Translate

মঙ্গলবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

হরতালের ইতিহাস ও অর্থ এবং হরতালে মানুষ কেন, একটা পিপিলীকাকে ও আগুনে পুড়ে মারার অনুমতি ইসলামে নেই,

মানুষ মানুষকে পুড়িয়ে মারছে। পেট্রোল মেরে আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠা আগুনে দগ্ধ হচ্ছে নিরপরাধ মানুষ। সে জানতেও পারছে না কী তার অপরাধ। সংবাদপত্রের পাতা  আর টিলিভিশনে আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্চোযম ফেইজবুকে চোখ রাখা যায় না। এমন নির্মম, বীভৎসতা কিভাবে দেখি। কেঁদে ওঠে মন। সবাই ক্ষমতার জন্য কেউ ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায় আবার কেউ ক্ষমতায় যেতে চায় ,  হায়রে মানুষ, আর কত নিচে নামবে? আর কত মানুষ পুড়ে মরবে, কবে আসবে শান্তি? মানুষ হত্যা মহাপাপ। ইসলাম কোনো রকম হত্যাকাণ্ডকে সমর্থন করে না। অথচ উভয় দলের নেতাকর্মী সবাই প্রায়  মুসলমান। আবার অনেকে ইসলামের নামে রাজনিতীও করেন।


কেবল মানুষ হত্যা নয়, জমিনে ফ্যাসাদ ও অশান্তি সৃষ্টিও মহাপাপ। যারা এসব কাজ করছে, এসব কাজের সঙ্গে যারা জড়িত, যারা ইন্ধনদাতা, তাদের সবাইকেই আখেরাতে কঠিন আজাবের মুখোমুখি হতে হবে। ইসলাম শান্তির ধর্ম। সব মানুষের, সব সম্প্রদায়ের অধিকার ইসলামে রয়েছে।


সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ইসলাম  কখনো সমর্থিত নয়। অপরাধ ছাড়া মানুষ হত্যা যেন সব মানুষকেই হত্যা করা।
কোরআনে বলা হয়েছে, 'যে ব্যক্তি হত্যার বদলে হত্যা ও জমিনে ফ্যাসাদ সৃষ্টির অপরাধ ছাড়া কাউকে হত্যা করল, সে যেন সব মানুষকেই হত্যা করল'- (সুরা মায়েদা : ৩২)।

'আল্লাহ যার হত্যা নিষিদ্ধ করেছেন যথার্থ কারণ ব্যতিরেকে তাকে হত্যা করো না' (সুরা বনি ইসরাইল : ৩৩)। 'যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো মুমিনকে হত্যা করবে, তার পরিণতি হলো স্থায়ীভাবে জাহান্নাম।
আল্লাহ তায়ালা তার প্রতি ক্রোধান্বিত থাকবেন, তার প্রতি অভিসম্পাত করবেন এবং তার জন্য প্রস্তুত রাখবেন ভয়ানক শাস্তি'- (সুরা নিসা : ৯৩)। '


তোমরা পৃথিবীতে গোলযোগ সৃষ্টি করবে না। নিশ্চয়ই আল্লাহ ফাসাদ সৃষ্টিকারীকে পছন্দ করেন না'- (সুরা কাসাস : ৭৭)। '


'গোলযোগ সৃষ্টি করা তো হত্যার চেয়েও বড় কঠিন অপরাধ'- (সুরা বাকারা : ২১)।

মানুষ কেন  বিনা প্রয়োজনে একটা পিপীলিকা ও আগুনে পুডে মারার বিধান ইসলামে নেই । আগুনে পুড়ে শাস্তি দেয়া একমাত্র স্রষ্টার জন্যই মানায় অন্য কারো জন্য নয় ।
আর সেখানে আশরাফুল মাখলুকাত  মানুষকে পুড়িয়ে মারা কত বড়  জগন্য অপরাধ। এমনকি যুদ্ধ ক্ষেত্রে এমন জালাও পোড়াও সমর্থন করেনা ইসলাম ।


আমি ব্যক্তিগত ভাবে এক গীফট্ সপে কাজ করি , কিন্তু মাঝে মধ্যে গরম গ্লুগ্যান দিয়ে   কাজ করার  সময় আঙ্গুলে চেকা লাগলে  মনে হয় ে  যেন প্রান বাহির হওয়ার আবস্হা  অনুভব করি । আর সেখানে একটা মানুষকে  সারা গায়ে আস্হা আগুন লাগিয়ে এমন নিসংস্ব  ভাবে হত্যা , কি যন্ত্রনাদায়ক ভূক্তভূগি ছাড়া কেউ তা অনূধাবন করা সম্ভবনা

তাছাড়া মানুষের  মত প্রকাশের স্বাধীনতা  ও ধর্মীয় স্বাধীনতা  ও ধর্মের জ্ঞান না  থাকার কারনেই আজকে আমাদের দেশে এমন জগন্য কর্মকান্ড সংঘঠিত হচ্ছে । যদিও এর দায় কেউ স্বীকার করছেনা।



হরতালের ইতিহাস
==============

হরতাল করা আমাদের দেশের গণতান্ত্রিক অধিকার হলেও তাতে মানুষ হত্যা, সম্পদ ধ্বংস,অগ্নিসংযোগ অরাজকতা সৃষ্টি করে মানুষের ভোগান্তি সৃষ্টির অধিকার নেই। 

পৃথিবীতে হরতাল অবরোধের ইতিহাস তালাশ করলে আমরা দেখতে পাই যে,

১৭৮৬ সালে আমেরিকার ছাপাখানার শ্রমিকরা, ১৯২০ সালে জার্মানে রাজনৈতিক কারণে, ১৯২৬ সালে ব্রিটেনে কয়লা শ্রমিকরা দাবি আদায়ের জন্য স্ট্রাইকের কৌশল ব্যবহার করেন, সেই থেকেই হরতাল । ভারতে রাজীব গান্ধী র হাত ধরে উপমহাদেশেও তার প্রচলন ঘটে।

‘হর’ অর্থ প্রত্যেক, ‘তাল’ অর্থ তালা। অর্থাৎ প্রতি দরজায় তালা।

প্রাথমিক যুগে প্রতিবাদকারীরা স্বেচ্ছায় দোকান-পাট, কর্মক্ষেত্র ইত্যাদি বন্ধ রাখত। কোনো ন্যায্য বিষয়ে জনগণ স্বেচ্ছায়, স্বতঃস্ফূর্তভাবে সব কিছু বন্ধ রেখে প্রতিবাদ জানালে ইসলাম তার বিরোধিতা করে না।

তবে কালক্রমে হরতালের পরিবর্তিত কালচার-সংস্কৃতি, রূপ ও চিত্রের আলোকে প্রচলিত হরতাল ইসলাম কোনোভাবেই সমর্থন করে না। ‘নিজে জ্বলো এবং অন্যকে জ্বালাও’ ইসলাম যেহেতু এর কোনো নীতিকে কোনো অবস্থায়ই সমর্থন করে না, তাই ইসলাম হিংসা-বিদ্বেষকেও হারাম করেছে। আবার বারুদের সৃষ্ট আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ানো নীতিকেও কঠোরভাবে নিষেধ করেছে। আর এটাকে মানবতাবিরোধী গর্হিত অপরাধ হিসেবে গণ্য করেছে। 

’ ফতোয়ায়ে হাক্কানিয়াতে বলা হয়েছে, বর্তমানে হরতাল-অবরোধ বিভিন্ন পদ্ধতিতে পালন করা হয়। কোনো কোনো হরতালে এমন হয়, তার মধ্যে হত্যা, লুটতরাজ, পাথর নিক্ষেপ, ভাঙচুর, চলন্ত গাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং সরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি করা হয়ে থাকে। ইসলাম এ ধরনের কর্মসূচিকে সমর্থন করে না (ফতোয়ায়ে হাক্কানিয়া, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৩৫৬)।

ইসলামে কোনো মানুষকে অন্যায়ভাবে হত্যার ব্যাপারে যতো কঠিন সতর্কবাণী এসেছে, অন্য কোনো গোনাহের ব্যাপারে তা আসেনি।

মানুষ কেন বিনা প্রয়োজনে একটা পিপীলিকা ও আগুনে পুডে মারার বিধান ইসলামে নেই । 

আর সেখানে আশরাফুল মাখলুকাত মানুষকে পুড়িয়ে মারা কত বড় জগন্য অপরাধ। এমনকি যুদ্ধ ক্ষেত্রে এমন জালাও পোড়াও সমর্থন করেনা ইসলাম । 

আগুনে পুড়ে শাস্তি দেয়া একমাত্র স্রষ্টার জন্যই মানায় অন্য কারো জন্য নয় ।যা পরকালে আল্লাহর নাফরমানদের জন্যই নির্ধারীত ।

আমি ব্যক্তিগত ভাবে এক গীফট্ সপে কাজ করি , কিন্তু মাঝে মধ্যে গরম গ্লুগ্যান দিয়ে কাজ করার সময় আঙ্গুলে চেকা লাগলে মনে হয় যেন প্রান বাহির হওয়ার আবস্হা । আর সেখানে একটা মানুষকে সারা গায়ে আস্হা আগুন লাগিয়ে এমন নিশংস্ব ভাবে হত্যা , কি যন্ত্রনাদায়ক !

ভূক্তভূগি ছাড়া কেউ তা অনূধাবন করা সম্ভবনা ,

তাছাড়া মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা না থাকার কারনেই আজকে আমাদের দেশে এমন জগন্য কর্মকান্ড সংঘঠিত হচ্ছে । যদিও এর দায় কেউ স্বীকার করছেনা। মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত বলেই এমন পথ বেচে নিচ্ছে বলে মনে হয়





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন