এমন অনেকে আছে, যাদের লেখার সখ আছে, কিন্তু কি লিখবেন, তা খুঁজে পান না। অনেক জ্ঞানী লোকও এমন আছেন যারা লিখতে অভ্যস্ত নন। লেখার পরামর্শ দিলে তাঁরা কী লিখবেন, কিভাবে লিখবেন, কিভাবে শুরু করবেন, তা খুঁজে পান না। সাহস করে লিখতে বসুন এবং ধৈর্য ধরে লিখে যান।
লেখার আছে বিচিত্র ধরন। এ যেনো খাবার টেবিলে সাজানো রকমারি খাবার। কোনটি দিয়ে শুরু করবেন তা, নিজেই ঠিক করুন। তবে প্রতিটি পাত্র থেকেই কিছু কিছু খেয়ে দেখুন। তারপর মন আর রুচি যেটির দিকে ছুটে যায়, সেটিকে নিয়েই জেঁকে বসুন।
পত্রিকায় লিখুন, সংবাদ তৈরি করে পাঠান, কোনো বিষয়ে মতামত ব্যক্ত করে লিখে পাঠান। তথ্য সমৃদ্ধ ফিচার লিখুন। প্রবন্ধ লিখুন। কোন পুস্তকের সমালোচনা লিখুন। অন্য ভাষা থেকে কিছু অনুবাদ করুন। স্মৃতিকথা লিখুন। ভ্রমণ বৃত্তান্ত লিখুন। কবিতা লিখুন। এভাবে হাত পাকা করুন।
তারপর আরো এগিয়ে চলুন। কোন বিষয়কে কেন্দ্র করে নিবন্ধ রচনা করুন। পুস্তিকা লিখুন। সামাজিক সমস্যার বিবরণ ও তা সমাধানের জন্যে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে বই লিখুন। আপনার আদর্শ ও মতবাদকে কেন্দ্র করে লিখুন। অন্যদের মতবাদকে সমালোচনা করে লিখুন। সেরা মানুষদের জীবনী লিখুন। আত্মচিন্তা ও সমাজ ভাবনাকে পুঁজি করে গল্প লিখুন। উপন্যাস লিখুন,নাটক লিখুন। প্রবন্ধ লিখুন, নিবন্ধ লিখুন এবং বই রচনা করুন, সমাজ ,অর্থনীতি,রাজনীতি,ভূগোল,ইতিহাস,বিজ্ঞান ইত্যাদি শত বিষয়ের মধ্যে যেটা আপনার পছন্দ,আপনার জন্যে যেটা সুবিদা,সেটাকে নিয়ে।
এভাবে সব পাত্র থেকেই কিছু কিছু খেয়ে দেখুন, চেঁটে দেখুন। আপনার রুচিই বলে দেবে, কোন খাবারটি আপনার পছন্দের। কোনটি আপনার জন্যে অধিকতর যুৎসই।
হ্যাঁ লিখতে থাকুন। আস্তে আস্তে লেখা আপনার ভালো লাগবে। তখন আপনার কলমই বলে দেবে,আপনি কী লিখবেন। এজন্যে আপনার কলমের পরামর্শই যথেষ্ট। পরামর্শ আদায়ের জন্য কলমের পিছনে লাগুন।
কত যে বাধা। তবে কলমের পিছনে লাগলেই লেখক হওয়া যায় না। লেখক হওয়ার পথে আছে অনেক বাধা। অনেক সমস্যা। অনেক জটিলতা। আছে অনেক দুঃখ ,অনেক মুসিবত। এসব কিছু ডিঙ্গিয়েই হতে হয় লেখক। এগুলো ডিঙ্গাবার দুঃসাহস কি আপনার আছে? লেখক হবার পথে কী কী বাধা আছে জানেন? আছে অন্ধকার পথ, ঢাকনাহীন ম্যানহোল,উদ্যত জগদ্দল। আছ কাটাবন, বিষাক্ত ফনিনী। আছে নিবীড় বন, হিংস্র নেকড়ে। আছে রাহাজান। আছে খরা, দারিদ্র,তৃষ্ণা,ক্ষুধা। ম্যানহোলে পড়ে যেতে পারেন। জগদ্দলে হোঁচট খেয়ে রক্তাক্ত হতে পারেন। বিদ্ধ হতে পারে কাটাঁ, দংশন করতে পারে ফনিনী। নেকড়ে রতে পারে তারা, সর্বস্ব লুটে নিতে পারে রাহাজান। তপ্ত হতে পারেন খরায়, নিষ্পিষ্ট হতে পারেন দারিদ্রে। তারপরেও এ পথে জমাতে চান পাড়ি! তবে নিশ্চয়ই বাহাদুর ব্যক্তি আপনি। আসুন আমরা কোলাকুলি করি। তারপর কথাটি বলি খোলাখুলি।
হয়তো অনেক কাঠখড়ি পুড়িয়ে একটি লেখা তৈরি করেছেন। ছাপানোর জন্যে পত্রিকায় পাঠিয়েছেন। কিন্তু লেখাটি ছাপার জন্যে মনোনীত হয়নি, এমনকি লেখাটি আপনাকে ফেরতও দেয়নি। এ রকম অনেকবারই হতে পারে। অনেক চেষ্টা-সাধনা করে হয়তো আপনার দৃষ্টিতে একটি গুরুত্বপূর্ন লেখা তৈরি করেছেন। কাউকে লেখাটি দেখতে দিয়েছেন। তিনি দেখে বলেছেন, এটা কোনো লেখাই হয়নি। অথবা বলবেন, রেখে যান, আমি দেখবো। ক‘দিন পর আপনি লেখাটি ফেরত আনতে গেলে হয়তো শুনবেন, তিনি লেখাটি খুঁজে পাচ্ছেন না। লেখাটি হারিয়ে গেছে। অনেক সাধনা করে আপনি একটি পাণ্ডলিপি তৈরি করলেন। এটি প্রকাশ করার জন্যে আপনার মন আনচান করছে। এটি নিয়ে-
১. আপনি একজন, দু‘জন, পাঁচজন, দশজন প্রকাশকের দ্বারে দ্বারে ঘুরলেন। কিন্তু কেউই এটি প্রকাশ করার জন্যে পছন্দ করলো না অথবা দু‘একজন পাণ্ডুলিপিটি প্রকাশ করবেন বলে রেখেছিলেন। বছরখানেক পরে খোঁজ নিয়ে দেখরেন, সেটি লা-পাত্তা।
২. অথবা প্রকাশক আপনার পাণ্ডুলিপি প্রকাশ করলো, কিন্তু তাতে আপনার নাম নেই, আছে অন্য কারো নাম। অথবা
৩. বইটি প্রকাশ করা হয়েছে, চলছেও হরদম, প্রকাশক লাভবানও হচ্ছেন, কিন্তু আপনি হচ্ছেন বঞ্চিত।
৪. অথবা কোনো প্রকাশক না পেয়ে আপনি নিজেই বইটি প্রকাশ করলেন। কিন্তু ব্যবসা না জানার কারণে বিক্রি করতে পারলেন না ।
৫. অথবা বিক্রয়ের জন্যে দোকানে দোকানে দিয়েছেন, কিন্তু টাকা আদায় করা আপনার পক্ষে সম্ভব হয়নি।
৬. হয়তো আপনার একটা লেখা পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে, তা সরকারের বিপক্ষে যাওয়ায় আপনাকে কারা দণ্ড দেওয়া হলো।
এভাবে একজন লেখকের চলার পথে আসতে পারে হাজারো বাঁধা। এতে কি আপনি দমে যাবেন? না, কোনো বাহাদুর লেখক কখনো দমতে পারে না, নেতিয়ে পরতে পারে না, পারে না পিছপা হতে। কি জানেন ন্, বহু বড় বড় লেখকের লেখা প্রথম দিকে পত্রিকায় ছাপা হতো না? রবীন্দ্রনাথ নিজের লেখা সংশোধন করতেন? ইংরেজদের সর্বশ্রেষ্ঠ লেখক জর্জ বার্নাড শ‘র পাণ্ডুলিপি প্রথমদিকে কোনো প্রকাশকই ছাপতে রাজি হননি? আপনি কি জানেন না, বাংলা সাহিত্যের অন্যতম দিকপাল ফররুখ আহমদ অনাহারে মৃত্যুবরণ করেছেন? মিশরের জননন্দিত লেখক সাইয়্যেদ কুতুবকে একটি বই লেখার জন্যে ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলানো হয়েছে?
কিন্তু বহু আগে মরে যাবার পরেও এঁরা সবাই বেঁচে আছেন তাঁদের লেখার মধ্যে। এঁরা বিশ্ববাসীর প্রিয় লেখক। বহুকাল তারা বেঁচে থাকবেন মানুষের হৃদয়ে। মানুষ উদ্বুদ্ধ হবে তাদের লেখা পড়ে। বিশ্ববাসী এঁদের ভক্ত অনুরক্ত।
ভয় পাবেন না, চিন্তিত হবেন না, থেমে যাবেন না, এগিয়ে চলুন। অটল হোন, সহিষ্ণু হোন, নির্ভীক হোন, ইচ্ছা শক্তিকে প্রবল করুন, সব বাঁধা ডিঙ্গিয়ে চলুন। হয়তো একদিন আপনিও হতে পারেন বার্নাড শ, ইলিয়ট, ইকবাল, ফররুখ, শাহ ওয়ালিউল্লাহ, আবুল হাসান আলী নদভী প্রমখের মতো লেখক। কে জানে, কী সম্পদ লুকিয়ে আছে আপনার মাঝে?http://www.qawmee.com/?p=217
(সংকলিত)
লেখার আছে বিচিত্র ধরন। এ যেনো খাবার টেবিলে সাজানো রকমারি খাবার। কোনটি দিয়ে শুরু করবেন তা, নিজেই ঠিক করুন। তবে প্রতিটি পাত্র থেকেই কিছু কিছু খেয়ে দেখুন। তারপর মন আর রুচি যেটির দিকে ছুটে যায়, সেটিকে নিয়েই জেঁকে বসুন।
পত্রিকায় লিখুন, সংবাদ তৈরি করে পাঠান, কোনো বিষয়ে মতামত ব্যক্ত করে লিখে পাঠান। তথ্য সমৃদ্ধ ফিচার লিখুন। প্রবন্ধ লিখুন। কোন পুস্তকের সমালোচনা লিখুন। অন্য ভাষা থেকে কিছু অনুবাদ করুন। স্মৃতিকথা লিখুন। ভ্রমণ বৃত্তান্ত লিখুন। কবিতা লিখুন। এভাবে হাত পাকা করুন।
তারপর আরো এগিয়ে চলুন। কোন বিষয়কে কেন্দ্র করে নিবন্ধ রচনা করুন। পুস্তিকা লিখুন। সামাজিক সমস্যার বিবরণ ও তা সমাধানের জন্যে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে বই লিখুন। আপনার আদর্শ ও মতবাদকে কেন্দ্র করে লিখুন। অন্যদের মতবাদকে সমালোচনা করে লিখুন। সেরা মানুষদের জীবনী লিখুন। আত্মচিন্তা ও সমাজ ভাবনাকে পুঁজি করে গল্প লিখুন। উপন্যাস লিখুন,নাটক লিখুন। প্রবন্ধ লিখুন, নিবন্ধ লিখুন এবং বই রচনা করুন, সমাজ ,অর্থনীতি,রাজনীতি,ভূগোল,ইতিহাস,বিজ্ঞান ইত্যাদি শত বিষয়ের মধ্যে যেটা আপনার পছন্দ,আপনার জন্যে যেটা সুবিদা,সেটাকে নিয়ে।
এভাবে সব পাত্র থেকেই কিছু কিছু খেয়ে দেখুন, চেঁটে দেখুন। আপনার রুচিই বলে দেবে, কোন খাবারটি আপনার পছন্দের। কোনটি আপনার জন্যে অধিকতর যুৎসই।
হ্যাঁ লিখতে থাকুন। আস্তে আস্তে লেখা আপনার ভালো লাগবে। তখন আপনার কলমই বলে দেবে,আপনি কী লিখবেন। এজন্যে আপনার কলমের পরামর্শই যথেষ্ট। পরামর্শ আদায়ের জন্য কলমের পিছনে লাগুন।
কত যে বাধা। তবে কলমের পিছনে লাগলেই লেখক হওয়া যায় না। লেখক হওয়ার পথে আছে অনেক বাধা। অনেক সমস্যা। অনেক জটিলতা। আছে অনেক দুঃখ ,অনেক মুসিবত। এসব কিছু ডিঙ্গিয়েই হতে হয় লেখক। এগুলো ডিঙ্গাবার দুঃসাহস কি আপনার আছে? লেখক হবার পথে কী কী বাধা আছে জানেন? আছে অন্ধকার পথ, ঢাকনাহীন ম্যানহোল,উদ্যত জগদ্দল। আছ কাটাবন, বিষাক্ত ফনিনী। আছে নিবীড় বন, হিংস্র নেকড়ে। আছে রাহাজান। আছে খরা, দারিদ্র,তৃষ্ণা,ক্ষুধা। ম্যানহোলে পড়ে যেতে পারেন। জগদ্দলে হোঁচট খেয়ে রক্তাক্ত হতে পারেন। বিদ্ধ হতে পারে কাটাঁ, দংশন করতে পারে ফনিনী। নেকড়ে রতে পারে তারা, সর্বস্ব লুটে নিতে পারে রাহাজান। তপ্ত হতে পারেন খরায়, নিষ্পিষ্ট হতে পারেন দারিদ্রে। তারপরেও এ পথে জমাতে চান পাড়ি! তবে নিশ্চয়ই বাহাদুর ব্যক্তি আপনি। আসুন আমরা কোলাকুলি করি। তারপর কথাটি বলি খোলাখুলি।
হয়তো অনেক কাঠখড়ি পুড়িয়ে একটি লেখা তৈরি করেছেন। ছাপানোর জন্যে পত্রিকায় পাঠিয়েছেন। কিন্তু লেখাটি ছাপার জন্যে মনোনীত হয়নি, এমনকি লেখাটি আপনাকে ফেরতও দেয়নি। এ রকম অনেকবারই হতে পারে। অনেক চেষ্টা-সাধনা করে হয়তো আপনার দৃষ্টিতে একটি গুরুত্বপূর্ন লেখা তৈরি করেছেন। কাউকে লেখাটি দেখতে দিয়েছেন। তিনি দেখে বলেছেন, এটা কোনো লেখাই হয়নি। অথবা বলবেন, রেখে যান, আমি দেখবো। ক‘দিন পর আপনি লেখাটি ফেরত আনতে গেলে হয়তো শুনবেন, তিনি লেখাটি খুঁজে পাচ্ছেন না। লেখাটি হারিয়ে গেছে। অনেক সাধনা করে আপনি একটি পাণ্ডলিপি তৈরি করলেন। এটি প্রকাশ করার জন্যে আপনার মন আনচান করছে। এটি নিয়ে-
১. আপনি একজন, দু‘জন, পাঁচজন, দশজন প্রকাশকের দ্বারে দ্বারে ঘুরলেন। কিন্তু কেউই এটি প্রকাশ করার জন্যে পছন্দ করলো না অথবা দু‘একজন পাণ্ডুলিপিটি প্রকাশ করবেন বলে রেখেছিলেন। বছরখানেক পরে খোঁজ নিয়ে দেখরেন, সেটি লা-পাত্তা।
২. অথবা প্রকাশক আপনার পাণ্ডুলিপি প্রকাশ করলো, কিন্তু তাতে আপনার নাম নেই, আছে অন্য কারো নাম। অথবা
৩. বইটি প্রকাশ করা হয়েছে, চলছেও হরদম, প্রকাশক লাভবানও হচ্ছেন, কিন্তু আপনি হচ্ছেন বঞ্চিত।
৪. অথবা কোনো প্রকাশক না পেয়ে আপনি নিজেই বইটি প্রকাশ করলেন। কিন্তু ব্যবসা না জানার কারণে বিক্রি করতে পারলেন না ।
৫. অথবা বিক্রয়ের জন্যে দোকানে দোকানে দিয়েছেন, কিন্তু টাকা আদায় করা আপনার পক্ষে সম্ভব হয়নি।
৬. হয়তো আপনার একটা লেখা পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে, তা সরকারের বিপক্ষে যাওয়ায় আপনাকে কারা দণ্ড দেওয়া হলো।
এভাবে একজন লেখকের চলার পথে আসতে পারে হাজারো বাঁধা। এতে কি আপনি দমে যাবেন? না, কোনো বাহাদুর লেখক কখনো দমতে পারে না, নেতিয়ে পরতে পারে না, পারে না পিছপা হতে। কি জানেন ন্, বহু বড় বড় লেখকের লেখা প্রথম দিকে পত্রিকায় ছাপা হতো না? রবীন্দ্রনাথ নিজের লেখা সংশোধন করতেন? ইংরেজদের সর্বশ্রেষ্ঠ লেখক জর্জ বার্নাড শ‘র পাণ্ডুলিপি প্রথমদিকে কোনো প্রকাশকই ছাপতে রাজি হননি? আপনি কি জানেন না, বাংলা সাহিত্যের অন্যতম দিকপাল ফররুখ আহমদ অনাহারে মৃত্যুবরণ করেছেন? মিশরের জননন্দিত লেখক সাইয়্যেদ কুতুবকে একটি বই লেখার জন্যে ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলানো হয়েছে?
কিন্তু বহু আগে মরে যাবার পরেও এঁরা সবাই বেঁচে আছেন তাঁদের লেখার মধ্যে। এঁরা বিশ্ববাসীর প্রিয় লেখক। বহুকাল তারা বেঁচে থাকবেন মানুষের হৃদয়ে। মানুষ উদ্বুদ্ধ হবে তাদের লেখা পড়ে। বিশ্ববাসী এঁদের ভক্ত অনুরক্ত।
ভয় পাবেন না, চিন্তিত হবেন না, থেমে যাবেন না, এগিয়ে চলুন। অটল হোন, সহিষ্ণু হোন, নির্ভীক হোন, ইচ্ছা শক্তিকে প্রবল করুন, সব বাঁধা ডিঙ্গিয়ে চলুন। হয়তো একদিন আপনিও হতে পারেন বার্নাড শ, ইলিয়ট, ইকবাল, ফররুখ, শাহ ওয়ালিউল্লাহ, আবুল হাসান আলী নদভী প্রমখের মতো লেখক। কে জানে, কী সম্পদ লুকিয়ে আছে আপনার মাঝে?http://www.qawmee.com/?p=217
(সংকলিত)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন