Translate

শুক্রবার, ২৭ জুলাই, ২০১৮

নবী সাঃ এর ইশারায় দ্বিখন্ডিত চাদ

"বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মাদ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইশারায় চাঁদ দ্বিখণ্ডিতঃ

আজ থেকে ১৪৩৮ চন্দ্র বছর আগে এই মাসে (১৪ই জ্বিলহজ্ব) বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)’র মোজেযার প্রকাশ হিসেবে তাঁর আঙ্গুলের ইশারায় পূর্ণ চাঁদ দ্বিখণ্ডিত হয়েছিল। আবু জাহলের নেতৃত্বে একদল মূর্তিপূজারী ও ইহুদি জানায় যে, মুহাম্মাদ (সা.) যে আল্লাহর রাসূল তা তারা মেনে নেবে যদি তিনি চাঁদকে দ্বিখণ্ডিত করে দেখাতে পারেন। তখন রাসূল (সা.) আল্লাহর কাছে দোয়া করে আঙ্গুলের ইশারা করলে ওই অলৌকিক ঘটনাটি ঘটে।

পবিত্র কুরআনের সুরা আল-কামারের প্রথম দুই আয়াতে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে: "কিয়ামত আসন্ন এবং চাঁদ দ্বিখণ্ডিত হয়েছে। তারা কোনো নিদর্শন সরাসরি দেখলেও মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং বলে, ‘এতো চিরাচরিত জাদু’। "

ওই আরব মুশরিকরা এই মোজেজা অস্বীকার করে একে জাদু বলে অভিহিত করে। কিন্তু উপস্থিত ইহুদিরা চাঁদ দুই ভাগ হওয়ার ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। কারণ, ওই ইহুদিরা তাওরাতে পড়েছিল যে হযরত মূসা (আ.)’র উত্তরসূরি হযরত ইউশা (আ.)’র জন্য মহান আল্লাহ চাঁদ ও সূর্যকে স্থির করে রেখেছিলেন।

রাসূল (সা.) চাঁদকে এত স্পষ্টভাবে দুই টুকরা করেন যে ওই দুই টুকরার ব্যবধানের মধ্যে হেরা পর্বত দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু আবু জাহল বলে ওঠে, “তিনি নজরবন্দি করেছেন। যেসব লোক বিদেশে গেছে তারা ফিরে এসে সমর্থন জানালে তখন বুঝব।” বিদেশ থেকে আসা লোকেরা দেশে ফিরে এসে এ ঘটনার সত্যতাকে সমর্থন করলেও আবু জাহল বলে, “ তিনি গোটা পৃথিবীর সব লোককে নজরবন্দী করেছেন।"

ভারতের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত মালাবার রাজ্যের (বর্তমান কেরালা অঞ্চল) ততকালীন রাজা চক্রবর্তী ফারমাস (চেরামান পিরুমেল) আকাশে চাঁদ দুই টুকরো হয়ে যাওয়ার ওই অলৌকিক ঘটনাটি স্বচক্ষে দেখেছিলেন। যখন তিনি জানতে পারেন যে আরব দেশে শেষ নবীর আবির্ভাব ঘটেছে ও রাসূল (সা.)ই চাঁদ দ্বিখণ্ডিত করেছেন, তখন তিনি মক্কায় গিয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। ভারতের ইতিহাস গ্রন্থ ‘তারিখে ফেরেশতা’য় ওই ঘটনা উল্লেখিত হয়েছে। চেরামানের নামে ভারতের কেরালা রাজ্যে একটি মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

মার্কিন মহাশূন্য গবেষণা সংস্থা নাসার নভোচারীদের মাধ্যমে তোলা ছবিতেও চাঁদের মধ্যে গভীর ফাটলের চিহ্ন বা দাগ দেখা গেছে এবং এ থেকে স্পষ্ট হয়, কোনো এক সময় চাঁদ দ্বিখণ্ডিত হয়েছিল। ভারতীয় রাজা যে ওই ঘটনা দেখেছিলেন তার লিখিত বিবরণের একটি প্রাচীন দলিল বর্তমানে লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসের লাইব্রেরিতে সংরক্ষিত রয়েছে। ওই দলিলে ভারতীয় সেই রাজার ভ্রমণের বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে। ওই রাজা ভারতে ফেরার পথে ইয়েমেনে মারা যান।

১৯৬৯ সালে এ্যাপোলো -১১ নামের একটি মার্কিন মহাকাশযানে মানুষ সর্বপ্রথম চাঁদে অবতরন করে। এর আগেও চাঁদ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণার জন্য এ্যাপোলো-১০ নামের রকেট চাঁদে পাঠানো হয় চাঁদের সর্বাধিক ছবি তুলে আনার জন্য। ঐ সময়ে চাঁদের যেই ছবি এলো, এতে দেখা যায় চাঁদের বুকচিরে একটি ফাঁটল বিদ্যমান। ফাঁটলটি লম্বায় ২০০ [কিঃমিঃ] এর ও বেশি এবং চওড়ায় ৩ [কিঃমিঃ]

বিজ্ঞানীগণ এর নাম দিয়েছেন "হাইজিনাস রিলী"।
এই "হাইজিনাস রিলী"র মাটি ও পাঁথর গবেষণা করে বিজ্ঞানীগণ আবিষ্কার করলেন যে, এই ভাঙ্গা ও জোড়া লাগার ঘটনাটি ১৪০০ বছরেরও পুরোনো।
এই ঘটনায় অভিভূত হয়ে একাধিক বিজ্ঞানী ইসলান ধর্ম গ্রহন করেন।
এর মধ্যে চাঁদে প্রথম অবতরণকারী "এডউইন এলড্রিন" ও অন্যতম।" আল্লাহু আকবার!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন