Translate

বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৩

কওমী মাদ্রাসা ও কুরবানীর চামডা কালেকশনে কোটি পতির ছেলে ও বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত লোকদের সন্তান ও আছেন

আমরা বা কওমী পডুয়ারা স্বঃপুত ভাবে , বিনা শ্রমে দ্বীনি খেদমত সহ মাদ্রাসার গরীব দুঃখী ছাত্রদের সহযোগিতা কল্পে কুরবানীর পশুর চামডা সহ অন্যান্য কালেকশান করে থাকি , এবং ওস্তাদ- সহ পাঠিদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ,যা মাত্র ঈদের দিন কয়েক ঘন্টা , পরে যার যার বাডি গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সাথে ও ঈদের আনন্দ ভাগা-ভাগি করে থাকি এখানে আসলে মজটাই আালাদা ৷ আমাদের মধ্যে ধনী-গরীব কোন বেদাবেদ নেই ৷ সকলেই মিলে-মিশে ওস্তাতদের অনগত্যের মাধ্যমে , দ্বিনের ঝান্ডা উচু রাখতে আমাদের সমষ্টিগত এ প্রয়াস ৷
আমাদের  ছাত্রদের মধ্যে যেমন  রয়েছে নিন্ম মধ্যম  ও উঁচু  বৃত্তের ছাত্র  তেমনি রয়েছে কোটিপতির ছেলেও ৷


ছেলেটি কওমী মাদরাসায় পড়ে। বয়স আর কতো হবে;
১৪ বা ১৬,মাদরাসা/দ্বীনের প্রতি দরদ থাকার
কারণে ঈদের দিন

বাড়ী না গিয়ে চামড়া কালেকশনে এসেছে।
একটি বাসার সামনে দাড়ানো আছে বিশাল এক গরু।
সে এটা জবেহ দিবে। এবং মাদরাসার জন্য
চামড়া চাইবে। ছেলেটির ইচ্ছে পূরণ হলো। সে উক্ত
গরু জবেহ করলো। এবং মালিকের কাছে চামড়ার
ব্যাপারে আবেদন জানালো।
লোকটিকে বুঝানো হলো যে মাদরাসায় অনেক এতীম ও
দরিদ্র ছাত্র দ্বীনী এলেম শিক্ষা করছে। তাদের
খাওয়া দাওয়ার খরচ বাবদ
প্রতি মাসে মাদরাসা কতৃপক্ষের বহু টাকা ব্যায়
হয়। আপনাদের যাকাত সদকা এবং কুরবানীর পশুর
চামড়া দ্বারা এর ব্যায়ভার অনেকটাই পূরণ
করতে সক্ষম। সুতরাং চামড়াটা মাদ্রাসায়
দিয়ে দিন।
লোকটি এতো কিছু শুনার পরও চামড়া তো দিলই
না উল্টো ছেলেটিকে প্রচন্ড ধমকা ধমকি করলো। এর
তীব্রতা এতই ছিলো যে ছেলেটির চোখ থেকে টলটল
করে পানি ঝরা শুরু করলো। তারপরও ঐ সাহেবের
দীলে ভয় আসলো না যে আমি কাকে ধমক দিলাম??
উনি কি এটা ভাবলেন না যে ছেলেটি কুরআন
বুকে ধারন করেছে তাকে আমি কিভাবে ধমক দেই?
যাইহোক,




 এবার ছেলেটি কথা বলা আরম্ভ করলো।
সে লোকটি কে সম্বোধন করে বললোঃ আপনি কত
টাকা দামের গরু জবাই দিয়েছেন? জানেন আমার
বাড়ীতে আপনার গরুর চাইতে ডবল গরু আমার বাপ
একাই জবাই দিয়েছেন!!

 আমাদের কি ভাবেন?
আমরা ফকির মিসকিন? যেভাবে সেভাবে আচরণ
করে ফেলবেন? কি অধিকার আছে আপনার
আমাকে এভাবে ধমক দেয়ার?

 চামড়া না দিলে সুন্দর
করে বলবেন! তেজ দেখান কেন??? কওমী মাদরাসায়
শুধু এতীম আর লিল্লাহ এর ছাত্ররাই পড়ে না।


 এখানে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত লোকদের
সন্তানেরাও পড়ে। মেধাবী ছেলেরাও
পড়ে...সুতরাং ভেবেচিন্তে ব্যবহার খারাপ করবেন।
আপনার চামড়া জীবনে পা ধরলেও আর নেবোনা!!


যাইহোক, লোকটি পড়ে অনুতপ্ত হয় এবং প্রতি বৎসর
চামড়া মাদরাসায় দান করেন।

গত ৫ই মে শাহাদাত বরনকারীদের মধ্যে এক জন ছাত্র ছিল বিরাট এক কোটি পতির সে ঢাকা-চিটাগাং বা দেশের ভিতর দুরের সফরে বিমানেই যাতায়াত করত , সেই ছিল কওমী মাদ্রাসার ছাত্র





 

1 টি মন্তব্য: