Translate

সোমবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০১৩

৪৭ তম বিশ্ব এজতেমার ১ম পর্ব ছবি ব্লগ

{ ১ } দুনিয়া ও আখেরাতের শান্তি এবং মুসলিম উম্মাহর সমৃদ্ধি, অগ্রগতি আর দেশ ও জাতির সার্বিক কল্যাণ কামনা করে আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে গতকাল ১৫/১/২০১৩ রবিবার শেষ হয়েছে তাবলীগ জামাতের ৪৭তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। মোনাজাতে আত্মশুদ্ধি ও নিজ নিজ গুনাহ মাফের জন্য মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে রহমত প্রার্থনা করা হয়। এ সময় লাখো লাখো মুসল্লী অশ্রুসিক্ত নয়নে সর্বশক্তিমান আল্লাহর নিকট আত্মসমর্পণে ব্যাকুল হয়ে পড়েন।
দীনের সত্যিকার হেদায়াত লাভ ও পরিপূর্ণ মুমীন হিসেবে নিজেদের আল্লাহর নিকট পেশ করার জজবা নিয়ে প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন ও মুরুব্বীগণের হৃদয়গ্রাহী বয়ান গভীর মনোযোগ দিয়ে শ্রবণ করেন। এসময় মুসল্লীদের এই মহতী জনসমুদ্রে বিরাজ করে সুনসান নীরবতা। দ্বীনের ওই আহ্বান সারা বিশ্বে পৌঁছে দেয়ার তামান্না নিয়ে দাওয়াতে মেহনতের কাজে নিজেদের উৎসর্গ করার জন্য মহান আল্লাহর সাহায্য কামনা করেন। গত কয়েক বছর ধরে বিশ্ব ইজতেমার আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করে আসছেন। তাবলীগ জামাতের প্রধান শূরা সদস্য দিল্লীর হযরত মাওলানা জোবায়েরুল হাসান। তিনি এবারও আরবী ও উর্দূ ভাষায় তাৎপর্যপূর্ণ প্রথম পর্বের আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করেন।

{ ২ } দক্ষিণে খিলক্ষেত, উত্তরে বোর্ডবাজার, পূর্বে টঙ্গী বিসিক শিল্প নগরী ও পশ্চিমে আশুলিয়া পর্যন্ত অন্তত ১৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকা বিস্তৃত বিশাল জনসমুদ্র থেকে মধ্যাহ্নের আকাশ কাঁপিয়ে ধ্বনি ওঠে ‘ইয়া আল্লাহ, ইয়া আল্লাহ’। মুঠোফোনে এবং স্যাটেলাইট টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারের সুবাদে দেশ-বিদেশের আরও লাখ লাখ মানুষ একসঙ্গে হাত তুলেছেন পরওয়ারদিগারের দরবারে। বান্দারা প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা চেয়ে কান্নায় বুক ভাসিয়েছেন।

{ ৩ } স্বাগতিক বাংলাদেশের ৩২ জেলার মুসল্লি ছাড়াও বিশ্বের শতাধিক দেশের কয়েক হাজার তাবলিগ অনুসারী ইজতেমা ও আখেরি মোনাজাতে অংশ নিয়েছেন। ৪ দিন বিরতি দিয়ে আগামী ১৮ জানুয়ারি থেকে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে। ওই পর্বের সমাপনী দোয়া হবে আগামী রোববার ২০/১/২০১৩ জানুয়ারি।
==================

{ ৪ } বিদেশী মেহমান ১৬ হাজার // এজতেমায় আগত লোক সংখ্যা বি বি সির বাস্য মতে প্রায় ৩০ লক্ষাধীক // ৯০টি দেশের মুসল্লীদের অংশ গ্রহন ================


{ ৫ } এশিয়া, ইউরোপ,আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়াসহ কমপক্ষে ৯০টি দেশের তাবলীগ জামায়াতের প্রায় ১৬ হাজার বিদেশী মেহমান এবারের ইজতেমায় অংশগ্রহণ করেছেন। এদের মধ্যে ভারত, পাকিস্তান থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক বিদেশী মেহমান আগমন করেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তাবলীগের কাজে বের হওয়ার জন্য এবার ইজতেমা স্থলে প্রথম পর্বে প্রায় ৫ হাজার জামাত তৈরী হয়েছে বলে ইজতেমার আয়োজক সূত্রে জানা গেছে। আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্যে এসব জামাত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়বে বলে জানিয়েছেন তাবলীগ সূত্র ।

{ ৬ } এবারের প্রথম পর্বে বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে ছিল সউদী আরব, ভারত, পাকিস্তান, সুইডেন, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, সোমালিয়া, মিশর, আফগানিস্তান, শ্রীলংকা, কাতার, ইরান, ইরাক, তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র, লেবানন, বাহরাইন, জার্মানী, সুদান, কানাডা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কেনিয়া, নরওয়ে, মালদ্বীপ, ফিলিপাইন, হংকং, বেলজিয়াম ইত্যাদি। এসব বিদেশী মেহমানদের বেশীর ভাগই ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে অংশ গ্রহণ করার জন্য মাঠে থাকবেন ৷


{ ৭ } প্রচারবিমুখ ইজতেমা : এবারও তাবলিগ জামাতের শীর্ষ ‘মুরব্বিরা’ রেডিও এবং টেলিভিশনে আখেরি মোনাজাত সরাসরি সম্প্রচারের অনুমতি দেননি। ক্যামেরায় মুরব্বিদের ছবি তোলাও বারণ করে দিয়েছে ইজতেমা কর্তৃপক্ষ।

{ ৮ } ১২ মুসল্লির মৃত্যু : ইজতেমার প্রথম পর্বের তিন দিনে ১২ মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাতেই মারা গেছেন ৬ জন। এরা হলেন—ভারতের কলকাতার চব্বিশ পরগনার মো. রফিক উদ্দিন (৬৩), যশোরের মনিরামপুর থানার তেঁতুলিয়া এলাকার সৈয়দ আলী খান (৭০), ফরিদপুরের বোয়ালমারী থানার মৈন্দা গ্রামের আলাউদ্দিন শেখ (৫০), রংপুরের খলিলুর রহমান (৮০), চাঁদপুরের উত্তর দাজদি এলাকার আবুল খায়ের পাটোয়ারী (৫৫) এবং যশোরের আনসার আলী মিস্ত্রি।
মাসলেহাল জামাতের জিম্মাদার মো. আদম আলী জানান, গতকাল ফজরের নামাজের পর নিহতদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
































































{ ৯ } তাবলিগের বিনিময় নেওয়া চলবে না:
একমাত্র নিঃস্বার্থ ভাবে কাজ করেন এমন কোন দল বা পাটি এ পর্যন্ত আমার জানা মতে নেই এক মাত্র তাবলীগ জামাত ছাডা ৷ তারা নিজের জান মাল সময় সব কিছুই ব্যয় করে এক মাত্র আল্লাহর দ্বীন প্রচারের জন্য , তাদের এক মাত্র উদ্যেশ্যই হচ্ছে আল্লাহর পথ ভূলা মানুষ কে আল্লাহর পথে এনে আখেরাত মুখী করে দেয়া , আল্লাহর সাথে সমপর্ক করিয়ে দেয়া , কিন্তু বিনিময়ে তারা কিছুই চায়না এক মাত্র স্রষ্টার সন্তুষ্টি ৷
যেমন আললাহ বলেন ====

মানুষকে আল্লাহর তওহীদের দিকে আহ্বান করার জন্য কোনরূপ বিনিময় গ্রহণ করা সম্পূর্ণ নিষেধ। আল্লাহ তাঁর রসুলকে নির্দেশ দেন, তুমি তাদের নিকট কোন মজুরি দাবি করো না (সূরা ইউসুফ-১০৪), বল! আমি এর জন্য তোমাদের নিকট কোন পারিশ্রমিক চাই না (সুরা সাদ-৮৬), নবী-রসুলদেরকে আল্লাহ সৎপথে পরিচালিত করেছেন। সুতরাং তুমি তাদের পথ অনুসরণ কর; বল! এর জন্য আমি তোমাদের কাছে কোন মজুরি চাই না। (সূরা আনআম-৯০)। মানুষকে তওহীদের দিকে আহ্বান করে প্রত্যেক নবীই বলতেন, আমি তোমাদের কাছে কোন মজুরি চাই না, আমার বিনিময় তো আল্লাহর কাছে (সূরা শুয়ারা-১৮০)।

তথ্য সূত্র -: আদ্য প্রকাশিত বিভিন্ন পত্রিকার পাতা থেকে
ট্যাগ/কি-ওয়ার্ড : বিদেশী মেহমান ১৬ হাজার // এজতেমায় আগত লোক সংখ্যা বি বি সির বাস্য মতে প্রায় ৩০ লক্ষাধীক // ৯০টি দেশের মুসল্লীদের অংশ গ্রহন/ ১ম পর্বের ছবি 
 
 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন