Translate

বুধবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২১

অনিয়মিত ঋতুস্রাব ‎সমস্যার ‎সমাধান ‎৮ ‎টি ‎ঘরোয়া ‎উপায় ‎

অনিয়মিত ঋতুস্রাব নিয়মিত করতে ৮ টি  ঘরোয়া টিপস ঃ 

সর্ব প্রথম  জেনে নিন দু’টি দুর্দান্ত ঘরোয়া উপায় বা টোটকা। এগুলির যে কোনও একটি বা ২ টি  এক মাস মেনে চলতে পারলেই অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যা চিরকালের জন্য মিটে যাবে ইনশাআল্লাহ। 
.. 
অনিয়মিত ঋতুস্রাবের (পিরিয়ড) সমস্যা যে কোনও বয়সের মহিলাদের মধ্যেই দেখা যায়। বিশেষ করে যাঁরা অবিবাহিত, তাঁদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। অনিয়মিত ঋতুস্রাবের কারণে সন্তান ধারণে সমস্যা-সহ আরও নানা রকমের শারীরিক সমস্যা হতে পারে। কিন্তু কী করবেন? কী ভাবে মুক্তি পাবেন এই সমস্যা থেকে? জেনে নিন অনিয়মিত ঋতুস্রাবকে নিয়মিত করা দু’টি দুর্দান্ত ঘরোয়া উপায় বা টোটকা। এই দু’টো টোটকার যে কোনও একটি মাত্র এক মাস মেনে চলতে পারলেই অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যা চিরকালের জন্য মিটে যাবে...

প্রথম টোটকা:

পিরিয়ডকে নিয়মিত করতে একটি অত্যন্ত কার্যকরী উপাদান হল দারচিনি। এই দারচিনি ব্যবহার করে অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার পাশাপাশি ঋতুকালীন ব্যথা থেকেও মুক্তি পাওয়া সম্ভব। জেনে নিন কী ভাবে ব্যবহার করবেন দারচিনি...

এক গ্লাস দুধে আধা চামচ দারচিনির গুঁড়ো মেশান। এর সঙ্গে মধুও দিতে পারেন। এ বার এই মিশ্রণ ৪ থেকে ৫ সপ্তাহ নিয়মিত পান করুন। দেখবেন অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যা কেটে যাবে। এ ছাড়াও খেতে পারেন দারচিনির চা বা প্রতিদিন আধা ইঞ্চির এক টুকরো দারুচিনি চিবিয়ে খেতে পারলেও কাজে দেবে।

দ্বিতীয় টোটকা:

বহুগুণ সম্পন্ন আদা সর্দি-কাশির সমস্যা সারানোর পাশাপাশি অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যা থেকে মুক্তি দেওয়ার ক্ষেত্রেও এর জুড়ি মেলা ভার! কী ভাবে ব্যবহার করবেন এই আদা? জেনে নিন...
এক কাপ জল নিন। এতে এক চামচ মিহি করে কুচানো আদা ৫-৬ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এর সঙ্গে সামান্য চিনি বা মধু মিশিয়ে নিন। এই পানীয়টি খাবার খাওয়ার পর দিনে ৩ বার করে খান।
এই মিশ্রণটি এক মাস নিয়মিত খেতে পারলে অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যা সহজেই দূর হবে।

ZEENEWS24।  

অনিয়মিত পিরিয়ড নিয়মিত করার আরও  ৬ সহজ উপায়

প্রাপ্তবয়স্ক একজন কিশোরী কিংবা তরুণীর নিয়মিত ও সময়মতো পিরিয়ড বা মাসিক হওয়াটা স্বাভাবিক। তা না হয়ে মাসিক যদি অনিয়মিত হয়ে পড়ে, তখন বুঝতে হবে আপনার শারীরিক কোনো সমস্যা আছে।
এ ক্ষেত্রে কোনো অসুস্থতা শরীরে ভর করেছে কিনা বা জীবনচর্চায় কোনো ক্ষতিকর অভ্যাস যুক্ত হয়েছে কিনা, তার দিকে নজর দেয়া উচিত

অতিরিক্ত কাজের চাপ, ওজন হ্রাস, থাইয়রেড সমস্যা, মানসিক চাপ, ওভারির সমস্যা, অতিরিক্ত ব্যায়াম, হরমোন ভারসাম্যহীনতা ইত্যাদি কারণে সাধারণত মাসিক অনিয়মিত হতে পারে।
মাসিক অনিয়মিত হলে নারীরা দুশ্চিন্তা শুরু করেন। এটি আরও ক্ষতি করে থাকে।
হঠাৎ আপনার মাসিক অনিয়মিত হয়ে পড়লে সেটিকে নিয়মিত করার উপায়ও আছে। চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করে আপনি মাসিক নিয়মিত করতে পারে। আসুন উপায়গুলো জেনে নিই।

১, ব্যায়াম
যেসব নারী নিয়মিত ব্যায়াম করেন, তাদের মাসিকের সমস্যা থাকে না। নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম আছে, সেগুলো করলে অনেক সময় মাসিক হয়ে যায়।

ব্যায়ামের কারণে পেশি বাঁধা পেয়ে থাকে, যার কারণে পেশি সংকোচন শুরু করে, শরীরে রক্তপ্রবাহ কমিয়ে দিয়ে থাকে। ঋতুস্রাব শেষ হওয়ার পর ব্যায়াম করলে পরবর্তী সময়ে সঠিক সময়ে মাসিক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

২,  টকজাতীয় ফল

টকজাতীয় ফল যেমন- তেঁতুল, মাল্টা, জলপাই মাসিক নিয়মিত করতে সাহায্য করে থাকে। চিনি মেশানো পানিতে তেঁতুল এক ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। এর পর এর সঙ্গে লবণ, চিনি ও জিরা গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এটি দিনে দুবার পান করুন। এটি আপনার অনিয়মিত মাসিককে নিয়মিত করে দেবে।

৩, আদা
মাসিকের চক্রকে নিয়মিত করতে আদা বেশ কার্যকর। ১ কাপ পানিতে ১/২ চা চামচ আদা কুচি দিয়ে ৫-৭ মিনিট সিদ্ধ করে পানিতে মিশিয়ে নিন। খাবার খাওয়ার পর তিনবেলা এটি পান করুন। নিয়মিত এক মাস এটি পান করুন।

৪,  তিল

তিল একটি উপকারী উপাদান। এটি আপনার অনিয়মিত মাসিককে নিয়মিত করতে সাহায্য করবে। তিলের উপাদান হরমোন উৎপাদন করে থাকে। অল্প পরিমাণের তিল ভেজে গুঁড়ো করে নিন। এর সঙ্গে এক চামচ গুড় মিশিয়ে নিন। এটি রোজ খালি পেটে এক চা চামচ করে খান। দেখবেন উপকার পাচ্ছেন।

৫, আপেল সাইডার ভিনেগার

খাবার খাওয়ার আগে ২ টেবিল চামচ আপেল সাইডার ভিনেগার পানিতে মিশিয়ে পান করুন। এটি রক্তের ইনসুলিন ও ব্লাড সুগার কমিয়ে দিয়ে থাকে, যা মাসিক নিয়মিত করে থাকে।

৬, স্বাস্থ্যকর জীবন

যেসব নারীর মেনোপজের বয়স হয়ে এসেছে, তাদের জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন আরও বেশি জরুরি। কারণ মেনোপজের পর পরই অনেক রোগের প্রকোপ বাড়তে পারে।

মনে রাখবেন একবার মাসিক দেরিতে হলে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। তবে পিরিয়ডের দিকে খেয়াল রাখুন। তিন মাস টানা পিরিয়ড না হলে, বছরে ৯ বারের কম পিরিয়ড হলে বা প্রতিবার পিরিয়ড হওয়ার মাঝে ৩৫ দিনের বেশি বিরতি থাকলে অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলুন।

সূত্র 
দৈনিক যুগান্তর স্ব্যাস্হ বিষয়ক লাইফস্টাইল ডেস্ক।

আমি এখানে স্ব্যাস্হ বিষয়ক ২ টি ওয়েবসাইট থেকে  সংকলন করে ৮ টিপস  বা ঘরোয়া চিকিৎসা  সকলের  উপকার্থে সংযোজন করলাম আশা করি এতে সচেতন  মা বোনদের জন্য  উপকার হবে এর পর ও না হলে অভিজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হউন।  

সৌজন্যে
 ভূঁইয়া ন্যাচরাল হার্বস 
০১৮২৯৩১৮১১৪ 
ইমু ওয়াতসাফ এ।