Translate

বৃহস্পতিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

জতীয় সংসদে পাশকৃত কওমী সনদ স্বীকৃতি বিল হুবহ

সংসদে পাস হওয়া কওমি মাদরাসা সনদের বিলে যা আছে
কওমি মাদরাসা সমূহের দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল)-এর সনদকে আল হাইআতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর অধীনে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) সমমান প্রদান বিল ২০১৮’ জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে।
আজ বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বিলটি পাসের প্রস্তাব উপস্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে বিলটি পাসের আগে জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
এর আগে জাতীয় সংসদের ২২তম অধিবেশনের দ্বিতীয় দিন (সোমবার) বিলটি উত্থাপন করেন শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ। বিলটি উত্থাপনের পর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
বিলটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, আলেমদের দাবি ও সব শর্ত মেনে দারুল উলুম দেওবন্দের মূলনীতি অনুসারে এ স্বীকৃতির প্রস্তাব করা হয়েছে। বাংলাদেশের বর্তমান কোনো আইন এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক হলে কওমি আইনই বলবৎ থাকবে বলেও বলা হয়েছে বিলের ৩ নং ধারায়।
সংসদে উত্থাপিত বিলটির হুবহু প্রকাশ করা হলো-
কওমি মাদরাসাসমূহের দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল)-এর সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি)-এর সমমান প্রদানসহ আনুষঙ্গিক বিষয়ে
বিধান করিবার নিমিত্ত আনীত বিল।
যেহেতু কওমি মাদরাসার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য ও স্বকীয়তা বজায় রাখিয়া দারুল উলুম দেওবন্দের মূলনীতিসমূহকে ভিত্তি ধরিয়া ‘আল-হাইআতুল উলয়া লিল জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর অধীন কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল)-এর সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি)-এর সমমান প্রদানসহ আনুষঙ্গিক বিষয়ে বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়।
সেহেতু এতদদ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল-
১। সংক্ষিপ্ত শিরােনাম, প্রবর্তন ও প্রয়ােগ। (১) এই আইন “আল-হাইআতুল উলয়া লিল জামি‘আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর অধীন কওমি মাদরাসাসমূহের দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল) এর সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি)-এর সমমান প্রদান আইন ২০১৮ নামে অভিহিত হইবে।
(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।
(৩) এই আইন সমগ্র বাংলাদেশে দারুল উলুম দেওবন্দের নীতি, আদর্শ ও নিসাব (পাঠ্যসূচি) অনুসরণে পরিচালিত কওমি মাদরাসাসমূহের দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল)-এর ক্ষেত্রে প্রয়ােজ্য হইবে।
২। সংজ্ঞা।— বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনাে কিছু না থাকিলে, এই আইনে
(১) “কওমি মাদরাসা” অর্থ আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা’আত ও দারুল উলুম দেওবন্দের অাদর্শ, মূলনীতি ও মত-পথের অনুসরণে মুসলিম জনসাধারণের আর্থিক সহায়তায় উলামায়ে কেরামের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত ইলমে ওহীর শিক্ষাকেন্দ্র।
(২) “কওমি মাদরাসার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য ও স্বকীয়তা” অর্থ:
(ক) ঈমান, তাকওয়া ও তাওয়াক্কালতু আলাল্লাহ (একমাত্র আল্লাহর উপর নিরংকুশ ভরসা) এবং সর্বাবস্থায় সকল ক্ষেত্রে আল্লাহ তাআলার রিযামন্দী ও সন্তুষ্টি অর্জনকে জীবনের পরম ব্রত ও লক্ষ্য স্থির করিয়া একমাত্র আল্লাহ তাআলার সত্ত্বার সহিত ভয় ও আশার সম্পর্ক স্থাপন এবং তাহাতে অবিচল থাকা।
(খ) মহানবি হযরত মুহাম্মদ সা. এর বাণী “আমি ও আমার সাহাবীগণ যে মত, পথের উপর প্রতিষ্ঠিত)” এর আলোকে আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামা’আত এর মতাদর্শ অনুসরণে আম্বিয়া আলাইহিমুস সালামের মাসুম (নিষ্পাপ) হওয়ার বিশ্বাস এবং সাহাবায়ে কিরাম রাদিয়াল্লাহু আনহুমের যথাযথ আজমত (মার্যাদা) ও তাঁহাদের ‘মিয়ারে হক’ (সত্যের মাপকাঠি) হওয়ার বিশ্বাস অন্তরে সুদৃঢ় করা ও তদনুসারে জীবন যাপন।
(গ) চার মাযহাবের প্রতি শ্রদ্ধা ও পরমত সহিষ্ণুতার সহিত হানাফী মাযহাব অনুসরণ।
(ঘ) সুলুক ও আধ্যাত্মিকতায় সুপরিচিত চার তরীকা (চিশতিয়া, সােহরাওয়ারদিয়া, নকশবন্দিয়া-মুজাদ্দিদিয়া ও কাদিরিয়া) সহ সকল হকপন্থী ধারার প্রতি সহনশীল ও উদার মনােভাব পােষণ।
(ঙ) উপমহাদেশে ইসলামী রেনেসাঁর অগ্রদূত হযরত শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী (রহ.) এর চিন্তাধারার অনুসারী ও অনুগামী হযরত কাসেম নানুতবী (রহ.) ও হযরত রশীদ আহমদ গাঙ্গুহী (রহ) প্রমুখ আকাবিরে দেওবন্দের চিন্তা-চেতনার অনুসরণ এবং তা’লীম তরবিয়াতসহ জীবনের সকল ক্ষেত্রে দারুল উলুম দেওবন্দের মূলনীতি, আদর্শ ও কর্মপদ্ধতি অনুসরণ; এবং
(চ) আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি’আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ কর্তৃক প্রণীত নেসাবে তা’লীম (পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যসূচি), শিক্ষা, গবেষণা, প্রশিক্ষণ, ভৌত অবকাঠামাে নির্মাণ, মাদরাসা পরিচালনা ইত্যাদিতে প্রভাবমুক্ত থাকিয়া স্বকীয় বৈশিষ্ট্য বজায় রাখা;
(৩) “কো-চেয়ারম্যান” অর্থ আল-হাইআতুল উলয়ার কো-চেয়ারম্যান।
(৪) “চেয়ারম্যান” অর্থ আল-হাইআতুল উলয়ার চেয়ারম্যান।
(৫) “দাওয়াতে হাদিস (তাকমীল)” অর্থ কওমি মাদরাসার স্নাতকোত্তর ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি)-এর সমমান।
(৬) “বিধি” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;
(৭) “সদস্য” অর্থ আল-হাইআতুল উলয়ার কোনাে সদস্য।
৩। আইনের প্রাধান্য।- আপাতত বলবৎ অন্য কোনাে আইনের যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানাবলী প্রাধান্য পাইবে।
৪। বাের্ড। ‘আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর অধীন নিম্নবর্ণিত অনুর্ধ্ব ৬(ছয়) টি কওমি মাদরাসা শিক্ষা বাের্ড থাকিবে, যথা :
(ক) বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ;
(খ) বেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া গওহরডাঙ্গা বাংলাদেশ;
(গ) আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশ;
(ঘ) আযাদ দ্বীনি এদারায়ে তালীম বাংলাদেশ;
(ঙ) তানযীমূল মাদারিসিদ দ্বীনিয়া বাংলাদেশ; এবং
(চ) জাতীয় দ্বীনি মাদরাসা শিক্ষাবাের্ড বাংলাদেশ।
৫। আল-হাইআতুল উলয়ার কার্যালয়। আল-হাইআতুল উলয়ার প্রধান কার্যালয় থাকিবে ঢাকায় এবং প্রয়ােজনে, বাংলাদেশের যে কোন স্থানে উহার আঞ্চলিক বা শাখা কার্যালয় স্থাপন করা যাইবে।
৬। আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর কমিটি।— (১) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক ১৩-০৪-২০১৭ খ্রিস্টাব্দ তারিখে ৩৭.০০.০০০০.১১৮.২০.০০৫.১৭-১২১ নম্বর স্মারকমূলে জারীকৃত প্রজ্ঞাপনের আলােকে ‘আলআতুল উলয়া লিল-জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর নিম্নরূপ একটি কমিটি থাকিবে, যথা :
(ক) চেয়ারম্যান: বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ-এর সভাপতি (পদাধিকার বলে);
(খ) কো-চেয়ারম্যান: সিনিয়র সহ-সভাপতি, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ (পদাধিকার বলে);
(গ) বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ (বেফাক) এর ৫ (পাঁচ) জন সদস্য (পদাধিকার বলে মহাসচিসহ অথবা বাের্ড কর্তৃক মনােনীত);
(ঘ) বেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া গওহরডাঙ্গা বাংলাদেশ এর ২ (দুই) জন সদস্য (পদাধিকারবলে সভাপতি ও মহাসচিব অথবা বাের্ড কর্তৃক মনােনীত);
(ঙ) আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশ এর ২ (দুই) জন সদস্য (পদাধিকার বলে সভাপতি ও মহাসচিব অথবা বাের্ড কর্তৃক মনােনীত);
(চ) আযাদ দ্বীনি এদারায়ে তালিম বাংলাদেশ এর ২ (দুই) জন সদস্য (পদাধিকার বলে
সভাপতি ও মহাসচিব অথবা বোর্ড কর্তৃক মনােনীত);
(২) তানজিমুল মাদারিসিদ দ্বীনিয়া বাংলাদেশ এর ২ (দুই) জন সদস্য (পদাধিকার বলে
সভাপতি ও মহাসচিব অথবা বাের্ড কর্তৃক মনােনীত); এবং
(জ) জাতীয় দ্বীনি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ এর ২ (দুই) জন সদস্য (পদাধিকার বলে
সভাপতি ও মহাসচিব অথবা বাের্ড কর্তৃক মনােনীত)।
(২) চেয়ারম্যান প্রয়োজনে, যে কোনাে সংখ্যক সদস্যকে কমিটিতে কো-অপট করিতে পারিবেন; তবে উক্ত সংখ্যা ১৫ (পনেরাে) জনের অধিক হইবে না ।
(৩) অন্যূন এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতিতে কমিটির সভার কোরাম পূর্ণ হইবে।
(৪) দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল)-এর সিলেবাস প্রণয়ন, পরীক্ষা পদ্ধতি, পরীক্ষার সময় নির্ধারণ, অভিন্ন প্রশ্নপত্র পণয়ন, উত্তরপত্র মূল্যায়ন, ফলাফল ও সনদ তৈরীসহ আনুষাঙ্গিক কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে কমিটি এক বা একাধিক উপ-কমিটি গঠন করিতে পারিবে ।
(৫) কমিটি স্থায়ী কমিটি বলিয়া বিবেচিত হইবে এবং উহা দলীয় রাজনীতির উর্ধ্বে থাকিবে।
৭। দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল)-এর সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রির সমমান প্রদান। -শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ১৩-০৪-২০১৭ খ্রিস্টাব্দ তারিখের ৩৭.০০.০০০০.১১৮.২০.০০৫.১৭-১২১ নম্বর স্মারকমূলে জারীকৃত প্রজ্ঞাপনের পরিপ্রেক্ষিতে কওমি মাদরাসার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট বজায় রাখিয়া ও দারুল উলুম দেওবন্দের মূলনীতিসমূহকে ভিত্তি ধরিয়া গঠিত আল হাইয়াতুল উলয়া লিল-জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ কর্তৃক প্রদত্ত কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল)-এর সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি)-এর সমমান এমনভাবে প্রদান করা হইল যেন উহা এই আইনের অধীন প্রদান করা হইয়াছে।
৮। শিক্ষা কার্যক্রম।—ধারা ৪ এ উল্লিখিত ‘আল হাইআতুল উলয়া লিল-জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর অধীন বাের্ডসমূহ ধারা ৬ এ উল্লিখিত কমিটি দ্বারা নিবন্ধিত কওমি মাদরাসাসমূহে দারুল উলুম দেওবন্দের নীতি, আদর্শ ও নিসাব (পাঠ্যসচি) অনুসারে দাওরায়ে হাদিসের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হইবে।
৯। আল হাইআতুল উলয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ এর কমিটির কার্যাবলি। —(১) ধারা| ৬ এ উল্লিখিত কমিটি নিম্নরূপ দায়িত্ব পালন করিবে, যথা :
(ক) কওমি মাদরাসাসমূহের দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল) সনদের শিক্ষার মান নিশ্চিতকরণ;
(খ) দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল) সনদ বিষয়ক যাবতীয় কার্যক্রমের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত
গ্রহণ;
(গ) দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল)-এর পরীক্ষা গ্রহণ ও তত্ত্বাবধান; এবং
(ঘ) দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল)-এর সিলেবাস প্রণয়ন, পরীক্ষা পদ্ধতি ও পরীক্ষার সময়
নির্ধারণ, অভিন্ন প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, উত্তরপত্র মূল্যায়ন এবং ফলাফল ও সনদ তৈরীসহ আনুষাঙ্গিক কার্যক্রম পরিচালনা।
(২) কমিটি উহার কার্যক্রম সম্পর্কে, সময় সময়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অবহিত করিবে।
১০। বিধি ও সংবিধি প্রণয়ন— এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণের স্বার্থে সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে এই আইনে উল্লিখিত যে কোন বিষয়ে কমিটি কর্তৃক বিধি ও সংবিধি প্রণয়ন করা যাইবে।
উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতি
দেশে কওমি মাদরাসার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট বজায় রাখিয়া দারুল উলুম দেওবন্দের মূলনীতিসমূহকে ভিত্তি ধরিয়া ‘আল হাইআতুল উলয়া লিল-জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর অধীন কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল)-এর সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি)-এর সমমান প্রদানের উদ্দেশ্যে একটি আইন প্রণয়নের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
২। কওমি মাদরাসার বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করিয়া এবং কওমি মাদরাসার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট ও স্বকীয়তা বজায় রাখিয়া দারুল উলুম দেওবন্দের মূলনীতিসমূহকে ভিত্তি ধরিয়া ‘আল হাইআতুল উলয়া লিল-জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর অধীন কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল)-এর সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি)-এর সমমান প্রদানের উদ্দেশ্যে একটি আইন প্রণয়ন করা অতীব প্রয়ােজন ও যুক্তিযুক্ত।
৩। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলােকে কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল)-এর সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি)-এর সমমান আইন, ২০১৮” বিল আকারে প্রস্তাবক্রমে জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হইল।)
কপি
বেফাক ঢাকা অফিস  ফেইজ থেকে।

সংযোজিত,
আমি এ মহত কাজের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ সংশ্লিষ্ট সবাই অন্তরীক মোবারকবাদ জানাই।
মানুষ চলে যায় কিন্তু কর্ম থেকে যায়,ইতিহাস কথা বলে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ঐতিহাসিক স্বীকৃতির জন্য স্বরনীয় হয়ে থাকবেন।
এম এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া
প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক
নুরুলগনি ইসলামি একাডেমি কাটাছরা, মিরসরাই চট্টগ্রাম  বাংলাদেশ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন