Translate

রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০১৩

হাজী সাহেবানদের উদ্দেশ্যে মক্কা-মদীনায় অবস্হান কালীন সময়ে কিছু পরামর্শ মূলক 21টি টিপস্




হাজী সাহেবানদের উদ্দেশ্যে পরামর্শ মূলক 21 টি টিপস্ ,

হাজী সাহেবান গন মক্কা মদীনায়  অবস্হান কালীন  সময়ে
করনীয় কিছু পরামর্শ

পরামর্শ == 
১৷ হারাম শরীফে যথা সম্ভব আজানের ১ঘন্টা/আধাঘন্টা আগে যাওয়া, নতুবা ভিতরে জায়গা পাবেন্ না ,দেরীতে আসলে জায়নামাজ আবশ্যই সাথে আনবেন ৷
 ২৷ পেটে বা প্রস্রাবের সমস্যা থাকলে পানি ও খাওয়া দাওয়া কন্ট্রোল করুন ,
৩ ৷ জুতা সেন্ডেল পলিথিন করে সাথেই রাখুন ৷
 ৪৷ মানুষের চলাচলের রাস্তা এডিয়ে বসুন ৷
 ৫৷ সাথিদের ফোন নং ,মোয়ালি্লমের ফোন নং  সাথেই রাখুন ৷
 ৬৷হারাম শরীফের প্রবেশ পথ তথা গেইট নং খেয়াল রাখুন ৷যাতে আসা যাওয়ায় পথ ভূলে না যান ৷
 ৭ ৷ সাথী/ তাবু/হোটেল হারিয়ে ফেললে অযথা ঘূরা ঘূরি না করে অধৈয্য না হয়ে নিজের সাথে থাকা কার্ড নিরাপত্তা কর্মিদের দেখান ,  বা সাথিদের কে ফোন করুন ৷
৮৷সাথীদের কয়েক জনের মোবাইল  নাম্বার রাখুন
 ৯৷ যে কোন সময় ,যে,কোন, সফরের দিন তারিখ ও সময়  গাডির নং ভাল করে জেনে নিন ৷
 ১০৷ কংকর নিক্ষেপের সময় তাডা হুডা না করে , ধীরস্হীর ভাবে সূযোগ বুঝেই অগ্রসর হবেন৷
11/  মক্কায় আপনজন থাকলে তাদের ফোন নং সাথে রাখুন
12/ সাথে ছোট একটা পানির বোতল রাখুন যাতে পিপাসা লাগলে দূরে যেতে না হয় ৷
13/  আর আপনি পুরান হলে নতুনদের সাহায্যের মনো ভাব নিয়ে চলুন
14/ হজের মাসালা গুলো জায়গা মত করনীয় কাজ গুলো  না জানলে  জেনে নিন , বা অপর কে বারংবার জিজ্ঞাসা করুন ,

 15/ অপরিচিত কোন লোকের দেয়া কোন কিছু খাওয়ার থেকে বিরত থাকুন ,  তবে সংঘ বদ্ধ ভাবে কেউ /কুম্পানি  কোন খাবার ,জুস , পানি , দুধ , লেবন ইত্যাদি বিতরন করলে তা খেতে পারেন , কারন এ গুলো সরকারী ব্যবস্হাপনায় , বা সাধারন মানুষ হাজি সাহেবানদের দিয়ে থাকেন ৷
 16/ নিজের বাসা  বা হোটেল থেকে অজু ইস্তিন্ঞা সেরেই মসজিদে বা হারাম শরীফে যাওয়ার  চেষ্টা করবেন ৷
17/ মক্কার ঐতিহাসীক স্হান গুলোর  যেমন  মাকামে ইব্রাহীম , হাজরে আসওয়দ , হাতিম , সাফ-মারওয়াহ ,আরাফাত  মিনা,সহ ঐতিহসীক স্হান গুলোর ইতিহাস জেনে নিন ৷ তাহলে হজ্বের গুরুত্ব মাহাত্য দিলে স্হান পাবে ৷
/18 -- আর মুয়াল্লীম হযরাত সহ হজ্বের  দায়িত্বে নিয়োজীত সকল কে ব্যবসায়ীক মানসীকতা পরিহার করে আল্লাহর মেহমানদের মেহমানদারী যাবতীয় সূযোগ সূবিধার দিকে লক্ষ রাখতে হবে ৷ যাতে কেউ কোন কষ্ট না পায় ৷ আপনি আগত মেহমানদের খাদেম হিসাবে খেদমত করুন আল্লাহ পাক আপনাকে ব্যবসায় ও সফলতা দিবেন ,  সাথে আপনি পাচ্ছে আখেরাতে বিশাল এক নেকীর পাহাড ৷
19/ মক্কা-মদীনার বিশালাকার অট্যালিকা দেখে নিজেকে ছোট ভাববেননা এসবই আল্লাহ দান ।এই জন্য শুকরিয়া আদায় করুন।
20/ হজ্ব উপলক্ষ্যে সারা পৃথিবী থেকে আগত বিভিন্ন মানুষের কথা-চলাফেরা-কালচার দেখে দোষ তালাশ করবেন না। কারণ এলাকা ভেদে মানুষের কালচারের সাথে আপনার মিল নাও হতে পারে,যা তাদের জন্য হয়তো ভাল।
21/ মক্কা-মদীনায় বিভিন্ন মানুষের চলাফেরা ,খাদ্যাঅভ্যাস নীচু মান ,কি উঁচু মান এগুলো নিয়ে সমালোচনা না করে নিজের আমলের চিন্তা নিজে করুন।

 লেখক কে ভূলবেননা আপনাদের দোয়ার মধ্যে ,
দোয়াই কামনা
 আল্লাহ সকলকে হজ্বে মাবরুর নছীব করুন আমিন


আলেমগণ হজ্বের সফরকে পরকালের সফরের সাথে তুলনা করেছেন।
=============================================

1 পরকালের যাত্রীকে আত্মীয়-স্বজন, ঘর-বাড়ী, ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকরি, বন্ধু-বান্ধব, স্ত্রী-সন্তান সবাইকে ছেড়ে চলে যেতে হয়।

হজ্ব পালনকারী যখন হজ্বের সংকল্প করে বের হয় অনুরূপ পরকালের যাত্রীর ন্যায় এসব কিছু ত্যাগ করে যেতে হয়। 

2 পরকালের যাত্রীকে যেমন সাদা কাফনের কাপড় পরিয়ে খাটিয়ায় উপর ছাওয়ার করানো হয়, তেমনি হজ্ব যাত্রী মৃত ব্যক্তির কাফনের ন্যায় ,ইহ্‌রামের দু’টুকরা সাদা সেলাইবিহীন কাপড় পরিধান করে যানবাহনে আরোহণ করে।

3 কিয়ামত দিবসে আহবানকারীর ডাকে সাড়া দেয়ার মত হজ্ব পালনকারীর কণ্ঠে উচ্চারিত হতে থাকে “লাব্বায়কা আলস্নাহুম্মা লাব্বায়ক লা শারীকা লাকা লাব্বায়ক; ইন্নাল হামদা ওয়ান্‌নিয়ামাতা লাকা ওয়াল মূল্‌ক। লা শারীকা লাক্‌।

4 মৃত্যুর পর যেমন ছোয়াল জওয়াবের সম্মুখীন হতে হবে তেমনি হজ্বের সফরে হাজীদেরকে বিমান বন্দরসহ সংশিস্নষ্ট স্থানে সরকারি-বেসরকারি লোকদের নিকট বিভিন্ন প্রশ্নের অবতারণাসহ পরীক্ষা নিরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয়। 

5 বায়তুলাহ শরীফের চতুরদিকে প্রদক্ষিন করা আরশে আজিমের চুতুর্দিকে প্রদক্ষিন করার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।

6 সাফা ও মারওয়াহ সাঈ করা হাশরের ময়দানে দিশেহারা হয়ে এদিক-ওদিক ছুটা-ছুটি করার ন্যায়। 

7 সূর্যের প্রচণ্ড খরতাপে আরাফার ময়দানে লাখ লাখ মানুষের অবস্থান যেন হাশরের মাঠের সাদৃশ্য। হজ্বের প্রতিটি আমলেই হাজীগণের সামনে কিয়ামতের চিত্র ভেসে উঠ।

আল্লাহ সকল হাজী সাহেবানদের হজ কবুল করুন আমিন 

আলেমগণ হজ্বের সফরকে পরকালের সফরের সাথে তুলনা করেছেন। আগামী কয়েক দিন পরই আল্লাহর মেহমানগন আসতে শুরু করবেন।যাদেরকে আল্লাহ ডাক দিবেন তারাই এ ডাকে সাড়াদিয়ে আরাফাতে সমবেত হবেন ।এই জন্য আগাম প্রস্তুতী গ্রহন করতে হবে ।

1 পরকালের যাত্রীকে আত্মীয়-স্বজন, ঘর-বাড়ী, ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকরি, বন্ধু-বান্ধব, স্ত্রী-সন্তান সবাইকে ছেড়ে চলে যেতে হয়।

হজ্ব পালনকারী যখন হজ্বের সংকল্প করে বের হয় অনুরূপ পরকালের যাত্রীর ন্যায় এসব কিছু ত্যাগ করে যেতে হয়। 

2 পরকালের যাত্রীকে যেমন সাদা কাফনের কাপড় পরিয়ে খাটিয়ায় উপর ছাওয়ার করানো হয়, তেমনি হজ্ব যাত্রী মৃত ব্যক্তির কাফনের ন্যায় ,ইহ্‌রামের দু’টুকরা সাদা সেলাইবিহীন কাপড় পরিধান করে যানবাহনে আরোহণ করে।

3 কিয়ামত দিবসে আহবানকারীর ডাকে সাড়া দেয়ার মত হজ্ব পালনকারীর কণ্ঠে উচ্চারিত হতে থাকে “লাব্বায়কা আলস্নাহুম্মা লাব্বায়ক লা শারীকা লাকা লাব্বায়ক; ইন্নাল হামদা ওয়ান্‌নিয়ামাতা লাকা ওয়াল মূল্‌ক। লা শারীকা লাক্‌।

4 মৃত্যুর পর যেমন ছোয়াল জওয়াবের সম্মুখীন হতে হবে তেমনি হজ্বের সফরে হাজীদেরকে বিমান বন্দরসহ সংশিস্নষ্ট স্থানে সরকারি-বেসরকারি লোকদের নিকট বিভিন্ন প্রশ্নের অবতারণাসহ পরীক্ষা নিরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয়। 

5 বায়তুলাহ শরীফের চতুরদিকে প্রদক্ষিন করা আরশে আজিমের চুতুর্দিকে প্রদক্ষিন করার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।

6 সাফা ও মারওয়াহ সাঈ করা হাশরের ময়দানে দিশেহারা হয়ে এদিক-ওদিক ছুটা-ছুটি করার ন্যায়। 

7 সূর্যের প্রচণ্ড খরতাপে আরাফার ময়দানে লাখ লাখ মানুষের অবস্থান যেন হাশরের মাঠের সাদৃশ্য। হজ্বের প্রতিটি আমলেই হাজীগণের সামনে কিয়ামতের চিত্র ভেসে উঠ।

আল্লাহ সকল হাজী সাহেবানদের হজ কবুল করুন আমিন 

লিখেছেন  এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন