Translate

সোমবার, ১৬ জুলাই, ২০১২

রাষ্ট্রধর্ম থাকা উচিৎ কি অনুচিৎ- এবিষয়ে ৪টি বহুল জনপ্রিয় প্রশ্নের উত্তর।

রাষ্ট্রধর্ম থাকা উচিৎ কি অনুচিৎ- এবিষয়ে ৪টি বহুল জনপ্রিয় প্রশ্নের উত্তর।
**********************************************

(১) অনেকেই খুব জোর গলায় বলে থাকেন- রাষ্ট্র কি নামায রোযা করে? রাষ্ট্রের আবার ইসলাম থাকবে কেন? তাদের এই মুখোরোচক প্রশ্নের জবাব অনেক সাধারণ মুসলিমের অজানা। তাদেরকে যদি পাল্টা প্রশ্ন করা হয়, রাষ্ট্র কি কথা বলে? তাহলে রাষ্ট্রের আবার ভাষা থাকবে কেন? এই প্রশ্নের যে উত্তর, প্রথম প্রশ্নেরও একই উত্তর।

(২) অনেকে আবার বলেন, আমাদের অন্তরে ইসলাম না থাকলে সংবিধানে থেকে কোন লাভ হবে না। তাই আসুন, সংবিধানে ইসলাম প্রতিষ্ঠার আগে জনমনে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করি। একথাটিও শুনতে বেশ ভালোই লাগে। এর প্রবক্তাকে যদি প্রশ্ন করা হয়, অপরাধ বিষয়ে আমরা সচেতন না হলে সংবিধানে আইন থেকে কোন লাভ হবে না। তাহলে সংবিধান থেকে আইন তুলে দিয়ে আসুন মানুষের মনে অপরাধের প্রতি ঘৃণার গাছ রোপন করি! একথার জবাবে তারা যা বলবেন, তাদের যুক্তির খন্ডনেও আমি সেটাই বলবো।

(৩) অনেকে বলেন-সংবিধানে ইসলাম থাকবে কেন?
দেশের বহু নাগরিক আছে যারা মুসলিম নন। তাদের দিকে লক্ষ করে রাষ্ট্র ধর্মনিরপেক্ষ থাকা যথার্থ। তাদের কাছে আমার প্রশ্ন, রাষ্ট্রের সব আইনকে সবাই সমর্থন করে না। যেমন অনেক আইন সংখ্যাগরিষ্ঠতার বিচারে প্রণীত হলেও বহু লোক সেটার বিরোধী থাকে, তাই বলে কি সে আইনের ব্যপারে রাষ্ট্র নিরপেক্ষ থাকে? এক কথায় সংখাগরিষ্ঠতার বিচারে অনেকের চাহিদা ও মতাদর্শের বিপরীত আইন প্রণয়ন হতে পারলে ধর্মের বেলায় তেমনটি হতে সমস্যা কোথায়?

(৪) অনেকে বলে থাকেন, সংবিধানে ধর্ম থাকবে কেন? এটাতো রাষ্ট্র পরিচালনার সনদ মাত্র।
তাদের কথামতো 'সংবিধানে ইসলাম না থাকলে কিছু যায় আসেনা', এটা মেনে নিয়ে যদি আমি প্রশ্ন করি, সংবিধানে ইসলাম থাকলে কি সমস্যা ? যে ধর্ম সংবিধানে থাকলে সমস্যা, সেটাতো সমাজেও নিষিদ্ধ হওয়া উচিৎ। যেটা সংবিধানে থাকলে সমস্যা সেটা সমাজে কেন থাকবে।

ধীক ও পরিতাপ এই সকল মুসলিমদের জন্য। যাদের কাছে দল ইসলামের চেয়েও বড়। যারা আল্লাহর দীন মুছে ফেলে হলেও নিজের দলীয় আদর্শ প্রতিষ্ঠায় যুক্তি তর্ক পেশ করে। এদের পরকাল হবে আক্ষেপের। এদের কাছে ঈমান আর ইসলাম নিছকই রেওয়াজ। দলই বাস্তবতা দলই সব।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন