Translate

রবিবার, ১২ আগস্ট, ২০১২

তারাবির নামাজ পড়া সুন্নতে মুয়াক্কাদা


। পুরো ১ মাস সিয়াম সাধনা এ মাসের প্রধান ও মৌলিক ইবাদত। এরপরই তারাবির নামাজের স্থান। দিনেরবেলা সিয়াম সাধনার মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহ ধৈর্য, সহনশীলতা ও সহমর্মিতার প্রশিক্ষন নিয়ে থাকেন। আর রাতের কিয়ামের (তারাবির নামাজ) মাধ্যমে তারা নিজের সর্বস্ব উজাড় করে দেন মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহতায়ালার দরবারে।

'তারাবিহন শনটি আরবি
********************

'তারবিহাতুনন-এর বহুবচন। 'আরাম বা বিশ্রাম করান-এর অর্থ। তারাবির নামাজের প্রতি ৪ রাকাত পরপর কিছু সময় বিশ্রাম নিয়ে দোয়া ইত্যাদি পড়া হয়, এ জন্য এ নামাজকে তারাবির নামাজ বলা হয়।

 রমজান মাসে এশার ৪ রাকাত ফরজ ও সুন্নত নামাজের পর বেতেরের আগে ২০ রাকাত তারাবির নামাজ আদায় করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা। তারাবির নামাজে পুরো রমজান মাসে একবার কোরআন খতম করাও সুন্নত। রাসুলে কারিম সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়াসালস্নাম নিজে তারাবির নামাজ পড়েছেন। সাহাবায়ে কেরাম থেকেও তারাবির নামাজে প্রমাণিত।

তবে এ আশঙ্কায় রাসুল সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়াসালস্নাম মাঝেমধ্যে তারাবির নামাজে বিরতি দিয়েছেন যেন তা উম্মতের ওপর ফরজ না হয়ে যায়। কেননা যে কাজ রাসুল সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়াসালস্নাম বিরতিহীনভাবে করতে থাকেন তা উম্মতের জন্য ওয়াজিব হয়ে যায়।

স্বয়ং রাসুল সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়াসালস্নামের মুখেই এ জাতীয় শঙ্কাবাণী উচ্চারিত হয়েছে। অবশ্য সাহাবায়ে কেরাম নিয়মিতভাবে তারাবির নামাজ আদায় করতেন।

 খোলাফায়ে রাশেদা বিশেষত হজরত ওমরের (রা.) শাসনামলে রাষ্ট্রীয়ভাবে তারাবির নামাজের জামাতের সুস্পষ্ট র্বণনা পাওয়া যায়।

তাই খোলাফয়ে রাশেদার স্বন যুগের আমল ও উম্মতের উপর পালন করা
কতব্য
     রসুল    لا تسبوا  اصحابى . اصحابى كالنجوم بايهم اقتديتم اهتديتم 


সাঃ এরশাদ করেন তোমরা আমার সাহাবীদের গালী দিওনা , আমার সাহাবীরা আকাশের নক্ষত্রের মত যেকোন সাহাবীর এক্তেদা করেলে হেদায়েত প্রাপ্ত হবে ,
তাই জমাতে  তারাবি হ নামাজ  পড়া ও সুন্নাতে মোয়ক্কাদা এতে সমস্ত উম্মতের এজমা  ,

এর বিপরীত কেউ চিন্তা করলে হবে মুলহেদ পথ ভ্রষ্ট , যেমন আজকাল  সাহাবা বিদ্বেসী শিয়া সম্প্রদায় তারাবিহর জামাত কে বেদআত বলে প্রচার করছে.কারন শিয়ারা হল এক নং সাহাবা বিদ্বেসী বিশেষত চার  খলিফার অন্যতম আবুবকর ওমর ও ওসমান রাঃ ,সহ অনেক কে তারা খলিফা তো দূরে থাক  সাহাবী ও মানেনা বরং কুফরীর ফতোয়া দে  [নাউযুবিল্লাহ ]


তারাবি নামাজ কত রাকাত এ নিয়ে সামান্য মতভেদ থাকলেও হানাফি মাজহাবে ২০ রাকাতের অভিমতকেই গ্রহণ করা হয়েছে। তারাবির নামাজ সুন্নত হওয়া সত্ত্বেও এ সুন্নত আমলটি জামাতের সঙ্গে আদায় করা হয়।

 অন্যান্য নফল-সুন্নত নামাজের বেলায় এমন  নেই। ফরজ নামাজের মতো জামাতের সঙ্গে তারাবির নামাজ আদায় করার কারণে এর গুরম্নত্ব সহজেই অনুমেয়। ইদানীং কেউ কেউ এমন মনতব্যও করেন যে, তারাবির নামাজও অন্য সব নফল নামাজের মতো। তারাবির নামাজ না পড়লে কোনো গুনাহ হবে না_ এ জাতীয় মিথ্যা অপপ্রচারে বিভ্রানত্দ হয়ে তারাবির নামাজ ছেড়ে দেয়াটা বঞ্চিত ও ৰতিগ্রসত্দ হওয়ার দুয়ার খুলে দেবে।
 আলস্নাহতায়ালা আমাদের আজীবন ইবাদতের এ সিঁড়ি অতিক্রম করার তাওফিক দান করম্নন।

রমজান মাসে তারাবির নামাজ আদায় করা তো মুসলমানদের জন্য ইবাদতের এ মাসে নফল ইবাদত, নামাজ, তাহাজ্জদু নামাজ এবং দোয়া-দরুদ ও ইসেত্দগফারে মশগুল থাকা জররী। রাতে সেহরি খাওয়ার জন্য আমরা সবাই জেগে থাকি, মাত্র ৫-১০ মিনিট আগে জেগে তাহাজ্জদু নামাজ আদায়ের সেৌভাগ্য অর্জন করে নেয়াটা খুবই সহজ। এ ইবাদত রমজানে নিয়মিত চালু রাখলে সারা বছরে তা অভ্যাসে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এ সুর্বণ সুযোগ কোনোক্রমেই হাতছাড়া করা উচিত নয়।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন