাবে যে,




১৷ তোমরা যে সকল মহাপুরুষদের পদান্ক অনূসরন করছ তাদের ছবি এঁকে উপাসানলয়ে রেখে এবদত করলে. এবাদতে পূনতা লাভ করবে , মানুষবেশী শয়তানের পরামশে তাই করল , এ ভাবে অনেক দিন চলতে থাকে .





২৷ পরবর্তীতে এদের মৃত্যুর পর অন্য প্রজন্মের কাছে অন্য আর একটি পন্দী আঁটল এ ভাবে যে তোমাদের মুরুব্বীদের মূর্তী তৈরী করে তোমদের সামনে রেখে দাও তাহলে আল্লাহর এবাদতে একাগ্রতা ও পূনতা লাভ করবে , তারা শয়তানের ধোকা বুঝতে না পেরে প্রতিকৃতি উপাসনালয়ে রাখল , এদের সৃতি জাগরীত করে এবাদতে বিশেষ পুলক অনূভব করতে লাগল , এ ভাবে অনেক দিন চলতে লাগল ৷

. ৷



তবে এখনও মূর্তি পুজা শুরু হয়নি সবে মাএ রং দিতে আছে







তৃতীয় ধাপে এসে পরবতী বংশধরদের কাছে এসে এমন ভাবে প্ররোচনা করল যে মালয়ূন

শয়তান কামীয়াব হয়ে গেল যে , আর ভক্তরা পথভ্রষ্ট হয়ে ইতিহাসের সবনিন্ম আস্তাকূডে নিক্ষিপ্ত হলো৷





৩৷ শয়তান বল্ ল যে তোমাদের পূরুষ রাই শুধু মাত্র এ সব মূর্তীর সন্মানই করেনী বরং এ সকল মূর্তীরই এবাদত করেছে , এগুলোই হচ্ছে ওদের উপাসক বা খোদা ,

সুতরাং তোমরা ও তোমাদের বাপ দাদার অনূসরন কল্পে এদেরই এবাদত কর . কাজেই শয়তানের পরামশে তাই করল

এ ভাবে পৃথিবীতে সব প্রথম মূর্তি পূজার সূচনা হয়.





এর ফলে তখনকার সময় প্রায় সকল মানুষই মুর্তি পূজায় লিপ্ত হয়ে এসকল মূর্তির কাছে মনোবসনা পূ্ন্যের কামনা করত . নজর- নেওয়াজ কোরবানী ইত্যাদী সব কিছুই করত .



কেউ কেউ এ সকল মূর্তিকেই সয়ং খোদা মনে করতো .কেউ বা খোদাকে পাওয়ার মাধ্যম মনে করতো ৷

এ ভাবে যখন গোটা জাতিই শিরকে লিপ্ত হলো চতুরদিকে কূফরীর অন্ধকার চেয়ে গেছে ঠিক তেমনি সে মূহুতে মহান আল্লাহ তায়ালা তাদের হেদায়েতের জন্য হযরত নূহ আঃ কে রসুল হিসাবে প্রেরন করলেন ৷



কিন্তু তিনি ৯৫০ বৎসর পযন্ত দাওয়াতের কাজ করার পর মাএ ৪০ জন বা ৪০ জোডা মহিলা পুরুষ মিলে তাঁর ধম গ্রহন করলেন .



অবশেষে তিনি ওহী মারফত জানতে পারলেন যে এ জাতি আর হেদায়েত পাবেনা তখনি আল্লাহর হুকুমে তিনি তাদের ধবংসের জন্য দোয়া করলেন ,

এবং আললাহ তায়ালা মহাপ্লাবন দারা সকল কাফেরদের ধবংস করে দিলেন





তেমনি ভা-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------বেই আজকাল আমাদের দেশের স্বাথম্বেশী পেট পূজারী গূটি কয়েক আলেমের ছএ ছায়ায় কবর কেন্দ্রিক লাল -সালু কাপড , মুমবাতি আগর বাতি জালিয়ে গডে তুলছে শিরকের কারখনা , সেখানেই করা হচ্ছে ঈমান বিধংসী কমকান্ড,



বর্তমানে আমাদের দেশে কবর ে কে কেন্দ্র করে যা করা হচ্ছে , পূর্বেকার যূগে ও প্রাথমীক ভাবে

এমন কর্মকান্ড করা হতো যার ফলে গোটা জাতিকে কুফরের অন্ধকারে পেলিয়ে ধবংস হয়েছিল . এখন ও অদূর ভবিষ্যতের এ দেেশর আবস্হা এমন হতে পারে বলে আশংকা করছেন বিশেষজ্ঞরা .









মূর্তি পূজক দের অনূষ্ঠান

========================

মূর্তি পূজকরা সাধারনত ৪ টি কাজ করে থাকে

[১] বাৎসরীক ২ টি বড অনূষ্ঠান দূর্গাপূজা ও কালীপূজা এ ছাডা আরও ছোট ছোট অনূষ্ঠান



[২] প্রতিমাদের সামনে প্রদীপ মূমবাতী আগরবাতী ইত্যাদী প্রজ্যলীত করে

[৩] এদের নামে পশূ / পাঁঠা কোরবনী [বলী] দিয়ে থাকে

[৪] প্রতিমাদের সামনে মাথা নত ও সেজদা করে থাকে







দুর্গার পুষ্পাঞ্জলি মন্ত্র বলে, ‘আয়ুরারোগ্যং বিজয়ং দেহি দেবি নমস্তুতে। রূপং দেহি যশো দেহি ভাগ্যং ভগবতি দেহি মে। পুত্রান দেহি ধনং দেহি সর্ব্বকামাংশ্চ দেহি মে।।’ (হে ভগবতী, আপনাকে প্রণাম করি, আপনি আমাকে রোগমুক্ত করুন, বিজয়ী করুন, যশ ও সৌভাগ্য প্রদান করুন, পুত্র ও ধন দিন এবং আমার সকল কামনা পূর্ণ করুন।)







মাজার পন্থীদের অনূষ্ঠান

==========================





মাজার পন্থীদের ও ৪ টি কাজ



[১] বাৎসরীক ওরস ও মিলাদ মাহফিল

সহ আরও কত কি [২] কবরের সামনে মুমবতি আগরবাতি প্রজ্যলন করন

[৩] পীরের / মাজারের নামে পশু কোরবানী /মান্নত করন

[৪] কবর ওয়ালার কাছে কিছু চাওয়া ,মনোবাসনা পূন্যের জন্য কবর কেন্দ্রিক দোয়া করা ,ক্ষেএ বিশেষ কবর কে সেজদা করা ইত্যাদি /







আর মাজার পন্থীরা মাজার/কবর /বা পীরের কাছে ধন সম্পত্তী* /সন্তান /রোগমূক্তি/ মনোবাসনা পূন্যের দোয়া করে থাকে



পাঠক বৃন্দই পাথক্য করূন



প্রতিমাপূজক ও বতমান মাজার পূজরীদের মধ্যে কোন প্রাথক্য আছে কি ?????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????

'ইমাম আবু হানিফা রঃ এর শাহাদাত বরনের ইতিহাস ও তাঁর জ্ঞানের গভীরতার বিবরণ

এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া




'ইমাম আবু হানিফা চার প্রসিদ্ধ ইমামের মাঝে বড় ইমাম হিসাবে পরিচিত। পাক-ভারত উপমহাদেশে তাঁর মাযহাবের অনুসারীর সংখ্যাই বেশী। খলীফা মানসুরের সময় ইমাম আবু হানিফাকে প্রধান বিচারপতির পদ গ্রহনের জন্য আহবান জানানো হয়। তিনি উক্ত প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে খলীফাকে সম্বোধন করে বলেন, ’’ আল্লাহর শপথ, কোন ব্যাপারে আমার ফয়সালা যদি আপনার বিরুদ্ধে যায় এবং আপনি আমাকে হুকুম দেন যে হয়ত সিদ্বান্ত পাল্টাও না হলে তোমাকে ফোরাত নদীদে ডুবিয়ে মারা হবে। তখন আমি ডুবে মরতে প্রস্তুত থাকব তবু সিদ্ধান্ত পাল্টাতে পারবনা। তা ছাড়া আপনার দরবারে এমন অনেক লোক রয়েছে যাদের মনোতুষ্টি করার মত কাজীর প্রয়োজন।’’


ইমাম আবু হানিফা খলীফার প্রস্তাব প্রত্যখ্যান করার পর তাকে ত্রিশটি বেত্রাঘাত করা হয়। যার ফলে তাঁর সারা শরীর রক্তাক্ত হয়ে পড়ে। তখন খলীফা মানসুরের চাচা আব্দুস সামাদ ইবনে আলী তাকে এজন্য খুবই তিরষ্কার করে বলেন- “ইনি শুধু ইরাকের ফকীহ নন, সমগ্র প্রাচ্যবাসীর ফকীহ।’’ এতে মনসুর লজ্জিত হয়ে প্রত্যেক চাবুঘাতের বদলে এক হাজার দিরহাম ইমাম আবু হানিফার কাছে পাঠান।

ইমাম আবু হানিফা উক্ত দিরহাম গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান। তখন তাকে বলা হয় তিনি এ অর্থ গ্রহণ করে নিজের জন্য না রাখলেও দুঃখী-গরীবদের মাঝে বিলিয়ে দেন। এর জবাবে ইমাম বলেন- "তোমার কাছে কি কোন হালাল অর্থ রয়েছে ?

মানসুর এতে আরও প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে উঠে। ইমামকে আরও চাবুকাঘাত করার আদেশ দেন। কারারুদ্ধ করে পানাহারে নানাভাবে কষ্ট দেয়া হয়। তারপর একটা বাড়ীতে নজরবন্দী করে রাখা হয়। সেখানেই ইমাম আবু হানিফার মৃত্যূ হয়। কারো কারো মতে তাঁকে বিষ প্রয়োগে হত্যা করা হয়। নির্মম নির্যাতনের শিকার ইমাম আবু হানিফা মৃত্যুর আগে অসিয়ত করে যান যে, খলীফা মানসুর জনগনের অর্থ অন্যায়ভাবে দখল করে বাগদাদের যেই এলাকায় শহর নির্মাণ করেছে সে এলাকায় যেন তাঁকে দাফন করা না হয়। মূলত খলীফা মানসুর তার ক্ষমতার স্বার্থেই ইমাম আবু হানিফাকে বিচারকের পদে নিয়োগ দিতে চেয়েছিলেন। তাই ইমাম তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। ইমাম আবু হানিফা এই বিষয়টি স্পষ্ট করেই খলীফা মানসুরকে জানিয়ে দিয়ে বলেন- “আপনি আমাদেরকে আল্লাহর উদ্দেশ্যে ডেকে আনেননি। বরং আপনি চান যে আপনার ভয়ে যেন আমরা আপনার মর্জি মাফিক কথা বলি’’।

বর্তমান যামানায় ইমাম আবু হানিফা সর্বজন সমাদৃত। আজকে যে সকল মুসলিম শাসকগণ, ইমাম ও ইসলামী চিন্তাবিদদের উপর নির্যাতন করছেন কিংবা কারাবন্ধী করছেন তাদের অনেকেই ইমাম আবু হানিফার মাযহাব অনুসারী বলে দাবী করেন। কিন্তু ইতিহাস এই সত্যেরই সাক্ষী যে, সারা জাহানে ইমাম আবু হানিফার মর্যাদা এবং তৎকালীন জালিম শাসকদের মর্যাদায় আকাশ পাতাল পার্থক্য রয়েছে।

তথ্যসুত্র: ইসলামী চিন্তাবিদদের উপর নির্যাতন যুগে যুগে-১











জ্ঞানের গভীরতা

======================











তাবেয়ীনদের সময়ে (সাহাবীদের পরের সময়ে)। বাগদাদ ছিল ইসলামী সাম্রাজ্যের রাজধানী। তৎকালীন প্রখ্যাত বহু আলিম এখানে বসবাস করতেন। তাই এটি হয়ে উঠেছিল ইসলামী জ্ঞানের কেন্দ্রভূমি।



একদিন রোমের রাজা একজন দূতকে মুসলিমদের উদ্দেশ্যে তিনটি প্রশ্নসহ পাঠালেন। দূত শহরে এসে খলিফাকে জানালেন যে, সে রোমের রাজার কাছ থেকে তিনটি প্রশ্ন এনেছেন এবং মুসলিমদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছেন তার উত্তর দেওয়ার জন্য।



খলিফা সকল আলিমদের একত্র হতে বললেন। রোমান দূত একটি উঁচু স্থানে দাঁড়ালেন এবং বললেন, আমি এসেছি তিনটি প্রশ্ন নিয়ে যদি আপনারা এর উত্তর দিতে পারেন আমি এ স্থান ত্যাগ করব প্রচুর সম্পদ রেখে যা আমাকে রোমের রাজা সঙ্গে দিয়ে দিয়েছেন।



প্রশ্নগুলো হল-

. আল্লাহর আগে কি ছিল?

. আল্লাহ এ মূহূতেِ কোন দিকে মুখ করে আছেন?

. এই মুহুর্তে আল্লাহ কোন কাজে নিয়োজিত আছেন?



সবাই চিন্তায় মগ্ন হয়ে গেলেন; এর মধ্যে একটি ছোট বালক খলিফার কাছে এ প্রশ্নগুলোর উত্তর দেবার জন্য অনুমতি চাইল; খলিফা তাকে অনুমতি দিলেন।



প্রশ্নোত্তর শুরু হল :



বালক : আপনি কি গুনতে জানেন?

দূত : হ্যাঁ।

বালক : তাহলে ১০ থেকে উল্টো দিকে গুনুন।

দূত : (দূতটি গননা শুরু করল) ১০, ৯, ৮,...... ১।

বালক : ১- এর আগে কি?

দূত : ১- এর আগে কিছুই নেই।



বালক : ঠিক আছে গাণিতিক একের আগে যদি কিছুই না থাকে তাহলে আপনি কিভাবে আশা করেন কি থাকবে এই ‘এক‘- এর আগে যা নিশ্চিত সত্য, শাশ্বত, চিরস্থায়ী, সুস্পষ্ট।



(বালকটির স্পষ্ট উত্তরে দূতটি হতবিহ্বল হয়ে গেল, কিছু অস্বীকার করতে পারল না।)



দূত : তাহলে এখন বল, আল্লাহ কোন দিকে মুখ করে আছেন?

বালক : একটি মোমবাতি আনুন এবং তাতে আগুন জ্বালান

(মোমবাতি জ্বালানো হল)

বালক : এখন বলুন আগুনের শিখা কোন দিকে মুখ করে আছে ?

দূত : এটাতো চতুর্দিকেই আলো ছড়াচ্ছে; এটা কোন এক দিকে নির্দিষ্ট নেই।



বালক : যদি এই বস্তু চতুর্দিকেই আলো ছড়াতে পারে; তাহলে আপনি কিভাবে এরকম অনুমান করতে পারেন আল্লাহ সম্পর্কে যে তিনি নির্দিষ্ট কোন একটি দিকে মুখ করে থাকবেন, যিনি আকাশ ও পৃথিবীর অধিপতি; সকল আলোর আলো।



(রোমান দূত বোকা বনে গেল। সে অবাক বিস্ময়ে অভিভূত হল। এতটুকু একটি বালক তার সব প্রশ্নের এত সাবলীলভাবে উত্তর দিচ্ছে যে, তার যক্তি-প্রমাণের কাছে কোনরূপ দ্বিমত পোষণ করা যাচ্ছে না। অবশেষে সে তার শেষ প্রশ্ন করার জন্য মুখ খুলতে গেল।)



বালক : থামুন। এখানে প্রশ্ন করছেন আপনি আর জবাব দিচ্ছি আমি। আর যেহেতু উত্তরদাতা প্রশ্নকর্তা থেকে বড় তাই আপনি নিচে নেমে আসুন আর আমাকে উপরে আসন গ্রহন করতে দিন ।



এরপর দূত নিচে নেমে এল এবং বালকটি উচু স্থানে আসন গ্রহন করার পর দূত তার শেষ প্রশ্নটি করল।



দূত : বল এখন আল্লাহ কি করছেন?



বালক : এই মুহুর্তে আল্লাহ তোমাকে উচু স্থান থেকে নিচে নামিয়ে অপমান করেছেন এবং আমাকে নিচু স্থান থেকে উচু স্থানে উঠিয়ে সম্মানীত করেছেন। আর এভাবেই যে আল্লাহর একত্ব বিশ্বাস করে তিনি তাকে উপরে উঠিয়ে সম্মানীত করেন এবং আল্লাহর একত্বে অবিশ্বাসীদেরকে অপদস্থ করেন।



অতঃপর রোমান দূতের আর কিছু বলার থাকল না, সেই স্থান ত্যাগ করা ছাড়া।



এই ছেলেটি পরবর্তীতে বড় হয়ে ইসলামের এক মহান জ্ঞানী পন্ডিত হিসেবে আবির্ভূত হন এবং তিনিই হলেন ইমাম আবু হানিফা (র)।



আল্লাহ তা’য়ালা তাকে জান্নাতের সুউচ্চ মাকাম দান করুন। আমীন।