Translate

শনিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৩

তাডা হুডো করে দ্রুত গতিতে কওমী মাদ্রাসা খসডা আইন

বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ প্রণয়ন করেছে। সেখানে কওমি মাদ্রাসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে এর ব্যবস্থাপনা বিষয়ে মতামত দেওয়ার জন্য একটি কমিশন গঠনের সুপারিশ করা হয়। এর ভিত্তিতেই ২০১২ সালে ১৭ সদস্যের বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন চট্টগ্রামের হাটহাজারির দারুল উলুম মঈনুল ইসলামের মহাপরিচালক মাওলানা আহমদ শফী। কমিশনের কো-চেয়ারম্যান ছিলেন ইকরা বাংলাদেশের পরিচালক মাওলানা আল্লামা ফরিদ উদ্দীন মাসউদ। কমিশনের সদস্যসচিবের দায়িত্ব পালন করেন গোপালগঞ্জের গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসার মহাপরিচালক মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন। সেই কমিশনই কওমি মাদ্রাসা পরিচালনার জন্য একটি খসড়া নীতিমালা প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়। পরে সেই খসড়া নিয়ে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে মতবিনিময় করে সরকার। প্রস্তাবিত খসড়া নীতিমালার আলোকে কওমি মাদ্রাসার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ আইনের খসড়া করে সরকার। এই খসড়া নিয়ে গত ৮ অক্টোবর আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক হয়। সেই খসড়ার ওপর এর মধ্যেই অর্থ মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় মতামত দিয়েছে। গত রবিবার খসড়া আইনটি তোলা হয় প্রশাসনিক উন্নয়নসংক্রান্ত সচিব কমিটিতে অনেকটা তাড়াহুড়া করে। কারণ প্রশাসনিক উন্নয়নসংক্রান্ত সচিব কমিটির যে এজেন্ডা ছিল তাতে কওমি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আইনের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত ছিল না। ওই দিন ১৩টি এজেন্ডা ছিল। পরে বিশেষ ব্যবস্থায় সেটি বৈঠকে তোলা হয়।

 
কমিটির বৈঠকে বেশির ভাগ সচিব তাড়াহুড়া করে এখনই আইন প্রণয়ন না করার বিষয়ে মত দেন। কিন্তু শিক্ষাসচিবের অনড় অবস্থানের কারণে শেষ পর্যন্ত সচিব কমিটি আইনটি করার সুপারিশ করে। উল্লেখ্য, কোনো কর্তৃপক্ষ করার বিষয়ে সচিব কমিটির সুপারিশ নিতে হয়। এর পর সেই আইনটি মন্ত্রিসভা বৈঠকে অনুমোদন করে সংসদে নিতে হয়।
সচিব কমিটির বৈঠক শেষে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আবদুস সোবহান সিকদার বলেন, 'কওমি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আইন প্রণয়ন করা হবে কি না তা সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়। প্রশাসনিক উন্নয়নসংক্রান্ত সচিব কমিটিতে আসার পর আমরা খুঁটিনাটি পরীক্ষা করেছি।' বৈঠকে অংশ নেওয়া আরেকজন সচিব নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালের কণ্ঠকে বলেন, কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ আইন করাটা বুমেরাং হতে পারে। তাদের নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করা দরকার। কওমি মাদ্রাসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরকারের কিছু লোককে সুবিধা দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষ করা হচ্ছে বলে তিনি মনে করেন।খবরের সূত্র: দৈনিক কালের কন্ঠ।
 
 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন