রক্ত বের হলে অজু ভাঙ্গার ব্যাপারে ‘হানাফী
মাজহাবের’ কোন দলিল
নেই?!
ডাক্তার সাহেব এক অনুষ্ঠানে রক্ত বের হলে অজু ভাঙ্গবে-নাকি ভাঙ্গবে না? এ ব্যাপারে আলোচনা করতে গিয়ে বলেন,‘কতিপয় ওলামায়ে কিরাম বিশেষত হানাফী মাযহাবের অনুসারী ওলামায়ে কিরামের মতে রক্ত বের হলে অজু ভেঙ্গে যায়। নামাযের মধ্যখানে রক্ত বের হলে কি করতে হবে? এই প্রশ্নের উত্তরে তাদের ফতোয়া (হানাফীদের ফতোয়া) অনেক দীর্ঘ। তবে এ মতের স্বপক্ষে স্পষ্ট কোন দলিল নেই। {হাকীকতে জাকির নায়েক-২১৪, মাকতাবায়ে মদীনা, ভারত}
এখানে ডাক্তার সাহেব ফিকহে হানাফীর সংশ্লিষ্ট ওলমায়ে কিরামের বিরোদ্ধে অপবাদ আরোপ করলেন যে,তারা বিনা দলিলে অজু ভাঙ্গার কথা বলেন। অথচ রক্ত বের হলে অজু ভাঙ্গার স্বপক্ষে অসংখ্য হাদিস রয়েছে,এবং সাহাবায়ে কিরামের আমলও ছিল এর উপর। নিম্নে তার কিছু বর্ণনা তুলে ধরা হল।
(১)
عن عائشة قالت جاءت فاطمة بنت أبي حبيش إلى النبي صلى الله عليه و سلم فقالت يا رسول الله إني امرأة أستحاض فلا أطهر أفأدع الصلاة ؟ فقال رسول الله صلى الله عليه و سلم ( لا إنما ذلك عرق وليس بحيض فإذا أقبلت حيضتك فدعي الصلاة وإذا أدبرت فاغسلي عنك الدم ثم صلي ) . قال وقال أبي ( ثم تؤضي لكل صلاة حتى يجيء ذلك الوقت )
অর্থ: হযরত আয়শা রা. বলেন,হযরত ফাতেমা বিনতে আবি হুবাইশ রা. হায়য অবস্থায় রাসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরবারে এসে বলেন,হে আল্লাহর রাসুল! আমি হায়য হলে (দশ দিনের পরও) পবিত্র হই না। (দশ দিনের পরও) কি নামায ছেড়ে দিব? উত্তরে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-ইহা তো শরীরের ঘাম,হায়েয নয়। তাই হায়েয হলে নামায পড়বে না। আর হায়েয বন্ধ হয়ে গেলে রক্ত ধুয়ে নামায পড়বে। হিসাম বলেন,আমার পিতা বলেন,অতঃপর প্রত্যেক নামাযের জন্য অজু করবে,আর এই অজু ওয়াক্ত বাকি থাকা পর্যন্ত অব্যহত থাকবে। ( সহীহ বুখারী, হাদীস নং-২২৬)
(২)
عن ابن عباس قال : قال رسول الله صلى الله عليه و سلم : إذا رعف أحدكم في صلاته فلينصرف فليغسل عنه الدم ثم ليعد وضوءه وليستقبل صلاته
অর্থ: হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-তোমাদের কারো যদি নামাযে নাক থেকে রক্ত বের হয়, তাহলে নামায ছেড়ে দিয়ে তা ধৌত করবে, তারপর অযু করবে, তারপর নামায আদায় করবে। {আল মুজামুল কাবীর, হাদীস নং-১১৩৭৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১৭, মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-৩৬১৮}
(৩)
قال تميم الداري قال رسول الله صلى الله عليه و سلم : الوضوء من كل دم سائل
অর্থ: হযরত তামিমে দারী রাঃ বলেন-রাসূল সাঃ বলেছেন-প্রবাহিত রক্তের কারণে অযু আবশ্যক। {সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৭, নসবুর রায়াহ-১/৩৭, মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-১৭৪২)
এছাড়া আরো অনেক হাদিস থাকা সত্বেس ও ডাক্তার সাহেব আপন অজ্ঞতাকে গোপন করে মুজতাহিদ সেজে বলে দিলেন,‘রক্ত দ্বারা অজু ভাঙ্গার ব্যাপারে কোন দলিল নেই’!
ডাক্তার সাহেব এক অনুষ্ঠানে রক্ত বের হলে অজু ভাঙ্গবে-নাকি ভাঙ্গবে না? এ ব্যাপারে আলোচনা করতে গিয়ে বলেন,‘কতিপয় ওলামায়ে কিরাম বিশেষত হানাফী মাযহাবের অনুসারী ওলামায়ে কিরামের মতে রক্ত বের হলে অজু ভেঙ্গে যায়। নামাযের মধ্যখানে রক্ত বের হলে কি করতে হবে? এই প্রশ্নের উত্তরে তাদের ফতোয়া (হানাফীদের ফতোয়া) অনেক দীর্ঘ। তবে এ মতের স্বপক্ষে স্পষ্ট কোন দলিল নেই। {হাকীকতে জাকির নায়েক-২১৪, মাকতাবায়ে মদীনা, ভারত}
এখানে ডাক্তার সাহেব ফিকহে হানাফীর সংশ্লিষ্ট ওলমায়ে কিরামের বিরোদ্ধে অপবাদ আরোপ করলেন যে,তারা বিনা দলিলে অজু ভাঙ্গার কথা বলেন। অথচ রক্ত বের হলে অজু ভাঙ্গার স্বপক্ষে অসংখ্য হাদিস রয়েছে,এবং সাহাবায়ে কিরামের আমলও ছিল এর উপর। নিম্নে তার কিছু বর্ণনা তুলে ধরা হল।
(১)
عن عائشة قالت جاءت فاطمة بنت أبي حبيش إلى النبي صلى الله عليه و سلم فقالت يا رسول الله إني امرأة أستحاض فلا أطهر أفأدع الصلاة ؟ فقال رسول الله صلى الله عليه و سلم ( لا إنما ذلك عرق وليس بحيض فإذا أقبلت حيضتك فدعي الصلاة وإذا أدبرت فاغسلي عنك الدم ثم صلي ) . قال وقال أبي ( ثم تؤضي لكل صلاة حتى يجيء ذلك الوقت )
অর্থ: হযরত আয়শা রা. বলেন,হযরত ফাতেমা বিনতে আবি হুবাইশ রা. হায়য অবস্থায় রাসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরবারে এসে বলেন,হে আল্লাহর রাসুল! আমি হায়য হলে (দশ দিনের পরও) পবিত্র হই না। (দশ দিনের পরও) কি নামায ছেড়ে দিব? উত্তরে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-ইহা তো শরীরের ঘাম,হায়েয নয়। তাই হায়েয হলে নামায পড়বে না। আর হায়েয বন্ধ হয়ে গেলে রক্ত ধুয়ে নামায পড়বে। হিসাম বলেন,আমার পিতা বলেন,অতঃপর প্রত্যেক নামাযের জন্য অজু করবে,আর এই অজু ওয়াক্ত বাকি থাকা পর্যন্ত অব্যহত থাকবে। ( সহীহ বুখারী, হাদীস নং-২২৬)
(২)
عن ابن عباس قال : قال رسول الله صلى الله عليه و سلم : إذا رعف أحدكم في صلاته فلينصرف فليغسل عنه الدم ثم ليعد وضوءه وليستقبل صلاته
অর্থ: হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-তোমাদের কারো যদি নামাযে নাক থেকে রক্ত বের হয়, তাহলে নামায ছেড়ে দিয়ে তা ধৌত করবে, তারপর অযু করবে, তারপর নামায আদায় করবে। {আল মুজামুল কাবীর, হাদীস নং-১১৩৭৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১৭, মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-৩৬১৮}
(৩)
قال تميم الداري قال رسول الله صلى الله عليه و سلم : الوضوء من كل دم سائل
অর্থ: হযরত তামিমে দারী রাঃ বলেন-রাসূল সাঃ বলেছেন-প্রবাহিত রক্তের কারণে অযু আবশ্যক। {সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৭, নসবুর রায়াহ-১/৩৭, মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-১৭৪২)
এছাড়া আরো অনেক হাদিস থাকা সত্বেس ও ডাক্তার সাহেব আপন অজ্ঞতাকে গোপন করে মুজতাহিদ সেজে বলে দিলেন,‘রক্ত দ্বারা অজু ভাঙ্গার ব্যাপারে কোন দলিল নেই’!
এগুলো জাকির নায়েকের অজ্ঞতার পরিচয়
উত্তরমুছুন