Translate

বুধবার, ১১ জুলাই, ২০১২

প্রায় ৪,৮০০ বছর পর আবিস্কার হলো নূহ নবী ( আ: ) জাহাজের ধ্বংসাবশেষ ছোবহানাল্লাহ

প্রায় ৪,৮০০ বছর পর আবিস্কার হলো নূহ নবী ( আ: ) জাহাজের ধ্বংসাবশেষ

চীনা ও তুর্কী গবেষেকদের সমন্বয়ে গঠিত নোয়াস আর্ক মিনিস্ট্রিজ ইন্টারন্যাশনাল নামক হংকং ভিত্তিক একটি সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে, তুরস্কের মাউন্ট আরারাত এর ১৪,৭০০ ফুট উঁচুতে স্তরীভূত কাঠের জাহাজের সন্ধান পাওয়া গেছে। এর কয়েকটি ছবি প্রকাশ করে তারা দেখিয়েছেন, জাহাজটির গঠন কাঠামো এবং অভ্যন্তরিন অন্যান্য নিদর্শন থেকে তারা ৯৯.৯ ভাগ নিশ্চিত যে এটিই কোরান ও বাইবেলে উল্লেখিত নূহের কিস্তি। সংস্থাটি জাহাজের কার্বন পরীক্ষাও সম্পন্ন করেছেন। তারা জানিয়েছেন, এ পরীক্ষায় নিশ্চিত হওয়া গেছে স্তরীভূত কাঠের বয়স ৪,৮০০ বছর। অনুসন্ধানী দলের সদস্য ইয়ং উইং-চুং, যিনি একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা, বলেছেন : আমরা ১০০ ভাগ নিশ্চিত নই যে এটা নূহের কিস্তি, তবে আমরা ৯৯.৯ ভাগ নিশ্চিত যে এটাই সেটা।
– খবর ফক্স নিউজ (২৮ এপ্রিল ২০১০)
নূহ নবী (আ)’র মহাপ্লাবন
সূরা হুদ ৪২ থেকে ৪৪ নম্বর আয়াত -
আয়াতে বলা হয়েছে, “পর্বত প্রমাণ তরঙ্গের মধ্যে এ (নৌকা) তাদের নিয়ে বয়ে চললো, নূহ তার পুত্রকে যে (তাদের ডাকে) পৃথক ছিল, ডেকে বললেন, হে বৎস আমাদের সঙ্গে আরোহন কর এবং অবিশ্বাসী কাফেরদের সঙ্গী হয়ো না।”
হযরত নূহ (আঃ) বহু বছর বেঁচে ছিলেন এবং মানুষকে সৎ পথে আনার জন্য তিনি বহুকাল ধরে চেষ্টা চালান। কিন্তু এক পর্যায়ে দেখা গেল তার সম্প্রদায়ের মুষ্টিমেয় মানুষ ছাড়া আর কেউ সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর উপর বিশ্বাস স্থাপন করতে রাজী হলো না, বরং তারা হযরত নূহ(আঃ)কে নিয়ে নানাভাবে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করা শুরু করলো। ফলে গোয়ার্তুমী ও সত্যকে প্রত্যাখ্যান করার জন্য তাদের উপর ঐশী শাস্তি অনিবার্য হয়ে পড়ে। আল্লাহ তার বিশিষ্ট পয়গম্বর হযরত নূহ (আঃ)কে বিষয়টি অবহিত করলেন। আল্লাহর নির্দেশ মত হযরত নূহ একটি বিশাল কিশতী বা নৌকা তৈরী করলেন।
এরপর একদিন আল্লাহর শাস্তি দুনিয়াকে গ্রাস করলো, মাটি থেকে পানি উদগত হতে লাগলো এবং মুষলধারে বৃষ্টিপাত হতে থাকলো। কোরআনের বক্তব্য অনুযায়ী পাহাড়ের মত তরঙ্গ পৃথিবীকে গ্রাস করলো, মহাপ্লাবনে সব কিছুই তছনছ হয়ে গেল। হযরত নূহ (আঃ) এর সঙ্গী সাথী এবং নৌকায় আশ্রিত অন্যান্য প্রাণী এই বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা পেলেন। কিন্তু বিষ্ময়ের বিষয় হচ্ছে, হযরত নূহ (আঃ) এর পুত্র কেনআন কাফেরদের দলভুক্ত হওয়ার কারণে নৌকায় উঠতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল। কিন্তু যখন মহাপ্লাবনের প্রাদুর্ভাব দেখা দিল, হযরত নূহ (আঃ) এর মনে যেন পিতৃস্নেহ জেগে উঠলো, তিনি স্বস্নেহে পুত্র কেনআনকে কাফেরদের দল ত্যাগ করে মোমিনদের কাতারে শামিল হওয়ার আহ্বান জানালেন।
সন্তানের প্রতি বাবা মায়ের যে দরদ এবং তাদের মঙ্গল ও ভাবিষ্যতের ব্যাপারে পিতা মাতার যে দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে, কেনআনের প্রতি হযরত নুহ (আঃ)এর আহ্বানে তা ফুটে উঠেছে। এছাড়া অসৎ সঙ্গ বা কাফের মুশরেকদের সাথে ওঠা বসার কারণে যে কেউ এমনকি পয়গম্বরের সন্তানও যে পথভ্রষ্ট হয়ে যেতে পারে, এই আয়াত তারই উদাহরণ।
এবারে সূরা হুদের ৪৩ নম্বর আয়াত নিয়ে আলোচনা করা যাক। এ আয়াতে বলা হয়েছে, অর্থাৎ “(হযরত নূহের পুত্র) বললো, আমি এমন এক পর্বতে আশ্রয় নেব যা আমাকে প্লাবন হতে রক্ষা করবে। (হযরত নূহ) বললেন, আজ আল্লাহর বিধান হতে রক্ষা করার কেউ নেই। (রক্ষা পাবে) সেই যাকে আল্লাহ দয়া করবেন। এরপর তরঙ্গ ওদের বিচ্ছিন্ন করে দিল এবং (হযরত নূহের পুত্র) নিমজ্জিতদের অন্তর্ভুক্ত হলো।”
হযরত নূহ(আঃ) এর অবাধ্য পুত্র পিতার শেষ আহ্বান বিবেচনায় না এনে গোয়ার্তুমীর আশ্রয় নেয়। সে ভেবেছিল পাহাড়ের চূড়ায় উঠে গেলেই প্লাবনের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। তার এই বোধ ছিল না যে,আল্লাহ সর্বশক্তিমান, পাহাড়-পর্বত সব কিছু তারই নির্দেশের অধীন। আল্লাহ চাইলে পর্বত চূড়াও যে তার ধ্বংসের উপযুক্ত স্থান হয়ে উঠতে পারে এই বিশ্বাস তার ছিল না।
যাইহোক পিতার সরল আহ্বান পুত্রের মনে রেখাপাত করতে ব্যর্থ হয়। ফলে ক্ষণিকের মধ্যেই এক উত্তাল তরঙ্গ নূহের পুত্রকে ভাসিয়ে নিয়ে যায় মুত্যুর গহিনে। যারা প্রকৃত মোমিন তারা বিপদের সময় আল্লাহকে স্মরণ করেন। তারই সাহায্য কামনা করেন। আর যাদের মনে ইমানের স্থিতি দুর্বল অথবা যারা মুশরেক তারা বিপদে পার্থিব বা জড়বস্তুকে অবলম্বন করে উদ্ধার পাওয়ার চেষ্টা করে। ফলে আল্লাহর সাহায্য থেকে তারা বঞ্চিত হয়।
এবার সূরা হুদের ৪৪ নম্বর আয়াত নিয়ে আলোচনা করা যাক। এ আয়াতে বলা হয়েছে, অর্থাৎ “(আল্লাহর শাস্তি ও কাফেরদের ধ্বংসের পর) বলা হলো, হে পৃথিবী! তুমি পানি শোষণ করে নাও এবং হে আকাশ তুমি ক্ষান্ত হও,এরপর বন্যা প্রশমিত হলো এবং কার্য সমাপ্ত হলো, নৌকা জুদী পর্বতের উপর স্থির হলো এবং বলা হলো ধ্বংসই সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়ের পরিণাম।”
এই আয়াতে বিশ্ব ইতিহাসের একটি বিরল ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে, হযরত নূহ (আঃ) এর সময়কার মহাপ্লাবনের সত্যতা এখন অনস্বীকার্য। ঐ মহাপ্লাবনে সব কিছুই ধ্বংস হয়ে যায় এবং সৎ ও ইমানদার মানুষের মাধ্যমে পুণরায় পৃথিবীতে মানুষের বংশ বিস্তার ঘটে। পবিত্র কোরআনে এই ঘটনাটি আল্লাহর শাস্তি হিসাবে পরিণত হয়েছে। হযরত নূহের নৌকা যে জুদি পর্বতে এসে ভিড়েছিল তা কোথায় অবস্থিত সে ব্যাপারে মুফাসসিরদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। কারো মতে জুদী পর্বত তুরস্কের আরারাত পর্বতমালার অংশ। আবার কেউ মনে করেন ইরাকের মুসেলের আশেপাশে এই পর্বতটি অবস্থিত। কোন কোন মুফাসসির ভিন্ন মতও পোষণ করেন।
হযরত নূহ(আঃ) এর সময়কার এই ঘটনা থেকে মানুষের শিক্ষা নেয়া উচিত। অন্যায় পাপাচার এবং সৃষ্টিকর্তাকে অস্বীকার করার পরিণতি যে কত ভয়াবহ হতে পারে তা এই ঘটনা থেকেই উপলদ্ধি করা যায়। এছাড়া বন্যা ও ভুমিকম্পের মত প্রাকৃতিক দুর্যোগ যে অনেক ক্ষেত্রে মানুষের পাপের পরিণতিতেই হয়ে থাকে তাও এ ঘটনা থেকে আমরা উপলদ্ধি করতে পারি।
এবারের আলোচনায় সূরা হুদের ৪৫ থেকে ৪৯ নম্বর পর্যন্ত আয়াত নিয়ে আলোচনা করবো। প্রথমেই ৪৫ ও ৪৬ নম্বর আয়াত নিয়ে আলোচনা করা যাক। এ দুটি আয়াতে বলা হয়েছে, অর্থাৎ “নূহ তার প্রতিপালককে সম্বোধন করে বললেন, হে আমার প্রতিপালক, আমার পুত্র আমার পরিবারভুক্ত এবং (আমার পরিজনদের মুক্তির ব্যাপারে) আপনার প্রতিশ্রুতিও সত্য এবং আপনি বিচারকদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ বিচারক। (এর জবাবে) আল্লাহ বললেন, হে নূহ! সে তোমার পরিবারভুক্ত নয়, সে অসৎ কর্মপরায়ণ। সুতরাং যে বিষয়ে তোমার জ্ঞান নেই সে বিষয়ে আমাকে অনুরোধ করো না। আমি তোমাকে উপদেশ দিচ্ছি তুমি যেন অজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত না হও।”
এর আগের কয়েকটি আয়াতের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে যে, হযরত নূহ (আঃ)এর পুত্র নৌকায় উঠতে রাজী হয়নি এবং সে অবিশ্বাসী কাফেরদের সাথে মহাপ্লাবনে নিমজ্জিত হয়েছে। এই ঘটনার পর আল্লাহর সাথে হযরত নূহ (আঃ)এর যে কথোপকথন হয় ৪৫ ৪৬ নম্বর আয়াতে তাই ইঙ্গিত করা হয়েছে। হযরত নূহ আল্লাহকে বলেছিলেন, হে আমার প্রতিপালক আমার পরিজনদের রক্ষার ব্যাপারে আপনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, আর আপনার প্রতিশ্রুতি সন্দেহাতীতভাবে সত্য। তাহলে আমার পুত্র যে কিনা আমার পরিবারেরই অংশ, সে কেন নিমজ্জিত হলো? আল্লাহ এর জবাবে বলেছিলেন, আমার প্রতিশ্রুতি সত্য, তবে তোমার পুত্র তোমার পরিজনদের অংশ হিসাবে পরিগণ্য হবে না। কারণ সে ইমান আনতে অস্বীকার করেছে এবং দুরাচারদের কাতারে শামিল হয়ে নিজেও অসৎকর্মপরায়ণ হিসাবে বিবেচিত হয়েছে।
এসব কথোপকথন থেকে বোঝা যায়, হযরত নূহ (আঃ) এটা সুস্পষ্টভাবে জানতেন না বা তিনি বুঝতে পারেননি যে, তার পুত্র সত্যিই কাফের হয়ে গেছে এবং সেও নিমজ্জিত হতে যাচ্ছে। তাই যখন তিনি মোমিন বিশ্বাসীদেরকে কিশতিতে উঠানোর নির্দেশ পেলেন, তখন পুত্রকেও তাতে উঠার জন্য বলেছিলেন। কিন্তু যখন তার পুত্র কেনআন নৌকায় উঠতে অস্বীকৃতি জানালো তখন তিনি বলেছিলেন, ” তুমি কাফেরদের অনুগামী হয়ো না। তিনি এটা বলেন নি যে, তুমি কাফেরদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না। এতে বোঝা যায়, কেনআনের কাফের হওয়ার বিষয়টি হযরত নূহ (আঃ)এর কাছে সুস্পষ্ট ছিল না।
এ জন্যই আল্লাহপাক হযরত নূহকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, যে বিষয়ে তুমি অবহিত নও সে বিষয়ে তুমি আমার কাছে কোন আবেদন করো না, কারণ এটা অজ্ঞদের কাজ। হযরত নূহ (আঃ)এর অনুসারীরা নবীর পরিজন হিসাবে বিবেচিত হয়ে মহা প্লাবন থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। অপর দিকে ইমান না আনার কারণে হযরত নূহের পুত্রও নবীর পরিজন হিসাবে বিবেচিত হয়নি। বরং সেও কাফেরদের সাথে নিমজ্জিত হয়েছে। এ থেকে বোঝা যায়, আত্মীয়তার চেয়ে ধর্মীয় বন্ধনের গুরুত্ব অনেক বেশী। আল্লাহর বিধানে ইমান ও তাকওয়া হচ্ছে মুখ্য বিষয়। নবীর পুত্র হিসাবে কোন বাড়তি শ্রেষ্ঠত্ব নেই। এই আয়াত থেকে আমরা আরেকটি বিষয় উপলদ্ধি করতে পারি তা হচ্ছে, আল্লাহর কাছে কোন দোয়া বা আর্জি পেশ করার পর তা কবুল না হলে তাতে মনক্ষুন্ন হওয়া উচিত নয়। কারণ অনেক কিছুই আমরা জানি না যা আল্লাহ পাক জানেন।
এবার এই সূরার ৪৭ নম্বর আয়াত নিয়ে আলোচনা করা যাক। এ আয়াতে বলা হয়েছে, অর্থাৎ ” হযরত নূহ (আঃ) বললেন, হে আমার প্রতিপালক, যে বিষয়ে আমার জানা নেই, সে বিষয়ে আপনাকে যাতে অনুরোধ না করি এ জন্য আমি আপনার আশ্রয় চাচ্ছি। আপনি যদি আমাকে ক্ষমা না করেন এবং দয়া না করেন তবে আমি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবো।”
আল্লাহ তালার উপদেশ পাওয়ার পর হযরত নূহ (আঃ) তার অনুচিত আর্জির জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং তার রহমত ও কল্যাণ কামনা করে দোয়া করেন। কারণ পয়গম্বর ভালো করেই জানেন ঐশী নসিহত লাভের পর কিভাবে সৃষ্টিকর্তার সামনে বিনয় প্রকাশ করা উচিত। মানবীয় দুর্বলতার কারণে মানুষ ভুল করে অনুচিত, অসঙ্গত আচরণ করে ফেলে, তাই ভুল শোধরানোর জন্য ঐশী বিধানে তওবা, এস্তেগফার অর্থাৎ অনুশোচনা ও ক্ষমা প্রার্থনার বিধান রাখা হয়েছে। তওবা, এস্তেগফারের মাধ্যমে মানুষ পুণরায় ঐশী কল্যাণ লাভের সৌভাগ্য অর্জন করতে পারে। কারণ আল্লাহর রহমত ও অনুগ্রহ সাধারণ মানুষের জন্য তো বটেই, নবী রাসূলদের জন্যও তা জরুরী। এছাড়া নবী রাসূলরাও কাঙ্খিত লক্ষ্যে উপনীত হতে পারবে না। যারা এ থেকে বঞ্চিত হয় তারা প্রকৃতই ক্ষতিগ্রস্ত।
এবারে সূরা হুদের ৪৮ নম্বর আয়াত নিয়ে আলোচনা করা যাক। এ আয়াতে বলা হয়েছে, অর্থাৎ “হযরত নূহকে উদ্দেশ্য করে বলা হলো, হে নূহ! অবতরণ কর আমার দেয়া শান্তিসহ এবং তোমার প্রতি ও যে সমস্ত সম্প্রদায় তোমার সাথে আছে তাদের প্রতি কল্যাণসহ। অন্যান্য সম্প্রদায় (যারা নাজাতপ্রাপ্ত) আমি তাদেরকে জীবন উপভোগ করতে দেব। অত:পর (অবিশ্বাসী কাফের ও ধর্মের ব্যাপারে উদাসীনদের) উপর আমার কঠিন শাস্তি অর্পিত হবে।”
বন্যার পানি নিঃশেষ হওয়ার পর কিশতি যখন মাটি পেল, হযরত নূহ (আঃ) সঙ্গী-সাথীসহ নৌকা থেকে নেমে আসলেন। তারা আল্লাহর অফুরন্ত কল্যাণ এবং বিশেষ অনুগ্রহ লাভের সৌভাগ্য অর্জন করলেন। তাদের মাধ্যমেই পৃথিবীতে পুণরায় মানব বংশের ধারা রচিত হলো। এখানে লক্ষ্য করার মত চমৎকর একটি বিষয় হচ্ছে, হযরত আদম(আঃ)কে আল্লাহতালা অবতরণের নির্দেশ দিয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে হযরত নূহ (আঃ)ই মানব জাতির দ্বিতীয় পিতা। মহাপ্লাবনে সব ধ্বংসপ্রাপ্ত হওয়ার পর হযরত নূহ ও তার অনুসারী মোমিনদের মাধ্যমেই পৃথিবীতে পুণরায় মানব বংশের বিস্তার ঘটে। এরপর ক্রমান্বয়ে মানব জাতি পুণরায় মোমিন ও কাফের দুই শ্রেণীতে বিভক্ত হয়ে পড়ে। মোমিনদের প্রতি আল্লাহর দেয়া কল্যাণ শান্তি, সৌভাগ্য ও প্রাচুর্য বয়ে আনে। অপর দিকে অবিশ্বাসী কাফেররা যে কল্যাণপ্রাপ্ত হয় তা বস্তুজগতেই তাদেরকে তৃপ্ত করে। আল্লাহ কোন অবিশ্বাসী কাফেরকে পার্থিব জগতের সুখ বা সম্পদ থেকে বঞ্চিত করেন না। তিনি সকলকেই তা প্রদান করেন এজন্য যে, সকলেই যেন ঐশী পুরস্কার ও শাস্তির বিষয়টি উপলদ্ধি করতে পারে।
এবার সূরা হুদের ৪৯ নম্বর আয়াত নিয়ে আলোচনা করা যাক। এ আয়াতে বলা হয়েছে, অর্থাৎ “এ সমস্ত অদৃশ্য লোকের সংবাদ আমি তোমাকে (হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) কে) ঐশী বাণী দ্বারা অবহিত করেছি যা এর আগে তুমি জানতে না এবং তোমার সম্প্রদায়ও জানতো না, সুতরাং ধৈর্য্য ধারন কর, শুভ পরিণাম সাবধানীদের জন্য।”
এই আয়াতের মধ্য দিয়ে হযরত নূহ (আঃ) ও তার সম্প্রদায়ের বর্ণনা শেষ হয়েছে। ঘটনা বর্ণনার পর এই আয়াতে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)কে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে, এই ঘটনা আপনার জন্য এবং আপনার উম্মতের জন্য শিক্ষণীয় হয়ে থাকবে। এ ঘটনা থেকে বোঝা গেল,যারা মোমিন এবং পবিত্র অন্তরের অধিকারী বিজয় তাদের জন্য অবধারিত। তবে এই বিজয় শর্ত যুক্ত। স্থিতিশীল ধৈর্য্য এবং দৃঢ়তা চুড়ান্ত বিজয়ের জন্য অবশ্যম্ভাবী। যেমনি হযরত নূহ (আঃ)তার অনুসারীরা ধৈর্য্য, সহনশীলতা এবং চিত্তের দৃঢ়তার মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয় অর্জনে সক্ষম হয়েছিলেন।







সূত্র :
http://www.sinlung.com/2010/04/noah-ark-found-evangelist-group-says-it.html
http://www.dailymail.co.uk/news/article-1269165/Noahs-Ark-remains-discovered-mountain-Turkey.html
http://www.noahsarkmovies.com/arkmovie/eng/index.php#arkhistory
http://www.peaceinislam.com/rezowan/6624/
http://www.islamshia-w.com/Portal/Cultcure/Punjabi/CategoryID/9244/CaseID/44752/71243.aspx

৩টি মন্তব্য:

  1. সন্তানের প্রতি বাবা মায়ের যে দরদ এবং তাদের মঙ্গল ও ভাবিষ্যতের ব্যাপারে পিতা মাতার যে দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে, কেনআনের প্রতি হযরত নুহ (আঃ)এর আহ্বানে তা ফুটে উঠেছে। এছাড়া অসৎ সঙ্গ বা কাফের মুশরেকদের সাথে ওঠা বসার কারণে যে কেউ এমনকি পয়গম্বরের সন্তানও যে পথভ্রষ্ট হয়ে যেতে পারে, এই আয়াত তারই উদাহরণ।

    উত্তরমুছুন
  2. এবার সূরা হুদের ৪৯ নম্বর আয়াত নিয়ে আলোচনা করা যাক। এ আয়াতে বলা হয়েছে, অর্থাৎ “এ সমস্ত অদৃশ্য লোকের সংবাদ আমি তোমাকে (হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) কে) ঐশী বাণী দ্বারা অবহিত করেছি যা এর আগে তুমি জানতে না এবং তোমার সম্প্রদায়ও জানতো না, সুতরাং ধৈর্য্য ধারন কর, শুভ পরিণাম সাবধানীদের জন্য।”
    এই আয়াতের মধ্য দিয়ে হযরত নূহ (আঃ) ও তার সম্প্রদায়ের বর্ণনা শেষ হয়েছে। ঘটনা বর্ণনার পর এই আয়াতে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)কে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে, এই ঘটনা আপনার জন্য এবং আপনার উম্মতের জন্য শিক্ষণীয় হয়ে থাকবে। এ ঘটনা থেকে বোঝা গেল,যারা মোমিন এবং পবিত্র অন্তরের অধিকারী বিজয় তাদের জন্য অবধারিত। তবে এই বিজয় শর্ত যুক্ত। স্থিতিশীল ধৈর্য্য এবং দৃঢ়তা চুড়ান্ত বিজয়ের জন্য অবশ্যম্ভাবী। যেমনি হযরত নূহ (আঃ)তার অনুসারীরা ধৈর্য্য, সহনশীলতা এবং চিত্তের দৃঢ়তার মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয় অর্জনে সক্ষম হয়েছিলেন।

    উত্তরমুছুন
  3. প্রসংগ মাজার =================উৎস





    আমাদের দেশে মাজারের তো অভাব নেই ,
    তেমনি মাজার পূরহিতদের ও অভাব নেই .
    *******************************



    এমন ও অনেক আছে যাদের দেখেছি , জীবনে এক ওয়াক্ত নামাজ পডার ও সূযোগ হয়নি , বা কেউ তাকে নামাজ পডতে দেখেনি , আবার বলতে গেলে ভক্তরা বলে থাকে যে তাঁদের পীরের নাকি বেলায়েত নছিব হয়েছে , তাই নাকি নামাজ পডতে হয়না ,

    আবার কেউ বা বলে তাদের পীর বাবা নাকি দৈনিক হারাম শরীফ তথা মক্কাশরীফে গিয়ে নামাজ
    আদায় করেন ,ইত্যাদি এ সব বোকাদের কথা মাএ
    এক জন সূস্হ মস্থীক্ক বা বিবেক বানদের কথা নয় .


    সারা জীবন মদ, জূয়া, গাঁজা, ভান, নেশার বিতর মস্হ থেকেই মারা গেলেই পীর , দরবেশ , অলী . হয়ে যায় ,
    আর সেখানেই গডে উঠে মাজার ,


    আবার দেখা গেছে উলঙ্গ ঘূরা পিরা করছে , মানূষ মামা মামা বলে দৌডাচ্ছে , আর মারা গেলেই সঙ্গে সঙ্গে পীরে পরিনত হয়ে কবর কে মাজারে পরিনত করছে , এক শ্রেনীর কবর পূজারীরা



    পৃথিবীর যতই বড মানুষ . চাই সে পীর আউলিয়া যাই হউকনা কেন কারো জন্য এক ওয়াক্ত নামাজ মাফ নেই . আবার যতই বড নেককার দ্বীনদার বজুগ হউক না কেন শরিয়তে নিষিদ্ব কোন জিনিস তার জন্য হালাল হয়ে যায়ণা .

    এটা সবাই বুঝেন
    একমাত্র ভনড মাজার পূজারীরা ছাডা ,

    একটা ছোট ১০/১২ বৎসরের নাবালেগ শিশু ও উলঙ্গ হতে লজ্যাবোধ করে , আর এক জন পীর বা দরবেশ উলঙ্গ থাকলে কি লজ্যা করেনা , এ কেমন পীর ? এ কেমন ভক্ত ?


    এক কথায় এরা ভন্ড ভন্ড ===============================



    আবশ্যই নেককার দ্বীনদার ================হক্কানী রব্বানী পীর আউলিয়া , আলেম ওলামা গন আমাদের সন্মানের পাএ . মাথার তাজ তাদের কথা ,নছিহত শুনবো . তারা এন্তেকাল
    করলে মাগফেরাততের দোয়া করবো ইত্যাদি , যতক্ষন পযন্ত তারা শরিয়তের অনূকরন অনূসরন করবেন .
    আর যাদের বিতরেই শরিয়ত নেই ,বা মানেনা আবার তাদের কে মানার প্রশ্নই আসেনা .

    ******************************

    দেখুন--মানুষ শীরক্ কি ভাবে করছে
    ********************************

    http://www.youtube.com/watch?v=2VBUujbQH4Y&feature=related


    শীরক্ ***

    http://www.youtube.com/watch?v=aRm7qnAObTg&feature=endscreen&NR=1

    শিরক্***
    http://www.youtube.com/watch?v=fZmYehA7row&feature=related ===========

    শীরক্

    http://www.youtube.com/watch?v=7ZmXGwQKRqg&feature=related

    শীরক্**

    http://www.youtube.com/watch?v=_YG2oFNc6JU&NR=1&feature=endscreen


    শীরক্**

    http://www.youtube.com/watch?v=U0eqeWpd0VE&feature=channel

    মজার কাহিনী

    নাম তার [ ডাল চাল ফকিরের মাজার ]





    এক তিন মূখী রাস্তা , দিন ছিল সোমবার , স্হানীয় একটা বাজারের দিন .
    হঠাৎ তিনমূখী রাস্তার ঠিক বরাবর মাঝখনে ধূপা ঘাঁসের উপরই একটা কুকুর পায়খানা করল .

    ঊক্ত পায়খানার দূগন্ধর কারনে পথিকদের কষ্ট হচ্ছিল , এ ভেবে সরল মনা এক ব্যক্তি চিন্তা করল , এ দূগন্ধ থেকে পথিকদের কষ্ট কি ভাবে লাগব করা যায় .


    বেচারা চিন্তা করেই ঠিক করলেন তাঁর সাথে থাকা . বাজার থেকে আনা কিছু চাউল দিয়ে . ময়লা গুলো ডেঁকে দিলেই হবে ,
    যাই হোক বেচারা তাই করলেন .


    এর পর দূরগন্ধ তো বন্ধ হলো ,,কিন্তু ---------------------------------------------------------
    এর পর মহা এক কান্ড শুরু হয়ে গেল ,

    বাজার থেকে পেরার সময় অন্য একজন দেখলেন যে এখানে কিছু চাউল পডে আছে . তাই শুধু মাত্র চাউল তো খাওয়া যাবেনা এর সাথে কিছু ডাল দিয়ে গেলে ভাল হয় . পরিশেষে সে কিছু ডাল দিয়ে চলে গেল ,


    এমনি ভাবে বাজার থেকে যে কেউ আসার সময় এক একজন ভিন্ন ভিন্ন মনতব্য করতে করতে আরও কিছু ডাল, চাল . লবন . তরকারী ইত্যাদি দিতে দিতে মূহুতের মধ্যে স্তূপে পডে গেল ,


    তখনিই আর এক সাথম্বেসী মাজার /পেট/কবর পূজারী লাল শালু দিয়ে ডেকে দিয়ে ঐ স্হান টিকে ভারন করে নিলেন .
    এবং ডাল চাল ফকিরের মাজার নাম করন করলেন

    পরিশেষে সেখানেই ভন্ডরা মাজার কেনদ্রীক যা করার করলেন
    অদ্যাবধী চালু আছে
    স্হানটি হলো চট্টগ্রাম অলংকার -কূমিরার মধ্যবতী স্হানে ,

    তাই যদি মাজরের এ আবস্হা হয় , তাহলে --------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

    --------------------------------------------------------- বিবেকবান পাঠক বৃন্দরাই সমাধান খূজে বের করতে সক্ষম হবেন ৷


    আল্লাহ সকল কে তাওহীদের উপর অটল থেকে কূফর ও শীরকমুক্ত ঈমান গডার তাওফিক দান করুন . আমিন

    উত্তরমুছুন